Amader kotha

Amader kotha ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও জনগণের পক্ষে ❝আম?

জাতীয় ছাত্রদল শাবিপ্রবি শাখার সাবেক সভাপতি উসমান গণি’র পিতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ জাতীয় ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপত...
07/08/2025

জাতীয় ছাত্রদল শাবিপ্রবি শাখার সাবেক সভাপতি উসমান গণি’র পিতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ

জাতীয় ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শাখার সাবেক সভাপতি উসমান গণির পিতা মোঃ আলাল উদ্দিন (৭৫) আজ ৭ আগস্ট রাত ৯টায় ব্রাক্ষণ কচুরি, কিশোরগঞ্জ সদর, কিশোরগঞ্জ উঁনার বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত্যুকালে তিনি ৪ ছেলে ও ৩ মেয়েসহ অসংখ্য আতœীয় স্বজন গুণগ্রাহী রেখে যান।
উঁনার মৃত্যুতে জাতীয় ছাত্রদল শাবিপ্রবি শাখার সভাপতি ওয়াসিম মোহাম্মদ শামস্ ও সাধারণ সম্পাদক তুখোর আরেং এবং সিলেট জেলা কমিটির আহবায়ক শুভ আজাদ শান্ত এক যৌথ শোক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের ৩২-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিতসিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের ৩২ বছর ...
06/08/2025

সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের ৩২-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত

সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের ৩২ বছর পূর্তিতে লাল পতাকা র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত। ৬ আগস্ট ২০২৫ বিকেল ৫টায় ক্বীণ ব্রীজের উত্তর পাড়ে জমায়েত হয়ে এক বিক্ষোভ লাল পতাকা র‌্যালি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কোর্ট পয়েন্টে জেলা সভাপতি মো. ছাদেক মিয়া’র সভাপতিত্বে এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সুনু মিয়া (সাগরের) পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির যুগ্ন সম্পাদক রমজান আলী পটু, শাহপরান থানা কমিটির সভাপতি মো. খোকন আহমদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট শাহপরান থানা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা মো. আনু মিয়া, সাবেক সহ-সভাপতি মীর মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমান আলী, কোষাধ্যক্ষ মহিদুল ইসলাম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা কমিটির অন্যতম নেতা আব্দুল মুমিন রাজু, জেলা কমিটির অন্যতম নেতা আনোয়ার হোসেনসহ প্রমুখঃ
নেতৃবৃন্দ বলেন ১৯৯৩ সালের ৬ আগস্ট সংগঠনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই শ্রমিকদের আইনি সুযোগ সুবিধা আদায় ও অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শ্রেণিসচেতন করে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিকদের ধারাবাহিকভাবে সুসংগঠিত আন্দোলন-সংগ্রামের ফলে কিছু কিছু সুযোগ সুবিধা অর্জিত হলেও সামগ্রিকভাবে শোষণ-নির্যাতনের অবসান হয়নি। হোটেল সেক্টরের শ্রমিকদের যেমন নেই চাকরির নিশ্চয়তা, তেমনি নেই জীবনের নিরাপত্তা। হোটেল-রেস্টুরেন্ট মালিকরা দেশে প্রচলিত শ্রমআইনের তোয়াক্কা না করে তাদের মনগড়া ইচ্ছামাফিক স্বেচ্ছাচারী কায়দায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। প্রতি ৫ বছর অন্তর নি¤œতম মজুরি বোর্ড গঠন করে নতুন মজুরি নির্ধারণের নিয়ম থাকলেও ৮ বছর পর গত ৫ মে ২০২৫ মজুরি গেজেট প্রকাশিত হয়। যে নি¤œতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতির বাজারে শ্রমিকরা তা দিয়ে মাসের ১০ দিন চলাও কঠিন।
সংগঠনের ৩২-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে হোটেল-রেস্টুরেন্ট সেক্টরের শ্রমিকদের বাঁচার মত মজুরি, শ্রমআইন অনুযায়ী প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা আদায়ের সংগ্রামের পাশাপাশি শ্রমিক শ্রেণির সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে হোটেল-রেস্টুরেন্ট শ্রমিকদেরকে দেশের অপরাপর সেক্টরের শ্রমিকদের ও জনগণের আন্দোলন-সংগ্রামে একাতœ হতে হবে। সেই সাথে শ্রমিক-কৃষক-জনগণের সাম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদ বিরোধী জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে অগ্রসর করা ছাড়া হোটেল-শ্রমিকসহ শ্রমিক-কৃষক-জনগণের সার্বিক মুক্তি অর্জনের বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বৃহত্তর আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলার আহবান জানান।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, মার্কিন পরিকল্পনায় ছাত্র মধ্যবিত্তদের আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ১বছর অতিবাহিত হয়েছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের আরও নির্ভরযোগ্য বিশ্বস্ত দালাল ড. ইউনুসের নেতৃত্বে এক অন্তর্র্বতী সরকারকে ক্ষমতার আনা হয়। এর ফলে এদেশে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নিয়ন্ত্রণ আরো বৃদ্ধি পায়। সাম্রাজ্যবাদের দালাল ভারতের অবস্থান অপেক্ষাকৃত দূর্বল হয়। মানবিক করিডোরের প্রশ্নসহ বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামরিক সাংস্কৃতিক যে সংকট চলছে তা বিচ্ছিন্ন কোন বিষয় নয়। এটা হচ্ছে বিশ্ব বাজার-প্রভাব বলয় পুনর্বণ্টন নিয়ে আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী তীব্র প্রতিদ্ব›িদ্বতা চলছে তার সাথে সম্পর্কিত।

আগামীকাল সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের ৩২-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীআগামীকাল ৬ আগস্ট ২০২৫ সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন (র...
05/08/2025

আগামীকাল সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের ৩২-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

আগামীকাল ৬ আগস্ট ২০২৫ সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং চট্ট-১৯৩৩)-এর ৩২-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৯৩ সালের ৬ আগস্ট বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে এবং জাতীয় ছাত্রদল ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সহযোগিতায় শ্রমিক শ্রেণির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে অবহেলিত, নির্যাতিত-নিপীড়িত হোটেল-রেস্টুরেন্ট শ্রমিকদের দাবি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের আতœপ্রকাশ ঘটে। সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার পর থেকে শ্রমিকদের আইনি সুযোগ সুবিধা আদায় ও অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শ্রেণিসচেতন করে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিকদের ধারাবাহিকভাবে সুসংগঠিত আন্দোলন-সংগ্রামের ফলে কিছু কিছু সুযোগ সুবিধা অর্জিত হলেও সামগ্রিকভাবে শোষণ-নির্যাতনের অবসান হয়নি। হোটেল সেক্টরের শ্রমিকদের যেমন নেই চাকরির নিশ্চয়তা, তেমনি নেই জীবনের নিরাপত্তা। হোটেল-রেস্টুরেন্ট মালিকরা দেশে প্রচলিত শ্রমআইনের তোয়াক্কা না করে তাদের মনগড়া ইচ্ছামাফিক স্বেচ্ছাচারী কায়দায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। কাগজে-কলমে প্রচলতি শ্রমআইনে নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র, সার্ভিসবুক প্রদান, দৈনিক ৮ ঘন্টা কর্মদিবস, অতিরিক্ত কাজে দ্বিগুণ মজুরি ও বছরে ২ টি উৎসব বোনাস প্রদান, মজুরিসহ সাপ্তাহিক দেড় দিন ছুটি, বছরে ১০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি, ১১ দিন উৎসব ছুটি, ১৪ দিন চিকিৎসা ছুটি, প্রতি ১৮ দিন কাজের জন্য ১ দিন অর্জিত ছুটি, মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিন ইত্যাদি অধিকার থাকলেও হোটেল সেক্টরে মূলতঃ তা বাস্তবায়ন করা হয় না। শ্রমিকদের আইনী অধিকার বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের শ্রমদপ্তর ও কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের থাকলেও তারা অনৈতিক আঁতাতের মাধ্যমে মালিকদের স্বার্থ রক্ষায় স্বীয় দায়িত্ব পালন করেন না।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ৬ আগস্ট বুধবার বিকেল ৪টায় ক্বীণ ব্রীজের উত্তর পাড় (জালালাবাদ পার্কের সামনে) জমায়েত হয়ে এক লাল পতাকা র‌্যালি পরবর্তী সমাবেশ। উক্ত কর্মসূচী সফল করতে জেলা সভাপতি মো. ছাদেক মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত এক যুক্ত বিবৃতিতে সকল উপজেলা, থানা, আঞ্চলিক কমিটির নেতৃবৃন্দকে যথাসময়ে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে উপস্থিত থাকার জন্য উদাত্ত আহবান জানান।

শ্রম উপদেষ্টা বরাবর ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলার স্মারকলিপিঅবিলম্বে জাতীয় নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করে আইনী সুরক্ষা দিয়ে ...
28/07/2025

শ্রম উপদেষ্টা বরাবর ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলার স্মারকলিপি

অবিলম্বে জাতীয় নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করে আইনী সুরক্ষা দিয়ে জাতীয় নিম্নতম মূল মজুরি ৩০ হাজার টাকা ঘোষণা, আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ অনুযায়ী অবাধ ট্রেড অধিকার ও কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তাসহ ১০ দফা দাবিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা বরাবর দেশব্যাপী স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে জেলা প্রশাসক মাধ্যমে ১০ দফা দাবিনামা পেশ করা হয়। ২৮ জুলাই দুপুরে ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের কেন্দ্রীয় কমিটি প্রেরিত স্মারকলিপিটি সিলেট ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার ও সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদেক মিয়া স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিটি সিলেটের জেলা প্রশাসকের মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ এর মাধ্যমে পেশ করেন। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন দেশে মোট শ্রমিকের সংখ্যা ৭ কোটি ৩৪ লক্ষ। যদিও বিভিন্ন প্রস্তাবনা/প্রতিবেদনে এ সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৮ কোটি বলা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ৯২ শতাংশ শ্রমিকের কোন প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি নেই বলে বিবিএস তথ্যে জানানো হয়। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের এই বৃহৎ শ্রমিক ও শ্রমজীবী প্রচলিত শ্রমআইনের সুযোগ-সুবিধা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত। নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র, আইনস্বীকৃত কর্মঘন্টা ও ছুটি, মাতৃত্বকালীন সুবিধা ও ক্ষতিপূরণসহ শ্রমআইনের স্বীকৃত অধিকার অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা ভোগ করতে পারছে না। রপ্তানিমুখী প্রাতিষ্ঠানিক খাতগুলোতে শ্রমআইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশী নজরদারী থাকা সত্তে¡ও শ্রমআইনকে পাশ কাটিয়ে শ্রমিকদের উপর তীব্র শ্রম শোষণ ও নির্যাতন চালানো হচ্ছে। দেশে জাতীয় মজুরি বোর্ড ও মজুরি নির্ধারণের দিকনির্দেশনা না থাকায় সর্বজনীন মজুরিও কার্যকরী নেই। প্রকৃত পক্ষে একজন শ্রমিক ও তার পরিবারের (৬ সদস্য হিসেব ধরে) প্রতিদিনের, প্রতি সপ্তাহের, প্রতি মাসের প্রকৃত মজুরি নিম্নতম মজুরি ধরে মূল মজুরির অর্ধেক বাড়িভাড়া এবং যাতায়াত ও চিকিৎসা বাবদ প্রয়োজনীয় খরচ যুক্ত করে মোট মজুরি নির্ধারণ করার বিষয়টি কার্যকরী করা হয় না। বর্তমান নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি, গাড়িভাড়া, বাড়িভাড়া, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ জীবন জীবিকার সকল ব্যয় হিসেব করলে ৬ সদস্যের একটি শ্রমিক পরিবারে ন্যূনতম ৩০ হাজার টাকা মূল মজুরি হওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের শিল্প ও শ্রমিক অঙ্গনে উপরে উল্লেখিত সমস্যা ছাড়াও বিভিন্ন দুরাবস্থায় শ্রমিকরা জর্জরিত। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের পক্ষ থেকে শ্রম উপদেষ্টা সমীপে ১০ দফা দাবিনামা উত্থাপন করা হচ্ছে। ১০ দফা দাবিনামা নিম্নরূপ :
১। মজুরি-বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাদি:
(ক) প্রতিনিয়ত মুদ্রাস্ফীতি-মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে প্রতি ২ বছর অন্তর মজুরি পুন:নির্ধারণ করতে হবে।
(খ) ৮ ঘন্টা শ্রম দিবসের ভিত্তিতে আইনী সুরক্ষা দিয়ে জাতীয় ন্যূনতম মূল মজুরি ৩০,০০০/- টাকা ঘোষণা ও কার্যকরী করতে হবে।
(গ) নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সমকাজে সমমজুরি নিশ্চিত করতে হবে।
(ঘ) মজুরি ও জীবনযাত্রার মান স্থিতিশীল রাখার প্রয়োজনে ‘ভেরিয়েবল ডিয়ারনেস এলাউন্স (পরিবর্তনশীল ভাতা)’ চালু করতে হবে।
(ঙ) চাকুরির বয়স তিন মাস পূর্ণ হলে মূল মজুরির সমপরিমাণ বছরে ২ টি উৎসব বোনাস প্রদানের নিয়ম কার্যকরী করতে হবে।
(চ) সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইনসেনটিভ বোনাস স্কীম ও হাজিরা বোনাস প্রদানসহ শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলতে হবে।
(ছ) নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সশস্ত্র বাহিনীর সমমূল্যে ও সমপরিমাণে সকল শ্রমিক-কর্মচারী ও মেহনতি জনগণের জন্য স্থায়ী রেশনিং চালু করতে হবে।
(জ) ঝুঁকিপূর্ণ কাজে কর্মরত শ্রমিক ও কর্মচারীদের বিশেষ ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
(ঝ) সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে ১০% হারে কন্ট্রিবিউটারী প্রভিডেন্ট ফান্ড ও ৫% লভ্যাংশ শেয়ারের আইন কার্যকর করতে হবে।
(ঞ) ডিসমিসড (বরখাস্তকৃত) শ্রমিক কর্মচারীদেরকে সার্ভিস বেনিফিটসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে হবে।
(ট) জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে শ্রমআইন বাস্তবায়নে মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে।
২। মৌলিক ও ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার সংক্রান্ত:
(ক) আইএলও কনভেনশন ৮৭ এবং ৯৮ অনুযায়ী সকল শ্রম সেক্টরে অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন ও যৌথ দরকষাকষির অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
(খ) ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার হরণ ও সংকোচন করতে সরকারি সংস্থার মালিক তোষণ নীতি ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
(গ) অত্যাবষকীয় পরিষেবা বিল-২০২২ ও সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ বাতিল করতে হবে।

(ঘ) শ্রম আদালতের সকল মামলা ৯০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি এবং শ্রমিক কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বিনা খরচে পরিচালনার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে।
(ঙ) সকল শ্রমঘন অঞ্চলে প্রয়োজনীয় শ্রমআদালত প্রতিষ্ঠাসহ শ্রম আপিল আদালত স্থাপন করতে হবে।
(চ) নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র প্রদানের আইন কার্যকরীকরাসহ শ্রমআইন যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। সকল প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে ১ মে মজুরিসহ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে বাস্তবায়ন করতে হবে।
(ছ) সব ধরনের অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের ৯০ দিনের মধ্যে স্থায়ী করতে হবে। স্থায়ী পদে আউটসোর্সিং বন্ধ করে শূন্য পদে শিক্ষানবীশ শ্রমিককে নিয়োগ দিতে হবে।
(জ) সড়ক পরিবহণ আইন ও বিধিমালার শ্রমিকস্বার্থ বিরোধী ধারা ও বিধি বাতিল করতে হবে।
(ঝ) সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীগণকে শ্রম আদালতে মামলা করার অধিকার দিতে হবে।
(ঞ) পল্লী বিদ্যুৎ, ই-কমার্স, রাইড শেয়ারিং, গৃহশ্রমিক, খনি শ্রমিকসহ সকল শ্রেণির শ্রমিকদের শ্রমআইনের আওতায় আনতে হবে।
(ট) আউটসোর্সিংসহ কন্ট্রাক প্রথা বিলোপ করতে হবে। নিয়োগকৃত আউটসোর্সিং কর্মীদের স্থায়ী করতে হবে।
৩। চাকরির নিরাপত্তা ও হয়রানীমূলক বদলী বন্ধ এবং ট্রেড ইউনিয়ন বিকাশের পরিবেশ নিশ্চিত করণ:
(ক) হয়রানীমূলক বদলি বন্ধ করতে হবে এবং পদাবনতি, ছাঁটাই, ডিসমিস ও টার্মিনেশনে চাকরিচ্যুতি বন্ধ করতে হবে।
(খ) আধুনিকীকরণের প্রয়োজনে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদেরকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরির পূর্ণ নিরাপত্তা ও ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে হবে।
(গ) সড়ক-মহাসড়কে চালক, যাত্রী, পণ্য ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং পরিবহন সেক্টরে সকল ধরণের চাঁদাবাজী বন্ধ করতে হবে।
(ঘ) শ্রমিকদের সংগঠিত হওয়া, শিল্পাঞ্চলে সভা-সমাবেশ ও ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রম পরিচালনার গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
(ঙ) শ্রমিকনেতাদের নামে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
৪। বাসস্থান, শিক্ষা ও যাতায়াত:
(ক) শিল্প এলাকা ভিত্তিক উপযুক্ত নিরাপত্তাসহ শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য পরিবার নিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত বসবাসের উপযোগী বাসস্থান নির্মাণ করতে হবে।
(খ) চা শ্রমিকদের চাকরি শেষে বাসস্থান থেকে উচ্ছেদ করার আইন বাতিল করে তাদের ভূমির অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
(গ) শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের সন্তানদের বিনামূল্যে শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত উপযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের ব্যবস্থা করতে হবে।
(ঙ) শ্রমিক-কর্মচারীদের সাংস্কৃতিক মান বিকাশের জন্য লাইব্রেরি, পড়াশোনা, খেলাধুলা, শরীরচর্চাসহ সুস্থ সাংস্কৃতিক বিনোদনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
(চ) গার্মেন্টসসহ সকল শ্রমিক-কর্মচারীদের তাদের কর্মক্ষেত্রে যাতায়াতের জন্য নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৫। পেশাগত স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও পরিবেশ সংক্রান্ত:
(ক) সকল শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যকার্ড প্রদানসহ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান ও শিল্পাঞ্চলে প্রয়োজনীয় হাসপাতাল তৈরী করতে হবে।
(খ) কর্মরত শ্রমিকদের প্রতিষ্ঠানের খরচে বছরে অন্তত দুই বার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে।
(গ) কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ও পেশাগত রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থাসহ উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
(ঘ) চাকরির সময়কাল নির্বিশেষে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা নিহত শ্রমিকদের আজীবন আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।
(ঙ) সকল কর্মক্ষেত্রে সুপেয় পানিসহ খাবার ক্যান্টিন, টয়লেট ও বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা করতে হবে।
(চ) ট্যানারী ও কেমিক্যালসহ সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে বর্জ্য নিস্কাশনের ব্যবস্থা করে পরিবেশ দূষণ মুক্ত করতে হবে।
(ছ) কর্মক্ষেত্র ও শ্রমিক-কর্মচারীদের বসবাসের এলাকায় স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
(জ) কর্মক্ষেত্রে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস নির্গমন ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৬। নারী ও শিশু শ্রম সংক্রান্ত:
(ক) নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল শ্রমিকদের জন্য চাকুরির ক্ষেত্রে সমঅধিকার ও সমকাজে সমমজুরিসহ সমান সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে হবে।
(খ) গার্মেন্টসসহ সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রসূতিকালীন ৬ মাসের ছুটি ও ভাতা প্রদানসহ শিশু ও মায়ের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
(গ) স্ত্রী ও সন্তানের পাশে থাকার জন্য প্রত্যেক শ্রমিককে মজুরিসহ অন্তত ১ (এক) মাসের পিতৃত্বকালীন ছুটি প্রদান করতে হবে।
(ঘ) নারী শ্রমিকদের মান-মর্যাদাহানি, ভয়-ভীতি, নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
(ঙ) যে কোন ধরণের সংহিসতা ও হয়রানি, নারী ও শিশু নির্যাতনের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
(চ) শিশু শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করে গরীব, দু:স্থ ও অসহায় পরিবারের শিশুদের শিক্ষা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে।
৭। আইন, সম্পাদিত চুক্তি ও ঘোষিত ওয়াদা বাস্তবায়ন:
শ্রমআইন অনুযায়ী প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা এবং সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া সরকার/সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে শ্রমিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সাথে শ্রম ও শিল্প সম্পর্কিত সকল চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। নিম্নতম মজুরি ও চুক্তি যে সকল মালিক বাস্তবায়ন করবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, জরিমানা আদায় ও লাইসেন্স বাতিলের বিধান করতে হবে।
৮। শিল্প বিকাশ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন:
জাতীয় শিল্পের বিকাশের পথে বাধা জাতীয় স্বার্থ বিরোধী সকল চুক্তি বাতিল করে জাতীয় স্বার্থে শিল্পের বিকাশ এবং শ্রমিক কর্মচারীসহ জনগণের আর্থসামাজিক জীবনমান ও উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে-
(ক) ব্যক্তিমালিকানায় হস্তান্তরিত সকল শিল্প-কারখানা সরকারি ব্যবস্থাধীনে চালু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

(খ) রাষ্ট্রায়াত্ব শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রকৃত সমস্যা চিহ্নিত করে বন্ধ ও রুগ্ন কলকারখানা প্রতিষ্ঠানসমূহ চালু করার জন্য দ্রæত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
(গ) পাট ও পাটজাত দ্রব্যের উৎপাদন ও রপ্তানী বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে পাট শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে।
(ঘ) চিনি শিল্প ধ্বংসের সকল ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত বন্ধ করে চিনিকলসমূহের নিয়মিত উৎপাদন নিশ্চিত ও আখের ন্যায্য মূল্য প্রদান করতে হবে।
(ঙ) অনুৎপাদনশীল ও বিলাস দ্রব্যের আমদানী কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করে দেশীয় শিল্পের উৎপাদন ও বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে।
(চ) জাতীয় অর্থনীতি ও শিল্প বিকাশের স্বার্থে কৃষি উৎপাদনের উপকরণের দাম কমানো এবং উৎপাদিত কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে।
(ছ) অসংগঠিত খাতসহ সর্বস্তরের শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য কল্যাণ তহবিল গঠন করতে হবে।
(জ) বিজ্ঞান প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সাথে শ্রমশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধি ও চাকরি অব্যাহত রাখার স্বার্থে সকল স্তরের শ্রমিকদের সমসাময়িক কাজের উপযোগী করে তুলতে রি-ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।
৯। শ্রমিক উচ্ছেদ বন্ধ করা:
(ক) সরকারি উদ্যোগে বিকল্প কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ অভিযানের নামে হকার ও দিনমজুরদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
(খ) ব্যাটারি চালিত রিকশা ও ইজিবাইক উচ্ছেদ করা যাবে না। রিকশা ও ইজিবাইকের জন্য সড়কে আলাদা সার্ভিস লেন চালু করতে হবে।
১০। প্রবাসী শ্রমিক:
(ক) বিদেশে শ্রমিক প্রেরণের ক্ষেত্রে বিমানবন্দরসহ সকল ক্ষেত্রে হয়রানী বন্ধ এবং দেশে ফেরত আসার পরে তাদের কার্যকর সহযোগিতা প্রদান করতে হবে।
(খ) রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে শ্রমিক প্রেরণের জন্য কার্যকর ও অর্থবহ পদক্ষেপ গ্রহণ করাসহ প্রবাসী শ্রমিকদের প্রেরিত অর্থের সাথে ১০% বোনাস প্রদান করতে হবে।
(গ) প্রবাসী শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা ও হয়রানি বন্ধ এবং নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
(ঘ) বিদেশে অবস্থানরত দূতাবাসগুলোকে গতিশীল ও শক্তিশালীকরণসহ দুতাবাসগুলোতে শ্রমিক বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
(ঙ) ইউএন চার্টার অনুযায়ী প্রবাসী শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রচলিত শ্রমআইনের সুবিধাদি নিশ্চিত করতে হবে।

শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের বিক্ষোভ১৩ জুলাই সিলেটের কাজিরবাজারস্থ নিরঞ্জন ঘোষের রেস্তোঁরার কর্মচারী দি...
14/07/2025

শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের বিক্ষোভ

১৩ জুলাই সিলেটের কাজিরবাজারস্থ নিরঞ্জন ঘোষের রেস্তোঁরার কর্মচারী দিনার আহমেদ রুমন’কে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত।
১৪ জুলাই বিকেল ৫টায় সুরমা পয়েন্টে জমায়েত হয়ে মিছিলটি তালতলা, জিতু মিয়ার পয়েন্ট, কাজিরবাজার, তোপখানা, জিন্দাবাজার হয়ে কোর্ট পয়েন্টে এসে জেলা সভাপতি মো. ছাদেক মিয়ার সভাপতিত্বে এবং ক্রিড়া সম্পাদক সুনু মিয়া সাগরের পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার, শাহপরান থানা কমিটির সভাপতি খোকন আহমদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক রমজান আলী পটু, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা কমিটির আহবায়ক শুভ আজাদ শান্ত, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মনির হোসেন, অন্যতম নেতা আনোয়ার হোসেন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি শাহীন আহমদ, জিন্দাবাজার আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মো. আলমাছ মিয়া, বাবনা আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোমিন মিয়া, বন্দরবাজার আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি সাহাব উদ্দিন, চন্ডীপুল আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মহিদুল ইসলামসহ প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন সিলেটের এ ঘটনা হোটেল শ্রমিকদের জীবনে বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। হোটেল শ্রমিকরা প্রতিনিয়ত মালিকদের শোষণ নির্যাতন এমনকি মারধরের শিকার হতে হয়। ‘চা দিতে দেরি হবে’ এই সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে কর্মস্থলে যখন একজন হোটেল শ্রমিককে খুনের শিকার হতে হয়। শ্রমিকদের চাকুরির নিশ্চয়তা, জীবনের নিরাপত্তা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন পরিচালনা করতে গিয়ে নানা বাধা বিপত্তি হামলা মামলার শিকার হতে হয়ে যেমন তেমনি কর্মক্ষেত্রে নূন্যতম নিরাপত্তা পান না হোটেল শ্রমিকরা। শ্রমিকরা কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মালিকের মুনাফা লাভে কাজ করে গেলেও তাদের দেওয়া হয়না শ্রমের প্রকৃত মূল্য। কাজের বিনিময়ে তারা লাভ করতে হয় মৃত্যুবরণ।
হোটেল রেস্টুরেন্টে কর্মরত শ্রমিকরা বেশিরভাগই কৃষকের সন্তান। গ্রাম্য জোতদার মহাজনের শোষণে জমি থেকে উচ্ছেদ হয়ে বাধ্য হয়ে জীবিকার তাগিদে শহরে এসে হোটেল রেস্টুরেন্টে কাজ নিয়ে জীবন সংগ্রামে লিপ্ত হয়। কিন্তু অব্যাহত মুদ্রাষ্ফীতি-মূল্যস্ফীতি এবং সরকারের মদতে মুৎসুদ্দি পুঁজিপতিরা অস্বাভাবিকভাবে চাল-ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতির কারণে শ্রমিক-কৃষক-জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে জীবন-জীবিকা আরো সংকটগ্রস্থ ও অনিশ্চিত করে তুলেছে; তার বিপরীতে নির্বাচিত সরকার, সামরিক সরকার, তত্ত¡াবধায়ক সরকার, অন্তবর্তীকালীন সরকার সহ সকল সরকারই মালিকদের স্বার্থ রক্ষা করে চলেছে। অতীতের সকল সরকারের ন্যায় বর্তমান সরকারের আমলেও মালিক শ্রমিক একতার কথা বলে শ্রমিক শ্রেণি ও শ্রমিক আন্দোলনকে বিভ্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্থ করে চলেছে। সা¤্রাজ্যবাদের দালাল সকল সরকারই শ্রমিক আন্দোলনকে দমন করার জন্য রাষ্ট্রীয় পেটুয়া বাহিনী দিয়ে মামলা-হামলা এমনকি গুলি করে হত্যা করছে।
সমাবেশ থেকে নিহত দিনার আহমদে রুমনের হত্যার মূল আসামী গ্রেফতার হলেও তার সহযোগী খুনীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানান এবং নিহতের আজীবন আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ প্রদানের প্রেক্ষিতে সিলেটের প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।

নগরির কাজিরবাজারে হোটেল শ্রমিক হত্যার নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের১৩ জুলাই আনুমানিক সকাল ৯টায় ...
13/07/2025

নগরির কাজিরবাজারে হোটেল শ্রমিক হত্যার নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের

১৩ জুলাই আনুমানিক সকাল ৯টায় সিলেটের কাজিরবাজারস্থ একটি ঘরোয়া হোটেলে ‘চা দিতে দেরি হবে’ বলায় সামান্য তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রুমন মিয়া (২২) নামে এক হোটেল কর্মচারীকে ছুরি মেরে হত্যা করে দুষ্কৃতিকারীরা। ঘটনার পরবর্তীতে জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ছাদেক মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মো. আনছার আলী সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত এক বার্তায় এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হোটেল শ্রমিকদের জীবনে এটি নতুন কোনো বিষয় নয়। প্রায়শই এরকম তুচ্ছ ঘটনা, চাকুরি ক্ষেত্রে নিরাপত্তার অভাবে অনেক হোটেল শ্রমিককে মৃত্যুর শিকার হতে হয়। সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃত্বে চাকুরি নিশ্চয়তা, জীবনের নিরাপত্তা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহত রাখলেও প্রতিনিয়ত মালিক সরকার ও কতিপয় সন্ত্রাসীদের ধারা মারধর এমনকি হত্যার শিকার হতে হয়।
নেতৃবৃন্দ নিহত রুমনের খুনীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান ও নিহতের আজীবন আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ প্রদানের প্রেক্ষিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।

কমরেড দ্বিজেন সোমের ২২-তম মৃত্যুবার্ষিকীতে এনডিএফের আলোচনা সভা  কমিউনিস্ট বিপ্লবী নেতা কমরেড দ্বিজেন সোম-এর ২২-তম মৃত্যু...
28/06/2025

কমরেড দ্বিজেন সোমের ২২-তম মৃত্যুবার্ষিকীতে এনডিএফের আলোচনা সভা

কমিউনিস্ট বিপ্লবী নেতা কমরেড দ্বিজেন সোম-এর ২২-তম মৃত্যুবার্ষিকীতে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।
২৭ জুন বিকেল ৫.৩০ মিনিটের সময় সংগঠনের সুরমা মার্কেটস্থ জেলা কার্যালয়ে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি এডভোকেট কুমার চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে এবং সহ সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদেক মিয়ার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক রমজান আলী পটু, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা আহবায়ক শুভ আজাদ শান্ত, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমান আলী, সিলেট সদর উপজেলা স’মিল শ্রমিক সংঘের সভাপতি হজর আলী, মীরের চক শ্রমজীবী সংঘের আহবায়ক আলী আহমদ।
সভার শুরুতে কমরেড দ্বিজেন সোমের জীবনী ও তাঁর কর্ম নিয়ে লিখিত বক্তব্য রাখেন এনডিএফ জেলা কমিটির সদস্য আব্দুস সালাম। এ দিন সকাল ৮ টায় চালিবন্দরস্থ উঁনার সমাধিস্থলে পুষ্পস্থপবক অর্পণ করে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা কমিটি।
বক্তারা বলেন বাংলাদেশ একটি নয়া উপনিবেশিক আধা সামন্তবাদী রাষ্ট্র, বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে অদ্যবধি প্রতিটি সরকারই অনেক জাতীয় স্বার্থ বিরোধী প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়ন করছে যা সা¤্রাজ্যবাদীদের স্বার্থ রক্ষা করে চলছে। পূর্বের সকল সরকারের ধারাবহিকতায় বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার সা¤্রাজ্যবাদী আমেরিকার স্বার্থে মায়ানমারেকে মানবিক করিডোর প্রদানের অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তারা মুখে ভারত বিরোধীতার কথা বললেও ভারতের সাথে শেখ হাসিনা সরকারের করা কোনো চুক্তি বাতিল করেনি উপরন্তু ক্ষমতা গ্রহনের পর প্রভু সা¤্রাজ্যবাদকে খুশি রাখতে দেশ বিরোধী চুক্তি গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে সা¤্রাজ্যবাদী যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করার অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দেশের শ্রমিক-কৃষক মেহণতি মানুষ ও সা¤্রাজ্যবাদ বিরোধী সকল দেশপ্রেমিক শক্তি ব্যক্তির প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন ১৯৩৭ সালে দোকান কর্মচারি থাকাবস্থায় কমরেড দ্বিজেন সোম ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সংস্পর্শে আসেন এবং অনুধাবন করেন সাম্রাজ্যবাদ সামন্তবাদ বিরোধী জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লব ব্যাতীত জনগণের মুক্তি আসবে না। কমিউনিস্ট পাটির নেতৃত্বে তেভাগা কৃষক আন্দোলন এবং সিলেট অঞ্চলে গড়ে ওঠা নানকার প্রথা বিরোধী কৃষক আন্দোলন গড়ে তোলার কাজে কমরেড অজয় ভট্টাচার্যের সাথে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন।
দীর্ঘ ৬৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে প্রায় ৪০ বছর তাঁকে আত্মগোপনে থেকে রাজনৈতিক তৎপরতা চালাতে হয়। এই দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে নানা প্রতিকূলতা সত্তে¡ও মার্কসবাদ লেনিনবাদ এর লাল পতাকাকে সমুন্নত রাখেন এবং সকল রূপের সংশোধনবাদের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রাম পরিচালনা করেন। আমাদের মতো নয়াউপনিবেশিক ও আধাসামন্তবাদী দেশে জাতীয় জীবনের দূর্দশা ও সংকটের মূল কারণ সাম্রাজ্যবাদ ও দালালদের নির্মম শোষণ নির্যাতন। আর এই শোষণ নির্যাতন থেকে মুক্তির একমাত্র পথ শোষণমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থার উচ্ছেদ এবং যা শ্রমিক কৃষক জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আসতে পারে। এই ছিল তাঁর প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকার। এ লক্ষ্যে সমগ্র জীবন তিনি দ্বিধাহীন চিত্তে লড়ে গেছেন তাঁর আদর্শ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে। সমাজতন্ত্র-সাম্যবাদই মানব মুক্তির একমাত্র পথ- এই ছিল তাঁর দর্শন।

সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা আব্দুল মুমিন রাজু’র মাতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশসিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি ...
14/06/2025

সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা আব্দুল মুমিন রাজু’র মাতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ

সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি নং চট্ট-১৯৩৩)-এর সদস্য, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক, কদমতলী আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি এবং বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির সদস্য আব্দুল মুমিন রাজু’র মাতা আমেনা বেগম ১৪ জুন’২৫ সন্ধ্যা ৬.৫৫ মিনিটের সময় নানান জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে নিঃশ^াস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে উঁনার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তিনি ২ ছেলে এবং ৩ মেয়ে রেখে যান। উঁনার মৃত্যুতে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ছাদেক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী এবং বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শোক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে শোক সন্তপ্ত পরিবার ও পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা ঞ্জাপন করেন।

মার্কিন পরিকল্পনায় মানবিক করিডোর- এর নামে বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধে সম্পৃক্ত করা এবং বিদেশিদের হাতে পোর্ট তুলে দেও...
27/05/2025

মার্কিন পরিকল্পনায় মানবিক করিডোর- এর নামে বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধে সম্পৃক্ত করা এবং বিদেশিদের হাতে পোর্ট তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান

মানবিক করিডোর প্রদান, চট্টগ্রামের সমুদ্র বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়ার যে তৎপরতা হচ্ছে তা ডঃ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের জাতীয় ও জনস্বার্থ বিরোধী নগ্ন ভূমিকা। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের দালাল বিগত পতিত স্বৈরাচারী খুনী হাসিনা সরকার সাম্রাজ্যবাদের দালাল ভারত সরকারের বিরোধিতার কারণে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে না। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিশ্বস্ত দালাল অন্তর্র্বতী সরকার করিডোর প্রদানে নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ২৭ মে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ।

২৭ মে মঙ্গলবার বিকেল ৪.৩০ মিনিটের সময় ক্বীণ ব্রীজের উত্তর পাড় থেকে এক লাল পতাকা মিছিল বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিলেটের ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টে এসে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। জেলা কমিটির ক্রিড়া সম্পাদক ও শাহপরান থানা কমিটির সভাপতি খোকন আহমদ এর সভাপতিত্বে এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদেক মিয়ার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক রমজান আলী পটু, শাহপরান থানা কমিটির সহ-সভাপতি জালাল মিয়া, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা কমিটির আহবায়ক শুভ আজাদ শান্ত, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ শাহপরান থানা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের অন্যতম নেতা আনোয়ার হোসেন, ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সুনু মিয়া সাগর প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মার্কিন পরিকল্পনায় ছাত্র মধ্যবিত্তদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটানো হয়। সাম্রাজ্যবাদের আরও নির্ভরযোগ্য বিশ্বস্ত দালাল ডঃ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্র্বতী সরকারকে ক্ষমতার আনা হয়। এর ফলে এদেশে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নিয়ন্ত্রণ আরো বৃদ্ধি পায়। সাম্রাজ্যবাদের দালাল ভারতের অবস্থান অপেক্ষাকৃত দূর্বল হয়। মানবিক করিডোরের প্রশ্নসহ বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামরিক সাংস্কৃতিক তথা যে সামগ্রিক সংকট চলছে তা বিচ্ছিন্ন কোন বিষয় নয়। এটা হচ্ছে বিশ্ব বাজার-প্রভাব বলয় পুনর্বণ্টন নিয়ে আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী তীব্র প্রতিদ্বনিদ্বতা চলছে তার সাথে সম্পর্কিত। বাংলাদেশ দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার স্থলসংযোগ সেতু এবং প্রশান্ত মহাসাগর ও ভারত মহাসাগর সংযোগকারী মালাক্কা প্রণালী সংলগ্ন বঙ্গপোসাগরীয় দেশ হওয়ায় এদেশকে নিয়ে ভূরাজনৈতিক ও রণনীতিগত সামগ্রিক গুরুত্ব হিসেবে সাম্রাজ্যবাদীদের কাছে বিবেচিত হচ্ছে। তারই প্রেক্ষাপটে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নেতৃত্বে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিসমূহের সাথে প্রতিপক্ষ সাম্রাজ্যবাদী চিন-রাশিয়ার প্রতিযোগিতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েই চলেছে। কারণ উভয়েরই জন্যে দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও মালাক্কা প্রণালীকে কেন্দ্র করে প্রশান্ত মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরের উপর নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা এবং বিশ্ব বাণিজ্য ও বিশ্ব আধিপত্যের জন্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।

সাম্রাজ্যবাদী এই সামগ্রিক সংকটের প্রতিফলন হিসাবে অবিশ্বাস্য মূল্যস্ফীতি, মুদ্রাস্ফীতি, বেপরোয়া শোষণ লুন্ঠন, ক্ষুধা দারিদ্র্য, বেকারত্ব, ধন বৈষম্য, শ্রেণী বৈষম্য তীব্র থেকে তীব্র হয়ে চলেছে। এই সামগ্রিক সংকটের প্রতিফলন বাংলাদেশেও পড়ছে। তার ফলে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি, মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বাড়ছে ভূমিহীন কৃষকের সংখ্যা, নামমাত্র মজুরিতে কাজ করতে বাধ্য হওয়া। শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি কমে যাওয়া, সামগ্রিক অর্থনীতি স্থবির হওয়াসহ জাতীয় ও জনজীবন আজ ভয়াবহ সংকট ও অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে। ড. ইউনুস জাতীয় ও জনজীবনের সংকটকে পাশ কাটিয়ে জাতীয় ঐক্য ও সংস্কারের নামে সাম্রাজ্যবাদী পরিকল্পনা অগ্রসর করার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে। তারই অংশ হিসেবে জনগণের জাতীয় ও জরুরী সমস্যাগুলোকে পাশ কাটিয়ে মানবিক করিডোর প্রদান, চট্টগ্রাম পোর্ট বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া ইত্যাদি পদক্ষেপ অগ্রসর করে চলেছে। প্রতিপক্ষ চিন-রাশিয়াও স্বীয় লক্ষ্যে তৎপর। এই লক্ষ্যে তিস্তা প্রকল্প, মংলা পোর্ট আধুনিকায়ন যুদ্ধ জাহাজসহ সামরিক সরঞ্জাম সরববাহের নানা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ বলেন মানবিক করিডোরের নামে বাংলাদেশকে যুদ্ধে জড়ানোর বিরুদ্ধে এবং বন্দর মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের হাতে তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে ঐকবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলার জন্য সকল দেশপ্রেমিক শক্তি, ব্যক্তি, সংগঠন ও জনগনের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।

13/05/2025

শ্রমিকনেতার মুক্তির দাবিতে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের বিক্ষোভ।।

শ্রমিকনেতার মুক্তির দাবিতে সিলেটে হোটেল শ্রমিকের বিক্ষোভহোটেল মালিকদের ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের শিকার নেত্রকোনা জেলা হোটেল রে...
13/05/2025

শ্রমিকনেতার মুক্তির দাবিতে সিলেটে হোটেল শ্রমিকের বিক্ষোভ

হোটেল মালিকদের ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের শিকার নেত্রকোনা জেলা হোটেল রেস্টুরেন্ট মিষ্টি বেকারী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ নেত্রকোনা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনকে ১২ মে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত শ্রমিক নেতার মুক্তির দাবিতে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে ১৩ মে বিকেল ৫টায় সুরমা পয়েন্টে জমায়েত হয়ে এক বিক্ষোভ নগরির কোর্ট পয়েন্ট অতিক্রম হয়ে জিন্দাবাজার হয়ে পুনরায় কোর্ট পয়েন্টে এসে জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মো. মনির হোসেনের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা সাধারণ সম্পাদক ছাদেক মিয়ার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক রমজান আলী পটু, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা কমিটির আহবায়ক শুভ আজাদ শান্ত, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন জেলা কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমান আলী, আম্বরখানা আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি রাশেদ আহমদ ভূইয়া, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি শাহিন আহমদ, জেলা কমিটির অন্যতম নেতা আনোয়ার হোসেন, বন্দরবাজার আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি সাহাব উদ্দিনসহ প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের ধারাবাহিক আন্দোলন সংগ্রামের ফলে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার গত ৫ মে নি¤œতম মজুরি গেজেট প্রকাশ করে। নি¤œতম মজুরির গেজেট সহ ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য নেত্রকোনা জেলা হোটেল রেস্টুরেন্ট মিষ্টি বেকারী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে শ্রমিকরা তাদের ন্যায়সংগত দাবি ও অধিকার বাস্তবায়নের জন্য ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে তখন মালিকগোষ্ঠী তাদের ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র চক্রান্তের অংশ হিসেবে হোটেল শ্রমিকদের আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে শ্রমিকনেতাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে গ্রেফতার করা হয়। শ্রমিকনেতার গ্রেফতারের প্রতিবাদে নেত্রকোনা জেলা শহরের সকল শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছে।
বিক্ষোভ থেকে নেতারা মালিকগোষ্ঠীর সকল ধরনের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবেলা করে শ্রমিক শ্রেণির ঐক্য ও সংগ্রাম জোরদার করে দাবি ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে সারাদেশে কর্মবিরতির মতো কঠিন কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নেওয়ার আহবান জানিয়ে শ্রমিক নেতা আনোয়ার হোসেনকে অবিলম্বে মুক্তির জোর দাবি জানান।

Address

Sylhet

Telephone

+8801990169587

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Amader kotha posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Amader kotha:

Share