Brajēndra Dāsa Adhikārī

Brajēndra Dāsa Adhikārī Vaishnava spirituality and morality.

21/09/2024
⚜️ জন্মাষ্টমী কবে ২৬ আগষ্ট নাকি ২৭ আগষ্ট? 🙏🙏শাস্ত্রীয়মত ও দৃকসিদ্ধান্ত  অনুসারে আগামী ২৬ আগস্ট সোমবার জন্মাষ্টমী এবং ২৭...
25/08/2024

⚜️ জন্মাষ্টমী কবে ২৬ আগষ্ট নাকি ২৭ আগষ্ট?

🙏🙏শাস্ত্রীয়মত ও দৃকসিদ্ধান্ত অনুসারে আগামী ২৬ আগস্ট সোমবার জন্মাষ্টমী এবং ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার নন্দোৎসব ।।🙏🙏

আসুন তিথি সময় কারণ #শাস্ত্র প্রমান সহ জেনে নেই
------------------------------------------
🔰২৬ আগষ্ট এর তিথি সময় কাল
⭕সূর্য উদয়: ৫ টা ২০ মিনিট
⭕অষ্টমী শুরু : ভোর রাত্রি ৩ টা ৪১ মিনিট থেকে (২৬ আগষ্ট)
⭕অষ্টমী শেষ : রাত্রি ২ টা ২১ মিনিট
(২৭ আগষ্ট)

🔰রোহিনী নক্ষত্র:
✅শুরু ২৬ আগষ্ট,
বিকাল ৩ টা ৫৭ মি থেকে
✅শেষ ২৭ আগষ্ট বিকাল ৩ টা ৩৯ মি. পর্যন্ত

অর্থাৎ ২৬ আগষ্ট শুদ্ধা জন্মাষ্টমী তিথি। কারন এদিনে একাধারে অষ্টমী ও নবমী তিথি এবং রোহিনী নক্ষত্র যুক্ত রয়েছে এবং এটি সোমবার 🙏🙏

☢️ শাস্ত্র নির্নয়:-
#স্কন্দপুরানে বলা হয়েছে
উদয়ে চাষ্টমী কিঞ্চিন্নবমী সকলা যদি

✴️অর্থাৎ, সূর্য উদয়ের সময়ে যদি অষ্টমী তিথি যুক্ত থাকে এবং কিঞ্চিত নবমী যুক্ত হয় তাহলে সেই তিথিতেই জন্মাষ্টমী পালন করতে হয়।

✅ শ্রীজন্মাষ্টমীব্রতদিন-নির্ণয়ঃ

⚜️কৃষ্ণোপাস্যাষ্টমী ভাদ্রে রোহিণ্যাড্যা মহাফলা। নিশীথেহতাপি কিঞ্চেন্দৌ জে বাপি নবমীযুতা ।।৩২৮

♻️অনুবাদ :- ভাদ্রমাসে কৃষ্ণাষ্টমী উপবাস যোগ্যা, রোহিণী নক্ষত্র যুক্ত হইলে মহাফলপ্রদা, মধ্যরাত্রে রোহিণী যুক্ত হইলে আরও অধিক ফলপ্রদা, তাহা আরও সোম বা বুধবার যুক্তা হইলে অধিক প্রশস্তা, তাহা হইতে নবমী তিথিযুক্তা হইলে অধিক ফলপ্রদা ।।

⚜️হরি ভক্তি বিলাসঃ
মাসি ভাদ্রপদেহপ্টম্যাং নিশীথে কৃষ্ণপক্ষকে। শশাঙ্কে বৃষরাশিস্থে ঋক্ষে রোহিণীসংজ্ঞকে। যোগেহস্মিন্ বসুদেবাদ্ধি দেবী দেবমজীজনৎ ॥৩৪৮ তস্মাৎ সম্পজয়েদন্ন শুচিঃ সম্যগুপোষিতঃ ॥৩৪৯।

✅অনুবাদ- ভাদ্রমাসে কৃষ্ণপক্ষে অষ্টমীতে মধ্যরাতে চন্দ্র রোহিণী নক্ষত্র সহ বৃষরাশিতে অবস্থান কালে এই জয়ন্তী যোগে পিতা বসুদেব হইতে মাতা দেবকীদেবী শ্রীকৃষ্ণদেবকে প্রসব করিয়াছেন, অতএব ঐ যোগে সম্পূর্ণ উপবাস করিয়া মানব পবিত্র হইয়া পূজা করিবে ।। ৩৪৮-৩৪৯।।

♻️আমার দেখতে পাচ্ছি, ২৬ আগষ্ট ভোর ৩ টা ৪১ মিনিট থেকেই অষ্টমী শুরু অর্থাৎ সূর্য উদয় কালেই অষ্টমী তিথি প্রাপ্ত হচ্ছে। তাই ২৬ আগষ্ট কোন সন্দেহ ছাড়াই পূর্ণ জন্মাষ্টমী ব্রত।

⚠️কিং পুন্ডু 'ধবারেণ সোমেনাপি বিশেষতঃ।
কিং পুনর্নবমীযুক্তা কুলকোট্যাস্ত মুক্তিদা।

⛔অর্থাৎ,

🕉️বিশেষতঃ যদি #সোমবারে বা #বুধবারে #নবমীযুক্ত হয়, তবে উহা কূলকোটি মুক্তিদায়ক🕉️

🔆অরুণোদয়-বিদ্ধন্তু সংত্যাজ্যো হরিবাসরঃ। জন্মাষ্টম্যাদিকং সূর্যোদয়বিদ্ধং পরিত্যজেৎ।"

✅অর্থ:- কেবল একাদশী ব্রতেই অরুণোদয় বিদ্ধা পরিত্যজ্য, কিন্তু জন্মাষ্টমী প্রভৃতি অন্য সমস্ত ব্রত কেবল সূর্যোদয়বিদ্ধা হলেই ত্যাজ্য।

✅অর্থাৎ আমরা দেখতে পাচ্ছি ২৬ আগষ্ট দিন টি রয়েছে সোমবার এবং সূর্য উদয় কালে অষ্টমী তিথি সাথে কিঞ্চিত নবমী তিথি যুক্ত এবং নিশীথকালীন পূজায় রোহিনী নক্ষত্র বিদ্যমান। তাই জন্মাষ্টমী পালনের জন্য ২৬ আগষ্ট সোমবার দিনটি একদম যথার্থ দিন।

🙏🙏সুতরাং আগামী ২৬ আগস্ট সোমবার জন্মাষ্টমী এবং ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার নন্দোৎসব ।।🙏🙏

ব্রহ্মমুহূর্ত?
28/07/2024

ব্রহ্মমুহূর্ত?

চাতুর্মাস্য ব্রত পালনের বিধি বা নিয়ম হরে কৃষ্ণ🙏
27/07/2024

চাতুর্মাস্য ব্রত পালনের বিধি বা নিয়ম
হরে কৃষ্ণ🙏

প্রশ্নঃ কোনও সাধু, গুরু, সন্ন্যাসীর চরণে হাত দিয়ে প্রণাম করা  উচিত কিনা?উত্তরঃ শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর বলেছি...
03/07/2024

প্রশ্নঃ কোনও সাধু, গুরু, সন্ন্যাসীর চরণে হাত দিয়ে প্রণাম করা উচিত কিনা?

উত্তরঃ শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর বলেছিলেন, এই ভোগ উন্মুখ দেহ বা পাপদেহ নিয়ে সাধু গুরুর শ্রীচরণে হাত দেওয়া উচিত নয়। শ্রীচরণে হাত দিলে যদি সাধুগুরু অসন্তুষ্ট হন তা হলে অমঙ্গল হয়। আমাদের সমাজে সাধুগুরুর চরণে হাত দেওয়াটা লোকের একটা রোগ বা খেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা মনে করতে পারি, ওই সাধুগুরু এসেছেন, আমি তাঁর চরণে হাত দিয়ে প্রণাম করলেই আমার জীবনের মঙ্গল হবে। কিন্তু, গুরু-কৃষ্ণ সুখী হচ্ছেন কিনা সেদিকে দৃষ্টি নেই। বরং তাঁর ঝামেলার কারণ হলাম। তাতে মঙ্গল তো নেই, বরং নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারা হলো। ভাব-উত্তেজনার বশবর্তী হয়ে সাধুর চরণধূলি নেওয়ার জন্য হাত বাড়িয়ে দুঃসাহস দেখানো ভালো নয়। কি আমার এমন যোগ্যতা আছে যে, আমি সাধু গুরুর চরণ স্পর্শ করবার স্পর্ধা রাখবো? আবার পা ছুইবার জন্য যে কাড়াকাড়ি দেখা যায়, তা মঙ্গলের বিপরীত ফল আনে। দূর থেকে প্রণতি নিবেদন করাটা সুজনের লক্ষণ।

শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার মহিমা:আগামীকাল জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা। প্রকৃতপক্ষে___আমরা কি জানি কেন শ্রীজগন্নাথ ক...
22/06/2024

শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার মহিমা:

আগামীকাল জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা। প্রকৃতপক্ষে___আমরা কি জানি কেন শ্রীজগন্নাথ কে স্নান করানো হয়❓

প্রথম মন্বন্তরে ব্রক্ষার পুত্র শ্রীস্বায়ম্ভুব মনু এক সময় পৃথিবীতে পরমেশ্বর ভগবানের দর্শন করবার অভিলাষে একটি মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠান করেছিলেন, সেই যজ্ঞ প্রভাবে শ্রীজগন্নাথদেবের আবির্ভাব। সেই দিনটি ছিল জৈষ্ঠ্যমাসের পূর্নিমা তিথি। এইজন্য এইদিনকে বলা হয় জগন্নাথদেবের আবির্ভাব তিথি। শ্রী জগন্নাথদেব স্বায়ম্ভুব মনুকে বলেছিলেন____"হে বৎস, তোমার কল্যান হোক, তোমারা সবাই মিলে পবিত্র জলে আমাকে স্নান করাও।তাতে তোমাদের মন-প্রান শুদ্ধ হবে, তোমাদের সদ্ অভিলাষ পূর্ণ হবে এবং আমি দর্শন দিয়ে তোমাদের
সকল পাপ হরন করবো"।

ভগবানের নির্দেশমতে ঐ দিবসে সুসজ্জিত স্নানবেদিতে শ্রীজগন্নাথ কে আনায়ন করে মহাসমারোহে স্নান অনুষ্ঠান উদৃযাপিত হয়।পরে মহান ভক্ত শ্রীইন্দ্রদ্যম্ন মহারাজ এই বিধানে প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ পূর্নিমা তিথিতে শ্রীজগন্নাথদেবর স্নানযাত্রা মহোৎসব করতেন।

ভক্তিকামী জনগণ নিজহাতে প্রভুকে পবিত্র জলে স্নান করিয়ে সুকৃতি সঞ্জয় করে থাকেন।

জ্যৈষ্ঠী পূর্ণিমাতেই শ্রীজগন্নাথদেব অবতরণ করেছিলেন। এই দিনই শ্রীজগন্নাথের পুণ্য জন্মদিবস। তাঁরই আজ্ঞাক্রমে ঐ জ্যৈষ্ঠী পূর্ণিমা দিবসে তাঁর মঙ্গল অধিবাস। মহাভাগবতবর শ্রীইন্দ্রদ্যুম্ন মহারাজ এই বিধানেই শ্রীজগন্নাথ জন্মতিথি প্রত্যেক জ্যৈষ্ঠী পূর্ণিমায় মহাস্নান যাত্রা মহোৎসব করতেন। অদ্যাবধি শ্রীনীলাচলধামে তদ্রুপ মহাস্নান মহোৎসব উদযাপিত হয়।...শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার পর শ্রীজগন্নাথদেব যে গণেশ বেশ বা হস্তিবেশ ধারণ করেন সে সম্বন্ধে একটি প্রাচীন কাহিনী উৎকল ভাষায় রচিত ‘দার্ঢ্যতাভক্তি’ নামক গ্রন্থে পাওয়া যায়।
একবার কর্ণাটক দেশের কানিয়ারি গ্রামের গণপতি ভট্ট নামক একজন ব্রাহ্মণ শ্রীনীলাচলে স্নানযাত্রা দিবসে উপস্থিত হয়েছিলেন। ব্রাহ্মণটি গাণপত্য বা শ্রীগণেশের একান্ত ভক্ত ছিলেন। স্নানাভিষেকের পর শ্রীজগন্নাথকে স্বীয় অভীষ্টদেব শ্রীগণপতি মূর্তিতে দেখতে না পেয়ে গণপতি ভট্ট ‘ব্রহ্ম নীলাচলে নাই’ এরূপ সিদ্ধান্ত করেন। বাঞ্ছাকল্পতরু শ্রীজগন্নাথদেব গণপতি ভট্টের ঐকান্তিক বিশ্বাসে মুগ্ধ হয়ে গজাননরূপে প্রকটিত হন এবং গণপতি ভট্টের প্রার্থনানুসারে ‘যাবচ্চন্দ্র দিবাকর’ স্নানযাত্রা মহোৎসবের পর ভক্তবৎসল-বাঞ্ছাকল্পতরু নামের সাক্ষ্যস্বরূপ শ্রীগণেশ বেশ ধারণ করতে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। সেই সময় হতে স্নানযাত্রার পর নিয়মিতরূপে শ্রীজগন্নাথ ও বলরামের স্নান বেদিতেই ‘গণেশবেশ’ এবং সুভদ্রাদেবীর ‘পদ্মবেশ’ হয়ে থাকে।...মহাভাগবত মহারাজ শ্রীইন্দ্রদ্যুম্নের প্রতি শ্রীজগন্নাথের এইরূপ আদেশ ছিল যে এই মহাস্নানযাত্রার পরবর্তী পঞ্চদশ দিবসকাল শ্রীভগবানকে অঙ্গরাগবিহীন বিরূপ অবস্থায় কেউ দর্শন করবে না। যথা-
ততঃপঞ্চদশাহাদি স্নাপয়িত্বা তু মাৎ নৃপ।
অচিত্রং বা বিরূপং বা ন পশ্যেত কদাচন॥
-উৎকল খণ্ড: ২৯/২৯
শ্রীজগদীশের আজ্ঞানুসারে এই পঞ্চদশ দিবসকাল শ্রীমন্দিরের দ্বার রুদ্ধ থাকে। এই সময়কে ‘অনবসরকাল’ বলা হয়। স্নানযাত্রার সময় স্নানাধিক্যহেতু শ্রীজগন্নাথদেব নব-লীলামাধুর্য বিস্তার করার জন্য পক্ষকাল জ্বরলীলা প্রকাশ করেন। শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের জ্বর হয়েছে বলে এই সময় পাচন (মিষ্টরসের পানাবিশেষ) ভোগ প্রদান করা হয় এবং অনবসরকালের প্রতিদিন মিষ্টান্ন ভোগ প্রদান করা হয়। তারপর শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের শ্রীঅঙ্গরাগ করা হয়।

নৃসিংহ চতুর্দশী কবে? আসছে ২২ মে, (২০২৪) রোজ বুধবার নৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত পালিত হবে। ➡️ নৃসিংহ চতুর্দশী কি?ভগবান (কৃষ্ণ) ত...
17/05/2024

নৃসিংহ চতুর্দশী কবে?
আসছে ২২ মে, (২০২৪) রোজ বুধবার নৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত পালিত হবে।

➡️ নৃসিংহ চতুর্দশী কি?

ভগবান (কৃষ্ণ) তার পরম প্রিয় ভক্ত প্রহ্লাদ মহারাজকে রক্ষা করার জন্য নৃসিংহ অবতার রূপে আবির্ভূত হন। এবং হিরণ্যকশিপুকে বধ করে ভক্ত প্রহ্লাদকে রক্ষা করেন।
বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের, চতুর্দশী তিথির গোধূলি লগ্নে তিনি আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাই একে নৃসিংহ চতুর্দশী বলে।

➡️ নৃসিংহ চতুর্দশী কবে? ২১ মে নাকি ২২ মে?

২১ মে সন্ধ্যা থেকে চতুর্দশী তিথি শুরু। কিছু কিছু জায়গায় বিকাল থেকেই তিথি শুরু হবে। তাহলে কিভাবে ২২ মে ব্রত হয়?
২১ মে তিথি থাকলেও সেদিন ব্রত পালন করা যাবে না। কারণ ২১ মে হচ্ছে ত্রয়োদশী বিদ্বা। বৃহনারদীয় পুরাণে বলা হয়েছে - চতুর্দশী তিথি ত্রয়োদশী দ্বারা বিদ্ধা হলে পরদিন ব্রত পালন করতে হবে। যদিও পরদিন পূর্ণিমা যুক্ত হয়েছে তথাপি সেদিন পালন করায় শ্রেয়। অর্থাৎ ত্রয়োদশী বিদ্বা উপবাস শাস্ত্রে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাছাড়া ২২ মে ব্রাহ্মমুহুর্তে চতুর্দশী তিথি রয়েছে। তাই ২২ মে তেই নৃসিংহ চতুর্দশী পালিত হবে।

সময়সূচিঃ
বাংলাদেশ 🇧🇩
চতুর্দশী তিথি শুরুঃ ২১ মে সন্ধ্যা ৬:০৯ মিনিট থেকে।
চতুর্দশী তিথি শেষঃ ২২ মে সন্ধ্যা ৭:১৭ মিনিটে।
২২ মে ব্রাহ্মমুহুর্তঃ ভোর ৩:৩৭ থেকে ৪:২৫ পর্যন্ত।

পশ্চিমবঙ্গ 🇮🇳
চতুর্দশী তিথি শুরুঃ ২১ মে বিকাল ৫:৩৯ মিনিট থেকে।
চতুর্দশী তিথি শেষঃ ২২ মে সন্ধ্যা ৬:৪৭ মিনিটে।
২২ মে ব্রাহ্মমুহুর্তঃ ভোর ৩:১৮ থেকে ভোর ৪:০৬ পর্যন্ত।

যেহেতু চতুর্দশী তিথি ২২ মে ব্রাহ্মমুহুর্ত স্পর্শ করেছে এবং ত্রয়োদশী বিদ্বা নয়। তাই ২২ মে ব্রত পালন করতে হবে।

🥰🙏 জয় নৃসিংহদেব 🙏🥰
💝🙏 জয় প্রহ্লাদ মহারাজ 🙏💝
❤️🙏 হরে কৃষ্ণ 🙏

অক্ষয় তৃতীয়ার মাহাত্ম্য আগামী ১০ মে ২০২৪ পরমেশ্বর ভগবানের প্রিয় তিথি এই অক্ষয় তৃতীয়া।। এই শুভ তিথিতে আপনারা ভগবানের সেবা...
30/04/2024

অক্ষয় তৃতীয়ার মাহাত্ম্য

আগামী ১০ মে ২০২৪ পরমেশ্বর ভগবানের প্রিয় তিথি এই অক্ষয় তৃতীয়া।। এই শুভ তিথিতে আপনারা ভগবানের সেবা করুন এবং নিজের ও পরিবার বর্গের কল্যান বয়ে আনুন।
🌻🌻অক্ষয় তৃতীয়ার মাহাত্ম্য 🌻🌻
অক্ষয়’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ যার ‘ক্ষয় বা বিকার নেই’। কিন্তু অক্ষয় তৃতীয়া ব্যাপারটি কি? তৃতীয়া যা কিনা অক্ষয়। প্রতি বছরের বৈশাখ মাসে শুক্ল পক্ষের তৃতীয়া তিথিটিকে বলা হয় অক্ষয় তৃতীয়া। এই তিথিকে অক্ষয়তীজ্ বা পরশুরাম জয়ন্তীও বলা হয়। এটি একটি বছরের মাহাত্ম্যপূর্ণ দিন। আবার ঐদিন যদি হয় সোমবার আর রোহিণী নক্ষত্র সমাসীন, তবে তো কথাই নেই। দিনটি হয়ে উঠে আরো গুরুত্বপূর্ণ। বৈশাখ মাসের এই বিশেষ দিনে দেখা গেছে নানাবিধ মহতী কর্মের সূচনার পরম্পরা। আমাদের অতীত ইতিহাস অবলোকন করলে এমন সব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এই দিনে ঘটতে দেখা যায় যার পরিণাম স্বরূপ আজও ক্ষয়হীন হয়ে সময়ের স্রোতের সঙ্গে নিরবধি বয়ে চলেছে। তাইতো আবহমান কাল থেকে এই দিনে অনুষ্ঠিত যে কোন শুভ কার্যানুষ্ঠানের পূণ্যফল অক্ষয় বলে ধার্য হয়। ‘অক্ষয়, তৃতীয়া’ আখ্যা তাই সার্থক। এ তিথি যে বাস্তবিকই অক্ষয়, তার প্রমাণস্বরূপ অতীতে, পুরাণে যে সমস্ত ঘটনাবলী ঘটছে তার বিররণী নিম্নে বর্ণিত হল:

১) এই তিথিতে সত্যযুগের সূচনা হয়।
২) এই তিথিতে পুণ্যতোয়া, পুণ্যসলিলা ভগবতীদেবী গঙ্গা মর্ত্যে অবতরণ করেন। তারপর থেকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে অক্ষয় জলসম্ভার সমেত মর্ত্যবাসীর জীবন দায়িনী তথা পাপনাশিনী নদী রূপে প্রবাহমানা।
৩) ভগবানের দশ অবতারের অন্যতম ষষ্ঠ অবতার ‘পরশুরামদেব’ এই তিথিতেই আবির্ভূত হন অবনীমাঝে। তিনি তো চিরঞ্জীবী। অমর, অক্ষয় আয়ু নিয়ে আজও মর্ত্তচারী। তাই এ তিথির আরেক নাম ‘পরশুরাম জয়ন্তী’।
৪) এই তিথিতেই ব্যাসদেব মহাভারত রচনা শুরু করেন। মহাভারতে মধ্যে ২৫ থেকে ৪২ পর্যন্ত আঠারো অধ্যায় ‘গীতা’য়, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী রয়েছে, যা অনন্তকাল হতে আমাদের ভবসাগর উত্তলনের অক্ষয় পথপ্রদর্শক।
৫) দেবী পার্বতীর অপর এক রূপ ‘মা অন্নপূর্ণা’ এই তিথিতেই আবির্ভূতা হয়ে মহাদেবকে অন্নভিক্ষা দেন। তারপর থেকে অন্নের অক্ষয় উৎসস্বরূপা দেবী পূজিতা হন।
৬) এই তিথিতেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পরম সখা সুদামা বিপ্র দ্বারকাতে তাঁর প্রাসাদে আসেন, নিজের দারিদ্রাবস্থার কথা জানিয়ে কিছু অর্থ সাহায্য লব্ধ হতে। কিন্তু ‘অতিথি দেবঃ ভবঃ’ এবং ‘ব্রাহ্মণ নিত্য পূজ্য’-এই জ্ঞানে শ্রীকৃষ্ণ বিপ্র সুদামাকে যে আতিথেয়তা করেন, তাতে মুগ্ধ হয়ে সুদামা আর নিজের দৈন্যাবস্থার কথা মুখ ফুটে বলতে পারেননি। এমনকি কৃষ্ণের প্রাসাদে সম্পদের বৈভব দেখে, তাঁর জন্য আনা কাপড়ে বাঁধা সামান্য চালভাজাটুকুও লজ্জায় আর দিতে পারেননি সুদামা।
কিন্তু ভক্তবৎসল ভগবান বাসুদের যে ভাবগ্রাহী। তিনি ভাবটুকু গ্রহণ করেন, কেবল ভেট নয়। তাই নিজেই সেই চালভাজা খেয়ে পরম তৃপ্ত হন। আর সুদামা বিপ্র নিজমুখে কিছু না চাইলেও, বাড়িতে ফিরে দেখেন যে তার ক্ষুদ্র কুঠিরের পরিবর্তে বৃহৎ অট্টালিকা অবস্থান করছে সেখানে। শ্রী ভগবান অযাচিত করুণাভরে সবকিছু সাজিয়ে ভরিয়ে দিয়েছেন তাঁর একান্ত প্রিয় সখা তথা ভক্তপ্রবর সুদামাকে। এই লীলার দ্বারা এটাই প্রমাণ হয় যে, ভক্তের চাওয়ার অপেক্ষা করেন না ভগবান। অহৈতুকী অযাচিত কৃপা অক্ষয়রূপে তিনি নিজে থেকেই করেন তাঁর নিষ্কাম ভক্তের প্রতি। সত্যি, তাঁর মতো সুহৃদ, তাঁর মতো পরম বান্ধব আর কে আছেন?
৭) দুর্যোধনের নির্দেশে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ করে দুঃশাসন এই তিথিতেই। কিন্তু দ্রৌপদী যখন পূর্ণ বিশ্বাসসহ শরণাগতি স্বীকার করে আত্মনিবেদন করলেন মনে মনে শ্রীকৃষ্ণের চরণে, তখন ভগবান অনন্ত বস্ত্রের যোগান দিয়ে তাঁর সম্মান রক্ষা করলেন।
পূর্ণরূপে ভগবানের চরণকমলে আত্মনিবেদিত হতে পারলে ভগবানই রক্ষা কর্তা হয়ে অক্ষয় কৃপা করেন। এ লীলা তারই নিদর্শন।
৮) কথিত আছে যে অক্ষয় তৃতীয়ার দিনই সূর্যদেব পাণ্ডবদের বনবাসের সময় অক্ষয় পাত্র দান করেন। একথালা অন্ন দ্রৌপদীর আহার গ্রহণের আগে পর্যন্ত যতজন উপস্থিত থাকতো তাদেরকে খাওয়ানো যেত।
৯) দীর্ঘকাল তপস্যার পর মহাদেবকে প্রসন্ন করে যক্ষরাজ কুবের স্বর্গের সমস্ত ধনসম্পত্তির অধিকারী দেবতা হন এই তিথিতেই।
১০) এই তিথিতেই প্রতিবছর পুরীতে শ্রীজগন্নাথদেবের রথের নির্মাণকার্যের শুভ সূচনা হয়। ভক্তবৎসল জগন্নাথদেব ভক্ত দর্শনের জন্য রথযাত্রা করেন, আর ভক্তদের প্রতিও তাঁর অক্ষয় কৃপা এই যে, স্বয়ং ভগবান মন্দির থেকে পথে আসেন তাঁদের দর্শনসুখ দিতে।
১১) প্রবাদ আছে-এই তিথিতেই ভিক্ষা করতে গিয়ে আদি শঙ্করাচার্য এক নিঃসম্বল দম্পতির থেকে, তাদের কুঠিরের একমাত্র খাদ্যবস্তু একটি-টেপারি ফল প্রাপ্ত হলেন। নিদারুণ দৈন্যাবস্থা সত্ত্বেও ক্ষুধায় কাতর দম্পতি ভিক্ষাদানে এমন আগ্রহ দেখে শঙ্করাচার্য ‘কলকাধার’ নামক বিখ্যাত শ্লোকটি রচনা করেন, যা তার এক অক্ষয় কীর্তি।
১২) ‘গোয়া’ ও ‘কেরল’ এই তিথিতেই পরশুরাম ক্ষেত্র নামে চিহ্নিত হয়।
অতএব, আমরা উপলব্ধি করতে পারছি যে, অক্ষয় তৃতীয়া তিথি পরম মহিমাময়। এই তিথিতে যা শুভকর্ম করা হয়, তার ফল অক্ষয় পূণ্যদায়িনী। যা জ্ঞান আহরণ করা হয়, এই তিথিতে-তাও অক্ষয় প্রভাব ফেলে বুদ্ধিতে, চিত্তে। দানের ফলও অক্ষয় হয়। স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, তাহলে এই তিথিতে যদি ইচ্ছা-অনিচ্ছায় বা অজ্ঞাতে যদি কোন পাপকর্ম করে ফেলি, তবে সেটাও অক্ষয় পাপ হয়ে কর্মফলের খাতায় লেখা থাকে। তাই সর্তক থাকাটাই শ্রেয়। অজান্তেও কোন পাপ বা বৈষ্ণব অপরাধ, সেবাপরাধ নামাপরাধ, না করে ফেলি বা কোন কুভাবনা না ভাবি-সে বিষয়ে সজাগ থাকাটাই সমীচীন। তাই এই মহাত্ম্যপূর্ণ তিথিকে ভাগবত শ্রবণ, শ্রীগুরুসেবা, সাধুসঙ্গ, মালা জপ-বেশী করে মনকে গৌর-গোবিন্দের শ্রীচরণেসেবায় ব্যস্ত রাখব।

‘যার থাকবে গৌরপ্রেমে রতি,
কলি তার করবে কোন্ ক্ষতি?

অক্ষয় তৃতীয়ায় ক্ষয়হীন কৃপা এভাবেই একমাত্র লব্ধ করা সম্ভব।

 #আগামী ১৪ এপ্রিল, ১ লা বৈশাখ থেকে শ্রীতুলসী মহারাণীর জলদান শুরু হচ্ছে সৌর বৈশাখ মাসে যেহেতু সূর্যের তাপ বৃদ্ধি পায়, তাই...
13/04/2024

#আগামী ১৪ এপ্রিল, ১ লা বৈশাখ থেকে শ্রীতুলসী মহারাণীর জলদান শুরু হচ্ছে

সৌর বৈশাখ মাসে যেহেতু সূর্যের তাপ বৃদ্ধি পায়, তাই বিষ্ণুভক্তগণকে জলদান করা হলে শ্রীহরি অতিশয় প্রীত হন। শ্রীহরির কৃপাপূর্বক তাঁর থেকে অভিন্ন শ্রীতুলসীবৃক্ষে জলদানেরও অপ্রাকৃত এক সুযোগ প্রদান করেন।

কিন্তু কেন তুলসীকে জলদান কর্তব্য?

#তুলসী #শ্রীকৃষ্ণপ্রেয়সী, তাঁর কৃপার ফলেই আমরা শ্রীকৃষ্ণের সেবার সুযোগ লাভ করতে পারি। তুলসীদেবী সম্বন্ধে বলা হয়েছে, তুলসী দর্শনেই পাপসমূহ নাশ হয়, জলদান করলে যম ভয় দূর হয়, রোপণ করলে তাঁর কৃপায় #কৃষ্ণভক্তি বৃদ্ধি পায় এবং শ্রীহরির চরণে অর্পণ করা হলে কৃষ্ণপ্রেম লাভ হয়। পদ্মপুরাণের সৃষ্টিখণ্ডে (৬০.১০৫) বৈষ্ণবশ্রেষ্ঠ শ্রীমহাদেব পুত্র কার্তিককে বলেন,

সর্বেভ্যঃ পত্রপুষ্পেভ্যঃ সত্তমা তুলসী শিবা।
সর্বকামপ্রদা শুদ্ধা বৈষ্ণবী বিষ্ণুসুপ্রিয়া ॥

সমস্ত পত্র ও পুষ্পের মধ্যে তুলসী হচ্ছেন শ্রেষ্ঠা। তুলসী সর্বকামপ্রদা, মঙ্গলময়ী, শুদ্ধা, মুখ্যা, বৈষ্ণবী, বিষ্ণুর প্রেয়সী এবং সর্বলোকে পরম শুভা। ভগবান শিব বলেন,

যো মঞ্জরীদলৈরেব তুলস্যা বিষ্ণুমর্চয়েঃ।
তস্য পুণ্যফলং স্কন্দ কথিতুং নৈব শক্যতে ॥

তত্র কেশবসান্নিধ্যং যত্রাস্তি তুলসীবনম্।
তত্র ব্রহ্মা চ কমলা সর্বদেবগণৈঃ সহ ॥

(৬০.১১৭-১৮)

হে কার্তিক! যে ব্যক্তি ভক্তিসহকারে! #প্রতিদিন তুলসীমঞ্জরি দিয়ে শ্রীহরির আরাধনা করে, এমনকি আমিও তার পুণ্য বর্ণনা করতে অক্ষম। যেখানে শ্রীতুলসীর বন আছে, শ্রীগোবিন্দ সেখানেই বাস করেন। আর গোবিন্দের সেবার উদ্দেশ্যে লক্ষ্মী, ব্রহ্মা প্রভৃতি সমস্ত দেবতা সেখানেই বাস করেন। মূলত শ্রীকৃষ্ণই জগতে আবদ্ধ জীবগণকে তাঁর সেবা করবার সুযোগ প্রদান করার জন্য শ্রীতুলসীরূপে আবির্ভূত হয়েছেন এবং তুলসীবৃক্ষকে সর্বাপেক্ষা প্রিয় রূপে গ্রহণ করেছেন। পাতালখণ্ডে ঐ বিপ্রের নিকটে শ্রীযম তুলসীর মহিমা কীর্তন করেন। বৈশাখে তুলসীপত্র দ্বারা শ্রীহরির সেবা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

“যে ব্যক্তি সম্পূর্ণ #বৈশাখ_মাস অনন্য ভক্তিসহকারে তুলসী দ্বারা ত্রিসন্ধ্যা শ্রীকৃষ্ণের #অর্চনা করেন, তার আর পুনর্জন্ম হয় না।”

তুলসীদেবীর অনন্তমহিমা অনন্ত শাস্ত্রে বিস্তৃত। কিন্তু এই মহিমা হচ্ছে অশেষ। #ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণের প্রকৃতিখণ্ডে (২২.৪২-৪৪) বর্ণিত হয়েছে-

শিরোধার্যাঞ্চ সর্বেসামীপ্সিতাং বিশ্বপাবনীম্।
জীবন্মুক্তাং মুক্তিদাঞ্চ ভজে তাং হরিভক্তিদাম্ ॥

যিনি সকলের শিরোধার্যা, উপাস্যা, জীবন্মুক্তা, মুক্তিদায়িনী এবং শ্রীহরিভক্তি প্রদায়িনী, সেই সমগ্র বিশ্বকে পবিত্রকারিণী বিশ্বপাবনী তুলসীদেবীকে সতত প্রণাম করি। সমগ্র বৈদিক শাস্ত্রের সংকলক তথা সম্পাদক শ্রীব্যাসদেব তুলসীর মহিমা বর্ণনা করতে গিয়ে পদ্মপুরাণের সৃষ্টিখণ্ডে(৬০.১২৭-২৮) বলেছেন,

পূজনে কীর্তনে ধ্যানে রোপণে ধারণে কলৌ।
তুলসী দহতে পাপং স্বর্গং মোক্ষং দদাতি ॥

উপদেশং দিশেদস্যাঃ স্বয়মাচরতে পুনঃ।
স যাতি পরমং স্থানং মাধবস্য নিকেতনম্ ॥

শ্রীতুলসীদেবীর #পূজা, কীর্তন, ধ্যান, রোপণ ও ধারণে সমস্ত পাপ নাশ হয় এবং পরমগতি লাভ হয়। যে ব্যক্তি অন্যকে তুলসী দ্বারা শ্রীহরির অর্চনার #উপদেশ দেন, এবং নিজেও অর্চনা করেন, তিনি শ্রীমাধবের আলয়ে গমন করেন। শুধু শ্রীমতী তুলসীদেবীর নাম উচ্চারণ করলেই শ্রীহরি প্রসন্ন হন। ফলে পাপসমূহ নাশ হয় এবং অক্ষয় পুণ্যার্জিত হয়।
পদ্মপুরাণের ব্রহ্মখণ্ডে বলা হয়েছে,

গঙ্গাদ্যাঃ সরিতঃ শ্রেষ্ঠা বিষ্ণুব্রহ্মামহেশ্বরাঃ।
দেবৈস্তীর্থৈঃ পুষ্করাদ্যৈস্তিষ্ঠান্ত তুলসীদলে ॥ ৬.২২

গঙ্গাদি সমস্ত পবিত্র নদী এবং ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর, পুষ্করাদি সমস্ত তীর্থ সর্বদাই তুলসীদলে বিরাজ করেন। ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে নির্দেশিত হয়েছে যে, সমগ্র পৃথিবীতে সাড়ে তিন কোটি তীর্থ আছে। তুলসী উদ্ভিদের মূলে সমস্ত তীর্থই অবস্থান করে। তুলসীদেবীর কৃপায় ভক্তবৃন্দ কৃষ্ণভক্তি লাভ করেন এবং বৃন্দাবনে বসবাসের যোগ্যতা অর্জন করেন। বৃন্দাদেবী তুলসী সমগ্র বিশ্বকে পাবন করতে সক্ষম এবং সর্বত্রই পূজিতা। সমগ্র পুষ্পের মধ্যে তিনি শ্রেষ্ঠ এবং শ্রীহরি, দেবসকল, ব্রাহ্মণ এবং বৈষ্ণবগণের আনন্দবর্ধনকারিণী। তিনি অতুলনীয়া এবং কৃষ্ণের জীবনস্বরূপিনী। যিনি নিত্য তুলসী সেবা করেন তিনি সমসত ক্লেশ হতে মুক্ত গয়ে অভীষ্ঠ সিদ্ধি লাভ করেন। অতএব শ্রীহরির অত্যন্ত প্রেয়সী তুলসীকে জলদান অবশ্যই কর্তব্য। এছাড়াও এসময়ে ভগবানের অভিন্ন প্রকাশ শ্রীশালগ্রাম শিলায়ও জলদানের ব্যবস্থা করা হয়।

শাস্ত্রে তুলসীদেবীকে জলদান করা হলে তুলসীমূলে যে জল অবশিষ্ট থাকে তারও বিশেষ মাহাত্ম্য কীর্তন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে একটি কাহিনী বলা হয়েছে যে, কোনো এক সময় এক বৈষ্ণব তুলসীদেবীকে জলপ্রদান ও পরিক্রমা করে গৃহে গমন করেন। কিছুক্ষণ পর এক ক্ষুধার্ত কুকুর সেখানে এসে তুলসীদেবীর মূলে অবশিষ্ট জল পান করে। কিন্তু তখনই এক ব্যাধ এসে তাকে বলতে লাগল, ‘দুষ্ট কুকুর! তুই কেন আমার বাড়িতে খাবার চুরি করেছিস? চুরি করেছিস ভালো, কিন্তু মাটির হাড়িটি কেন ভেঙে রেখে এসেছিস? তোর উচিত শাস্তি কেবল মৃত্যুদণ্ড।” অতপর ব্যাধ ঐ কুকুরটিকে তখন বধ করে। তখন যমদূতগণ ঐ কুকুরকে নিতে আসে। কিন্তু তৎক্ষণাৎ পরম¯িœ বিষ্ণুদূতগণ সেখানে এসে তাদের বাধা দিলে শ্রীবিষ্ণুদূতগণ বলেন, “এই কুকুর পূর্বজন্মে জঘন্য পাপ করার কারণে নানাবিধ শাস্তি পাওয়ার যোগ্য ছিল। কিন্তু শুধু তুলসী তরুমূলের জল পান করার ফলে এর সমস্ত পাপ নাশ হয়েছে, এমনকি সে বিষ্ণুলোকে গমনের যোগ্যতাও অর্জন করেছে।” অতঃপর সেই কুকুর সুন্দর দেহ লাভ করে বৈকুণ্ঠের দূতগণের সাথে ভগবৎধামে গমন করে। জগৎজীবকে কৃপা করবার উদ্দেশ্যেই ভগবানের অন্তরঙ্গা শক্তি শ্রীমতি রাধারাণীর প্রকাশ বৃন্দা-তুলসীদেবী এ জগতে প্রকটিত হয়েছেন, তেমনি ভগবান শ্রীহরিও বদ্ধজীবসমূহকে মায়ার বন্ধন থেকে মুক্ত করার জন্য বিচিত্র লীলার মাধ্যমে অভিন্ন-স্বরূপ শালগ্রাম শিলারূপে প্রকাশিত হয়েছেন। চারিবেদ অধ্যয়নে লোকে যে ফল প্রাপ্ত হয়, কেবল শালগ্রাম শিলার অর্চনাতে সেই ফল প্রাপ্ত হওয়া সম্ভব। যিনি শালগ্রামশিলা-স্নানজল; চরণামৃত নিত্য পান করেন, তিনি মহাপবিত্র হন এবং জীবনান্তে ভগবৎধামে গমন করেন। ব্রত, দান, প্রতিষ্ঠা, শ্রাদ্ধ, দেবপূজা- যা কিছুই শালগ্রাম শিলা সন্নিধ্যানে অনুষ্ঠিত হয়, তা-ই অতি মঙ্গলময় হয়।

বৈশাখে তুলসী দেবী ও ভগবান নারায়ণের অভিন্ন শালগ্রাম শিলায় জলদানের ব্যবস্থা করলে ভগবান শ্রীহরি অত্যন্ত প্রীত হন। এই সময় মাটিতে রস ঘাটতি দেখা দেয়। তাই জলদানের মাধ্যমে তুলসীদেবীর প্রীতিসাধন করলে হরিভক্তি সুলভ হয়। সাত্বত শাস্ত্র গৌতমীয় তন্ত্রে উক্ত হয়েছে-

তুলসীদলমাত্রেণ জলস্য চুলুকেন বা।
বিক্রীণীতে স্বমাত্মানং ভক্তেভ্যো ভক্তবৎসল ॥

যে ভক্ত নিষ্ঠা সহকারে ভগবানের উদ্দেশ্যে যদি শুধু একটি তুলসীপত্র এবং এক অঞ্জলি জল নিবেদন করেন, ভক্তবৎসল ভগবান সম্পূর্ণরূপে সেই ভক্তের বশীভূত হয়ে পড়েন। তাই কৃষ্ণভক্তগণের উচিত এই মাসে তুলসীবৃক্ষে ও শালগ্রামে জলদানের ব্যবস্থা করা। সমগ্র বৈদিক শাস্ত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অধ্যয়নের ফলে চরম প্রাপ্তি যে কৃষ্ণপ্রেম, বৈশাখ মাসে শ্রীতুলসীকে জলদানের মাধ্যমে তা অতিসহজেই লাভ হয়।

#তুলসী_জলদান_মন্ত্র:

গোবিন্দবল্লভাং দেবীং ভক্তচৈতন্যকারিণীম্।
স্নাপয়ামি জগদ্ধাত্রীং কৃষ্ণভক্তিপ্রদায়িনীম্ ॥

শ্রীগোবিন্দের প্রিয়তমা, #জগজ্জননী, সকল ভক্তকে কৃষ্ণচেতনা প্রদায়িনী এবং শ্রীকৃষ্ণে ভক্তিপ্রদাণকারিনী শ্রীমতি তুলসিদেবী, আপনাকে আমি স্নানসেবা নিবেদন করছি।

হরেকৃষ্ণ।

 #দীক্ষা নেওয়ার আগে যে বিষয়গুলি  #খেয়াল রাখবেন || মহাপ্রভু  #স্বীকৃত ৪ সম্প্রদায় গুলি কি কি|| ১৩ টি  #অপসম্প্রদায় কি কি ...
01/04/2024

#দীক্ষা নেওয়ার আগে যে বিষয়গুলি #খেয়াল রাখবেন || মহাপ্রভু #স্বীকৃত ৪ সম্প্রদায় গুলি কি কি|| ১৩ টি #অপসম্প্রদায় কি কি || কার কাছ থেকে দীক্ষা নিবেন || দীক্ষা #কেন নিবেন || ৪ সম্প্রদায়ের বাহিরে দীক্ষা নিলে কি #ফল হবে || অপসম্প্রদায়ের বর্ণনা || 🔶

কলিযুগ পাবন অবতার শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু স্বীকৃত চার সম্প্রদায়ঃ

১। রামানুজাচার্য (শ্রী সম্প্রদায়)
২। মধবাচার্য ( ব্রহ্ম সম্প্রদায়)
৩। বিষ্ণুস্বামী ( রুদ্র সম্প্রদায়)
৪। নিম্বাকাচার্য ( কুমার সম্প্রদায়)

আমাদের সমাজে মোট ১৩ প্রকারের অপসম্প্রদায় রয়েছে। ১৩টি অপসম্প্রদায়ের তালিকাঃ

১.আউল
২.বাউল
৩.কর্ত্তাভজা
৪.নেড়া
৫.দরবেশ
৬.সাই
৭.সহজিয়া
৮.সখীভেকী
৯.স্মার্ত
১০.জাত-গোসাই
১১.অতিবাড়ি
১২.চুড়াধারী
১৩.গোরাঙ্গ-নাগরী

🌿 ১৩ টি অপসম্প্রদায়ের বর্ণনাঃ

🔘১. আউলঃ
মায়াবাদের প্রকার বিশেষ এই মতবাদ। নিজেদের ঈশ্বর বলে মনে করে প্রকৃতিকে ভোগ করে যথেচ্ছভাবে। পরনারী সঙ্গ করে। পতিতা বারবণিতা এদের কোন বাচ-বিচার নেই। সকলের সাথে এদের সমন্বয়। অবাধ মেলামেশা,বিধবা লোলুপ। এবং পরস্ত্রী ভুলিয়ে নিতে পারলে এরা আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তোলে।

🔘২. বাউলঃ
এটিও মায়াবাদের মধ্যে। আউল বাউলের মধ্যে আচার ব্যবহার সামান্য পার্থক্য থাকলেও এরা মহাসম্ভোগবাদী।
আচার্য শ্রীল বিনোদ ঠাকুর লিখছেন

বাউল বাউল বলছ বটে বাউল হচ্ছে ক'জনা।
দাড়ি চূড়া রেখে ভাইরে লোককে করছ বঞ্চনা।।

দাড়ি এবং গোফ রেখে এরা ঘুরে বেড়ায়। এরা পরনারী সঙ্গদোষী।পরের নারী নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। নারী পুরুষের অবাধ মিলনে যেন রাধা কৃষ্ণের প্রেম অনুভব হয়।
তাই আবারও ভক্তি বিনোদ ঠাকুর মহাশয় বলছেন

সহজ ভজন করছ মামু
সঙ্গে লয়ে পরের বালা
সখিভাবে ভজছেন তারে
নিজে হয়ে নন্দলালা।।

এসবই তাদের লীলা খেলা।শুক্র,শোণিত, মল মুত্রাদি ভক্ষণ এদের সাধন প্রণালি।

🔘৩. কর্তাভজাঃ
এমতের প্রবর্তক অউলে চাঁদ।এরা গুরুকে কর্তা বলে।গুরুকেই ঈশ্বর ভাবে।গুরুই এদের গৌরাঙ্গ। যেমন, অনুকুল ভক্তরা।হরিচাঁদের দল।এরা ঘোর ভক্তি বিরোধী মায়াবাদি।এদের মাঝে উচ্ছিষ্ট ভোজন প্রথা প্রচলিত আছে।এরা গুরু সত্য হরি সত্য বলে কিন্তু কোন সদাচার পালন করেন না।

🔘৪. নেড়াঃ
কথিত আছে এদের দলে বারশত নেড়া তেরো শত নেড়ী ছিল।
এরা শ্রীনিত্যানন্দাত্মজ বীরভদ্র প্রভুর অনুগব্রুব।বীরচন্দ্র প্রভুর উদ্দেশ্য ছিল এরা সদাচারী হয়ে হরিভজন করুক।কিন্তু প্রভু বীরচন্দ্রের সে ইচ্ছা উদ্দেশ্য সফল হয়নি।তারা স্বতন্ত্রতার অপব্যবহার করে মৎস্য মাংসাদি ভক্ষণ পুর্বক অপকর্মে লিপ্ত হয়।শাস্ত্র ও মহাপ্রভুর ভাবধারা এবং গোস্বামীদের আদর্শকে অবজ্ঞা করায় এরা নেড়া বলে কথিত হয়।

🔘৫. দরবেশঃ
এরা প্রচ্ছন্নবাদী। কারাগার থেকে বিমুক্ত হওয়ার অছিলায় কারারক্ষী কে শ্রীল সনাতন গোস্বামীপাদ ৭০০০ মুদ্রা দিয়ে বলেন, তিনি দরবেশ সেজে মক্কায় যাবেন।কিন্তু সনাতন গোস্বামী মহাপ্রভুর দর্শন করেন কাশিধামে।সেখানে মহাপ্রভুর কাছে সম্বন্ধ,অভিধেয় এবং প্রয়োজন তত্ত্ব প্রসঙ্গে উপদেশ গ্রহণ করেন।কিন্তু কতক দুর্ভাগা সনাতন গোস্বামীপাদের উদ্দেশ্য না বুজতে পেরে কৃত্রিম উপায়ে দরবেশ সেজে সনাতন ধর্মকে উপেক্ষা করে স্ফটিক ও প্রবালের মালা এবং আলখেল্লা পরিধান করে, দাড়ি, চুল রেখে যত্রতত্র আহার বিহার করে ঘুরে বেড়ায়।

🔘৬. সাঁইঃ
এরা প্রায় বাউলের মতই। নির্বিশেষবাদি। আলোক সাঁই,ক্ষিরোদ সাঁই,গর্ভ সাঁই,নানক সাঁই এদের উপদেষ্টা ছিল। এরা অহিন্দু আচার পালন করে।

🔘 ৭. সহজিয়াঃ
চিন্ময় ধর্মের বিকৃত প্রতিফলন কারী এরা।ভগবানের জন্ম কর্ম নিত্য এই তত্ত্ব এরা মানে না।যেমন আমরা কিছু ব্যক্তি আছি।তারা বলেন কৃষ্ণ রক্ত মাংসের গড়া।তা না হলে জরা ব্যাধের শরাঘাতে কেন বিদ্ধ হবে।মাধাইয়ের কলসির আঘাতে নিতাইয়ের মাথা কেন ফাটবে।নিমাই যদি শৌক্র জন্ম না হবেন তবে কেন শচী জগন্নাথ তাঁর মা বাবা হবেন ইত্যাদি তাদের ভাবনা।গীতার মতে এরা মূঢ়।
অবজান্তি মাং মূঢ়া, মানুষীং তনুমাশ্রিতম্।
এই দলের লোকরা বৈষ্ণবে জাতিবুদ্ধি,গুরুকে মর্তবুদ্ধি,প্রসাদকে ডাল ভাত মনে করে।নীচু জাতির স্পর্শে এদের পবিত্রতা নষ্ট হয়ে যায়।

🔘৮. সখিভেকিঃ
এরা বিবর্তনবাদি।নিজের মরদেহকে সখি বা গোপি ভেবে চুল রেখে, খোপা বাধে।শাখা সিদুর, শাড়ি চুড়ি, পায়ে আলতা ধারন করে।
এরা কখন ললিতা,কখনও বিশাখা,কখনও বা চম্পকলদা সখি সেজে গোফ দাড়ি সেফ করে হিজড়ের ন্যায় সেজে কৃষ্ণ সেবার ভান করে।

🔘৯. স্মার্তঃ
যার প্রবর্তক নবদ্বীপের রঘুনন্দন ভট্টাচার্য
তিনি অসুরদের বিধি বিধান দিয়ে গেছেন।এটা কল্পিত। নবদ্বীপের ভঙ্গ কুলিন ব্রাহ্মণ কুলোদ্ভুত রঘুনন্দন এই জড়কর্মস্মার্ত মতের তথা পাপের পথের জন্মদাতা।

১০. জাত গোঁসাইঃ
যেটা আমরা আমাদের সমাজে দেখতে পারছি।গোঁসাই গীরিই এদের পেশা।গুরুর ছেলে গুরু আবার তার ছেলেও গুরু।এদের চৌদ্দ গুষ্ঠি গুরু।শির্ষ্যরা এদের কাছে ক্রিতদাস।এরা মহাপ্রভুর নাম ভাঙায় খাই।সে বাড়ির শিষ্য টাকা দিতে পারবে সেটা ভাল।পান বিড়ি সিগারেট গুল সেবন করে।দেখা যাবে বড় সাধু কিন্তু কাজের বেলা অসাধু।
এরা সদাচারী না।দীক্ষা দেই সেই শিষ্য মুরগির চরণ সেবা করে।গুরুও মাঝে মাঝে সেবা করে।যারা যে মন্ত্র চাই তাকে সেই মন্ত্র দান করে।শিষ্য বাড়ানোর কু মতলব।

🔘১১. অতি বাড়িঃ
উৎকল দেশের জগন্নাথ দাস নামক বৈরাগী এই মতের প্রচারক।
মহাপ্রভুর শিক্ষাকে অতি মার্জিত করার মানসে এরা খুব বাড়াবাড়ি করে।
তাই এদের অতি বাড়ি বলে অভিহিত।
কথায় বলে বেশি বাড়া ভাল না ঝড়ে ভেঙে যাবে।

🔘১২. চুড়াধারীঃ
এটিও অসম্প্রাদায়
এরা ভোগবাদি,নিজে কৃষ্ণ ভেবে চুড়া ধারন করে।কৃষ্ণের ন্যায় বাঁশি বাজাই। এরা সকল প্রকার ব্যভিচারগ্রস্হ

🔘১৩. গৌরাঙ্গ নাগরীঃ
এটি কাল্পনিক মতবাদ।
গৌর কৃষ্ণ অভিন্ন। এই অভিন্নতা ভেবে সন্ন্যাসী শিরোমনি শ্রী গৌর সুন্দর কে গৌরাঙ্গ নাগর ভেবে তারা পুজো করে।কিন্তু তারা জানে না শ্রীকৃষ্ণ নাগর হলেও গৌর নাগর নহেন। যদিও কৃষ্ণ গৌরাঙ্গ তবু গৌরাঙ্গ নাগর নহেন তার এই লীলায়। তাই মহাত্মা তোতারাম এদেরও সঙ্গ করতে নিষেধ করছেন।

🔴এসকল স্বীকৃত ৪ সম্প্রদায় এবং ১৩ অপসম্প্রদায়ের কথা শাস্ত্রের কোথায় আছে, এবং এসকল স্বীকৃত সম্প্রদায় থেকেই কেন দীক্ষা নিবেন তার সব শাস্ত্রীয় প্রমাণ দেওয়া হলো নিচে 🔴

🌿 শুদ্ধভক্তি-প্রতিকূল কত রকমের অপসম্প্রদায় রয়েছে? সেগুলি কে আবিষ্কার করেছেন?

"আউল, বাউল, কর্তাভজা, নেড়া, দরবেশ, সাঁই।
সহজিয়া, সখীভেকী, স্মার্ত, জাত-গোসাঞি।।
অতিবাড়ী, চূড়াধারী, গৌরাঙ্গ-নাগরী।
তোতা কহে, এ তেরর সঙ্গ নাহি করি।।"
(সূত্রঃ গৌড়ীয়-কণ্ঠহার-১৩-১১১)

অসৎ সম্প্রদায় বা অপসম্প্রদায়ের তেরটি নাম উল্লিখিত হয়েছে। আউল, বাউল, কর্তাভজা, নেড়া, দরবেশ, সাঁই,
সহজিয়া, সখীভেকী, স্মার্ত, জাত-গোসাঞি, অতিবাড়ী, চূড়াধারী, গৌরাঙ্গ-নাগরী। এই তের প্রকার অপসম্প্রদায় শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর পথ পরিত্যাগ করে ব্যভিচারী হয়েছে।

🔘শ্রীল তোতারাম দাস বাবাজী মহারাজ এই তালিকা দিয়েছেন।
তিনি ছিলেন পশ্চিমদেশীয়। বর্তমান শহর নবদ্বীপে তাঁর বড় আখড়া আছে। তাঁর তীব্র শাসন ছিল। তাঁর ইচ্ছা ছিল যে, নবদ্বীপে বসে কেউ যেন ধর্মের নামে ব্যভিচার না করে। তিনি বর্তমান শহর নবদ্বীপের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।

🌿পদ্মপুরাণে দেখা যায়,---

সম্প্রদায়বিহীনা যে মন্ত্রাস্তে নিষ্ফলা মতাঃ। অতঃ কলৌ ভবিষ্যন্তি চত্বারঃ সম্প্রদায়িনঃ।
শ্রী-মাধ্বী-রুদ্র-সনকা বৈষ্ণব্য ক্ষিতিপাবনাঃ। চত্বারস্তে কলৌ দেবী সম্প্রদায়প্রবর্ত্তকাঃ॥১॥

অর্থাৎ, যাঁরা সম্প্রদায়-বিহীন বা কোনও সম্প্রদায়-ভুক্ত নন, তাঁদের মন্ত্র ফলদায়ক হয় না। এইজন্য কলিকালে
শ্রী, মাধ্বী, রুদ্র ও সনক এই চারজন ক্ষিতি-পাবন বৈষ্ণব আবির্ভূত হয়ে চারটি সম্প্রদায় প্রবর্ত্তন করবেন।

🌿 ''শ্রী ব্রহ্ম রুদ্র সনক বৈষ্ণব ক্ষিতিপাবন,
চত্বারন্তে কলৌ ভব্য হি উৎকলে পুরুষোত্তম''।।পদ্মপুরান।।

অর্থাৎ জগতের পবিত্রতা সম্পদানকারী শ্রী, ব্রহ্ম, রুদ্র ও সনক, এই কলিযুগে চারটি সম্প্রদায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ থেকে বা উৎকল দেশ পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীজগন্নাথ থেকে আবির্ভূত হবে।।

🌿 ভক্তমাল-গ্রন্থে দেখতে পাই,---

“রামানুজং শ্রীঃ স্বীচক্রে মধ্বাচার্য্যং চতুর্ম্মুখঃ। শ্রীবিষ্ণুস্বামিনং রুদ্রো নিম্বাদিত্যং চতুঃসনঃ॥”

অর্থাৎ-শ্রী (লক্ষ্মী) রামানুজকে, চতুর্ম্মুখ (ব্রহ্মা) মধ্বাচার্য্যকে, রুদ্র (মহাদেব) শ্রীবিষ্ণুস্বামীকে এবং চতুঃসন
(সনক, সনন্দ, সনাতন, সনৎকুমার) নিম্বাদিত্যকে আপনি আপন সম্প্রদায়-প্রবর্ত্তকরূপে স্বীকার করেন।
এই চার সম্প্রদায় হতে অসংখ্য বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের সৃষ্টি হয়েছে।”

🌿 কেন দীক্ষা নিবেন ❓কার কাছ থেকে দীক্ষা নিবেন ❓ অপসম্প্রদায় থেকে দীক্ষা নিলে তার কি ফল হবে❓

আমাদের ইন্দ্রিয়সমুহ অপুর্ণ তাই আমরা পরম সত্যকে জানতে পারি না। যেমন কোন বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে হলে আমরা সে বিষয়ের জ্ঞানীর নিকট হতে শিক্ষা লাভ করি। তেমনি পরমার্থজ্ঞান লাভ করতে হলে তত্ত্বদর্শী ব্যাক্তি বা পরমার্থতত্ত্ববেত্তা পুরুষের আশ্রয় গ্রহন করতে হয়। এবং এই তত্ত্বদ্রষ্টা পুরুষ হলেন গুরুদেব। এই গুরুদেবও একান্তভাবে আশ্রিত যথার্থ ও যোগ্য শিষ্যের মত কোন তত্ত্বদর্শী ব্যাক্তি বা গুরুদেবের কাছ থেকে এই জ্ঞান লাভ করেছেন। এবং পরবর্তীতে তিনি আবার এই কর্মসাধ্য পারমার্থিক জ্ঞান তার যোগ্য শিষ্যের মাঝে দান করেন।

🌼এইভাবে যথার্থ শিষ্য পরম্পরার মাধ্যমে আদিগুরু পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ থেকে এই জ্ঞান প্রবাহিত হয়েছে। এবং পরবর্ত্তীতে তা একাধিক ধারা বা গুরুপরম্পরা রুপ বা সম্প্রদায় সৃষ্ট হয়েছে।
তাই শুদ্ধ পরম্পরা ধারা বা সম্প্রদায়ের সাথে যুক্ত না হলে জীবের পারমার্থিক জীবন, তার ইহলোক ও পরলোক দুটোই নষ্ট হয়।

🌼এই চারটি সম্প্রদায়ে চারজন আচার্য্য দ্বারা কলিযুগে পারমার্থিক জ্ঞান প্রবাহিত হয়েছে।
১। রামানুজাচার্য (শ্রী সম্প্রদায়)
২। মধবাচার্য ( ব্রহ্ম সম্প্রদায়)
৩। বিষ্ণুস্বামী ( রুদ্র সম্প্রদায়)
৪। নিম্বাকাচার্য ( কুমার সম্প্রদায়)

🌼শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এই চারটি সম্প্রদায় ছাড়া অন্যান্য নিজ মনগড়া অপসম্প্রদায়গুলিকে ত্যাগ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

🌼শাস্ত্র ও তত্ত্ববিদ্গনের মতে চারটি শুদ্ধ পরম্পরায় ধারা বর্তমান আছে এর বাইরে বিভিন্ন সময়ে যত সম্প্রদায় সৃষ্ট হয়েছে তা সবই অপসম্প্রদায়।

🌿 যারা উপরোক্ত এ চার সম্প্রদায়ের বাহিরে দীক্ষা নিবেন, তাদের জনম বৃথা যাবে এবং পরবর্তী জনমে পশুযোনী প্রাপ্ত হবে।

🌼তাই মানব জীবন স্বার্থক করতে হলে, গোলকধাম- যা আমাদের সত্যিকারের গন্তব্যস্থান, সেখানে যেতে হলে অবশ্যই এ চার সম্প্রদায়ের সিদ্ধ দীক্ষা পরম্পরা হতে দীক্ষা নিতে হবে। তবেই পরমেশ্বর এর সেবার অধিকারী হতে পারবো, তার ভজনের মাধ্যমে তুষ্ট করে তার চরণ যুগল লাভ করতে পারবো। এবং তা অবশ্যই সিদ্ধ গুরুপরম্পরা তথা সিদ্ধ দীক্ষা পরম্পরার মাধ্যমে।

🌼অনেকেই বিভিন্ন মত ভালো লাগে বলে যেখান সেখান হতে দীক্ষা নিয়ে নেন, এবং তা সিদ্ধ না । তাই দীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে সাবধান।

🔘উক্ত চার সম্প্রদায় পরম্পরা ধারায় আগত শিক্ষা প্রদান করাই গুরুপরম্পরার উদ্দেশ্য।

🔴 অন্যথায় গুরুপরম্পরা কেবল একটি শারীরিক পরম্পরা বলে গন্য হবে।
মনে রাখবেন, অপসম্প্রদায়গুলি কেবল তাদের গুরু-নামধারী ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে,, যাদের দেওয়া মন্ত্রে কোন ক্রিয়া হয় না।

🌿 #তাই গুরু নির্বাচনের পুর্বে আমাদের অবশ্য কর্তব্য গুরুদেবের পরম্পরা বিষয়ে অনুসন্ধান করা।

।হরেকৃষ্ণ।
(সংগ্রহীত) See less

Address

Sylhet
3100

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Brajēndra Dāsa Adhikārī posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share