Inside Bangla

Inside Bangla সত্যের পথে, তথ্যের সাথে।
জানুন, ভাবুন, ছড়িয়ে দিন✔
(1)

আপনার সন্তানের বয়স কি ১৮+?আপনার বাচ্চা আঠারো পার করেছে? অভিনন্দন। নিচের লেখাটি আপনার জন্য লিখলাম।সে একটি নতুন জগতে পা দি...
03/10/2025

আপনার সন্তানের বয়স কি ১৮+?

আপনার বাচ্চা আঠারো পার করেছে? অভিনন্দন। নিচের লেখাটি আপনার জন্য লিখলাম।

সে একটি নতুন জগতে পা দিচ্ছে। যে জগত আরেকটু বড়দের জগত। ও আরেকটু বড় হয়ে যাচ্ছে। স্পুন ফিডিংয়ের সময় শেষ। ওকে এখন বাইরের দুনিয়ার জন্য তৈরি করতে হবে।

১। দায়িত্ব দিন।

কিছু দায়িত্ব ওকে দিন। যেমন ছোটো ভাইবোনদের দেখাশুনা, পড়ানো, বাসার টুকটাক সমস্যা সমাধান করা। এতে যে দায়িত্ববোধ তৈরি হবে, তা সারাজীবনের অমূল্য শিক্ষা হয়ে ওকে আলো দেখাবে।

২। বাজারে পাঠান।

সপ্তাহে একদিন অন্তত বাজারে পাঠান। আমাদের পুরো জীবন নানারকম বোঝাপড়ার মধ্যে যেতে হয়।নেগোসিয়েশন করতে হয়।বাজারে দরদাম করা হচ্ছে, সেই নেগোসিয়েশন শেখার প্রাইমারি স্কুল।

৩। অল্প রোজগার করুক।

সম্ভব হলে কিছু রোজগার করার দায়িত্ব দিন। যেমন টিউশনি।
টিউশনি না হলে অন্য কাজও করতে পারে। যেমন প্রোগ্রামিং, ফটোগ্রাফি ইত্যাদি। সংসারে হয়ত তার রোজগারের প্রয়োজন নেই, কিন্তু এটা তাকে স্বনির্ভরশীলতা শেখাবে।সবচে বড় কথা, নিজে আয় করলে টাকার মূল্য বুঝবে। এটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক শিক্ষা।

৪। ওর উড়ু উড়ু মনকে বোঝান।

শুনতে ভালো না লাগলেও এটা সত্য যে, এসময় ওর মন উড়ু উড়ু হবে। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি রোমান্টিকতা তৈরি হবে। এটা এ বয়সের ধর্ম। তাই ওকে খোলাখুলি বুঝিয়ে বলুন, এর কারণে ওর কী কী সমস্যা হতে পারে। লজ্জা পাওয়ার কারণ নেই। পরে হাতির সমান সমস্যা মোকাবেলার চাইতে লজ্জা বাদ দিয়ে ওকে বোঝানো অনেক ভালো।

৫। মতামত দিন।

বিভিন্ন ব্যাপারে ওর মতামত নিন। বিশেষ করে পারিবারিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়। এতে ও সিদ্ধান্ত নিতে শিখবে। যা ওর জীবনে অনেক কাজে লাগবে।

৬। মহৎ মানুষের সান্নিধ্যে নিন।

প্রকৃত বড় মানুষের সান্নিধ্যে নিয়ে যান। মহৎ সান্নিধ্য খুব ভালো টনিক। সাধারণ একজন মানুষ, কিন্তু আপনি মনে করেন তিনি অসাধারণ। তাঁর কাছে নিয়ে যান। দেখবেন এটি বাচ্চার মধ্যে খুব ভালো প্রভাব ফেলবে। মনে রাখবেন, বিখ্যাত মানুষ মানেই বড় মানুষ নন। আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ মানুষগুলোর বেশির ভাগ বিখ্যাত ছিলেন না। সাধারণ ভালো মানুষ ছিলেন। এদের কাছেই আপনার বাচ্চা আলোকিত হোক।

৬। সেরা গল্পগুলো বলুন।

আপনার জীবনের শ্রেষ্ঠ ঘটনাগুলো ওকে বলুন। সেরা মুহূর্তগুলোর গল্প শোনান। রিয়েল লাইফ স্টোরির মতো মোটিভেশান আর কিছু নেই।

৭। বন্ধু/আত্মীয়দের সাথে ঘনিষ্ঠ করুন।

আপনার সবচে বিশ্বস্ত বন্ধু বা আত্মীয়ের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে ওকে সাহায্য করুন। কঠিন পৃথিবীতে এধরনের সম্পর্ক খুব দরকার। আপনার অকৃত্রিম বন্ধু/ আত্মীয়দের সাথে পরিচয় থাকলে সে দরকারে তাদের কাছে যেতে পারবে। আমার- আপনার অবর্তমানে সে গার্ডিয়ান ফিগার খুঁজে পাবে।

৮। সমস্যা শেয়ার করুন।

এখন ওর সাথে সমস্যা শেয়ার করার সময়। আমরা সন্তানদের কাছ থেকে সমস্যা গোপন রাখি। আমার মতে, এটা ঠিক নয়। ওদের আমাদের সমস্যার কথাও বলা উচিত। যাতে তারা সেটা অনুধাবণ করে। এটা হলে তারা সহজে পথভ্রষ্ট হবে না। মা-বাবার দুঃখ যারা বোঝে তারা খারাপ হয় না। ( তবে বলার মাত্রায় সীমা বজায় রাখতে হবে। সবকিছু বলবেন না, কিছু কিছু বলবেন।যাতে ও হতাশ না হয়ে পড়ে)

আপনার বাচ্চার চাইতে পাঁচ বছর কম বয়সে বাদশা আকবর মুঘল সাম্রাজ্যের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ওকে মুঘল সাম্রাজ্যের দায় নিতে হবে না। কিন্তু নিজের জীবনের দায়িত্ব নেওয়া শুরু করতে হবে। সেটা শুরু করার এটাই শ্রেষ্ঠ সময়।
©
_বাদল সৈয়দ

উকিলের বুদ্ধিতে হতবাক সুন্দরী নারী...!(গল্পটি পড়ুন ভালো লাগবে)একজন অ্যাডভোকেট ট্রেনের এসি কেবিনে একাকী যাচ্ছিলেন। কিছুক...
03/10/2025

উকিলের বুদ্ধিতে হতবাক সুন্দরী নারী...!

(গল্পটি পড়ুন ভালো লাগবে)

একজন অ্যাডভোকেট ট্রেনের এসি কেবিনে একাকী যাচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পরে এক সুন্দরী আসলেন এবং অপর পাশের সিটে বসে পড়লেন। আর তা দেখে উকিল সাহেব মহাখুশি। দীর্ঘ যাত্রায় এরকম একজন সঙ্গী পেতে কার না ভাল লাগে। আর সে যদি হয় কোন সুন্দরী নারী, তবে তো আর কথায় নেই!

সুন্দরী এবার উকিল সাহেবের দিকে তাকিয়ে একটা মিষ্টি হাসি দিলেন আর উকিল সাহেবের মনে হল, তিনি একটি হার্টবিট মিস করলেন। কিছু সময় পরে সুন্দরীটি অপর পাশ থেকে উঠে এসে একেবারে তার পাশে গা ঘেষে বসলেন। আর এদিকে খুশিতে তো উকিল সাহেবের হার্ট এটাক করার দশা!

সুন্দরী মহিলা পুরুষটির পেশাগত পরিচয় ধারণা করতে পারেননি, তাই এবার তার কানের কাছে মুখ নিয়ে আস্তে আস্তে বলল "তোমার মানিব্যাগ, মোবাইল, টাকা পয়সা যা কিছু আছে সব আমাকে দিয়ে দাও। না হলে আমি এখন ডেকে লোক জড়ো করব, সবাই তোমাকে গণধোলাই দিবে! "

যাত্রী উকিল সাহেব এমন ভাব দেখালেন, যেন তিনি কিছুই শুনতে পাননি। তিনি হাত দিয়ে ইশারায় বুঝাতে চাইলেন, তিনি বধির, তাই কানে শুনতে পান না। "যদি কিছু বলতে চান, তবে তা এই কাগজে লিখে দিন।" এই কথা ইশারার মাধ্যমে বুঝালেন। অতঃপর পকেট থেকে তিনি এক টুকরো কাগজ বের করে দিলেন।

সুন্দরী নারী উকিল সাহেবের অভিনয় বিশ্বাস করে, এবার কাগজের উপর আগের কথাগুলো লিখলেন। উকিল সাহেব এবার কাগজটি নিয়ে পকেটে রেখে দিলেন এবং হাসতে হাসতে বললেন " এবার তুমি না, আমি চিৎকার দিয়ে পুলিশ ডাকব? "

নীতিবাক্য: মৌখিক স্বাক্ষ্য থেকে লিখিত প্রমাণের মূল্য বেশী আর লিখিত প্রমাণ হাতে রাখা খুবই জরুরী।

প্রবাসীদের ১২ দফা দাবি মেনে নিতে হবে! কোন প্রবাসী ভাই পোস্ট টি শেয়ার না করে এড়িয়ে যাবেন না🙏১. প্রবাসীর লা'শ ফ্রিতে দেশ...
03/10/2025

প্রবাসীদের ১২ দফা দাবি মেনে নিতে হবে!
কোন প্রবাসী ভাই পোস্ট টি শেয়ার না করে এড়িয়ে যাবেন না🙏

১. প্রবাসীর লা'শ ফ্রিতে দেশে নিতে হবে ১০০%
২. প্রবাসীদের জায়গা জমি নিয়ে চাঁদা বাজি করতেছে...
সে গুলো থেকে প্রবাসীদের কে সহয়তা করা ১০০%
৩. প্রবাসীদের কে কোম্পানি বেতন না দিলে সেটা নিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে ১০০%
৪. এয়ারপোর্টে প্রবাসীদের মালামাল চু**রি করা বন্ধ করতে হবে ১০০%
৫. বিমানে টিকেট দাম কমিয়ে আনতে হবে ১০০%
৬. প্রবাসীর ফ্যামেলীর নিরাপত্তা দিতে হবে ১০০%
৭. ১২ বৎসর পর অবশরে দেশে গেলে তাদের অবসর ভাতা দিতে হবে।
৮. সকল প্রবাসীকে প্রবাসী স্মার্ট কাট করে দিতে হবে।
৯. প্রবাসীদের জন্য উন্নত চিকিৎসা সেবা করতে হবে।
১০. সিন্ডিকেট ভেঙ্গে নতুন ভিসার দাম সীমিত করতে হবে।
১১. পাসপোর্ট করতে কোন দা*লাল যেন না লাগে, এবং অল্প সময়ে পাসপোর্ট সার্ভিস দিতে হবে।
১২. শর্তহীন ভাবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে প্রবাসীদেরকে লোন দিতে হবে।

সবার কাছে অনুরোধ রইল আপনি যদি প্রবাসী হয়ে থাকেন, তাহলে শেয়ার করুন।

#প্রবাসী #প্রবাস_জীবন #রেমিট্যান্স #১২দফাদাবী

আমরা ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ইত্যাদির মাধ্যমে দেখি, মানুষ সুন্দর জায়গায় বেড়াতে যাচ্ছে, নামকরা রেস্টুরেন্টে খেতে যাচ্ছে, দ...
03/10/2025

আমরা ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ইত্যাদির মাধ্যমে দেখি, মানুষ সুন্দর জায়গায় বেড়াতে যাচ্ছে, নামকরা রেস্টুরেন্টে খেতে যাচ্ছে, দামি পোশাক কিনছে।

এগুলো দেখে নিজেরা তুলনা করি, আমার এটা নাই, ওটা নাই, আমি এখানে যেতে পারলাম না, এটা খেতে পারলাম না। এভাবে আমাদের না পাওয়ার বোঝা ভারী হতে থাকে।
©
- শায়খ হুসাইন আবদুস সাত্তার

"ক্ষুধার্ত থাকো, বোকা থাকো" – সাফল্যের মূলমন্ত্রস্টিভ জবসের বিখ্যাত উক্তি "Stay Hungry, Stay Foolish" শুধুমাত্র একটি বাক...
03/10/2025

"ক্ষুধার্ত থাকো, বোকা থাকো"
– সাফল্যের মূলমন্ত্র
স্টিভ জবসের বিখ্যাত উক্তি "Stay Hungry, Stay Foolish" শুধুমাত্র একটি বাক্য নয়, এটি জীবন ও ক্যারিয়ারের জন্য এক অসাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি। এই দুইটি শব্দের গভীর অর্থ আমাদের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবনী শক্তি ও নিরবচ্ছিন্ন শেখার মনোভাবকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে।

❑ ক্ষুধার্ত থাকো (Stay Hungry)
জ্ঞান ও নতুন অভিজ্ঞতার জন্য ক্ষুধার্ত হও – সাফল্যের আসল চাবিকাঠি হলো শেখার আগ্রহ। নতুন দক্ষতা অর্জন, বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা এবং সবসময় উন্নতির জন্য চেষ্টা করা আমাদের এগিয়ে রাখে।

কমফোর্ট জোন থেকে বের হও – আত্মতুষ্টি আমাদের পিছিয়ে দেয়। চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করো, ঝুঁকি নাও, আর নিজেকে প্রতিনিয়ত পরিক্ষার মুখোমুখি দাঁড় করাও।

সুযোগ খুঁজে যাও – জীবন সবসময় পরিবর্তনশীল। নতুন সুযোগ খোঁজার ক্ষুধা না থাকলে অগ্রগতি সম্ভব নয়।

❑ বোকা থাকো (Stay Foolish)
অন্যদের মতামত নিয়ে চিন্তিত হয়ো না – বড় কিছু করতে গেলে অনেকেই তোমাকে "বোকা" বলবে। কিন্তু যুগান্তকারী সব আইডিয়া শুরুতে অবাস্তব মনে হয়।

ভুল করতে ভয় পেয়ো না – সফল ব্যক্তিরা জানে যে ভুল করাই শেখার অন্যতম উপায়। ব্যর্থতা মানেই পরাজয় নয়, বরং এটি সঠিক পথে যাওয়ার জন্য একটি শিক্ষা।

নতুন কিছুর চেষ্টা করো – যদি সবসময় নিরাপদ পথে চল, তাহলে ব্যতিক্রমী কিছু করা সম্ভব নয়। সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনের জন্য মাঝে মাঝে "বোকামি" জরুরি।

"ক্ষুধার্ত থাকো, বোকা থাকো" – এটি শুধু একটি অনুপ্রেরণামূলক উক্তি নয়, বরং একটি জীবনদর্শন। যদি তুমি সবসময় শেখার ক্ষুধা রাখো এবং ব্যতিক্রমী চিন্তাভাবনাকে আপন করে নিতে পারো, তাহলে সত্যিকার অর্থে সাফল্য তোমার হাতের মুঠোয় আসবে!

সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবি কখনো হাসেননিসুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবি ইসলামের ইতিহাসে এক অনন্য বীর সেনানায়ক, যিনি শুধু বীরত্বে...
02/10/2025

সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবি কখনো হাসেননি

সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবি ইসলামের ইতিহাসে এক অনন্য বীর সেনানায়ক, যিনি শুধু বীরত্বে নয়, বরং তার গভীর ঈমান, আত্মসংযম এবং দায়িত্ববোধে অমর হয়ে আছেন। তিনি ছিলেন এমন একজন নেতা যিনি নিজের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে আল্লাহর ইবাদত, উম্মাহর কল্যাণ ও ইসলামের বিজয়ের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন।

ইতিহাসবিদদের মতে, সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবি ছিলেন অতুলনীয় হাসিখুশি ও প্রফুল্ল চিত্তের মানুষ নন। বরং বলা হয়ে থাকে, তিনি কখনো হাসেননি। তার মুখে ছিল সবসময় এক গভীর গাম্ভীর্য, দায়িত্ববোধের ছাপ এবং অটল সংকল্প। কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন, মুসলিম উম্মাহর অবস্থা যতদিন শ'ত্রুর হাতে অপমানিত ও দুঃখভারাক্রান্ত থাকবে, ততদিন তিনি প্রকৃত আনন্দ অনুভব করতে পারবেন না।

জীবনভর তিনি কেবল যু'দ্ধক্ষেত্রে ল'ড়াই করেননি, বরং নিজের ভেতরের নফসের সাথেও যু'দ্ধ করেছেন। রাজপ্রাসাদের বিলাসিতা থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন, দেহে সাধারণ কাপড় পরেছেন, অল্প খাবারে জীবন যাপন করেছেন। তার সেনারা যখন কষ্টে থাকতেন, তিনি নিজেও তাদের মতো কষ্ট সহ্য করতেন। আনন্দ-উল্লাস ও বিলাসবহুল হাসির জন্য তার জীবনে কোনো জায়গা ছিল না।

হাসি তার মুখে ফুটেনি, কারণ তার হৃদয় ছিল উম্মাহর দুঃখে ব্যথিত। মুসলিম ভূমি ক্রু'সে'ডারদের হাতে পদদলিত, জে'রু'জালেম দখল হয়ে গিয়েছে—এই বাস্তবতা তাকে কখনো নিঃশ্চিন্ত হতে দেয়নি। তিনি দৃঢ়ভাবে বলতেন, “মুসলিমদের অবস্থা এমন অবস্থায় যখন রয়েছে, তখন আমার হৃদয়ে হাসি ফোটানো গোনাহের শামিল।”

তবে তার এই কঠোরতা ছিল না অমানবিকতা। শত্রুর প্রতিও তিনি ছিলেন দয়ার সাগর। বন্দিদের প্রতি তার দয়া, দরিদ্রদের প্রতি তার উদারতা, এবং জে'রু'জালেম বিজয়ের পর শ'ত্রুর নারীদের ও শিশুদের নিরাপদে বিদায় দেওয়ার মতো ঘটনা তার মানবিকতার উজ্জ্বল উদাহরণ।

সালাহউদ্দিন আইয়ুবির জীবনের এই গাম্ভীর্য প্রমাণ করে, একজন সত্যিকার নেতা কেবল যু'দ্ধ জেতেন না, বরং নিজের অন্তরের লোভ, অহংকার ও আনন্দকেও জয় করেন। তার না হাসা ছিল উম্মাহর দুঃখ ভাগ করে নেওয়ার নিদর্শন, আর সেই কারণেই তিনি ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন—একজন অদম্য বীর, একজন ধার্মিক শাসক, যিনি নিজের হাসি বিসর্জন দিয়ে লক্ষ মুসলমানের মুখে স্বাধীনতার হাসি ফুটিয়েছিলেন।

[আজ ২রা অক্টোবর। ১১৮৭ সালের এই দিনে সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবী খ্রি'স্টা'নদের হাত থেকে পবিত্র ভূমি জে'রু'জা'লেম পুনরুদ্ধার করেন।]
©

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা কি?(Global Sumud Flotilla) হলো একটি আন্তর্জাতিক সংহতি আন্দোলন, যার মূল উদ্দেশ্য ফি'লি'স্তিনি জনগণ...
02/10/2025

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা কি?

(Global Sumud Flotilla) হলো একটি আন্তর্জাতিক সংহতি আন্দোলন, যার মূল উদ্দেশ্য ফি'লি'স্তিনি জনগণের ন্যায়বিচারের সংগ্রামে বিশ্বজনীন সমর্থন গড়ে তোলা।

“সুমুদ” (Sumud) শব্দটি আরবি থেকে এসেছে, যার অর্থ 'অটল থাকা' বা *ধৈর্য ধরে স্থির থাকা*। ফি'লি'স্তিনিদের প্রতিরোধ, ভূমি ও অধিকার রক্ষার ল'ড়াইয়ে এই শব্দটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হয়ে উঠেছে।
ফ্লোটিলা (Flotilla) বলতে বোঝায় নৌযানের বহর। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা মূলত এমন একটি প্রচেষ্টা, যেখানে সমুদ্রপথে বিভিন্ন দেশের কর্মী, অধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবীরা একত্র হয়ে প্রতীকী ও মানবিক সহায়তার বহর গড়ে তোলেন।
* এর মূল লক্ষ্য হলো "গা/জা অ'ব'রোধ, দখ'লদারিত্ব ও ফি'লি'স্তিনিদের মানবাধিকার ল'ঙ্ঘনের বি'রুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ" জানানো এবং বিশ্বব্যাপী সচেতনতা তৈরি করা।

সহজভাবে বললে, এটি একটি আন্তর্জাতিক নৌ-সংহতি উদ্যোগ, যা ফি'লি'স্তিনের পাশে দাঁড়ানোর প্রতীকী আন্দোলন।

ঠিক কি-না?
02/10/2025

ঠিক কি-না?

আমরা থাকতাম রেললাইনের ঠিক পাশে। দিন-রাত ট্রেনের একটানা শব্দে মনে হতো যেন পৃথিবীটা একটা দ্রুতগামী টানেল। বাবা রেলের চতুর্...
02/10/2025

আমরা থাকতাম রেললাইনের ঠিক পাশে। দিন-রাত ট্রেনের একটানা শব্দে মনে হতো যেন পৃথিবীটা একটা দ্রুতগামী টানেল। বাবা রেলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন, সামান্য আয়। মা সেলাইয়ের কাজ করতেন। আমি বাবা মায়ের মেজো ছেলে আকাশ, আর আমার ছোট বোন ছিল মিতু, যার চোখ ছিল ট্রেনের আলোর মতো ঝলমলে।

​মিতুর বয়স তখন আট। পড়াশোনা, খেলার চেয়ে ওর ঝোঁক ছিল যন্ত্রপাতির দিকে। বাবার পুরোনো, নষ্ট রেডিওটা ও ঘণ্টার পর ঘণ্টা খুলে আবার জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করত। পাড়ার ছেলেরা যখন ক্রিকেট খেলত, মিতু তখন পাশে বসে টিনের কৌটো আর ছেঁড়া তার দিয়ে একটা কিছু বানানোর চেষ্টা করত।
​একদিন প্রতিবেশী কাকার ছেলে ভালো রেজাল্ট করে জেলা শহরে ভালো একটা স্কুলে ভর্তি হলো। আমার মা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মিতুর ছেঁড়া জামাটার দিকে তাকালেন। মিতু তখন তার ছোট হাত দিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে ফিসফিস করে বলল,
— "মা, আমার শহরের স্কুল চাই না। আমি এই তার-লোহা দিয়েই আকাশ ছোঁব।"
​আমরা থাকতাম রেলের কোয়ার্টারে। টিনের ছাদ, বর্ষায় ঘরের ভেতর ছাতা খুলতে হতো। রান্নাঘরটা ছিল বারান্দার এক কোণে, আর বাথরুমের অবস্থা ছিল বলার মতো নয়।
​মিতুর জেদ দেখে আমি একদিন ওকে নিয়ে পুরোনো ভাঙা যন্ত্রপাতির দোকানে গেলাম। অনেক আবদার করে একটা নষ্ট ট্রানজিস্টর কিনে দিলাম। আমার নিজের স্কুলের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে কিনেছিলাম ওটা।
​মিতু সেই ট্রানজিস্টর নিয়ে মেতে রইল। দিনে স্কুল, রাতে ওর জগৎ ছিল সেই ট্রানজিস্টর আর তার যন্ত্রপাতি। আমাদের ঘরে পর্যাপ্ত আলো ছিল না, তাই মিতু ট্রেনের কামরার আলো বা প্ল্যাটফর্মের ল্যাম্পপোস্টের নিচে বসে কাজ করত। সবাই হাসত, বলত, 'এ মেয়ে পাগল, এই সব দিয়ে কী হবে!'
​আমি তখন কলেজে পড়ি। বাবার শরীরে ক্লান্তি এসে পড়েছিল,,, তাই মিতুর স্বপ্ন পূরণের জন্য কিছু করার তাগিদ অনুভব করতাম। কলেজের পর টিউশনি করতাম। লক্ষ্য একটাই—মিতুর জন্য ভালো একটা কিছু ইঞ্জিনিয়ারিং বই কেনা।
​একদিন মিতুর প্রচণ্ড জ্বর হলো। মা স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলেন। ডাক্তার বললেন, "বাতাসে বিষাক্ত ধোঁয়া আর পুষ্টির অভাব।" বাবার চোখে জল, বুঝতে পারলাম, শরীরের বাঁধন দুর্বল হলে স্বপ্নও টেকে না।

ডাক্তারের কথায় মা মুষড়ে পড়লেন। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে ফিসফিস করে বললেন, "ওর স্বপ্ন তো শুধু মাথা দিয়ে না, শরীর দিয়েও বাঁচিয়ে রাখতে হবে।"
​সেই মুহূর্ত থেকেই আমাদের সামান্য আয়ের মধ্যেও মিতুর খাবার ও যত্নের দিকে বাড়তি নজর দেওয়া শুরু হলো। আমি টিউশনির টাকা থেকে সামান্য হলেও মিতুর জন্য ডিম আর ফল কিনে আনতাম। মা নিজের খাবারের অংশ থেকেও ওর জন্য তুলে রাখতেন। মিতু নিজেও বুঝতো, তার সুস্থ থাকাটা কতটা জরুরি।
​আস্তে আস্তে মিতু সুস্থ হলো, কিন্তু তার জেদ আরও বাড়লো। সে বুঝতে পারল, তার আবিষ্কারের জন্য সে যত পরিশ্রম করবে, তার শরীর ততই শক্ত রাখতে হবে। তার মনোযোগ কেবল যন্ত্রপাতিতে নয়, নিজের স্বাস্থ্যের দিকেও গেল। সে নিয়মিত মায়ের সাথে ব্যায়াম শুরু করলো এবং ল্যাম্পপোস্টের নিচে কাজ করার সময় দীর্ঘক্ষণ একনাগাড়ে বসে থাকার অভ্যাস কমালো।

পরের বছর জেলা বিজ্ঞান মেলা হলো। মিতু জেদ ধরল, সে যাবে। আমি আর মা অনেক কষ্টে ওকে একটা নতুন স্কার্ট আর স্যান্ডেল কিনে দিলাম। মিতু তার ট্রানজিস্টরের যন্ত্রাংশ দিয়ে একটি স্বয়ংক্রিয় সিগনালিং মডেল তৈরি করল। এটি দিয়ে রেললাইনের ত্রুটি বা আগত ট্রেনের বিপদ সংকেত দেওয়া যায়।
​মেলায় বিচারকদের চোখ কপালে। তারা জানতে পারলো, এই আবিষ্কারক থাকে রেললাইনের পাশে, যার শিক্ষাগত কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি নেই, শুধু তীব্র মেধা আর জেদ আছে।
​স্থানীয় একটি খবরের কাগজে মিতুর এই আবিষ্কার নিয়ে ফিচার হলো। শিরোনাম ছিল— “রেললাইনের পাশে জন্ম নেওয়া ক্ষুদে বিজ্ঞানী।”

​তারপর সব বদলে গেল। একটি প্রযুক্তি সংস্থা মিতুর পাশে দাঁড়াল। তারা মিতুর পড়াশোনার সব খরচ নিলেন। দশম শ্রেণির পর মিতু মুম্বাইয়ের একটি সেরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পেল। আমরা প্রথমবার ওকে একটা নতুন ল্যাপটপ কিনে দিলাম।

​সময় পেরোল। আমি গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে একটি কোম্পানিতে কাজ শুরু করি। মিতু এখন আইআইটি থেকে পাস করে জার্মানির একটি বিখ্যাত প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করছে। তার গবেষণার বিষয় সেই রেল সিগনালিং সিস্টেমের আধুনিকায়ন।
​মিতু চলে যাওয়ার দিন বাবা ওকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন,
— "আমার রেললাইন পাড়ের মেয়ে, তুমি আজ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ল্যাবে যাচ্ছ?"

​মিতু এখন পৃথিবীর সেরা প্রযুক্তিবিদদের একজন। তার প্রথম আবিষ্কারের সম্মানী দিয়ে আমাদের রেলের কোয়ার্টারের পাশে একটা ছোট সুন্দর বাড়ি বানিয়েছে। আমাকে নিয়ে গেছে তার গবেষণার জায়গাগুলোতে, যেখানে বড় বড় যন্ত্রপাতির মধ্যে মিতু কাজ করে।
​মিতু যখনই ফোন করে, কাজের চাপ থাকুক বা না থাকুক, ও বলে—
— "দাদা, আমি জার্মানির মিতু না, আমি সেই রেললাইনের মিতু, যে পুরোনো তার-লোহা দিয়ে খেলতে ভালোবাসতো।"

স্বপ্ন দেখার জন্য প্রাসাদের দরকার হয় না। দরকার হয় মেধা আর অদম্য ইচ্ছাশক্তির, যা প্রতিকূল পরিবেশের ভেতর থেকেও আলোর পথ খুঁজে নিতে পারে। দারিদ্র্য কেবল একটি বাধা, গন্তব্য নয়।

Farhana Yasmin

জাহান্নামে চৌরাস্তা যাও! – ভুল ও ঈমান বিরোধী কথামানুষ কখনো কখনো রাগের মাথায়, মজার ছলে কিংবা অজান্তেই এমন সব কথা বলে ফেলে...
02/10/2025

জাহান্নামে চৌরাস্তা যাও! – ভুল ও ঈমান বিরোধী কথা

মানুষ কখনো কখনো রাগের মাথায়, মজার ছলে কিংবা অজান্তেই এমন সব কথা বলে ফেলে যা ইসলামী আকীদা ও ঈমানের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। আমাদের সমাজে প্রচলিত একটি কথা হলো— “জাহান্নামে চৌরাস্তা যাও”। অনেকেই কাউকে গালাগালি বা অভিশাপ দিতে গিয়ে এ ধরনের শব্দ ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর।

🔥 জাহান্নামে কি চৌরাস্তা আছে?

পবিত্র কুরআন ও হাদীসের আলোকে জাহান্নামের ভয়াবহতা, শাস্তি ও আযাবের বিবরণ পাওয়া যায়। কিন্তু কোথাও “চৌরাস্তা”বা রাস্তার সংযোগস্থলের মতো কোনো ধারণা উল্লেখ নেই।

* আল্লাহ তাআলা কুরআনে জাহান্নামের সাতটি দরজার কথা বলেছেন (সূরা হিজর 15:44),
* আগুন, ফুটন্ত পানি, জাঞ্জির (শিকল), জ্বালানি ও নানা শাস্তির কথা এসেছে।

কিন্তু জাহান্নামে “চৌরাস্তা” বা মোড় আছে—এমন কোনো দলিল নেই। সুতরাং এটি সম্পূর্ণ কল্পিত ও মিথ্যা ধারণা।

🚫 কেন এটি ভুল ও ঈমান বিরোধী কথা?

১. মিথ্যা কথা বলা– ইসলাম মিথ্যা কথাকে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। জাহান্নামে “চৌরাস্তা” আছে বলা মিথ্যার শামিল।
২. আল্লাহর আযাব নিয়ে ঠাট্টা – জাহান্নাম একটি বাস্তব ও ভয়াবহ স্থান। এর নামকে মজার ছলে ব্যবহার করা গুনাহ এবং ঈমান দুর্বল হওয়ার লক্ষণ।
৩. অভিশাপ দেওয়া– ইসলামে কাউকে অভিশাপ দেওয়া অনুমোদিত নয়। রাসূল ﷺ কখনো অ'ভিশাপ দেননি, বরং দোয়া করেছেন যেন মানুষ হেদায়েত পায়।
৪. কু'ফরির আ'শঙ্কা– যদি কেউ বিশ্বাস করে যে আসলেই জাহান্নামে “চৌরাস্তা” আছে, তবে এটি ভুল আকীদা, যা ঈমানের ক্ষতি করতে পারে।

ইসলামের দৃষ্টিতে আমাদের করণীয়

* মুখকে নিয়ন্ত্রণে রাখা: রাসূল ﷺ বলেছেন, “যে ব্যক্তি তার জিহ্বাকে ও তার ল'জ্জা'স্থানকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে, আমি তার জন্য জান্নাতের জামিন হব।” (বুখারী)
* গা'লা'গালি ও কটু কথা থেকে বিরত থাকা।
* শিশু-কিশোর ও সাধারণ মানুষকে এসব ভুল কথা বলার ক্ষতি সম্পর্কে সচেতন করা।
* রাগের সময় বদ্‌দোয়া বা গালি না দিয়ে “আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত করুন” এরকম দোয়া করা।

উপসংহার

“জাহান্নামে চৌরাস্তা যাও”—এটি কোনো ইসলামি শব্দ নয়, বরং কল্পিত ও ভুল ধারণা। এ ধরনের কথা বলা শুধু মিথ্যাই নয়, বরং ঈমানের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের উচিত এমন কুরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর বাক্য পরিহার করা, নিজের মুখকে সংযত রাখা এবং সবসময় আল্লাহর ভয় মনে রাখা।

🔖 তাই আসুন, জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রণ করি এবং সত্য, সুন্দর ও ঈমানসম্মত কথা বলি।

১. কেউ বিশ্বাস ঘাতকতা করছে?- চুপ হয়ে যান।২.কেউ যন্ত্রণা দিচ্ছে? - চুপ হয়ে যান। ৩.কেউ অনেক ভালবাসার পরও প্রাপ্যটা দেয়নি? ...
02/10/2025

১. কেউ বিশ্বাস ঘাতকতা করছে?
- চুপ হয়ে যান।

২.কেউ যন্ত্রণা দিচ্ছে?
- চুপ হয়ে যান।

৩.কেউ অনেক ভালবাসার পরও প্রাপ্যটা দেয়নি?
- চুপ হয়ে যান।

৪.কোন মানুষ অনেক অপমান করছে?
- চুপ হয়ে যান।

৫.কেউ ঠকিয়ে গেছে?
- চুপ হয়ে যান।

৬.কেউ আপনাকে নিয়ে তুমুল মিথ্যা দোষারোপ করছে?
- চুপ হয়ে যান।

এমন নিরব হয়ে যান, সে মানুষগুলো যেনো আর কখনই আপনার শব্দ কিংবা ছায়া না দেখে। মৃ'ত হয়ে যান তাদের কাছে।

প্রতিজ্ঞা করুন আর কখনই ঘুরে তাকাবেন না। শুধু এই প্রতিজ্ঞাটা করতে পারলে আপনি কষ্ট পাবেন না। এই যে নিরবতা আপনাকে দম বন্ধ করা আর্তনাদ দিবে কিন্তু অপর পক্ষকে দিবে আফসোস।

আসলে আমরা হারাবার ভয়ে শব্দ দিয়ে প্রতিবাদ করি। কিন্তু আপনি জানেন কি? যে মানুষগুলো আপনাকে মানুষ বলে মূল্যায়ন করেনি, আপনাকে দমবন্ধ কান্নার অনুভূতি দিয়েছে তারা আপনার কেউ না।

তাই নিজের স্বার্থে বাঁচুন, নিজেকে ভালোবাসুন, আপনার একজন "সৃষ্টিকর্তা" আছেন। সকল দুঃখ, কষ্ট, চাওয়া, পাওয়ার কথা সৃষ্টিকর্তাকে বলুন তিনি সব কিছুর সমাধান করবেন।

দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ব্যবহার : মস্তিষ্কে ক্ষতি!ইসলাম ও বিজ্ঞানের আলোকেআজকের যুগে মোবাইল ফোন আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ। কাজ...
02/10/2025

দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ব্যবহার : মস্তিষ্কে ক্ষতি!
ইসলাম ও বিজ্ঞানের আলোকে

আজকের যুগে মোবাইল ফোন আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ। কাজ, যোগাযোগ, বিনোদন থেকে শুরু করে শিক্ষা—সবক্ষেত্রেই আমরা মোবাইলের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু যখন এই ব্যবহার সীমার বাইরে চলে যায়, তখন এটি শুধু সময় নষ্ট করে না, বরং আমাদের মস্তিষ্ক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গভীর ক্ষতি ডেকে আনে।

🔬 বিজ্ঞানের আলোকে ক্ষতি

1. মনোযোগ কমে যাওয়া:
দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করলে মস্তিষ্কে ডোপামিনের অস্বাভাবিক মাত্রা তৈরি হয়। এর ফলে পড়াশোনা, কাজ বা ইবাদতে মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।

2. স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়া:
গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম হিপোক্যাম্পাস নামক মস্তিষ্কের অংশকে প্রভাবিত করে, যা স্মৃতি সংরক্ষণের কাজ করে। ফলে ভুলে যাওয়া বা মনোযোগ হারানো স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়ায়।

3. ঘুমের ব্যাঘাত:
রাত জেগে মোবাইল ব্যবহার করলে ব্লু-লাইট মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। এ হরমোন ঘুম নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে ঘুমের মান নষ্ট হয়, শরীর ও মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায় না।

4. উদ্বেগ ও হতাশা:
সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহার মস্তিষ্কে তুলনা, ঈর্ষা ও অপ্রাপ্তির অনুভূতি তৈরি করে। এতে উদ্বেগ (Anxiety), হতাশা (Depression) ও মানসিক চাপ বাড়ে।

5. আসক্তি (Addiction)
মস্তিষ্কে আসক্তির রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে মোবাইল, ঠিক মাদকের মতো। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মানুষ সময় ও জীবনের ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলে।

📖 ইসলামের আলোকে সতর্কবার্তা

1. সময় নষ্ট করা:
আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেন:
*“আর তিনিই সেই সত্তা যিনি রাত ও দিনকে করেছেন পরস্পর উত্তরাধিকারী, সেই ব্যক্তির জন্য যে উপদেশ নিতে বা কৃতজ্ঞ হতে চায়।”*
(সূরা আল-ফুরকান: 62)

অর্থাৎ, সময় নষ্ট করা একজন মুমিনের জন্য বড় ক্ষতি। অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারে যে সময় অপচয় হয়, তা আমাদের দুনিয়া ও আখিরাত উভয়ের জন্য ক্ষতিকর।

2. চোখ ও হৃদয়ের হেফাজত
কুরআনে আল্লাহ বলেন:
*“তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে।”*
(সূরা আন-নূর: 30)

মোবাইল ব্যবহার করতে গিয়ে নানান হারাম ছবি, ভিডিও ও কন্টেন্ট দেখা মানুষকে গুনাহের পথে নিয়ে যায়।

3. অতিরিক্ততায় নিষেধাজ্ঞা:
রাসূল ﷺ বলেছেন:
*“তোমরা অতিরিক্ততা থেকে বিরত থাকো। কারণ, তোমাদের পূর্ববর্তী জাতিগুলো অতিরিক্ততার কারণেই ধ্বংস হয়েছিল।”*
(মুসনাদে আহমাদ)

অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারও একধরনের অপব্যবহার ও অতিরিক্ততা, যা ইসলাম নিরুৎসাহিত করেছে।

✅ করণীয়

* মোবাইল ব্যবহারের সময় নির্দিষ্ট করা,
* রাতের বেলা ঘুমানোর আগে মোবাইল ব্যবহার পরিহার করা।
* অপ্রয়োজনীয় সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট এড়িয়ে চলা।
* কুরআন তিলাওয়াত, নামাজ, বই পড়া ও পরিবারে সময় দেওয়া—এসবকে অগ্রাধিকার দেওয়া।
* প্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা, প্রযুক্তির দাস না হওয়া।

বিজ্ঞান বলছে—দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ব্যবহার আমাদের মস্তিষ্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ইসলাম বলছে—অতিরিক্ততা, সময় নষ্ট ও গুনাহে জড়িয়ে পড়া থেকে বিরত থাকতে। তাই আমাদের উচিত মোবাইল ব্যবহারকে নিয়ন্ত্রণে আনা এবং সময়কে মূল্য দেওয়া। মোবাইল হবে কল্যাণের হাতিয়ার, ধ্বংসের কারণ নয়।

Address

Sylhet

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Inside Bangla posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category