মোঃ রিপন আহমদ

মোঃ রিপন আহমদ Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from মোঃ রিপন আহমদ, Digital creator, sylhet, Sylhet.
(19)

🎬 মজার ভিডিও | 🧠 জ্ঞানমূলক গল্প | 🎭 ভাবনার স্ট্যাটাস
📸 ছবি | 🎥 রিলস | 📚 জীবনের কথা

👉 প্রতিদিন নতুন কিছু পেতে আমাদের সঙ্গে থাকুন
💬 কমেন্ট করে জানান কেমন লাগছে
📩 ইনবক্সে যোগাযোগ করতে পারেন যেকোনো সময়
❤️ Follow দিয়ে সাথেই থাকুন!

 #অনুগল্প, #আমি_শুধু_তোমার_তুমি_শুধু_আমার, #রিপন_আহমদ আমার নাম মোঃ রিপন আহমদ।আর আমার ছোট ভাই মোঃ রাহিম আহমদ।আমার ছোট ভা...
26/09/2025

#অনুগল্প,
#আমি_শুধু_তোমার_তুমি_শুধু_আমার,
#রিপন_আহমদ

আমার নাম মোঃ রিপন আহমদ।
আর আমার ছোট ভাই মোঃ রাহিম আহমদ।

আমার ছোট ভাই রাহিম আমার রুমে এসে মন খারাপ করে বসে আছে।

আমি বাসায় এসে আমার রুমে গেলাম। গিয়ে দেখি?

রিপন: ওই কি হয়েছে তোর?
রাহিম: আম্মা আমাকে টাকা দিচ্ছে না।
রিপন: তোর টাকা কেনো লাগবে?
রাহিম:লাগতে পারে না। আমার পারসোনাল কাজ আছে।
রিপন: এই তোর বয়স কত যেনো?
রাহিম: ১০ বছর কেনো?
রিপন: ১০ বছর বসয়ে তোর পারসোনাল কি কাজ আছে বল টাকা আমি দিবো যা।
রাহিম দেখি লজ্জা পাচ্ছে।
রাহিম: আমার গফকে বিকালে ঘুরাইতে নিয়ে যাইতে হবে তাই।
রিপন: ওই তোর কিসের গফ বাচ্চা পোলা পাইন।
রাহিম: নিজের না থাকলে সবাই এমনি বলে।
(আমার ইগো তে লাগলো)
রিপন: কত লাগবে বলে?১০ টাকা ২০ টাকা ৫০ টাকা কত লাগবে বল।
রাহিম: বেশি না ৫০০ টাকা হলে কোনো রকম চলবে।
রিপন:ওই কি বলছ ৫০০ টাকা।
কি আর করার ইগুতে লাগলো তাই দিলাম।
বুদ্ধি করে রাহিম এর পিছু নিলাম।
রাহিম: জানপাখি কই যাবা বলো।
মেয়ে: পার্কে চলো।
পার্কে গেলে মনে করলাম এক সাথে খেলবে।
দেখি দুইটা এক কোনাতে বসলো।
রাহিম : জানপাখি একটা কিস দাও না।
মেয়ে: না বেবি কাল কে না ১০ টা দিলাম।
রাহিম: ১০ টা দিয়ে দিন চলে না।আজকে দিবা না হলে ব্রেকআপ।
মেয়ে: ওকে নাও।
এই বসয়ে আমরা ফিডার খাইতাম এরা তো দেখি কিস খায়।
এরপরে মেয়েটা কে নিয়ে ছোট ভাই ফুসকা চকলেট খাইলো।
১ ঘন্টা পরে মেয়েটাকে মেয়েদের বাসার দিকে দিয়ে আসলো।
আমার মনে হলো রাহিম বাসায় চলে আসবে !কিন্তু, না তো ১৩ নাম্বার গলীর দিকে যাচ্ছে।
ওমা এটা কি আরেক টা মেয়ে কে নিয়ে আসছে।
মেয়েটা: এই তোমার এত দেরি কেনো হলো।
রাহিম: আরো বলো না আম্মু ভাইয়া আমাকে যা বিরক্ত করে। বাসা থেকে বাহির হতে দেয় না।শুধু তোমার জন্য পালিয়ে আসছি।
মেয়েটা:সরি বেবি এত কষ্ট দেওয়ার জন্য।
রাহিম: চলো যাই নদীর পারে।
নদীর পারে গেলো এক পাশে বসলো।
রাহিম: কি ভাবছো?
মেয়েটা: তোমার কি অন্য কোন গফ আছে।
আমি::এই তো হারামি এই বার বুঝবি।
রাহিম: কি বলেছো তুমি?
মেয়েটা: তোমার আর কোনো গফ আছে কি?
রাহিম: সেই প্রথম দেখায় ভালো লেগেছিল তোমাকে! ভাইয়া থেকে মাইর খেয়ে ও চুরি করে তোমাকে দেখতে আসতাম। আর আজ তুমি বলছো আমার...
মেয়েটা:সরি জানু সরি।
মেয়েটা নিজে থেকে ছোট ভাইকে কিস দিয়ে দিলো।
কিছু সময় পরে মেয়েটা চলে গেলো ছোট ভাই নদীর পারে বসে ছিলো।
আবার একটা মেয়ে আসলো দেখে মনে হয় রাহিম এর বয়সে বড় হবে।
রাহিম: প্রতি দিন দেরি করো কেনো?
মেয়েটা: সরি জানু।
রাহিম: জানপাখি তুমি আর আমি মাএ ২ বছরের ছোট বড়।
মেয়েটা: থাক এই সব কথা রাখো।আমি শুধু তোমার তুমি শুধু আমার.....

এরপরে কিছু মনে ছিলো না আমার ।
চোখ খুলে দেখি আমি বাসায় হাতে সেলাইন লাগনো।
ছোট ভাই আমার দিকে রাগি ভাবে তাকিয়ে আছে....
সমাপ্ত,,

#রিপন_আহমদ

“আরে, তুমি রিমি না? চিনতে পেরেছো আমাকে? আমি তোমার আকবর চাচা। সেই ছোটবেলায় দেখেছিলাম তোমায়। বাহ, এখন কতো বড়ো হয়ে গিয়েছো!”...
24/09/2025

“আরে, তুমি রিমি না? চিনতে পেরেছো আমাকে? আমি তোমার আকবর চাচা। সেই ছোটবেলায় দেখেছিলাম তোমায়। বাহ, এখন কতো বড়ো হয়ে গিয়েছো!”

“আসসালামু আলাইকুম চাচা। অবশ্যই আপনাকে চিনতে পেরেছি। চাচা, আপনার শরীর ভালো আছে?” রিমি সহাস্যমুখে বললো।

“ওয়ালাইকুম আসসালাম। আল্লাহ্‌র রহমতে ভালোই আছি। তুমি ভালো আছো তো, মা?”

“জ্বি চাচা, খুব ভালো আছি।”

“এই পার্কের মধ্যে একা একা বসে কি করছিলে, মা? কারো জন্য অপেক্ষা করছো কি?”

“জ্বি চাচা। ওই যে সামনের “দ্য স্মার্ট চাইল্ড স্কুল” টা দেখছেন, ওই স্কুল থেকে আমার বাবুটা আসবে এখানে। তাই বসে বসে অপেক্ষা করছি। বেশি দেরি হবে না অবশ্য, এখনি এসে পড়বে।”

“তো তোমরা নেত্রকোনা থেকে ঢাকায় কবে আসলে? আর তোমার বাবা-মার শরীর ভালো আছে তো?”

“জ্বি চাচা, আব্বু আম্মু ভালো আছেন। আব্বুর কোমরে একটু ব্যথা আছে শুধু। ঔষধ খেয়ে যেতে হয় রেগুলার। আর আমরা নেত্রকোনায় এসেছি প্রায় তিন বছর হতে চললো। আপনি এদিকে কোথাও যাচ্ছিলেন নাকি?”

“বয়েস হয়েছে মা। বিকালে এই পার্কে একটু হাঁটাহাঁটি করি। তাহলে শরীরটা খানিক সতেজ থাকে। তাছাড়া, এখান থেকে আমার বাসাও কাছেই। যাবে তুমি?”

“আজ না চাচা। স্কুল ছুটি হলে বাবুটা এসে খুঁজবে আমাকে। অন্য একদিন যাবো।”

“আচ্ছা, মা। বাবুটাকে নিয়ে যেয়ো। তো বাবুটা কি ছেলে? না মেয়ে?”

“অবশ্যই ছেলে।”, আকবর চাচা একটু ভ্রু কুঁচকে তাকালো।

“নাম কি রেখেছো?”

“বাবুর নাম?”

“হুম।”

“রিপন। আরো নাম আছে ওর। আমি রিপন বলেই ডাকি। ও এখনি এসে পড়বে। আপনি বসুন চাচা, আপনার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো। খুব মিষ্টি ছেলে।”

“ঠিকাছে মা। তুমি এখন কি করছো তাহলে? পড়াশোনা শেষ?”

“না চাচা, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে অধ্যয়ন করছি। অনার্সের আরো তিনটা সেমিস্টার বাকি।”

আকবর চাচা কথাটা শুনে মনে মনে ভাবছে, পড়াশোনা শেষ না করেই বিয়ে, বাচ্চা এগুলোতে জড়ানো ঠিক হয় নি মেয়েটার। বেশ কিছুক্ষণ গল্প করলো চাচা-ভাতিজি। আকবর চাচার আর বসে থাকতে ইচ্ছে করছে না। কিছুটা বাধ্য হয়েই বললো, “আজ আমি উঠি, মা। তোমার বাবুর সাথে আরেকদিন দেখা করা যাবে। আমার এ সময় একটু না হাঁটলে শরীরে প্রচন্ড ব্যথা জমা হয়।”

“আরে না চাচা। এতোক্ষণ যখন বসেছেন, আর দু চার মিনিট বসুন, ও ঠিক চলে আসবে।”

রিমি বাদামওয়ালাকে ডাকলো, “এই যে বাদাম, এদিকে আসুন।”

বাদামওয়ালা রিমির ডাক শুনেও ওদিকে হেঁটে চলে যাচ্ছে। রিমি বেশ কয়েকবার ডাকলো, “এই বাদাম, এই বাদাম....।”

তবুও বাদামওয়ালা পরোয়া না করে নিজের মতো হেঁটে চলে যাচ্ছে। এবার বেশ রাগ হলো রিমির। রিমি নিজেই দ্রুত গতীতে হেঁটে গিয়ে বাদামওয়ালাকে বললো, “কি ব্যাপার? আপনাকে ডাকছি তবু শুনছেন না ক্যানো?”

“আফা, আফনে তো ‘এই বাদাম, এই বাদাম’ কইরা বাদামডিরে ডাকতাচুইন, আমারে না। বাদামডিরে তো আর আমি বাইন্দা রাখচি না, জিগায়া দেখুইন কেরে যায় নায় আমার মাথার উপ্রে থাইকা।”

রিমি রাগ কন্ট্রোল করে দশ টাকার বাদাম কিনলো। নিজে কয়েকটা বাদাম রেখে বাকি বাদাম গুলো আকবর চাচার হাতে দিয়ে বললো, “নিন চাচা, বাদাম খান, ভালো লাগবে।”

এরই মধ্যে সেই বহুল প্রত্যাশিত বাবু এসে হাজির হলো। লম্বায় প্রায় আকবর চাচার সমান। ভরাট চেহারা। সুদর্শন বলাই যায়। এসেই রিমিকে বললো, “সরি বাবু, একটু দেরি হয়ে গেলো। বুঝোই তো, স্কুলের বাচ্চাকাচ্চাদের পড়ানো কি একটা ঝামেলার কাজ।”

রিমি তার বাবুকে আকবর চাচার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো। পরিচয়পর্ব শেষে আকবর চাচা বাদাম হাতে সামনের দিকে হাঁটছে আর ভাবছে, এতো বড়ো বাবু আমি জীবনেও দেখি নি। মাশআল্লাহ!
“রিমির বাবু”

সমাপ্ত,,

#রিপন_আহমদ

 #অনুগল্প:-আমি রিপন। কাল এক বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলাম।। দেখলাম শত শত মেয়ে। অনেক স্টাইল করা,,, এর মধ্যে থেকে অনেক কেই চিনি না...
22/09/2025

#অনুগল্প:-

আমি রিপন। কাল এক বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলাম।। দেখলাম শত শত মেয়ে। অনেক স্টাইল করা,,, এর মধ্যে থেকে অনেক কেই চিনি না,,, কিন্তু অনেক কেই পছন্দ হয়ে গেলো
আমি এমনিতে দেখতে সুন্দর না হলেও মুটামুটি ভালোই...
এরপর দেখলাম একটা মেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে....
তার নিরব নজর আমাকে মুগ্ধ করে দিচ্ছিল... একটু পরেই দেখলাম মেয়েটা মুচকি মুচকি হাসছে।। আমার মনে 100% love গান টা বেজে উঠলো
লক্ষ্য করলাম মেয়েটা তার বান্ধুবীদের আমাকে দেখিয়ে দেখিয়ে কি যেন বলছে...
আমিও পোজ দিয়ে দাড়িয়ে আছি...
একটু পরেই মেয়ে টা আমার কাছে এলো।।।
আমার হার্টবিট বেড়ে গেলো... আমাকে একটা নাম্বার দিলো আর বললো এখন বাইরে গিয়ে তাকে যেন কল দেই...
আমি ভাবলাম এই মেয়েকে আমার লাগবেই... দৌড়ে বাইরে গেলাম... তার দেয়া নাম্বার এ কল দিলাম... সাথে সাথেই সে কলটা রিসিভ করলো....
আর বললো "
:

:

:

:

ভাইয়া আপনার প্যান্টের চেইন খোলা... এরপর থেকে একটু সাবধান...

---- ইজ্জতহানি ----
#রিপন_আহমদ

🤣😆🙈✨তুমি কি দেখেছো কভু,রুটি কিভাবে হয়? 🍞🔥আটার নরমে, তাওয়ার গরমে,ফুলে ফুলে রুটি হয়। 😍🥰আমি তো দেখেছি কত না রুটি,পুড়ে পুড়ে ...
21/09/2025

🤣😆🙈
✨তুমি কি দেখেছো কভু,
রুটি কিভাবে হয়? 🍞🔥
আটার নরমে, তাওয়ার গরমে,
ফুলে ফুলে রুটি হয়। 😍🥰

আমি তো দেখেছি কত না রুটি,
পুড়ে পুড়ে ছাই হয়। 😅🔥
বেলুনির চাপে কারো কারো রুটি,
মানচিত্রও হয়! 🗺️😂

ভাজি রুটিগুলো টানার চোটে,
ছিড়ে ফানা ফানা হয়। 😆🙈
আটার নরমে, তাওয়ার গরমে,
ফুলে ফুলে রুটি হয়। 😍🥳
ফুলে ফুলে রুটি হয়। 💕

🍽️ প্রতিদিন কত রুটি আসে যে
টেবিলে থালা ভরে,
রুটি বানানোর ইতিহাসটুকু
রয়ে যায় অগোচরে… 🤫

কেউ তো জানেনা রুটি তৈরীতে
কত ঘাম ঝরে যায়, 😓
সুখী মানুষেরা রেডিমেড পেয়ে
আরামে বসে খায়। 😎🍴

🥘 পাশাপাশি প্লেটে রুটি-গোশত
কেউ বুঝি কারো নয়… 😅

আটার নরমে, তাওয়ার গরমে
ফুলে ফুলে রুটি হয়! 😝🤣

---

#রিপন_আহমদ ✍️✨

💔💔ব্রেকাপের পর গার্লফ্রেন্ড কে ভুলে গেছি😕, ভুলে গেছি ওর আর আমার মেসেঞ্জারে পাতানো টোনাটুনির সংসারকে,🙂 ভুলে গেছি আমাদের দ...
21/09/2025

💔💔ব্রেকাপের পর গার্লফ্রেন্ড কে ভুলে গেছি😕
, ভুলে গেছি ওর আর আমার মেসেঞ্জারে পাতানো টোনাটুনির সংসারকে,🙂 ভুলে গেছি আমাদের দিন রাতের ভালোবাসা আর ঝগড়ায় মেশানো অনলাইন দাম্পত্যকেও। 😐😑

শুধু ঐ মেসেঞ্জারের সংসারে নিঝুম👸 আর আঞ্জুম👸 নামে আমার যে দুইটা জমজ মেয়ে হয়েছিলো, ঐ মেয়ে দুটোকে আমি আজও ভুলতে পারিনি।😭😭
যদিও বাস্তবে তাদের অস্তিত্ব ছিলো না। 🙂🙂ওদেরকে আমরা মেসেঞ্জারেই পেলে পুষে বড় করেছিলাম,🥰🥰 তারপরও, ! কষ্ট তো লাগেই, তাই না? 😢😢

🌍🌍পৃথিবীর সব নতুন প্রেমিক প্রেমিকার প্রতি আমার একটাই অনুরোধ,🙏🙏 ব্রেকাপ করতে হলে আগেই করে ফেলবেন।💔💔 বাট বাচ্চাকাচ্চা হয়ে যাওয়ার পর দয়া করে ব্রেকাপ করবেন না। 😔😔

হোক ওরা অনলাইন শিশু,🤱🤱 তারপরও ওদের বাবা মায়ের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করার কোনো অধিকার আপনাদের নাই!🥵🥵

#রিপন_আহমদ

Dear, মিম🥰, সাদিয়া🥰, সুলতানা🥰,নুসরাত🥰, ফারিয়া🥰,সুমি🥰, মনীষা🥰,মনি🥰, ময়না🥰,মনিরা🥰,প্রিয়া🥰,আফিয়া🥰ইসরাত🥰,ফরিদা🥰, মিসরাত...
20/09/2025

Dear, মিম🥰, সাদিয়া🥰, সুলতানা🥰,
নুসরাত🥰, ফারিয়া🥰,সুমি🥰, মনীষা🥰,
মনি🥰, ময়না🥰,মনিরা🥰,প্রিয়া🥰,আফিয়া🥰
ইসরাত🥰,ফরিদা🥰, মিসরাত🥰, পারভীন🥰,
আয়েশা🥰, মনিকা🥰, মৌসুমী🥰,
মৌউ🥰, বীথি🥰,আশা🥰, আনিকা🥰, অনামিকা🥰,রুমী🥰, কেয়া🥰,কান্নিজ🥰,কনা🥰,
ববিতা🥰,জান্নাতুন🥰, বৃষ্টি🥰,
সৃষ্টি🥰, সুমাইয়া🥰, তানিয়া🥰, তানজিলা🥰,. জয়া🥰,মাহি🥰, ফারজানা🥰,সাথী🥰,
ফারিন🥰, তাজিয়া🥰, তাহমিনা🥰,তমা🥰,ছিনতিয়া🥰, ইয়াসমিন🥰, মুন্নি🥰, সাহারা🥰,. জুথী🥰,তাসমিয়া🥰,তিশা🥰, আফসানা🥰,
মিমি🥰, সুরিয়া🥰, মুনতাহা🥰, রুহি🥰, রিয়া🥰, মারিয়া🥰, . . আফরিন🥰, নুশরাত🥰,তনু🥰, লামিয়া🥰, .... সানজিদা🥰, বুলবুলি🥰, টিয়া🥰, রুমানা🥰, অন্তরা🥰,
মারিয়া🥰,শ্যামলী🥰, স্নেহা🥰,রুবী🥰,
ছামিয়া🥰,অপরুপা🥰,কাজল🥰,লাকী🥰, লামিয়া🥰,
জান্নাতুল🥰, রেশমা🥰,মুক্তা🥰, পায়েল🥰, রোকেয়া🥰,লীমা🥰,ইসিতা🥰, . . . . আদুরি🥰,মায়া🥰,সোহাগী🥰,মলি🥰,মারুফা🥰, উম্মেহানি🥰 . কেয়া🥰, কবিতা🥰, সারিকা🥰, নন্দিনী🥰, লাবনী🥰, সানজিদা🥰,সিমা🥰, আশা🥰, মাহাবুবা🥰

অপর্ণা🥰, অদিতি🥰, অরুণা🥰, অঞ্জনা🥰, অপিয়া🥰, অলকা🥰, অর্পিতা🥰, অভিসা🥰, আলিনা🥰, আয়না🥰, আফরোজা🥰, আনচুল🥰, আদিলা🥰, আসমা🥰, ইলা🥰, ইরনা🥰, ইশা🥰, ইন্দ্রাণী🥰, ঈশিতা🥰, উর্মিলা🥰, উজ্জ্বলা🥰, উপাসনা🥰, ঋতু🥰, ঋতিকা🥰, এশা🥰, এশী🥰, এমা🥰, এনিকা🥰, এভা🥰, এলীনা🥰, কমলা🥰, কল্পনা🥰, কৃতী🥰, কায়সা🥰, কাঞ্চনা🥰, কৃষ্ণা🥰, কণিকা🥰, কিয়ারা🥰, কৌশানী🥰, খুসী🥰, খালেদা🥰, খুশবু🥰, গীতিকা🥰, গায়ত্রী🥰, গৌরী🥰, গরিমা🥰, গীতা🥰, চাঁদনী🥰, চিত্রা🥰, চম্পা🥰, চাহনা🥰, চঞ্চলা🥰, ছবি🥰, জাহিদা🥰, জাসমিন🥰, জুঁই🥰, জহরা🥰, ঝর্ণা🥰, ঝুমুর🥰, ঝিলিক🥰, টিনা🥰, টুলিপ🥰, টুকটুকি🥰, ডলি🥰, ডালিয়া🥰, ডায়ানা🥰, তারা🥰, তানজা🥰, তাসনিম🥰, তৃষা🥰, থিয়া🥰, দীপা🥰, দেবলীনা🥰, দিশা🥰, দিলারা🥰, দিম্পল🥰, ধারা🥰, ধনিকা🥰, নূর🥰, নাহিদা🥰, নাসরীন🥰, নবীনা🥰, নয়নিকা🥰, নিলোফার🥰, নেহা🥰, নিশা🥰, নন্দিতা🥰, নীরজা🥰, নিতি🥰, নুপুর🥰, প্রীতি🥰, পূজা🥰, প্রীতিলতা🥰, পার্থনা🥰, ফারহা🥰, ফাতেমা🥰, ফাইজা🥰, ফিরোজা🥰, ফাহমিদা🥰, বীণা🥰, বর্ণালী🥰, বেগম🥰, ভুবনা🥰, মিতা🥰, মাহিয়া🥰, মমতা🥰, মিলি🥰, মঞ্জু🥰, মেরী🥰, মিনা🥰, মঞ্জরি🥰, মালতী🥰, মোহিনী🥰, মাধুরী🥰, মরিয়া🥰, যশোদা🥰, যামিনী🥰, রুবিনা🥰, রূপা🥰, রাবেয়া🥰, রাইনা🥰, রিতা🥰, রেনী🥰, রাধিকা🥰, রোমিলা🥰, লতা🥰, লিলি🥰, লুবনা🥰, লুসি🥰, শারমিন🥰, শ্যামা🥰, শেরীন🥰, শামিলা🥰, শিশিরা🥰, সাবরা🥰, সাদিকা🥰, সারাহ🥰, সোহিনী🥰, সায়রা🥰, সালমা🥰, সুবর্ণা🥰, সুমিতা🥰, হাসিনা🥰, হিমা🥰, হেলেনা🥰, হাবিবা🥰, হৃদয়া🥰, হুমাইরা🥰, অমিনা🥰, আকাশি🥰, আদ্রীনা🥰, আনিসা🥰, ঐশিকা🥰, ঐন্দ্রিলা🥰, চৈতালি🥰, জ্যোতি🥰, জানো🥰, টপা🥰, তৃপ্তি🥰, দয়িতা🥰, নাবিলা🥰, নাইনা🥰, নিলমা🥰, নিশানী🥰, প্রিয়াঙ্কা🥰, পূর্ণিমা🥰, ফ্লোরা🥰, ফারীদা🥰, মাধুবী🥰, মিতালী🥰, মহিমা🥰, মালভিকা🥰, মেহরুনিসা🥰, শ্রেয়া🥰, শুচি🥰, সুবিহা🥰, সাহরা🥰, অরোনা🥰, আলিশা🥰, ইশরী🥰, উম্মে🥰, এলা🥰, এলাম🥰, কীর্তি🥰, কুসুমিতা🥰, খায়র🥰, গুনিকা🥰, চন্দ্রা🥰, জয়িতা🥰, জুহি🥰, দিবান🥰, দিতি🥰, দীপালি🥰, নির্মলা🥰, নূরনী🥰, নীলমণি🥰, পম্পা🥰, ফারহিনা🥰, ফারহানী🥰, রেবা🥰, লক্ষ্মী🥰 …

🌹প্রীয় তোমাদের বলছি 🌹

🥰 খুব ভালো বাসি 😹😹😹𝐢 𝐥𝐨𝐯𝐞 𝐲𝐨𝐮 ♥𝐢 𝐥𝐨𝐯𝐞 𝐲𝐨𝐮 ♥𝐢 𝐥𝐨𝐯𝐞 𝐲𝐨𝐮 ♥𝐢 𝐥𝐨𝐯𝐞 𝐲𝐨𝐮 ♥𝐢 𝐥𝐨𝐯𝐞 𝐲𝐨𝐮 ♥𝐢 𝐥𝐨𝐯𝐞 𝐲𝐨𝐮 ♥𝐢 𝐥𝐨𝐯𝐞 𝐲𝐨𝐮 ♥

কেউ ঠেলা ঠেলি করবা না...? নিরিবিলি ইনবক্সে এসে রিপ্লাই দাও😇😇 আগের বার ঠেলা ঠেলিতে আমার ইনবক্সের দরজা ভেঙে গেছে.........?🤭🤣🤣🤣
কারো BF বা GF নাম থাকলে বলবেন। তাতে আমি দায়ী নয়। আমাকে দান করে দিবেন🤣

#রিপন_আহমদ ✍✍

 #অনুগল্প, #ফানি_পোষ্ট👨‍🦳 এক ভদ্রলোকের পাঁচ ছেলে 👇1️⃣ বড় ছেলের নাম 👉 ভাঙ্গা 🙄2️⃣ মেজো ছেলের নাম 👉 বাসি 🤧3️⃣ সেজো ছেলের ...
20/09/2025

#অনুগল্প,
#ফানি_পোষ্ট

👨‍🦳 এক ভদ্রলোকের পাঁচ ছেলে 👇
1️⃣ বড় ছেলের নাম 👉 ভাঙ্গা 🙄
2️⃣ মেজো ছেলের নাম 👉 বাসি 🤧
3️⃣ সেজো ছেলের নাম 👉 পচা 😪
4️⃣ তারপরেরটার নাম 👉 মুত 🥴
5️⃣ ছোটটার নাম 👉 পাংচার 🙂

---

একদিন ওদের বাড়িতে 🚪 একজন অতিথি আসলেন 😊

👨‍🦳 বাবা:– আপনি এসেছেন? বসেন বসেন, ভাঙ্গা চেয়ারটা নিয়ে আয় 🙂🪑

🧑 অতিথি:– না না আমি বসবো না 🙄

👨‍🦳 বাবা:– আরে না বসুন, কয়টা ভাত তো খেয়ে যাবেন, বাসি ভাত নিয়ে আয় 🍚🤧

🧑 অতিথি:– না না just খেয়ে এসেছি, খাবোনা 🙅‍♂️

👨‍🦳 বাবা:– কিছুই খাবেন না, তা হয় না, পচা দই নিয়ে আয় 🥣😪

🧑 অতিথি:– না না দই খেলে আমার ঠাণ্ডা লেগে যায় 🤧🥺 প্লিজ আমি খাবো না 🙅

👨‍🦳 বাবা:– তা কি হয়? কিছু না হোক অন্তত এক গ্লাস পানি তো খান 💧😊
ওরে মুতে পানি দে তো 🥴💦

🧑 অতিথি:– আপনি থামুন মশাই!! 😳🙄

👨‍🦳 বাবা:– ইশ, আপনি কিছুই খেলেন না, ভালো লাগছে না আমার 😔

🧑 অতিথি:– আমি চললাম 🚶 পরে আসবো 😪🙄

👨‍🦳 বাবা:– আপনি হেঁটে এসেছেন 🚶 আপনাকে কিন্তু আমি হেঁটে যেতে দেবো না 😊
ওরে পাংচার সাইকেলটা নিয়ে আয় 🚲🙂🐸

---

😵‍💫 অতিথি বেহুশ! 🫤🫤🫤

#রিপন_আহমদ ✍️

 #অনুগল্প এক অন্ধ ব্যক্তি রেস্টুরেন্টে খেতে ঢুকেছেন।ওয়েটার দৌড়ে এসে জিজ্ঞেস করলেন : মেনু বলবো স্যার? 🙂তিনি বললেন : আপন...
19/09/2025

#অনুগল্প

এক অন্ধ ব্যক্তি রেস্টুরেন্টে খেতে ঢুকেছেন।

ওয়েটার দৌড়ে এসে জিজ্ঞেস করলেন : মেনু বলবো স্যার? 🙂

তিনি বললেন : আপনি রান্না করার খুন্তি নিয়ে আসুন, আমি গন্ধ শুঁকে খাবারের অর্ডার দেবো। 🥱

ওয়েটার রেস্টুরেন্টটির ম্যানেজারকে বিষয়টি জানালেন। ম্যান্ডেলার রান্নাঘর থেকে একটা খুন্তি এনে দিলেন। 🙄

অন্ধ ভদ্রলোক সেটা শুঁকে নিয়ে বললেন : আমাকে গার্লিক ব্রেডের সাথে স্প্যানিশ ওমলেট দিয়ে দিন! 😁

ম্যানেজার অবাক! 🤔

আসলেই কিছুক্ষণ আগে ঐ খুন্তি দিয়ে স্প্যানিশ ওমলেটই তৈরি করা হয়েছে! 😶

এইভাবে অন্ধ ব্যক্তিটি রোজ আসেন, আর হাতা বা খুন্তি শুঁকে তাঁর পছন্দের খাবার অর্ডার করেন। ঠিক ঠিক, যে যে রান্না সেদিন হয়েছে! 😜

ম্যানেজার ভাবলেন, দেখি একদিন অন্যরকম ভাবে পরীক্ষা করবো। 🤨

খুন্তিটি পরের দিন ভালো করে ধুয়ে মুছে কিচেনে গিয়ে ম্যানেজার তার বৌ সোনালীকে বললেন : তুমি খুন্তিটি ভালো করে তোমার ঠোঁটে ঘষে দাও। 💋

সোনালী তাই করে তার স্বামীর হাতে দিয়ে দিলেন! 😚

ম্যানেজার অন্ধ ব্যক্তিটিকে খুন্তিটি দিলেন। খুন্তিটি হাতে নিয়ে শুঁকে আনন্দে আত্মহারা হয়ে বললেন : ও মাই গড!!! 😲😲😲

!

!

!

এ তো সোনালী! আমার পুরনো প্রেমিকা! সে কি এই রেস্টুরেন্টে কাজ করে?

ম্যানেজার বেহুস!!!! 🥴🥴🥴

#রিপন_আহমদ

 #অনুগল্প!  #গল্পঃঅপূর্ণ_প্রতিশ্রুতি! #রিপন_আহমদ সিলেট শহরের ছেলেটার নাম রিপন।চেহারায় তেমন আকর্ষণীয় কিছু নেই, পকেটেও টাক...
18/09/2025

#অনুগল্প!
#গল্পঃঅপূর্ণ_প্রতিশ্রুতি!
#রিপন_আহমদ

সিলেট শহরের ছেলেটার নাম রিপন।
চেহারায় তেমন আকর্ষণীয় কিছু নেই, পকেটেও টাকা-পয়সা নেই।
কিন্তু একটা জিনিস তাকে আলাদা করে রেখেছে—তার কলম।

কলম বলতে এখন আর খাতার পাতায় নয়, ফেসবুকের টাইপ করা শব্দেই সে বাঁচে।
প্রতিদিন রাতে সে নিজের প্রোফাইলে গল্প লেখে। হাজারো মানুষ সেই গল্প পড়ে, কমেন্টে বলে—
“ভাই, আপনার গল্প পড়লে বুকটা কেঁপে ওঠে।”
“আপনি নিশ্চয়ই নিজের কষ্ট লিখেন?”

রিপন হাসে।
কেউ জানে না, আসলেই তো তার জীবনে কোনো প্রেম নেই।
গল্পই তার প্রথম প্রেম।

---

একদিন সেই গল্পের পাঠকদের ভিড়ে নীরবে যোগ দিলো এক মেয়ে—রিমি।

রিমি পড়াশোনায় ভালো, সুন্দর, বাবার আদরের মেয়ে।
তিন মাস ধরে প্রতিদিন রিপনের লেখা পড়ে।
কিন্তু কখনো কিছু বলেনি। শুধু চুপচাপ পড়ে, বুকের ভেতর জমিয়ে রাখতো একটা অদ্ভুত অনুভূতি।

যেদিন রিপন লিখেছিলো—
“কাউকে কাছে না পেলে, তার জন্য লেখা কথাগুলোই হয় সান্ত্বনা,”
সেদিন রিমির চোখ ভিজে গিয়েছিলো।

সে ভাবলো—
“এই ছেলেটা আমার মনের কথাই লিখছে। কিন্তু আমি যদি একবার বলি—ও কি উত্তর দেবে?”

---

সেদিন রাত।
ঘড়িতে বাজে ১২টা।
মোবাইল হাতে কাঁপতে কাঁপতে রিমি লিখলো—

রিমি: হ্যালো… আপনার গল্পগুলো আমার ভীষণ ভালো লাগে। ❤️

মেসেজ পাঠানোর পর বুক ধড়ফড় করতে লাগলো।
হয়তো রিপন দেখেও উত্তর দেবে না।

কিন্তু মিনিটখানেক পরেই রিপন রিপ্লাই দিলো—

রিপন: ধন্যবাদ আপু 😊
তুমি আমার লেখা পড়ো জেনে ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ।

রিমির কিছু টা অবাক হলো। । এত সহজ! এত স্বাভাবিক!
সে তো ভেবেছিলো ছেলেটা গম্ভীর বা অবহেলা করবে। কিন্তু না।

---

সেদিনের পর থেকে কথার শুরু হলো।
প্রথমে টুকটাক—
“কোন গল্প তোমার প্রিয়?”
“লেখা পড়লে কেমন লাগে?”
ইতালি, ইত্যাদি !

রিমি একদিন লিখলো—
“আপনার গল্পে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। মনে হয় আমার ভেতরের কথাগুলো আপনি লিখছেন।”

রিপন দীর্ঘশ্বাস ফেলে লিখলো—
“হয়তো তোমার ভেতরের চরিত্রই আমি অজান্তে খুঁজে পেয়েছি।”

---

দিন যেতে লাগলো।
টুকটাক কথা ধীরে ধীরে রঙ ধরলো।
রাতের পর রাত, ভোরের আগে পর্যন্ত তারা গল্পে মেতে থাকতো।

রিমি একদিন মজা করে বললো—
“আপনি কি প্রেমের গল্প লেখেন নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে?”

রিপন একটু চুপ করে উত্তর দিলো—
“আমার জীবনে প্রেম নেই, শুধু গল্প আছে। তবে আজকাল মনে হয়,! আমার গল্পে তুমি বাস করতেছো।

এই একটা লাইন পড়ে রিমি বুঝলো—সে আর আটকে রাখতে পারবে না।
হৃদয়ের ভেতর যে ভালোবাসা জমে আছে, সেটা শব্দ হয়ে ভেসে যাবে যেকোনো মুহূর্তে।

---

সেই রাতেই রিমি লিখলো—
“রিপন, আমি জানি না কেন… কিন্তু মনে হয় আমি তোমার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।”

মোবাইল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে রিপন অনেকক্ষণ চুপ করে রইলো।
তারপর কাঁপা কাঁপা হাতে লিখলো—
“আমিও… হয়তো তাই।”

---

সেদিন থেকে তাদের গল্প শুরু হলো নতুন অধ্যায়ে।
ফেসবুকের ইনবক্স থেকে জন্ম নিলো এক ভালোবাসা।
এক অদৃশ্য বাঁধন, যেখানে দূরত্বও হার মানলো।

তারা দুজনেই জানতো—এটা কোনো সাধারণ বন্ধুত্ব নয়।
এটা সেই গল্প, যেটা একদিন কেবল কাগজে নয়, জীবনের পাতায়ও লেখা হবে।

কিন্তু তারা জানতো না—এই গল্পের পাতায় আছে এমন কিছু মোড়, যা তাদের হৃদয় ভেঙে দেবে…
রিপন আর রিমি—দুজনের মাঝে যেন প্রতিদিন এক নতুন পৃথিবী তৈরি হতো।
রাত জেগে কথার শেষ হতো না।
কখনো গল্প নিয়ে আলোচনা, কখনো ছোটখাটো খুনসুটি, আবার কখনো গভীর আবেগের আলাপন।

রিমি: জানো, তোমার লেখা পড়লে মনে হয় তুমি আমার ভেতরের কথা গোপনে পড়ে ফেলছো।
রিপন: হতে পারে। হয়তো তোমার ভেতরের মানুষটার জন্যই আমি লিখি।
রিমি: (হেসে ইমোজি পাঠায়) তাহলে আমি কি তোমার গল্পের নায়িকা?
রিপন: (কিছুক্ষণ চুপ থেকে লিখে) তুমি শুধু নায়িকা নও… আমার প্রতিটা লাইনের প্রাণ।

রিমির বুক ধক করে উঠলো।
সে বুঝে গেলো—এটা কোনো কল্পনা না, কোনো ক্ষণিকের মুগ্ধতা না। এটা ভালোবাসা।

---

তাদের স্বপ্নও তৈরি হতে লাগলো।
একদিন দেখা হবে। একসাথে হাঁটবে।
রিমি কল্পনা করতো—কোনো কফিশপে বসে রিপন খাতায় কিছু লিখছে, আর সে পাশে বসে শুধু চেয়ে দেখছে।
রিপন কল্পনা করতো—রিমির জন্য একদিন পুরো একটা বই লিখে উৎসর্গ করবে।

তাদের এই স্বপ্নই ছিলো প্রতিদিনের আলো।

কিন্তু বাস্তব কখনো স্বপ্নের মতো হয় না।

---

একদিন রিমির বাড়িতে বিয়ের প্রসঙ্গ উঠলো।
তার বাবা-মা চাইলো, মেয়ে যেন তাদের এলাকার এক ছেলেকে বিয়ে করে।
কারণ একটাই—
“দূরের ছেলে মেয়ে মানাবে না।”

রিমি বাবাকে বোঝানোর চেষ্টা করলো।
“আব্বু, আমি তো পছন্দ করে ফেলেছি।”
কিন্তু বাবার উত্তর স্পষ্ট—
“ভালোবাসা বলে কিছু নেই। জীবন চলে বাস্তবতায়। যা বলেছি, সেটাই হবে।”

রিমি কাঁদতে কাঁদতে রিপনকে লিখলো—

রিমি: রিপন… আব্বু রাজি না। ওরা আমাকে অন্য ছেলের সাথে বিয়ে দিতে চাইছে।
রিপন: (অবাক) কী! কিন্তু কেন?
রিমি: তুমি দূরের ছেলে বলে…
রিপন: (নিঃশ্বাস ফেলে) তাহলে আমাদের স্বপ্নগুলো?
রিমি: আমি তো চাই তোমাকে… কিন্তু আব্বু…

মোবাইলের স্ক্রিনে ভেসে উঠছিলো শুধু কান্নার ইমোজি আর ভাঙা শব্দ।

---

সেদিন রাতে রিপন প্রথমবার নিজের ভেতর ভেঙে পড়লো।
যে মেয়ে তার গল্পে প্রাণ দিয়েছে, যে মেয়ের জন্য নতুন করে বাঁচতে শিখেছে—সে হয়তো অন্য কারো হয়ে যাবে।

কিন্তু তবুও তারা হাল ছাড়লো না।

রিপন: শোনো রিমি, আমরা এক হবো। যেভাবেই হোক।
রিমি: তুমি কি সত্যি পারবে আমাকে নিতে?
রিপন: হ্যাঁ, তুমি যদি সাহস করো।
রিমি: আমি পারবো রিপন… আমি শুধু তোমাকেই চাই।

এভাবে প্রতিশ্রুতির স্রোতে তারা নিজেদের শক্ত করে রাখলো।

---

কিন্তু দিন যেতে থাকলো।
পরিবারের চাপ, সমাজের বাধা—সব মিলিয়ে রিমির ওপর ঝড় নেমে এলো।
শেষমেশ একদিন সে লিখলো—

রিমি: রিপন… হয়তো আমি তোমার হতে পারবো না।
রিপন: এ কথা কীভাবে বললে?
রিমি: আব্বু জোর করে আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে।
রিপন: (স্তব্ধ হয়ে) …
রিমি: তুমি রাগ কোরো না। আমি চাইলে পারতাম না বলতেও, কিন্তু… আমি ভেঙে যাচ্ছি।

রিপন কাঁদতে কাঁদতে লিখলো—
“তুমি যদি আমার না হও, তবে আমি কাকে নিয়ে বাঁচবো রিমি?”

রিমি শুধু একটা লাইন লিখলো—
“আমার জন্য তুমি লেখো রিপন। তোমার গল্পেই আমি বেঁচে থাকবো।”

---

সে রাতটা ছিলো দুজনের জীবনের সবচেয়ে দীর্ঘ রাত।
দুজনেই শুধু কাঁদলো, শুধু লিখলো—
অসংখ্য প্রতিশ্রুতি, অসংখ্য স্বপ্ন, সবকিছু যেন ভেঙে পড়লো তাদের চোখের সামনে।

রিমির শেষ মেসেজে লেখা ছিলো—
“আমরা যদি আবারও দেখা না পাই, তবে মনে রেখো, আমি তোমার গল্পের ভেতর চিরদিন বেঁচে আছি।”

রিপন মোবাইল বুকে চেপে ধরে বসে রইলো অনেকক্ষণ।
তার মনে হলো—শব্দগুলো ছিঁড়ে যাচ্ছে, হৃদয় ফেটে যাচ্ছে।

কিন্তু সে জানতো না, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই রিমির জীবন বদলে যাবে চিরতরে…
রিমির জীবন বদলে গেছে।
নতুন বাড়ি, নতুন স্বামী, নতুন পরিবারের মাঝে সে বসে।
সবকিছু ঠিকঠাক, কিন্তু ভেতরে একটা শূন্যতা থেকে যায়।

রিমির চোখে প্রতিদিনই ভেসে উঠে রিপনের লেখা।
প্রতিটি গল্পে তার উপস্থিতি—অদৃশ্য, কিন্তু স্পষ্ট।
সে জানে, জীবনে কেউ এতটা গভীরভাবে তাকে বুঝতে পারেনি।

---

রিপন একা।
ফেসবুকের পাশে বসে গল্প লেখে, ভিজে থাকা চোখে।
কেউ জানে না, এই গল্পের আড়ালে কতটা কষ্ট লুকিয়ে আছে।
প্রতিটি লাইনে রিমি। প্রতিটি লাইন যেন তার হারানো ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি।

রিপনের এক বন্ধু লিখে ফেসবুকে—
“ভাই, আপনার লেখা পড়লে বুক ফেটে যায়।”
রিপন শুধু চুপ থাকে, হালকা হেসে—কেউ জানে না তার হাসির ভেতরে কতটা অশ্রু লুকানো।

---

একদিন রাতের অন্ধকারে রিপন নতুন গল্প লিখছে—

"আমি জানি, তুমি আমার কাছে নেই। কিন্তু আমি তোমাকে প্রতিটি গল্পে খুঁজে পাই। তুমি হয়তো অন্য কারোর ঘরে হাসছো, কিন্তু আমার গল্পে তুমি চিরদিন বাঁচবে। ভালোবাসা মানে কাউকে পাওয়া নয়, হারিয়েও বেঁচে থাকা। আর আমি বেঁচে আছি—কারণ তোমার ছায়া আমার প্রতিটি শব্দে আছে।"

ফলোয়াররা পড়ে কান্না করে। কেউ কমেন্টে লিখে—
“ভাই, আপনার লেখা পড়লে মনে হয় আমি নিজেই কষ্ট পাই। কোথাও এমন ভালোবাসা আর খুঁজে পাওয়া যায় না।”

রিপন জানে, কেউ সত্যিকারের গল্পটা বোঝে না।
কেউ জানে না, প্রতিটি চরিত্রের ভেতরে লুকানো আছে রিমি—তার একমাত্র ভালোবাসা।

---

রিমি জীবনে এগিয়ে গেছে। নতুন জীবন, নতুন দায়িত্ব।
কিন্তু রিপন জানে—যদি সে কখনো বই বের করে, সেটা হবে শুধুই রিমির জন্য লেখা গল্প।

রিমি আর তার ভালোবাসা বাস্তবে নেই, কিন্তু গল্পে সবসময় আছে।
রিপন জানে, এভাবেই সে বাঁচবে—হারানো ভালোবাসার ছায়ায়, লেখা আর পাঠকের ভালোবাসায়।

শেষ লাইনে সে লিখে—

"আমার প্রথম ভালোবাসা কেউ নয়, গল্প। আর সেই গল্পে তুমি চিরদিন বেঁচে থাকবে, রিমি।"

সমাপ্ত,,,

 #অনুগল্প  #অসমাপ্ত_ভালোবাসার_গল্প  #রিপন_আহমদ সিলেট শহরের আকাশটা অন্য রকম। ভোরে উঠলেই পাহাড়ের কুয়াশা চোখে পড়ে, আর দূরে ...
16/09/2025

#অনুগল্প
#অসমাপ্ত_ভালোবাসার_গল্প
#রিপন_আহমদ

সিলেট শহরের আকাশটা অন্য রকম। ভোরে উঠলেই পাহাড়ের কুয়াশা চোখে পড়ে, আর দূরে কোথাও ঝর্ণার শব্দ ভেসে আসে। এই শহরেই থাকে রিপন। অনার্সে পড়ে, কিন্তু পড়াশোনার পাশাপাশি তার আরও এক পরিচয় আছে—সে ফেসবুকে গল্প লিখে।

রিপনের লেখা গল্পগুলোতে থাকে দুঃখ, প্রেম আর জীবনের অদ্ভুত মোড়। তার শব্দগুলো এত সহজ অথচ এত গভীর যে, পড়লে মনে হয়—এই কষ্ট, এই অনুভূতিগুলো হয়তো আমারই। ধীরে ধীরে সে হয়ে উঠল তরুণদের প্রিয় লেখক। ফেসবুকে হাজার হাজার ফলোয়ার। কিন্তু ভেতরে ভেতরে রিপন ছিল একেবারেই একা। তার কষ্টগুলো সে ঢেলে দিত গল্পে, কিন্তু কাউকে কখনও খুলে বলত না।

এমন সময় একদিন তার জীবনে এলো রুপসা।

---

রুপসা নতুন এসেছিল সিলেটে। তার বাবা সরকারি চাকরির সুবাদে বদলি হয়ে এখানে এসেছে। নতুন শহর, নতুন কলেজ, নতুন মানুষ—সবকিছুই তার কাছে অচেনা। প্রথম দিন কলেজে গিয়েই সে অবাক হয়ে দেখল, কতজন ছাত্রছাত্রী ফেসবুকে রিপনের লেখা নিয়ে কথা বলছে। অনেকে বলছে—“কাল রিপনের পোস্টটা পড়ছো? কী দারুণ লিখেছে না?”

রুপসা কৌতূহলী হয়ে বাসায় ফিরে সার্চ দিল। পেয়ে গেল রিপনের প্রোফাইল। একে একে পোস্টগুলো পড়তে শুরু করল। প্রতিটি শব্দে সে যেন নিজের অনুভূতিগুলো খুঁজে পেল। তার ভেতরে একটা টান তৈরি হলো—এই ছেলেটা কে? এত গভীরভাবে কীভাবে লিখতে পারে?

কয়েকদিন পর কলেজের লাইব্রেরিতে প্রথমবার চোখে চোখ পড়ল তাদের। রিপন বই পড়ছিল, হঠাৎ খেয়াল করল পাশের টেবিলে বসা মেয়েটার দিকে। কালো চুল, চোখে হালকা কাজল, আর চুপচাপ গম্ভীর ভাব। কিন্তু মাঝে মাঝে চোখ তুলে তাকালে তার দৃষ্টিতে এমন এক মায়া ছিল, যা কারও পক্ষে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

রিপন প্রথমে কিছু বলল না। কিন্তু রুপসা সাহস করে এগিয়ে এলো।

—“আপনি রিপন না?”

রিপন চমকে তাকাল।
—“হ্যাঁ, কিন্তু আপনি আমাকে চেনেন কিভাবে?”

রুপসা হেসে বলল,
—“আপনার গল্পগুলো পড়ি। সত্যি বলতে, মনে হয় এগুলো আমার জন্যই লেখা।”

সেই মুহূর্তে রিপনের বুকের ভেতর কেমন যেন ধক করে উঠল। কত মানুষই তো তার লেখা পড়ে, কমেন্ট করে। কিন্তু এই মেয়েটির কণ্ঠে ছিল অন্য রকম আন্তরিকতা। মনে হচ্ছিল, সে শুধু পাঠক নয়—বরং তার গল্পের এক চরিত্র।

---

এরপর থেকে তাদের মাঝে নিয়মিত কথাবার্তা শুরু হলো। কখনও লাইব্রেরিতে, কখনও ক্যাম্পাসের বেঞ্চে বসে। রুপসা প্রায়ই বলত—
—“আপনার লেখার ভেতরে এত কষ্ট থাকে কেন? আপনি কি খুব কষ্টে আছেন?”

রিপন হেসে উত্তর দিত,
—“সব কষ্ট নিজের না। চারপাশ থেকে দেখি, মানুষের ভেতরের ব্যথাগুলো গল্পে তুলে আনি।”

কিন্তু সত্যিটা ছিল, অনেকটা কষ্ট তার নিজেরও। ছোটবেলা থেকে অভাব, বাবার ব্যবসার উঠা-নামা, মায়ের মুখের ক্লান্তি—এসব তার মনে গভীর ছাপ ফেলেছিল। তাই হয়তো তার লেখা এত সত্যি, এত ছুঁয়ে যেত মানুষের হৃদয়।

রুপসা ধীরে ধীরে তার সবচেয়ে কাছের মানুষ হয়ে উঠল। ক্লাস শেষে তারা দুজন হাঁটত চা-বাগানের পথ ধরে। একসাথে চা খেত সিলেটের বিখ্যাত টং দোকানে। আর সেই আড্ডায় রিপন হাসত, এমনভাবে হাসত যেন তার সব দুঃখ ভুলে গেছে।

রুপসা মাঝে মাঝে মজা করে বলত,
—“আপনি শুধু দুঃখের গল্পই লিখবেন নাকি? একটু সুখের গল্পও লিখবেন না?”

রিপন মুচকি হেসে বলত,
—“সুখের গল্প হয়তো তোমাকে নিয়েই লিখব।”

এই কথাগুলো হয়তো মজা করে বলা, কিন্তু ভেতরে ভেতরে রিপনের মনে সত্যিই জায়গা করে নিচ্ছিল রুপসা। তার মনে হচ্ছিল, জীবনে প্রথমবার এমন একজনকে পেল যে তার শূন্যতাকে ভরিয়ে দিচ্ছে।

---

কয়েক মাসের মধ্যেই তাদের বন্ধুত্বে জন্ম নিল অন্য এক অনুভূতি। রুপসা হয়তো বুঝতে পারছিল, রিপন শুধু বন্ধু নয়, তার চেয়ে বেশি কিছু। আর রিপন? সে প্রতিদিন রুপসাকে নিয়ে লিখত—কখনও ইঙ্গিতে, কখনও সরাসরি। তার ফলোয়াররা বুঝতেই পারত না, গল্পের “অচেনা মেয়েটি” আসলে রুপসা।

একদিন বিকেলে, কলেজ শেষে, রিপন সাহস করে বলল,
—“রুপসা, তুমি জানো আমার সব পাঠকের ভিড়ের মাঝেও আমি একা ছিলাম। কিন্তু তুমি আসার পর মনে হয়, আমার একাকিত্ব মুছে যাচ্ছে।”

রুপসা কিছুক্ষণ চুপ করে রইল। তারপর আস্তে বলল,
—“হয়তো আমাদের দেখা হওয়ারই কথা ছিল।”

সেই মুহূর্তে আকাশে সূর্য ডুবছিল, চারপাশে লালচে আভা। মনে হচ্ছিল, তাদের জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হলো সেদিন।

---

কিন্তু সুখ কি এত সহজে আসে?
রিপনের মনে ভয় ছিল। সে জানত, তাদের সামাজিক অবস্থান এক নয়। তার লেখক হিসেবে পরিচিতি থাকলেও পরিবারিক অবস্থান ভীষণ সাধারণ। রুপসার পরিবার কি তাকে মেনে নেবে?

কিন্তু সেই ভয়কে সরিয়ে রেখে রিপন প্রতিদিন রুপসাকে নিয়ে লিখতে লাগল। তার লেখা যেন হয়ে উঠল প্রেমের ডায়েরি। ফেসবুকে মানুষ পড়ছে, শেয়ার করছে, কমেন্ট করছে—কিন্তু কেউ জানে না এই গল্পগুলোর নায়িকা কে।

আর এভাবেই শুরু হলো রিপন আর রুপসার গল্প।

সিলেটের বিকেলগুলো সবসময় অন্যরকম। পাহাড়ের ছায়া মসৃণভাবে শহরের উপর নামে, আর চা-বাগানের পথে হেঁটে যাওয়ার সময় বাতাসে মিষ্টি ভিজে থাকা মাটির গন্ধ ভেসে আসে। এই সময়েই রিপন আর রুপসার সম্পর্ক আরও গভীর হয়ে উঠতে লাগল।

রুপসা এখন শুধু রিপনের বন্ধু নয়, তার জীবনের এক অপরিহার্য অংশ হয়ে গেছে। প্রতিদিন কলেজ শেষে তারা হাঁটতে বের হতো, ছোট ছোট চায়ের দোকানে বসে গল্প করতো। কখনও প্রকৃতির মাঝে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ চুপচাপ থাকত, শুধু একে অপরের উপস্থিতিতে আত্মার শান্তি খুঁজত।

রিপন প্রতিদিন ফেসবুকে লিখত, আর আজকের পোস্টটা বিশেষভাবে রুপসাকে নিয়ে।

> “আজও তোমার চোখের নীরবতা আমাকে কাঁদিয়েছে, । কখনো কখনো মনে হয়, তুমি শুধু আমার গল্পের নায়িকা নয়, আমার জীবনের শব্দ। প্রতিটি শব্দে তোমার হাসির প্রতিফলন পাই। তুমি কাছে না থেকেও কাছে থেকো, বুঝছো?”

ফলোয়াররা কমেন্ট করছে—“ওয়াও, কী সুন্দর লেখা! কে এই মেয়েটা?”
কেউ জানে না, রুপসা বাস্তবে রিপনের পাশেই বসে আছে, চোখে লাজুক হাসি।

---

একদিন রিপন সাহস করে বলল,
—“রুপসা, আমি জানি আমরা আলাদা জায়গা থেকে এসেছি। কিন্তু তুমি ছাড়া আমার লেখা অসম্পূর্ণ। তুমি কি কখনো ভেবেছো, আমরা একে অপরের জীবনের গল্প হতে পারি?”

রুপসা কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল। তারপর আস্তে বলল,
—“রিপন, আমি জানি তুমি আমার জীবনের অদৃশ্য ছায়া হয়ে গেছো। কিন্তু আমি ভয় পাচ্ছি। আমরা কি এই ভালোবাসাকে সমাজের চোখে বুঝাতে পারব?”

রিপন হালকা হেসে বলল,
—“আমরা হয়তো একেবারেই সাধারণ জুটি, রুপসা। কিন্তু আমাদের গল্প শুধু আমাদের। লেখায়, কথায়, চোখে—সবজায়গায় আমরা এক। আর ফেসবুকে? হয়তো আমার গল্পের মাধ্যমে সবাই বুঝবে, কতো গভীর ভালোবাসা সম্ভব।”

---

রুপসা হেসে বলল—“তাহলে আমাকে দেখাও সেই গল্প।”

রিপন আবার লিখল তার ফোনে।

> “আজ রুপসা আমাকে বলল, ‘আমাদের গল্প দেখাও।’ আমি লিখছি, সে যেন আমার প্রতিটি শব্দের মধ্যে বাস করে। কেউ জানে না, আমি যখন লিখি, তখন শুধু তার চোখের কথা ভাবি। সেই চোখে আমার সব আশা, সব ভয়, সব স্বপ্ন, আর ভালোবাসা ।”

এই পোস্টটা পড়ার পর রুপসার গাল লাল হয়ে গেল। ফেসবুকের আলোয় তার নিজের ছবি ঝলসছে, কিন্তু তার হৃদয় আরও বেশি উজ্জ্বল হয়ে উঠল।

---

কিছুদিন পর তারা দুইজনই বুঝল, তাদের ভালোবাসা শুধু চোখের ভাষা নয়, বাস্তবের পরীক্ষায়ও দাঁড়াতে হবে।

রিপনের পরিবার সহজভাবে জীবনযাপন করলেও রুপসার পরিবার অনেকটাই সামাজিকভাবে সংরক্ষিত। তারা চাইত মেয়েটি বড়, সম্মানিত কারো সঙ্গে বিয়ে করবে। যখন তারা জানতে পারল রুপসা রিপনের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে, পরিবারে ক্ষোভ দেখা দিল।

রিপন বুঝতে পারল, শুধু ভালোবাসা থাকা যথেষ্ট নয়। বাস্তবতার মোকাবেলা করতেই হবে।

এক বিকেল রিপন ফেসবুকে লিখল,

> “আমি জানি, আমাদের পথ সহজ হবে না। ভালোবাসা সবসময় সহজ হয় না। কেউ বুঝবে না, কেউ সাহায্য করবে না। কিন্তু আমি জানি, রুপসা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় গল্প। কেউ আমাদের মাঝখানে থামাতে পারবে না। প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি গল্প আমার হৃদয় থেকে তাকে বলা হচ্ছে। কেউ না বুঝলেও আমি জানি।”

রুপসা যখন এই পোস্ট পড়ল, চোখে অশ্রু ভরে এল। সে জানল—রিপন শুধু ভালোবাসছে না, তার জন্য লড়াইও করছে।

---

কিন্তু বাস্তবতা তাদের ধীরে ধীরে চ্যালেঞ্জ করতে লাগল। রুপসার বাবা জানল রিপনের ফেসবুক পরিচিতি নিয়ে। তিনি বললেন,
—“রুপসা, তুমি কি বুঝছো, এই ছেলে কি আমাদের সমাজের জন্য উপযুক্ত? সে লেখক, তবে স্থিতি নেই। তার পরিবার সাধারণ। তুমি কি এই ঝুঁকি নিতে পারবে?”

রুপসা চুপ করে রইল। সে জানত তার বাবা যুক্তি বলছে, কিন্তু হৃদয় অন্য জায়গায়।

রিপনও নিজের ভেতরের ভয় অনুভব করল। সে চুপচাপ কক্ষে বসে ফেসবুকের পরবর্তী গল্প লিখছিল, যেখানে রুপসার কথা ভাবল।

ফেসবুক পোস্ট দিলো

> “আজ রাতে চাঁদ দেখছি। চাঁদ একটাই, কিন্তু আকাশে তার ছায়া অনেক। তেমনই, রুপসা, তুমি একটাই, কিন্তু আমার জীবনের সব গল্পে ছায়া হয়ে আছ। কেউ আমাদের বুঝুক বা না বুঝুক, আমি জানি আমরা একে অপরের জন্যই লেখা।”

এই পোস্টগুলো দেখলে তার ফলোয়াররা আবেগে ভেসে যেত, অনেকেই কমেন্ট করত—“ওয়াও, এই ভালোবাসা সত্যিই আছে কি না জানি না, কিন্তু লেখা তো হৃদয় ছুঁয়ে যাচ্ছে।”

---

আধুনিক জীবন, সামাজিক বাধা, ফেসবুকের আলো—সব মিলিয়ে তাদের ভালোবাসা আরও গভীর, আরও সংবেদনশীল হয়ে উঠল।

আকাশে ভোরের রোদ উঠছিল, কিন্তু রিপনের মনে ধূসর আকাশ। রুপসার বাবা পরিবারিক কারণে সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন—রুপসা অন্য এক পরিবারে বিয়ে হবে। রিপনের লেখার জগত, তার ফলোয়ার, তার হৃদয়—সবই এখন নিঃশব্দ।

রিপন জানত, রুপসার ভালোবাসা তার দিকে আছে। কিন্তু বাস্তবতার কড়া হাত দুজনকে আলাদা করছে।

---

একদিন বিকেলে, রিপন চা-বাগানের পাশে বসে লিখল—ফেসবুকের জন্য আর নিজের জন্য।

ফেসবুক পোস্ট,,

> “আজ আমরা পথভেদে এসে দাঁড়ালাম। রুপসা, তুমি জানো না, তুমি আমার প্রতিটি শব্দে, প্রতিটি গল্পে, প্রতিটি শ্বাসে বাস কর। কেউ আমাদের বুঝবে না, কেউ আমাদের হাত ধরে রাখবে না। তবু আমি জানি, তুমি আমার অন্তরে চিরকাল বেঁচে থাকবে। তোমাকে ছাড়া আমার গল্প অসম্পূর্ণ।”

রুপসা পোস্টটি পড়লে কাঁদতে কাঁদতে ফোন নেমে রাখল। সে জানল—রিপনের ভালোবাসা সত্যি, কিন্তু জীবন অনেক বড় বাধা দিয়ে দাঁড়িয়েছে।

---

পরদিন কলেজে শেষবার দেখা হলো। দুইজন চুপচাপ একে অপরের দিকে তাকালো। চোখের ভাষা সব বলছে—ভালোবাসা আছে, কিন্তু বাস্তবতা কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রুপসা বলল—
—“রিপন, আমি চাই তুমি সুখী হও। তুমি নিজের লেখার জগতে, নিজের স্বপ্নে খুঁজে নাও আনন্দ। আমি থাকবো শুধু তোমার ভালোবাসার গল্পে।”

রিপন চুপচাপ হেসে বলল,
—“তুমি না থাকলেও, তুমি আমার হৃদয়ের প্রতিটি পাতায় থাকবে। আমি জানি, আমাদের গল্প অসমাপ্ত। কিন্তু অসমাপ্ত গল্পও সুন্দর হতে পারে, যদি সত্যি অনুভূতি থাকে।”

---

সেই চা-বাগানের পথ, পাহাড়ের কুয়াশা, ঝর্ণার শব্দ—সবই যেন বিদায় নিচ্ছে তাদের থেকে। তারা আলাদা হয়ে যাবে, কিন্তু প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি স্পর্শ, প্রতিটি চোখের দৃষ্টি—চিরকাল রয়ে যাবে।

> “সমাপ্তি মানেই শেষ নয়, রুপসা। আমরা হয়তো একসাথে থাকতে পারব না, কিন্তু প্রতিটি গল্প, প্রতিটি শব্দে তোমার ছায়া থেকে যাবে। জীবনের পথে তোমাকে পেয়ে, ভালোবাসতে পেয়ে আমি ধন্য। কেউ জানবে না, কেউ বুঝবে না, কিন্তু আমার অন্তরে তুমি চিরকাল বেঁচে থাকবে। আমাদের গল্প অসমাপ্ত, কিন্তু হৃদয় পূর্ণ।”

---

শেষ রাতে রিপন তার ঘরে বসে লিখল। লিখতে লিখতে সে বুঝল—কতটা কষ্টই আসে না, ভালোবাসা কখনও মুছে যায় না। রুপসার জন্য লেখা সব গল্প, সব অনুভূতি—ফেসবুকের ভক্তদের চোখে কেবল সাহিত্য, কিন্তু তার হৃদয়ে চিরন্তন বাস্তব।

রুপসা চলে গেলো। নতুন জীবন শুরু করল। রিপনও লিখতে থাকল। কিন্তু সেই লেখার ভেতরে সবসময় রুপসার ছায়া থাকবে।

তাদের ভালোবাসা অসমাপ্ত থেকে গেলো, কিন্তু সেই অসম্পূর্ণতাই রূপ দিচ্ছে জীবনকে—সুখ, দুঃখ, স্বপ্ন আর ভালোবাসার স্মৃতিতে।

সমাপ্ত,,

 #অনুগল্প #গল্পঃঅনলাইন_প্রেম #রিপন_আহমদ   ে_গল্পটা_পড়ে_যাবেন!রিপন সিলেটের ছেলে। গায়ের রঙ কালো হলেও মুখে একরাশ মায়া লেগে ...
14/09/2025

#অনুগল্প
#গল্পঃঅনলাইন_প্রেম
#রিপন_আহমদ

ে_গল্পটা_পড়ে_যাবেন!

রিপন সিলেটের ছেলে। গায়ের রঙ কালো হলেও মুখে একরাশ মায়া লেগে আছে সবসময়। তাকে দেখলে প্রথমে কারও চোখে প্রেম জাগে না, কিন্তু কথা বললেই বোঝা যায়—এ মানুষটা ভেতরে ভেতরে কতটা সৎ, কতটা নরম। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির শখ। কলেজ জীবনে কবিতা লিখতে লিখতেই আস্তে আস্তে গল্পের দিকে ঝুঁকেছিল। ফেসবুক যখন গ্রামের ছেলে মেয়ের হাতেও পৌঁছে গেল, তখন রিপনের গল্পগুলো ছড়িয়ে পড়ল তার বন্ধু তালিকার বাইরে।

রিপনের ফেসবুক আইডিতে প্রায় প্রতিদিনই একটি না একটি ছোট গল্প বা অনুভূতির লেখা থাকত। লেখার ভঙ্গি সরল, কিন্তু স্পর্শকাতর। বিশেষ করে একাকী মানুষদের জন্য এই লেখাগুলো ছিল অদৃশ্য সঙ্গী।

ঢাকার রূপা ঠিক তেমনই একজন পাঠিকা। বয়স বাইশ, একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। শ্যামলা রঙ, কিন্তু চোখেমুখে স্মার্টনেস ঝরে পড়ে। আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গি, কথায় তেজ, আবার ভেতরে ভেতরে ভীষণ আবেগীও। গল্প পড়া টাই যেনো তার নেশা ছিলো।

একদিন রাতের বেলা রূপা ফেসবুক স্ক্রল করছিল। হঠাৎ একটি লেখায় চোখ আটকে গেল—

"কেউ কাউকে কাছে পেলে সুখী হয় না, আসল সুখ তখনই হয় যখন কেউ দূরে থেকেও আপন হয়ে যায়।"

লেখার নিচে রিপনের নাম। রূপা লেখাটা পড়ে কয়েকবার শ্বাস নিল। মনে হলো, যেন তার ভেতরের কথাই কেউ লিখে দিয়েছে। সে লাইক দিল, তারপর কমেন্ট করল—
“লেখাটা হৃদয়ে লাগল।”

রিপন কমেন্টে রিপ্লাই দিল, “ধন্যবাদ আপু।”

সেদিন আর কিছু হলো না। কিন্তু রূপার মনে অদ্ভুত এক টান থেকে গেল। পরের দিন আবার সে রিপনের প্রোফাইল ভিজিট করল। আগের অনেক লেখাই পড়ে ফেলল। প্রতিটি লেখায় যেন অদৃশ্যভাবে নিজের মনের অবস্থা খুঁজে পেল।

এভাবে প্রতিদিনের রিপনের লিখা গুলা সে পরতো। একদিন সাহস করে ইনবক্সে মেসেজ দিল—
“আপনার লেখাগুলো অসাধারণ লাগে।”

রিপন ভদ্রভাবে উত্তর দিল, “ধন্যবাদ বোন, ভালো থাকবেন।”

এই ভদ্রতা রূপাকে আরও টেনে নিল। ধীরে ধীরে ইনবক্সে কথোপকথন বাড়তে লাগল। প্রথমে সাধারণ আলাপ—পড়াশোনা, শহর, পরিবার নিয়ে। তারপর ধীরে ধীরে দুজনের মনের ভেতরের কথা বেরোতে লাগল।

রিপন রূপাকে বলল, “আমি কালো বলে ছোটবেলা থেকে অনেক হাসি-তামাশার শিকার হয়েছি। কিন্তু জানি, মনের রঙই আসল।”

রূপা উত্তর দিল, “রঙে কী আসে যায়? মানুষটা আসলেই যদি মায়াবি হয়, তবে গায়ের রঙ কোনো ব্যাপার না।”

এই একটি বাক্য রিপনের হৃদয় কেঁপে উঠল। যেন অন্ধকার জীবনে কেউ আলো জ্বেলে দিয়েছে।

দিন যায়। রাতের পর রাত কাটে ইনবক্সে কথোপকথনে। রূপা প্রথমদিকে বন্ধুর মতো কথা বললেও, রিপনের আন্তরিকতা, মায়া, আর নির্ভরযোগ্যতা তাকে টেনে নিল অন্য জায়গায়। সেও বুঝতে পারল—সে প্রেমে পড়ছে।

এক রাতে রূপা লিখল,
“তুমি জানো রিপন, আমি কখনো কারও সাথে এতটা খোলামেলা কথা বলিনি। তোমাকে বলি কারণ তুমি ভিন্ন। মনে হয় তুমি আমার মনের কথা শুনে ফেলতে পারো।”

রিপনের চোখ হেসে উঠল। সে উত্তর দিল,
“হয়তো আমি দূরে আছি, কিন্তু তোমার প্রতিটি হাসি-কান্না আমি টের পাই রূপা!

কিছুক্ষণ সাড়া দিল না। রিপন ভেবেছিল হয়তো সে ভুল করে ফেলেছে। মিনিট পাঁচেক পর রিপ্লাই এলো—
“আমি তোমাকে ভালোবাসি।”

আমাকে ফিরিয়ে দিওনা।

রিপন কোনো উওর দিলোনা। কিন্তুু রূপার ভালোবাসার কাছে সে হাড় মানে। আর রূপাকে বলে দেয় আমিও তোমাকে ভালোবাসি, বড্ড ভালোবাসি রূপা!

এভাবেই শুরু হলো তাদের প্রেম।

নানান দুষ্টুমি হাসি কান্না, আর ভালোবাসায় ঘিরে উঠে রিপন ও রূপার #অনলাইন_প্রেম,!

---

পরবর্তী নয় মাস ছিল এক মায়াবি যাত্রা।

রিপন কখনো ঢাকায় যায়নি, রূপাও কোনোদিন সিলেটে যায়নি। তাদের বাস্তবে দেখাও হয়নি, কিন্তু তাদের হৃদয়ের দূরত্ব ঘুচে গেল প্রতিদিনের কথোপকথনে। রূপার পরিবারের সবার সাথেই রিপনের পরিচয় হলো ভিডিও কলে। রূপার মা অবাক হয়ে বলেছিলেন,
“এই ছেলের বয়স যদিও একটু বেশী। তবে ভীষণ ভদ্র, ভদ্রলোকের মতো কথা বলে।”

রূপার বোন ও মজা করে বলেছিল,
“বোন, কালো হলেও মনের রঙ একেবারে গোলাপি।”

এইসব কথা রিপনের মনে আশা জাগাল। সে ভাবতে লাগল, একদিন হয়তো রূপাকে বিয়ে করবে।

কিন্তু রূপা ভিন্ন মানসিকতায় ছিল। সে ভালোবাসত ঠিকই, কিন্তু তার ভেতরে অদ্ভুত দ্বিধা ছিল।

প্রায়ই বলত,
“তুমি তো অনেক দূরে থাকো। কাছে পেলে হয়তো আরও ভালো লাগত।”

রিপন উত্তর দিত,
“দূরত্ব কেবল কিলোমিটারের, রূপা। মনের দূরত্ব তো নেই।”

এভাবে সময় কেটে গেল।

---

নবম মাসের শুরুতে রূপা হঠাৎ পরিবর্তন হতে শুরু করল। আগের মতো ইনবক্সে দীর্ঘ কথোপকথন আর থাকত না। রিপন মেসেজ দিলে সে রিপ্লাই করতনা কিন্তুু রিপন বুঝতে পারতো রূপা অনলাইনেই আছে!।

এক রাতে রিপন লিখল,
“রূপা, তুমি কি আগের মতো ভালোবাসো না?”

রূপা উত্তর দিল,
“ভালোবাসি তো, কিন্তু…”

রিপন অস্থির হয়ে গেল।
“কিন্তু কী?”

কিছুক্ষণ পর উত্তর এলো—
“আমার পরিবার চায় আমি আমাদের এলাকার একজনকে বিয়ে করি। সে সুন্দর, স্মার্ট। কাছেই থাকে। আমি ভেবেছি, হয়তো এটাই ঠিক হবে ।”

রিপনের মাথার ভেতর যেন বজ্রপাত হলো। সে কাঁপতে কাঁপতে লিখল,
“তাহলে আমার সাথে নয় মাসের সম্পর্কটা কী ছিল?”

এবার রূপা সোজাসুজি লিখল,
“তোমার সাথে আমার একাকিত্ব সময়টা পার করেছি। বিয়ের জন্য না। আমি এমন কাউকে চেয়েছিলাম যে সবসময় আমার পাশে থাকবে, কাছে থাকবে। তুমি অনেক দূরে থাকো, চাইলেও পাশে থাকতে পারবে না।”

রিপনের চোখ দিয়ে টপটপ করে জল পড়তে লাগল। সে শেষবার লিখল,
“রূপা, তুমি যদি শুরুতেই বলতে, তবে আমি স্বপ্ন বুনতাম না। আমি ভেবেছিলাম ভালোবাসা মানে দুই হৃদয়ের মিলন, দূরত্ব কোনো বাধা নয়। কিন্তু তুমি প্রমাণ করলে—কিছু ভালোবাসা চাঁদের দেশে ঘুরতে যাওয়ার মতো, স্বপ্নই থেকে যায়।”

এরপর রূপা আর কোনো উত্তর দিল না।

কয়েকদিন পর ফেসবুকে ছবি দেখল রিপন!!

—রূপার বিয়ে। পাশে দাঁড়িয়ে এক সুদর্শন ছেলে। হাসিমুখে রূপার সাদা-লাল শাড়ি।

রিপনের বুক ভেঙে গেল। তবু মুখে কোনো অভিশাপ দিল না। শুধু ফেসবুকে লিখল—

"কিছু মানুষ আমাদের ভালোবাসা শেখায়, আবার কিছু মানুষ ভালোবাসা থেকে দূরে থাকার শিক্ষা দেয়।"

এবং সেই লেখা পড়ে হাজারো মানুষ কেঁদেছিল, কারন অনলাইনে অনেক মানুষ জানতো রিপন ও রূপার ভালোবাসার কথা!! কিন্তু রূপা সেই লিখাটা পড়েছিল কি না—রিপন আর জানল না।

রূপার বিয়ের রাতের ছবিগুলো রিপনের চোখে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। ঘরে সে একা বসে ছিল অন্ধকারে। জানালার বাইরে বৃষ্টির টুপটাপ শব্দ, বুকের ভেতরে কান্নার ঢেউ।

ফেসবুক খুলল না সে কয়েকদিন। মোবাইল বারবার বেজে উঠত, বন্ধুদের মেসেজ, সহপাঠীদের কল—কিন্তু রিপন ধরত না। কারও সামনে কান্না দেখাতে চায়নি।

সাত (৭) দিন পর অবশেষে ফেসবুকে ঢুকল। টাইমলাইনে চারদিক জুড়ে রূপার হাসিমাখা বিয়ের ছবি। শত শত মানুষ শুভকামনা দিয়েছে! আবার কেউ কেউ কমেন্ট করেছে। রিপন ভাইয়ার সাথে এমন টা না করলেও পারতেন। । রিপনের বুকটা ফেটে গেল।

সেদিন রাতেই সে একটা লেখা দিল—

"কেউ কারও একাকিত্ব পার করার মাধ্যম হয়ে যায়। কিন্তু সে-ই আমরা নিজেই যদি জীবনসঙ্গী ভেবে ভুল করি, তবে ভাঙনটা সহ্যের বাইরে হয়ে যায়। তবু ভালোবাসার দোষ নেই, দোষ আমাদের অন্ধ বিশ্বাসের।"

লেখাটা পড়েই মানুষ ভিড় জমাল কমেন্টে। কেউ সান্ত্বনা দিল, কেউ লিখল—"ভাই, হাল ছাড়বেন না।"
কিন্তু রিপনের চোখের ভেতরের ঝড় কেউ বোঝল না।

---

রিপনের পরিবার বুঝতে পারছিল, সে ভেতরে ভেতরে ভেঙে পড়েছে। মা কয়েকবার জিজ্ঞেস করেছিলেন,
“কিরে, তোর মুখ এত শুকিয়ে গেছে কেন?”

রিপন শুধু মিথ্যা হাসি দিয়ে বলত,
“কিছু না মা,।”

কিন্তু বুকের ভেতরে আগুন জ্বলছিল।

---

দিনগুলো ধীরে ধীরে টেনে নিতে লাগল। প্রতিদিন রাতে ঘুম আসত না। চোখ বন্ধ করলে ভেসে উঠত রূপার মুখ। মনে হতো, ইনবক্সে আবার মেসেজ আসবে—“রিপন, আমি মজা করেছিলাম, তোমাকেই চাই।”
কিন্তু সেটা কেবলই কল্পনা হয়ে থাকল।

---

এই ভাঙনের মধ্যেই রিপনের কলম আরও শক্ত হয়ে উঠল। সে লিখতে শুরু করল এমন সব গল্প, যেখানে প্রতারণা, ধোঁকা, অমলিন ভালোবাসা আর একাকিত্ব ফুটে উঠত। মানুষ তার লেখায় অদ্ভুত টান খুঁজে পেত।

বন্ধুদের একজন একদিন বলল,
“দোস্ত, তোর লেখাগুলো তো ফেসবুকে ভাইরাল হচ্ছে। মানুষ কাঁদছে পড়ে। তুই লেখক হয়ে যাবি।”

রিপন তিক্ত হেসে উত্তর দিল,
“যা হারাইনি, তা লিখতে পারতাম না। হারিয়েছি বলেই লিখতে পারছি।”

---

নয় মাসের সম্পর্কটা তাকে বদলে দিয়েছিল। আগের রিপন ছিল স্বপ্নবাজ, এখনকার রিপন বাস্তববাদী।
সে বুঝল—অনলাইনে ভালোবাসা অনেকটা চাঁদের দেশে ঘুরতে যাওয়ার মতো। স্বপ্ন দেখতে ভালো লাগে, কিন্তু বাস্তবে ধরা যায় না।

রূপার বিয়ের পরের দিনগুলো রিপনের জীবনে ছিল নিস্তব্ধতার মতো। কারও সঙ্গে সে খুব একটা মিশত না। শুধু নিজের ছোট্ট ঘরে বসে মোবাইলের স্ক্রিনে তাকিয়ে লিখে যেত।

ফেসবুকের দেয়াল ভরে উঠতে লাগল তার গল্পে। প্রতিটি গল্পে ছিল ভাঙা হৃদয়ের কান্না, নিঃসঙ্গতার দীর্ঘশ্বাস, আবার কিছুটা আশার আলোও। মানুষ গল্পগুলো পড়ত, কাঁদত, আর রিপনের ভক্ত হতে শুরু করল।

কারও মেসেজে লেখা থাকত—
“ভাই, আপনার গল্প পড়ে মনে হয় আমার জীবনের কথা।”

আবার কেউ লিখত—
“আপনি না থাকলে হয়তো আমি কষ্টে ভেঙে পড়তাম। আপনার লেখাই আমাকে বাঁচায়।”

এইসব মন্তব্য পড়েই রিপনের বুকটা হালকা হতো। মনে হতো, সে একা হলেও হাজারো মানুষ তার কলমে নিজেদের সান্ত্বনা খুঁজে পাচ্ছে।

এভাবে কেটে যায় একটি বছর,,

---

একদিন হঠাৎ খবর এলো—রূপা মা হয়েছে। তার একটি কন্যাসন্তান হয়েছে। নাম রেখেছে রিধিকা তাবাস্সুম।

খবরটা প্রথম শুনে রিপনের বুকটা ধক করে উঠল। অদ্ভুত কষ্ট হলেও , আবার যেন ভেতরে অদ্ভুত শান্তিও নামল।

নিজের ফেসবুকে লিখল সে—

"যে ফুল একদিন আমার জন্য ফুটতে পারত, সেটাই আজ অন্য কারও বাগানে ফুটেছে। তবু আমি খুশি, কারণ সে ফুল পৃথিবীতে এসেছে। রিধিকা তাবাস্সুম—তুমি সুখে থেকো, তোমার হাসি যেন কখনো না মরে।"

লেখাটা ভাইরাল হয়ে গেল। শত শত মানুষ কমেন্ট করল, চোখ ভিজল অনেকের। কিন্তু রূপা কখনো জানল কি না যে এই লেখাটা তার মেয়ের জন্য লেখা—সেটা আর রিপন জানল না।

---

রিপন আর কখনো রূপাকে মেসেজ দেয়নি। তার জীবনে নতুন কেউ আসেনি। শুধু প্রতিদিন লিখত, প্রতিদিন মানুষের মন জেতার মতো গল্প শেয়ার করত।

এভাবেই চলতে লাগল তার জীবন। একাকী, নিঃশব্দ, তবু শব্দের ভেতরে আলো ছড়ানো।

আর রূপা?
সে সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেল। স্বামী, পরিবার, আর ছোট্ট রিধিকাকে ঘিরেই তার পৃথিবী।

সময়ের স্রোতে তারা দুইজন দুই পথে হারিয়ে গেল। কিন্তু কোথাও না কোথাও, ফেসবুকের গল্পের ভেতরে, রিপনের হৃদয়ে রূপা থেকে গেল—একটা অপূর্ণ স্বপ্নের মতো।

#সমাপ্ত,,,

Address

Sylhet
Sylhet

Telephone

+8801842642582

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মোঃ রিপন আহমদ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মোঃ রিপন আহমদ:

Share