Mahmudul Hasan Jahid

Mahmudul Hasan Jahid ইতিহাস,ঐতিহ্য,সংস্কৃতি ও ভ্রমন বিষয়ক কনটেন্ট পেতে Follow দিয়ে পেইজের সাথে থাকুন 😊
(2)

কাজী বাড়ি এস্টেট: পুরান ঢাকার এক ঐতিহাসিক দলিলরোকনপুর ৩য় লেন, কলতাবাজার, পুরান ঢাকা ১১০০পুরান ঢাকার প্রাচীন অলিগলিতে হেঁ...
07/11/2025

কাজী বাড়ি এস্টেট: পুরান ঢাকার এক ঐতিহাসিক দলিল
রোকনপুর ৩য় লেন, কলতাবাজার, পুরান ঢাকা ১১০০
পুরান ঢাকার প্রাচীন অলিগলিতে হেঁটে গেলে এমন কিছু স্থাপত্যের দেখা মেলে, যা কেবল ইট-কাঠের কাঠামো নয়—বহু শতাব্দীর সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসের নীরব সাক্ষী। কলতাবাজারের রোকনপুর ৩য় লেনে অবস্থিত কাজী বাড়ি এস্টেট তেমনই এক ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা, যা এখনও ১৮২০ সালের সেই আভিজাত্য ধরে রেখেছে।

নির্মাণের ইতিহাস ও প্রতিষ্ঠা
এই ঐতিহাসিক বাড়িটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় প্রায় ১৮২০ সালে, এবং এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মীর এলাহী বকস (Mir Elahi Box)। তৎকালীন পুরান ঢাকার হাতে গোনা যে কয়েকটি পরিবার সমাজে প্রভাব ও প্রতিপত্তি বিস্তার করেছিল, মীর এলাহী বকস ছিলেন তাদের অন্যতম। তাঁর হাতে গড়া এই অট্টালিকাটি খুব দ্রুতই ঢাকার প্রসিদ্ধ বাড়িগুলোর মধ্যে স্থান করে নেয়।

চৌদ্দ ঘরোণা: এক অনন্য পারিবারিক সংস্কৃতি
সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই বাড়িটি 'চৌদ্দ ঘরোণার এক ঘর' নামেও পরিচিত ছিল। 'চৌদ্দ ঘরোণা' (বা চৌদ্দ পরিবার) ছিল মূলত সেই সময়ের ১৪টি অতি ঘনিষ্ঠ ও প্রভাবশালী পরিবারের একটি গোষ্ঠী, যারা পারস্পরিক বৈবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে সুদৃঢ় আত্মিক বন্ধন বজায় রাখতেন। এই প্রথাটি পুরান ঢাকার বংশানুক্রমিক সাংস্কৃতিক বন্ধন ও স্থানীয় আভিজাত্যের এক বিশেষ নিদর্শন, যার ছাপ এখনও এখানকার সামাজিক প্রথায় কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়।

'কাজী বাড়ি' নামের নেপথ্যে
বাড়িটির আদি নাম সম্ভবত ভিন্ন ছিল, কিন্তু এর বর্তমান পরিচিতি সম্পূর্ণভাবে ব্রিটিশ আমলের বিচারিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। ব্রিটিশ শাসনামলে এই এস্টেটের একটি অংশে 'শাহের কাজী' (Shah-er Qazi) বা 'টাউন জাজ'-এর জন্য একটি বৈঠকখানা ও অস্থায়ী এজলাস স্থাপিত হয়েছিল, যেখানে বিচার কাজ পরিচালনা করা হতো। বিচারক বা কাজীর দপ্তর হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার কারণেই সাধারণ মানুষের মুখে মুখে একসময় বাড়িটি 'কাজী বাড়ি' নামে স্থায়ী পরিচিতি লাভ করে।

স্থাপত্যশৈলীতে ইতিহাসের ছাপ
কাজী বাড়ির স্থাপত্যশৈলীতে বিভিন্ন সময়ের প্রভাব সুস্পষ্ট। এখানে আপনি ব্রিটিশ কলোনিয়াল স্থাপত্যের কারুকার্যের পাশাপাশি মোঘল এবং সুলতানী আমলের কিছু স্মৃতিচিহ্ন দেখতে পাবেন। বিশেষত, বাড়ির আঙিনায় অবস্থিত প্রাচীন মসজিদটিতে টার্কিশ বা সুলতানী স্থাপত্যশৈলীর ছাপ দেখা যায়, যা প্রমাণ করে এই স্থানের ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহু প্রাচীন। এছাড়াও, বাড়িটির বিভিন্ন সংস্কার ও রিনোভেশনের কাজে ১৯ শতকের লোগো সম্বলিত ইংল্যান্ডের কোনো কোম্পানির নাম পাওয়া যায়, যা এই অট্টালিকার আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ইতিহাসকে তুলে ধরে।

কাজী বাড়ি এস্টেট পুরান ঢাকার ইতিহাসের এক জীবন্ত দলিল, যা সময়ের সাথে সাথে তার জৌলুস হয়তো কিছুটা হারিয়েছে, কিন্তু ইতিহাসের ভার আজও বহন করে চলেছে।
_________ ________ ________
📜 Copyright Notice:
This page's entire content is copyright protected
© Mahmudul Hasan Jahid.
If you want to copy this text, please include the page's name.Otherwise, please share it — this maintains respect and avoids copyright issues.

১৯০৬ সালের সেই ছবিটি যেন স্মৃতির পাতা থেকে উঠে আসা এক স্থির চিত্র—ধলেশ্বরী নদীর বুকে ভাসমান লম্বা গলুইয়ের গয়না নৌকাটি, য...
07/11/2025

১৯০৬ সালের সেই ছবিটি যেন স্মৃতির পাতা থেকে উঠে আসা এক স্থির চিত্র—ধলেশ্বরী নদীর বুকে ভাসমান লম্বা গলুইয়ের গয়না নৌকাটি, যা কিনা বিক্রমপুরের ব্যবসায়িক রোমাঞ্চের প্রতীক। আধুনিক যান্ত্রিক লঞ্চের কর্কশ শব্দের বহু আগে, এই কাঠের তরীগুলোই ছিল ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জগামী মালামাল আর মানুষের মূল আশ্রয়।
বিক্রমপুরের মাইজপাড়া থেকে যে যাত্রা শুরু হতো, তা ছিল যেন এক দীর্ঘ সামাজিক উৎসব। মাইজপাড়া থেকে সরু খালপথে আড়িয়ল বিলের জল ছুঁয়ে, সৈয়দপুর ও কেরাণীগঞ্জের শুভাঢ্যা হয়ে গয়না নৌকা থামতো ঢাকার বাদামতলীতে। মূলত নিজেদের দোকানের পণ্যসামগ্রী আনা-নেওয়ার জন্যই ব্যবসায়ীদের কাছে এর কদর ছিল সবচেয়ে বেশি।

উত্তর কোলাপাড়ার খলিল মেম্বারের স্মৃতিচারণটি এক অসাধারণ জীবনচিত্র তুলে ধরে। চল্লিশের দশকে কোলাপাড়া বাজারের জন্য মালামাল আনতে তিনি বিকেল বেলায় মাইজপাড়া থেকে গয়নায় চড়তেন। গামছায় বাটি-থালা বেঁধে রাতের খাবার নিয়ে যাওয়ার এই দৃশ্যটি সেই সময়ের সরল জীবনযাত্রার এক প্রতিচ্ছবি। রাতের নীরবতা ভেঙে যেত হারিকেনের মৃদু আলোয়, যখন সাত-আটজন ব্যবসায়ী একসঙ্গে আড্ডায় মগ্ন হতেন, হয়তো তাস খেলতেন। আর সারারাতের একটানা যাত্রার পর, ঘুমের মধ্যেই গয়না নৌকা পৌঁছে যেত বাদামতলীর ঘাটে।
তবে এই যাত্রা কেবল আড্ডা আর ঘুমের ছিল না, ছিল সাহসিকতারও। দীর্ঘ জলপথে ডাকাতের ভয় ছিল নিত্যসঙ্গী। তাই নৌকার ভেতরে মজুত থাকত সড়কি, লাঠি ও পাথর—জীবিকা ও জীবন রক্ষার এক অঘোষিত অস্ত্রাগার। মাল্লারা, যাদের বলা হতো 'লগ্গি ও দ্বাড়-টানা বাহিনী', তারা সাত-আটজন মিলে পাল্লা দিয়ে বৈঠা টানতো। আর যদি বাতাস অনুকূলে থাকত, তবে সাদা বাদাম বা পাল টাঙিয়ে গয়না নৌকা ভেসে চলত তীব্র গতিতে, এক রোমাঞ্চকর গতিময়তায়।
এই গয়না সার্ভিস কেবল পণ্য পরিবহনের মাধ্যম ছিল না, এটি ছিল বিক্রমপুরের মানুষের জীবন-জীবিকা, সাহস ও লোক-সংস্কৃতির এক জীবন্ত দলিল, যা কালের গর্ভে বিলীন হলেও ইতিহাসের পাতায় আজও অম্লান।
_________ ________ ________
📜 Copyright Notice:
This page's entire content is copyright protected
© Mahmudul Hasan Jahid.
If you want to copy this text, please include the page's name.Otherwise, please share it — this maintains respect and avoids copyright issues.

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের এক বিরল ব্যক্তিত্ব তিনি—আনোয়ার হোসেন। দর্শকদের কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন 'মুকুট হীন নবাব' বা ...
07/11/2025

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের এক বিরল ব্যক্তিত্ব তিনি—আনোয়ার হোসেন। দর্শকদের কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন 'মুকুট হীন নবাব' বা 'The Crownless King' হিসেবে। তাঁর অভিনয় ছিল প্রতিবাদের প্রতীক, আপোষহীন সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর। দীর্ঘকাল ধরে তিনি ছিলেন পরিচালকদের প্রথম পছন্দ; তাঁকে ছাড়া যেন মূলধারার চলচ্চিত্র নির্মাণে দ্বিধা করতেন অনেকেই।

১৯৩১ সালের ৬ নভেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের জামালপুর মহকুমায় জন্মগ্রহণ করেন আনোয়ার হোসেন। দেওয়ানগঞ্জ প্রাইমারি স্কুলে তাঁর শিক্ষাজীবনের শুরু। এরপর জামালপুর জেলা স্কুল থেকেই নাটকের প্রতি তাঁর তীব্র আকর্ষণ জন্ম নেয়। স্কুল ও এলাকার যেকোনো নাটকে ছোট-বড় যেই চরিত্রই হোক না কেন, অভিনয়ের সুযোগ পেলেই তিনি ছুটে যেতেন।

১৯৫১ সালে ম্যাট্রিকুলেশন শেষ করে তিনি ভর্তি হন ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজে। সেখানেই আসকার ইবনে শাইখের বিখ্যাত নাটক 'পদক্ষেপ'-এ অভিনয় করে তিনি প্রথমবার নাট্যসমাজে পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৫৭ সালে তিনি জীবিকার সন্ধানে ঢাকায় আসেন এবং মঞ্চনাটকে সক্রিয় হন। ১৯৫৯ সালে ননী দাসের নির্দেশনায় 'এক টুকরো জমি' নাটকে তাঁর শক্তিশালী অভিনয় সবার নজর কাড়ে। মঞ্চের পাশাপাশি তিনি ঢাকা বেতারে অডিশন দিয়ে শিল্পী হিসেবে উত্তীর্ণ হন এবং নিয়মিত নাটক করতে থাকেন। এই সময়েই আবদুল জব্বার খান, ফতেহ লোহানী, মহিউদ্দিন, সুভাষ দত্তের মতো ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়।

আনোয়ার হোসেনের রূপালি পর্দায় অভিষেক ঘটে ১৯৬১ সালে মহিউদ্দিন পরিচালিত 'তোমার আমার' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। মজার বিষয় হলো, এই ছবিতে তিনি খল চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হন। কিন্তু একই বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত খান আতাউর রহমানের ধ্রুপদী চলচ্চিত্র 'সূর্যস্নান'-এ (১৯৬১) প্রধান চরিত্রে (নায়ক) অভিনয় করে তিনি প্রমাণ করে দেন—তাঁর প্রতিভা বহুমুখী। এরপর 'জোয়ার এলো', 'কাঁচের দেয়াল', 'নাচঘর', 'দুই দিগন্ত', 'বন্ধন', 'একালের রূপকথা'-সহ অসংখ্য ছবিতে তাঁর সাবলীল ও অনবদ্য অভিনয় মুগ্ধ করে দর্শককে।
১৯৬৭ সালে, তাঁর ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ছবিটি মুক্তি পায়—'নবাব সিরাজুদ্দৌলা'। নাম ভূমিকায় তাঁর অসাধারণ অভিনয় তাঁকে শুধু খ্যাতিই এনে দেয়নি, বরং তাঁকে একটি নির্দিষ্ট চরিত্রের ছাঁচে ফেলে দেয়। বাংলাদেশের নির্মাতারা এরপর থেকে তাঁকে এমন চরিত্রেই বেশি নিতে চাইতেন—যেখানে তিনি প্রতিবাদী, দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত, কিন্তু আপোষহীন এবং সামাজিক ভাঙনেও অটল এক পুরুষ। বহুমুখী চরিত্রের এই অভিনেতা যেন প্রায় একমুখী চরিত্রে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অপরিহার্য অংশ হয়ে ওঠেন।
স্বাধীনতার পর, রাজেন তরফদারের পরিচালনায় ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার 'পালঙ্ক' ছবিতে উৎপল দত্ত এবং সন্ধ্যা রায়ের মতো কিংবদন্তীদের পাশে তাঁর অভিনয় আবারও দুই বাংলায় তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে। যদিও সুভাষ দত্তের 'অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী'-র মতো দু-একটি ছবিতে তিনি ব্যতিক্রমী চরিত্রে অভিনয় করেন, কিন্তু ব্যবসায়িক সাফল্যের কারণে 'মুকুট হীন নবাব' হিসেবেই তিনি তাঁর অবস্থান ধরে রেখেছিলেন।

আনোয়ার হোসেন ছিলেন অত্যন্ত সম্মানিত এক শিল্পী। তাঁর অর্জনের তালিকা দীর্ঘ:
• জাতীয় পুরস্কারে প্রথম: তিনিই প্রথম বাংলাদেশী অভিনেতা, যিনি একুশে পদক (১৯৮০) লাভ করেন।
• জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার: প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনয়ের জন্য আরও দুইবার পুরস্কার লাভ করেন এবং পরবর্তীতে আজীবন সম্মাননা-য় ভূষিত হন।
• অন্যান্য সম্মাননা: তিনি বাচসাস-সহ দেশ ও বিদেশের বহু পুরস্কার, পদক ও সম্মাননা লাভ করেন।
চলচ্চিত্র জগতে পাঁচ শতাধিক (সূত্রভেদে সাড়ে চারশো থেকে পাঁচশো) ছবিতে অভিনয় করা এই মহান শিল্পী জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত চলচ্চিত্রের সঙ্গেই ছিলেন।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের এই প্রাণপুরুষ, 'মুকুট হীন নবাব' ২০১৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর আবেগঘন অভিনয়, দৃঢ় অভিব্যক্তি এবং চরিত্রকে জীবন্ত করে তোলার ক্ষমতা আজও নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের অনুপ্রেরণা।

বাংলাদেশের সংস্কৃতি জগতে এমন কিছু ব্যক্তিত্ব আছেন, যাদের জীবনযাত্রা একইসাথে বিস্ময়কর ও অনুসরণীয়। টুটুল চৌধুরী তাদের মধ...
07/11/2025

বাংলাদেশের সংস্কৃতি জগতে এমন কিছু ব্যক্তিত্ব আছেন, যাদের জীবনযাত্রা একইসাথে বিস্ময়কর ও অনুসরণীয়। টুটুল চৌধুরী তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি একদিকে যেমন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক—বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এবং বর্তমানেও দায়িত্বরত, তেমনি অন্যদিকে তিনি দেশের টেলিভিশন নাটকের অন্যতম জনপ্রিয় ও ব্যস্ত মুখ। কর্পোরেট ক্যানভাসের কঠোর শৃঙ্খলা থেকে রূপালী জগতের সৃজনশীল স্বাধীনতা—এই দুই মেরুকে সফলভাবে এক সুতোয় গেঁথেছেন তিনি।

টুটুল চৌধুরীর কর্মজীবনের প্রাথমিক ভিত্তি ছিল অত্যন্ত স্থিতিশীল। দীর্ঘকাল ধরে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত আছেন এবং এখনো সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড সামলানোর এই গুরুদায়িত্ব একদিকে যেমন তাকে দিয়েছে পেশাদারিত্ব, তেমনি অন্যদিকে জীবনের ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি দিয়েছে। কিন্তু এই কর্পোরেট কাঠামোর ভেতরেও তার ভেতরের শিল্পীসত্তা চাপা পড়েনি। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি তার তীব্র ঝোঁক ছিল, যা সময়ের সাথে সাথে কেবল বেড়েছে।
এই দুটি পেশা পরিচালনার ক্ষেত্রে তাকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে। দিনের বেলা অফিসের ফাইল, মিটিং আর অর্থনীতির জটিল হিসাব-নিকাশ, আর সন্ধ্যা বা রাতে নাটকের সেট, সংলাপ মুখস্থ করা এবং চরিত্রের গভীরে প্রবেশ করা—এই হলো তার দৈনন্দিন রুটিন। সাধারণ জীবন থেকে শিল্পী জীবনে এই সুইচিং তার সময়ের প্রতি নিখুঁত শৃঙ্খলা এবং কাজের প্রতি গভীর নিষ্ঠার প্রমাণ দেয়।
শিল্পের পথে পা রাখা
ব্যাংকিং জীবনের ব্যস্ততার ফাঁকেও তিনি বেছে বেছে কাজ করেছেন। তার অভিনয়ে হাতেখড়ি হয় মঞ্চ ও টেলিভিশনে। দীর্ঘ সময় ধরে চরিত্রকে বোঝার এবং সেটিকে জীবন্ত করে তোলার যে প্রক্রিয়া, তা তাকে দর্শকদের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। তিনি সাধারণত পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনয় করেন, কিন্তু তার শক্তিশালী অভিনয় গুণে সেই পার্শ্ব-চরিত্রও অনেক সময় প্রধান চরিত্রের চেয়ে বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করে।
টুটুল চৌধুরী অভিনীত নাটকগুলোতে তার সাবলীল ও বাস্তবসম্মত অভিনয় দর্শক মহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। তিনি খুব সহজে শহুরে মধ্যবিত্ত থেকে গ্রামীণ সাধারণ মানুষ, কিংবা একজন গম্ভীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে হাস্যরসাত্মক চরিত্র—সব ধরনের ভূমিকাতেই মানিয়ে নিতে পারেন। এই বহুমুখী প্রতিভা তাকে একজন নির্ভরযোগ্য অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

টুটুল চৌধুরীর এই সাফল্য দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য এক দারুণ অনুপ্রেরণা। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, একটি স্থিতিশীল পেশা ধরে রেখেও নিজের ভেতরের সুপ্ত প্রতিভার পরিচর্যা করা সম্ভব। অনেকেই যখন স্বপ্ন পূরণের জন্য সব ছেড়েছুড়ে দিতে দ্বিধা করেন, তখন টুটুল চৌধুরী দেখিয়েছেন কীভাবে দুটি ভিন্ন জগৎকে সম্মান জানিয়ে, কঠোর পরিশ্রম ও সময় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উভয় ক্ষেত্রেই চূড়ায় পৌঁছানো যায়।
তার জীবন এই কথাই বলে যে, প্রকৃত আবেগ ও নিষ্ঠা থাকলে কোনও বাঁধাই আকাঙ্ক্ষিত সাফল্যের পথে অন্তরায় হতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন দায়িত্ববান কর্মকর্তা হিসেবে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা এবং একইসাথে একজন সফল অভিনেতা হিসেবে দেশের শিল্প-সংস্কৃতির সমৃদ্ধি ঘটানো—টুটুল চৌধুরীর এই দ্বৈত ভূমিকা নিঃসন্দেহে তাকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান করে দিয়েছে।

উলপিটের সবুজ শিশু: ইংল্যান্ডের যে রহস্য আজও অমীমাংসিত১২ শতাব্দীর মাঝামাঝি, ১১৫০ সালের আশেপাশে ইংল্যান্ডের উলপিট (Woolpit...
06/11/2025

উলপিটের সবুজ শিশু: ইংল্যান্ডের যে রহস্য আজও অমীমাংসিত
১২ শতাব্দীর মাঝামাঝি, ১১৫০ সালের আশেপাশে ইংল্যান্ডের উলপিট (Woolpit) নামের একটি ছোট্ট গ্রামীণ জনপদে ঘটেছিল এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। এটি এমনই এক রহস্য, যা শত শত বছর ধরে ইতিহাসবিদ এবং লোককথার গবেষকদের কৌতূহলী করে রেখেছে।
একদিন, উলপিটের কৃষকেরা নেকড়ে ধরার জন্য পাতা একটি গভীর ফাঁদ বা গর্তের কাছে এসে অবাক হয়ে দেখেন—সেখান থেকে হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসছে সবুজ ত্বক বিশিষ্ট একটি ছেলে ও একটি মেয়ে!

অচেনা শিশু, অচেনা জগত
* সবুজ গায়ের রং: সবচেয়ে অদ্ভুত ছিল তাদের গায়ের রং, যা ছিল সবুজাভ।
* অজানা ভাষা: তারা এমন এক ভাষায় কথা বলছিল, যা গ্রামের কেউই বুঝতে পারছিলেন না।
* পোশাক: তাদের পরিধানে ছিল সম্পূর্ণ অচেনা ধাঁচের পোশাক, যা দেখে মনে হচ্ছিল তারা যেন একেবারেই ভিন্ন কোনো জগত বা সভ্যতা থেকে এসেছে।
বিস্মিত গ্রামবাসীরা তাদের আশ্রয় দেন এবং খাবার দেন। কিন্তু শিশুরা কোনো খাবারই খেতে রাজি হয়নি। অনেক চেষ্টার পর, তারা কেবল বাইরে জন্মানো সবুজ শিম (Beans) দেখে খেতে শুরু করে।

রহস্যের উন্মোচন (অসম্পূর্ণ)
ধীরে ধীরে শিশুরা গ্রামের পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে শুরু করে এবং সময়ের সাথে সাথে তাদের ত্বকের সবুজ আভা স্বাভাবিক বর্ণে ফিরে আসে।
* ছেলেটির পরিণতি: দুর্ভাগ্যবশত, সবুজ শিশু দুটির মধ্যে ছেলেটি অসুস্থ হয়ে কিছুদিনের মধ্যেই মারা যায়।
* মেয়েটির গল্প: তবে মেয়েটি বেঁচে থাকে এবং ধীরে ধীরে ইংরেজি ভাষা শিখে কথা বলতে শেখে।
কথা বলার সক্ষমতা ফিরে পাওয়ার পর মেয়েটি তাদের রহস্যময় উৎস সম্পর্কে যে বর্ণনা দেয়, তা রহস্যকে আরও গভীর করে তোলে। সে জানায়, তারা এসেছে দূরবর্তী এক স্থান 'সেন্ট মার্টিন ল্যান্ড' (Land of St. Martin) থেকে। এটি এমন এক জগত, যেখানে সূর্যের আলো কখনো তীব্রভাবে পড়ে না; সবকিছুই থাকে যেন চিরস্থায়ী গোধূলি বা সাঁঝের আলোর ছায়ায় মোড়া।

এটি কি সত্যি ছিল? ইতিহাস কী বলে?
এই অবিশ্বাস্য কাহিনি কি শুধুই লোককথা, নাকি এর পেছনে কোনো বাস্তব ঘটনা লুকিয়ে আছে? আপনার জিজ্ঞাসাটি খুবই প্রাসঙ্গিক—এবং এখানেই এই রহস্যের মূল আকর্ষণ!
সংক্ষেপে উত্তর হলো: এই ঘটনার কোনো প্রত্যক্ষ এবং প্রমাণিত ঐতিহাসিক দলিল নেই।

মূল বিবরণী
এই ঘটনা সম্পর্কে আমরা জানতে পারি মাত্র দুইজন মধ্যযুগীয় লেখকের বিবরণী থেকে:
* উইলিয়াম অফ নিউবার্গ (William of Newburgh): ইনি প্রায় ১১৮৯ খ্রিস্টাব্দে তাঁর লেখায় ঘটনাটি তুলে ধরেন।
* রালফ অফ কগেশাল (Ralph of Coggeshall): ইনি প্রায় ১২০০ সালের দিকে ঘটনাটি লিখেছিলেন।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, দুজনেই ঘটনা ঘটার ৩০ থেকে ৫০ বছর পর এই বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন। সবচেয়ে বড় কথা, তারা কেউই ঘটনাটি সরাসরি দেখেননি, বরং "শুনে পাওয়া কাহিনি" হিসেবেই এটি উপস্থাপন করেছেন।
_________ ________ ________
📜 Copyright Notice:
This page's entire content is copyright protected
© Mahmudul Hasan Jahid.
If you want to copy this text, please include the page's name.Otherwise, please share it — this maintains respect and avoids copyright issues.

হক-সানলাইটের টর্চ: এক নস্টালজিক স্মৃতিআজকাল আধুনিক চার্জার টর্চের যুগ। চার্জ শেষ হলে সহজেই প্লাগে লাগিয়ে চার্জ করে নেওয়া...
04/11/2025

হক-সানলাইটের টর্চ: এক নস্টালজিক স্মৃতি

আজকাল আধুনিক চার্জার টর্চের যুগ। চার্জ শেষ হলে সহজেই প্লাগে লাগিয়ে চার্জ করে নেওয়া যায়। কিন্তু আমাদের সময়ে টর্চ মানেই ছিল হক বা সানলাইট ব্যাটারির ওপর নির্ভরশীলতা! ব্যাটারি ফুরিয়ে গেলেই বাবা নতুন ব্যাটারি কিনে আনতেন। টর্চের কাচের ভেতরে ময়লা জমলে সেটা খুলে পরিষ্কার করা হতো পরম যত্নে।
পুরোনো দিনের হক বা সানলাইট ব্যাটারি চালিত টর্চগুলো মূলত টিন বা অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি হতো। এর পাতলা ধাতব বডি দেখতে চকচকে টিনের মতো লাগতো। টর্চের সামনে একটি কাঁচ বা প্লাস্টিকের লেন্স, ভিতরে একটি রিফ্লেক্টর, আর পেছনে ঘোরানো ঢাকনা থাকতো, যেখানে ব্যাটারি লাগানো হতো।
রাতের বেলা বাড়ির ছাদে, বিদ্যুৎবিহীন গ্রামের উঠোনে অথবা অন্ধকারে বাইরে বের হলে সাপ বা পোকা-মাকড়ের ভয় লেগেই থাকতো। সেই সময় এই টর্চগুলো আমাদের জন্য এক নির্ভরযোগ্য নাইট গার্ডের ভূমিকা পালন করতো।

#নস্টালজিয়া #পুরনোদিন #টর্চ #হকব্যাটারি

একসময় বাংলাদেশের গ্রামের পর গ্রামে এমন ছবি ছিল খুব চেনা— গরু দিয়ে ধান মাড়াই। ভোরের আলো ফুটতেই মাঠে নামত কৃষকেরা, আর গরুর...
04/11/2025

একসময় বাংলাদেশের গ্রামের পর গ্রামে এমন ছবি ছিল খুব চেনা— গরু দিয়ে ধান মাড়াই। ভোরের আলো ফুটতেই মাঠে নামত কৃষকেরা, আর গরুর গলার ঘণ্টার টুংটাং শব্দে সোনালি ধানের মিষ্টি গন্ধ যেন বাতাসে মিশে যেত।
এখন এমন দৃশ্য দেখতে পাওয়া ভার। এটা কেবল পুরোনো ছবিতে বা কারও স্মৃতিতেই রয়ে গেছে।
সময় বদলেছে, যন্ত্র এসেছে মানুষের হাতে, কিন্তু আমাদের hardworking কৃষকদের ঘাম আর মাটির সোঁদা গন্ধ আজও বাংলার প্রাণ।
👉 এই ছবিটা শুধু একটা গ্রামের দৃশ্য নয়, এটা আমাদের ঐতিহ্যের একটা অংশ। ❤️

© Mahmudul Hasan Jahid

ঢাকার ঐতিহ্য: রোজ গার্ডেন প্রাসাদ - কালের সাক্ষী এক স্থাপত্যকালের গর্ভে লুকিয়ে থাকা এক স্বপ্নপুরী পুরোনো ঢাকার টিকাটুলি ...
03/11/2025

ঢাকার ঐতিহ্য: রোজ গার্ডেন প্রাসাদ - কালের সাক্ষী এক স্থাপত্য

কালের গর্ভে লুকিয়ে থাকা এক স্বপ্নপুরী পুরোনো ঢাকার টিকাটুলি সংলগ্ন ঋষিকেশ দাস রোডে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে এক ঐতিহাসিক স্থাপত্য—রোজ গার্ডেন বা গোলাপ বাগান প্রাসাদ। জাঁকজমকপূর্ণ ঔপনিবেশিক স্থাপত্য, রোমান দেব-দেবীর মূর্তি এবং এক সময়ের গোলাপের প্রাচুর্যের জন্য পরিচিত এই প্রাসাদটি ঢাকার অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্থাপত্যকীর্তি। এটি শুধু একটি ভবন নয়, এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক নীরব সাক্ষী।

নির্মাণ ও স্থাপত্যশৈলী
রোজ গার্ডেন নির্মাণের ইতিহাস বেশ কৌতূহলোদ্দীপক। ১৯১৭ থেকে ১৯২০ সালের মধ্যে এটি নির্মাণ করেন ঢাকার ধনাঢ্য জমিদার হৃষিকেশ দাস। কথিত আছে, তিনি একবার বারো ভূঁইয়ার বাগানবাড়িতে (যা পরে বলধা গার্ডেন নামে পরিচিত হয়) আয়োজিত এক জলসায় প্রবেশাধিকার পাননি। সেই অপমানের প্রতিশোধ নিতেই তিনি এই প্রাসাদটি নির্মাণ করেন, যা বলধা গার্ডেনের চেয়েও বেশি সুন্দর ও বিলাসবহুল হবে।
প্রাসাদটি ইউরোপীয় রীতির স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত, যা নব্য-ধ্রুপদী বা করিন্থিয়ান স্টাইলের ছাপ বহন করে। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:

• প্রবেশদ্বার: প্রাসাদটির মূল ফটকে রয়েছে একটি সুন্দর তোরণ, যার শীর্ষে একটি নারী মূর্তি স্থাপিত।

• ভেতরের সজ্জা: ভেতরে রয়েছে সুদৃশ্য ফোয়ারা, যা রোমান এবং গ্রিক দেব-দেবীর মূর্তির সারি দ্বারা বেষ্টিত। বিশেষত, সামনের দিকে কয়েকটি ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে, যা এর ইউরোপীয় চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলে।

• গোলাপ বাগান: এর নামকরণের সার্থকতা মেলে এককালে এই বাগানে থাকা শত শত বিরল প্রজাতির গোলাপের সমাহারে। যদিও সময়ের সাথে সাথে সেই বাগান আজ আর আগের মতো নেই।

রাজনৈতিক গুরুত্ব ও ইতিহাসের বাঁক
স্থাপত্য সৌন্দর্য ছাপিয়ে রোজ গার্ডেন ইতিহাসের পাতায় চিরস্থায়ী আসন করে নিয়েছে এর রাজনৈতিক তাৎপর্যের কারণে। এই প্রাসাদটিই ছিল একটি বিশাল পরিবর্তনের সূতিকাগার।
১৯৪৯ সালের জন্মক্ষণ: ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন এই প্রাসাদেই 'পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ' (পরবর্তীকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) গঠিত হয়। অবিভক্ত পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পূর্ব বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সভাপতিত্বে এবং শামসুল হক ও তরুণ শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে এই গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
গণতান্ত্রিক অধিকার ও ভাষা আন্দোলনের বীজ বপনের সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তটির সাক্ষী হয়ে রোজ গার্ডেন আজও দাঁড়িয়ে আছে। এই দলের প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক টার্নিং পয়েন্ট।

বর্তমান অবস্থা ও সংরক্ষণ
বিভিন্ন সময়ে হাত বদলের পর বর্তমানে রোজ গার্ডেন প্রাসাদ বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে রয়েছে। এটি দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত। যদিও ব্যক্তিগত মালিকানা এবং পর্যাপ্ত যত্নের অভাবে এর অনেক অংশই একসময় জীর্ণ হয়ে পড়েছিল, তবে সরকার এটিকে সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে। এর জৌলুস ফিরিয়ে আনার জন্য সংস্কার কাজ চলছে, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই স্থাপত্যের সৌন্দর্য এবং এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারে।
রোজ গার্ডেন শুধু পুরোনো ঢাকার একটি পুরোনো বাড়ি নয়; এটি বাংলার ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং রাজনীতির এক জীবন্ত পাঠশালা। এটির সংরক্ষণ নিশ্চিত করা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব।
_________ ________ ________
📜 Copyright Notice:
This page's entire content is copyright protected
© Mahmudul Hasan Jahid.
If you want to copy this text, please include the page's name.Otherwise, please share it — this maintains respect and avoids copyright issues.

02/11/2025

প্রকৃতি এক অনন্ত বিস্ময়, যা আমাদের গ্রহের আদিম শিল্পকলা

০৭ বছর আগে সিলেটের একজন বড় হুজুরের জানাযার নামাজে
01/11/2025

০৭ বছর আগে সিলেটের একজন বড় হুজুরের জানাযার নামাজে

Address

Sylhet

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mahmudul Hasan Jahid posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Mahmudul Hasan Jahid:

Share