31/08/2024
বাংলাদেশে ৩ স্বৈরাশাসক:প্রথম স্বৈরশাসক খুবই জঘন্য শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষমতায় এসে মানুষকে নিরাশ করেন। তার শাসনামলে (১৯৭২-৭৫) সাধারণ মানুষের অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্ট, গুম, হত্যা, ব্যাংক ডাকাতি, রাহাজানি, দুর্ভিক্ষ, দুর্নীতি,দুঃশাসনের স্টিমরোলার চলতে থাকে। দেশে সে সময় সিরাজ শিকদারসহ প্রায় ২৭ হাজার ভিন্ন মতাবলম্বী রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ষীবাহিনী কর্তৃক হত্যা করা হয় এবং গুম করা হয় প্রায় ১০ হাজার বিরোধী নেতাকর্মীকে। গণতন্ত্রের পথ হয় রুদ্ধ, সৃষ্টি হয় বাকশাল, সব পত্র-পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মাত্র চারটি পত্রিকা রাখা হয়। প্রয়াত স্বনামধন্য সাংবাদিক নির্মল সেন দৈনিক ইত্তেফাকের এক উপসম্পাদকীয়তে লেখেন, ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই।’ সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, ছড়াকার আবু সালেহ স্বাধীনতার এক বছর পর লিখলেন, ‘ধরা যাবে না, ছোঁয়া যাবে না, বলা যাবে না কথা,রক্ত দিয়ে পেলাম শালার আজাব স্বাধীনতা।’ ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষে বিদেশ থেকে পর্যাপ্ত সাহায্য আসার পরও লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে মারা গেল। তার পরিপ্রেক্ষিতে কবি রফিক আজাদ লিখলেন, ‘ভাত দে হারামজাদা, নইলে মানচিত্র খাবো।’শেখ মুজিবের একদলীয় দুঃশাসনের পূর্ণাঙ্গ চিত্র পাওয়া যায় মার্কিন মাসিক রিডার্স ডাইজেস্টে। ১৯৭৫-এর মে মাসের সংখ্যায় লেখা হয় "শেখ মুজিব দু’টি বেসামরিক সংগঠনের ওপর নির্ভরশীল। একটি হচ্ছে তার ভাগ্নে শেখ মনির এক লাখ সশস্ত্র একগুঁয়ে যুবকের সংগঠন যুবলীগ, আর একটি হলো নিষ্ঠুর রক্ষীবাহিনী।" তাদের কাজ হলো যখন-তখন কল কারখানায় ঢুকে পড়ে শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন করা, হত্যা করে সন্ত্রাসের রাজত্ব চালানো।
অবশেষে,১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট মেজর ফারুক এবং মেজর রশিদের নেতৃত্বে সপরিবারে হত্যা করা হয় শেখ মুজিবর রহমানকে।