
06/08/2025
৫ ই আগষ্ট ২৪ গণভবনে শেখ হাসিনার বেডরুমে প্রথম গ্রুপটা প্রবেশ করে দেখতে পায় রুমের এসিটা তখনও চলছে । রুমটা অগোছালো ছিল। লাগেজ-সুটকেস পড়া ছিল। জামা-কাপড় ছড়ানো ছিটানো ছিল। বেশ তাড়াহুড়া করে সেখান থেকে বের হতে হয়েছে এটা বেশ ক্লিয়ার বুঝা গেছে,
গণভবনের ডাইনিংয়ে দুপুরের খাবার বাড়া ছিল। খাবারগুলো গরম ছিল। খাবার থেকে ধোয়া উঠছিল। হাসিনাসহ গণভবনের বাসিন্দারা দুপুরের খাবারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।
৪০ বছর ক্ষমতায় ঠিকে থাকবে,চ্যালেঞ্জ দেয়া সেই শেখ হাসিনা এক ঘন্টা আগেও কল্পনা করতে পারে নি যে তাকে পালাতে হবে। বরং সে বেশ রিল্যাক্সড ছিল। সে দুপুরে কি কি খাবে, কয় পদ রান্না হবে তার ক্লিয়ার ইন্সট্রাকশন গণভবনের বাবুর্চিকে দিয়েছিল।
দেশের মানুষ হাজারে হাজারে মারা যাচ্ছিল, শত শত বাচ্চা মারা যাচ্ছিল যারা শেখ হাসিনার নাতনির চেয়েও বয়সে বেশ ছোট। এগুলো শেখ হাসিনাকে এক বিন্দুও স্পর্শ করেনি। তিনি ফুরফুরা ছিলেন, আরো হ-ত্যা-যজ্ঞ চালিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনার মধ্যে ছিল কনফিডেন্স আর এরোগেন্স। আমাদের মধ্যে ছিল ভয়, উৎকন্ঠা আর অনিশ্চয়তা। শেষ পর্যন্ত আল্লাহ পাক আমাদেরকে তার নিজ অনুগ্রহে জা-লি-ম মুক্ত করে বিজয় দান করেছেন।
৩ সপ্তাহ আগেও দেশের মানুষ কল্পনাতেও আনে নি শেখ হাসিনাকে কখনো নামানো সম্ভব। ৩ সপ্তাহের মধ্যে আল্লাহ পাক আমাদেরকে সেই অসম্ভবটাই করে দেখালেন।
আসলে যখন আল্লাহর হুকুম হয়,তখন ধোঁয়া উঠা খাবার সামনে থাকলেও সেটা স্পর্শ করার সুযোগ হয় না। নিজের রুমের এসি-লাইট-ফ্যানটাও বন্ধ করার সময় পাওয়া যায় না। চাইলে ও নিজেকে গুছানো যায়না,সবকিছু অগোছালো রেখেই পালাতে হয়,,কারন সকল ক্ষমতা আর সার্বভৌমত্বের উৎস একমাত্র আল্লাহ, তিনি চাইলে থাকা যায়,না চাইলে এক মিনিট ও নয়,,এটা যেন আমরা সর্বাবস্থায় মাথায় রাখি।
c