05/10/2025
এডভোকেট শিশির মনির চাচার বক্তব্যের মূল উদ্দেশ্য ছিল ধর্মীয় সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দেওয়া। তিনি বলতে চেয়েছিলেন—বাংলাদেশে মুসলমানরা রোজা রাখে, হিন্দুরা পূজা করে, এবং এই ভিন্ন ধর্মীয় অনুশীলনগুলোকে আমরা সবাই সম্মানের সাথে গ্রহণ করি। কেউ কারো ধর্মীয় বিশ্বাসে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।
কিন্তু “মুদ্রার এপিঠ–ওপিঠ” কথাটিকে অনেকেই ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, ফলে আসল বার্তার জায়গায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। সমালোচকরা ইচ্ছাকৃতভাবেই এমন বিষয়গুলোতে ভুল ধরতে চান, যাতে জনপ্রিয় মানুষদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়।
শিশির মনির চাচার বক্তব্যের সারমর্ম ছিল আমি যা বুঝতে পারছি
যেমন মুদ্রার এক পিঠে মুসলমানরা রোজা পালন করে—কেউ তাদের বাধা দেয় না।
তেমনি মুদ্রার অন্য পিঠে হিন্দুরা পূজা করে—তাদেরও কেউ বাধা দেয় না।
অর্থাৎ আমরা সবাই মিলেমিশে ভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাস পালন করি, তবুও দেশের সামাজিক সম্প্রীতি অটুট থাকে।
এখানে তাঁর মূল বার্তা ছিল, বাংলাদেশ একটি বহুধর্মীয় দেশ হলেও, আমরা একে অপরের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে সমান সম্মান দেখাই।
শিশির মনির চাচার জনপ্রিয়তা ও প্রভাব যেহেতু অনেক, তাই তাঁর প্রতিটি শব্দ ও বক্তব্য মানুষ গুরুত্ব সহকারে বিশ্লেষণ করে। ফলে:
ভাষা যতটা সম্ভব সহজ, সাবলীল ও সরাসরি হওয়া দরকার, যাতে সাধারণ মানুষও একবার শুনে বুঝতে পারে।
জটিল বা রূপক অর্থে ব্যবহৃত শব্দ অনেক সময় ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা হতে পারে।
সমালোচকরা যেহেতু সবসময় ভুল ধরতে প্রস্তুত, তাই কথাগুলো এমনভাবে বলাই উচিত, যাতে বিকৃত ব্যাখ্যার কোনো সুযোগ না থাকে।
শিশির মনির চাচার বক্তব্যের মূল লক্ষ্য ছিল ধর্মীয় সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত তুলে ধরা। তিনি চেয়েছিলেন বোঝাতে যে, যেমন মুসলমানরা শান্তিতে রোজা পালন করে, তেমনি হিন্দুরাও শান্তিতে পূজা পালন করে। কেউ কারো ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে হস্তক্ষেপ করে না—এটাই আমাদের সমাজের সৌন্দর্য।
সমালোচকরা নানা কুটচাল চালালেও, প্রকৃত বার্তাটি হচ্ছে—বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভ্রাতৃত্ব বজায় আছে এবং থাকবে।
আমি কোনো জামায়াতের কর্মী বা লোকও না।। আমি একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে যা ভাবছি তা।