05/03/2023
আপনি যদি রবীন্দ্রনাথের কথা বলেন সে তো স্কুল পালিয়েছেন। যদি বলেন নজরুলের কথা সে তো বেশি পড়তেই পারল না। আর লালনের কথা যদি বলেন সে তো জানেই না স্কুল কি। অথচ আজ মানুষ তাদেরকে নিয়ে গবেষণা করে কেউ কেউ অর্জন করে পিএইচডি ডিগ্রী।
ময়লা পোশাকের জন্য পার্কে ঢুকতে দেয়া হয়নি ইন্ডু কার্নিগিকে কিন্তু ৩০ বছর পর তিনি সেই পার্ক টি কিনে নিয়েছিলেন আর লিখে দিয়েছিলেন সবার জন্য উন্মুক্ত।
মাত্র একদিন ভালো খাবারের জন্য সাত মাইল দূরে পায়ে হেঁটে ধর্মালয়ে যেতেন স্টিপ জবস।
হিন্দু ছোট জাতের হওয়ায় তাকে ক্লাসের বেঞ্চে বসতে দেয়া হতো না কোন গাড়ি তাকে নিত না বাধ্য হয়ে মাইলের পর মাইলি পায়ে হেঁটে স্কুলের বারান্দায় বসে বসে ক্লাস করতে হয়েছিল হেঁটে হেঁটে দিতে হয়েছিল পরীক্ষা আর তিনি সেই আন্দেস্কর যিনি লিখেছিলেন ভারতের সংবিধান।
গরু ছিল না বলে নিজেকেই দিয়েই যিনি নাঙ্গল টেনে ছিলেন একসময়, যার ক্যাডেট কলেজে ভর্তির ফি জোগাড় করতে তার চাচারা হাতুড়েদের নিকট থেকে টাকা তোলে জোগাড় করেছিলেন ভর্তি ফি। সেই তিনিই হয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
আপনি হয়তো ভাবছেন আপনার চেহারাটা সুন্দর নয়। আপনি কি জানেন শেখ সাদীর চেহারা যথেষ্ট কাদাকার ছিল? লতা মঙ্গেশকারের চেহারা মোটেই শুশ্রী নয়। খোরা ছিলেন তৈমুর লং , নেপোলিয়ন তো ছিল বেঁটে যদি বলি সেচিন টেন্ডুলকারের কথা তাহলে তার উচ্চতা কতটুকু সেটা হয়তোভালোই জানা আছে আপনার। হাত এবং মুখ অনেক বড় ছিল আব্রাহাম লিংকনের
হয়তো আপনি স্মৃতিশক্তির কথা ভাবছেন, অথচ আইনস্টান নিজের বাড়ির ঠিকানা ও ফোন নাম্বার মনে রাখতে পারতেন না।
মূল কথা এই পৃথিবীর কোন কিছুই আপনার উন্নতির পিছনে বাদ হতে পারে না। আর যদি কোন কিছু বাধা হয়ে দাড়ায় সেটা কেবলমাত্র আপনার মনের ভয়। তাই ভয় কে দূরে রেখে জয় করা শিখুন চেষ্টা করতে থাকুন আজ না হয় কাল সফলতা আসবেই একদিন ইনশাআল্লাহ।