Amader kotha

Amader kotha ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও জনগণের পক্ষে ❝আম?

১৪ জানুয়ারী ২০২৬ বুধবার হোটেল-রেস্তোঁরা সেক্টরে কর্মবিরতি সফল করুন।সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন শাহপরান থানা কমিটির ২য়...
03/12/2025

১৪ জানুয়ারী ২০২৬ বুধবার হোটেল-রেস্তোঁরা সেক্টরে কর্মবিরতি সফল করুন।

সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন শাহপরান থানা কমিটির ২য় সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। ২ ডিসেম্বর’২৫ বিকেল ৪টায় ইসলামপুর (মেজরটিলা) বাজারে থানা কমিটির সভাপতি জয়নাল মিয়ার সভাপতিত্বে এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ন আহবায়ক মীর মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এর পরিচালনায় উদ্ধোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবুল ফজল।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন (রেজি: নং বি ২২০০) এর সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ছাদেক মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী। অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির সভাপতি মনির হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমান আলী, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা কমিটির আহবায়ক শুভ আজাদ শান্ত, জেলা কমিটির ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সুনু মিয়া সাগর, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির যুগ্ন সম্পাদক রমজান আলী পটু, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট শাহপরান থানা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, কোষাধ্যক্ষ মহিদুল ইসলাম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা কমিটির অন্যতম নেতা আব্দুল মুমিন রাজু, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য মো. আলীম উদ্দিনসহ প্রমুখঃ
বক্তারা বলেন প্রতি ৫ বছর অন্তর নতুন মজুরি বোর্ড গঠন করে নি¤œতম মজুরি ঘোষণা করার বিধান থাকলেও দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ফলে ৮ বছর পর এ বছরের ৫ মে হোটেল ও রেস্তোঁরা সেক্টরে সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরির চূড়ান্ত গেজেট ঘোষণা করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যে মাসে গেজেট ঘোষণা হয়, সেই মাস থেকেই ঘোষিত মজুরি কার্যকর করার কথা। অথচ প্রায় ৭ মাস অতিবাহিত হতে চললেও এখনও পর্যন্ত হোটেল ও রেস্তোঁরা প্রতিষ্ঠানসমূহে ঘোষিত গেজেট বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে এ বিষয়ে স্মারকলিপি প্রদান, সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করার পরও অদ্যাবধি সরকার বা মালিক পক্ষ থেকে গেজেট বাস্তবায়নের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। সরকার ঘোষিত নি¤œতম মজুরি বাস্তবায়ন, শ্রম আইন বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী ১৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের আহবানে দেশব্যাপী কর্মবিরতির কর্মসূচী সর্বাতœকভাবে সফল এবং সা¤্রাজ্যবাদী পরিকল্পনায় শ্রমিক আন্দোলকে বিভ্রান্ত বিভক্ত করার নামে এনজিও’রা শ্রমিকদের ন্যায়সংগত আন্দোলকে বিভ্রান্ত করে চলেছে এসকল বিভ্রান্তির প্রতিবাদে সকল হোটেলসহ দেশের অপরাপর জনগণের সজাগ সতর্ক থাকার জন্য উদাত্ত আহবান জানান।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন একজন হোটেল শ্রমিকের পরিবার অর্থকষ্টে সন্ত¡ানদের পড়াশোনা করাতে পারে না, তারপরও যেসব সন্তানেরা অতি কষ্ট করে পড়াশোনা করে শিক্ষা শেষে তাদের চাকুরি জুটছে না। এরকম অবস্থায় গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্রদের সাথে শহরের মধ্যবিত্ত জনগণের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলেও স্বৈরাচারী ব্যবস্থার পরিবর্তন হয়নি। সাম্রাজ্যবাদের এক দালালের পরিবর্তে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের আরও বিশ্বস্থ দালাল। এই সরকার শ্রমিক-জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের চিন্তার বদলে মার্কিন পরিকল্পনা ও তার স্বার্থ বাস্তবায়নে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে। চট্টগ্রামের বন্দর ইজারা দেওয়া, মিয়ানমারের সাথে করিডর প্রদান, মার্কিন সৈন্য উপস্থিতি ইত্যাদি মার্কিন স্বার্থে নানারকম উদ্যোগ গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশের ভূ-খন্ড ব্যবহার করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেমন তৎপর, তেমনি তার প্রতিপক্ষ চীন-রাশিয়াও তৎপর রয়েছে। ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তী সরকার দেশ ও জনগণকে যুদ্ধ তৎপরতা থেকে মুক্ত রাখার পদক্ষেপ গ্রহণ না করে উল্টো যুদ্ধক্ষেত্রের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাই সাম্রাজ্যবাদী এই যুদ্ধ তৎপরতা থেকে দেশকে মুক্ত রাখা এবং সা¤্রাজ্যবাদী অন্যায় যুদ্ধের বিরুদ্ধে ন্যায় যুদ্ধ গড়ে তোলাসহ শ্রমিক শ্রেণীর উপর পুঁজির নির্মম শোষণ উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে শ্রমিক শ্রেণীকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন হোটেল সেক্টরের শ্রমিকদের যেমন নেই চাকরির নিশ্চয়তা, তেমনি নেই জীবনের নিরাপত্তা। হোটেল-রেস্টুরেন্ট মালিকরা দেশে প্রচলিত শ্রমআইনের তোয়াক্কা না করে তাদের মনগড়া ইচ্ছামাফিক স্বেচ্ছাচারী কায়দায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতির বাজারে শ্রমিকরা যে বেতন পায় তা দিয়ে মাসের ১০ দিন চলাও কঠিন। হোটেল-রেস্টুরেন্ট সেক্টরের শ্রমিকদের বাঁচার মত মজুরি, শ্রমআইন অনুযায়ী প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা আদায়ের সংগ্রামের পাশাপাশি শ্রমিক শ্রেণির সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে হোটেল-রেস্টুরেন্ট শ্রমিকদেরকে দেশের অপরাপর সেক্টরের শ্রমিকদের ও জনগণের আন্দোলন-সংগ্রামে একাতœ হতে হবে। সেই সাথে শ্রমিক-কৃষক-জনগণের সাম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদ বিরোধী জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে অগ্রসর করা ছাড়া হোটেল-শ্রমিকসহ শ্রমিক-কৃষক-জনগণের সার্বিক মুক্তি অর্জনের বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বৃহত্তর আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলার আহবান জানান।

সভাপতি তার সমাপনী ভাষণে সম্মেলনে অংশগ্রহনকারী ও বিভিন্নভাবে সহায়তাকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে এবং আগামী ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ফেডারেশনের আহবানে দেশব্যাপী কর্মবিরতির কর্মসূচী সফল করার লক্ষ্যে লাগাতার আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার জন্য জানান।
জয়নাল মিয়াকে সভাপতি ও জাকির হোসেন’কে সাধারণ সম্পাদক এবং মো. মুক্তার হোসেন’কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট্য কমিটি নির্বাচিত হয়। নবনির্বাচিত কমিটিকে শপথ বাক্য পাঠ করান সম্মেলনের প্রধান অতিথি তফাজ্জল হোসেন।

30/10/2025

আগামীকাল সিলেট জেলা প্রেস শ্রমিক ইউনিয়নের ১ম জেলা সম্মেলন

আগানীকাল সিলেট জেলা প্রেস শ্রমিক ইউনিয়নের ১ম জেলা সম্মেলন৩১ অক্টোবর সিলেট জেলা প্রেস শ্রমিক ইউনিয়নের ১ম জেলা সম্মেলন। সম...
30/10/2025

আগানীকাল সিলেট জেলা প্রেস শ্রমিক ইউনিয়নের ১ম জেলা সম্মেলন

৩১ অক্টোবর সিলেট জেলা প্রেস শ্রমিক ইউনিয়নের ১ম জেলা সম্মেলন। সম্মেলন সফলের লক্ষ্যে প্রচার মিছিল অনুষ্ঠিত। সম্মেলনের আহবান প্রেস/মুদ্রণ শিল্পে আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিন দিন যেমন উত্তরোত্তর উন্নতি ঘটছে, তেমনি এই শিল্পের শ্রমিকদের কাজের দক্ষতা ও সৃজনশীলতাও সমান তালে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সেই অনুপাতে এই শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি ও কাজের পরিবেশের উন্নতি ঘটেনি। সর্বোপরি শ্রমিকদের চাকুরির নিশ্চয়তা এখনো মালিকদের মেজাজ মর্জির উপর নির্ভরশীল। মালিকের এক কথায় শ্রমিকদের চাকুরি চলে যায় যখন- তখন। অথচ এই শ্রমিকদের রক্ত ঘাম করা পরিশ্রমের মুনাফায় মালিকরা আরাম-আয়েশ, ভোগ-বিলাসিতার জীবনযাপন করেন, একটি থেকে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। কাজের মৌসুমে; বিশেষত জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনের সময়, বছরের শুরুতে স্কুল-কলেজের বিভিন্ন ছাপার কাজের সময়, বিভিন্ন কোম্পানীর ক্যালেন্ডার ও ডায়রীসহ বিজ্ঞাপন ছাপার কাজের সময় মালিকের কথা মতো প্রেস/মুদ্রণ শ্রমিকরা নাওয়া-খাওয়ার কথা ভুলে দিন-রাত অবিরাম পরিশ্রম করতে বাধ্য হন। কাজের মৌসুম ছাড়াও বড় কোন ওয়ার্ডের কাজের সময়ও শ্রমিকদের একই অবস্থা হয়। শ্রমআইন অনুযায়ী ৮ ঘন্টার অতিরিক্ত কাজ করানো বেআইনী, তবে শ্রমিকের সম্মতিতে দ্বিগুণ মজুরি পরিশোধপূর্বক আরও ২ ঘন্টা ওভার টাইম কাজ করানো যায় অর্থাৎ কোন অবস্থাতেই ১০ ঘন্টার বেশি কর্মদিবস হতে পারে না। শ্রমিকদের কথায় কথায় ছাঁটাই করা হয় কিন্তু আইন অনুযায়ী ৪ (চার) মাসের নোটিশ পে, প্রতিবছর চাকুরির জন্য ৩০/৪৫ দিনের গ্রাচুয়েটিও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রদান করা হয় না। মালিক ইচ্ছে মত মজুরি দিয়ে অতিরিক্ত পরিশ্রম করিয়ে নেয়। এছাড়া কোন রকম নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ছাড়াই ঝুঁকির মধ্যেই শ্রমিকদের কাজ করতে হয়। বিভিন্ন ধরনের রং ও কেমিক্যাল ব্যবহার করার কারণে দীর্ঘমেয়াদে শ্রমিকদের নানা রকম স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি হয়, দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারে কাজ করার কারণে অধিকাংশ কম্পিউটার অপারেটরদের চোঁখের দৃষ্টি কমে যাওয়া ও কোমরে ব্যাথাসহ নানা রকম শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়। প্রেস/মুদ্রণ শ্রমিকরা উল্লেখিত সমস্যা-সংকট, দুঃখ-কষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করলেও বাজারদরের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ন্যায্য মজুরি, জীবনের নিরাপত্তা, দূর্ঘটনায় উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না পাওয়া, চাকুরির অনিশ্চয়তা ইত্যাদি সমস্যা নিয়ে স্ত্রী, পুত্র-কন্যা, বাবা-মাকে নিয়ে কঠিন জীবনযাপন করতে বাধ্য হয়। তাই বেঁচে থাকার জন্য বর্তমান বাজারদরের সাথে সংগতিপূর্ণভাবে জাতীয় নিম্নতম মূল মজুরি ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা ঘোষণা, সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি ও শ্রম আইনের পূর্ণ বাস্তবায়ন এবং শ্রমআইনের শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী ধারা বাতিল করে গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন ও অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার বিকল্প নেই।
উল্লেখ্য যে, ২৯ অক্টোবর রাত ৯টায় লালদীঘির পাড় হতে এক প্রচার মিছিল জিন্দাবাজার, মুক্তিযুদ্ধা গলি সহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিলেটের কোর্ট পয়েন্টে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। জেলা সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুস রশিদ এর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদেক মিয়া, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা কমিটির যুগ্ন সম্পাদক রমজান আলী পটু।
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ সরকার সকল অঞ্চলের প্রেস/মুদ্রণ শিল্পে কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীদের সম্মেলনে উপস্থিত থেকে সম্মেলননকে সফল ও সার্থক করে তোলার জন্য উদাত্ত আহবান জানান।

বার্তা প্রেরক
সাধারণ সম্পাদক
আব্দুর রশিদ

ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকদের উপর সকল অন্যায় জুলুম-অত্যাচার-নির্যাতন বন্ধ করতে হবে--------বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘসিলেট...
26/09/2025

ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকদের উপর সকল অন্যায় জুলুম-অত্যাচার-নির্যাতন বন্ধ করতে হবে--------বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ

সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকদের উপর নেমে আসা অমানবিক উচ্ছেদ অভিযানের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটি। জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শ্রমিকনেতা আবুল কালাম আজাদ সরকার ও সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদেক মিয়া সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন গত কিছুদিন থেকে রাষ্ট্রের পেটুয়া বাহিনী দিয়ে সিলেটের প্রশাসন স্বৈরাচারী পন্থায় রিকশা উচ্ছেদ অভিযানে নামেন যা অত্যান্ত ন্যাক্কারজনক। এ ধরনের কর্মকান্ডের তীব্র সমালোচনা করে নেতৃবৃন্দ বলেন গত ৪ এপ্রিল/২০২২ উচ্চ আদালতের এক রায়ে মহাসড়কে ব্যাটারি চালিত তিন চাকার যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হলেও আঞ্চলিক সড়কে ও শহরের মধ্যে ব্যাটারি চালিত রিকশা-ভ্যান চলাচলে কোন নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়নি। তৎকালীন আওয়ামী সরকারের জ্বালানী উপদেষ্টাও স্বীকার করেন বিদ্যুৎ চালিত পরিবহন জ্বালানি তেলের চেয়ে সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব উপরন্তু বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ উপদেষ্টা নিজে স্বীকার করেন হটাৎ করেই হাজার হাজার রিকশা শ্রমিকদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান না করে উচ্ছেদ করা যুক্তিসঙ্গত নয়। কিন্তু সম্প্রতি সিলেটের প্রশাসনের রিকশা উচ্ছেদের অভিযান হতাশাজনক। যে শহরের রাস্থায় শ্রমিকরা রাত্রি যাপন করে, রেল ষ্ট্রেশন, বাস স্টেশনে শত শত মানুষ বেঁচে থাকে সেখানে ডিজিটাল সিটি আধুনিক সিটির নামে শ্রমিক-নি¤œবিত্ত জনগনের সাথে তামাশা করা হচ্ছে। দরিদ্র জনগণ সহায় সম্বল বিক্রি করে, এনজিও থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ব্যাটারি চালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক কিনে যখন আতœকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন তখন কখনো যানজট, কখনো দূর্ঘটনা, বিদ্যুৎ অপচয়ের অজুহাত তুলে এই বাহনগুলো উচ্ছেদ অভিযান চলে। এই রিকশাগুলো তো কোনো শ্রমিক তৈরি করেনি; জীবনের শেষ সম্বলটুকু দিয়ে কিনে জীবিকা নির্বাহ করার চেষ্ঠা করছে। যদি এই রিকশা অবৈধই হবে তাহলে কেন এগুলো বিক্রি করা হলো বা এখনও কেন বিক্রি করা হচ্ছে? আমদানিকারক প্রতিষ্টান ও শোরুমগুলোতে এসব বাহনের অবাধ বিক্রি চললেও সেখানে এখনও কেন নিয়ন্ত্রণ বা অভিযান নেই? রাষ্ট্রের যেখানে কর্তব্য প্রত্যেক নাগরিকের কর্ম নিশ্চিত করা সেখানে কর্ম নিশ্চিত করতে ব্যর্থ রাষ্ট্র শ্রমিকদের কর্মসংস্থান কেড়ে নিচ্ছে। আশির দশক থেকে চলে আসা প্রাকৃতিক উপায়ে উত্তোলিত বারকি শ্রমিকদের জীবিকার একমাত্র পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। অথচ চিহ্নিত পাথর লুটপাঠকারীরা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে। শ্রমিকরা যখন কর্ম হারিয়ে হতাশ হয়ে আন্দোলন সংগ্রাম জোরদার করছে ঠিক তখনি একটি স্বার্থনেষি গোষ্টী অত্যান্ত পরিকল্পিতভাবে এক সেক্টরের শ্রমিকদের সাথে অন্য সেক্টরের শ্রমিকদের মধ্যে বিরোধ ঘটাতে সদা তৎপর। যার প্রতিফলন আমরা গতকাল দেখতে পাই। শ্রমিকদের দাবি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ রাজপথ। সঠিক নেতৃত্ব ও সদা সচেতন থেকে আন্দোলন সংগ্রাম অগ্রসর করে নিয়ে যেতে হবে। সকল শ্রমিক একে অপরের সহযোদ্ধা। কোনো ধরনের উস্কানীমূলক কর্মকান্ড এবং বক্তব্যে উৎসাহিত-প্ররোচিত না হয়ে জীবিকার তাগিদে বেঁচে থাকার প্রয়োজনে সঠিক লক্ষ্যে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন সংগ্রাম অগ্রসর করে নিয়ে যেতে হবে।
ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ কোনো সমাধান নয়। ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের সঠিক নীতিমালা প্রনয়ণ করে শহরে অবৈধ ও যত্রযত্র পার্কিং বন্ধ, সড়কের অবৈধ দখল উচ্ছেদ, রিকশা শ্রমিকদের জন্য স্ট্যান্ড নির্ধারণ করে দিলে যানজট অনেকাংশে কমানো সম্ভব হবে এবং নিরীহ রিকশা-ভ্যান শ্রমিকদের জীবিকার উপর খড়গ হস্ত হতে হবে না।
নেতৃবৃনন্দ যানজট নিরসনে যত্রতত্র অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং বন্ধ করা এবং রিকশা চলাচলে শহরে আলাদা লেন তৈরি করার দাবি জানান।

শাসক-শোষক গোষ্ঠির লুণ্ঠনের হাত থেকে নদী, পাহাড়, প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় দেশপ্রেমিক শক্তি সোচ্চার হোন।বালি পাথর মহালে ইজারা ...
17/08/2025

শাসক-শোষক গোষ্ঠির লুণ্ঠনের হাত থেকে নদী, পাহাড়, প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় দেশপ্রেমিক শক্তি সোচ্চার হোন।

বালি পাথর মহালে ইজারা প্রথা বাতিল, সনাতন (বেলচা, বালতি, নেট) পদ্ধতিতে বারকি শ্রমিকদের কর্মের নিশ্চয়তা বিধান করে সরকারিভাবে ক্রয়-বিক্রয়কেন্দ্র চালু এবং সাদাপাথর লুণ্ঠনকারী ও মদতদাতাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করে বাংলাদেশে ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটি।
১৬ আগস্ট বিকেল ৫টায় নগরির সুরমা পয়েন্টে জমায়েত হয়ে এক বিক্ষোভ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কোর্ট পয়েন্টে গিয়ে জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার-এর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ন সম্পাদক রমজান আলী পটু পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম ছদরুল, সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদেক মিয়া, স’মিল শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমান আলী, অন্যতম নেতা আনোয়ার হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি মীর মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ শাহপরাণ থানা কমিটির কোষাধ্যক্ষ মো. নাছির মিয়াসহ প্রমুখ

নেতৃবৃন্দ বলেন, সম্প্রতি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাধীন সাদা পাথর খ্যাত পর্যটন স্পট থেকে পাথর লুটপাটের মহাউৎসব শুরু হয়। সরকার প্রথম দিকে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে আসলেও পরবর্তীতে নিরীহ শ্রমিকদের হয়রানি করা হয়। স্থানীয়দের মতে শতকোটি টাকার পাথর লুট হয়েছে। প্রকৃত লুটেরা এবং তাদের মদতদাতাদের আইনের আওতায় না এনে গরিব অসহায় দিনমজুর মানুষদের হয়রাণি করে চলেছে। রাজনৈতিকভাবে এখন যাঁদের বিরুদ্ধে লোক দেখানো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তাঁরা প্রকৃতপক্ষে চুনোপুঁটি। রাঘববোয়ালদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
লুটপাটের এক পর্যায়ে প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্তাগণ অভিযান পরিচালনা করলে পাথর মহালে ঘাটেবাঁধা কাঠের তৈরি সারিবদ্ধ বারকি নৌকা। সাথে সাথে বারকি ধ্বংসের আদেশ নাজিল হল, সঙ্গীয় অধিনস্থরা হেমার দিয়ে আঘাতে আঘাতে ধ্বংস করতে লাগলেন একের পর এক বারকি নৌকা। বারকি শ্রমিকরা দূর থেকে তাকিয়ে দেখছিলেন অসহায় নয়নে, নৌকা ছিদ্র হয়ে পানি উঠছে, কোনটির গলই ভাঙ্গছে। চোখের সামনে ধ্বংস হচ্ছে জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। ক্ষোভে দুঃখে বুক ফেটে যাচ্ছে তবুও নির্বাক। তাদের পক্ষে কারও কিছু বলার নেই।
বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম ছদরুল বলেন, সিলেট অঞ্চলের বালু-পাথরের ইতিহাস দুই শতবছরেরও অধিককাল হবে। ব্রিটিশ আমল থেকে আশির দশক পর্যন্ত সনাতন পদ্ধতিতে বালু-পাথর আহরিত হতো। আশির দশক পর্যন্ত আহরিত বালু-পাথর আহরণের হাতিয়ার ও পদ্ধতি পরিবেশ-প্রতিবেশের জন্য কোনও হুমকি ছিল না, বরং সনাতন পদ্ধতিতে বেলচা বালতি ও নেটের সাহায্যে বালু-পাথর আহরণ নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ রক্ষায় ছিল সহায়ক ও স্বাভাবিক। অর্থাৎ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করেই চলতো বালু-পাথর আহরণের কর্মযজ্ঞ।
সভা থেকে নেতৃবৃন্দ শাসক-শোষক গোষ্ঠির লুণ্ঠনের হাত থেকে নদী, পাহাড়, প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় দেশপ্রেমিক শক্তির প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।

সিলেট জেলা প্রেস শ্রমিক ইউনিয়নের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে লাল পতাকা র‌্যালি ও সমাবেশ অবিলম্বে প্রেস সেক্টরে সরকার ঘোষিত ...
15/08/2025

সিলেট জেলা প্রেস শ্রমিক ইউনিয়নের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে লাল পতাকা র‌্যালি ও সমাবেশ

অবিলম্বে প্রেস সেক্টরে সরকার ঘোষিত নি¤œতম মজুরি এবং ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস, নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র প্রদান, সাপ্তাহিক ছুটি দেড়দিন, বছরে চিকিৎসা ছুটি ১৪ দিন, উৎসব ছুটি ১১দিন, নৈমিত্তিক ছুটি ১০ দিন, বার্ষিক ছুটি ২০ দিনসহ শ্রমআইন বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে সিলেট জেলা প্রেস শ্রমিক ইউনিয়নের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন।
১৫ আগস্ট শুক্রবার বিকেল ৪টায় সুরমা মার্কেটস্থ জেলা কার্যালয়ে জমায়েত হয়ে এক লাল পতাকা র‌্যালি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সুরমা পয়েন্টে এসে জেলা সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রশিদের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রমিকনেতা রজত বিশ্বাস। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা কমিটির যুগ্ন সম্পাদক মো. ছাদেক মিয়া, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির যুগ্ন সম্পাদক রমজান আলী পটু, শাহপরান থানা কমিটির সভাপতি মো. খোকন আহমদ, সিলেট জেলা স’মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ মুহিদুল ইসলাম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা প্রেস শ্রমিক ইউনিয়নের মনির হোসেন, জিন্দাবাজার আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মির আজাদ, লালদীঘির পাড় আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি আলিমুুল ইসলাম জুয়েল, সদস্য মো. আলমগীর হোসেন (১), শেখ রাজু, উজ্জল মিয়া, এমরান আহমদ রিমন, বাতেন খন্দকার, রেজাউল করিম সরকার রবিন, মো সোহেল রানা, দিদারুল ইসলাম, সোহেল হোসাইন, শাহীন আহমদ, জাবেদ, ফারহান আহমদ, নজরুল ইসলাম, রুমন দাসসহ প্রমুখ।

সিলেট জেলা প্রেস শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি: নং চট্ট:-২৪৯৭) প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে মজুরি নির্ধারণ, ৮ঘন্টা কাজ, নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিসবুকসহ শ্রমআইনের পূর্ণ বাস্তবায়নসহ শ্রমিকশ্রেণির সার্বিক মুক্তির লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রম-বিরোধ নিষ্পত্তি করে অসংখ্য শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার আদায়ে সংগঠন বলিষ্ট ভূমিকা পালন করে চলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে সরকার ঘোষিত নি¤œমত মজুরির গেজেট, শ্রমআইন বাস্তবায়নসহ ৮ দফা দাবির প্রেক্ষিতে প্রেস শ্রমিক ইউনিয়নের ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রাম ও দরকষাকষি চলছে।
নেতৃবৃন্দ শ্রমিকদের ৮ দফা দাবি আদায়ের প্রেক্ষিতে সকল প্রেস শ্রমিকদের সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধারাবাহিক আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার উদাত্ত আহবান জানান।

জাতীয় ছাত্রদল শাবিপ্রবি শাখার সাবেক সভাপতি উসমান গণি’র পিতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ জাতীয় ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপত...
07/08/2025

জাতীয় ছাত্রদল শাবিপ্রবি শাখার সাবেক সভাপতি উসমান গণি’র পিতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ

জাতীয় ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শাখার সাবেক সভাপতি উসমান গণির পিতা মোঃ আলাল উদ্দিন (৭৫) আজ ৭ আগস্ট রাত ৯টায় ব্রাক্ষণ কচুরি, কিশোরগঞ্জ সদর, কিশোরগঞ্জ উঁনার বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত্যুকালে তিনি ৪ ছেলে ও ৩ মেয়েসহ অসংখ্য আতœীয় স্বজন গুণগ্রাহী রেখে যান।
উঁনার মৃত্যুতে জাতীয় ছাত্রদল শাবিপ্রবি শাখার সভাপতি ওয়াসিম মোহাম্মদ শামস্ ও সাধারণ সম্পাদক তুখোর আরেং এবং সিলেট জেলা কমিটির আহবায়ক শুভ আজাদ শান্ত এক যৌথ শোক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের ৩২-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিতসিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের ৩২ বছর ...
06/08/2025

সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের ৩২-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত

সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের ৩২ বছর পূর্তিতে লাল পতাকা র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত। ৬ আগস্ট ২০২৫ বিকেল ৫টায় ক্বীণ ব্রীজের উত্তর পাড়ে জমায়েত হয়ে এক বিক্ষোভ লাল পতাকা র‌্যালি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কোর্ট পয়েন্টে জেলা সভাপতি মো. ছাদেক মিয়া’র সভাপতিত্বে এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সুনু মিয়া (সাগরের) পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির যুগ্ন সম্পাদক রমজান আলী পটু, শাহপরান থানা কমিটির সভাপতি মো. খোকন আহমদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট শাহপরান থানা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা মো. আনু মিয়া, সাবেক সহ-সভাপতি মীর মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমান আলী, কোষাধ্যক্ষ মহিদুল ইসলাম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা কমিটির অন্যতম নেতা আব্দুল মুমিন রাজু, জেলা কমিটির অন্যতম নেতা আনোয়ার হোসেনসহ প্রমুখঃ
নেতৃবৃন্দ বলেন ১৯৯৩ সালের ৬ আগস্ট সংগঠনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই শ্রমিকদের আইনি সুযোগ সুবিধা আদায় ও অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শ্রেণিসচেতন করে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিকদের ধারাবাহিকভাবে সুসংগঠিত আন্দোলন-সংগ্রামের ফলে কিছু কিছু সুযোগ সুবিধা অর্জিত হলেও সামগ্রিকভাবে শোষণ-নির্যাতনের অবসান হয়নি। হোটেল সেক্টরের শ্রমিকদের যেমন নেই চাকরির নিশ্চয়তা, তেমনি নেই জীবনের নিরাপত্তা। হোটেল-রেস্টুরেন্ট মালিকরা দেশে প্রচলিত শ্রমআইনের তোয়াক্কা না করে তাদের মনগড়া ইচ্ছামাফিক স্বেচ্ছাচারী কায়দায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। প্রতি ৫ বছর অন্তর নি¤œতম মজুরি বোর্ড গঠন করে নতুন মজুরি নির্ধারণের নিয়ম থাকলেও ৮ বছর পর গত ৫ মে ২০২৫ মজুরি গেজেট প্রকাশিত হয়। যে নি¤œতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতির বাজারে শ্রমিকরা তা দিয়ে মাসের ১০ দিন চলাও কঠিন।
সংগঠনের ৩২-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে হোটেল-রেস্টুরেন্ট সেক্টরের শ্রমিকদের বাঁচার মত মজুরি, শ্রমআইন অনুযায়ী প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা আদায়ের সংগ্রামের পাশাপাশি শ্রমিক শ্রেণির সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে হোটেল-রেস্টুরেন্ট শ্রমিকদেরকে দেশের অপরাপর সেক্টরের শ্রমিকদের ও জনগণের আন্দোলন-সংগ্রামে একাতœ হতে হবে। সেই সাথে শ্রমিক-কৃষক-জনগণের সাম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদ বিরোধী জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে অগ্রসর করা ছাড়া হোটেল-শ্রমিকসহ শ্রমিক-কৃষক-জনগণের সার্বিক মুক্তি অর্জনের বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বৃহত্তর আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলার আহবান জানান।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, মার্কিন পরিকল্পনায় ছাত্র মধ্যবিত্তদের আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ১বছর অতিবাহিত হয়েছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের আরও নির্ভরযোগ্য বিশ্বস্ত দালাল ড. ইউনুসের নেতৃত্বে এক অন্তর্র্বতী সরকারকে ক্ষমতার আনা হয়। এর ফলে এদেশে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নিয়ন্ত্রণ আরো বৃদ্ধি পায়। সাম্রাজ্যবাদের দালাল ভারতের অবস্থান অপেক্ষাকৃত দূর্বল হয়। মানবিক করিডোরের প্রশ্নসহ বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামরিক সাংস্কৃতিক যে সংকট চলছে তা বিচ্ছিন্ন কোন বিষয় নয়। এটা হচ্ছে বিশ্ব বাজার-প্রভাব বলয় পুনর্বণ্টন নিয়ে আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী তীব্র প্রতিদ্ব›িদ্বতা চলছে তার সাথে সম্পর্কিত।

আগামীকাল সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের ৩২-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীআগামীকাল ৬ আগস্ট ২০২৫ সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন (র...
05/08/2025

আগামীকাল সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের ৩২-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

আগামীকাল ৬ আগস্ট ২০২৫ সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং চট্ট-১৯৩৩)-এর ৩২-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৯৩ সালের ৬ আগস্ট বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে এবং জাতীয় ছাত্রদল ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সহযোগিতায় শ্রমিক শ্রেণির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে অবহেলিত, নির্যাতিত-নিপীড়িত হোটেল-রেস্টুরেন্ট শ্রমিকদের দাবি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের আতœপ্রকাশ ঘটে। সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার পর থেকে শ্রমিকদের আইনি সুযোগ সুবিধা আদায় ও অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শ্রেণিসচেতন করে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিকদের ধারাবাহিকভাবে সুসংগঠিত আন্দোলন-সংগ্রামের ফলে কিছু কিছু সুযোগ সুবিধা অর্জিত হলেও সামগ্রিকভাবে শোষণ-নির্যাতনের অবসান হয়নি। হোটেল সেক্টরের শ্রমিকদের যেমন নেই চাকরির নিশ্চয়তা, তেমনি নেই জীবনের নিরাপত্তা। হোটেল-রেস্টুরেন্ট মালিকরা দেশে প্রচলিত শ্রমআইনের তোয়াক্কা না করে তাদের মনগড়া ইচ্ছামাফিক স্বেচ্ছাচারী কায়দায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। কাগজে-কলমে প্রচলতি শ্রমআইনে নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র, সার্ভিসবুক প্রদান, দৈনিক ৮ ঘন্টা কর্মদিবস, অতিরিক্ত কাজে দ্বিগুণ মজুরি ও বছরে ২ টি উৎসব বোনাস প্রদান, মজুরিসহ সাপ্তাহিক দেড় দিন ছুটি, বছরে ১০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি, ১১ দিন উৎসব ছুটি, ১৪ দিন চিকিৎসা ছুটি, প্রতি ১৮ দিন কাজের জন্য ১ দিন অর্জিত ছুটি, মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিন ইত্যাদি অধিকার থাকলেও হোটেল সেক্টরে মূলতঃ তা বাস্তবায়ন করা হয় না। শ্রমিকদের আইনী অধিকার বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের শ্রমদপ্তর ও কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের থাকলেও তারা অনৈতিক আঁতাতের মাধ্যমে মালিকদের স্বার্থ রক্ষায় স্বীয় দায়িত্ব পালন করেন না।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ৬ আগস্ট বুধবার বিকেল ৪টায় ক্বীণ ব্রীজের উত্তর পাড় (জালালাবাদ পার্কের সামনে) জমায়েত হয়ে এক লাল পতাকা র‌্যালি পরবর্তী সমাবেশ। উক্ত কর্মসূচী সফল করতে জেলা সভাপতি মো. ছাদেক মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত এক যুক্ত বিবৃতিতে সকল উপজেলা, থানা, আঞ্চলিক কমিটির নেতৃবৃন্দকে যথাসময়ে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে উপস্থিত থাকার জন্য উদাত্ত আহবান জানান।

শ্রম উপদেষ্টা বরাবর ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলার স্মারকলিপিঅবিলম্বে জাতীয় নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করে আইনী সুরক্ষা দিয়ে ...
28/07/2025

শ্রম উপদেষ্টা বরাবর ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলার স্মারকলিপি

অবিলম্বে জাতীয় নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করে আইনী সুরক্ষা দিয়ে জাতীয় নিম্নতম মূল মজুরি ৩০ হাজার টাকা ঘোষণা, আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ অনুযায়ী অবাধ ট্রেড অধিকার ও কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তাসহ ১০ দফা দাবিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা বরাবর দেশব্যাপী স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে জেলা প্রশাসক মাধ্যমে ১০ দফা দাবিনামা পেশ করা হয়। ২৮ জুলাই দুপুরে ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের কেন্দ্রীয় কমিটি প্রেরিত স্মারকলিপিটি সিলেট ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার ও সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদেক মিয়া স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিটি সিলেটের জেলা প্রশাসকের মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ এর মাধ্যমে পেশ করেন। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন দেশে মোট শ্রমিকের সংখ্যা ৭ কোটি ৩৪ লক্ষ। যদিও বিভিন্ন প্রস্তাবনা/প্রতিবেদনে এ সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৮ কোটি বলা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ৯২ শতাংশ শ্রমিকের কোন প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি নেই বলে বিবিএস তথ্যে জানানো হয়। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের এই বৃহৎ শ্রমিক ও শ্রমজীবী প্রচলিত শ্রমআইনের সুযোগ-সুবিধা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত। নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র, আইনস্বীকৃত কর্মঘন্টা ও ছুটি, মাতৃত্বকালীন সুবিধা ও ক্ষতিপূরণসহ শ্রমআইনের স্বীকৃত অধিকার অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা ভোগ করতে পারছে না। রপ্তানিমুখী প্রাতিষ্ঠানিক খাতগুলোতে শ্রমআইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশী নজরদারী থাকা সত্তে¡ও শ্রমআইনকে পাশ কাটিয়ে শ্রমিকদের উপর তীব্র শ্রম শোষণ ও নির্যাতন চালানো হচ্ছে। দেশে জাতীয় মজুরি বোর্ড ও মজুরি নির্ধারণের দিকনির্দেশনা না থাকায় সর্বজনীন মজুরিও কার্যকরী নেই। প্রকৃত পক্ষে একজন শ্রমিক ও তার পরিবারের (৬ সদস্য হিসেব ধরে) প্রতিদিনের, প্রতি সপ্তাহের, প্রতি মাসের প্রকৃত মজুরি নিম্নতম মজুরি ধরে মূল মজুরির অর্ধেক বাড়িভাড়া এবং যাতায়াত ও চিকিৎসা বাবদ প্রয়োজনীয় খরচ যুক্ত করে মোট মজুরি নির্ধারণ করার বিষয়টি কার্যকরী করা হয় না। বর্তমান নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি, গাড়িভাড়া, বাড়িভাড়া, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ জীবন জীবিকার সকল ব্যয় হিসেব করলে ৬ সদস্যের একটি শ্রমিক পরিবারে ন্যূনতম ৩০ হাজার টাকা মূল মজুরি হওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের শিল্প ও শ্রমিক অঙ্গনে উপরে উল্লেখিত সমস্যা ছাড়াও বিভিন্ন দুরাবস্থায় শ্রমিকরা জর্জরিত। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের পক্ষ থেকে শ্রম উপদেষ্টা সমীপে ১০ দফা দাবিনামা উত্থাপন করা হচ্ছে। ১০ দফা দাবিনামা নিম্নরূপ :
১। মজুরি-বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাদি:
(ক) প্রতিনিয়ত মুদ্রাস্ফীতি-মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে প্রতি ২ বছর অন্তর মজুরি পুন:নির্ধারণ করতে হবে।
(খ) ৮ ঘন্টা শ্রম দিবসের ভিত্তিতে আইনী সুরক্ষা দিয়ে জাতীয় ন্যূনতম মূল মজুরি ৩০,০০০/- টাকা ঘোষণা ও কার্যকরী করতে হবে।
(গ) নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সমকাজে সমমজুরি নিশ্চিত করতে হবে।
(ঘ) মজুরি ও জীবনযাত্রার মান স্থিতিশীল রাখার প্রয়োজনে ‘ভেরিয়েবল ডিয়ারনেস এলাউন্স (পরিবর্তনশীল ভাতা)’ চালু করতে হবে।
(ঙ) চাকুরির বয়স তিন মাস পূর্ণ হলে মূল মজুরির সমপরিমাণ বছরে ২ টি উৎসব বোনাস প্রদানের নিয়ম কার্যকরী করতে হবে।
(চ) সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইনসেনটিভ বোনাস স্কীম ও হাজিরা বোনাস প্রদানসহ শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলতে হবে।
(ছ) নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সশস্ত্র বাহিনীর সমমূল্যে ও সমপরিমাণে সকল শ্রমিক-কর্মচারী ও মেহনতি জনগণের জন্য স্থায়ী রেশনিং চালু করতে হবে।
(জ) ঝুঁকিপূর্ণ কাজে কর্মরত শ্রমিক ও কর্মচারীদের বিশেষ ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
(ঝ) সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে ১০% হারে কন্ট্রিবিউটারী প্রভিডেন্ট ফান্ড ও ৫% লভ্যাংশ শেয়ারের আইন কার্যকর করতে হবে।
(ঞ) ডিসমিসড (বরখাস্তকৃত) শ্রমিক কর্মচারীদেরকে সার্ভিস বেনিফিটসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে হবে।
(ট) জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে শ্রমআইন বাস্তবায়নে মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে।
২। মৌলিক ও ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার সংক্রান্ত:
(ক) আইএলও কনভেনশন ৮৭ এবং ৯৮ অনুযায়ী সকল শ্রম সেক্টরে অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন ও যৌথ দরকষাকষির অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
(খ) ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার হরণ ও সংকোচন করতে সরকারি সংস্থার মালিক তোষণ নীতি ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
(গ) অত্যাবষকীয় পরিষেবা বিল-২০২২ ও সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ বাতিল করতে হবে।

(ঘ) শ্রম আদালতের সকল মামলা ৯০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি এবং শ্রমিক কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বিনা খরচে পরিচালনার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে।
(ঙ) সকল শ্রমঘন অঞ্চলে প্রয়োজনীয় শ্রমআদালত প্রতিষ্ঠাসহ শ্রম আপিল আদালত স্থাপন করতে হবে।
(চ) নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র প্রদানের আইন কার্যকরীকরাসহ শ্রমআইন যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। সকল প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে ১ মে মজুরিসহ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে বাস্তবায়ন করতে হবে।
(ছ) সব ধরনের অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের ৯০ দিনের মধ্যে স্থায়ী করতে হবে। স্থায়ী পদে আউটসোর্সিং বন্ধ করে শূন্য পদে শিক্ষানবীশ শ্রমিককে নিয়োগ দিতে হবে।
(জ) সড়ক পরিবহণ আইন ও বিধিমালার শ্রমিকস্বার্থ বিরোধী ধারা ও বিধি বাতিল করতে হবে।
(ঝ) সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীগণকে শ্রম আদালতে মামলা করার অধিকার দিতে হবে।
(ঞ) পল্লী বিদ্যুৎ, ই-কমার্স, রাইড শেয়ারিং, গৃহশ্রমিক, খনি শ্রমিকসহ সকল শ্রেণির শ্রমিকদের শ্রমআইনের আওতায় আনতে হবে।
(ট) আউটসোর্সিংসহ কন্ট্রাক প্রথা বিলোপ করতে হবে। নিয়োগকৃত আউটসোর্সিং কর্মীদের স্থায়ী করতে হবে।
৩। চাকরির নিরাপত্তা ও হয়রানীমূলক বদলী বন্ধ এবং ট্রেড ইউনিয়ন বিকাশের পরিবেশ নিশ্চিত করণ:
(ক) হয়রানীমূলক বদলি বন্ধ করতে হবে এবং পদাবনতি, ছাঁটাই, ডিসমিস ও টার্মিনেশনে চাকরিচ্যুতি বন্ধ করতে হবে।
(খ) আধুনিকীকরণের প্রয়োজনে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদেরকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরির পূর্ণ নিরাপত্তা ও ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে হবে।
(গ) সড়ক-মহাসড়কে চালক, যাত্রী, পণ্য ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং পরিবহন সেক্টরে সকল ধরণের চাঁদাবাজী বন্ধ করতে হবে।
(ঘ) শ্রমিকদের সংগঠিত হওয়া, শিল্পাঞ্চলে সভা-সমাবেশ ও ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রম পরিচালনার গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
(ঙ) শ্রমিকনেতাদের নামে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
৪। বাসস্থান, শিক্ষা ও যাতায়াত:
(ক) শিল্প এলাকা ভিত্তিক উপযুক্ত নিরাপত্তাসহ শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য পরিবার নিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত বসবাসের উপযোগী বাসস্থান নির্মাণ করতে হবে।
(খ) চা শ্রমিকদের চাকরি শেষে বাসস্থান থেকে উচ্ছেদ করার আইন বাতিল করে তাদের ভূমির অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
(গ) শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের সন্তানদের বিনামূল্যে শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত উপযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের ব্যবস্থা করতে হবে।
(ঙ) শ্রমিক-কর্মচারীদের সাংস্কৃতিক মান বিকাশের জন্য লাইব্রেরি, পড়াশোনা, খেলাধুলা, শরীরচর্চাসহ সুস্থ সাংস্কৃতিক বিনোদনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
(চ) গার্মেন্টসসহ সকল শ্রমিক-কর্মচারীদের তাদের কর্মক্ষেত্রে যাতায়াতের জন্য নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৫। পেশাগত স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও পরিবেশ সংক্রান্ত:
(ক) সকল শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যকার্ড প্রদানসহ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান ও শিল্পাঞ্চলে প্রয়োজনীয় হাসপাতাল তৈরী করতে হবে।
(খ) কর্মরত শ্রমিকদের প্রতিষ্ঠানের খরচে বছরে অন্তত দুই বার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে।
(গ) কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ও পেশাগত রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থাসহ উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
(ঘ) চাকরির সময়কাল নির্বিশেষে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা নিহত শ্রমিকদের আজীবন আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।
(ঙ) সকল কর্মক্ষেত্রে সুপেয় পানিসহ খাবার ক্যান্টিন, টয়লেট ও বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা করতে হবে।
(চ) ট্যানারী ও কেমিক্যালসহ সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে বর্জ্য নিস্কাশনের ব্যবস্থা করে পরিবেশ দূষণ মুক্ত করতে হবে।
(ছ) কর্মক্ষেত্র ও শ্রমিক-কর্মচারীদের বসবাসের এলাকায় স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
(জ) কর্মক্ষেত্রে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস নির্গমন ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৬। নারী ও শিশু শ্রম সংক্রান্ত:
(ক) নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল শ্রমিকদের জন্য চাকুরির ক্ষেত্রে সমঅধিকার ও সমকাজে সমমজুরিসহ সমান সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে হবে।
(খ) গার্মেন্টসসহ সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রসূতিকালীন ৬ মাসের ছুটি ও ভাতা প্রদানসহ শিশু ও মায়ের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
(গ) স্ত্রী ও সন্তানের পাশে থাকার জন্য প্রত্যেক শ্রমিককে মজুরিসহ অন্তত ১ (এক) মাসের পিতৃত্বকালীন ছুটি প্রদান করতে হবে।
(ঘ) নারী শ্রমিকদের মান-মর্যাদাহানি, ভয়-ভীতি, নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
(ঙ) যে কোন ধরণের সংহিসতা ও হয়রানি, নারী ও শিশু নির্যাতনের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
(চ) শিশু শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করে গরীব, দু:স্থ ও অসহায় পরিবারের শিশুদের শিক্ষা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে।
৭। আইন, সম্পাদিত চুক্তি ও ঘোষিত ওয়াদা বাস্তবায়ন:
শ্রমআইন অনুযায়ী প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা এবং সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া সরকার/সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে শ্রমিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সাথে শ্রম ও শিল্প সম্পর্কিত সকল চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। নিম্নতম মজুরি ও চুক্তি যে সকল মালিক বাস্তবায়ন করবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, জরিমানা আদায় ও লাইসেন্স বাতিলের বিধান করতে হবে।
৮। শিল্প বিকাশ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন:
জাতীয় শিল্পের বিকাশের পথে বাধা জাতীয় স্বার্থ বিরোধী সকল চুক্তি বাতিল করে জাতীয় স্বার্থে শিল্পের বিকাশ এবং শ্রমিক কর্মচারীসহ জনগণের আর্থসামাজিক জীবনমান ও উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে-
(ক) ব্যক্তিমালিকানায় হস্তান্তরিত সকল শিল্প-কারখানা সরকারি ব্যবস্থাধীনে চালু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

(খ) রাষ্ট্রায়াত্ব শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রকৃত সমস্যা চিহ্নিত করে বন্ধ ও রুগ্ন কলকারখানা প্রতিষ্ঠানসমূহ চালু করার জন্য দ্রæত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
(গ) পাট ও পাটজাত দ্রব্যের উৎপাদন ও রপ্তানী বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে পাট শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে।
(ঘ) চিনি শিল্প ধ্বংসের সকল ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত বন্ধ করে চিনিকলসমূহের নিয়মিত উৎপাদন নিশ্চিত ও আখের ন্যায্য মূল্য প্রদান করতে হবে।
(ঙ) অনুৎপাদনশীল ও বিলাস দ্রব্যের আমদানী কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করে দেশীয় শিল্পের উৎপাদন ও বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে।
(চ) জাতীয় অর্থনীতি ও শিল্প বিকাশের স্বার্থে কৃষি উৎপাদনের উপকরণের দাম কমানো এবং উৎপাদিত কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে।
(ছ) অসংগঠিত খাতসহ সর্বস্তরের শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য কল্যাণ তহবিল গঠন করতে হবে।
(জ) বিজ্ঞান প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সাথে শ্রমশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধি ও চাকরি অব্যাহত রাখার স্বার্থে সকল স্তরের শ্রমিকদের সমসাময়িক কাজের উপযোগী করে তুলতে রি-ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।
৯। শ্রমিক উচ্ছেদ বন্ধ করা:
(ক) সরকারি উদ্যোগে বিকল্প কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ অভিযানের নামে হকার ও দিনমজুরদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
(খ) ব্যাটারি চালিত রিকশা ও ইজিবাইক উচ্ছেদ করা যাবে না। রিকশা ও ইজিবাইকের জন্য সড়কে আলাদা সার্ভিস লেন চালু করতে হবে।
১০। প্রবাসী শ্রমিক:
(ক) বিদেশে শ্রমিক প্রেরণের ক্ষেত্রে বিমানবন্দরসহ সকল ক্ষেত্রে হয়রানী বন্ধ এবং দেশে ফেরত আসার পরে তাদের কার্যকর সহযোগিতা প্রদান করতে হবে।
(খ) রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে শ্রমিক প্রেরণের জন্য কার্যকর ও অর্থবহ পদক্ষেপ গ্রহণ করাসহ প্রবাসী শ্রমিকদের প্রেরিত অর্থের সাথে ১০% বোনাস প্রদান করতে হবে।
(গ) প্রবাসী শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা ও হয়রানি বন্ধ এবং নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
(ঘ) বিদেশে অবস্থানরত দূতাবাসগুলোকে গতিশীল ও শক্তিশালীকরণসহ দুতাবাসগুলোতে শ্রমিক বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
(ঙ) ইউএন চার্টার অনুযায়ী প্রবাসী শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রচলিত শ্রমআইনের সুবিধাদি নিশ্চিত করতে হবে।

Address

Sylhet

Telephone

+8801990169587

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Amader kotha posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Amader kotha:

Share