23/11/2025
ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর ইবনুল খাত্তাব রা. কে সম্ভবত সবচাইতে ক্যারিশম্যাটিক রাষ্ট্রনায়ক ও অন্যতম খলিফা হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। কারণ তিনি একই সাথে বহু গুণের অধিকারী ছিলেন এবং ছিলেন একজন বীরযোদ্ধাও।
একদিকে তিনি ছিলেন যুদ্ধা, সফল রাষ্ট্রনায়ক, আবার মানুষের কাছে একজন আদর্শ মুয়াল্লিমও ছিলেন।
তারপর হযরত আলী, জুহাইর ইবনু আওয়াম, উবায়দুল্লাহ ইবনু জাররাহ, খালিদ বিন ওলিদ, হামজা ইবনু মুত্তালিব, সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রাযি. উনাদের জীবনী পড়লে আপনি ইবনে শায়খুল হাদীসের একটা প্রতিচ্ছবি দেখতে পাবেন।
মুসলিম শাসকদের মধ্যে সালাহউদ্দিন আইয়ুবি, উকবা ইবনে নাফি, তারিক ইবনে জিয়াদ, মুহাম্মাদ আল-ফাতিহ, নূরউদ্দিন জাঙ্গি, সুলতান বায়েজিদ, সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি, শেরশাহ, সুলতান কুতুজ, বায়বার্স আরও কিছু মুসলিম বীরপুরুষ আছেন যাদের জীবনীগ্রন্থ পড়লে আপনি কিছুটা হলেও তাদের ছায়া তার মধ্যে পাবেন।
আমি বিন্দুমাত্র বাড়িয়ে বলছিনা। ৫ই আগষ্টের আগের ইবনে শায়খুল হাদীস আর পরের রাজনৈতিক মানুষটার মধ্যে অনেক পার্থক্য দেখতে পাবেন।
সমস্যাটা হলো, উনার আশপাশে তাঁর মতো যোগ্য আরেকজন সহযোগী নেই। জামায়াতে যেভাবে অসংখ্য নেতৃত্বের মানুষ আছে, ইবনে শায়খুল হাদীসের সেই ব্যাকআপ থাকলে তিনি এদেশে রাজ করতেন, এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
বাংলাদেশে আগামী ১০০ বছরেও ইসলামী অঙ্গনে এমন আরেকজন নেতা পাওয়া যাবে কি-না সন্দেহ। মুফতি আমিনী, শায়খুল হাদিস আজিজুল হক, শামছুল হক ফরীদ পুরী রাহি. উনাদের পরে আল্লাহ তায়া’লা আমাদেরকে একটা নেয়ামত দিয়েছেন। গোটা উলামায়ে কেরাম ইবনে শায়খুল হাদীসের দিক নির্দেশনায় এক হতে পারলে উনি ভালোকিছু করতে পারবেন।
কিন্তু সেটা কি আদৌ সম্ভব! বিভাজনের যেই তোরজোর শুরু হইছে, আমাদের পিছিয়ে পরার সম্ভাবনায় বেশি।
আল্লাহ তায়া’লা হুজুরের হায়াতে বারাকাহ দিন। 🤲
মুহাম্মদ এনাম ✍️ সংগৃহীত