Somir Itbd

Somir Itbd Work for advance your IT skill. Still we are waiting for you, so share your experience with us.

পৃথিবী ছেড়ে মহাকাশে যেতে হলে রকেটকে ঘণ্টায় প্রায় ৪০ হাজার কিলোমিটার বেগে ছুটতে হয়। এত জোরে ছুটে যাওয়ার একটাই কারণ—মহাকর...
11/06/2025

পৃথিবী ছেড়ে মহাকাশে যেতে হলে রকেটকে ঘণ্টায় প্রায় ৪০ হাজার কিলোমিটার বেগে ছুটতে হয়। এত জোরে ছুটে যাওয়ার একটাই কারণ—মহাকর্ষ বল।

মহাকর্ষ এমন এক শক্তি, যা আমাদের মাটির দিকে টেনে ধরে রাখে। আমাদের হাঁটা-চলা, বসে থাকা, এমনকি দাঁড়িয়ে থাকার পেছনেও এই বলের অবদান আছে। ধরুন, আপনি একটা ফুটবলকে ওপরের দিকে কিক মারলেন। বলটা ওপরে গিয়ে কিন্তু আবার আপনার কাছেই, মানে মাটিতে ফিরে আসবে। বলটা আপনার টানে যে পৃথিবীতে ফিরে আসে, তা তো নয়! আসলে ওই বল ফিরে আসার কারণও সেই মহাকর্ষ বল। এই বল সব কিছুকে বস্তুর কেন্দ্রের দিকে টানে। আর বস্তুর ভরের ওপর নির্ভর করে মহাকর্ষ কত শক্তিশালী হবে। তাহলে, পৃথিবীতে সবকিছু ভূপৃষ্ঠে, অর্থাৎ মাটিতে ফিরে আসে কেন? কারণ, আমরা থাকি পৃথিবীর ওপরে, ভূপৃষ্ঠে। ওপরের দিকে একটা ফুটবলকে ছুড়ে দিলে সেটা তো আর মাটি (বা ভূপৃষ্ঠ) ফুঁড়ে পৃথিবীর কেন্দ্রে চলে যেতে পারে না! তাই সবকিছু ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে। একইভাবে আমরা লাফ দিলে আকাশে উড়ে না গিয়ে আবার ভূপৃষ্ঠে, মানে মাটিতে ফিরে আসি।

তবে চাইলে এই বলের হাত থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। মানে আপনার যদি সুপারম্যানের মতো শক্তি থাকত এবং আপনি ঘণ্টায় ৪০ হাজার কিলোমিটার বেগে ওপরের দিকে লাফ দিতে পারতেন, তাহলে আর ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসতে হতো না। পৃথিবীর মহাকর্ষ বল কাটিয়ে চলে যেতেন মহাকাশে। একই কাজ করে রকেট। সহজ কথায়, পৃথিবী আপনাকে একটা বলে ভূপৃষ্ঠে আটকে রাখছে। আপনি যদি সেই বলের চেয়ে বেশি জোরে চলতে পারেন, তাহলে আর পৃথিবী আপনাকে আটকে রাখতে পারবে না। এ বলটাই হলো ঘণ্টায় ৪০ হাজার কিলোমিটার বা সেকেন্ডে ১১.২ কিলোমিটার। একে বলে মুক্তিবেগ। মানে পৃথিবীর মহাকর্ষ থেকে মুক্ত হওয়ার বেগ। কিন্তু প্রশ্ন হলো, রকেটকে কেন ঘণ্টায় ৪০ হাজার কিলোমিটার বেগে ছুটতে হয়?

রকেট কীভাবে এই টান কাটিয়ে মহাকাশে চলে যায়, তা বুঝতে হলে রকেটের চলাচল সম্পর্কে একটু জানতে হবে। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা ভালোভাবে বোঝা যাবে। বেলুন ফুলিয়ে মুখ না বেঁধে কখনো আকাশে ছেড়েছেন? ফোলানো বেলুন এভাবে ছেড়ে দিলে ফুড়ুৎ করে সামনে চলে যায় অনেকটা। কেন বেলুন সামনে চলে যায়? কারণ, বেলুনের ভেতরে যে বাতাস ছিল, ওই বাতাস বেরিয়ে গেছে। বাতাস বেরিয়ে যাওয়া মানে ওই বাতাস বেলুনকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে সামনে পাঠিয়ে দেয়। তাই বেলুন ফুড়ুৎ করে সামনের দিকে চলে যায়। রকেটও ঠিক এই কাজটাই করে। রকেটে ‘বিশেষ ধরনের’ জ্বালানি পোড়ানো হয়। ফলে তৈরি হয় গরম গ্যাস। এই গ্যাস রকেটের পেছন দিয়ে বেরিয়ে গেলে রকেট সামনের দিকে ছুটে যায়।

‘বিশেষ ধরনের’ এই জ্বালানি কী? ইংরেজিতে বলা হয় ‘প্রোপেল্যান্ট’। জিনিসটা আসলে জ্বালানি এবং অক্সিডাইজার বা জারকের মিশ্রণ। জ্বালানি হিসেবে সাধারণত হাইড্রোজেন, মিথেন বা কেরোসিনের মতো দাহ্য পদার্থ ব্যবহৃত হয়। আর অক্সিডাইজার বা জারক হিসেবে ব্যবহৃত হয় তরল অক্সিজেন। এখানে একটা মজার কথা বলি। এই যে জারক হিসেবে তরল অক্সিজেন ব্যবহৃত হচ্ছে, এর কারণটা কিন্তু খুব সহজ। অক্সিজেন ছাড়া কোনোকিছু ‘পোড়ে’ না। অর্থাৎ ‘পোড়া’ মানেই অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া। চাইলে একটা বোতলের ভেতরে মোমবাতি জ্বালিয়ে মুখ বন্ধ করে দিয়ে দেখতে পারেন। দেখবেন, ভেতরের অক্সিজেন ফুরিয়ে গেলেই নিভে যাবে আগুন, অর্থাৎ মোমবাতি। যাহোক, প্রসঙ্গে ফিরি।

রকেটকে যখন মহাকাশে যেতে হয়, তখন প্রচুর শক্তি লাগে। সেই শক্তি অর্জন করতে প্রয়োজন প্রচুর প্রোপেল্যান্ট। কিন্তু সমস্যা হলো, রকেট যদি অত বেশি প্রোপেল্যান্ট বহন করে, তাহলে তার ওজন এত বেড়ে যায় যে সেটা আর উড়তেই পারে না। মানে আপনার পিঠে যদি ১০ কেজির বস্তা দিয়ে দৌড়াতে বলা হয়, তাহলে হয়তো কষ্ট করে হলেও পারবেন। কিন্তু ৫০০ কেজির বস্তা দিয়ে দৌড়াতে বললে তো উঠে দাঁড়াতেই পারবেন না! রকেটকে ঘণ্টায় ৪০ হাজার কিলোমিটার বেগ অর্জন করতে হলে যে পরিমাণ প্রোপেল্যান্ট পোড়াতে হবে, তা যদি রকেটের সঙ্গে দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে মহাকাশে যাওয়া একটু কঠিনই হয়ে যাবে।

তাহলে উপায়? উপায় একটাই, রকেটের প্রোপেল্যান্ট কমানো। ভাবছেন, তাহলে রকেট উড়বে কীভাবে? সেই সমস্যার সমাধান বিজ্ঞানীরা করেছেন। রকেট সাধারণত সরাসরি মহাকাশে যায় না। আগে একটানা জোরে কিছুক্ষণ ছুটে এক পর্যায়ে এসে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। মানে ততক্ষণে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া প্রোপেল্যান্ট শেষ হয়ে যায়। কিন্তু শেষ হওয়ার আগে রকেটটা এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে সেটা আর পৃথিবীতে ফিরে আসে না—পৃথিবীর মহাকর্ষ বলের কঠিন বাঁধন পেরিয়ে যায়। এ জন্য বিজ্ঞানীরা রকেটকে একটু আড়াআড়ি ভাবে পাঠান, যাতে সেটা আর পৃথিবীতে ফিরে না আসে। এই কাজটা আধুনিক রকেটে করা হয় ধাপে ধাপে। একেবারে রকেটকে পুরো মুক্তিবেগে ছোটানোর বদলে ধাপে ধাপে গতিবেগ বাড়ানো হয়। এতে কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়।

বলে রাখি, সব রকেট কিন্তু পৃথিবী ছেড়ে চিরতরে মহাকাশে চলে যায় না। অনেক রকেট শুধু কক্ষপথেই থাকে। বর্তমানে হাজার হাজার স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছে। সেগুলোর কারণে আমরা মোবাইলে কথা বলতে পারি, টিভি দেখতে পারি, আবহাওয়ার খবর জানতে পারি, এমনকি দোকানে কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করতেও পারি। রাতে আকাশের দিকে তাকিয়ে অনেক সময় এসব স্যাটেলাইট দেখা যায়। এই যে রকেটগুলো কক্ষপথে থাকে, তাদের কিন্তু ঘণ্টায় ৪০ হাজার কিলোমিটার, অর্থাৎ সেকেন্ডে ১১.২ কিলোমিটার বেগে ছুটতে হয় না। সেকেন্ডে ৭.৯ কিলোমিটার বেগে ছুটলেই হয়। অর্থাৎ ঘণ্টায় প্রায় ২৯ হাজার কিলোমিটার বেগে ছুটলেই রকেট পৃথিবীর চারপাশে নির্দিষ্ট কক্ষপথে থাকতে পারে। এই বেগকে বলা হয় অরবিটাল ভেলোসিটি বা ন্যূনতম কক্ষীয় বেগ।

সাইকেলে জোরে প্যাডেল দিয়ে অনেকক্ষণ আর প্যাডেল না দিলেও সাইকেল চলতে থাকে। রকেটের ক্ষেত্রেও সহজে বোঝার জন্য ভাবতে পারেন, একবার জোরে ধাক্কা দিয়ে পৃথিবীর বাইরে যাওয়ার পর তা চলতে থাকবে।
কিন্তু শুধু নির্দিষ্ট কক্ষপথে গেলেই তো চলবে না। দূর মহাকাশেও তো যেতে হয় বিভিন্ন কাজে। সেখানেই কাজে আসে মুক্তিবেগ, ঘণ্টায় ৪০ হাজার কিলোমিটার। আর এ জন্য এখন আরও একটু আধুনিক একধরনের কৌশল ব্যবহার করা হয়। একে বলে স্টেজিং। মানে মূল রকেটের সঙ্গে আরও কিছু বাড়তি রকেট যোগ করে দেওয়া হয়। তাতে থাকে বাড়তি জ্বালানি। সেই বাড়তি রকেট দিয়ে ধাক্কা দেওয়ার পর, পৃথিবীর মহাকর্ষ পেরিয়ে যাওয়ার পর, তা মূল রকেট থেকে আলাদা হয়ে যায়। এতে মূল রকেট হালকা হয়ে যায় এবং বাকি পথ অল্প জ্বালানিতে চলতে পারে। এর কারণটা মজার। পৃথিবীর মহাকর্ষীয় সীমা পেরোলে রকেটকে তো খুব বেশি জোরে আর কেউ টানবে না। আবার মহাকাশে বাতাসের বাধাও নেই। তাই রকেট ইতিমধ্যে অর্জিত বেগে ছুটে চলতে পারে। এই কথাটা নিউটনের প্রথম সূত্রে আছে—বাইরে থেকে কোনো বলপ্রয়োগ না করলে (অর্থাৎ বাধা না দিলে) গতিশীল বস্তু সুষম বেগে ছুটতে থাকবে। এ কারণেই রকেট মহাকাশে ছুটে যেতে পারে বাড়তি জ্বালানি না পুড়িয়ে।

বিষয়টা এরকম—সাইকেলে জোরে প্যাডেল দিয়ে অনেকক্ষণ আর প্যাডেল না দিলেও সাইকেল চলতে থাকে। রকেটের ক্ষেত্রেও সহজে বোঝার জন্য ভাবতে পারেন, একবার জোরে ধাক্কা দিয়ে পৃথিবীর বাইরে যাওয়ার পর তা চলতে থাকবে। বোঝানোর জন্য বলা, যদিও উদাহরণটা পুরো এক নয়।

সব গ্রহের বেলায় এই মুক্তিবেগ কিন্তু ঘণ্টায় ৪০ হাজার কিলোমিটার হবে না। বৃহস্পতির মতো বড় গ্রহ থেকে বেরিয়ে যেতে চাইলে ঘণ্টায় আরও অনেক বেশি বেগে ছোটাতে হবে রকেট। যত বড় গ্রহ, তত বেশি মহাকর্ষ বল। আর মহাকর্ষ বল যত বেশি, রকেটকে তত জোরে ছুটতে হয়। বৃহস্পতি গ্রহ আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ। এত বড় যে এক হাজারটা পৃথিবী একসঙ্গে এর মধ্যে ঢুকে যাবে। তাই সেখানে থেকে বেরিয়ে যেতে হলে রকেটকে ছুটতে হবে ঘণ্টায় প্রায় ২ লাখ ১৪ হাজার কিলোমিটার বেগে! এই বেগ পৃথিবীর তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি।

SOURCE : দ্য কনভার্সেশন, নাসা, দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমিস প্রেস

14/08/2024

🙋‍♀️অত্যাবশকীয় ১০০টি সাংসারিক টিপস !!
জেনে রাখুন পরে কাজে লাগবে।
নিজে শিখুন ও অন্যকে জানার সুযোগ দিন।👇🧡
১। অনেকদিন বন্ধ থাকা বা অব্যবহৃত ঘর খুললে একটা ভ্যাপসা গন্ধ বের হয়। দু-তিনটে দেশলাই কাঠি জ্বালালে দু-তিন মিনিটের মধ্যে ঘর থেকে গন্ধ চলে যাবে।
২। চিনির পাত্রের মধ্যে দু-চারটি লবঙ্গ দিয়ে রাখলে পিঁপড়ে ঢুকবে না।
৩। চশমা ঝকঝকে পরিষ্কার রাখতে হলে এক ফোঁটা ভিনিগার দিয়ে কাঁচ পালিশ করুন।
৪। কাঠের আসবাবপত্র ঠাণ্ডা চা-পাতা ফোটানো জল দিয়ে পালিশ করুন। ঝকঝকে হয়ে উঠবে।
৫। ফ্রিজের গায়ে দাগ ধরে গেলে স্পঞ্জে টুথপেস্ট লাগিয়ে ঘষুন। দাগ উঠে যাবে।
৬। ফ্লানেলের টুকরো গ্লিসারিনে ভিজিয়ে দাগধরা জানালার কাঁচে ঘষুন। কাঁচ ঝকঝক করবে। কাঠ বা স্টিলের টেবিলে ঘষুন। সেখানকার দাগ উঠবে।
৭। জানালা, দরজার কাঁচ ঝকঝকে করে তুলতে মিহি চক গুঁড়োর সঙ্গে জল আর স্পিরিট অথবা কেরোসিন মিশিয়ে কিছুক্ষণ কাঁচের ওপর মাখিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে খবরের কাগজ দিয়ে মুছে নিন।
৮। ডিটারজেন্টের সঙ্গে একটা লেবুর রস ও এক চামচ ফিনাইল মিশিয়ে বাথরুমের টাইলস ঘষে দেখুন, কেমন ঝকঝক করে।
৯। হাতব্যাগের ধাতব অংশগুলিতে ন্যাচারাল কালারের নেলপালিশের এক প্রস্থ প্রলেপ দিয়ে রাখুন। সহজে বিবর্ণ হবে না।
১০। ছোট্ট একটুকরো ফ্লানেল বা কম্বলের কাপড়ে পাতিলেবুর রস মাখিয়ে চামড়ার ব্যাগ বা স্যুটকেশে ঘষলে। চামড়ার ঔজ্বল্ল্য বাড়বে।
১১। ঘরে চড়ুই পাখি বাসা বাঁধতে চায়। যদি চড়ুই পাখি তাড়াতে চান তাহলে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে দু-চার টুকরো কর্পূর জ্বালিয়ে দিন। আর ঘরমুখো হবে না।
১২। গ্যাসস্টোভের বার্নারে ময়লা ঢুকে গেলে বাড়িতে পরিষ্কার করার সহজ উপায় হল অ্যালুমিনিয়াম স্টিল বা লোহার বালতিতে ফুটন্ত জল ঢেলে তাতে দু টেবিল চামচ ড্রেনেক্স (Drainex) পাউডার গুলে বার্নার দুটি তার মধ্যে দু ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখুন। জলে ঝাঁপিয়ে ঝাঁপিয়ে ধুয়ে নিন।
১৩। গরম পোশাক বা সিল্কের পোশাক ধোওয়ার পর যদি ইউক্যালিপটাস তেল মেশানো জলে ডুবিয়ে নেন তাহলে পোকায় কাটার ভয় থাকবে না। পোশাকের ঔজ্বল্ল্য বাড়বে। এক বালতি জলে তেলের পরিমাণ হবে দু-টেবিল চামচ।
১৪। উলের পোশাক ধোওয়ার পর এক বালতি জলে আধ চামচ গ্লিসারিন দিয়ে তাতে ডুবিয়ে নিন। পোশাকের নরম ভাব বজায় থাকবে।
১৫। বাচ্চাদের জামাকাপড় বা কাঁথায় যদি তার বমির দুর্গন্ধ থেকে যায়, তবে কাচার পর জলে আধ চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে তাতে জামাকাপড় ডুবিয়ে নেবেন। দুর্গন্ধ দূর হবে।
১৬। ইস্ত্রি করার সময় কাপড়ে যে জল ছেটান তাতে কয়েক ফোঁটা পারফিউম ফেলে দিন। ইস্ত্রি হওয়া গোটা কাপড়টি সুগন্ধ ধরে রাখবে।
১৭। সুগন্ধির শিশি সবসময় তুলো বা কাপড়ে জড়িয়ে রাখবেন। তাতে সুগন্ধি ঢের বেশি দিন টিকবে।
১৮। ফ্লাক্সের ভেতরে অংশ ভালভাবে ধুতে হলে ফ্লাক্সে গরম জল ভর্তি করুন। তাতে কয়েক টুকরো কাগজ ফেলে দিন। ঘণ্টাখানেক পর ভাল করে ঝাঁকিয়ে নিয়ে জল ফেলে দিন। ভেতরের যাবতীয় নোংরা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
১৯। অনেক সময় ভ্যাকুয়াম ফ্লাক্স দীর্ঘ ব্যবহারের জন্য দুর্গন্ধ হয়। একটি ডিমের খোলা ভেঙে ফ্লাক্সের মধ্যে ফেলুন।
২০। কিছু কিছু অলংকারের তীক্ষ্ণ বা ধারালো প্রান্তের খোঁচায় পোশাক ছিঁড়ে যায় বা সুতো উঠে যায়। সেইসব ধারালো অংশে ন্যাচারাল নেলপালিশ লাগিয়ে দিন। খোঁচা লাগবে না।
২১। কাঠের ওপর বাচ্চারা আঁকিবুঁকি কাটলে তা তুলতে সিগারেটের ছাই খুব ভাল। সিগারেটের ছাই পাতলা কাপড়ে নিয়ে ঘষে ঘষে তোলা যাবে। একই কাজ হবে কেরোসিন দিয়ে।
২২। সিল্কের শাড়ি বা পোশাকে মাড় দিতে হলে, মাড়ের সঙ্গে একটু পাতলা আঠা গুলে নেবেন। পোশাক শুকিয়ে খটখটে করে ইস্ত্রি করবেন। সিল্ক ঝকঝক করবে।
২৩। পঞ্চাশ গ্রাম সাবুদানা জলে ফুটিয়ে স্বচ্ছ করে ছেঁকে নিন। ঠাণ্ডা করে তাতে দু-টেবিল চামচ সাদা ভিনিগার মেশান। এবার এই মিশ্রণটি একটি খালি স্প্রে বটলে ভরে রাখুন। এই তরল ছিটিয়ে ছিটিয়ে ইস্ত্রি করলে তা মাড়ের কাজ করবে। পোশাক নিভাঁজ হবে।
২৪। হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে বর্ষার জুতো, ছোটখাটো জামাকাপড় শুকিয়ে নেওয়া যায়।
২৫। বাচ্চাকে স্নান করানোর আগে নীচে তোয়ালে পেতে নেবেন। বাচ্চা হড়কে যাবে না। বসেও আরাম পাবে।
২৬। স্টিলের বাসন থেকে কোম্পানির নাম লেখা স্টিকারটি তোলা এক ঝামেলা। পাত্রের স্টিকার লাগানো অংশের উল্টোপিঠটা তাতিয়ে নিন। স্টিকার এবার সহজে উঠে আসবে।
২৭। নতুন কেনা জিনিসপত্রের ওপর থেকে দামের লেবেল তুলতে খোঁচাখুঁচি করবেন না। লেবেলের ওপর একটু সেলোটেপ চেপে দিন। তারপর সেলোটেপের এক প্রান্ত ধরে টানলে লেবেলটি উঠে যাবে।
২৮। দেওয়ালে পেরেক গাঁথার আগে পেরেকগুলো যদি ফুটন্ত গরম জলে ডুবিয়ে নেন তাহলে হাতুড়ি মারার সময় দেওয়ালের প্লাস্টার খসবে না।
২৯। শক্ত করে মুখ বন্ধ একটি ছোট্ট শিশিতে কর্পূর পুরে যন্ত্রপাতির বাক্সে রেখে দিন। যন্ত্রপাতিতে মরচে পড়বে না।
৩০। বেশ কিছুদিনের জন্য কোথাও বেড়াতে যাচ্ছেন ফ্রিজ খালি করে? ডিফ্রস্ট করে তা রেখে গেলেন। কিন্তু এসে দেখলেন দুর্গন্ধ হয়ে গেছে। দুর্গন্ধ দূর করবার জন্য যাওয়ার আগে ফ্রিজে পাতি লেবু রেখে দিন। দুর্গন্ধ হবে না।
৩১। ফ্রিজের বদগন্ধ দূর করতে সর্ষেগুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন। একটা প্লেটে কিছুটা সর্ষেগুঁড়ো ঢেলে তাতে একটু জল দিয়ে রাতভর ফ্রিজে রাখুন এবং ফ্রিজ খোলাই রাখুন। পরের দিন সকালে দেখবেন সব গন্ধ উধাও।
৩২। ব্যবহারের পর তেল বা পানীয়র টেট্রাপ্যাক ফেলে দেবেন না। কেটে ডিপ ফ্রিজে আইস ট্রেতে পেতে দিন। মাছ মাংসের প্যাকেট আটকে যাবে না।
৩৩। প্রেসার কুকারের গ্যাসকেট মাঝে মাঝে ফ্রিজে পুরে রাখবেন। দীর্ঘদিন টিকবে।
৩৪। টর্চের ফেলে দেওয়া ব্যাটারি কিন্তু কোয়ার্টিজ ঘড়িতে এবং রেডিওতে আরও মাস খানেক চলবে।
৩৫। বাড়িতে আঠা ফুরিয়ে গেছে। খামে স্ট্যাম্প লাগাবেন। ন্যাচারাল কালার নেলপালিশ ব্যবহার করুন।
৩৬। সেলোটেপের মুখ খুঁজে পাচ্ছেন না? মিনিট দশেক ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখে দিন। সেলোটেপের রিলটা খুলে আসবে।
৩৭। খামের ওপর ঠিকানা লিখে একটু মোমবাতি ঘষে দেবেন। জল পড়ে কালি থেবড়ে ঠিকানা অস্পষ্ট হয়ে যাবে না।
৩৮। টেবিল বা ক্যাবিনেটের ড্রয়ার অনেক সময় আটকে যায়। স্বচ্ছন্দে খোলা বা বন্ধ করা যায় না। ড্রয়ারের ধারে মোম ঘষে রাখুন। সহজে আটকাবে না।
৩৯। ব্যবহারের পর বাইসাইকেলের টায়ার ভিজে কাপড় দিয়ে মুছে রাখুন। সহজে কাটবে না।
৪০। নখের কোন ভেঙে গেছে। কিন্তু এমারি বোর্ড নেই। একটা দেশলাই কাঠি নিয়ে বারুদের দিকটা ভাঙা জায়গায় ঘষুন। নিমেষে নখ সমান হয়ে যাবে।
৪১। নেলপালিশ শুকিয়ে জমে গেলে ইউক্যালিপটাস তেল দিন। গলে নরম হবে। তবে নেলপালিশ ফ্রিজে রাখলে সহজে শুকোবে না।
৪২। এক লিটার জলে দু’চার চামচ ডিটারজেণ্ট গুলে ঝাঁকিয়ে দিন। এবার স্প্রেগান বা পিচকিরিতে ভরে ঘরের আনাচে কানাচে যেখান আরশোলার উপদ্রব বেশি সেসব জায়গায় স্প্রে করে দিন। আরশোলা মরবে।
৪৩। মোমবাতি জ্বালানোর আগে যদি বার্নিশ লিগিয়ে নিতে পারেন তো সাশ্রয় হবে। সহজে মোম গলবে না।
৪৪। ক্যাণ্ডেল হোল্ডারে মোমবাতি বসানোর আগে একটু তেল মাখিয়ে নেবেন। ফুরিয়ে গেলে জমা মোম তুলতে অসুবিধে হবে না।
৪৫। বোতলের ছিপি খুব শক্ত হয়ে আটকে গেলে, একটা রুমাল গরম জলে ভিজিয়ে নিংড়ে বোতলের ছিপির নীচে জড়িয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পরে ছিপিটি আলগা হয়ে আসবে।
৪৬। যাদের সিলিণ্ডার ক্যারিয়ার নেই তারা থার্মোকলের টুকরোর ওপর গ্যাস সিলিণ্ডার রাখুন। গ্যাস সিলিণ্ডারেও যেমন মরচে পড়বে না, মেঝেও মরচের দাগ থেকে রেহাই পাবে।
৪৭। গ্যাস ওভেন-এ রান্নার সময় কিছু উপচে পড়ে গেলে নুন ছিটিয়ে দিন। ওভেন ঠাণ্ডা হয়ে গেলে পোড়া জিনিসগুলো ভিজে স্পঞ্জ দিয়ে ভালভাবে মুছে দিন।
৪৮। রাতের দিকে বেসিনের পাইপের মুখে মাঝে মাঝে আধ কাপ মত ভিনিগার ঢেলে দেবেন। সকালে দু’মগ জল ঢেলে দিলেই বেসিনের পাইপ পরিষ্কার থাকবে।
৪৯। সিঙ্কের মুখ বন্ধ হয়ে গেলে নুন ফুটিয়ে সিঙ্কের মুখে ঢেলে দিন। পরিষ্কার হয়ে যাবে।
৫০। বালতি বা ড্রাম ফুটো হয়ে গেলে ঐ জায়গা পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিয়ে ধুনো গুঁড়ো করে নারকোল তেল এবং সিঁদুর মিশিয়ে মিশ্রণটি লাগান, ফুটো বন্ধ হয়ে যাবে।
৫১। আস্ত ধনেতে পোকা ধরেছে বলে ফেলে দেবেন না। ঘণ্টা খানেক ভিজিয়ে রেখে মাটিতে ছড়িয়ে দিন। ধনে পাতার চাষ হবে আপনার বাগানে।
৫২। দই যদি নষ্ট হয়ে যায় তো ফেলে দেবেন না। বাড়িতে কারি পাতার গাছ থাকলে তার গোড়ায় মাটিতে দিন। এতে পাতার তেজ ও সুগন্ধ দুই-ই বাড়বে।
৫৩। অ্যাকোরিয়ামের জল ফেলে দেবেন না। গাছের গোড়ায় দিন। সার হিসেবে চমৎকার।
৫৪। কাজুবাদাম ব্যবহারের সময় খোসাটা ফেলে দেওয়া হয়। ঐ ফেলে দেওয়া খোসাই গোলাপ গাছের সেরা সার।
৫৫। ব্যবহৃত চা-পাতা ফেলে না দিয়ে ভাল করে রোদে শুকিয়ে নিন। এইভাবে ঐ চা’পাতা ধুনোর বদলে ব্যবহার করুন। শুকনো চা’পাতা পোড়ানো ধোঁয়ায় ঘরের সমস্ত মশা, মাছি পালিয়ে যাবে।
৫৬। মশা তাড়াবার একটা সহজ উপায় হল, কয়েক টুকরো কর্পূর আধকাপ জলে ভিজিয়ে খাটের নীচে রেখে দিন। তারপর নিশ্চিন্তে ঘুমান।
৫৭। কয়লা বা কাঠ-কয়লার আগুনে নিমপাতা পড়লে যে ধোঁয়া হবে তাতে সবংশে মশা পালাবে।
৫৮। লোডশেডিঙের সময় যদি হ্যারিকেন বা কাঁচ ঢাকা বাতিদান জ্বালান তবে তার ওপর দু-একটা ব্যবহৃত মশা মারার রিপেলেন্ট রেখে দেবেন। আলোর সঙ্গে সঙ্গে মশা তাড়ানোর কাজও হবে।
৫৯। প্রতিদিন নিশিন্দা ও নিমপাতার গুঁড়ো ধুনোর সঙ্গে ব্যবহার করলে মশার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
৬০। ঘরের মধ্যে মশার উৎপাত কমাতে চাইলে, ঘরের বৈদ্যুতিক আলোটি হলুদ সেলোফেনে জড়িয়ে দিন। ফলে হলুদ আলো হবে। দেখবেন মশা কমে গেছে, কারণ মশা হলুদ আলো থেকে দূরে থাকতে চায়।
৬১। মাছি তাড়াতে পুদিনা পাতা ব্যবহার করুন। ছোট গ্লাসে একটু জল নিয়ে তাতে ৫/৬ গাছি পুদিনা রেখে দিন খাবার টেবিলে। ৩ দিন অন্তর জল বদলে দেবেন। জল অনুকূল হলে কিছুদিনের মধ্যে পুদিনা চারাও গজিয়ে যাবে গ্লাসে।
৬২। নিমপাতা ভেজানো বা সেদ্ধ জলে ঘর মুছুন। পোকা-মাকড়ের উপদ্রব কমবে। নিমপাতা তোশক বা গদির তলায় রাখুন পোকামাকড় হবে না।
৬৩। অনেক সময় ঘরে বা রান্নাঘরে সাপ ঢুকে যায়। কিছুটা রসুন বেটে কাপড়ে বেঁধে ঘরের কোণে রেখে দিলে ঘরের ভিতর সাপ ঢুকবে না।
৬৪। নিমপাতা পচা সার গাছে পোকা লাগতে দেয় না।
৬৫। বাচ্চাদের ঘরে মাছি, পিঁপড়ে হয়। যদি নুন ছিটিয়ে ঘর মোছা যায়, পিঁপড়ে মাছি কম হবে।
৬৬। আটা, ময়দা, ডাল পোকার হাত থেকে বাঁচতে হলে একমুঠো নিমপাতা শুকিয়ে উপরে ছড়িয়ে দিন, পোকা হবে না।
৬৭। সোনার গয়না দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করলে ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে যায়। ব্যবহার করার পর সিঁদুর মাখিয়ে রাখবেন। চকচক করবে। কুমড়োর রস দিয়েও গয়না পরিষ্কার করা যায়।
৬৮। বিয়ে বাড়িতে বা পার্টিতে যেদিন যাবেন, সোনার গয়নাগুলো কাঁচা হলুদ থেঁতো করে বা হলুদ গুঁড়ো জলে গুলে এক ঘণ্টা ভিজিয়ে ভাল করে মুছে নেবেন। উজ্জ্বলতা বাড়বে।
৬৯। আপনার সোনা-রূপোর গয়না টুথপেস্ট দিয়ে ঘষে নিন। জল দেওয়ার দরকার নেই। শুকনো কাপড়ে পেস্ট মুছে ফেলুন। দেখুন ঝকমকিয়ে উঠবে আপনার গয়না।
৭০। রূপোর জিনিস জলের সঙ্গে নুন আর রিঠা দিয়ে মিনিট পনেরো ফোটালে রূপোর স্বাভাবিক রং ফিরে আসে।
৭১। পাথরের গয়না টুথপেস্ট ঘষে পরিষ্কার করুন। নতুনের মত ঝলমল করবে।
৭২। পেতলের বাসন ঝকঝক করে তুলতে ক’ফোঁটা সেলাই মেশিনের তেলে হলুদ গুঁড়ো মেশান। ঐ তেলে ঘষে তুলুন বাসন। দেখবেন নতুনের মত দেখাচ্ছে।
৭৩। ব্রাসোর সঙ্গে সামান্য পাতিলেবুর রস মিশিয়ে ঘসুণ, কাঁসার জিনিস সোনার মতো ঝকঝক করবে।
৭৪। হলুদ গুঁড়োর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা সরষের তেল দিয়ে পেতলের বাসন ঘষলে চকচক করবে।
৭৫। রূপোর বাসন, কাঁটা-চামচ বা গয়নাটি তেঁতুল গোলা জলে ফুটিয়ে নিন। ঘষা-মাজা করতে হবে না। ফোটালেই ঝকঝক করবে।
৭৬। এনামেলের বাসন থেকে দাগ তুলতে নুন আর ভিনিগারের মিশ্রণ ব্যবহার করুন।
৭৭। বোন চায়নার বাসনে দাগ ধরে গেলে নেলপালিশ রিমুভার ব্যবহার করতে পারেন। দাগ উঠে যাবে।
৭৮। চাল ধোয়া জলে স্টীল ও কাঁচের বাসন কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রেখে তারপর ধুয়ে নিলে বাসনগুলো ঝকঝক করবে।
৭৯। পিতলের বা কাঁসার বাসন দীর্ঘদিন ব্যবহার না করার ফলে দাগ ধরে যায়। মাথার চুল ও সরষের তেল সহযোগে মাজুন, দেখবেন ঝকঝক হয়ে উঠবে।
৮০। রান্না পুড়ে পাত্রের তলায় এঁটে গেছে। পাত্রটিকে নুনজলে ভর্তি করুন। তারপর আঁচে বসান। জল ফুটতে শুরু করলেই পোড়া অংশ আলগা হয়ে উঠে যাবে।
৮১। রান্নার সময় হাতে হলুদেড় দাগ হলে, আলুর খোসা ছাড়িয়ে হাতে ঘষে, হাত ধুয়ে নিলে আর হলুদের দাগ থাকবে না।
৮২। টিন থেকে মরচে তুলতে হলে আলু কেটে বাসন ধোয়ার গুঁড়োয় ডুবিয়ে সেটা দিয়ে ঘষলেই মরচে উঠে যাবে।
৮৩। মরচের দাগ তুলতে হলে ১ কাপ চাল ২ লিটার জলে ফুটিয়ে সারারাত রাখতে হবে। পরের দিন সকালে জলটা ছেঁকে নিয়ে সেই জলে মরচে ধরা জায়গাটা ধুলে ফেলতে হবে। যদি এক দফায় না হয়, আবার একই নিয়মে ধুতে হবে।
৮৪। কফির যদি স্বাদ আরো বাড়াতে চান তাহলে সামান্য টেবিল-সল্ট মিশিয়ে নিন।
৮৫। তুলসীপাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখুন। চা তৈরীর সময় দু-চিমটি লিকারে দিয়ে দেবেন। আরো ভাল স্বাদ আসবে। নানা রোগও আটকাবে।
৮৬। বাড়িতে ঘি তৈরি করার জন্য দুধের সরটা বাটিতে ১/২ চামচ টক দই দিয়ে তার উপর রাখতে হবে। সরটা এমনভাবে রাখতে হবে যাতে পুরো দইটা ঢেকে যায়। এই ভাবে দই এর সাথে সর জমলে সর জমা যে গন্ধ হয় সেটা হবে না।
৮৭। এক টুকরো সন্ধক লবণ ঘি এর শিশির মধ্যে রেখে দিন। এতে ঘি বেশি দিন টাটকা থাকবে, স্বাদেরও পরিবর্তন হবে না।
৮৮। ঘিয়ের গন্ধ বজায় রাখতে হলে ঘি রাখার শিশিতে এক টুকরো আখের গুড় রেখে দিন।
৮৯। ভোজ্য তেলে ৮/১০ টা আস্ত গোলমরিচ ফেলে দিন। তেল দীর্ঘদিন অব্যবহৃত হলেও ভাল থাকবে।
৯০। দই পাতবার সময় দুধের সঙ্গে ১ চামচ কর্ণফ্লাওয়ার গুলে দেবেন। দই অনেক বেশি ঘন হবে।
৯১। গরু বা মোষের দুধ ঠিক সময় মতো গরম না করলে দুধ কেটে যাবার ভয় থাকে। দুধের মধ্যে দু-ফোঁটা সরষের তেল দিয়ে রাখলে দুধ যখনই ফোটান হোক না কেন দুধ কাটবে না।
৯২। দীর্ঘদিন বাইরে পড়ে আছে দুধ। ভয় হচ্ছে আঁচে বসালেই কেটে যাবে। আঁচে বসানোর আগে দুধে ১ চিমটি সোভা-বাই-কার্ব মিশিয়ে নিন। দুধ কাটবে না।
৯৩। দুধ পড়ে গেলে বা দুধ থেকে পোড়া গন্ধ দূর করতে হলে তাতে পান পাতা ফেলে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। পোড়া গন্ধ কেটে যাবে।
৯৪। পিঠে, পাটিসাপ্টা, মালপো প্রভৃতি তৈরি করার সময় গোলায় একটু আটা মিশিয়ে দিলে পিঠে ঠিকভাবে তৈরি হয়।
৯৫। চালের গুঁড়োর পিঠে করলে সাধারণত শক্ত হয়। পিঠে করার আগে যদি চালের গুঁড়োতে কিছুটা খই মাখিয়ে নেওয়া হয় তবে পিঠে নরম হয় এবং খেতেও ভাল লাগে।
৯৬। কেক, পুডিঙের ওপর বাদাম, কাজু বা কিশমিশ সাজিয়ে দেবার আগে, ধুয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে পড়ে খসে যাবার ভয় থাকে না।
৯৭। কাস্টার্ড তৈরীর সময় কাপ প্রতি দুধে দু-তিন চামচ মিল্ক পাউডার গুলে নেন তবে চমৎকার আস্বাদ আসবে। তৈরীর পর মোটা চিনির দানা যদি ছড়িয়ে দেন, কাস্টার্ডে সর পড়বে না।
৯৮। ছানা কাটানোর জন্য লেবুর রসের বদলে ফুটন্ত দুধে ১ চামচ দই ফেলে দিন। ছানা নরম হবে।
৯৯। বিস্কুটের টিনে এক টুকরো ব্লটিং পেপার রেখে দিন। বিস্কুট মিইয়ে যাবে না।
১০০। পোড়ামাটির জিনিসপত্র পরিষ্কার রাখতে হলে ওগুলোর ওপর ন্যাচারাল রঙের নেলপালিশ লাগিয়ে দিন। রং অক্ষত থাকবে আর নোংরা হবে না।

#সংগৃহীত

18/07/2024

ফেসবুকে ইন্টারনেটের গতি পরীক্ষা করবেন যেভাবে---

ন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা ফেসবুক অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই ইন্টারনেটের গতি পরীক্ষা করা যায়। এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে চাইলে মোবাইল ডেটা এবং ওয়াই–ফাই ইন্টারনেটের গতি জানা সম্ভব। এ জন্য অবশ্যই ফেসবুকের হালনাগাদ সংস্করণের অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। ফেসবুক অ্যাপের মাধ্যমে ইন্টারনেটের গতি পরীক্ষার পদ্ধতি দেখে নেওয়া যাক—
ইন্টারনেটের গতি পরীক্ষার জন্য প্রথমে ফেসবুক অ্যাপে প্রবেশ করে ওপরের ডানদিকে থাকা তিনটি ডট মেনুতে ট্যাপ করে নিচে থাকা সেটিংস অ্যান্ড প্রাইভেসি অপশন নির্বাচন করতে হবে। এবার ওয়াই–ফাই অ্যান্ড মোবাইল পারফরম্যান্স অপশন নির্বাচন করে পরবর্তী পৃষ্ঠায় থাকা ‘চেক ইউর কারেন্ট স্পিড’ ট্যাপ করলেই পর্দায় ব্যবহার করা ইন্টারনেটের গতি দেখা যাবে। ওপরে থাকা মোবাইল ট্যাব অপশনে ক্লিক করে ডেটা খরচের বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

10/07/2024

ফেইসবুকে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (Two-factor Authentication) কি? কিভাবে এটা চালু করবেন?
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন একটি সিকিউরিটি ফিচার যা আপনার ফেইসবুক একাউন্ট এর পাসওয়ার্ড এর সঙ্গে অতিরিক্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করে। টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন সেট আপ করলে অপরিচিত কোনো ব্রাউজার বা মোবাইলে আপনার ফেইসবুক একাউন্ট লগইন করার চেষ্টা করা হলে প্রতিবার একটি বিশেষ লগইন কোড চাওয়া হবে। সেই কোড টি না দিলে আপনার একাউন্টের লগইন করার ইমেইল/মোবাইল এবং পাসওয়ার্ড জেনে গেলেও কেউ আপনার একাউন্টে লগইন করতে পারবে না। এছাড়াও আপনার একাউন্টে কেউ লগইন করার চেষ্টা করলে প্রতিবার আপনার কাছে একটি এলার্ট চলে আসবে।

বিশেষ সেই লগইন কোড টি আপনার মোবাইল নম্বরে এসএমএস, কোনো থার্ড পার্টি অথেনটিকেটর অ্যাপ, অফলাইন রিকভারি কোড অথবা সিকিউরিটি কি এর মাধ্যমে সেট করা যায় যার এক্সেস আপনি ছাড়া অন্য কারো কাছে থাকা সম্ভব না।

মোট কথা একাউন্ট হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯% দূর করে দিতে পারে এই টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ফিচারটি।

টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করতে যা করতে হবেঃ

আপনার ফেইসবুক একাউন্টের Security and Login Settings এ যান।
সেখান থেকে নিচে স্ক্রল করে Use two-factor authentication অপশনে গিয়ে Edit এ ক্লিক করুন।
এবার আপনি যে সিকিউরিটি মেথডটি ব্যবহার করতে চান, সেটি নির্বাচন করুন এবং পরবর্তী নির্দেশনা গুলো অনুসরণ করে মেথডটি সক্রিয় করুন।

যখন আপনি ফেইসবুক টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করতে যাবেন তখন আপনার এই ২টা মেথডের যেকোনো একটি মেথড ব্যবহার করে ফিচারটি চালু করতে হবেঃ

কোনো থার্ড পার্টি অথেনটিকেটর অ্যাপ এর মাধ্যমে লগইন কোড
আপনার মোবাইল নম্বরে টেক্সট মেসেজ (এসএমএস) এর মাধ্যমে কোড
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবহার করতে আপনাকে উপরে উল্লেখিত দুইটি মেথডের যেকোনো একটি সেটআপ করতেই হবে। এসএমএস কিংবা থার্ড পার্টি অথেনটিকেটর অ্যাপ এর যেকোনো একটি মেথড চালু একবার চালু করা হয়ে গেলে, পরবর্তীতে আপনি চাইলে অতিরিক্ত সিকিউরিটির জন্য নিচের এই মেথডগুলো ও সক্রিয় করতে পারেনঃ

পরিচিত কোনো ডিভাইসের মাধ্যমে লগইন এটেম্পট এপ্রুভ করে দেওয়া
অফলাইন রিকভারি কোড
কম্প্যাটিবল ডিভাইসে সিকিরিটি কি ইনপুট এর মাধ্যমে

এই পোষ্টটি লিখবো বলে অনেকদিন যাবত ভাবছিলাম। মাঝে ব্যস্ততার কারণে আর তেমন পোষ্ট করা হচ্ছে না। তবে আজ সময় বের করে লিখেই ফেললাম। আশা করি অনেকের কাজে লাগবে।

টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন আপনার একাউন্টে চালু করা আছে? না থাকলে পোস্টের নির্দেশনা পড়ে করে ফেলুন।

Reference: Facebook Help Center

08/07/2024

ফেসবুক অনেক বেশি ব্যবহার হওয়ার কারণে আমরা সবাই ফেসবুককে মেসেজিং মাধ্যম হিসাবেই ব্যবহার করে থাকি। আমাদের সাথে আমাদের অনেক বন্ধুদের গুরুত্বপূর্ণ অনেক কথাই হয়ে থাকে। বিভিন্ন কারণে আমরা আমাদের বন্ধুদের গুরুত্বপূর্ণ মেসেজগুলো ডিলেট করে ফেলি অথবা আমাদের মেসেজ পাঠিয়ে সেটি আবার ডিলেট করে ফেলে৷ ফেসবুকের পাঠানো মেসেজগুলো ডিলেট করার পরেও রিকভার করা যায়। কীভাবে ফেসবুকের ডিলেট হওয়া মেসেজ ফিরিয়ে আনবেন। আজকে এটাই আমাদের টপিক।

১. কাজটি শুরু করার আগে আপনাদের ফোনে ফেসবুকের অফিসিয়াল অ্যাপটি ইনস্টল করে নিবেন। ফেসবুকের অফিসিয়াল অ্যাপটি ছাড়া আপনারা এই কাজগুলো করতে পারবেন না। তাই অবশ্যই ফেসবুকের অফিসিয়াল অ্যাপটি আপনাদের ফোনে ইন্সটল করে নিবেন।

২. এবার আপনারা যে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ডিলেট করা মেসেজ বা ডিলেট করা কনভারশন রিকভার করতে চান সেই ফেসবুক একাউন্ট টি আপনাদের ফেসবুকের অফিসিয়াল অ্যাপটিতে লগ-ইন করে নিবেন।

৩. তারপর আপনার বাম কোণের একদম উপরে অ্যাকাউন্ট মেনুবার অপশনে ক্লিক করুন।

৪. এবার আপনারা স্ক্রোল করে একটু নীচ থেকে Settting And Privacy অপশনে ক্লিক করবেন।

৫. তারপর আপনারা আবারো নীচ থেকে Setting অপশনে ক্লিক করবেন।

৬. এবার আপনারা স্ক্রোল করে একদম নিচে আসবেন। নিচে আসার পর Download Your Information অপশনে ক্লিক করুন।

৭. তারপর Continue অপশনে ক্লিক করবেন।

৮. এবার আপনাদের ইনফরমেশনগুলো ডাউনলোড করার জন্য ফেসবুকের কাছে রিকোয়েস্ট করতে হবে৷ যাতে ফেসবুক আপনার চাহিদা অনুযায়ী সকল ডকুমেন্টস তৈরি করতে পারে। তো এর জন্য আপনারা আবারো Request A Download অপশনে ক্লিক করবেন।

৯. তারপর আপনাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এর সাথে যুক্ত থাকা সকল অ্যাকাউন্ট এর লিস্ট দেখতে পারবেন। সেগুলো সবগুলোতে টিক-মার্ক দেওয়া থাকবে। আপনাদের যেগুলোর দরকার নাই সেগুলো থেকে টিক মার্ক রিমুভ করে দিবেন। আর যে অ্যাকাউন্ট থেকে মেসেজ রিকভার করতে চাচ্ছেন সেই অ্যাকাউন্টে ব্লু টিক মার্ক দিয়ে রাখবেন এবং Next এ ক্লিক করবেন।

১০. এবার আপনারা নীচ থেকে Select Types Of Information অপশনে ক্লিক করবেন।

১১. তারপর একটু নীচ থেকে Message অপশনটি সিলেক্ট করে দিবেন আর নীচ থেকে Next অপশনে ক্লিক করবেন।

১২. এবার আপনারা একদম নীচ থেকে Submit Request অপশনে ক্লিক করবেন।

১৩. কাজগুলো সব ঠিকঠাক ভাবে করা হয়ে গেলে একদম উপরে Done অপশনে ক্লিক করুন।

এবার আপনারা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। আপনার রিকোয়েস্ট করা ফেসবুকের সমস্ত মেসেজগুলো ডাউনলোড করার জন্য ফেসবুক তা HTML ফাইল আকারে রেডি করবে। ফেসবুকের কাজগুলো সম্পূর্ণভাবে করা হয়ে গেলে ফেসবুক আপনাদের নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানিয়ে দিবে। তখন আপনি আপনার ডিলেট হওয়া মেসেজ সহ যাবতীয় সমস্ত মেসেজগুলো ডাউনলোড করার পারমিশন পেয়ে যাবেন। সবগুলো প্রসেস কমপ্লিট ৫/১০ মিনিটের মতো লাগতে পারে৷

১৪. আপনাদের ফাইলটি তৈরি হওয়ার পর ফেসবুক থেকে একটি কনফার্ম নোটিফিকেশন শো করাবে।

১৫. এবার আপনারা নোটিফিকেশনে ক্লিক করে আপনাদের HTML আকারের মেসেজ ফাইলটি Download অপশনে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিন।

তারপর আপনারা ফাইলটি আপনাদের ফাইল ম্যানেজারের HTML ভিউ আকারে ওপেন করবেন। সেখানেই আপনাদের সমস্ত মেসেজ ডিটেইলস দেখতে পারবেন।

এভাবেই আপনারা খুব সহজেই আপনাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ডিলেট করা মেসেজ বা মেসেজ কনভারশন রিকভার করতে পারবেন। আশাকরি টপিকটি আপনাদের একটু হলেও হেল্পফুল হবে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং আমাদের এর সাথেই থাকবেন।

তথ্যসূত্র: অনলাইন

Send a message to learn more

07/07/2024

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়া বাঁচাতে সেরা ৫ টি টিপস

১. শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন - Use Stronge Password

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে প্রথমেই আপনাকে যে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে তা হলো শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা। আপনার ব্যবহার করা পাসওয়ার্ড যত বেশি কঠিন হবে আপনার অ্যাকাউন্ট ততো বেশি সুরক্ষিত হবে। আপনি যখন ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পাসওয়ার্ড যুক্ত করবেন তখন সেই পাসওয়ার্ড 7 অথবা তার বেশি সংখ্যার পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন। এতে আপনার পাসওয়ার্ড সহজে কেউ আন্দাজ করতে পারবে না। কেউ হঠাৎ একনজর দেখলেও আপনার পাসওয়ার্ড মনে রাখতে পারবে না। তাই যতোটা পারবেন বড়ো পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন।

তবে একটি বিষয় মাথায় রাখবেন, বড়ো পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন তবে এমন ভাবে পাসওয়ার্ড দিবেন যা আপনার মনে রাখা সহজ হয়। এক্ষেত্রে আপনি আপনার পাসওয়ার্ড এর সাথে বড়ো, ছোট, নাম্বার একসাথে যুক্ত করে পাসওয়ার্ড দিতে পারলে সেটি আরো বেশি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড হয়। তাই আমি রিককমান্ড করবো আপনি মিশ্রিত পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন যাতে সহজে কেউ আন্দাজ করতে না পারে। এইভাবে আপনি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিতে পারবেন। তাই আর দেরি না আজকেই আপনার ফেসবুক পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে ফেলুন।

২. টু-স্টেপ ভেরিফাই চালু করুন - Turn On Two Steps Verification

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত করতে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করার বিকল্প আর কিছুই নাই। আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রাইভেসি আরো বেশি শক্তিশালী করতে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করা খুবই প্রয়োজনীয়। আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু থাকলে আপনার অনুমতি ব্যতীত আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কেউ লগ-ইন করতে পারবে না। আপনি ব্যতীত অন্য কেউ যদি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড জেনেও থাকে, তাহলেও সে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না।

টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু থাকার কারণে কোনো অপরিচিত ব্যক্তি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড জেনে থাকলেও সে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না। কারণ পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ-ইন করার সাথে সাথে ফেসবুক একটি ভেরিফিকেশন কোড আপনার টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করা নাম্বারে পাঠাবে। উক্ত কোড দিয়ে ভেরিফাই না করা পর্যন্ত আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকি টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন কোড ছাড়া আপনি নিজেও আর কখনো আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবেন না।

তাই মনে রাখবেন, আপনার যে নাম্বার অথবা জিমেইল সচল আছে শুধুমাত্র সেই জিমেইল বা নাম্বারে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করবেন। নয়তো পরবর্তী আপনি আর সেই অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করতে পারবেন না। টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু থাকলে অনেক সময় কোড আসেনা এমন সমস্যাও হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট এর জন্য টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন রিকভারি কোড সংগ্রহ করে রাখতে পারেন। এছাড়াও বেশি সমস্যা হলে আপনি আপনার NID কার্ড দিয়ে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন বাইপাস করতে পারবেন। তবে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু থাকলে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সর্বোচ্চ সুরক্ষিত থাকলে তাই আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু না থাকলে আর দেরি না এখনি ফেসবুক টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করুন৷

৩. অ্যাকাউন্ট রানিং ভেরিফাই - Running Verify Account

আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সুরক্ষা আরো এক ধাপ এগিয়ে রাখতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রানিং ভেরিফাই করে নেওয়া উচিত। এতে আপনার অ্যাকাউন্ট সহজে নষ্ট হবে না। এমনকি ফেসবুকের ভায়োলেশন জনিত কারণেও আপনার অ্যাকাউন্টের অনেক বেশি সুরক্ষিত থাকবে৷ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রানিং ভেরিফাই করা থাকলে আপনি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এক্সেস হারিয়ে ফেললেও ফেসবুকের সার্পোট টিমের কাছে আপনার অ্যাকাউন্টের যাবতীয় সকল প্রমাণ দিতে পারলে আপনার অ্যাকাউন্ট ফিরে পাওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি হয়। এতে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রানিং ভেরিফাই করা থাকলে আপনি এই কাজগুলোতে অনেক বেশি সফলতা পাবেন।

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রানিং ভেরিফাই করতে হলে আপনার কোনো প্রকার ফি প্রদান করতে হবে না। আপনি একদম ফ্রিতেই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রানিং ভেরিফাই করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার অ্যাকাউন্ট Ads On Reals অপশনিও চালু হয়ে যাবে৷ তবে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রানিং ভেরিফাই করতে হবে অবশ্যই আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এর নাম, আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের জন্ম সাল আপনার NID, Passport, Driving Licences ইত্যাদি সাথে সম্পূর্ণ এক থাকতে হবে। তাহলে আপনি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রানিং ভেরিফাই করতে পারেন। ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রানিং ভেরিফাই করা নিয়ে আপনারা বিস্তারিত টিউন চাইলে অবশ্যই টিউমেন্ট করে জানিয়ে যাবেন।

৪. অপরিচিত ডিভাইস ব্যবহার - Unknown Device Log-in

ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে আপনাকে অপরিচিত ডিভাইস থেকে লগ-ইন করার অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। আপনি যদি নিয়মিত আলাদা আলাদা ডিভাইস থেকে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করে থাকেন তাহলে আজকেই সেই সমস্ত ডিভাইস আপনার লগ-ইন ডিভাইস থেকে রিমুভ করে দিন। আপনি অপরিচিত কোনো একটি ডিভাইস থেকে লগ-ইন করলে পরে আবার লগ-আউট করতে ভুলে গেলে উক্ত ডিভাইসে সেভ থাকা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দ্বারা উক্ত ব্যক্তি আপনার যেকোনো পারসোনাল ডেটা দেখে নিতে পারবে৷ তাই আপনার অ্যাকাউন্টে যদি আলাদা আলাদা ডিভাইস থেকে লগ-ইন থেকে থাকে তাহলে সেই ডিভাইসগুলো রিমুভ করে দিন।

আপনি অনেক বেশি আলাদা আলাদা ডিভাইস থেকে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করার কারণে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট টি পারমানেন্ট ব্যান করে দিতে পারবে। এছাড়াও আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট টির Browser Cookies ব্যবহার করে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট টি হ্যাক করে নিতে পারে। চুরি হয়ে যেতে পারে আপনার সমস্ত প্রাইভেসি আর ডেটা। আপনি যদি ইতিমধ্যে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট টি আলাদা আলাদা ডিভাইস থেকে লগ-ইন করে থাকেন তাহলে আজকেই আপনার পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করে দিন। আর সেই সাথে ডিভাইসগুলো ভিউ করে সমস্ত ডিভাইস আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লগ-আউট করে দিন। এতে আপনার ফেসবুক আরো বেশি সুরক্ষিত থাকবে।

৫. সচল জিমেইল অ্যাকাউন্ট যুক্ত করুন - Add Active Gmail Account

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আরো বেশি সুরক্ষিত করতে চাইলে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি সচল জিমেইল যুক্ত করুন। একটি সচল জিমেইল একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টের বড়ো প্রাইভেসির কারণ হতে পারে। উপরে আলোচনা করা টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন সিস্টেমটি আপনি একটি সচল জিমেইল ব্যবহার করেও করতে পারবেন। এতে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রতিবার লগ-ইন অ্যালার্ট নোটিফিকেশনের মাধ্যকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এতে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আরো বেশি সুরক্ষিত থাকবে। আপনি ব্যতীত অন্য কেউ আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি যদি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি সচল জিমেইল যুক্ত করেন তাহলে আপনি ব্যতীত আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড কেউ পরিবর্তন করতে সেটা ফেসবুক আপনাকে জিমেইল করে জানিয়ে দিবে। এছাড়াও আপনি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের অচেনা লগ-ইন ঠেকাতে আপনি আপনার জিমেইল দিয়ে আপনার অ্যাকাউন্ট লক করে দিতে পারবেন। যার কারণে আপনার প্রাইভেসি সুরক্ষার আরালে থাকবে। পরবর্তী আপনি আবারো আপনার ইনফরমেশন দিয়ে আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যাক আনতে পারবেন। একটি সচল জিমেইল আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে যুক্ত করে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আরো বেশি সুরক্ষিত করতে পারবেন। ধন্যবাদ।

তথ্যসূত্র: অনলাইন

Address

Sylhet

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Somir Itbd posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share