Eleven Club - এলিভেন ক্লাব

Eleven Club - এলিভেন ক্লাব সমাজ থেকে বৈষম্য দূরীকরণে আমরা ঐক্যবদ্ধ, শিক্ষা, ঐক্য, স্বনির্ভরতায় গড়ে তুলবো বৈষম্যহীন, আত্মনির্ভরশীল সমাজ।

03/06/2025
 #ফটোগ্রাফি এর ইতিহাস 💕🥰✍️🤲🕋🕋দুটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি আবিষ্কারের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল: প্রথমটি হল ক্যামেরা অস্পষ্ট ইমেজ প্...
02/06/2025

#ফটোগ্রাফি এর ইতিহাস 💕🥰✍️🤲🕋🕋
দুটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি আবিষ্কারের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল: প্রথমটি হল ক্যামেরা অস্পষ্ট ইমেজ প্রজেকশন, দ্বিতীয়টি হল আবিষ্কার যে কিছু পদার্থ আলোর এক্সপোজার দ্বারা দৃশ্যমানভাবে পরিবর্তিত হয়[২]। 18 তম শতাব্দীর আগে হালকা সংবেদনশীল উপকরণ দিয়ে ছবি তোলার কোন প্রচেষ্টা নির্দেশ করে এমন কোন শিল্পকর্ম বা বর্ণনা নেই।
লে গ্রাস ১৮২৬ বা ১৮২৭ এ জানালা থেকে দেখা দৃশ্য, মনে করা হয় যে এটি সবচেয়ে আগে বেঁচে থাকা ক্যামেরার ছবি। [১] আসল (বামে) এবং রঙিন পুনর্নবীকরণ (ডান)।
১৭১৭ সালের দিকে, জোহান হেইনরিচ শুলজ একটি বোতলের উপর কাটা-আউট অক্ষরগুলির ছবি তুলতে হালকা সংবেদনশীল স্লারি ব্যবহার করেছিলেন। তবে এই ফলাফলগুলো স্থায়ী করার চেষ্টা করেননি তিনি। 1800 এর কাছাকাছি, থমাস ওয়েডগউড প্রথম নির্ভরযোগ্যভাবে নথিভুক্ত করেছেন, যদিও স্থায়ী রূপে ক্যামেরার ছবি তোলার ব্যর্থ প্রচেষ্টা ছিল। তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা বিস্তারিত আলোকচিত্র তৈরি করেছিল, কিন্তু ওয়েডগউড এবং তার সহযোগী হামফ্রি ডেভি এই ছবিগুলিকে ঠিক করার কোন উপায় খুঁজে পাননি।
1826 সালে, Nicephore Niépce প্রথম একটি ছবি ঠিক করতে সক্ষম হয়েছিল যা একটি ক্যামেরা দিয়ে ধরা হয়েছিল, কিন্তু কমপক্ষে আট ঘন্টা বা এমনকি কয়েক দিন ক্যামেরার এক্সপোজার প্রয়োজন ছিল এবং প্রাথমিক ফলাফলগুলি খুব অপরিশোধিত ছিল। নিপেসের সহযোগী লুই ড্যাগেরেরে ড্যাগেররিওটাইপ প্রক্রিয়া বিকশিত করতে শুরু করেছেন, প্রথম প্রকাশ্যে ঘোষিত এবং বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর ফটোগ্রাফিক প্রক্রিয়া। ড্যাগেররিওটাইপের ক্যামেরায় শুধুমাত্র কয়েক মিনিট এক্সপোজার প্রয়োজন, এবং পরিষ্কার, সূক্ষ্মভাবে বিস্তারিত ফলাফল তৈরি। ২ আগস্ট, ১৮৩৯ তারিখে ড্যাগেরে প্যারিসে চেম্বার অফ পিয়ারস-এ প্রক্রিয়াটির বিবরণ প্রদর্শন করেন। ১৯ আগস্ট ইনস্টিটিউট প্যালেস এ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স এবং অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস এর একটি সভায় কারিগরি বিবরণ প্রকাশ করা হয়। (জনসাধারণকে আবিষ্কারের অধিকার প্রদানের জন্য, ড্যাগেররে এবং নিপেসেকে জীবনের জন্য উদার বার্ষিকী প্রদান করা হয়। )[3][4][5] যখন মেটাল ভিত্তিক ড্যাগেররিওটাইপ প্রক্রিয়া জনসাধারণের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদর্শিত হয়েছিল, তখন কাগজ-ভিত্তিক ক্যালোটাইপ নেতিবাচক এবং লবণ প্রাই এর প্রতিযোগী পদ্ধতি
আলহ #ফটোগ্রাফি এর ইতিহাস 💕🥰✍️🤲🕋🕋
দুটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি আবিষ্কার

আব্বুর সাথে আমি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। স্মৃতি পাতা থেকে নেওয়া। জায়মা রহমান।
20/05/2025

আব্বুর সাথে আমি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। স্মৃতি পাতা থেকে নেওয়া। জায়মা রহমান।

 #সুবহানাল্লাহ গতগত বছর এই সময়ে এক আত্মীয়ের সাথে গিয়েছিলাম হজ্জ ক্যাম্পে। রিক্সা থেকে নেমে ভাড়ার টাকা এগিয়ে দিতেই রিক্সা...
15/05/2025

#সুবহানাল্লাহ

গতগত বছর এই সময়ে এক আত্মীয়ের সাথে গিয়েছিলাম হজ্জ ক্যাম্পে। রিক্সা থেকে নেমে ভাড়ার টাকা এগিয়ে দিতেই রিক্সাওয়ালা মামা বললেন লাগবো না।
ভাবলাম ভাড়া কী কম হয়ে গেলো নাকি! তাড়া ছিলো তাই ভাড়া ঠিক না করেই উঠে পড়েছিলাম। যদিও এখানকার ভাড়া মোটামুটি ফিক্সড, তবে একটা ভালো কাজে এসেছি - মূলামুলি না করে, পকেট হাতড়ে আরো কিছু টাকা মিলিয়ে বাড়িয়ে দিলাম মামার দিকে।
কিন্তু মামা এবারেও সলজ্জ বদনে টাকাটা ফিরিয়ে দিলেন।
বললাম কী সমস্যা মামা, এই ভাড়ায় পোষাচ্ছে না?

রিক্সাওয়ালা মামা লজ্জায় জিভ কেটে বললেন
- ছি ছি মামা, আপনে তো ম্যালা টাকা দিসেন। কিন্তু আমি ভাড়াটা নিতাম না ।

- কেনো নিবেন না?

- আসলে মামা, কোনো হজ্জ যাত্রীর ভাড়া আমি নেই না।

আমি খুব অবাক হয়ে হয়ে বলি
- সে কী কথা! রিক্সা চালানো তো আপনার পেশা। ভাড়া না নিলে আপনার চলবে কীভাবে? আপনার বাড়ি কোই?

- গাইবান্ধা।

- উত্তর বঙ্গের লোক বোকাসোকা ভালো মানুষ হয় জানতাম, কিন্তু এই ভালোমানুষি ধোয়া পানি খেলে তো আর পেট ভরবে না। সংসার চলে কীভাবে?

- আসলে মামা, আমি দিনমজুর। দিন আনি দিন খাই। ঢাকায় আসছি এই কয়দিন হইলো। দ্যাশের বাড়িতে ভ্যান চালাইয়া সংসার চালাই। টানাটানির সংসারে টাকা জমানো খুবই কঠিন। তবু চেষ্টা থাকে কিছু জমানের। বাকিটা আল্লাহয় সহজ কইরা দ্যান।
প্রতি বছর হজ্জের মৌসুমে আমি যখন ঢাকায় আসি তখন পরিবারের হাতে জমানো টাকাডি দিয়া আসি। তাই বিশেষ সমস্যা হয় না।

- আর ঢাকায় আপনার থাকা খাওয়া?

- হজ্জ যাত্রী ছাড়া বাকি সবার থিকা তো ভাড়া নেই। তাইতে আল্লাহয় একটা ব্যবস্থা কইরা দ্যান। ট্যাকায় বরকত আইসা পড়ে।

- সে নাহয় বুঝলাম। কিন্তু আপনার এরকম বিনা পয়সায় যাত্রী সার্ভিস দেয়ার ইচ্ছা কেনো হলো, কারনটা কি জানতে পারি?

- কী বলবো মামা, শুনলে লোকে হাসে। টিটকারি মারে।

- আপনি নির্দিধায় বলেন মামা, আমি শুনবো।

- আসলে মামা হইসে কী... আমার ম্যালা বছরের শখ... বলতে পারেন অন্তরের খায়েস - জীবনে একবার হইলেও আমি মোহাম্মদের (সঃ) দ্যাশে যাবো... যেইখানে আল্লাহর ঘর আছে, সেই ঘর তওয়াফ করবো । জান্নাতি কালা পাথরে চুমা খাবো। সাফা মারওয়া সাই করবো..... আহা কতো নবী রাসূলের পাও মোবারক পড়সে সেই জমিনে....
আবেগে মামার চোখে জল জমা হয়। কাঁধে ঝোলানো গামছাটা দিয়ে চোখ জোড়া কচলে মুছে নেন তিনি।

- মাশাআল্লাহ খুবই ভালো শখ কিন্তু ওখানে যেতে হলে তো অনেক টাকা লাগে মামা। এইভাবে ফ্রী সার্ভিস দিলে টাকা জমাবেন কিভাবে। কতো টাকা জমিয়েছেন এই পর্যন্ত?

- এট্টা টাকাও না।

- এক টাকাও না জমিয়ে আপনি কিভাবে ঐ দেশে যাওয়ার ইচ্ছা পূরণ করবেন মামা? ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখার মতো হলো না বিষয়টা!

- কীভাবে যাবো ঐটা আমি জানিনা, জানেন ঐ একজন।
হাতের তর্জনী উঁচিয়ে আসমানের দিকে ইশারা করেন মামা।
তয় একদিন না একদিন যাবো ইনশাআল্লাহ । মালিকের উপ্রে আমার পুরা ভরসা আছে।

পয়সার জোগাড় নাই অথচ স্বপ্ন দেখে হজ্জে যাবার! ওখানে যেতে হলে যে পরিমান টাকার প্রয়োজন, সে হয়তো সারাজীবনে চোখেও দেখবে না, খরচ করা তো দূর কী বাত!
মামার মূর্খতা দেখে হাসি পেলো তবে চেপে গেলাম। বললাম
- চেষ্টা না করে শুধু আল্লাহর ভরসায় চুপচাপ বসে থাকলে যদি কাজ হতো, তাহলে কতই না ভালো হতো। জানেন মামা, আমারো কাজকাম করতে ভালো লাগে না। আল্লাহর উপর ভরসা করে লেপ গায়ে দিয়ে শুয়ে থাকলাম আর আসমান থেকে টুপ করে খাবার পড়লো। কী মজা হতো তাই না!

- আপনেও মজা লইলেন মামা! চেষ্টা করি না কে বললো? করি তো!

- আপনি যে ব্যাগার খাটছেন, যাত্রীর থেকে ভাড়া নিচ্ছেন না। তাহলে টাকা জমাবেন কীভাবে আর সেই দেশেই বা যাবেন কীভাবে?

এবার মামা শব্দ করে হেসে উঠলেন। বললেন
- মামা আপনারা শিক্ষিত জ্ঞানী মানুষ, অনেক বেশি জানেন। তয় আমি ছোট মুখে একখান বড়ো কথা বলি।
শুনছি হাদিসে আছে, কোনো মানুষ তার আমলের দ্বারা জান্নাতে যাইবো না। জান্নাতে যাইতে পারবো একমাত্র আল্লাহর দয়ায়। মানে হইলো গিয়া - একজন মানুষ অনেক আমল করলো, আমলের পাহাড় নিয়া দাড়াইলো হাশরের ময়দানে কিন্তু আল্লাহ যদি দয়া না করেন, তার আমল পছন্দ না করেন তাইলে কিন্তু ঐ নেকির পাহাড় কোনোই কাজে লাগতো না।
সেই জন্য আমি আমার মালিকরে খুশি করার চেষ্টা করতেসি। মালিকরে যদি একবার সন্তুষ্ট করতে পারি তাইলে আমারে আর ঠেকায় কে! সে আমারে কীভাবে কার মাধ্যমে নিবো তিনিই ভালো জানেন। আমার কাজ খালি মালিকরে খুশি করা আর সেই উদ্দেশ্যেই আমি হজ্জ যাত্রী পাইলে তাদের থিকা টাকা নেই না, তাদের বোঝা টাইনা দেই। যতদূর সম্ভব খেদমত করার চেষ্টা করি। মানুষ নানান তরিকায় মালিকরে খুশি করার চেষ্টা করে, আমার তরিকা এইটা। তেনাদের দোয়ার উছিলায় যদি মালিক আমার নিয়ত কবুল করেন- এই আশা মনে।

- খুব ভালো কথা বলেছেন মামা। তবে একটা কথা আছে না- দোয়ার সাথে দাওয়াও লাগে। আপনি টাকার ব্যবস্থা না করে খালি হাতে কীভাবে ইচ্ছা পূরণ করবেন সে ব্যপারে কিছু ভেবেছেন?

আবারো শব্দ করে হেসে উঠলেন মামা। বললেন
- মামায় যে কী কয়! ট্যাকার কোনো ক্ষেমতা আছে নি ! কত্তো মানুষ ট্যাকার গাট্টি নিয়া বইসা আছে। সবাই কী ঐখানে যাইবার পারে? নসিবে থাকতে হয় বোজলেন। যেইখানে আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া একটা গাছের পাতাও নড়ে না, সেইখানে ট্যাকার কী দাম বলেন তো মামা!

রিকসাওয়ালা মামার হাইথট কথাবার্তা আমার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছিলো। আর কথা বাড়ালাম না। বললাম
- চলি মামা, অনেক কথা হলো ভালো লাগলো। আপনার সাথে একটা সেলফি নিই, কী বলেন।

- ফেসবুকে দিবেননি মামা?
বিগলিত হাসি দিয়ে মামা হাতের আঙুলের সাহায্যে চুলগুলো ঠিকঠাক করে নিলেন।

- আরেহ না না, আমার ওসব বাতিক নাই । আপনার কথাগুলো মনে ধরেছে । স্মৃতি হিসেবে একটা ছবি থাকুক, এই আরকি। আর আমার মোবাইল নম্বরটা রাখেন।যদি কোনোদিন আপনার ইচ্ছা পূরণ হয়, আমাকে কাইন্ডলি একটু জানাবেন। সামর্থ্য মতো সহযোগিতা করবো ইনশাআল্লাহ।
ঐদিন মামার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে এলাম তবে তার কথাগুলো অনেকদিন পর্যন্ত মাথায় ঘুরতো। একজন আধা শিক্ষিত মানুষ, অথবা কে জানে তিনি হয়তো কোনোদিন স্কুলের বারান্দায় পা-ও রাখেননি, এমন একজন মানুষ আমার ভাবনার জগতকে বেশ প্রভাবিত করলো। সময়ের পরিক্রমায় তারপর একদিন সব ভুলেও গেলাম।
-
-

কয়েকদিন আগে একটা আননোন নম্বর থেকে কল এলো। অচেনা নাম্বার আমি সাধারণত রিসিভ করি না, তবে কী মনে করে ধরলাম। হ্যালো বলতেই ও পাশ থেকে সেই মামার কন্ঠ শোনা গেলো
- মামা আমারে চিনতে পারছেন? ঐ যে গত বছর হজ্জ ক্যাম্পের সামনে অনেক কথা হইলো। আমি আরিফুল।

- জ্বি জ্বি, কেমন আছেন?

- জ্বে আপনেদের দোয়ার বরকতে ভালোই আছি। মামা, কাইল ইকটু দেখা করতে চাই। আসতে পারবেননি?

যদিও ফোনে কিছু বলেননি তবে ধারণা করলাম হয়তো টাকার বিশেষ প্রয়োজন হয়েছে। কাছে সামান্য যতটুকু টাকা ছিলো, গুছিয়ে নির্ধারিত জায়গায় চলে গেলাম।

এক বছরের ব্যবধানে মামাকে দেখে প্রথমে চিনতেই পারিনি। না, ওনার চেহারা শরীর স্বাস্থ্য আগের মতোই আছে তবে বদলেছে তার বেশ। শুভ্র- সাদা ইহরামের চাদরে জড়ানো মামাকে দেখে বুকের ভেতর ধক্ করে উঠলো। তবে কী তার নিয়ত কবুল হয়ে গেলো? কিন্তু কীভাবে সম্ভব?
কাছে যেতেই দৌড়ে এসে হাত মুসাফা করে বললেন
- জানেন আমার মালিক আমারে ডাইকা পাঠাইসেন। আইজ রাততিরে আমার ফেলাইট। আমি মোহাম্মদের (সঃ) দ্যাশে যাইতাসি মামা!

আমি শক্ত মনের মানুষ, তবু মামার আনন্দোচ্ছ্বাস দেখে আমার চোখে জল জমা হলো। বললাম - মাশাআল্লাহ দারুণ খবর! কিন্তু কীভাবে সম্ভব হলো মামা, একটু বুঝিয়ে বলবেন?

- আর বইলেন না মামা, একদিন রিসকা টানতে টানতে গপসপ করতেসিলাম। হঠাৎ সেই যাত্রী বললেন তিনি তার পুরা পরিবার নিয়া হজ্জে যাইতেছেন কিন্তু একটা সমস্যায় পড়ছেন। তার বৃদ্ধা অসুস্থ মা একলা চলাচল করতে পারেন না। তার আম্মারে ধইরা ওঠানামা করার জন্য একজন শক্ত সামর্থ্য মানুষ দরকার। আমি যদি রাজি থাকি তাইলে পুরা খরচ দিয়া আমারে তিনি সাথে নিয়া যাবেন।
কাকার কথা শুইনা আমি তক্ষনি চিৎকার দিয়া কাইন্দা উঠি আর বলতে থাকি "" আল্লাহ তুমি আছো.... আল্লাহ তুমি আছো "।
কাকায় নিজেই আমার পাসপুট ভিসা করাইলেন, কাপুরচুপুর যা লাগে সবতা কিন্না দিলেন। বলছিলাম না মামা, আল্লাহয় চাইলে কী না হয়!

মামার কথা শুনে আমার সারা শরীর শিউরে উঠলো, সুবহানআল্লাহ! এ-ও সম্ভব! নিয়ে আসা টাকার প্যাকেট মামার হাতে দিয়ে বললাম এটা রাখেন, যদি কোনো কাজে লাগে।

মামা এবারো ফিরিয়ে দিয়ে বললেন
লাগবো না মামা। আপনে খালি আমার জন্য দোয়া কইরেন। মালিক জানি আমার হজ্জ ওমরা কবুল করেন।

আমি পুনরায় টাকাটা এগিয়ে দিয়ে বলি
- অবশ্যই দোয়া করি মামা, তবে এই টাকাটা আপনাকে নিতেই হবে। নিয়ত করে নিয়ে আসছি, ফেরত নিবো না। যে কোনো ভালো কাজে খরচ করিয়েন। নিজে তো যেতে পারলাম না, অন্তত একটা সওয়াবের কাজে শরিক হলাম।

- কঠিন নিয়ত রাখেন মামা, একদিন আপনেও যাইতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

- ইনশাআল্লাহ!

দূর থেকে দেখছি "লাব্বাঈক আল্লাহুম্মা লাব্বাঈক " ধ্বনিতে সুর তুলে সম্মানিত হাজীগণের সাথে এক কাতারে এগিয়ে চলেছেন একজন অর্থ -বিত্তহীন ভ্যানচালক আরিফুল মামা। তিনি শিক্ষিত নন , নেই এ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট। সহায় - সম্পত্তি খ্যাতি কিছুই নেই তার, সমাজে কেউ তাকে চেনে না। তবে যিনি চেনার তিনি ঠিকই চিনেছেন এবং পুরষ্কারও এই দুনিয়ায় দিয়ে দিলেন। ভাবছি মামার ইয়াকীনের কতো জোর! অথচ আমি কেমন ইলম অর্জন করলাম যে রবের প্রতি পূর্ণ তাওয়াক্কুল রাখতে পারি না।

কোথায় যেন শুনেছিলাম - "আল্লাহ বান্দার সাথে তার ধারণা অনুযায়ী আচরণ করেন।" দুআ করার সময় বান্দা যদি পূর্ণ আস্থা রাখে যে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হবে না, তাহলে রব তাকে সত্যিই ফিরিয়ে দেন না। যার ইয়াকীনের জোর যত বেশি, তার দুআ কবুলের সম্ভাবনা ততো বেশি।
নিজেকে প্রবোধ দিলাম- সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি, সংশোধন হতে হবে।

অবশেষে প্রশান্ত চিত্তে মামাকে বিদায় জানিয়ে বাড়ির পথ ধরলাম। আল্লাহ আমার এবং মামার সমস্ত নেক ইচ্ছা কবুল করুন।
(সমাপ্ত)

❞ ✍️ সাবিহা_জাহান

#লিখালিখি

যখন সবে বুঝতে শিখেছি তখনই দেখতাম প্রায় প্রতি ৬-৭ মাস পর পর আমাদের বাড়িতে নতুন কাজের মেয়ে রাখা হতো। আগের মেয়েগুলো যে কোথা...
21/04/2025

যখন সবে বুঝতে শিখেছি তখনই দেখতাম প্রায় প্রতি ৬-৭ মাস পর পর আমাদের বাড়িতে নতুন কাজের মেয়ে রাখা হতো। আগের মেয়েগুলো যে কোথায় যেত তা আমার বোধগম্য হয়নি দীর্ঘদিন। কিন্তু একটা রাত আমার কাছে সব কিছু পরিস্কার করে দেয়। এক রক্তাক্ত হিংস্র জগতের সঙ্গে পরিচয় ঘটে আমার। তখন বয়স আমার ৯। একরাতে মেয়েলি একটা চিৎকারের শব্দে আমার ঘুম ভেঙে গেল। ফ্যান এবং ডিমলাইট বন্ধ দেখে বুঝলাম বিদ্যুৎ নেই। অন্ধকার হাতড়ে নীচে নেমে দরজার কাছে গেলাম। দরজাটা বাইরে থেকে আটকানো। কাজের মেয়েটা আমার সঙ্গে এক ঘরে মেঝেতে ঘুমায়। অন্ধকারে বোঝা যাচ্ছে না সে ঘরে আছে কিনা।

শরীরটা কেমন কেঁপে উঠল। বাবা আর মায়ের মৃদু কথা বলার শব্দ ভেসে আসছে দূর থেকে। যেন তারা কিছু একটা কথা নিয়ে হাসি-তামাশা করছে। সাথে সাথে মেয়েলি একটা কণ্ঠের গোঙানিও কানে এলো আমার। যেন প্রচণ্ড কষ্ট নিয়ে শব্দটা বের হয়ে আসছে তার গলা দিয়ে। আমি জোরে দরজা ধাক্কাতে লাগলাম। বাবা আর মায়ের কণ্ঠ মিলিয়ে গেল সাথে সাথেই। তাদের পায়ের আওয়াজ পেলাম, ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে এদিকে। দরজার সামনে এসেই আবার দুজনে ফিসফিস করতে লাগলো। তর্ক করছে কিছু একটা নিয়ে। বুঝতে পারলাম মা আপত্তি করছে দরজা খুলতে আর বলছে, ওর বয়স এখনো হয়নি এসব দেখার। বাবা বলছেন, এখন থেকেই এসব দেখে মানিয়ে নেয়া উচিত। না হলে বড় হয়ে আপত্তি করবে।

বেশ কিছুক্ষণ তর্ক-বিতর্ক করার পর দরজাটা খোলার শব্দ পেলাম। ভয়ে ভয়ে বাইরে বেরিয়ে এলাম আমি। পুরো ঘর মোমের কম্পিত আলোতে ভরে আছে। মেঝের জায়গায় জায়গায় মোম জ্বালিয়ে রাখা এক বিশেষ নকশায়। আমি অবাক হয়ে বাবা আর মার মুখের দিকে তাকালাম। বাবা উল্টো দিকের ঘরের ভেতর চলে গেলেন কোনো কথা না বলেই। বাবা কখনই আমার সাথে তেমন একটা কথা বলতেন না। ওই ঘরটাও মোমবাতির আলোয় ভরে আছে। মা আমার মাথায় আলতো করে হাত বুলিয়ে বাবার পিছু নিলেন। আমি কয়েক মুহূর্ত স্তব্ধভাবে দাঁড়িয়ে থেকে ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলাম ঘরটার দিকে। ঘরে ঢুকেই আমি একটা প্রচণ্ড মানসিক ধাক্কা খেলাম। এই প্রথম খেয়াল করলাম বাবা আর মায়ের হাতে, কাপড়ে আর মুখে রক্ত লেগে রয়েছে।

মেঝেতে চিৎ হয়ে পড়ে আছে আমাদের বাড়ির কাজের মেয়েটা। সে যে বেঁচে নেই এটা তার গলার নিচ থেকে তৈরি হওয়া রক্তের স্রোতই সাক্ষী দিচ্ছে। মেঝের অর্ধেকের বেশি ভিজে আছে তার রক্তে । মেয়েটা চোখ দুটো বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে, আতঙ্কে হা হয়ে আছে মুখটা। লাশ! আতঙ্কে পুরো শরীর কাঁপতে লাগলো আমার।

আমি মা আর বাবার দিকে বিস্ময় নিয়ে তাকালাম। বাবা আমার হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে প্রায় টেনে নিয়ে ফেলে দিল মেয়েটার শরীরের উপর। গলা ফেটে বেরিয়ে আসা চিৎকারটা নিজের শরীর আর মনের সমস্ত শক্তি দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করলাম। বাবা ক্রুদ্ধ কণ্ঠে বললেন, 'মুখটা ওর গলার কাছে নাও খোকা, চেখে দেখ ওর রক্ত কেমন লাগে?' আমি করুণ মুখে মায়ের দিকে তাকালাম। মায়ের চোখ দুটো কিছু একটার লোভে জ্বলজ্বল করছে। আমার দিকে তার খেয়াল নেই। বাবা আমার মাথা চেপে ধরলেন মেয়েটার গলার কাছে। আমি ছটফট করতে লাগলাম। কিন্তু এরমধ্যে আমার মুখে ঢুকে গেছে সামান্য রক্ত। পেট গুলিয়ে বমি চলে এলো মুখে।

ধাক্কা দিয়ে এবার আমাকে ঘরের এক কোণে পাঠিয়ে দিলেন বাবা। পরমুহূর্তেই ঝাঁপিয়ে পড়লেন মৃত মেয়েটির শরীরের উপর, মাও যেন এই মুহূর্তটার অপেক্ষা করছিলেন। তিনিও বাবার সঙ্গে যুক্ত হলেন ঝাঁপিয়ে পড়ে। ঘরের দেয়ালের সাথে প্রায় মিশে গিয়ে দৃশ্যটা দেখলাম আমি। মেয়েটার পেট কামড়ে ছিড়ে নাড়িভুঁড়ি বের করে ফেলল মা। বাবা মেয়েটার গলা, স্তন, বুক কামড়ে ছিড়তে লাগলো। নরম অংশ গুলো মুখে নিয়ে চিবোচ্ছে। গলার সব শক্তি দিয়ে চিৎকার করতে ইচ্ছা হলো আমার আবার, চেঁচিয়ে বলতে ইচ্ছা করল থামো এবার। কিন্তু কথা বলার উপর গুরুতর নিষেধ আছে আমার উপর। কারণ তারা জানেন আমি বোবা। আমার বাবা-মা যদি জানতে পারেন আমি বোবা নই, কথা বলতে পারি তাহলে সাথে সাথেই খুন করে ফেলবে আমাকে।অচেনা একটা নারী কণ্ঠ এই সাবধান বাণীই আমাকে দিচ্ছে অনেক বছর ধরে। তাই তাদের কাছে আমি একজন বোবা।

আর সামলাতে পারলাম না নিজেকে। মেয়েটার শরীর খণ্ড থেকে খণ্ডতর হচ্ছে। বাবা আর মা তার রক্তে ভিজে চুপসে উঠছে। এক দৌড়ে ঘরটা থেকে বেরিয়ে নিজের ঘরে চলে এলাম। দরজাটা ভেতর থেকে বন্ধ করে বিছানায় উঠে মাথার উপর বালিশ চাপা দিয়ে কাঁদতে লাগলাম। কখন ঘুমিয়ে গিয়েছি জানি না। পরদিন ঘুম ভাঙতেই দেখলাম অনেক সকাল হয়ে গেছে। ভয়ে ভয়ে দরজা খুলে বাইরে বের হলাম। পুরো বাড়ি খুঁজে না পেলাম বাবা আর মাকে না পেলাম কাজের মেয়েটির কোনো চিহ্ন।
এক মুহূর্তে আমার কাছে পরিস্কার হয়ে গেল আমাদের বাড়িতে থাকা পূর্বের মেয়েগুলোর পরিণতি।

সব সময়ের মতো আমি যাতে বাড়ি থেকে বের হতে না পারি এরজন্য বাড়ির গেট বাইরে থেকে বন্ধ। জানলার কাছে এসে দাঁড়ালাম। কয়েকটা গাছ আর বাড়ি ঘেরা উঁচু দেয়াল ছাড়া কিছুই চোখে পড়ছে না। সেইসব চিন্তা আবার আমার মাথায় খেলা করছে। কে আমি? আমার বাবা-মা এমন অদ্ভুত কেন? তারা নরখাদক! কেন তারা আমাকে বাইরের দুনিয়ায় নিয়ে যায় না! শৈশব থেকে নয় বছর বয়স পর্যন্ত এই বাড়ির বাইরে আমি যাইনি।

আমার বোবা সাজার পেছনের কাহিনীটা বলা যায়। শৈশবের সামান্য স্মৃতি আমার মনে পড়ে, মা আমাকে বারবার নানান শব্দ উচ্চারণ করে সেগুলো তার সাথে উচ্চারণ করতে বলতো। শব্দগুলোর অর্থ আমি বুঝতে পারতাম, উচ্চারণ করতেও পারতাম। কিন্তু যখনই মুখ নাড়িয়ে শব্দটি উচ্চারণ করতে যাই তখনই এক অদৃশ্য হাত আমার মুখ চেপে ধরে। কোনো শব্দই আমি করতে পারি না। বাবা আমাকে রীতিমতো শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করা শুরু করতো কথা বলার জন্য। কিন্তু আমি কেঁদে ফেললেও মুখ দিয়ে একটা টু শব্দ বের করতে পারতাম না।

আবার যখন বাবা-মা সামনে থাকে না তখন আমি আরামে শব্দ উচ্চারণ করতে পারতাম। তারা আমার কাছে আসতেই অদৃশ্য হাতটা আমার মুখ চেপে ধরতো। মনে পড়ে বাবা কতটা কঠোর স্বরে চিৎকার করে আমাকে শব্দ উচ্চারণ করতে বলতো। ভয়ে আমি কাঁপতাম। কিন্তু কিচ্ছু উচ্চারণ করতে পারতাম না। একসময় তারা ধরেই নিল আমি বোবা।

ছোটবেলা থেকেই বাবা-মা আমাকে এক রুমে রেখে আলাদা ঘরে ঘুমায়। একরাতে একা শুয়ে আছি। হঠাৎ ঘরে কোনো একজনের উপস্থিতি অনুভব করলাম। একটা নারীর কন্ঠস্বর কথা বলে উঠল হঠাৎ। এটা মায়ের গলা নয় চিনতে পেরে শিউরে উঠলাম। কন্ঠটা শুধু আমাকে জানালো, সেই আমাকে কথা বলতে বাধা দিয়ে এসেছে। সে আমার ভালোর জন্যই এমনটা করছে। কারণ যেদিন আমি কথা বলা শুরু করবো সেদিনই আমার বাবা-মা আমাকে খুন করে ফেলবে। আমি লাফিয়ে উঠে টর্চ জ্বালালাম। কিন্তু ঘরে কাউকেই দেখলাম না।

এরপর থেকে প্রায়ই অদৃশ্য কণ্ঠস্বরটা হঠাৎ উদয় হয়ে আমার পিছন দিক থেকে, আমার বাবা-মা সম্পর্কে নানা ভাবে আমাকে সতর্ক করে দিতে লাগলো। তারা যে কোনো একটা বিশেষ উদ্দেশ্যে আমাকে বড় করছে তা বোঝাতে লাগলো। মাকে আমি ভালোবাসি। অদৃশ্য কন্ঠস্বর যাই বলুক আমি জানি তিনি আমার কোনো ক্ষতি করবেন না। বাবার ভয়েই কথা বলতে পারলেও এখন বোবার মতো অভিনয় করে যেতে হয় আমাকে।

বাইরের দুনিয়া সম্পর্কে আমি যতটুকু জেনেছি তা আমাদের বাড়িতে আসা কাজের মেয়েগুলোর কাছ থেকেই। মা সামান্যই বলতেন। মায়ের ঘরের তাকে থাকা বেশ কিছু বই পড়েও জেনেছি অনেক কিছু। তারা যদিও জানে না যে আমি পড়তে জানি। সেই অদৃশ্য নারী কণ্ঠস্বরটাই আমার শিক্ষক এই বিষয়ে।

জানলায় দাড়িয়ে থাকতে আর ভালো লাগছে না।কাজের মেয়েটিও নেই। প্রচুর ক্ষুধা লাগছে। মা কখন আসবে বুঝতে পারছি না। বাবা-মা প্রায়ই সারাদিন বাড়ির বাইরে থাকেন। খাবার টেবিলের সামনে চলে এলাম। একটা বড় থালা বোল দিয়ে ঢাকা রয়েছে দেখে কিছুটা স্বস্তি পেলাম। মা নিশ্চই খাবার রেখে গেছেন। প্লেটের উপর থেকে বোলটা সরাতেই আমার গলা ফেটে বেরিয়ে আসতে চাইলো চিৎকারটা। কিন্তু সেই অদৃশ্য সত্তাটা চেপে ধরলো আমার মুখ। আমি ছিটকে মেঝেতে পড়ে গেলাম। প্লেটে শোভা পাচ্ছে কাজের মেয়েটির কাটা মাথা। চোখদুটো এখনো বিস্ফোরিত হয়ে তাকিয়ে আছে, মুখটা হা হয়ে আছে আতঙ্কে। আমার মুখ দিয়ে শুধু গগগগ শব্দ বের হতে লাগলো। চাপা কণ্ঠে মাটিতে মুখ গুজে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলাম।

মা কোথা থেকে বের হয়ে দৌড়ে ছুটে এসে জড়িয়ে ধরলো আমাকে। উৎকণ্ঠা নিয়ে বলল, 'আমি বলেছিলাম তোমাকে খোকা কথা বলতে শিখেনি এখনও। শুধু শুধু ওকে দিয়ে এমন পরীক্ষা নিচ্ছ! বাইরে কোথাও গেলেও ও আমাদের কথা ও কাউকে বলবে না।'

মাথা উঁচু করতেই দেখলাম কিছুটা দূরে বাবার ক্রুদ্ধ দৃষ্টি, 'মানুষের বাচ্চা ও, এত সহজে বিশ্বাস করা যায় না!' এই বলেই কাটা মাথার প্লেটটা নিয়ে চলে গেলেন বাবা। আমি শক্ত করে মাকে জড়িয়ে ধরলাম। মা বলল, ' ভয় নেই খোকা। চলো তোমাকে কিছু রান্না করে দেই।' আমি তাকে জড়িয়ে ধরে টলতে টলতে রান্নাঘরের দিকে এগিয়ে গেলাম। আরেকটা অদৃশ্য হাতও যেন আমার কাঁধ স্পর্শ করে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করলো, 'ভয় নেই কোনো, খোকা!'

#ঘেউলের_সংসার
১ম পর্ব

লেখা:

[ এটি ২০২২ সালের লেখা ৪ পর্বের একটি পৈশাচিক ধারাবাহিক গল্প। বাকি পর্ব গুলোর লিংক কমেন্ট বক্সে উল্লেখ করা আছে। ]

এই পলিথিনে ফেলে দেওয়া মাংসের ঝোল সংগ্রহ করতেছে ছেলেটি, কষ্ট লাগলো ওকে যখন আজকে এই অবস্থায় দেখি, বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে সাম...
20/04/2025

এই পলিথিনে ফেলে দেওয়া মাংসের ঝোল সংগ্রহ করতেছে ছেলেটি, কষ্ট লাগলো ওকে যখন আজকে এই অবস্থায় দেখি, বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো, হাতের মধ্যে যেই পলিথিন টি দেখতে পারতেছেন সেটাতে মানুষের ফেলে দেওয়া খাবারের মাংসের ঝোল সংগ্রহ করতেছে, কিন্তু কেউ একটু ডাক দিয়ে নিয়ে গিয়ে খাওয়ায়নি ছেলেটিকি অথচ আছরের পর পর্যন্ত খাইয়েছে সেই অনুষ্ঠানে, এতক্ষণ ছেলেটা এখানেই দাঁড়িয়ে ছিলো, আমার এটা দেখে খুবি খারাপ লাগলো, কিন্তু কিছুই করার নেই আমি সেই বিয়ে বাড়ির মেহমান ছিলাম না, মেহমান হলে নিজে না খেয়ে ওকে খাওয়াতাম ওর ইচ্ছেটা পূর্ণ করতাম,তারপরও কিছু টাকা দিয়ে এসেছি আসার সময় যেটা দিয়ে সে ৩-৪ প্লেট গরুর মাংস দিয়ে ভাত খেতে পারবে, এই আমরাই নাকি সৃষ্টির সেরা জীব!? 😓

ফলো প্লিজ 👉 Eleven Club - এলিভেন ক্লাব

10/04/2025

ফিলিস্তিনের জন্য আমাদের প্রতিবাদ—আমাদের ঈমানী দায়িত্ব।

আজকে সারাদেশে তৌহিদি জনতা ও বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল, যেখানে আমরা একত্রিত হয়েছি জালিম ইসরাইলের বর্বরতার বিরুদ্ধে আমাদের ঘৃণা প্রকাশ করতে এবং মজলুম ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের প্রতি সংহতি জানাতে।

এই মিছিলে আমরা বিশ্বকে জানাতে চেয়েছি যে, ফিলিস্তিন একা নয়!

আমরা জানাচ্ছি মুসলিম উম্মাহ এখনো জীবিত, এখনো প্রতিবাদ করতে জানে।
এই প্রতিবাদ মিছিল ছিলো ঈমানের দাবি, মানবতার দাবি।

আসুন, সবাই মিলে রাস্তায় নামি।
ফিলিস্তিনের জন্য, ন্যায়ের জন্য, ইসলামের জন্য।

ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানোর সময় এখনই!

গাজার মাটি আজ রক্তাক্ত। নিরপরাধ নারী, শিশু ও বয়স্কদের উপর ইসরাইল যে বর্বরোচিত, অমানবিক আগ্রাসন চালাচ্ছে, তা শুধু একটি জাতির বিরুদ্ধে নয় — এটি মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ!

এই নির্মম হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে আমরা চুপ থাকতে পারি না। তাই আসুন, আমরা একত্র হই, প্রতিবাদে কণ্ঠ মিলাই, এবং বিশ্বকে জানিয়ে দিই — আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে, আমরা মানবতার পক্ষে!

শেয়ার করুন, যোগ দিন, প্রতিবাদ করুন।


#ফিলিস্তিন_জিন্দাবাদ

এর পরিচয় বের করা হোক
08/04/2025

এর পরিচয় বের করা হোক

08/04/2025

Address

Sylhet

Opening Hours

Monday 09:00 - 17:00
Tuesday 09:00 - 17:00
Wednesday 09:00 - 17:00
Thursday 09:00 - 17:00
Sunday 09:00 - 17:00

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Eleven Club - এলিভেন ক্লাব posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share