23/09/2025
পিআর পদ্দতিতে নির্বাচনে বিএনপির না কেনো?
-হোসাইন আহমেদ জাহিদ
প্রথমত, পি আর পদ্দতিতে রির্বাচন করলে বিএনপি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে, কারন , বিএনপি ভাই বেইজ্ড রাজনৈতিক দল। প্রত্যেকটা এলাকায় দেখবেন বিএনপির রাজনৈতিক কর্মীরা বিভিন্ন ভাইকে তাদের রাজনৈতিক অবিভাবক মনে করে। অমুক ভাইযের কর্মী তমুক ভাইয়ের কর্মী সবাই, সরাসরী বিএনপি কর্মী বিএনপিতে নাই বল্লেই সারে। ফলে পিআর পদ্দতিতে নির্বাচন হলে ভাই হয়ে উঠার রাস্থা বন্ধ। কারন দল কোন ৩০০ জন সিলেক্ট করবে সেঠা থাকবে অনিশ্চিত , তার পর ৩০০ জনের লিস্টে নাম চলে গেলেও যেহেতু পার্সেন্টিজ অনুষারে আসন পাবে সেহেতু ৩০০ জনের মধ্যে কতজন সংসদ সদস্য হচ্ছেন সেঠাও অনিশ্চিত। ফলে ভাই অনিশ্চয়তার মধ্যে থেকে তার কর্মী বাহিনীর জন্য টাকা খরচ করবেনা। প্রোগ্রামে নিতে বাস পাঠাবেনা, কিংবা বিরিয়ানির আয়োজন করবেনা নিজ খরচে। ফলে দেখা যাবে বিএনপির প্রোগ্রামগুলো লোকশূন্য , মিছিলে লোক নাই। নিজ খরচে বিএনপি করবে কিন্তু বিনিময়ে কিছু পাবেনা সেই লোক বিএনপিতে অতি নগন্য। অনন্ত জলিলের খোজ দ্যা সার্চ করেও পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ।
দ্বিতীয়ত , পিআরে নির্বাচন হলে আমার আসনের এমপি বিএনপির হবে, নাকি জামায়াতের হবে, নাকি অন্য দলের হবে সেঠা থাকবে অনিশ্চিত। দেখাগেলো রাজশাহীর কোনো জামায়াত নেতা এম্পি হয়েছেন সিলেট ০৩ আসনের। বিএনপির রাজনীতি যেহেতু চলে চাঁদা তুলে, এবং ভাইদের অর্থায়নে সেহেতু অন্য এলাকার সঙসদ সদস্য হলে তাকে দিয়ে চাঁদাবাজি করতে সুবিধা হবেনা। কারন ঐ এমপি কেনইবা চাঁদাবাজি করতে সাহায্য করবে দিন শেষে এই কর্মীরা তার কোনো কাজেই আসবেনা পরবর্তী নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য। ফলে দেখা যাবে বিএনপি স্থানীয় ভাবে বিশাল আর্থিক সমস্যায় পড়বে, স্থানীয় দলীও কর্মকান্ড একদম স্থবির হয়ে যাবে, এজ আই মেনশন এ্যার্লি, বিএনপিতে নিজের টাকা খরচ করে রাজনীতি করার লোক খুবি নগন্য, খরচ তখরি করে যখন দেখে সে ভাই হয়ে উটতে পারতেছে কিংবা দলের কোনো পোষ্ট পাচ্ছে। সাধারন কর্মীরা নিজের টাকা খরচ করে দলের জন্য একটা প্রোগ্রামের আয়োজন বিএনপিতে কয়জন করবে সেটা বলা বাহুল্য।
এছাড়াও, বিএনপি মরে করতেছে তারা বড় দল, এখন নির্বাচন হলে তারা ২০০+ আসনের মেনডেট নিয়ে ক্ষমতায় চলে যাবে, সেক্ষেত্রে পিআর হলে তারা একক ভাবে ক্ষমতায় নাও যেতে পারে সেই ভয় কাজ করতেছে তাদের ভিতর। সেক্ষেত্রে যদি অন্য কারো কাধে ভর দিয়ে ক্ষমতায় যায় তখন যাদের কাধে ভর করে ক্ষমতায় যাবে তাদের সকল দাবী মেনে চলতে হবে, একটু উনিশ বিশ হলে কাধ থেকে হাত সরাই নিবে। ফলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মত মধ্যখানেই হারাতে হবে প্রধানমন্ত্রীত্ব। যদি প্রধানমন্ত্রী হারিযে ফেলে, তখন দেখা যাবে তাদের সকল দুর্নীতি সামনে চলে আসবে, বিচারের কাটগড়ায় দাড়াতে হবে সেইম টাইম।
সুতরাং পিআরের সব গুলো বিষয় বাংলাদেশের উন্নতি সাধিত করলেও দল হিসেবে বিএনপির মত ভাই ভিত্তিক দলের সারবাইব করা কঠিন হয়ে পড়বে।
আপনি কোন পক্ষে?
বাংলাদেশ নাকি বিএনপি?