01/10/2025
📍📍বিচ্ছু যখন সন্তান প্রসব করে, তখন সে তার সন্তানদের পিঠে আশ্রয় দেয়। মায়ের শরীরই হয়ে ওঠে তাদের প্রথম পৃথিবী। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই সন্তানেরা নিজেদের মায়ের পিঠের মাংস ছিঁড়ে খেতে শুরু করে। মা জানেন, তিনি চাইলে প্রতিরোধ করতে পারেন, তাদের সরিয়ে দিতে পারেন, এমনকি শেষ করে দিতে পারেন। কিন্তু তিনি তা করেন না। নীরবে সহ্য করেন। নিজের মাংস, নিজের কষ্ট, নিজের জীবন দিয়ে সন্তানদের বড় করে তোলেন। অবশেষে মা বিচ্ছু মারা যায়, আর সেই সন্তানরা বেঁচে থাকে, বড় হয়, পৃথিবীর আনন্দ ভোগ করে।
এ দৃশ্যটি কেবল বিচ্ছুর গল্প নয় এটি আমাদের সমাজের প্রতিচ্ছবি।
আজও অসংখ্য পিতা-মাতা ঠিক বিচ্ছুর মতোই নীরবে কষ্ট সহ্য করে সন্তানদের জন্য জীবন উৎসর্গ করছেন। তারা রোদ-বৃষ্টির পরোয়া না করে, দিন-রাতের হিসাব ভুলে, নিজেদের সমস্ত স্বপ্ন ও সুখ বিসর্জন দিয়ে সন্তানদের জন্য ঘাম ঝরাচ্ছেন, চোখের পানি মুছছেন, তবুও হাসি মুখে সন্তানদের ভবিষ্যৎ গড়ছেন।
কিন্তু প্রশ্ন হলো এই সন্তানরা বড় হয়ে কেমন আচরণ করে?
যাদের জন্য মা-বাবা নিজেদের সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েছেন, তাদেরই অনেক সন্তান বাবা-মায়ের কষ্টের খবর নেয় না। অন্য কারো ভালোবাসা, অন্য কারো টানে তারা বাবা-মাকে ভুলে যায়। মায়ের হাতের রান্না, বাবার ঘামের টাকায় পড়াশোনার স্মৃতি সবকিছু তারা অবহেলা করে। কেউ কেউ দূরে চলে যায়, সম্পর্ক ছিন্ন করে, এমনকি কখনো কখনো মায়া-মমতার সেই মাটির ঘরটিতে আর ফিরে তাকায় না।
আজকের সমাজে সবচেয়ে দুঃখজনক দৃশ্য হলো
ভালোবাসার মূল্য দিতে গিয়ে সন্তানরা বাবা-মাকে ফেলে দূরে চলে যায়। অন্যের টানে সবকিছু বিসর্জন দেয়, কিন্তু সেই ভালোবাসা টেকে না। ব্যর্থ হয়ে তারা ভেঙে পড়ে, অনেক সময় নিজেকেও শেষ করে দেয়। অথচ একবারও ভাবে না যাদের হৃদয় ভেঙে, যাদের কষ্ট বাড়িয়ে তারা সুখ খুঁজতে গেছে, সেই সুখ কি আদৌ কখনো সত্যিকারের সুখ হতে পারে?
সন্তানরা কি ভাবে, পিতা-মাতার বুকের কষ্টের ওপর দাঁড়িয়ে তারা শান্তি খুঁজে পাবে?
তারা কি জানে না, বাবা-মায়ের দোয়া ছাড়া, তাদের আশীর্বাদ ছাড়া পৃথিবীর কোনো সুখই স্থায়ী হয় না?
👉 সমাজের এই চিত্র আমাদের নতুন করে ভাবতে শেখায়।
বিচ্ছুর গল্প কেবল একটি উপমা, আর এই উপমার আড়ালে লুকিয়ে আছে কঠিন বাস্তবতা। সন্তানদের মনে রাখা দরকার পিতা-মাতা বেঁচে থাকা মানে আশীর্বাদের ছায়া বেঁচে থাকা। আর সেই ছায়া একবার সরে গেলে, হাজার ভালোবাসা, হাজার সম্পদ, হাজার স্বপ্নও জীবনে সত্যিকারের শান