Mahmudul Hasan Jahid

Mahmudul Hasan Jahid ইতিহাস,ঐতিহ্য,সংস্কৃতি ও ভ্রমন বিষয়ক কনটেন্ট পেতে Follow দিয়ে পেইজের সাথে থাকুন 😊
(2)

৯০ দশকের স্বপ্নকন্যা: মাহমুদা আমীন শায়নামাহমুদা আমীন শায়না—একটি নাম, যা ৯০ দশকে বাংলাদেশের তারুণ্যের একটি বড় অংশের কাছে ...
11/10/2025

৯০ দশকের স্বপ্নকন্যা: মাহমুদা আমীন শায়না
মাহমুদা আমীন শায়না—একটি নাম, যা ৯০ দশকে বাংলাদেশের তারুণ্যের একটি বড় অংশের কাছে ছিল এক আভিজাত্যপূর্ণ সৌন্দর্যের প্রতীক। যখন কেবল স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো সবেমাত্র ডানা মেলতে শুরু করেছে, সেই সময়ে দেশীয় টেলিভিশন এবং বিজ্ঞাপনের জগতে সায়নার উপস্থিতি এনেছিল এক নতুন আধুনিকতা ও গ্ল্যামার।

সায়নার আবেদন ছিল চিরাচরিত বাঙালি সৌন্দর্যের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন—এক কথায় ** sophisticated (পরিশীলিত)**। তাঁর ছোট করে কাটা চুল, যা সেই সময়ে রক্ষণশীল সমাজে এক ধরনের সাহসিকতা বহন করত, এবং তাঁর দৃঢ় আত্মবিশ্বাসী চাহনি—এগুলো তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলেছিল। শায়নার এই আধুনিকতা নব্বই দশকের শহুরে তরুণদের কাছে ছিল অনুসরণীয় এবং কাঙ্ক্ষিত। তিনি যেন স্ক্রিনে ফুটিয়ে তুলতেন সেই সময়ের উঠতি মধ্যবিত্ত পরিবারের আত্মবিশ্বাসী, কর্মজীবী নারীর প্রতিচ্ছবি।

শায়নার তারকাখ্যাতি তুঙ্গে ওঠে মূলত টেলিভিশন কমার্শিয়াল (টিভিসি)-এর মাধ্যমে। ল্যাক্স, কেয়া কসমেটিকস, বা এমন আরও বহু পণ্যের বিজ্ঞাপনে তিনি ছিলেন প্রধান মুখ। তাঁর প্রতিটি টিভিসি ছিল উচ্চ মানসম্পন্ন প্রোডাকশন এবং প্রতিটি দৃশ্যে তাঁর স্নিগ্ধতা, ভঙ্গি ও হাসি দর্শকদের মুগ্ধ করত। বিজ্ঞাপনগুলো নিছকই পণ্য প্রচার ছিল না; বরং তা হয়ে উঠেছিল সেই সময়ের ফ্যাশন এবং জীবনযাত্রার মানদণ্ড।
তাঁর টিভিসিগুলোর উপস্থাপনা ছিল এতটাই দৃষ্টিনন্দন যে, ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে সবাই টিভিসির বিরতিতে অধীর আগ্রহে তাঁর ঝলক দেখার অপেক্ষায় থাকত। বিশেষ করে ছেলেদের কাছে, তাঁর পর্দা উপস্থিতি ছিল যেন স্বপ্নের রাজকুমারীর মতো।

বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি শায়না বেশ কিছু জনপ্রিয় নাটকেও অভিনয় করেছেন, যেখানে তাঁর অভিনয় দক্ষতাও প্রশংসিত হয়েছিল। তিনি এমন সব চরিত্রে অভিনয় করতেন যা ছিল সাধারণত শিক্ষিত, আধুনিক এবং স্বাধীনচেতা। তবে তাঁর সবচেয়ে বড় অবদান ছিল মিডিয়ায় একটি নতুন ধরনের ফ্যাশন ও সৌন্দর্যবোধ প্রতিষ্ঠা করা। তাঁর স্টাইল নব্বইয়ের দশকের ফ্যাশন ট্রেন্ডকে প্রভাবিত করেছিল।
আজও যখন নব্বইয়ের দশকের কথা ওঠে, মাহমুদা আমীন শায়নার নাম এক নস্টালজিক আবেগে মনে আসে। তিনি কেবল একজন মডেল বা অভিনেত্রী ছিলেন না, তিনি ছিলেন নব্বইয়ের দশকের সেই রঙিন সময়ের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা বহু তরুণের কৈশোর ও তারুণ্যের স্মৃতিতে এক মিষ্টি ক্রাশ হিসেবে অমর হয়ে আছে।

_________ ________ ________
📜 Copyright Notice:
This page's entire content is copyright protected
© Mahmudul Hasan Jahid.
If you want to copy this text, please include the page's name.Otherwise, please share it — this maintains respect and avoids copyright issues.

ঢাকায় যেভাবে বিদ্যুৎ আসলোঢাকা শহরের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন হলো ৭ ডিসেম্বর, ১৯০১ সাল। সেই সন্ধ্যায় বুড়িগঙ্গার তীরে...
11/10/2025

ঢাকায় যেভাবে বিদ্যুৎ আসলো
ঢাকা শহরের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন হলো ৭ ডিসেম্বর, ১৯০১ সাল। সেই সন্ধ্যায় বুড়িগঙ্গার তীরে দাঁড়িয়ে থাকা নবাব পরিবারের রাজকীয় বাসভবন আহসান মঞ্জিল প্রথমবারের মতো বৈদ্যুতিক আলোয় ঝলমল করে ওঠে। এটি ছিল কেবল একটি বাতি জ্বালানো নয়— এটি ছিল কেরোসিনের যুগের সমাপ্তি ঘটিয়ে এক নতুন, আলোকিত ভবিষ্যতের সূচনা।

🕯 কেরোসিনের নিভু আলোয় ঢাকা
বৈদ্যুতিক আলো আসার আগে, ঢাকা শহর আলোকিত হতো কেরোসিন বাতির মৃদু হলদে আভায়। দিনের শেষে “বাতিওয়ালা” মই আর লণ্ঠন হাতে গলিতে গলিতে ঘুরে বাতি জ্বালাতো। কিন্তু প্রকৃতির খেয়ালে বাতি নিভে যেত, সামান্য ঝড়-বৃষ্টিতেও রাজপথ ডুবে যেত অন্ধকারে। রাতের ঢাকা ছিল অনেকটা রহস্যময়, আবার অনেকটা বিপজ্জনক।
এই চিত্রই গভীরভাবে নাড়া দেয় দূরদর্শী নবাব খাজা আহসানউল্লাহকে। তিনি স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন— তাঁর প্রিয় ঢাকাও একদিন লন্ডন বা কলকাতার মতো হবে "আলোকিত নগরী"। বিদ্যুৎ তখন বাংলার মানুষের কাছে এক 'আশ্চর্য জিনিস', এক দুর্লভ প্রযুক্তি। তবু তিনি সাহসিকতার সঙ্গে নিজ উদ্যোগে এবং ব্যক্তিগত অর্থায়নে পুরো প্রকল্পটি হাতে নেন।

⚡️ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্ম
নবাব আহসানউল্লাহ প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকারও বেশি অনুদান দিয়ে আহসান মঞ্জিলের পাশেই স্থাপন করেন একটি ক্ষুদ্রাকৃতির পাওয়ার হাউজ। এটিই ছিল ঢাকার প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। বিদ্যুৎ প্রযুক্তি তখন নতুন হওয়ায়, যন্ত্রপাতি আনা থেকে শুরু করে প্রকৌশলী নিয়োগ— সবটাই ছিল এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। শোনা যায়, এর জন্য নবাবকে সুদূর ইংল্যান্ড থেকে বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানদের নিয়ে আসতে হয়েছিল। তাঁর অদম্য ইচ্ছাশক্তিই এই অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলে।

✨ আহসান মঞ্জিলে প্রথম আলোর ঝলক
সেই ঐতিহাসিক সন্ধ্যায় আহসান মঞ্জিলের দরবার হল, বারান্দা এবং বিশাল উঠোনে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। দূর-দূরান্তের মানুষ পায়ে হেঁটে, নৌকা চেপে, এমনকি ঘোড়ার গাড়িতে করে এসেছিল "বৈদ্যুতিক আলো" নামের এই নতুন রহস্য দেখতে। জনতার চোখে-মুখে কৌতূহল আর একধরনের অবিশ্বাস— "তারে করে আলো যায় কীভাবে?"
যখন নবাব খাজা আহসানউল্লাহ নিজে সেই ঐতিহাসিক সুইচটি চাপলেন— মুহূর্তের মধ্যে শত শত বাল্ব জ্বলে উঠে পুরো প্রাসাদটিকে সোনালী আলোয় মুড়ে দেয়!
জনতার উল্লাস, হাততালি, আর বিস্ময়ের চিৎকারে বুড়িগঙ্গার নীরবতা ভাঙে। বলা হয়, সেই আলো এতই উজ্জ্বল ছিল যে, আহসান মঞ্জিলের গম্বুজের প্রতিফলন বুড়িগঙ্গার পানিতে যেন এক রূপালি ঝলক তৈরি করেছিল— মনে হচ্ছিল চাঁদ যেন নদীর বুকে নেমে এসেছে। এই আলো কেবল অন্ধকার দূর করেনি, তা ঢাকার মানুষের মনে এক নতুন সম্ভাবনার জন্ম দিয়েছিল।

👑 নবাব সলিমুল্লাহর আলোর বিস্তার
দুর্ভাগ্যবশত, নবাব আহসানউল্লাহ তাঁর স্বপ্নের পূর্ণ বাস্তবায়ন দেখে যেতে পারেননি। বৈদ্যুতিক আলো উদ্বোধনের মাত্র নয় দিন পরেই (১৬ ডিসেম্বর, ১৯০১) তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
তবে তাঁর সুযোগ্য পুত্র নবাব সলিমুল্লাহ বাবার স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব নেন। তাঁর তত্ত্বাবধানেই ধীরে ধীরে সেই আলো ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে পুরান ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়— চকবাজার, ইসলামপুর, রহমতগঞ্জ, মোগলটুলি, ফরাশগঞ্জ, সদরঘাট সহ অন্যান্য বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকায় বিদ্যুতের লাইন বসানো হয়। নবাব ও ঢাকা পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে "ঢাকা ইলেকট্রিক ট্রাস্ট" নামে একটি দল এই বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম পরিচালনা করত।
এভাবেই আহসান মঞ্জিলের একটি ব্যক্তিগত উদ্যোগ সময়ের সাথে সাথে পুরো শহরের আলোর উৎসে পরিণত হয়। নবাবদের সেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিই আধুনিক ঢাকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থার প্রথম ভিত্তি স্থাপন করেছিল। তাঁদের এই প্রচেষ্টা আজও ঢাকার ইতিহাসে আলোকবর্তিকা হয়ে আছে।
__________ _________
📜 Copyright Notice:
This page's entire content is copyright protected
© Mahmudul Hasan Jahid.
If you want to copy this text, please include the page's name.Otherwise, please share it — this maintains respect and avoids copyright issues.

11/10/2025

যৌবনে জীবন উপভোগ করুন

💡 আলোকিত ঢাকা: নবাবের স্বপ্ন ও বিদ্যুতের আগমনঢাকা শহরের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন হলো ৭ ডিসেম্বর, ১৯০১ সাল। সেই সন্ধ্য...
10/10/2025

💡 আলোকিত ঢাকা: নবাবের স্বপ্ন ও বিদ্যুতের আগমন
ঢাকা শহরের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন হলো ৭ ডিসেম্বর, ১৯০১ সাল। সেই সন্ধ্যায় বুড়িগঙ্গার তীরে দাঁড়িয়ে থাকা নবাব পরিবারের রাজকীয় বাসভবন আহসান মঞ্জিল প্রথমবারের মতো বৈদ্যুতিক আলোয় ঝলমল করে ওঠে। এটি ছিল কেবল একটি বাতি জ্বালানো নয়— এটি ছিল কেরোসিনের যুগের সমাপ্তি ঘটিয়ে এক নতুন, আলোকিত ভবিষ্যতের সূচনা।

🕯 কেরোসিনের নিভু আলোয় ঢাকা
বৈদ্যুতিক আলো আসার আগে, ঢাকা শহর আলোকিত হতো কেরোসিন বাতির মৃদু হলদে আভায়। দিনের শেষে “বাতিওয়ালা” মই আর লণ্ঠন হাতে গলিতে গলিতে ঘুরে বাতি জ্বালাতো। কিন্তু প্রকৃতির খেয়ালে বাতি নিভে যেত, সামান্য ঝড়-বৃষ্টিতেও রাজপথ ডুবে যেত অন্ধকারে। রাতের ঢাকা ছিল অনেকটা রহস্যময়, আবার অনেকটা বিপজ্জনক।
এই চিত্রই গভীরভাবে নাড়া দেয় দূরদর্শী নবাব খাজা আহসানউল্লাহকে। তিনি স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন— তাঁর প্রিয় ঢাকাও একদিন লন্ডন বা কলকাতার মতো হবে "আলোকিত নগরী"। বিদ্যুৎ তখন বাংলার মানুষের কাছে এক 'আশ্চর্য জিনিস', এক দুর্লভ প্রযুক্তি। তবু তিনি সাহসিকতার সঙ্গে নিজ উদ্যোগে এবং ব্যক্তিগত অর্থায়নে পুরো প্রকল্পটি হাতে নেন।

⚡️ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্ম
নবাব আহসানউল্লাহ প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকারও বেশি অনুদান দিয়ে আহসান মঞ্জিলের পাশেই স্থাপন করেন একটি ক্ষুদ্রাকৃতির পাওয়ার হাউজ। এটিই ছিল ঢাকার প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। বিদ্যুৎ প্রযুক্তি তখন নতুন হওয়ায়, যন্ত্রপাতি আনা থেকে শুরু করে প্রকৌশলী নিয়োগ— সবটাই ছিল এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। শোনা যায়, এর জন্য নবাবকে সুদূর ইংল্যান্ড থেকে বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানদের নিয়ে আসতে হয়েছিল। তাঁর অদম্য ইচ্ছাশক্তিই এই অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলে।

✨ আহসান মঞ্জিলে প্রথম আলোর ঝলক
সেই ঐতিহাসিক সন্ধ্যায় আহসান মঞ্জিলের দরবার হল, বারান্দা এবং বিশাল উঠোনে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। দূর-দূরান্তের মানুষ পায়ে হেঁটে, নৌকা চেপে, এমনকি ঘোড়ার গাড়িতে করে এসেছিল "বৈদ্যুতিক আলো" নামের এই নতুন রহস্য দেখতে। জনতার চোখে-মুখে কৌতূহল আর একধরনের অবিশ্বাস— "তারে করে আলো যায় কীভাবে?"
যখন নবাব খাজা আহসানউল্লাহ নিজে সেই ঐতিহাসিক সুইচটি চাপলেন— মুহূর্তের মধ্যে শত শত বাল্ব জ্বলে উঠে পুরো প্রাসাদটিকে সোনালী আলোয় মুড়ে দেয়!
জনতার উল্লাস, হাততালি, আর বিস্ময়ের চিৎকারে বুড়িগঙ্গার নীরবতা ভাঙে। বলা হয়, সেই আলো এতই উজ্জ্বল ছিল যে, আহসান মঞ্জিলের গম্বুজের প্রতিফলন বুড়িগঙ্গার পানিতে যেন এক রূপালি ঝলক তৈরি করেছিল— মনে হচ্ছিল চাঁদ যেন নদীর বুকে নেমে এসেছে। এই আলো কেবল অন্ধকার দূর করেনি, তা ঢাকার মানুষের মনে এক নতুন সম্ভাবনার জন্ম দিয়েছিল।

👑 নবাব সলিমুল্লাহর আলোর বিস্তার
দুর্ভাগ্যবশত, নবাব আহসানউল্লাহ তাঁর স্বপ্নের পূর্ণ বাস্তবায়ন দেখে যেতে পারেননি। বৈদ্যুতিক আলো উদ্বোধনের মাত্র নয় দিন পরেই (১৬ ডিসেম্বর, ১৯০১) তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
তবে তাঁর সুযোগ্য পুত্র নবাব সলিমুল্লাহ বাবার স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব নেন। তাঁর তত্ত্বাবধানেই ধীরে ধীরে সেই আলো ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে পুরান ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়— চকবাজার, ইসলামপুর, রহমতগঞ্জ, মোগলটুলি, ফরাশগঞ্জ, সদরঘাট সহ অন্যান্য বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকায় বিদ্যুতের লাইন বসানো হয়। নবাব ও ঢাকা পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে "ঢাকা ইলেকট্রিক ট্রাস্ট" নামে একটি দল এই বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম পরিচালনা করত।
এভাবেই আহসান মঞ্জিলের একটি ব্যক্তিগত উদ্যোগ সময়ের সাথে সাথে পুরো শহরের আলোর উৎসে পরিণত হয়। নবাবদের সেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিই আধুনিক ঢাকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থার প্রথম ভিত্তি স্থাপন করেছিল। তাঁদের এই প্রচেষ্টা আজও ঢাকার ইতিহাসে আলোকবর্তিকা হয়ে আছে।
__________ _________
📜 Copyright Notice:
This page's entire content is copyright protected
© Mahmudul Hasan Jahid.
If you want to copy this text, please include the page's name.Otherwise, please share it — this maintains respect and avoids copyright issues.

১৯৭০ সালে স্যামুয়েল বোর্নের তুলা ছবিতে ভাসমান মানুষের জীবন চিত্রছবি: ব্রিটিশ লাইব্রেরি
10/10/2025

১৯৭০ সালে স্যামুয়েল বোর্নের তুলা ছবিতে ভাসমান মানুষের জীবন চিত্র

ছবি: ব্রিটিশ লাইব্রেরি

জুবিন গার্গ সেই ২০০৭ থেকে ২০১৫ — আমাদের বিনোদনের দিনগুলো যেন ছিল ভারতীয় বাংলা সিনেমার দখলে। তখন দেব, জিৎ, সুহম, হিরণ কিং...
10/10/2025

জুবিন গার্গ সেই ২০০৭ থেকে ২০১৫ — আমাদের বিনোদনের দিনগুলো যেন ছিল ভারতীয় বাংলা সিনেমার দখলে। তখন দেব, জিৎ, সুহম, হিরণ কিংবা অঙ্কুশ — বাংলা সিনেমা মানেই যেন তাদেরই মুখ।

দেবের প্রায় সব জনপ্রিয় ছবির গানে তখন সুর তুলতেন জুবিন গার্গ। বলা যায়, অনেক সময় শুধু একটি গানই পুরো ছবিকে হিট করে তুলত। কত মানুষ যে শুধু জুবিনের গাওয়া সেই গানগুলো শোনার জন্য বারবার সিনেমা হলে যেতেন!

সেই সময়টা আজও মনে পড়লে যেন এক অন্যরকম সুর বাজে মনে — যেখানে সিনেমার পর্দায় দেবের অ্যাকশন, আর পেছনে ভেসে আসে জুবিন গার্গের জাদুকরী কণ্ঠ।

জুবিন গার্গ আজ শারীরিকভাবে আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাঁর সুর, তাঁর গান, তাঁর অবদান আজও জীবন্ত।
তিনি বেঁচে আছেন কোটি শ্রোতার অন্তরে — সুরের অমর স্মৃতিতে চিরভাস্বর।
তাঁর প্রতি রইলো গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।



📜 কপিরাইট নোটিশ:
এই পেইজের সমস্ত কনটেন্ট কপিরাইট সংরক্ষিত
© Mahmudul Hasan Jahid।এই লেখা কপি করতে হলে পেইজের নামসহ উল্লেখ করুন।অন্যথায় শেয়ার করুন — তাতে সম্মান বজায় থাকে এবং কপিরাইট সমস্যা এড়ানো যায়।

09/10/2025

মেঘালয় পাহাড় আর ধলাই নদের স্বচ্ছ পানি

চারদিকে জল মাঝখানে একখণ্ড ভূমি।ছবিতে অথবা বেড়াতে গেলে আপনার কাছে প্রকৃতির এক রূপ হিসাবে আপনার মন বিমোহিত করবে তার কারণ আ...
09/10/2025

চারদিকে জল মাঝখানে একখণ্ড ভূমি।ছবিতে অথবা বেড়াতে গেলে আপনার কাছে প্রকৃতির এক রূপ হিসাবে আপনার মন বিমোহিত করবে তার কারণ আপনার যাত্রা সাময়িক। কিন্তু যারা এখানের স্থায়ী বাসিন্দা তারাই কেবল যানে এখানে জীবন কেমন।তবুও হাওর সুন্দর, হাওর বাচুঁক, বেচেঁ থাকুক হাওর অঞ্চলের মানুষ।

নব্বইয়ের দশক মানেই বাংলাদেশের টেলিভিশন নাটকের স্বর্ণযুগ। বিটিভি কেন্দ্রিক সেই সময়ে প্রতিভাবান শিল্পীদের এক বিশাল সমাহার...
09/10/2025

নব্বইয়ের দশক মানেই বাংলাদেশের টেলিভিশন নাটকের স্বর্ণযুগ। বিটিভি কেন্দ্রিক সেই সময়ে প্রতিভাবান শিল্পীদের এক বিশাল সমাহার ঘটেছিল, যাঁরা দেশের সংস্কৃতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছিলেন। সেই স্রোতে যে ক'জন অভিনেতা প্রথাগত নায়কের ফ্রেমে না থেকেও অপরিহার্য হয়ে উঠেছিলেন, তাঁদের মধ্যে তুষার খান অন্যতম। তাঁর শক্তিশালী উপস্থিতি এবং অভিনয়ের সংষত শৈলী তাঁকে দর্শক হৃদয়ে এক স্বতন্ত্র আসন করে দিয়েছে।

তুষার খানের অভিনয়ের মূল বৈশিষ্ট্য ছিল স্বাভাবিকতা ও সংযম। সেই সময়কার নাটকে যখন প্রায়শই উচ্চকিত সংলাপ এবং মেলোড্রামার প্রবণতা দেখা যেত, সেখানে তুষার খান ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি তাঁর চরিত্রের মনস্তত্ত্বকে খুব শান্তভাবে ফুটিয়ে তুলতেন। অতিরিক্ত অঙ্গভঙ্গি বা মুখভঙ্গির বদলে তিনি নির্ভর করতেন চোখের ভাষা, স্থির অভিব্যক্তি এবং দৃঢ় কণ্ঠস্বরের ওপর। তাঁর ভারী ও গম্ভীর কণ্ঠস্বর যেকোনো সংলাপে একটি বিশেষ বিশ্বাসযোগ্যতা যোগ করত, যা তাঁকে বাবা, শিক্ষক, ধুরন্ধর ব্যবসায়ী বা আদর্শবাদী বড় ভাই—এমন চরিত্রগুলোতে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করেছিল।

তুষার খান প্রধানত একজন চরিত্রাভিনেতা (Character Actor) হিসেবে পরিচিত। নব্বইয়ের দশকে তিনি এমন অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছেন, যা গল্পের মূল গতিপথ নির্মাণ করত। তিনি কেবল সাদাকালো চরিত্রে আটকে থাকেননি; বরং অভিনয় করেছেন ধূসর বা গ্রে-শেডযুক্ত (grey-shaded) চরিত্রগুলোতে। যে চরিত্রগুলো একইসাথে স্নেহময় এবং কঠোর হতে পারত, বা একইসঙ্গে নীতিবান এবং স্বার্থপর হতে পারত। এই ধরনের জটিলতা ফুটিয়ে তোলার বিরল ক্ষমতা তাঁকে সেই সময়ের পরিচালকদের কাছে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য করে তুলেছিল।
তিনি হুমায়ূন আহমেদের বহু দর্শকপ্রিয় নাটকে অভিনয় করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পারিবারিক ও সামাজিক নাটকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যেখানে তিনি পরিবারের অভিভাবকের ভূমিকায় থাকেন এবং যার সিদ্ধান্তগুলো গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

নব্বইয়ের দশক থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত তুষার খান নিরলসভাবে অভিনয় করে চলেছেন। সময়ের সাথে সাথে নাটকের ধরন পাল্টেছে, প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে, কিন্তু একজন অভিনেতা হিসেবে তাঁর পেশাদারিত্ব এবং কাজের প্রতি নিষ্ঠা অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, টেলিভিশন নাটকের দীর্ঘ পথচলায় কেবল কেন্দ্রীয় চরিত্র নয়, বরং গল্পকে ধারণ করা শক্তিশালী চরিত্রাভিনেতাদের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি সেই সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের অংশ, যা নব্বইয়ের দশকের টেলিভিশনকে এতো প্রাণবন্ত ও কালজয়ী করে তুলেছিল। তুষার খান তাই কেবল একজন অভিনেতা নন, তিনি বাংলাদেশের টেলিভিশন নাটকের ইতিহাসের এক বিশ্বস্ত সাক্ষী এবং সেই স্বর্ণযুগের গল্পের এক নিবেদিত কারিগর।

_________ ________ ________

📜 Copyright Notice:
This page's entire content is copyright protected
© Mahmudul Hasan Jahid.
If you want to copy this text, please include the page's name.Otherwise, please share it — this maintains respect and avoids copyright issues.

09/10/2025

ধলাই নদী

১৮৭০ সালের বুড়িগঙ্গা নদিছবি: ব্রিটিশ লাইব্রেরি আর্কাইভ
07/10/2025

১৮৭০ সালের বুড়িগঙ্গা নদি

ছবি: ব্রিটিশ লাইব্রেরি আর্কাইভ

06/10/2025

শরৎ এর বৃষ্টি

Address

Sylhet

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mahmudul Hasan Jahid posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Mahmudul Hasan Jahid:

Share