Sunnah TV- সুন্নাহ টিভি

Sunnah TV- সুন্নাহ টিভি ইসলাম প্রচারের বিশ্বস্থ মিডিয়া (আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াত)

16/01/2025
হুসাইনিয়া ছাত্র সংসদের 'মাদরাসায় উচ্চশিক্ষা সংকট ও সম্ভাবনা' শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিতমাদরাসা রাষ্ট্রের জন্য নৈতিক মূল্যবো...
17/11/2024

হুসাইনিয়া ছাত্র সংসদের 'মাদরাসায় উচ্চশিক্ষা সংকট ও সম্ভাবনা' শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

মাদরাসা রাষ্ট্রের জন্য নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন দক্ষ ও সুনাগরিক তৈরি করছে -মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী ফুলতলী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী ফুলতলী বলেন বর্তমানে মাদরাসা উচ্চশিক্ষায় অসংখ্য সংকট রয়েছে, তন্মধ্যে প্রধান সংকট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠ বিমুখতা, পূর্বের ন্যায় ছাত্ররা শ্রেণীকক্ষে উপস্থিত না হওয়া। তবে মাদরাসাগুলো সমাজ ও দেশের জন্য এখনো নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন দক্ষ ও সুনাগরিক তৈরি করছে। মাদরাসায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে কেউ দুর্নীতি পরায়ণ হয়েছে এমন নজীর নেই। এই উপমহাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থার উত্থান হয়েছে মাদরাসা শিক্ষার মাধ্যমে, পরবর্তীতে বৃটিশরা এদেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় বিভাজন তৈরি করছে যা এখনো চলমান রয়েছে। কয়েকটি শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে পরিচালিত দেশে একক একটি শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া সম্ভব নয়, আর শাসক দল ইসলামি ভাবধারার না হলে তা খুবই কঠিন। তবে পরিবার থেকে নিয়ে সব জায়গায় ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে পারলে সমূহ সমস্যার সমাধান সম্ভব। তিনি বলেন, মাদরাসায় উচ্চশিক্ষা সংকটের জন্য মাদরাসা শিক্ষকরা প্রথমে এগিয়ে আসতে হবে, ছাত্রদের ক্লাসমূখী করতে হবে। গবেষণালব্ধ জ্ঞান আহরণের সুযোগ করে দিতে হবে, মাদরাসা মৌলিকত্ব ঠিক রেখে সিলেবাস সংযোজন বিয়োজন করতে হবে। তিনি গতকাল ১৬ নভেম্বর, শনিবার বাদ যোহর, প্রাচীনতম দ্বীনী দরসগাহ ঐতিহ্যবাহী সৎপুর দারুল হাদিস কামিল মাদরাসার কনফারেন্স হলে হুসাইনিয়া ছাত্র সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত 'মাদরাসায় উচ্চশিক্ষা সংকট ও সম্ভাবনা' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরিউক্ত কথাগুলো বলেন।

মাদরাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা মো. ছালেহ আহমদ বেতকোণীর সভাপতিত্বে ও হুসাইনিয়া ছাত্র সংসদের জিএস মুহাম্মদ ইউসুফ খানের সঞ্চালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন হযরত শাহজালাল দারুসসুন্নাহ ইয়াকুবিয়া কামিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা আবু সালেহ মোহাম্মদ কুতবুল আলম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৎপুর দারুল হাদিস কামিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা রশিদ আহমদ চৌধুরী, মুহাদ্দিস মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল বাছিত, মাওলানা মো. গোলাম মওলা, সহকারী অধ্যাপক (বাংলা) আলীনূর হোসেন বিপ্লব, এলাহাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা হরমুজ আলী, লতিফিয়া হিফযুল কুরআন মাদরাসা সিলেটের পরিচালক মাওলানা নজির আহমদ হেলাল, ফুলতলী আইডিয়াল একাডেমি ঢাকার পরিচালক মাওলানা শাহীদ আহমদ। শাহ সূফি মুজাম্মিল আলী (রহ.) দাখিল মাদরাসার সহ-সুপার মাওলানা ছাদিকুর রহমান অলংকারী, ফতেহপুর কামিল মাদরাসার প্রভাষক (আরবি) মাওলানা মো. মকবুল হোসাইন।

সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সহ-অফিস সম্পাদক মোসলেহ উদ্দিন কাওছার, সহ-শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক উবায়দুর রহমান শাহান, সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা জামাল উদ্দিন, মাওলানা শামীম আহমদ, মাওলানা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, ইবি. শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ আলী, হুসাইনিয়া ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মুহাম্মদ দিলোয়ার হোসাইন, মো. আব্দুল হান্নান, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদরুল ইসলাম, বিশ্বনাথ (উত্তর) উপজেলা তালামীযের সাবেক সভাপতি মো. শাহীনূর আমীন, সাবেক শিক্ষার্থী মাওলানা আব্দুর রহমান, দারুল হিফজ সৎপুরের শিক্ষক সাজ্জাদ আহমদ, লামাকাজী বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইকবাল আহমদ, সিলেট পশ্চিম জেলা তালামীযের সহ-অফিস সম্পাদক বায়েজীদ আহমদ, হুসাইনিয়া ছাত্র সংসদের ভিপি আব্দুল মুকিত জুমান, এজিএস ইমরান আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাকদ জহুর উদ্দিন, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক লায়েক মিয়া সোহাগ, মো. গিয়াস উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক লায়েক আহমদ, প্রচার সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সহ- প্রচার সম্পাদক মাহবুবুর রহমান জুবায়ের, ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক হাফিজ মোস্তাক আহমদসহ হুসাইনিয়া ছাত্র সংসদ ও তালামীযে ইসলামিয়ার দায়িত্বশীলবৃন্দ।

দারুল হাদিসের মুবারক আয়োজন সফল হউক।
20/10/2024

দারুল হাদিসের মুবারক আয়োজন সফল হউক।

24/05/2024

শায়খুল হাদিস আল্লামা ছালিক রাহিমাহুল্লাহ’র হৃদয়গ্রাহী বয়ান। শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।

04/02/2024

সৎপুর দারুল হাদিস কামিল মাদরাসা ❤️

শায়খুল হাদীস হযরত আল্লামা মো. ছালিক আহমদ (র.) -এর ঈসালে সাওয়াব মাহফিল অনুষ্ঠিতসৎপুর দারুল হাদীস কামিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ...
24/06/2023

শায়খুল হাদীস হযরত আল্লামা মো. ছালিক আহমদ (র.) -এর ঈসালে সাওয়াব মাহফিল অনুষ্ঠিত

সৎপুর দারুল হাদীস কামিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ শায়খুল হাদীস হযরত আল্লামা মো. ছালিক আহমদ (র.) -এর ২য় ইন্তেকাল বার্ষিকী উপলক্ষে ঈসালে সাওয়াব মাহফিল আজ ২৪ জুন, ২০২৩ শনিবার তাঁর নিজ বাড়ী সংলগ্ন জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল ১০ টায় খতমে কুরআন শরীফ, খতমে বুখারী শরীফ, খতমে দালায়েলুল খায়রাত শরীফের মাধ্যমে মাহফিল শুরু হয়।
ভুরকী হাবিবিয়া হাফিযিয়া দাখিল মাদরাসার বড় হুজুর আলহাজ্জ হাফিয আব্দুস শহীদ ছাহেব এর সভাপতিত্বে মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদরাসার (অব.) অধ্যক্ষ শায়খুল কুররা ওয়াল মুহাদ্দিসীন হযরত আল্লামা নজমুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন ইয়াকুবিয়া হিফজুল কুরআন বোর্ডের সেক্রেটারি হযরত হাফিয মাওলানা ফখরুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী, বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর মহাসচিব মাওলানা এ. কে. এম. মনোওর আলী, সৎপুর দারুল হাদিস কামিল মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হযরত আল্লামা শফিকুর রহমান, বর্তমান অধ্যক্ষ হযরত মাওলানা আবু জাফর মুহাম্মদ নুমান, চান্দাইরপাড়া সুন্নিয়া হাফিজিয়া ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ছরওয়ারে জাহান, সৎপুর দারুল হাদিস কামিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা ছালেহ আহমদ বেতকোনী, বাংলা জাতীয় মাসিক পরওয়ানার সম্পাদক মাওলানা রেদ্বওয়ান আহমদ চৌধুরী, রাখালগঞ্জ সিনিয়র ফাযিল ডিগ্রী মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহবুবুর রহমান ফরহাদ, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফিয মাওলানা নজীর আহমদ হেলাল, রাখালগঞ্জ সিনিয়র ফাযিল ডিগ্রী মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শিহাব উদ্দিন আলীপুরী, সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা হাবিবুর রহমান, সৎপুর দারুল হাদিস কামিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা রশিদ আহমদ চৌধুরী, সুনামগঞ্জ দ্বীনি সিনিয়র মাদরাসার প্রভাষক মাওলানা আবু তাহির মো. খালিদ।

দিনব্যাপী মাহফিলে মাওলানা আলী আছগর খান, মাওলানা ছাদিকুর রহমান অলংকারী, কারী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও হুজুরের বড় ছেলে মাওলানা হুসাইন আহমদ মাসরূর এর যৌথ পরিচালনায় শুরুতে কালামে পাক থেকে তিলাওয়াত করেন মাওলানা শামীম আহমদ।

প্রথম অধিবেশনে লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়ার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন গোবিন্দগঞ্জ ফাযিল মাদরাসার প্রভাষক মাওলানা আব্দুল আজিজ, কালারুকা লতিফিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা মাহবুবুর রহমান তাজুল, সহ সুপার মাওলানা আজিজুর রহমান ধনপুরী, শাহ সুফি মুজাম্মিল আলী দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা মুফতি আবাদুস সালাম, নোয়াগাঁও হাফিজিয়া মাদরাসার পরিচালক হাফিজ নূর মুহাম্মদ তালুকদার, আটঘর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা হায়াতুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল করিম ফারুকী, ভূরকী হাবিবিয়া হাফিজিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা শফিকুর রহমান সিরাজী, মাওলানা আবু জাফর মো. আমিমুল ইহসান, সৎপুর দারুল হাদিস কামিল মাদরাসার খণ্ডকালীন শিক্ষক মাওলানা নিজাম উদ্দীন, ভূরকী জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা ছালেহ আহমদ, হুসাইনিয়া ছাত্র সংসদের সহ সাধারন সম্পাদক ইমরান আহমদ।
মাহফিলে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৎপুর দারুল হাদীস কামিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ মুনির উদ্দীন, মুহাদ্দিস মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল বাছিত, এলাহাবাদ আলিম মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মো. হরমুজ আলী, কুরুয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আখতার আলী, আক্তাপারা আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ময়নুল হক, ছাতক জালালিয়া ফাযিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সহ-অফিস সম্পাদক মারুফ আহমদ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক কবির আহমদ,স্কুল ও কলেজ বিষয়ক সম্পাদক রেদওয়ান রাশেদ, সিলেট পশ্চিম জেলা সভাপতি কুতুব আল ফরহাদ।

মতিনিয়া - শহিদিয়া হুফফাযুল কুরআন বোর্ডের সেক্রেটারি হুসাইন মোহাম্মদ আরজ আলী, গাবুরগাঁও দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা মো. কামরুজ্জামান, টিভি গেইট মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা সৈয়দ কুতুবুল আলম, জাহিদপুর দাখিল মাদরাসার সহ-সুপার মাওলানা মুখতার আহমদ, নূতন বাজার দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা আবু তয়্যিব মো. শামছুদ্দীন, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার সিলেট পশ্চিম জেলা সহ সভাপতি রেজাউল করিম, সুনামগঞ্জ জেলা সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহ সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ আল আমীন, সিলেট পশ্চিম জেলার প্রচার সম্পাদক শেখ বেলাল আহমদ, সদস্য মুহাম্মদ ইউসুফ খান, সিলেট সদর পূর্ব উপজেলা সভাপতি হাফিজ আলমগীর, বিশ্বনাথ উত্তর উপজেলা সাধারন সম্পাদক হাফিয নুরুল ইসলাম, সৎপুর কামিল মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা মিছবাহুদ্দীন, মাওলানা জামাল উদ্দীন, সুফিনগর দাখিল মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল লতিফ, হাফিজ মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মাওলানা মুহি উদ্দিন মিসবাহ, সীচনী হাফিযিয়া মাদরাসার প্রধান শিক্ষক হাফিজ শাহজাহান, হুসাইনিয়া ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মাওলানা কয়েছ আহমদ, মাওলানা মুহাম্মদ দিলোয়ার হোসাইন, বর্তমান ভিপি মো. আব্দুল হান্নান, সাবেক জিএস মাওলানা আব্দুল কাইয়্যুম সিদ্দীকী, বর্তমান জিএস মো. আব্দুল মুকিত জুমান।

ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন, রিসালাহ'র কিশোর পরিচালক মারজান মোহাম্মাদ রুহি, সিনিয়র সদস্য মাহবুবুর রহমান জুবায়ের।

ইন্না ইল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন! প্রখ্যাত মুবাল্লিগ, আন্তর্জাতিক মুফাসসিরে কুরআন হযরত মাওলানা আবু ত্যায়িব সৎপুরী অ...
21/02/2023

ইন্না ইল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন! প্রখ্যাত মুবাল্লিগ, আন্তর্জাতিক মুফাসসিরে কুরআন হযরত মাওলানা আবু ত্যায়িব সৎপুরী অল্প কিছুক্ষণ পূর্বে ইন্তেকাল করেছেন।

জানাজার নামজা আজ রাত ৮.৩০ মিনিটে সৎপুর দারুল হাদিস কামিল মাদরাসা, লামাকাজী, বিশ্বনাথ, সিলেট এ অনুষ্ঠিত হবে।

মহান আল্লাহ তাআলা দ্বীনের এ খাদিমকে জান্নাতের বাসিন্দা করুন। আমিন।

অধ্যক্ষ মাওলানা শফিকুর রহমান অসুস্থ, ক্লিনিকে ভর্তিসিলেট বিভাগের প্রাচীনতম দ্বীনী প্রতিষ্ঠান সৎপুর দারুল হাদিস কামিল মাদ...
19/08/2022

অধ্যক্ষ মাওলানা শফিকুর রহমান অসুস্থ, ক্লিনিকে ভর্তি

সিলেট বিভাগের প্রাচীনতম দ্বীনী প্রতিষ্ঠান সৎপুর দারুল হাদিস কামিল মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, হাজারো আলেমের শিরতাজ মাওলানা মো. শফিকুর রহমান- পাকিছিরি হুজুর অসুস্থ হয়ে সিলেট মাউন্ট এডোরা ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছেন।

প্রিয় অধ্যক্ষ হুজুরের সুস্থতার জন্য দু’আর গুজারিশ।

ছাত্র শিক্ষকের ভালবাসা, শিক্ষকের প্রতি ছাত্রের শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন, এমন কিছুতে হৃদয়ে শান্তি অনুভূত হয়। উপমহাদেশের ...
01/07/2022

ছাত্র শিক্ষকের ভালবাসা, শিক্ষকের প্রতি ছাত্রের শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন, এমন কিছুতে হৃদয়ে শান্তি অনুভূত হয়।

উপমহাদেশের হাদিস জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র হযরত আল্লামা হবিবুর রহমান (রহ.)’র হাতে চুমু দিচ্ছ্ন পশ্চিম সিলেটের দ্বীনী প্রতিষ্ঠান সৎপুর দারুল হাদিস কামিল মাদরাসার ৩ যুগের অধ্যক্ষ (অবসরপ্রাপ্ত) হযরত মাওলানা শফিকুর রহমান ছাহেব হাফিজাহুল্লাহ।

বিশ্বনবীর বহু বিবাহ প্রসঙ্গ- মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল বাছিতপ্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পবি...
10/06/2022

বিশ্বনবীর বহু বিবাহ প্রসঙ্গ
- মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল বাছিত

প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পবিত্র বিবিগণ মুসলমানদের মাতা হিসাবে খ্যাত। এই জন্য তাদেরকে উম্মাহাতুল মুমিনীন বলা হয়। তাদের তুলনা বা মর্যাদা দুনিয়ার কারো সাথে নেই। তাঁদের কাউকে নবীজির ইন্তেকালের পর বিবাহ করা হারাম করা হয়েছে । কারণ তারা উম্মতের মুমিন জননী । নবীজির বহুবিবাহ সম্পর্কে ঈমান ইয়াকিনের সাথে জানতে হলে আল্লাহ পাকের অনেক নিগূঢ় রহস্য এবং নবীজির দয়া ভালোবাসা ও উন্নত চরিত্রের আত্মপ্রকাশ লাভ হবে। অন্যথায় ঈমান হারানোর সম্ভাবনা-ই বেশি। মুসলমান পুরুষের বিবাহের কারণে নফছে আম্মারা দমন, মানসিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণ, গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা সহ অনেক ফায়দা হাসিল করা হয়, কিন্তু নবীর বেলায় তার বিপরীত, বিধর্মীদের মধ্যে দান্তে, মারগোলিয়াত, লামসেন্স, সানপ্রেড্রোসহ পাশ্চাত্বের এ সকল পরিচিতজনদের অনেকেই রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বহু বিবাহের জন্য অভিযুক্ত করেছেন এবং মিথ্যা মনগড়া অভিমত দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু নবীজির একাধিক বিবাহে রয়েছে আল্লাহর হুকুম পালন উম্মতকে শিক্ষা দেয়া । বস্তুতঃ রাসূলের বিবাহ মানবীয় চাহিদার জন্য ছিল না, বরং ছিল তাঁর মধুর চরিত্র, দয়া-মায়া, উদারতা, ধৈর্য-সহ্য, শিষ্টাচারিতা, মহত্ব এবং নবুয়তের চমৎকার নিদর্শন। নিম্নে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

প্রথম বিবাহঃ নবীজী প্রথম বিবাহ করেন হযরত খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহাকে । রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ২৫ বছর বয়সে ৪০ বছরের মধ্যম বয়স্কা এক রমণীকে বিবাহ করার মূলে আল্লাাহর হুকুম ও নবীর মুজেজা প্রকাশ করা । কারণ হযরত খাদিজা (রাদ্বি.) এর একটি বর্ণনা আছে যে, তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবার পর নবীজীর সান্নিধ্যে এসে যেন একজন যুবতীর ন্যায় জীবন কাটিয়েছেন। হযরত খাদিজাতুল কোবরা (রাদ্বি.) নবীজীর সাথে তৃতীয় ও শেষবারের মত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং পূর্বের বিবাহে তাঁর সন্তানও ছিল । তিনি নবুওত লাভের পূর্বে পনের বছরসহ হিজরতের পূর্ববর্তী তিন বছর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পত্নী হিসেবে জীবিত ছিলেন। ৬৫ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন । তিনিই একমাত্র মক্কা শরীফে জান্নাতুল মুআল্লায় সমাহিত।

দ্বিতীয় বিবাহঃ হযরত খাদিজাতুল কোবরা (রাদ্বি.) এর ইন্তেকালের পর পারিবারিক পর্যায়ে নবীজির জীবনে এসেছিল এক মহাদূর্যোগ। ইতিহাসে যাকে আমুল হুযন বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কারণ হযরত খাদিজা (রাদ্বি.) ঔরষেই তার সন্তানাদির জন্ম হয়। আর সন্তানাদি মহিলাদের দ্বারাই লালিত পালিত হয়ে থাকেন। নবীজির এসব অবস্থা দেখে হযরত উসমান ইবনে মাযউন (রাদ্বি.) এর স্ত্রী হযরত খাওলা বিনতে হাকিমের অনুরোধে হযরত সাওদা বিনতে যামআ (রাদ্বি.) নামী ৭০ বছর বয়স্কা এক বৃদ্ধা বিধবাকে বিবাহ করেন । ৫৫ হিজরী সালে তিনি ইন্তেকাল করেন।

তৃতীয় বিবাহঃ হযরত সাওদা বিনতে যামআ (রাদ্বি.) জীবিত থাকাবস্থায় হযরত আয়শা (রাখি.) কে নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিবাহ করেন। তখন তার বয়স ছিল ৬/৭ বছর। ৯ বছর বয়সে তাঁর রসুমাত হয়। তিনি ছিলেন হযরত আবু বকর (রাদি.) এর কুমারী কন্যা। আল্লাহ পাক রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হযরত আয়শাকে বিবাহ করার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বপ্নে দেখলেন যে ফিরিশতা হযরত জিব্রাইল (আ:) রেশমের চাদরে আবৃত একটি বস্তু তার সামনে হাজির করলেন এবং বললেন এ বস্তু আপনার । নবীজি চাদর খুলে হযরত আয়শা (রাদ্বি.) কে পেলেন । উল্লেখ্য যে, নবীদের স্বপ্ন সত্য ওহীর সমতুল্য। সুতরাং এ বিবাহ ওহীর দ্বারা পরিচালিত। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তেকালের সময় তার বয়স ছিলো আঠারো বছর। ৫৮ হিজরী সালে তিনি ইন্তেকাল করেন ।

চতুর্থ বিবাহ: রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চতুর্থ বিবাহ হয় হযরত ওমর (রাদ্বি.) এর কন্যা হযরত হাফছা (রাদ্বি.) এর সাথে । হযরত হাফছা (রাদ্বি.) এর স্বামী বদর যুদ্ধে শহীদ হওয়ার পর দ্বিতীয় বিবাহ দেয়ার জন্য ওমর (রাদ্বি.) কয়েকজন সাহাবীকে বিবাহ করার জন্য প্রস্তাব দেন । কেউ সাড়া না দিলে তখন অশান্তির মতো নবীজির সামনে এসে হাজির হলে নবীজি তাকে সান্ত্বনা দেন এবং হযরত হাফসা (রাদ্বি.) কে শাদী করেন । এতে নবীজীর দয়ার পরিচয় ঘটে। ৫৪ হিজরী সালে তিনি ইন্তেকাল করেন ।

পঞ্চম বিবাহ: রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পঞ্চম বিবাহ হয় হযরত যয়নব বিনতে খোযায়মা উম্মুল মাসাকিম (রাদ্বি.) এর সাথে । তাঁর স্বামী উহুদ যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করলে যয়নব বিনতে খোযায়মা একেবারে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন । ফলে একমাত্র আশ্রয়দাতা হিসেবে কেহ না থাকায় নবীজি তাঁকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেন । এতে একমাত্র আশ্রয় দেয়াই মূল উদ্দেশ্য ছিল ।

ষষ্ঠ বিবাহ: হযরত হাফছা (রাদ্বি.) যখন বিবাহের কয়েক মাস পরে ইন্তেকাল করেন, তখন নবীজি উম্মে সালমা হিন্দ বিনতে উমাইয়া (রাদ্বি.) কে বিবাহ করেন । তাঁর প্রথম স্বামী চাচাত ভাই আব্দুল্লাহ আবু সালমা ওহুদের যুদ্ধে আহত হয়ে শাহাদাত বরণ করেন। স্বামীর ইন্তেকাল উম্মে সালমা (রাঃ) জীবনের চরম দুঃখ ও কষ্টের মধ্যে পড়েন । তাছাড়া উম্মে সালমার স্বামী নবীজির চাচাতো ও দুধ ভাই । এদিকে এতিম সন্তানদের রক্ষণাবেক্ষণ সহ সার্বিক দিক দিয়ে নবীজি হযরত উম্মে সালমা (রাঃ) কে বিবাহ করেন । মূলত এ বিবাহ নবীজির সহানুভূতির পরিচয় বহন করে । তিনি ৬২ হিজরীতে এবং এক বর্ণনা মতে উম্মুল মুমিনীনগণের মধ্যে সর্বশেষ ইন্তেকাল করেন।

সপ্তম বিবাহ: রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনে সপ্তম বিবাহ হয় আপন ফুফাত বোন হযরত যয়নব বিনতু জাহাশ এর সাথে । হযরত যয়নব বিনতে জাহাশ এর প্রথম বিবাহ হয় নবীজীর আযাদকৃত গোলাম ও পালকপুত্র যায়েদ বিন হারিছার সাথে । এ বিবাহ নবীজির নির্দেশে হলেও তাদের দুজনের মনের মিল হয়নি। এতে এক পর্যায়ে যায়েদ বিন হারিছা যয়নব বিনতে জাহাশকে তালাক দেন। এরপর নবীজি তাঁকে বিবাহ করেন। এ বিবাহের মূল কারণ ছিল জাহেলী যুগের প্রথা ছিল পালকপুত্র আপন পুত্রের সমতুল্য । তাই পালকপুত্রের তালাকপ্রাপ্তা বা বিধবা স্ত্রীকে বিবাহ করা হারাম। নবীজি এ বিবাহ করে এ ভুল চিরতরে ভেঙ্গে দিলেন। তিনি ২০ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন।

অষ্টম বিবাহ: নবীজির অষ্টম বিবাহ সংঘটিত হয় বনু মুসতালিক গোত্রের হযরত জুওয়াইরিয়া বিনতে হারিছ (রাদ্বি.) এর সাথে। এ মহিয়শীর প্রথম বিবাহ হয়েছিল মুসাফ ইবনে সাফওয়ান মুসতালিকের সাথে। পঞ্চম হিজরীতে সংঘটিত বনু মুসতালিক যুদ্ধে স্বীয় গোত্রের অন্যান্যদের সাথে যুদ্ধবন্দী হিসেবে মদীনা শরীফে আসেন । যুদ্ধলব্দ মালের অংশ হিসেবে তিনি ছাবিত বিন কায়েসের ভাগে পড়েন । এদিকে যেহেতু তিনি সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে তাই দাসীর জীবন থেকে বাঁচার জন্য টাকার পরিবর্তে মুক্তি পাওয়ার অনুমতি ছাবিত বিন কায়েসের কাছ থেকে পেলে এ টাকা নবীজির কাছ থেকে নিতে চাইলে নবীজি উহা দান করেন এবং পর্যায়ক্রমে তাকে বিবাহ করেন। অপরদিকে নবীজির সাথে নেতার মেয়ের বিবাহ হওয়ার ঘটনা শুনামাত্র বনি মুসতালিক গোত্রের যুদ্ধ বন্দীদেরকে মুসলমানগণ মুক্ত করে দেন এবং তারা সবাই মুসলমান হলেন । এ বিবাহ হওয়ার পেছনে ইসলাম ধর্মের একটি মাইলফলক রচিত হয়েছিল । ৫৬ হিজরীতে তিনি ইন্তেকাল করেন ।

নবম বিবাহ: নবীজির নবম বিবাহ হয় উম্মে হাবীবা বিনতে আবি সুফিয়ান (রাদ্বি.) এর সাথে। উম্মে হাবিবার প্রথম বিবাহ হয় উম্মুল মুমিনীন যয়নব বিনতে জাহাশের ভাই উবায়দুল্লাহর সাথে । উম্মে হাবীবার স্বামী মুসলমান হিসেবে হাবশায় (আবিসিনিয়া) হিজরত করেন এবং ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে মুরতাদ (নাসারা) হয়ে যায় । হাবশায় অবস্থানকালে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে তার শাদী হয় । হাবশার বাদশা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পক্ষে তাঁর মোহর পরিশোধ করেন । পরিমাণ ছিল চার হাজার দিনার। আর হযরত উসমান বিন আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু নবীজির পক্ষে এ বিয়েতে দায়িত্বশীল ছিলেন। আবু সুফিয়ান ছিলেন ইসলামের প্রাথমিক যুগে চিরশত্রু কিন্তু নবীজির এ মুবারক বিবাহ হওয়ায় উম্মে হাবিবার পিতা মেয়ের জামাই তথা নবীজির প্রতি গভীর আন্তরিকতা সৃষ্টি হয় এক পর্যায়ে তিনি নিজেই ইসলাম গ্রহণ করেন । পরবর্তী ক্ষেত্রে ইসলাম ও মুসলমানদের এক বিশেষ শক্তি তথা গৌরবের কারণ হিসেবে দাঁড়ায় নবীজির এ শাদী মুবারক । তিনি ৪৪ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন ।

দশম বিবাহ: নবীজির দশম বিবাহ সংঘটিত হয় হযরত সাফিয়া বিনতে হুওয়াই বিন আখতাব (রাদ্বি.) এর সাথে । তিনি হযরত হারুন (আঃ) এর বংশধর ছিলেন । প্রথম বিবাহ হয় প্রখ্যাত অশ্বারোহী সালাম বিন মাসকাম আল ফারাবীর সাথে। প্রথম স্বামীর তালাকের পর দ্বিতীয় বিবাহ হয় বনি কোরায়যার এক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির কিনানা বিন আকিলের সাথে । ৭ম হিজরীতে খায়বার যুদ্ধে কিনানা নিহত হলে যুদ্ধবন্দি হিসেবে তিনি মদীনা আসেন । তখনকার আইন অনুযায়ী তিনি দাসী হিসেবে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে আসেন । নবীজি তাঁকে মুক্ত করে দেন এবং শাদী করেন। তার মুক্তিপন মোহর হিসেবে গণ্য হয় । ৫০/৫২ হিজরীতে তিনি ইন্তেকাল করেন । ইয়াহুদী সম্প্রদায়কে ইসলামের প্রতি অতি আকৃষ্ট করতে ইয়াহুদী নেতা হুওয়াই বিন আখতাবের কন্যা সাফিয়াকে বিবাহ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।

একাদশ বিবাহ: নবীজির একাদশতম ও সর্বশেষ বিবাহ হয় হযরত মায়মুনা (রাঃ) এর সঙ্গে। তাঁর বিবাহ পূর্ব নাম ছিল বাররা। নবীজির সাথে বিবাহের পর তার নাম পরিবর্তন করা হয়। তিনি খালিদ ইবনে ওয়ালিদ এবং হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাদ্বি.) এর খালা ছিলেন। তিনির প্রথম বিবাহ হয় মাসউদ বিন আমন বিন উমরের সাথে। প্রথম স্বামী তালাক দেয়ার পর দ্বিতীয় বিবাহ হয় আবু রুহুম বিন আব্দুল উজ্জার সাথে। দ্বিতীয় স্বামীর মৃত্যুর পর ৭ম হিজরীতে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে তাঁর বিয়ে হয়। ৫১/৫৬ হিজরীতে তিনি ইন্তেকাল করেন। একজন অসহায় মহিলাকে শুধু আশ্রয় দেয়া-ই ছিল এ বিবাহের মূল উদ্দেশ্য। নবীজির একাদশতম বিবাহের পর আর কোন বিবাহের আদেশ তাঁকে দেয়া হয়নি। পবিত্র কুরআনে আছে, হে নবী- এরপর আপনার জন্য কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করা ও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন । আল্লাহ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ নজর রাখেন । (সূরা আহযাব- ৫২)।

প্রিয় নবীর শানে নানা কুরুচিপূর্ণ লেখালেখি করেছে যে, তিনি ছিলেন কামুক, নারীলোভী ইত্যাদি । নাউজুবিল্লাহ । নবীজি যদি কামুক বা নারীলোভী হতেন তাহলে ২৫ বছর বয়সের যুবক হিসেবে ৪০ বছর বয়সের হযরত খাদিজা (রা:) কে বিবাহ করতেন না । নবীজির মোট ১১ জন পবিত্র বিবিগণের মধ্যে ২জনই তার জীবদ্দশায় ইন্তেকাল করেন। বাকি ৯ জনই ওফাত পর্যন্ত জীবিত ছিলেন।
একটি হিসাবে দেখা যায়, নবীজির সাথে উম্মতের মর্দামী শক্তির তফাত, কথা হচ্ছে দুনিয়ার চল্লিশ জন সুঠাম স্বাস্থ্যবান যুবকের সমান একজন বেহেশতী যুবকের মর্দামী শক্তি, আর বেহেশতী ৪০জন যুবকের সমান একজন নবীর মর্দামী শক্তি । সুবহানাল্লাহ অর্থাৎ একজন নবীর মর্দামী শক্তির সমান দুনিয়ার ৪০ X ৪০=১৬০০ (একহাজার ছয়শত) যুবকের মর্দামী শক্তি। অতএব আল্লাহ প্রদত্ত্ব হিসাবে যদি একজন পুরুষ চারজন মহিলাকে স্ত্রী হিসাবে রাখতে পারে তাহলে একহাজার ছয়শত জন যুবকের মর্দামী শক্তির মান প্রাপ্ত নবী ১৬০০x ৪=৬৪০০ (ছয় হাজার চারশত) জন মহিলা স্ত্রী হিসাবে রাখা উচিত ছিল। দেখা যায় নবীজীর মূল্যবান জীবনে এগারো জন স্ত্রী ছিলেন, এতে মাত্র একজন কুমারী আর বাকী সব বিবাহিতা । জীবিত হিসাবে ৬৪০০ জনের স্থানে মাত্র নয় জন থাকা উচিত হিসাব মতে ৬৪০০-৯=৬৩৯১জন কম হয়েছে । এতে প্রমাণ হয় নবীর জীবন কত পূতঃপবিত্র ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না ।
তাই নবীজীর বহু বিবাহকে যদি জৈবিক সম্ভোগ স্পীহার ফলশ্রুতী বলিয়া আখ্যায়িত করা হয় তাহলে ইহা হবে অত্যন্ত অশালীন ও সত্যঘাতী বিষয়।অন্যায় প্রীতি যদি কারো বুদ্ধি ও বিবেককে অন্ধ করে না দিয়ে থাকে তাহলে কোন কাফেরও এমনটি বলতে পারবে না ।

তথ্যসূত্র: ১. সিরাতে খাতিমূল আম্বিয়া- মুফতি মুহাম্মদ শফী ২. প্রিয় নবীর বিবিগণ - হাফিজ মাওলানা জাকারিয়া ৩. সুবহে সাদিক ২০১৭

মুহাদ্দিস- সৎপুর দারুল হাদিস কামিল মাদরাসা।

সফল হউক
08/06/2022

সফল হউক

মাস্টার রইছ উদ্দীন (রহ.)’র ইসালে সাওয়াব ও কামিল পরীক্ষার্থীদের দুআ মাহফিল অনুষ্ঠিতসিলেট বিভাগের প্রাচীনতম দ্বীনী প্রতিষ্...
12/05/2022

মাস্টার রইছ উদ্দীন (রহ.)’র ইসালে সাওয়াব ও কামিল পরীক্ষার্থীদের দুআ মাহফিল অনুষ্ঠিত

সিলেট বিভাগের প্রাচীনতম দ্বীনী প্রতিষ্ঠান সৎপুর দারুল হাদিস কামিল মাদরাসা গভর্নিংবডির প্রায় ৩ যুগের সহ-সভাপতি, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক সদ্য প্রয়াত জনাব মাস্টার রইছ উদ্দীন (রহ.)’র ঈসালে সাওয়াব ও কামিল ১ম পর্ব ও শেষ পর্ব পরীক্ষার্থীদের দুআ মাহফিল আজ ১২ মে ২০২২ ইংরেজি বৃহস্পতিবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় মাদরাসা কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সৎপুর দারুল হাদিস কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফর মুহাম্মদ নুমানের সভাপতিত্বে ও কামিল শেষ পর্ব পরীক্ষার্থী ও ছাত্র সংসদের ভিপি মুহাম্মদ আলমগীর হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ মাওলানা ছালেহ আহমদ বেতকোনী, সহকারি অধ্যাপক মাওলানা রশিদ আহমদ চৌধুরী, মাওলানা মোহাম্মদ মুনির উদ্দীন, বাংলা প্রভাষক আলী নুর হোসেন বিপ্লব, সহকারি মৌলভী মাওলানা আ.জ.ম ছাইফুল আলম, গভর্ণিংবডির শিক্ষানুরাগী সদস্য এনামুল হক এনাম, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী রফিক আহমদ।

কামিল শেষ ও ১ম পর্ব পরীক্ষার্থী ফারুক মাহদী ও দিলোয়ার হোসাইনের শুভেচ্ছা বক্তব্যে সূচিত মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন মুহাদ্দিস মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল বাছিত, ইংরেজি প্রভাষক বিলাল হোসাইন, আরবি প্রভাষক মাওলানা তাজুল ইসলাম, ছাতক জালালিয়া ফাযিল মাদরাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা আলী আসগর খান, শাহ সুফি মুজাম্মিল আলী দাখিল মাদরাসার সহ-সুপার মাওলানা ছাদিকুর রহমান, চান্দু শাহ দাখিল মাদরাসার সহ-সুপার মাওলানা মোহাম্মদ খছরুজ্জামান, সহকারি শিক্ষক মোস্তফা হোসাইন, আব্দুল হান্নান, দিলোয়ার হোসাইন, সহকারি মৌলভী মাওলানা মোহাম্মদ মিছবাহুদ্দীন, গভর্ণিংবডির অভিভাবক সদস্য আতাউর রহমান, মোঃ সোনাফর আলী, জুনিয়র শিক্ষক আ.ফ.ম ছালমান, সুলাইমান হোসেন, বিশিষ্ট মুরব্বী ইলিয়াছ আলী, আহমদ আলী, হাবিবুর রহমান মনু, মোঃ মশাহিদ আলী, ক্বারী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ভিপি মাওলানা হুসাইন আহমদ মাসরূর, মাওলানা শামীম আহমদ প্রমুখ।

Address

Sylhet
3083

Telephone

+8801580455505

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sunnah TV- সুন্নাহ টিভি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sunnah TV- সুন্নাহ টিভি:

Share