মোঃ রিপন আহমদ

মোঃ রিপন আহমদ Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from মোঃ রিপন আহমদ, Digital creator, sylhet, Sylhet.
(19)

🎬 মজার ভিডিও | 🧠 জ্ঞানমূলক গল্প | 🎭 ভাবনার স্ট্যাটাস
📸 ছবি | 🎥 রিলস | 📚 জীবনের কথা

👉 প্রতিদিন নতুন কিছু পেতে আমাদের সঙ্গে থাকুন
💬 কমেন্ট করে জানান কেমন লাগছে
📩 ইনবক্সে যোগাযোগ করতে পারেন যেকোনো সময়
❤️ Follow দিয়ে সাথেই থাকুন!

💖🌸✨🌟💬 “হাসি মুখে পথ চলাই জীবনের আসল জাদু 💫🙂প্রতিদিন একটু করে ভালোবাসা ছড়াও, পৃথিবী বদলে যাবে 🌍💛আজকের দিনটা সুন্দর করো—হা...
10/08/2025

💖🌸✨
🌟💬 “হাসি মুখে পথ চলাই জীবনের আসল জাদু 💫🙂
প্রতিদিন একটু করে ভালোবাসা ছড়াও, পৃথিবী বদলে যাবে 🌍💛
আজকের দিনটা সুন্দর করো—হাসি দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে ❤️😊
আলো ছড়াতে সূর্যের দরকার নেই, তুমি নিজেই আলো হতে পারো ☀️🌿
স্বপ্ন দেখো, সাহস নাও, এগিয়ে যাও 💖🌈” 🌻🍀
💖🌸✨

#রিপন_আহমদ

--- #গলঃবান্ধবী_যখন_বউ  #পর্বঃ২  #রিপন_আহমদ।রিক্সা থেকে নেমে হাঁটা ধরলো রিমি। মুখটা এমন গোমড়া করে রেখেছে, যেন আমি বিশাল ...
01/08/2025

---
#গলঃবান্ধবী_যখন_বউ
#পর্বঃ২
#রিপন_আহমদ।

রিক্সা থেকে নেমে হাঁটা ধরলো রিমি। মুখটা এমন গোমড়া করে রেখেছে, যেন আমি বিশাল কোনো অন্যায় করে বসেছি।
আমি পেছন থেকে দৌড়ে গিয়ে বললাম,
— এই দাঁড়া! তোর এক্সপ্রেশন দেখলে যে কেউ ভাববে আমি তোকে ফেলে পালিয়ে যাচ্ছিলাম!

— পালালেই ভালো করতি! তোকে বর সাজাতে হবে এই কথা ভাবতেই গায়ে কাঁটা দিচ্ছে!
— আমি তো ভেবেছিলাম তুই বলবি “আহা আমার প্রিন্সচার্মিং!”
— প্রিন্স চার্মিং না, পি.সি.ও.এস চার্মিং! চুপ কর বজ্জাত!

আমি ভেতরে ভেতরে হেসে উঠলাম। এই রাগী মেয়েটাকে ভালো না বেসে উপায় আছে?
— আচ্ছা দুষ্টু, এবার বল তোর নাটকের প্লট কী?

রিমি হঠাৎ সিরিয়াস হয়ে গেলো। গলার স্বর নিচু করে বললো,
— আমার ফ্যামিলি একজনকে দেখেছে। বয়সে বড়, টাকাওয়ালা, কিন্তু একদমই পছন্দ না আমার। আমি বলেছি আমি আগে থেকেই একজনকে ভালোবাসি।
— আর সেই একজন আমি? বাহ! অভিনয়ের জন্য কাস্টিং বেশ ভালো!

— তোকে তিনদিন আমার হাজবেন্ড সাজতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে আমি তোর সঙ্গে সিরিয়াস রিলেশনে আছি।
— তিনদিন তো আছেই, দরকার হলে তিন জন্ম হাজবেন্ড সাজতে রাজি আছি!

— আহ্! ডায়লগ কম দে, সময় বেশি নেই।

বিকেলে রিমির ফোন এলো,
— শুন সন্ধ্যায় আমার বাসায় আয়। একদম ঝকঝকে পরিপাটি হয়ে। তোর গলা একটু ভারী করে কথা বলিস। হাজবেন্ডলি ভাব আনবি।

সন্ধ্যায় বাসায় গেলাম। দরজা খুলতেই দেখি রিমি শাড়ি পরে দাঁড়িয়ে। আমি তো থ! গিলতেই পারছিলাম না।
— কিরে হাঁ করে আছিস কেনো? এতো সুন্দর আমি?
— না না, তোকে দেখে পুরা লাইন ভেঙে গেলো। মনে হচ্ছে কোনো সিরিয়ালে ঢুকে গেছি।
— ঢুকেই গেছিস, এখন অভিনয় কর ভালো করে। মা-বাবা কেউ বুঝতে পারলে সব শেষ।

ভেতরে ঢুকে পরিচয়পর্ব শুরু হলো।
চাচা চাচী এমনভাবে প্রশ্ন করছিলেন, মনে হচ্ছিলো আমি বিয়ের প্রস্তাব দিতে গেছি।
— রিপন কোথায় থাকে? কি করে? কবে থেকে প্রেম?
আমি এমন স্বাভাবিকভাবে উত্তর দিচ্ছিলাম, মনে হচ্ছিলো সত্যি আমি ওর বর!
রিমি পাশে বসে শুধু হেসেই যাচ্ছিলো।

রিমির মা তো খুশি হয়ে বলেই ফেললেন,
— মেয়েটা তোকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখে, ওর মুখে সবসময় তোর কথাই শুনি। এত মিষ্টি মেয়ে… ভালো রাখিস ওকে।

আমার বুকের ভেতর কেমন যেন টন টন করলো। নাটক খেলতে খেলতে যদি সত্যিই আবেগ ঢুকে পড়ে?

রাত ১০টা বাজে, চাচা বললেন,
— তোমরা ছাদে যাও, গল্প করো। নতুন দম্পতিদের একটু সময় দরকার।

আমরা ছাদে এলাম। চারপাশে নিরবতা, হালকা বাতাস, আর মাথার উপর পূর্ণিমার চাঁদ।
আমি বললাম,
— জানিস, নাটকের মধ্যে একটা ব্যাপার আসল হয়ে গেছে।

রিমি অবাক হয়ে তাকালো,
— কি?

— আমি তোকে বহুদিন ধরে পছন্দ করি রিমি। শুধু বলার সাহস হয়নি কখনও।
আজ যখন তোর পরিবার সামনে তোকে আমার স্ত্রীর মতো করে দেখছে, মনে হচ্ছে... যদি এটা সত্যি হতো?

রিমি কিছু বললো না। তাকিয়েই থাকলো। সেই চোখে কেমন এক মায়া... অভিমান... আবার লুকানো অনুভব।

আমি এগিয়ে গিয়ে ওর হাতটা ধরলাম।

— যদি বলি, অভিনয়টা সত্যি করতে চাই?

রিমি ধীরে করে বললো,
— এখনো অভিনয় চলছে… কিন্তু যদি আমার মনও অভিনয় ভুলে যায়?

আমি হেসে বললাম,
— তাহলে আমরা দুজনেই ভুল করে ঠিক পথে চলছি।

চাঁদের আলোয় আমাদের ছায়া মিশে গেলো একে অপরের মাঝে।
সেই রাতে কেউ কিছু বলেনি, কিন্তু দু’জনের চোখই বলে দিলো... এ গল্প আর অভিনয় নয়।

চলবে...

দোয়া করবেন সবাই🥰
30/07/2025

দোয়া করবেন সবাই🥰

 #গলঃবান্ধবী_যখন_বউ, #পর্বঃ১ #রিপন_আহমদ .তোর চা,, চেয়ে দেখি মহারাজ এখোনো পরে পরে ঘুমাচ্ছেন। দেখাচ্ছি মজা-- আমি চুপ করে চ...
29/07/2025

#গলঃবান্ধবী_যখন_বউ,
#পর্বঃ১
#রিপন_আহমদ
.তোর চা,, চেয়ে দেখি মহারাজ এখোনো পরে পরে ঘুমাচ্ছেন। দেখাচ্ছি মজা

-- আমি চুপ করে চোখ বন্ধ করে রিমির কান্ড দেখছিলাম..

--উঠ উঠ বলতেছি। উঠবিনা তাইতো দারা পানি আনতেছি। যেয় না বলে উঠতে নিলো আমি ওমনি রিমির হাত টা হ্যাচকা টান দিয়ে আমার বুকি নিলাম কি মহারানী পানি আনা হচ্ছিলো বুঝি??

--আনবোই তো পরে পরে ঘুমোচ্ছিস আর আমি কি না উনার জন্য চা নিয়ে আসছি।

--আলতো করে কোমড় জরিয়ে বুকের সাথে চেপে ধরলাম,

--কি করছিস?? ছারতো আমায়। বজ্জাত ব্যাডা ছাড়

--উহুম ছারবোনা তোকে,, বলেই ওর ঠোটের সাথে, ঘারে ঠোট ছোয়াতে লাগলাম,, রিমির চুলে যেনো অন্যরকম একটা নেশা আছে.....ঠোটে ঠোট লাগিয়ে হারিয়ে যাচ্ছিলাম.... হঠাৎ করেই ফোনটা বেজে উঠলো।

-- ফোন হাতে নিয়ে কোনো মতো তাকিয়ে দেখলাম মা ফোন করেছে। একি!! তাহলে আমি কি স্বপ্ন দেখছিলাম?? ভালো করে চেয়ে দেখি রনি আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। বুঝতে বাকি রইলোনা যে রিমি ভাইবা যারে আদর করতেছিলাম সে রনি।

--সালা তোর একদিন কি আমার একদিন। আমারে বাড়িতে ডাইকা এনে রোমাঞ্চ করা সালা কুওা। (রনি)

--আমি কোনো মতো দৌড় দিলাম দৌড়াতে দৌড়াতেই দেখি রিমি। আমি থেমে গেলাম আর রনিও থেমে গেলো।

(আপনাদের বলায় হয়নি এই যে আমি যাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেছিলাম ইনি হচ্ছেন আমার পেয়ারের বউ থুক্কু মেরি পেয়ারি বেস্টফ্রেন্ড রিমি, আর আমি হচ্ছি ভালোবাসার কথা না বলতে পারা এক হতভাগা রিপন। আর যারে বাস্তবে আদর করছি উনি আমার ফ্রেড। আমার আর রিমির পরিচয় ইন্টার থেকে দুজন একি কলেজে পরতাম,, তখোন থেকে বন্ধুত্ব। অবশ্য সকলে মানতে নারাজ।)

-- কিরে এভাবে দৌড়াচ্ছিস ক্যান সকাল সকাল তাও এইভাবে ছি! (রিমি)

--সব তোমার জন্য (রনি)

--আমি কি করলাম?? (রিমি)

--আরেহ বাদ্দেতো,, তুই এতো সকালে কেন??

--এখোনো মনে হয় খুব সকাল?? ৯ টা ৪৫ বাজে আজ ক্লাস আছে না??

--আরে বাপরে আমি তো ভুলেই গেছি। একটু দারা আমি আসতেছি রেডি হয়ে।

-তারা তারি যা (রিমি)

--হুম যাচ্ছি তো।

--না দারা আমিও যাবো তোর সাথে।

--হ্যা আয় আমি গোসল দিবো ড্রেস পাল্টাবো তুই দেখিস।

--আরে না না যা,, কুওা।

ড্রেস চেন্জ করে আসলাম। এসে দেখি মহারানী রাক্ষসী বসে বসে সেল্ফি তুলছেন। তবে খারাপনা সুন্দর ই লাগছে। এই চল এখন।

--হুম চল। রিপন এর দিকে তাকিয়ে দেখলাম চেক সার্ট পরেছে। এই একমিনিট একমিনিট দারা।

--কি হয়েছে??

--তুই এই সার্ট পরছিস কেনো?? বুড়ো লাগছে। চল এখন তুই পাল্টাবি এখন।

--ঠেলতে ঠেলতে রুমে নিয়ে গেলো আমাকে এই পেত্নীর জালায় আর বাচিনা। মনে হয় ঘড়ের বউ।

-- এই নে কালো টিসার্ট টা পর। আর এইচা চুল কাটার সাইজ। এই স্টাইল চেন্জ করবি বলে দিলাম।

--জ্বি চলেন। কু্টনি বুড়ি।

দুজনে রিকশার ওপর বসে আছি। রিমির চুল গুলো উরে আমার মুখে লাগছে। সত্যি ই তো ওর চুলের গন্ধ টা নেশা ধরানোর মতো। খুব সুন্দর লাগছে পরীর মতো। পাগলিটা। এতো কিছু ভাবতে ভাবতে ক্লাসে পৌছে গেলাম। দুজনেই ক্লাস করছি। মাঝে মাঝে ওর দিকে তাকাচ্ছি কিন্তু রিমি একবারো তাকাচ্ছেনা ধ্যাৎ।

--আমার দিকে না তাকিয়ে স্যার এর কথা শোন উল্লুক।

--হুম।

ক্লাস শেষে দুজনেই বাড়ি ফিরছি।

--শোন তোকে একটা কথা বলবো (রিমি)

--কি বলবি বল (মনে মনে খুশি হলাম নিশ্চয় ভালোবাসার কথা বলবে)

--এই ছবিটা দেখ। মোবাইল টা দিয়ে দিলাম।

-- আরে এই কাকুর ছবি দেখাচ্ছিস কেনো। তোর যে আরেকটা কাকু আছে বলিস নি তো।

-- ধ্যাৎ কাকুনা এই বুইড়া ব্যাডার লগে বিয়া ঠিক করছে বয়স একটু বেশি টাকা অনেক।

--বুকের ভিতোর একটা ধাক্কা লাগলো। মন খারাপ করে বল্লাম তুই রাজি??

--হ্যা রাজি তো একদম রাজরানীর মতো থাকবো।

--রিক্সার মধ্যেই ওর গলা ধরে আমার মুখের কাছে ওর মুখ নিয়ে এসে বল্লাম " আমায় ছেড়ে তুই কোথাও যাবিনা "

-- উফ ছাড়! পুরো কথা তো শুনবি।(মনে মনে ভাবতে লাগলাম রিপন এরকম করলো কেনো?? আমার তো একদিন বিয়ে হয়েয় যাবে।) শোন আমি একে বিয়ে করবো না। তোর একটা হেল্প চায়।

--আমি কিন্তু তোর মতো পেত্নীর বয়ফ্রেন্ড সাজতে পারবোনা (খুশিতে বল্লাম কারন ওতো বিয়ে করবেনা)

--শোন তোকে বয়ফ্রেন্ড সাজতে হবেনা ডিরেক্ট আমার হাজবেন্ড সাজবি। নইলে ওই বুড়ার সাথে বিয়ে দিবে।

--তর বর সাজবো আমি। আহা শখ কতো পারবোনা তুই যে রাক্ষসী (মনে মনে তো ব্যাপক খুশি, নাগিন ড্যান্স দিতে ইচ্ছা হচ্ছিলো)

--এই তো গলা চিপে ধরলি এখন বলছিস না?? থাক আমি চলে গেলাম। এই মামা রিক্সা থামাও।

--আরে শোন শোন..

চলবে..

ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

 #গল্পঃতোমার_ছোঁয়ায়_বাচি, #পঞ্চম_ও_শেষপর্ব, #রিপন_আহমদ রুমার চোখে এক দাগ চেপে বসেছিল—নির্বিকার একটা বিষাদ। শহরের বুকে এক...
26/07/2025

#গল্পঃতোমার_ছোঁয়ায়_বাচি,
#পঞ্চম_ও_শেষপর্ব,
#রিপন_আহমদ

রুমার চোখে এক দাগ চেপে বসেছিল—নির্বিকার একটা বিষাদ। শহরের বুকে একটা ছোট্ট ক্যাফেতে বসে, কফির গ্লাস হাতে নিয়ে সে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিল। রিপনের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিলো দু’দিন আগেই, কিন্তু আজ যেন তার কথা আর আসছিল না।

“রিপন কি সত্যিই আমার জীবনের সেই মানুষ?” রুমা ভাবছিলো, “নাকি শুধু আমার একাকীত্ব ভাঙানোর একটা আশা মাত্র?” তার মনটা এলোমেলো।

আরও মিশে যাচ্ছিল সেই স্মৃতি, যখন প্রথম দেখা হয়েছিল তাদের। কেমন এক অদ্ভুত সম্পর্ক, যেখানে ছিলো অহংকার, ছিলো মিষ্টি মিথ্যে, আর ছিলো গভীর ভালোবাসার অশ্রু।

তাদের মাঝে এখন যেন একটা অদৃশ্য দেয়াল গড়ে গেছে—বুঝতে পারছিলো না কারা সেই দেয়াল ভাঙবে, আর কিভাবে ভাঙবে!

রিপনও একদম আলাদা ভাবনায় নিমজ্জিত। অফিসের কাজের ব্যস্ততা মাঝে মাঝে তাকে ক্লান্ত করে ফেলত। কিন্তু রুমার কথা বারবার তার মনকে কাঁপাতো। সে বুঝতে পারতো, এই সম্পর্ক শুধু সময়ের দাবি নয়, এটা ছিলো তার জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা।

“কিন্তু কি করবে?” নিজেকে প্রশ্ন করতো সে।

আসলে জীবনে ভালোবাসা আর বিশ্বাসের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম রেখা থাকে, যা অতিক্রম করা সবচেয়ে কঠিন। আর রিপন ও রুমার সেই লড়াই এখন তীব্র হয়ে উঠছে।
ঠিক আছে, চালিয়ে যাই

রিপনের মন আজ অতটা অস্থির ছিলো, যেন কোনো অদৃশ্য হাত বারবার তার হৃদয় চেপে ধরে। অফিস থেকে বের হয়ে সে হাঁটছিলো শহরের সেই পুরোনো বইয়ের দোকানের পাশে, যেখানে রুমার পছন্দের কিছু বই ছিলো। হঠাৎ করেই মনে হলো, রুমাকে কিছু বলতে হবে, নিজের সব মন খুলে।

তাকে ভুল বোঝাবুঝির ফাঁদ থেকে উদ্ধার করতে হবে, যেই ফাঁদ তাদের দূরে ঠেলে দিচ্ছিলো প্রতিনিয়ত।

কিন্তু কীভাবে?

রুমা আজও কফির গ্লাস হাতে বসে ছিলো তারই প্রিয় ক্যাফেতে, তার চোখে ছিলো আগের মতোই এক মিশ্র অনুভূতির ঝিলিক। রিপন এসে তার পাশে বসলো, নীরব হয়ে এক মিনিট শুধু তাকিয়ে রইলো।

“রুমা, আমরা যদি বুঝতাম একে অপরের কথাগুলো ঠিক মতো, তাহলে হয়তো এত দুরত্ব আসতো না,” রিপনের কণ্ঠে কম্পন।

রুমা আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল, “তুমি বুঝতেই পারো না, আমার ভেতরে কতটা ভয়, কতটা দ্বিধা।”

“আমারও ভয় আছে,” রিপন হাত দিয়ে রুমার হাত ধরল, “ভয় যে তোমাকে হারাবো, ভয় যে আমাদের মধুর স্মৃতিগুলো ঝরে যাবে। আমি চাই এই ভয়কে পার হয়ে, আমরা নতুন করে শুরু করি।”

রুমার চোখে অশ্রু জমলো, ধীরে ধীরে সে হাত তুলে রিপনের হাত ধরে রাখল।

“তাহলে চল, আজ থেকে সব ভুলে যাই। শুধু এই মুহূর্তটা আমাদের।”

বিপরীতের দুই হৃদয় এক হয়ে গিয়েছিলো, দূরত্ব কমে এসেছিলো, আর সেই সন্ধ্যার আকাশ যেন গায়ে জড়িয়ে ধরেছিলো তাদের নতুন আশা।

তারা জানতো, সহজ হবে না—তবু তারা বিশ্বাস করেছিলো, ভালোবাসা সব বাধা পার হয়ে নতুন আলো নিয়ে আসবে।

রিপন আর রুমার জীবনের সেই সন্ধ্যা যেন এক নতুন সূচনা। ক্যাফের গরম আলোয় তাদের হাতের স্পর্শে যেন নতুন শক্তি জন্ম নিচ্ছিলো। কিন্তু জীবনের কঠিন বাস্তবতা তাদের ঘিরে আছে।

“রুমা, তোমার সঙ্গে আমি সব কিছু শেয়ার করতে চাই, ভালো-খারাপ, আনন্দ-বেদনা—সবকিছু,” রিপন ভেবেছিলো, এবার কথা হবে স্পষ্ট।

রুমা মৃদু হাসল, “আমি ও চেয়েছিলাম তোর কথা জানতে, রিপন। কিন্তু ভয়, লজ্জা সব মিশে এক অদ্ভুত দেয়াল গড়ে দিয়েছিল আমাদের মাঝে।”

“সেই দেয়াল ভেঙে ফেলব,” রিপন বলল দৃঢ় কণ্ঠে, “আমার পরিবার, আমার কাজ, আমার জীবন—সব তোমার জন্য খুলে দেব।”

তারপর তারা দু’জনে সেই রাতে দীর্ঘ সময় কাটালো। রিপন বলল তার বাবার কঠিন শাসনের কথা, যেখান থেকে সে পালিয়ে এসেছিল নিজের স্বপ্নের পেছনে। রুমাও শেয়ার করল তার মায়ের অসুস্থতার খবর, যা প্রায়ই তার মন খারাপ করতো।

“তোর পাশে থাকলে সব কঠিন মুহূর্ত অতিক্রম করা সহজ হবে,” রিপন প্রতিজ্ঞা করলো।

তাদের কথাবার্তা থেমে গেলে, রিপন হঠাৎ বলল, “আগামীকাল থেকে আমাদের একসঙ্গে সময় কাটানো শুরু করব, পার্কে যাব, সিনেমা দেখব, বই পড়ব, সব কিছু। আমি চাই তোর জীবনে আমি শুধুই আনন্দের স্রোত নিয়ে আসি।”

রুমার চোখে ঝিলিক এসে গেল, “তুই জানিস, আমি ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতাম একটা শান্ত জীবন যাপনের, যেখানে কারো চোখে বিচ্ছিন্নতা থাকবে না।”

“আমারও,” রিপন বলল, “তাই তো আমরা একসাথে।”

কিন্তু সেই রাতের কথা যেন ছিলো স্বপ্নের মতো, কারণ পরের দিন সকালে রুমার ফোনে একটি মেসেজ আসে।

“তোর বাবা অসুস্থ। তোর কাছে ফিরে আসতে হবে।”

রুমার মুখে অজানা কষ্টের ছাপ। রিপনের চোখে চিন্তার রেখা।

“আমি যেতে বাধ্য,” রুমা বলল, “কিন্তু আমি চাই তুই আমার পাশে থাকবি।”

“আমি যাবো। একা তুই কখনো না।”

সেই দিন থেকে শুরু হলো নতুন যুদ্ধ, পরিবার আর ভালোবাসার মধ্যে।

কিন্তু কীভাবে সামলাবে তারা সব কিছু?

কিন্তু তাদের ভালবাসার বাঁধন আরও শক্তিশালী হবে।

ঠিক আছে, আমি আরও বড়, গভীর এবং আবেগঘন করে পরের পর্ব লিখছি, যেখানে রুমা আর রিপনের মিল ও সম্পর্কের দিকটা সুন্দরভাবে ফুটে উঠবে।

রুমার বাবা অসুস্থ হওয়ায় হঠাৎ তার বাড়ি ফিরে যাওয়া বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়ায়। রিপন বুঝতে পারছিল এই মুহূর্তে রুমার কাছে তার পাশে থাকা মানে কত বড় সাহারা।

রুমার ছোট ছোট হাতে যখন রিপনের হাত আটকে, তখন তার মনে হল যেন জীবনটা একেবারেই অন্য রূপ নিয়েছে।

“রিপন, আমি জানি, আমার এই দায়িত্ব তোর স্বপ্নের পথে বাধা হতে পারে,” রুমা কাঁপা কণ্ঠে বলল, “কিন্তু তুই আমার জন্য থাকবি তো?”

রিপনের চোখে মায়ার ঝলক। “রুমা, আমি কখনো ভাবিনি যে তুই আমার জীবনের থেকে দূরে যাবে। এই পথ চলা একসঙ্গে, ভালো লাগুক বা কঠিন, আমি কখনো ছেড়ে যাব না।”

তারা দুজনেই বুঝতে পারল, একে অপরের ভালোবাসা শুধু কথায় নয়, বরং সেই ভালবাসাকে তারা করণীয়তায়, ছোট ছোট যত্নে ও পাশে থাকার প্রমাণে তুলে ধরবে।

রুমার মা অসুস্থ, তাই রুমা বাড়ির দায়িত্ব নিলেও রিপন সময়ের ফাঁকে ফাঁকে এসে তাকে সাহায্য করত। রাতের অন্ধকারেও তারা একসঙ্গে বসে গল্প করত, তাদের চোখের ভাষা ছিলো বুঝে নেয়ার সবচেয়ে মধুর মাধ্যম।

একদিন সন্ধ্যায়, বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে জানালায়, রিপন বলল, “রুমা, তুই আমার জীবনের অর্ধেক। তোর হাত ছাড়া আমি অসম্পূর্ণ।”

রুমা হেসে বলল, “আর তুই আমার প্রাণের অংশ। আমরা একসাথে থাকলে সব কিছু সম্ভব।”

তাদের মিল সেই ছোট ছোট মুহূর্তে গড়ে উঠছিলো,
উঠছিলো, যখন তারা একে অপরের মুখ থেকে বোঝত আনন্দ, দুঃখ, আশঙ্কা ও স্বপ্ন।

রিপন যখন ক্লান্ত হয়, রুমা তার মাথায় হাত বুলিয়ে বলত, “তুই যা করিস, ভালোবাসার জন্য করিস। আমি তোর পাশে আছি।”

এভাবেই দুই হৃদয় ধীরে ধীরে এক হওয়া শুরু করল। তারা বুঝতে পারল—যে ভালোবাসা শুধু ভালোবাসা নয়, সেটা জীবনের প্রতিটি কষ্ট আর সুখের সাথী।

কিন্তু তাদের সামনে আরও অনেক পরীক্ষা অপেক্ষা করছে, কারণ জীবন কখনো শুধু ভালোবাসা দিয়ে লেখা হয় না।

রুমার চোখে অশ্রু, আর রিপনের কাঁধে হাত রাখা—বিষাদের সেই ঘর কেবল তাদের ভালোবাসার আলোয় আলোকিত ছিল।

“রিপন, আমরা একসাথে অনেক কিছু পার করেছি। এই পথে যত বাধা এসেছে, আমরা লড়ে এসেছি। কিন্তু এখন আমার মনে ভয় লাগে, যদি কোনও দিন তুই আমাকে ছেড়ে চলে যাও,” রুমা কণ্ঠ ভেজা করল।

রিপনের স্পর্শ গরম, চোখে দৃঢ়তার ঝিলিক। “রুমা, আমি কখনো তোর থেকে দূরে যাব না। এই জীবন যতই ঝড় তুলুক, আমি তোমার হাত ছাড়া টিকতে পারব না।”

তাদের জীবনের গল্প যেন এক নাটকের মতো, যেখানে সুখ আর দুঃখ হাত ধরাধরি করে এগিয়ে আসে।

এই দিনগুলোতে, তাদের ভালোবাসা আরও পোক্ত হলো, আরো গভীর হলো। তারা বুঝতে পারল, সত্যিকারের ভালোবাসা মানে একে অপরের জন্য আত্মত্যাগ, একে অপরকে বাঁচানো, আর জীবনের প্রতিটি অধ্যায় একসাথে লেখা।

এক রাতে, তারা চুপচাপ বসে ছিল সেই গ্রামের ছাদের ওপর, যেখানে তারা প্রথম দেখা হয়েছিল। তারা জানত, তাদের জীবনের সবচেয়ে কঠিন অধ্যায় এখনো আসেনি।

রিপন আর রুমা একে অপরের চোখের মধ্যে হারিয়ে গেল।

“রুমা, তুই আমার জীবনের সব কিছু। তোর ছাড়া আমি কিছুই নই,” রিপন বলল, “আমরা যতই দূরত্বের মুখোমুখি হই, এই ভালোবাসা আমাদের বেঁচে রাখবে।”

রুমা তার হাতে রিপনের হাত জড়িয়ে ধরল, “আমার প্রতিজ্ঞা, আমরা একসাথে বাঁচব, একসাথে মরব। আমাদের ভালোবাসা চিরদিন অটুট থাকবে।”

গ্রামের সকলে তাদের গল্প শুনত, তাদের ভালোবাসার কথা স্মরণ করত, কারণ তারা শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা নয়, তারা একে অপরের জীবনের আলো।

তাদের ভালোবাসা ছিল নিখুঁত—তীব্র, গভীর, এবং নির্ভেজাল। জীবন যতই কঠিন হোক, তারা একসাথে থাকলেই সবকিছু সামলাতে পারবে।

শেষ মুহূর্তে, রুমা বলল, “রিপন, তুই আমার ছায়া, আমার জীবন। আমি তোমার ছোঁয়ায় বাঁচি।”

রিপন হেসে বলল, “আর আমি তোমার ভালবাসায় বেঁচে থাকব, রুমা।”

সেই সন্ধ্যায়, তারা দুজনেই জানত—যে ভালবাসা তাদের একত্রে বেঁধেছে, সেটি কখনো ভাঙ্গবে না। তারা ছিল এক, তারা ছিল পরম ভালোবাসার এক অমলিন গল্প।

---
সমাপ্ত,,,

Address

Sylhet
Sylhet

Telephone

+8801842642582

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মোঃ রিপন আহমদ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মোঃ রিপন আহমদ:

Share