25/07/2025
" দৈনিক পূণ্যভূমি " পত্রিকার নিয়মিত এক পাঠকের ইতিবৃত্ত:
তখনকার সময়ে (২০০৭সাল) সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষা পূর্ববর্তী টেষ্ট পরীক্ষায় বাংলা ২য় পত্রে সর্বোচ্চ মার্কস প্রাপ্ত স্টুডেন্টস পঞ্চকামলা মো. ময়নূল হক। "বাংলা ২য় বইয়ের ১০ম এর শ্রেনী শিক্ষক আতিকুর রহমান স্যারের গল্পে বলেন রাত অনেক হয়েগেছে খাতা দেখতে দেখতে একপর্যায়ে একটি খাতা আসে প্রশ্ন উত্তর সঠিক হওয়ায় নাম্বার দিতে আছি এক পর্যায়ে মনে হয় আমি কাহাকে এতো মার্কস দিতেছি.? আমার সাবজেক্টে একন পর্যন্ত কোন ছাত্রদের এতো মার্কস দিতে পারিনি, আমিকী ভুল করছি.? চুখে কি ঘুম এসেগেছে.? খাতা উল্টিয়ে দেখি সেই পরীক্ষার্থীর নাম ময়নূল হক! সে কিভাবে এতো ভালো পরীক্ষা দিলো.? শেসন গ্যাপের অনিয়মিত ছাত্র। সপ্তাহে একদিন ক্লাসে দেখছি বলে মনে হয়না। সে তা যাই হোক তার প্রাপ্য মার্কস দিলাম।"
টেষ্ট পরীক্ষায় সুধু ইংরেজি বিষয় ছাড়া সকল বিষয়ে ভালো নম্বর পেয়ে পাস করেছিলো সে। খামখেয়ালি আর পারিবারিক উদাসীনতার কারনে দুর্ভাগ্যবসত তার ফাইনাল পরীক্ষায় অংগ্রহন করা হয়নি। তবে তার পরিবার আর্থিক ভাবে যথেষ্ট সচ্ছল ছিলো। পরীক্ষা দিলে সে পাস করতো আমার বিশ্বাস। তার স্মৃতি শক্তি খুব প্রখর ছিলো, কম পড়তো যা পড়তো হুবহুই লিখতে পারতো তাছাড়া হাতের লেখা খুব সুন্দর ছিলো এখনো আছে।
শুরুতে পঞ্চকামলা বলার কারণ হলো সে পিপড়াদের মতোই খুব পরিশ্রমী ছিলো, তার জীবন বন্ধু বান্ধবের সাথে আড্ডা দিয়ে নূন্যতম সময় লস করেনি। সাংসারিক এমন কোন কাজ নেই যে বাস্তবে করেনি বা পারেনি। যেমন কৃষি কাজ, কুটিরশিল্প কাজ, কারিগরি, ফ্যাশন ডিজাইন, আর্ট, নির্মান কাজ, সকল প্রকার ড্রাইভিং, সকল ধরনের ব্যবসায়িক যথেষ্ট জ্ঞান তার মধ্যে বিদ্যমান।
তার জীবন হেলায় কোন টাইম লস করেনি একাদ্বারে কঠোর পরিশ্রম করেগেছে করতেছে অনেক কিছু অর্জন করেছে তবে পরিশ্রম অনুযায়ী সেরকম সফলতা এখনো পায়নি আমার বিশ্বাস তার সফলতা আসবে। তার প্রতি আমার অতিথ কিছু অভিযোগ অভিমান ছিলো, তবে সে সরলা, তার পরেও সে আমার আজ অবধি বন্ধু তার জন্যে দোয়া করি আপনারাও দোয়া করবেন।
সাংসারিক জীবনে সে দুই সন্তানের জনক।
সে আমাদের " দৈনিক পূণ্যভূমি " পত্রিকা নিয়মিত পাঠক। তবে যে কথা বলা হয়নি সে বাংলা দ্বিতীয় পত্রে সর্বোচ্চ ৬৪ মার্কস পেয়ে তখনকার সময়ের সাময়িক আলোচনায় এসেছিলো।।
* লেখক: মতিউর রহমান (দুলাল),
পরিচালক "পিয়াইন দর্পণ" / piyandarpan24.com