Holy Naat

31/07/2025

সবার আগে বাংলাদেশ!

30/07/2025

যখন এদেশের প্রায় ৮০ ভাগ জনগণ কথিত মানবাধিকার পরিষদের ভণ্ডামি ও ইসলামবিদ্বেষী এজেন্ডার বিরুদ্ধে, তখনই দেখা যায়—একদল ক্ষমতালোভী রাজনৈতিক অভিনেতা নিজেদের মানিয়ে নিতে ব্যস্ত, জাতিসংঘের সামনে মাথা ঝুকিয়ে দাড়ি-টুপি গায়ে দিয়ে ছবি তোলার প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে!

তারা মুখে বলে “ইকামতে দ্বীন”, আর বাস্তবে “ইকামতে আমেরিকান ভিশন ২০৪১” বাস্তবায়নে অগ্রগামী।
তরুণদের ঈমানী শক্তিকে অস্ত্র বানিয়ে, আক্বিদাহীন কিছু মুখপাত্র বানিয়ে ইসলামের মূল ধারা থেকে বিচ্যুত করছে।
তাদের নিজস্ব ‘নজদীবাদী’ রঙে রাঙানো এক বিকৃত মডারেট ইসলাম তরুণদের হাতে তুলে দিচ্ছে—যেটাতে আছে মানবাধিকার, কিন্তু নেই শরীয়াহ; আছে জাতিসংঘের তোষামোদ, কিন্তু নেই আল্লাহর ভয়!

এদের চোখে এখন হক্কানি শায়েখদের সঙ্গে সংস্পর্শ মানে "দুর্বলতা", আর জাতিসংঘের সাথে ‘লিয়াজু’ মানেই “নৈতিকতা”!
তাই তো দেখা যায়—যখন ইন্টারিম সরকার সমকামিতা ও ট্রান্সজেন্ডার কালচারের নামে ঘৃণ্য ফিতনাকে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়, তখন এই দাড়ি-টুপি পরিহিত মুনাফিকরা ঠিকই ঐ প্ল্যাটফর্মে হাজির হয়ে কথিত মানবাধিকারের পক্ষ নিয়ে বক্তব্য দেয়!

এরা আসলে কী?
নকল খোলসধারী ইসলামী কর্মী?
না কি জাতিসংঘের প্রশিক্ষিত মুসলিম মুখোশধারী দালাল?

তরুণদের ‘ইকামতে দ্বীন’-এর নাম করে এমন এক পথে চালিত করা হচ্ছে—যেখানে ইসলাম কেবল রাজনৈতিক স্টান্ট, আর ক্ষমতা অর্জনই সর্বোচ্চ চূড়া।
অথচ সত্যিকারের ইসলামী আন্দোলন কখনো আক্বিদাহবিচ্যুতদের মাধ্যমে হয় না, এবং শায়েখদের ছায়া ছাড়া তার কোনো ভিত্তি থাকে না।

এদের এই কার্যক্রমের ফলে এখন লক্ষাধিক তরুণ ইসলামের পক্ষে আর দাঁড়াতে পারছে না।
কারণ তারা তাদের ঈমানকে দলীয় পরিচয়ের সঙ্গে এমনভাবে গেঁথে ফেলেছে, যেখানে সত্য-মিথ্যার বিচার নয়, বরং দলের স্বার্থই ঈমানের মানদণ্ড!
এই ভয়ানক বিভ্রান্তি জাতিকে এমন এক জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে—যেখানে দ্বীন হয়ে গেছে একপ্রকার রাজনীতির স্লোগান, এবং আক্বিদা হয়ে গেছে দলীয় ব্র্যান্ডিং!

আজ যারা মানবাধিকার কমিশনের বিরুদ্ধাচরণকে ‘চরমপন্থা’ হিসেবে চিহ্নিত করছে—কাল কেয়ামতের ময়দানে তারা আল্লাহর আরশের নিচে দাঁড়াতে পারবে তো?

আমরা বলি—এই “মানবাধিকার” নয়, এই হলো ইসলামবিধ্বংসী অধিকার!
যার পৃষ্ঠপোষক জাতিসংঘ, এবং যার স্থানীয় চুক্তিবদ্ধ কর্মী—এদেশেই ছদ্মবেশে সক্রিয়।

আমরা মানবাধিকার কমিশনের নামে ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্রের শুরু থেকেই বিরোধিতা করে এসেছি, করছি এবং করব ইনশাআল্লাহ।
এই লড়াইয়ে যদি আমাদের জীবনও চলে যায়—আমরা প্রস্তুত আছি।
কিন্তু এই জাতিকে আক্বিদাহীন, জাতিসংঘপরায়ণ মডারেট ইসলাম নামক বিষবৃক্ষের ছায়ায় দাঁড়াতে দিব না।

✍️ মো. আবু আইয়ুব আনসারি

30/07/2025

30/07/2025

তথাকথিত মানবাধিকার কমিশনের বাংলাদেশ কার্যালয়ের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের "লাল কার্ড" সমাবেশে।

৩০ জুলাই ২০২৫

30/07/2025

কতিপয় আলেম কি সোল্ড আউট হয়ে গেল? জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনকে কি বৈধতা দিয়েই দিল?
___ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

জুলাই বিপ্লবের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানী হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে “বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশন” আয়োজিত 'জুলাই স্মরণ অনুষ্ঠান' অনুষ্ঠিত হয়েছে।

“জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন” বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হোক—এটা এ দেশের কোন ঈমানদার, মানবতাবাদী, দেশপ্রেমিক মানুষই চায়নি। প্রকাশ্যে বিরোধিতা করতে না পারলেও, বিএনপিসহ বিভিন্ন “so called politician” “জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন” প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছে—কেউ সরবে, কেউ মৌনভাবে।

যুবক আলেম-ওলামা ও তরুণ ইসলামিক স্কলারদের সমন্বিত প্রয়াসে “জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন” উ-চ্ছে/দের জন্য, তাদের কার্যক্রম বন্ধের জন্য অত্যন্ত প্রভাব বিস্তারকারী একটি সমাবেশও ঢাকায় হয়েছে; যা এদেশের কোটি কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে। যুবক ইসলামিক স্কলার, ওলামায়ে কেরাম ও তরুণ স্কলারগণ মার্কিন এজেন্ডাসমূহ বাস্তবায়নের প্রথম সোপান হিসেবে “জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন” উ/চ্ছে-দের জন্য, জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন যেন প্রতিষ্ঠিত না হয়—সেজন্য একটি উর্বর ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দিয়েছিল।

দেশের কোটি কোটি মুসলমান এবং যুবক আলেম-ওলামাদের প্রত্যাশা ছিল, ইসলামপন্থী ও ডানপন্থী রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিশেষ করে শীর্ষ পর্যায়ের ওলামায়ে কেরাম—এ আন্দোলনটিকে বেগবান করবেন এবং এই আন্দোলনটিকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিবেন।

কিন্তু আফসোস! শত আফসোস! অনুমান এখন আর অনুমান নেই; বরং তা ইয়াক্বিনে পরিণত হয়েছে। একটি অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠনের কতিপয় আলেম এবং ইসলামী রাজনীতির ব্যানারে রাজনীতি করেন, এমন সংগঠনের কিছু নেতৃবৃন্দ ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ‘সোল্ড আউট’ হয়ে গিয়েছে। যে কারণে “জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন”-এর বি-প/ক্ষে গড়ে উঠা আন্দোলনটির পথে বড় একটি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়ে গেল।

গতকাল মঙ্গলবার, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে "বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশন" আয়োজিত অনুষ্ঠানে খোদ ডক্টর ইউনুস উপস্থিত ছিলেন। সেখানে জামাত নেতা ডক্টর শফিক এবং এনসিপির একজন নেতাও উপস্থিত হলেন। আমার মনে হয়, “জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন”-কে বৈধতা দেওয়ার এটা একটি রাজনৈতিক কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়। বহু আগ থেকেই আমরা জাতিকে সতর্ক করেছি—সংস্কার, বিচার, নির্বাচনের ক্ষেত্রে পি.আর পদ্ধতি গ্রহণ, এসবকিছুই ছিল মূলত নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্যে।

আর নির্বাচন যত দেরিতে হবে, আন্তর্জাতিক চক্রগুলো তত বেশি সময় পাবে বাংলাদেশে তাদের এজেন্ডাগুলোকে বাস্তবায়ন করার। পাশাপাশি, তারা তাদের সকল স্বার্থ আদায় করে নেবার জন্যে বাংলাদেশকে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্রে পরিণত করতেও প্রস্তুত আছে; যা ইতিপূর্বে আমরা দেখেছি—প-শ্চি/মা-দের নি/কৃ-ষ্ট রাজনৈতিক খেলা কতটা ভ-য়ং/ক-র হয়ে উঠেছিল ‘ইরাকে’ এবং ‘লিবিয়াতে’। যদিওবা তারা ব্যর্থ হয়েছে মধ্য এশিয়ার আ- ফ/গা নি/স্তা-নে। ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে, পরাজয়ের ক-লঙ্ক কপালে তিলক হিসেবে ধারণ করে তাদেরকে পালাতে হয়েছে।

তাহলে এখন কতিপয় আলেম-ওলামা ও কতিপয় রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের ‘সোল্ড আউট’ হওয়ার কারণে এ আন্দোলন কি বন্ধ হয়ে যাবে? না, কখনোই না। ইসলামের সুমহান স্বার্থে, উম্মতের কল্যাণে, দেশের স্বাধীনতা নিরাপদ ও আগ্রাসনমুক্ত রাখতে—আন্দোলন, সংগ্রাম, এদেশের ঈমানদার তৌহিদী জনতা; কতিপয় আলেম কিংবা কোন দলকেই ইজারা দেয়নি।

মা-র্কি/ন বি-রো/ধী ও মা/র্কি-ন আ-গ্রা/স-ন থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত রাখার জন্য যে আন্দোলনের স্ফুরণ ঘটেছে—অচিরেই তা আ-গ্নে/য়-গি/রিতে পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ। মা-র্কি/নী দা/লা-ল কতিপয় লেখক, বুদ্ধিজীবী, এমনকি আলেম লেবাসধারীকে বলতে শোনা যায় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের strategical স্বার্থে, এমনকি যদি তারা বাংলাদেশে আগ্রাসনও চালায়—কিছু বলা উচিত হবে না; শুধুমাত্র ভারতীয় আধিপত্যবাদকে প্রতিরোধ করার স্বার্থে।

এক্ষেত্রে একটি কথাই বলবো—মাত্রাতিরিক্ত লিপ্সা, অর্থ-সম্পদের প্রতি দুর্বলতা আল্লাহ প্রদত্ত ‘আকলে সালিম’কেও বিলোপ করে দেয়।

তৃতীয় বিশ্বের একটি দুর্বল রাষ্ট্র ভারত, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষাতেই ব্যস্ত। ভারত কখনোই বাংলাদেশে সামরিক হস্তক্ষেপ করার সাহস করেনি; ভবিষ্যতেও করতে পারবেনা। বিনা যুদ্ধে যেখানে শুধু অভ্যুত্থানেই বাংলাদেশের মানুষ ভারতীয় আধিপত্যবাদকে নির্মূল করে দিয়েছে—সেখানে কখনো ভারত সামরিক হস্তক্ষেপ বাংলাদেশে করবে, এটা শুধু অসম্ভব না; কল্পনাতীত।

তবে যু-ক্ত/রা-ষ্ট্র যে দেশের ভৌগলিক সীমানার মধ্যে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করে, তার চূড়ান্ত পরিণতি যু-দ্ধে/র দিকেই ঠেলে নিয়ে যায়। আর সবচেয়ে বড় কথা—বিগত প্রায় ১৬ বছর আওয়ামী ফ্যা-সি/বাদীদের সহযোগিতা করেছে হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকার। কিন্তু সে হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকারের সহযোগিতা, যা ফ্যা-সি/বাদের পক্ষে ছিল, সেখানেও মা-র্কি/ন যু-ক্ত/রা-ষ্ট্রের স্পষ্ট সমর্থন ছিল; যা গ্লোবাল পলিটিক্সে ন্যূনতম জ্ঞান যারা রাখেন, তারা ভালো করেই উপলব্ধি করতে পেরেছেন। কারণ, ফ্যাসিবাদী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে “ওয়ান ইলেভেন”-এর পরে। আর বাংলাদেশে “ওয়ান ইলেভেন” ঘটানোর—পেছনে কারা খলনায়কের ভূমিকা পালন করেছে, সেটাও রাজনৈতিক বিশ্লেষক, দেশপ্রেমিক, সমাজ সচেতন প্রতিটি মানুষেরই জানা।

অতএব, এ মুহূর্তে আমাদের উচিত—ভারতীয় আধিপত্যবাদ যেন কখনোই ফিরে না আসে, সে ব্যাপারে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তোলা। পাশাপাশি, মার্কিন আগ্রাসন ও এজেন্ডাগুলো যেন বাস্তবায়িত না হয়, সেজন্য সুশৃঙ্খল, অহিংস আন্দোলন গড়ে তোলা।
আল্লাহ আমাদেরকে কবুল করুন।

30/07/2025

আলহামদুলিল্লাহ্ ❤️

29/07/2025

ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। ঢাকা নারিন্দা মুশুরীখোলার পীর ছাহেব হযরত মাওলানা শাহ আহসানুজ্জামান ছাহেব ইন্তেকাল করেছেন। আল্লাহ পাক দ্বীনের তরে তাঁর খেদমতগুলোকে কবুল করে জান্নাতুল ফেরদৌসের সুউচ্চ মাকাম নসীব করুন।

اللهم اغفرله وارحمه واعف عنه وأدخله الجنة الفردوس

29/07/2025

ফুলতলী ছাহেব বাড়ি সম্পর্কে অবাক করা তথ্য দিলেন মাওলানা আব্দুল আহাদ জিহাদি। ゚viralシ ゚

28/07/2025

ঈসালে সাওয়াব মাহফিল ফুলতলী ছাহেব বাড়ি রাতের দৃশ্য ❤️🥀

28/07/2025