27/11/2023
প্রত্যেক ফরজ নামাজের পরের সহি সুন্নাহ সম্মত আমল:
একবার বলবেঃ
اللّٰهُ أَكْبَر
আল্লাহ সবকিছুর চেয়ে শ্রেষ্ঠ।
*** *** ***
তিনবার বলবেঃ
أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ
আমি আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
এরপর পড়বেঃ
اللّٰهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ، وَمِنْكَ السَّلاَمُ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالْإِكْرَامِ
হে আল্লাহ! আপনি শান্তিময়। আপনার নিকট থেকেই শান্তি বর্ষিত হয়। আপনি বরকতময়, হে মহিমাময় ও সম্মানের অধিকারী!
মুসলিম, নং ৫৯১
*** *** ***
এরপর একবার বলবে,
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ،
একমাত্র আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কোনো মাবুদ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সর্বশক্তিমান।
তারপর,
اللّٰهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الجَدُّ
হে আল্লাহ, আপনি যা প্রদান করেছেন তা প্রতিহত করার কেউ নেই, আর আপনি যা আটকে রেখেছেন তা প্রদান করারও কেউ নেই। আর কোনো ক্ষমতা-প্রতিপত্তি আপনার কাছে কোনো উপকারে আসবে না।
বুখারী, নং ৮৪৪; মুসলিম, নং ৫৯৩
*** *** ***
প্রত্যেকটি ৩৩ বার করে বলবে,
سُبْحَانَ اللّٰهِ
وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ
وَاللّٰهُ أَكْبَرُ
আল্লাহ কতই না পবিত্র-মহান। সকল প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য। আল্লাহ সবচেয়ে বড়।
তারপর বলবে,
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
একমাত্র আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কোনো মাবুদ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সকল প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সর্বশক্তিমান।
মুসলিম, ১/৪১৮, নং ৫৯৭;
*** *** ***
মাগরিব ও ফজরের নামাযের পর ১০ বার করে পড়বে,
لَا إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِيْ وَيُمِيْتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
একমাত্র আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কোনো মাবুদ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তারই এবং সকল প্রশংসা তাঁর। তিনিই জীবিত করেন এবং মৃত্যু দান করেন। আর তিনি সর্বশক্তিমান।
তিরমিযী, নং ৩৪৭৪; আহমাদ, নং ১৭৯৯০। হাদীসটির তাখরীজের জন্য আরও দেখুন, যাদুল মা‘আদ ১/৩০০।
*** *** ***
ফজর নামাযের সালাম ফিরানোর পর পড়বে,
اللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا، وَرِزْقًا طَيِّبًا، وَعَمَلًا مُتَقَبَّلًا
হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট উপকারী জ্ঞান, পবিত্র রিযিক এবং কবুল হবে এমন আমল প্রার্থনা করি।
ইবন মাজাহ্, নং ৯২৫; নাসাঈ, তাঁর আমালুল ইয়াওমি ওয়াল্লাইলাহ গ্রন্থে, হাদীস নং ১০২
*** *** ***
প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর একবার করে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস পড়া সুন্নাহ।
সূত্রঃ আবু দাঊদ, নং ১৫২৩; তিরমিযী, নং ২৯০৩; নাসাঈ, নং ১৩৩৫
*** *** ***
প্রত্যেক সালাতের পর একবার আয়াতুল কুরসি পড়া। যে ব্যক্তি প্রত্যেক সালাতের পর আয়াতুল কুরসি পড়বে, মৃত্যু ছাড়া তার জান্নাতে প্রবেশে আর অন্য কিছু বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।
اللّٰهُ لَآ إِلٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ ۚ
আল্লাহ্, তিনি ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কোনো মাবুদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক।
لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَّلَا نَوْمٌ ۚ
তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না, নিদ্রা তো নয়ই।
لَّهُ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَمَا فِى الْأَرْضِ ۗ
আসমানসমূহে যা রয়েছে ও যমীনে যা রয়েছে সবই তাঁর।
مَنْ ذَا الَّذِى يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهٖ ۚ
কে সে, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে?
يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۖ
তাদের সামনে ও পিছনে যা কিছু আছে তা তিনি জানেন।
وَلَا يُحِيْطُوْنَ بِشَىْءٍ مِّنْ عِلْمِهٖٓ إِلَّا بِمَا شَآءَ ۚ
আর যা তিনি ইচ্ছে করেন তা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কোনো কিছুকেই তারা পরিবেষ্টন করতে পারে না।
وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضَ ۖ
তাঁর ‘কুরসী’ আসমানসমূহ ও যমীনকে পরিব্যাপ্ত করে আছে;
وَلاَ يَؤُوْدُهُ حِفْظُهُمَا ۚ
আর এ দুটোর রক্ষণাবেক্ষণ তাঁর জন্য বোঝা হয় না।
وَهُوَ الْعَلِىُّ الْعَظِيْمُ
আর তিনি সুউচ্চ সুমহান।
নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল্লাইলাহ, নং ১০০; ইবনুস সুন্নী, নং ১২১
আয়াতুল কুরসি বলা হয় সূরা বাক্বারার ২৫৫ নং আয়াতকে।