10/07/2025
সম্প্রতি বসুন্ধরা গ্রুপের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে এক তরুণীর ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। ভিডিও, ছবি, অভিযোগ—সব মিলিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ঝড় উঠেছে।
এই ঘটনার মূল্যায়নে আমাদের শুধু একজনকে অপরাধী বানানো নয়, বরং উভয়ের ভূমিকাই প্রশ্নের মুখে তোলা উচিত।
যদি এটি সম্মতির ভিত্তিতে হয়ে থাকে, তাহলে দোষ-দায়ও উভয়ের—কারণ, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক বাংলাদেশে আইনত অপরাধ। সম্মতি থাকলেই সেটা বৈধ হয় না।
আমরা অতীতে দেখেছি, বসুন্ধরা গ্রুপের তানভীর মাহমুদ ও মুনিয়া কাণ্ড কেমন সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছিল।
মুনিয়ার মৃত্যু, তার পেছনের সম্পর্ক, ফ্ল্যাট, ছবি, চ্যাট—সব কিছুই আলোচনার কেন্দ্রে ছিল। তখনো প্রশ্ন উঠেছিল, কেন একজন শিক্ষার্থী বয়সী মেয়ে একটি প্রভাবশালী ব্যক্তির সাথে এমন ঘনিষ্ঠতায় গেল? কেন সে নিজেকে এমন পরিস্থিতিতে জড়ালো?
সেই ঘটনার আজো বিচার হয়নি অনেকের মতে। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার—এই ধরনের সম্পর্কে শুধু পুরুষ নয়, নারীরও সচেতন সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
👉 ধনীর পরিচয়, অর্থের লোভ বা "ভালোবাসি" বলা মানেই কোনো সম্পর্ক শুরু হওয়া উচিত নয়।
👉 নারীদের বুঝতে হবে, নিজের সম্মান, আত্মমর্যাদা আর ভবিষ্যৎ—এসবের দায়িত্ব নিজেরই।
সমাজে পুলিশ যখন আবাসিক হোটেলে অভিযান চালায়, তখন দেখা যায় সম্মতিতে থাকা যুবক-যুবতীকেও গ্রেফতার করে ‘অনৈতিক কাজ’ এর অভিযোগে। তাহলে সমাজের অন্যত্র যখন একই ধরনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তখন শুধু একজনকে অপরাধী বলা কি ন্যায়সঙ্গত?
✅ তাই বলতে হয়:
> অপরাধ যদি সম্মতিতেও হয়ে থাকে, তাহলে উভয়েরই দায় রয়েছে।
আর নারীদের উচিত—কোনো ব্যক্তির প্রভাব, অর্থ কিংবা মিথ্যা ভালোবাসার ফাঁদে পড়ে নিজের ভবিষ্যৎ ও সম্মানকে হুমকির মুখে না ফেলা।
---
✊ সচেতনতার বার্তা:
➡️ প্রিয় মেয়েরা, তোমাদের আত্মসম্মানই সবচেয়ে বড় সম্পদ।
তোমাদের সম্মতিই যদি অনৈতিকতার পথে যায়, তাহলে সেটাও অন্যায়।
নিজেকে ভালোবাসো, গড়ো নিজের ভবিষ্যৎ—কারো টাকার পেছনে নিজের ইজ্জত বিকিয়ে দিও না।
#নারীসচেতনতা #সমানবিচার_চাই
#ভুল_ভালোবাসা_বিপদডাকে
#মেয়েরা_সতর্ক_হও