
10/03/2025
ইফতারের বাকি আর মাত্র দশ মিনিট। রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম। আজ আর বাসায় গিয়ে ইফতার করা সম্ভব হবে না, গাড়িতেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রস্তুতি বলতে পানির বোতল হাতে নিয়ে আজানের অপেক্ষা। হঠাৎ জানালা দিয়ে বাইরে চোখ গেল। দেখি মোটর সাইকেলের পিছনে বসে এক মেয়ে একহাত দিয়ে সামনের ছেলেটাকে জড়িয়ে ধরে বসে আছে। এটা ব্যাপার না, ব্যাপার হইল আরেকহাতে সে ধুমসে সিগারেট টানতেছে।
রোজার মাস, ব্যাস্ত রাস্তা, তা-ও আবার ইফতারের আগমুহূর্তে। এমন একটা সময়ে এরকম দৃশ্য দেখে আশেপাশের অনেক লোকেরই দেখলাম চক্ষু কপালে। কিন্তু ওদের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। এরইমধ্যে বয়স্ক এক লোক সম্ভবত কাছে গিয়ে কিছু একটা বলার চেষ্টা করল। বয়স্ক লোকটা তার সাথে যখন কথা বলছিল আমার মনে হলো মেয়েটা তখন ইচ্ছে করেই ধোঁয়ার কুন্ডলি পাকিয়ে লোকটার মুখের সামনে ছাড়ছে। মেয়েটা ধমকের সুরে কিছু বলায় বয়স্ক লোকটা ফিরে এসে নিজের রিক্সায় বসলেন।
গাড়ি এখন ধীরগতিতে চলছে। কিছুক্ষণ পর মাগরিবের আজান হলো। আশেপাশের সবাই ইফতার করছে ভাগযোগ করে, যার কাছে যা আছে। হাতে থাকা বোতল থেকে একঢোক পানি খেলাম। জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি সেই মেয়েটাই আবারও গাড়ির পাশে এসে থামল। আজানের সঙ্গে সঙ্গে খুব কায়দা করে আরেকটা সিগারেট ধরাল। ভাবখানা এমন যে সে-ও ইফতার করছে সবার মত।
আমি যে পাক্কা ঈমানদার তা না। কিন্তু এরকম দৃশ্য দেখলে মনে হয় ঠাটায়া যদি দুইটা থাপ্পর দিতে পারতাম, শান্তি পাইতাম। কিন্তু ভদ্রলোক যে!
©️