06/08/2025
সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের ৩২-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত
সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের ৩২ বছর পূর্তিতে লাল পতাকা র্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত। ৬ আগস্ট ২০২৫ বিকেল ৫টায় ক্বীণ ব্রীজের উত্তর পাড়ে জমায়েত হয়ে এক বিক্ষোভ লাল পতাকা র্যালি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কোর্ট পয়েন্টে জেলা সভাপতি মো. ছাদেক মিয়া’র সভাপতিত্বে এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সুনু মিয়া (সাগরের) পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির যুগ্ন সম্পাদক রমজান আলী পটু, শাহপরান থানা কমিটির সভাপতি মো. খোকন আহমদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট শাহপরান থানা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা মো. আনু মিয়া, সাবেক সহ-সভাপতি মীর মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমান আলী, কোষাধ্যক্ষ মহিদুল ইসলাম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা কমিটির অন্যতম নেতা আব্দুল মুমিন রাজু, জেলা কমিটির অন্যতম নেতা আনোয়ার হোসেনসহ প্রমুখঃ
নেতৃবৃন্দ বলেন ১৯৯৩ সালের ৬ আগস্ট সংগঠনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই শ্রমিকদের আইনি সুযোগ সুবিধা আদায় ও অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শ্রেণিসচেতন করে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিকদের ধারাবাহিকভাবে সুসংগঠিত আন্দোলন-সংগ্রামের ফলে কিছু কিছু সুযোগ সুবিধা অর্জিত হলেও সামগ্রিকভাবে শোষণ-নির্যাতনের অবসান হয়নি। হোটেল সেক্টরের শ্রমিকদের যেমন নেই চাকরির নিশ্চয়তা, তেমনি নেই জীবনের নিরাপত্তা। হোটেল-রেস্টুরেন্ট মালিকরা দেশে প্রচলিত শ্রমআইনের তোয়াক্কা না করে তাদের মনগড়া ইচ্ছামাফিক স্বেচ্ছাচারী কায়দায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। প্রতি ৫ বছর অন্তর নি¤œতম মজুরি বোর্ড গঠন করে নতুন মজুরি নির্ধারণের নিয়ম থাকলেও ৮ বছর পর গত ৫ মে ২০২৫ মজুরি গেজেট প্রকাশিত হয়। যে নি¤œতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতির বাজারে শ্রমিকরা তা দিয়ে মাসের ১০ দিন চলাও কঠিন।
সংগঠনের ৩২-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে হোটেল-রেস্টুরেন্ট সেক্টরের শ্রমিকদের বাঁচার মত মজুরি, শ্রমআইন অনুযায়ী প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা আদায়ের সংগ্রামের পাশাপাশি শ্রমিক শ্রেণির সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে হোটেল-রেস্টুরেন্ট শ্রমিকদেরকে দেশের অপরাপর সেক্টরের শ্রমিকদের ও জনগণের আন্দোলন-সংগ্রামে একাতœ হতে হবে। সেই সাথে শ্রমিক-কৃষক-জনগণের সাম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদ বিরোধী জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে অগ্রসর করা ছাড়া হোটেল-শ্রমিকসহ শ্রমিক-কৃষক-জনগণের সার্বিক মুক্তি অর্জনের বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বৃহত্তর আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলার আহবান জানান।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, মার্কিন পরিকল্পনায় ছাত্র মধ্যবিত্তদের আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ১বছর অতিবাহিত হয়েছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের আরও নির্ভরযোগ্য বিশ্বস্ত দালাল ড. ইউনুসের নেতৃত্বে এক অন্তর্র্বতী সরকারকে ক্ষমতার আনা হয়। এর ফলে এদেশে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নিয়ন্ত্রণ আরো বৃদ্ধি পায়। সাম্রাজ্যবাদের দালাল ভারতের অবস্থান অপেক্ষাকৃত দূর্বল হয়। মানবিক করিডোরের প্রশ্নসহ বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামরিক সাংস্কৃতিক যে সংকট চলছে তা বিচ্ছিন্ন কোন বিষয় নয়। এটা হচ্ছে বিশ্ব বাজার-প্রভাব বলয় পুনর্বণ্টন নিয়ে আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী তীব্র প্রতিদ্ব›িদ্বতা চলছে তার সাথে সম্পর্কিত।