02/09/2025
ইন্টেরিম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে বাইশটা বোয়িং বিমান কিনেছিলো , ঐটা মূলত করা হয়েছে আমাদের রেডিমেড গার্মেন্টসের বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকিয়ে রাখার জন্য ।
এই রেডিমেড গার্মেন্টস টিকে আছে কাদের হাত ধরে?
পোশাক শ্রমিকদের ।
কিন্তু ওদেরই সাথেই বারবার এতো অমানবিক আচরণ কেনো যখন আপনি ওদের নিয়াই এডভান্টেজ নিতে দেশের অনেক বড় ঝুঁকি নিলেন ।
একদিনের শ্রমিক আন্দোলন মানে কোটি টাকা নষ্ট হওয়া । একদিন গার্মেন্টস বন্ধ থাকা মানে আন্তর্জাতিক বাজারে পিছিয়ে পড়া ।
এসব হিসেবে নেই? তাহলে আপনি আদতে করতেছেনটা কি?
ইউনুস সরকার আসার পর যৌ*নকর্মীরা শ্রমিক হিসেবে মর্যাদা পাওয়ার কথা উঠছে, কিন্তু পোশাক শ্রমিকদেরই শ্রমিক হিসেবেও কাউন্ট করা হয় নি ।
যাদের হাত ধইরা মূলত দেশের অর্থনীতির চাকা ঘোরে।
ওরা যে শ্রমিক, তাদের সাথে এই ন্যূনতম মানবিক আচরণও করা হয় নি ।
গত ঈদে বেতন ভাতা আটকাইয়া রাখছে । রমজানে রাস্তায় শুয়ে বসে আন্দোলন করছে । সেনাবাহিনীর মা*ইর খাইছে । গু*লি খাইয়া একজন ম*রছেও ।
তারপর কি হইলো?
ঈদে যে ওদের বেতন ভাতা দেওয়া হয়েছে বলে নিউজ ছড়ানো হইছিলো, সেটাও ভাঁওতাবাজি ছিলো।
তিনভাগের এক ভাগ বেতন দিয়া ওদের মুখ বন্ধ করতে বাধ্য করছিলো ।
ইন্টেরিমের সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এ কারচুপি করেছিলেন মালিক পক্ষের সাথে ।
মালিক পক্ষ বন্ধু বান্ধব হইয়া গেলে , প্রেশার ক্রিয়েট করা একটু ঝামেলার ব্যাপার বৈ কি!
তারচেয়ে সেনা নামাইয়া রাস্তায় গু***লি করে শ্রমিক মা***রা সহজ।
দেশ পরিবর্তনের স্বপ্ন সবাই দেখছে । গার্মেন্টস কর্মীরা দেখে নাই?
"গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির " তথ্য মতে জুলাই আন্দোলনে মা*রা গেছে অন্তত ২৫-২৬ জন ।
যে নুন আনতে পান্তা ফুরোয় , যে পরিবারের একমাত্র খুঁটি হইয়া দাঁড়াইয়া ছিলো, ও কিসের স্বপ্ন দেইখা দেশ বদলাইতে চাইছিলো ?
সেনাবাহিনীর গু**লি খাইয়া রাস্তায় কু*ত্তার মতো ম*ইরা পইড়া থাকতে ?
কিছুদিন আগে মানুষ একটা হাইপ তুলছিলো, ইউনুস সরকারে আমরা আরও ৫ বছর দেখতে চাই।
একটা প্রশ্ন — এটা আমার কৌতূহল ,
আপনাদের এই হাইপের ভীড়ে একজন শ্রমিকও কি একবার ও "মনে মনে হলেও বলেছিলো "
—ইউনুস সরকারকে আরও পাঁচ বছরের জন্য দেখতে চাই!
মনে মনে বলার কথা বলছি এই কারণেই কারণ ওদের মুখ ফুটে বলা আমরা থোঁড়াই কেয়ার করি।
আপনারা যারা পথে পথে ভিডিও বানান , কন্টেন্ট ক্রিয়েটর , গিয়ে প্রশ্ন করেন , কতজন চেয়েছে?
কতজন আশা নিয়া বইসা আছিলো দেশ বদলাইলে কপাল বদলাইবো , কিন্তু তারাই ঘরে ফিরে গেছে সহকর্মীর লা**শ আর পিঠে মাই*রের দাগ আর ভা*ঙা বুক নিয়ে ।
আমার মনে হয় আজকাল ওরাও বোধহয় শেষমেষ কার্ল মার্কসের শ্রেণী শোষণের এই তত্ত্ব মেনে নিয়েছে , নিজেের এই নিয়তি মেনেই নিয়েছে , যেই আসুক ক্ষমতার মসনদে , গু*লি ওদের বুক ছিঁড়ে এফোঁড়ওফোঁড় হয়ে রক্ত ছড়াইলেই এলিট শ্রেণীর পেট ভর্তি হবে...
কারণ ক্ষমতার সিংহাসনে আমরা যাদের মানুষ ভাবি তারা সবাই মূলত —
জোঁক।