The daily news point

The daily news point the daily news point

19/05/2025

এই মাত্র নুসাইরাত ক্যাম্পে গণ-হত্যা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। দিনের আলোতেই বোমার আঘাতে অন্ধকার নামিয়ে ফেলছে।যেন ছোটখাটো এক কিয়ামত!

মানুষগুলা এক এলাকা থেকে এসে এখানে আশ্রয় নিতেই বিমান থেকে বো'মা ফেলে। এতে নিশ্চিত অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। আল্লাহ জানেন কতজন ইতিমধ্যে রবের ডাকে সাড়া দিয়ে দুনিয়ার কষ্ট থেকে মুক্তি নিলেন।

নগ্নতা কখনো সভ্যতা হতে পারেনাসব শিয়ালই মুর্গির স্বাধীনতা চায়। নারী স্বাধীনতার নামে এক শ্রেণীর প্রাণী মেয়েদের নগ্ন পোশাক ...
02/06/2022

নগ্নতা কখনো সভ্যতা হতে পারেনা

সব শিয়ালই মুর্গির স্বাধীনতা চায়। নারী স্বাধীনতার নামে এক শ্রেণীর প্রাণী মেয়েদের নগ্ন পোশাক পড়িয়ে তৃপ্ত হতে চায়। স্বাধীনতার নামে বেহায়াপনার বিষ ঢালতে চায়। সমাজের সুন্দর রক্ষণশীলতাকে নষ্ট করতে চায়। ওদের জবাব এভাবেই হোক-

নগ্নতা কখনো সভ্যতা হতে পারেনা। অসভ্যরাই নগ্ন হতে চায়।

*****খুব গুরুত্বপূর্ণ জানা খুব জরুরী*****পুরাতন দলিলে ব্যবহৃত ১৩০ টি শব্দের অর্থ 👉দলিলে লিখিত অনেক শব্দ আছে,যার সংক্ষিপ্...
18/04/2022

*****খুব গুরুত্বপূর্ণ জানা খুব জরুরী*****

পুরাতন দলিলে ব্যবহৃত ১৩০ টি শব্দের অর্থ
👉দলিলে লিখিত অনেক শব্দ আছে,যার সংক্ষিপ্ত রুপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এমনও কিছু শব্দ আছে যা খুব কম ব্যবহার হয়। যারা পুরাতন দলিলের ব্যবহৃত শব্দের অর্থ বোঝেন না,তাদের জন্য বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

১) মৌজা 👉 গ্রাম।

২) জে.এল নং 👉 মৌজা নং/গ্রাম নম্বর।

৩) ফর্দ 👉 দলিলের পাতা।

৪) খং 👉 খতিয়ান।

৫) সাবেক 👉 আগের/পূর্বের বুজায়

৬) হাল 👉 বর্তমান।

৭) বং 👉 বাহক, অর্থাৎ যিনি নিরক্ষর ব্যক্তির নাম লিখে।

৮) নিং 👉 নিরক্ষর।

৯) গং 👉 আরো অংশীদার আছে।

১০) সাং 👉 সাকিন/গ্রাম।

১১) তঞ্চকতা 👉 প্রতারণা।

১২) সনাক্তকারী 👉 যিনি বিক্রেতাকে চিনে।

১৩) এজমালী 👉 যৌথ।

১৪) মুসাবিদা 👉 দলিল লেখক।

১৫) পর্চা 👉 বুঝারতের সময় প্রাথমিক খতিয়ানের যে নকল দেওয়া হয় তাকে পর্চা বলে।

১৬) বাস্তু 👉 বসত ভিটা।

১৭) বাটোয়ারা 👉 বন্টন।

১৮) বায়া 👉 বিক্রেতা।

১৯) মং 👉 মবলগ/মোট

২০) মবলক 👉 মোট।

২১) এওয়াজ 👉 সমপরিমাণ কোন কিছু বদলে সমপরিমাণ কোন কিছু বদল করাকে এওয়াজ বলে।

২২) হিস্যা 👉 অংশ।

২৩) একুনে 👉 যোগফল।

২৪) জরিপ 👉 পরিমাণ।

২৫) এজমালী 👉 কোনো ভূমি বা জোতের একাধিক শরীক থাকিলে তাহাকে এজমালী সম্পত্তি বা এজমালী জোত বলে।

২৬) চৌহদ্দি 👉 সীমানা।

২৭) সিট 👉 নকশার অংশ বা মৌজার অংশের নকশাকে সিট বলে।

২৮) দাখিলা 👉 খাজনার রশিদ।

২৯) নক্সা 👉 ম্যাপ।

৩০) নল 👉 জমি পরিমাপের নিমিত্তে তৈরী অংশ দণ্ড।

৩১) নাল 👉 চাষাবাদের উপযোগী ভূমি।

৩২) পিং 👉 পিতা।

৩৩) জং 👉 স্বামী।

৩৪) দাগ নং 👉 জমির নম্বর।

৩৫) এতদ্বার্থে 👉 এতকিছুর পর।

৩৬) স্বজ্ঞানে 👉 নিজের বুঝ মতে।

৩৭) সমূদয় 👉 সব কিছু।

৩৮) ইয়াদিকৃত 👉 পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিলাম।

৩৯) পত্র মিদং 👉 পত্রের মাধ্যমে।



৪০) বিং 👉 বিস্তারিত।

৪১) দং 👉 দখলকার।

৪২) পত্তন 👉 সাময়িক বন্দোবস্ত।

৪৩) বদল সূত্র 👉 এক জমি দিয়া অন্য জমি গ্রহণ করা।

৪৪) মৌকুফ 👉 মাপ।

৪৫) দিশারী রেখা 👉 দিকনির্দেশনা।

৪৬) হেবা বিল এওয়াজ 👉 কোন জিনিসের পরিবর্তে ভূমি/জমি দান করাকে হেবা বিল এওয়াজ বলে।

৪৭) বাটা দাগ 👉 কাটা দাগ এটি ভগ্নাংশ আকারে থাকে, যার উপরের সংখ্যা আগের দাগ এবং নিচের সংখ্যা এই দাগের বাটা।

৪৮) অধুনা 👉 বর্তমান।

৪৯) রোক 👉 নগদ।

৫০) ভায়া 👉 বিক্রেতার পূর্বের ক্রয়কৃত দলিল।

৫১) দান সূত্র 👉 কোনো ভূমি দলিল মূলে দান করিলে দান গ্রহণকারী দান সূত্রে ভূমির মালিক বলিয়া গন্য হয়।

৫২) দাখিল খারিজ 👉 কোনো জোতের ভূমি ও জমা হইতে কতেকাংশ ভূমির খরিদ্দার ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ব্যাক্তিকে পৃথকভাবে নাম জারি করিয়া দিলে তাহাকে দাখিল খারিজ বলে।

৫৩) তফসিল 👉 তালিকা, কোনো দলিলের নিম্নভাগে লিখিত সম্পত্তির তালিকাকে তফসিল বলে।

৫৪) খারিজ 👉 যখন কোনো সরকার বা জমিদার কোনো প্রজাকে তাহার অংশীদারের জমা হইতে পৃথকভাবে খাজনা দিবার অনুমতি দেন তখন তাহাকে খারিজ বলে।

৫৫) খতিয়ান 👉 প্রত্যেক মৌজার এক বা একাধিক ভূমির জন্য একত্রে যে রেকর্ড সৃষ্টি করা হয় তাহাকে খাতিয়ান বলা হয়। খতিয়ানে তৌজি নম্বর, পরগনার নাম, জে.এল বা গ্রামের নাম, খতিয়ান নম্বর, স্বত্ত্বের বিবরণ মালিকের নাম, তাহার পিতা ও গ্রামের নাম, দাগ নম্বর, প্রত্যেক দাগের উত্তর সীমানা, ভূমির প্রকার অর্থাৎ (ডাঙ্গা, ধানী, ডোবা, পতিত, গর্ত, হালট, ইত্যাদি) দখলকারের নাম, ভূমির ষোল আনা পরিমাণ, হিস্যা ও হিস্যা মত পরিমাণ একর লিখিত থাকে।

৫৬) জরিপ 👉 সাধারণত কর নির্ধারণ ভিত্তিতেই এই সার্ভে করা হইয়া থাকে।

৫৭) এওয়াজ সূত্র 👉সমপরিমাণ কোনো ভূমি বা জিনিসের বদলে সমপরিমাণ কোনো ভূমি বা জিনিস প্রাপ্ত হইলে তাহাকে এওয়াজ সূত্রে প্রাপ্ত বলা হয় ইহাকে বদল সূত্রও বলে।

৫৮) অছিয়তনামা 👉 যদি কোনো ব্যাক্তি মৃত্যুর পূর্বে তাহার ওয়ারিশ বা আত্বীয় স্বজনকে তার স্থাবর- অস্থাবর সম্পত্তির বাটোয়ারা সম্পর্কে দলিল মূলে কোনো নির্দেশ দিয়া যান তবে তাহাকে অছিয়তনামা বলে। মৃত্যুর পর উক্ত অছিয়ত প্রবলের জন্য জেলা জজ সাহেব হইতে অনুমতি লইতে হয় হিন্দু ধর্মে উহাকে উইল বলে।

৫৯) তফসিল 👉 বিক্রিত জমির তালিকা।

৬০) নামজারী 👉 অন্যান্য অংশীদার থেকে নিজের নাম খতিয়ানে খোলাকে নামজারী বলে।

৬১) অধীনস্থ স্বত্ত্ব 👉 উপরিস্থিত স্বত্ব বা জমিদারী স্বত্বের অধীনে কোনো স্বত্ত্ব সৃষ্টি করিলে তাহাকে অধীনস্থ স্বত্ত্ব বা নীচস্থ স্বত্ত্ব বলে।

৬২) আলামত 👉 ম্যাপের মধ্যে গাছপালা, বাড়ীঘর, মন্দির, মসজিদ, গোরস্থান, জলভূমি, ইত্যাদি বুঝাইবার জন্য ব্যবহৃত চিহ্নকে আলামত বলে।

৬৩) আমলনামা 👉 কোনো ব্যক্তি অন্যের নিকট হইতে কোনো ভূমি নিলাম বা খোস – খরিদ করিয়া ভূমিতে দখল লওয়ার যে দলিল প্রাপ্ত হয় তাহাকে আমনামা বলে।

৬৪) আসলি 👉 মূল ভূমি।

৬৫) আধি 👉 উৎপন্ন ফসলের অর্ধেক ভূমির মালিক, অর্ধেক প্রজায় রাখিলে তাহাকে আধি বা বর্গ বলে।

৬৬) ইজারা 👉 ঠিকা। নির্দিষ্ট খাজনায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তালুক বা মহলাদির বন্দোবস্ত দেওয়া বা নেওয়া।

৬৭) ইয়াদদন্ত 👉 স্মারকলিপি।

৬৮) ইন্তেহার 👉 ঘোষণাপত্র।

৬৯) এস্টেট 👉 ১৭৯৩ সালে সরকার বাহাদুর যে সমস্ত মহাল স্থায়ীভাবে বন্দোবস্ত দিয়াছেন তাহাদিগকে জমিদারী বা এস্টেট বলে।

৭০) ওয়াকফ 👉 ধর্মীয় কাজের উদ্দেশ্যে আল্লাহর নামে উৎসর্গকৃত সম্পত্তি।

৭১) কিত্তা 👉 চারিটি আইন দ্বারা বেষ্টিত ভূমি খন্ডকে এক একটি কিত্তা বা পট বলে।

৭২) কিস্তোয়ার জরিপ 👉 গ্রামের অন্তর্গত জমিগুলো কিত্তা কিত্তা করে জরিপ করার নাম কিস্তোয়ার

৭৩) কিস্তি 👉 নির্দিষ্ট তারিখ অনুযায়ী টাকা দিবার অঙ্গীকার বা ব্যবস্থা।

৭৪) কায়েম স্বত্ত্ব 👉 চিরস্থায়ীভাবে বন্দোবস্ত দেওয়া ভূমিকে কায়েম স্বত্ত্ব বলে।

৭৫) কবুলিয়ত 👉 মালিকের বরাবরে স্বীকারোক্তি করিয়া কোনো দলিল দিলে তাহাকে বকুলিয়ত বলে। কবুলিয়াত নানা প্রকার। যথা- রায়তি, দর রায়তি, কোর্ফা ও আদি বর্গা কবুলিয়াত।

৭৬) কটকোবালা 👉 সুদের পরিবর্তে মহাজনের দখলে জমি দিয়া টাকা কর্জ করত: যে দলিল দেওয়া হয় তাহাকে কটকোবালা বল।

৭৭) কান্দা 👉 উচ্চ ভূমি। গোবামের সন্নিকটস্থ ভূমিকেও কান্দা বলে।

৭৮) কিসমত 👉 মৌজার অংশকে কিসমত বলে।

৭৯) কোলা ভূমি 👉 বসত বাড়ীর সংলগ্ন নাল জমিকে কোলা ভূমি বলে।

৮০) কোল 👉 নদীর কোনো ছোট অংশ তাহার প্রধান স্রোতের সহিত বা হইতে সংযুক্ত হইয়া গেলে তাহাকে কোল বলে।

৮১) খানাপুরী 👉 প্রাথমিক স্বত্ত্ব লিপি। ইহা রেকর্ড অব রাইটস তৈরির ধাপ। খসড়া ও খতিয়ানের কলাম বা ঘর পূরণ করাই ইহার কাজ।

৮২) খামার 👉 ভূম্যধিকারী খাস দখলীয় ভূমিকে খামার, খাস-খামার, নিজ জোত বা কমত বলে।

৮৩) খাইখন্দক 👉 ডোবগর্ত, খাল, নালা ইত্যাদি চাষের অযোগ্য ভূমিকে খাইখন্দক বলে।

৮৪) খিরাজ 👉 কর, খাজনা।

৮৫) খানে খোদাঃ মসজিদ।

৮৬) খসড়াঃ জমির মোটামুটি বর্ণনা।

৮৭) গর বন্দোবস্তিঃ যে জমির কোনো বন্দোবস্ত দেওয়া হয় নাই।

৮৮) গরলায়েক পতিতঃ খাল, নালা, তীরচর, ঝাড়, জঙ্গল ইত্যাদি অনাবাদি ভূমিকে গরলায়েক পতিত বলে।

৮৯) গির্বিঃ বন্ধক।

৯০) চক 👉 থক বসত ম্যাপের এক একটি পটকে চক বলে।

৯১) জমা বন্দী 👉 খাজনার তালিকা।

৯২) চাকরাণ 👉 জমিদার বাড়ীর কাজ-কর্ম নির্বাহ করণার্থে ভোগ-দখল করিবার নিমিত্তে যে জমি দেওয়া হয় তাহাকে চাকরাণ বলে।

৯৩) চাঁদা 👉 জরিপ কার্যে নির্দিষ্ট করা স্টেশনকে চাঁদা বলে।

৯৪) চটান 👉 বাড়ীর সন্নিকটস্থ উচ্চ পতিত স্থানকে চটান বলে।

৯৫) চালা 👉 উচ্চ আবাদি ভূমি (পুকুরের পাড় ইত্যাদি)

৯৬) চর 👉 পলিমাটি গঠিত ভূমি।

৯৭) জবর-দখল 👉 জোরপূর্বক দখল।

৯৮) জমা 👉 এক বা একাধিক ভূমির জন্য একত্রে যে খাজনা দেওয়া হয় তাহাকে এক একটি জমা বলে।

৯৯) জোত 👉 এক প্রকার প্রজাস্বত্ত্ব।

১০০) জজিরা 👉 নাব্য নদীতে যে দ্বীপ গঠিত হয় তাহাকে জজিরা বলে।

১০১) জায়সুদী 👉 হস্তান্তরকরণ ক্ষমতা ব্যতীত কিয়ং কালের জন্য বন্ধক। অর্থাৎ মহাজনের নিকট বন্ধক দিয়া যদি এই মর্মে টাকা কর্জ করা যায়, যে যতদিন পর্যন্ত আসল টাকা পরিশোধ না হইবে ততদিন পর্যন্ত মহাজন উক্ত জমি ভোগ-দখল করিতে থাকিবেন, তবে তাহাকে জায়সুরি বলে।

১০২) জালি 👉 এক প্রকার ধান যাহা জলাভূমিতে জন্মে।

১০৩) টেক 👉 নদী ভগ্নস্থান ভরাট হইয়া যে পয়স্তি উৎপন্ন হয় তাহাকে টেক বলে।

১০৪) টাভার্স 👉 ঘের জরিপ।

১০৫) ঠিকা রায়ত 👉 নির্দিষ্ট মেয়াদে সাময়িকভাবে দখলকারকে ঠিক রায়ত বলে অথবা যে রায়তের কোনো দখলি স্বত্ত্ব নেই।

১০৬) ঢোল সহরত 👉 কোনো ক্রোক, নিলাম ইস্তেহার বা দখলি পরওয়ানা সরজমিনে ঢোল পিটাইয়া জারি করাকে ঢোল সহরত বলে।

১০৭) তামিল 👉 আদেশ মোতাবেক রেকর্ড সংশোধন করা।

১০৮) তামাদি 👉 খাজনা আদায় করার নির্দিষ্ট সময় অতিক্রম হইলে তাহাকে তামাদি বলে।

১০৯) তুদাবন্দী 👉 সীমানা নির্দেশ।

১১০) তহশিল 👉 খাজনাদি আয়ের নিমিত্ত নির্দিষ্ট এলাকাকে তহশিল বলে।

১১১) তলবানা 👉 সমন জারির সময় পিয়নকে প্রদত্ত ফিস।

১১২) তলববাকী 👉 বকেয়া খাজনা আদায়ের কিস্তি।

১১৩) তালুক 👉 নিম্নস্থ স্বত্ত্ব।

১১৪) তরমিমঃ শুদ্ধকরণ।

১১৫) তরতিব 👉 শৃংখলা।

১১৬) তৌজি 👉 ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তীয় ভূমির জন্য কালেক্টরীতে যে রেজিষ্ট্রী বই থাকে তাহাকে তৌজি বলে। প্রত্যেক তৌজির ক্রমিক নম্বর থাকে। জমিদারের অধীন প্রজার জোতকেও তৌজি বলা হয়।

🔸১১৭) দিয়ারা 👉 পলিমাটি দ্বারা গঠিত চর।

১১৮) দর পত্তনী 👉 পত্তনীর অধীন।

১১৯) দখলী স্বত্ত্ব বিশিষ্ট প্রজা 👉 দখলদার হিসেবে যে প্রজার স্বত্ত্ব আছে।

১২০) দশসালা বন্দোবস্ত 👉 দশ বৎসরের মেয়াদে বন্দোবস্ত দেওয়াকে দশসালা বন্দোবস্ত বলে।

১২১) দিয়ারা 👉 পলিমাটি দ্বারা গঠিত চর।

১২২) দাগ নম্বর 👉মৌজা নকশায় প্রত্যেক প্লটের যে সিরিয়াল নম্বর বসান হয়,তাহাকে দাগ নম্বর বলে।

১২৩) দরবস্ত 👉 সমুদয়।

১২৪) নথি 👉 রেকর্ড।

১২৫) দেবোত্তর 👉 দেবতাদিগকে প্রদত্ত নিষ্কর ভূমি।

১২৬) দেবিচর 👉 যে সকল বালুচর সাধারণ জোয়ারের পানিতে ডুবিয়া যায় তাহাদিগকে দেবিচর বলে।

১২৭) দিঘলি 👉 নির্দিষ্ট পরিমাণ খাজনা আদায়কারী একপ্রকার প্রজা।

১২৮) নক্সা ভাওড়ন 👉 পূর্ব জরিপ অনুসারে গ্রামের সীমাগুলো এখন আর ঠিক মতো পাওয়া যায় না। ফলে সীমানা লইয়া প্রায়ই জমিদারের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। পূর্বের ফিল্ডবুক অনুসারে প্রত্যেক লাইনের মাপ ও বিয়ারিং লইয়া, লাইনটি প্রথমে যেখানে যেভাবে ছিল, তা চিহ্নিত করিয়া, কোন জমি কোন মৌজার অন্তর্গত,তাহা ঠিক করার নামই,নক্সা ভাওড়ান বা রিলেইং বাউন্ডারীজ।

১২৯) নামজারী 👉 ভূম্যধিকারী সরকারের সাবেক নামের পরিবর্তে খরিদ্দার অথবা ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ব্যক্তির নাম রেজিস্ট্রী করাকে নামজারী বলে।

🔸১৩০) নাম খারিজ বা জমা খারিজ 👉 ১৬ আনা জোতার মোট জমা হইতে নামজারীকৃত ওয়ারিশ বা খরিদ্দারের দখলীয় জমির জমা ১৬ আনা জোতার জমার হার অনুসারে জাম ভাগ করিয়া দিয়া পৃথক জমা সৃষ্টি করাকে নাম খারিজ বা জাম খারিজ বলে।

শ্রীলংকার অর্থনৈতিক অবস্থার কথা সবার জানা। ‘দেশটি দেউলিয়া হবার পথে’ এমন অনেকে মন্তব্য করেছেন। অথচ শ্রীলংকার মাথাপিছু আয়...
07/04/2022

শ্রীলংকার অর্থনৈতিক অবস্থার কথা সবার জানা। ‘দেশটি দেউলিয়া হবার পথে’ এমন অনেকে মন্তব্য করেছেন। অথচ শ্রীলংকার মাথাপিছু আয় বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের চাইতে বেশি।

আসলে মাথাপিছু/ জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি কি নির্দেশ করে? আসুন জেনে নেই।
জিডিপি-
জিডিপি সূত্র: জিডিপি = ভোগ + বিনিয়োগ + (সরকারী ব্যয়) + (রপ্তানি − আমদানি)
জিডিপি যেহেতু ব্যয়ের উপর ভিত্তি করে গণনা করা হয়, তাই জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়লে বুঝতে হবে মানুষের ব্যয়ও বেড়ে গেছে। আগে মানুষ যে চাল ৪০ টাকা করে কিনতো, সেটা ৬০ টাকা করে কিনে। তাই জিডিপি বেড়েছে।
জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়লে বোঝায় যায়, সরকার অনেক অনেক উন্নয়ন (!) প্রকল্প গ্রহণ করতেছে এবং সেতু-ফ্লাইওভারের নাম দিয়ে দেশকে ঋণের বোঝায় ডুবায় দিচ্ছে।
জিডিপির প্রবৃদ্ধি যেহেতু বিনিয়োগের উপর ভিত্তি করে, তাই ব্যাংক থেকে ঋণ বা বিনিয়োগের নাম করে যে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে সেটাও জিডিপির প্রবৃদ্ধিকে বেগবান করেছে। তাই জিডিপির প্রবৃদ্ধি ব্যাংক লুটপাটও নির্দেশ করে।

মাথাপিছু-
এবার আসুন মাথাপিছু আয়ের হিসেবে। পরিসংখ্যা ব্যুরো দাবি করছে করছে মাথাপিছু আয় সম্ভবত ২৫০৯ ডলার মানে ২,১৫,৭৭৪ টাকা ।তাহলে ১ মাসের আয়= ১৭,৯৮১ টাকা। বাংলাদেশের প্রত্যেক জনগণের মাথাপিছু আয় এটা। সেটা ৯০ বছরের বৃদ্ধ হোক, ১ দিনের শিশু হোক। সে হিসেবে ৪ জন সদস্যের একটি পরিবার যদি ধরি, তবে ১টি পরিবারের মাসিক আয় ৭২,০০ টাকা।
এবার বলুন, বাংলাদেশে কতগুলো পরিবার আছে, যাদের মাসিক আয় ৭২ হাজার টাকা ?
শহরে পরিবার গুলোর মধ্যে মাসিক আয় ৭২ হাজার টাকা কতগুলো পরিবারের আছে ?
আর গ্রামের পরিবারগুলোর মধ্যে মাসিক আয় ৭২ হাজার টাকা কতগুলো পরিবারের আছে ?
এই হিসেব শেষ না করা পর্যন্ত মাথাপিছু আয় ‘খায় না মাথায় দেয়’ সেটাই বোঝা যাচ্ছে না।

জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয় কোন রাষ্ট্রগুলোতে ?
উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে-বাংলাদেশের থেকে বেশি জিডিপি’র প্রবৃদ্ধির রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আছে, লিবিয়া, ইথোপিয়া, ঘানা, গিনি, আর্মেনিয়া, আইভরি কোস্ট। (তথ্যসূত্র-০১) যেসব দেশে পশ্চিমা কোম্পানিগুলো গণহারে তাদের তেল সম্পদ তুলে নিয়ে যাচ্ছে, দেশগুলোতে চলছে গৃহযুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষ, বিদেশী সেনা মোতায়েন করে চলছে রাষ্ট্রীয় সম্পদ চুরি সেইসব দেশ জিডিপি তে প্রথম।

কেন জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে দেখায় ?
বিদেশী সম্রাজ্যবাদীদের আকৃষ্ট করার জন্য, বিনিয়োগ বা ঋণের নামে তাদের ডলার নেয়ার জন্য। কারণ বিদেশীরা যত ঋণ দিবে, সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের নামে তত বেশি লোপাট করতে পারবে। জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি দ্রুত বৃদ্ধি নির্দেশ করে, বিদেশীদের আসার পথ অধিকহারে উন্মুক্ত।

এমন অনেক রাষ্ট্র আছে- যাদের রাস্তাঘাট খুব উন্নত, কিন্তু ঐ দেশের মানুষ খেতে পায় না। যেমন, ব্রাজিলের বিভিন্ন শহরের নাম, যেমন- ‘সাও পাওলো’ বা ‘রিও ডি জেনিরো’ লিখে যদি আপনি গুগলের সার্চ দেন, তবে ভেসে ওঠবে অত্যাধুনিক সব স্থাপনা, রাস্তাঘাট, ফ্লাইওভার, স্টেডিয়াম, সু-উচ্চ ভবন আর ফাইভ স্টার হোটেলের ছবি। ওসব দেখে আপনার মনেই হবে না, ব্রাজিলে দরিদ্র মানুষ আছে, মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে, মাত্র ৫০ সেন্টের জন্য মেয়েরা নিজেদের শরীর বিলিয়ে দিচ্ছে। খাদ্যের জন্য বাবা-মা নিজ সন্তানকে বিক্রি করছে। (তথ্যসূত্র-০২) ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের ঠিক আগমুহুর্তে স্বাগতিক ব্রাজিলে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। ব্রাজিলের জনগণ রাস্তায় নেমে আসে এবং বলতে থাকে- “ফিফা তুমি ফিরে যাও”, “আমরা ফুটবল চাই না খাদ্য চাই”, “বিশ্বকাপ ফুটবল মানে অপচয়”, “ফুটবলে নয় স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে অর্থ চাই”- এরকম নানান শ্লোগান দিতে থাকে।

এই ষড়যন্ত্র তত্ত্বের নাম হচ্ছে ‘কর্পোরেটোক্রেসি’। সম্রাজ্যবাদীরা এভাবেই একটি দেশের অর্থনীতি দখল করে। সম্রাজ্যবাদীরা কোন দেশে নিজেদের সুবিধার জন্যই রাস্তাঘাট, ফ্লাইওভার, সেতু বানাতে পরামর্শ দেবে। থাকার সুবিধার জন্য ফাইভ স্টার হোটেল, এন্টারটেইনমেন্টের জন্য স্টেডিয়াম বানাতে বলবে, যা ঐ দেশে তখন দরকার ছিলো না। ঐ দেশের দুর্নীতিগ্রস্ত শাসকের মাধ্যমে তারা তাদের প্ল্যান বাস্তবায়ন করবে এবং সেগুলো বানানোর খরচ তারা ঐ দেশের জনগণের পকেট থেকে বের করবে, ফলে দেশে মূল্যস্ফিতি দেখা দেবে, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধি পাবে, জনগণ খাবার পাবে না। আবার সেই সব অবকাঠামো বানাতে গিয়ে সম্রাজ্যবাদীরা লাভবান হবে। যখন ঐ দেশে তারা ঘুড়তে যাবে, এন্টারটেইনমেন্ট করতে যাবে, ব্যবসায়ী কাজে যাবে তখন ঐ সব অবকাঠামো ব্যবহার করবে, ছবি তুলে বলবে- ‘দেখো দেশটা কত সুন্দর।’

বাংলাদেশে এখন একই সিস্টেম চলছে। বাংলাদেশের জনগণের টাকা দিয়ে, জনগণকে কষ্ট দিয়ে তৈরী করা হচ্ছে ফ্লাইংওভার, এক্সপ্রেসওয়ে, সেতুর মত ভৌত কাঠামো। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষকে চাল কিনতে হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি এভাবে ছলতে থাকলে চালের কেজি ১০০ টাকা দাঁড়াতে সময় লাগবে না বেশি দিন। বাংলাদেশের জনগণ বুঝছে না, তারা কত বড় ষড়যন্ত্রের কবলে পড়েছে। ব্রিটিশরা এ অঞ্চলে ক্ষমতা নেয়ার পর বেশ কয়েকটি দুর্ভিক্ষ ঘটায়। দুর্ভিক্ষে মারা যায় কয়েক কোটি

মানুষ। দুর্ভিক্ষ ঘটানোর কারণ, মানুষ পেট নিয়ে এত ব্যস্ত হয়ে পড়বে, তাদের দেশের সম্পদ কে লুটে নিয়ে গেলো তা টের পাবে না। বাংলাদেশের সম্পদের দিকেও এখন চোখ পড়েছে বিদেশী শত্রুদের, তাই দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে বাংলাদেশেও সৃষ্টি করা হচ্ছে কৃত্তিম দুর্ভিক্ষ। উদ্দেশ্য ১০০টাকায় চাল কিনতে না পেরে জনগণ হয়ে পড়বে হাড্ডিসার, এসুযোগে দেশের সম্পদ লুটতে পারবে বিদেশী শত্রুরা।

আনু মুহাম্মদ (Prof. JU) স্যারের সুরে বলতে চাই- বাংলাদেশের মতো জিডিপি আর মাথাপিছু আয়ের বৃদ্ধি নিয়ে সারাক্ষণ ‘রোল মডেল’ দাবি আর উৎসবের খবর না পেলেও বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় যেখানে ২৫৯০ মার্কিন ডলার (নতুন হিসাবে), শ্রীলংকায় সেখানে ৩৮৩০ মার্কিন ডলার। অপরিণামদর্শী নীতি, বাণিজ্যিক ঋণনির্ভরতা বৃদ্ধি, বিচার বিবেচনাহীন মেগা প্রজেক্ট, এক পরিবারের নেতৃত্বে ব্যাপক দুর্নীতির বিস্তার আর সেইসাথে প্রতিকূল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি শ্রীলংকার অর্থনীতিকে পথে বসিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় উচ্চ মাথাপিছু জিডিপি তাকে রক্ষা করতে পারেনি বরং যে প্রক্রিয়ায় জিডিপি বাড়ানো আর তথ্য আড়াল করে ‘উন্নয়ন’ দেখানো হয়েছে সেটাই কাল হয়েছে।

মাওলানা ফজলুর রহমান কি পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন?(পাকিস্তান সমস্যা, বিশ্লেষণ নয়, কিছু প্রশ্নের উত্তর...
28/03/2022

মাওলানা ফজলুর রহমান কি পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন?

(পাকিস্তান সমস্যা, বিশ্লেষণ নয়, কিছু প্রশ্নের উত্তর।)

প্রশ্ন- পাকিস্তানে সমস্যাটা আসলে কি নিয়ে?

উত্তর : ক্ষমতা নিয়ে। গত নির্বাচনে ইমরান খান ক্ষমতায় আসেন। তবে তিনি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেননি। তাই ছোট ছোট কয়েকটা দলকে নিয়ে সরকার গঠন করেছেন। এখন সেই দলগুলো নিজেদের স্বার্থে বিরোধীদের সাথে হাত মেলাচ্ছে। এতেই সমস্যা তৈরি হয়েছে।

প্রশ্ন- আর কোন সমস্যা আছে?

উত্তর : ইমরান খানের দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা হচ্ছেন জাহাঙ্গীর তারীন। তিনি প্রথম সারির নেতা ছিলেন। এবারের সরকারের তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু কিছুদিন পরেই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেন বিরোধী নেতারা। তদন্তে এর সত্যতাও পাওয়া যায়। একারণে জাহাঙ্গীর তারীনকে দল ও সরকার থেকে এক প্রকার বিচ্ছিন্ন করে দেন ইমরান খান। এছাড়াও আরো কিছু এমপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। ইমরান খান সিদ্ধান্ত নেন তাদের আগামীতে নমিনেশন দেবেন না। এরা সবাই গিয়ে একত্রিত হন জাহাঙ্গীর তারীনের সাথে। একটা গ্রুপ তৈরি হয়েছে এই নেতাদের। তাদের প্রধান জাহাঙ্গীর তারীন। তারা এখন প্রকাশ্যই ইমরান খানের বিরোধিতা করছেন এবং বিরোধীদের সাথে যুক্ত হতে চেষ্টা চালাচ্ছেন।

প্রশ্ন- সেনাবাহিনীর সাথে কোন সমস্যা আছে কি?

উত্তর : বলা হয়, সেনাবাহিনীর আশীর্বাদ ছাড়া পাকিস্তানে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারে না। ইমরান খানকে সেনাবাহিনীই সমর্থন দিয়ে ক্ষমতায় এনেছিলো। এর প্রতিদান স্বরূপ ইমরান খানও সেনা প্রধান জেনারেল বাজওয়াকে দ্বিতীয় দফায় সেনা প্রধানের দায়িত্ব দেন। তারপরেও এখন সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছে না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

প্রশ্ন- ইমরান খান পদ হারালে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? মাওলানা ফজলুর রহমান কি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন?

উত্তর : সংসদে ইমরান খানের দলের পর সবচেয়ে বেশি আসন মুসলিম লীগ এন-এর কাছে। এটি নওয়াজ শরীফের দল। তবে নওয়াজ শরীফ দুর্নীতির মামলায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অযোগ্য হয়ে গেছেন। তাই আইনি কারণে তিনি আর প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার ছোট ভাই শাহবাজ শরীফের নাম প্রস্তাব করেছে মুসলিম লীগ (এন)।

পাকিস্তানের পার্লামেন্টে মোট আসন সংখ্যা ৩৪২টি। বর্তমানে ইমরান খানের দল পিটিআই-এর এমপি আছে ১৫৫ জন। এরপরে আছে মুসলিম লীগ (এন)। তাদের এমপি ৮৪ জন। তৃতীয় স্থানে পাকিস্তান পিপলস পার্টি। তাদের এমপি ৫৬ জন। আর মাওলানা ফজলুর রহমানের এমপি মাত্র ১৪ জন। ইমরান খান ক্ষমতা থেকে সরে গেলেও ক্ষমতা মাওলানা সাহেবের কাছে যাবে না। ক্ষমতা যাবে এক সময়ে মাওলানা সাহেবের সাথেই বিশ্বাসঘাতকতা করা নওয়াজ শরীফের দল মুসলিম লীগ (এন)-এর কাছে। প্রধানমন্ত্রী হবেন নওয়াজের ভাই শাহবাজ শরীফ বা কন্যা মরিয়ম নওয়াজ।

প্রশ্ন- মাওলানা ফজলুর রহমানের সাথে ইমরান খানের বিরোধটা কোথায়?

উত্তর : মাওলানা ফজলুর রহমানের ঘাঁটি ও ইমরান খানের ঘাঁটি একটাই। অর্থাৎ খাইবার পাখতুনখোয়া। আগে এটিকে সিমান্ত প্রদেশ বলা হতো। এখান থেকেই মাওলানা ফজলুর রহমানের বাবা মুফতী মাহমুদ রহ. মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। এই অঞ্চলে মাওলানা ফজলুর রহমানের আধিপত্য ছিলো। কিন্তু ২০১৩ সাল থেকে এই প্রদেশের দখলে চলে যায় ইমরান খানের দল পিটিআই-এর কাছে। এখনো খাইবার পাখতুনখোয়া ইমরান খানের দখলে আছে। এতেই মূলত মাওলানা ফজলুর রহমানের সাথে ইমরান খানের বিরোধ শুরু। সর্বশেষ নির্বাচনে মাওলানা ফজলুর রহমান নিজের আসনে হেরে যান। এতে করে বিরোধটা আরো চরমে পৌঁছায়।

প্রশ্ন- ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধী দলসমূহের নেতৃত্ব কি মাওলানা ফজলুর রহমান একাই দিচ্ছেন?

উত্তর : না, এখানে একক কোন নেতৃত্ব নেই। ২০২০ সালে পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট নামে একটা জোট করেছিল বিরোধিতা। সেটার প্রধান করা হয়েছিলো মাওলানা সাহেবকে। কিন্তু সেটা পরবর্তীতে ভেঙ্গে যায়। বর্তমানে একক নেতৃত্ব নেই। যে যার মত করে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। বড় দলের নেত্রী হিসেবে প্রধান প্রতিপক্ষ বলা যেতে পারে মরিয়ম নওয়াজকে। তিনি বাবার হয়ে মাঠে মুসলিম লীগ (এন) -এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন। পাকিস্তান পিপলস পার্টির হয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বেনজিরের ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারী।

আর জমিয়তের প্রধান হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাওলানা ফজলুর রহমান। তবে বিরোধী দলসমূহের নেতাদের মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছেন মাওলানা সাহেব। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, মুসলিম লীগ (এন) ও পিপিপির মধ্যে বিরোধ অনেক বেশি। তাই মাওলানা সাহেব ছাড়া সমন্বয় সম্ভব হচ্ছে না বলা যায়।

প্রশ্ন- আমে*রিকা কি ইমরান খানকে সরিয়ে দিতে চাইছে?

উত্তর : অনেকটাই তাই মনে করা হচ্ছে। ইমরান খান শুরু থেকেই আমে*রিকা বিরোধী। আফ*গানিস্তানে আক্র*মণের সময় ইমরান খান সরাসরি বিরোধিতা করেন। এখনো সেই বিরোধ রয়ে গেছে। বিশেষ করে এবার ইউক্রেন রশিয়া ইস্যুতে ইমরান খান পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে শক্ত কথা বলে বসেন। পশ্চিমা দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাকিস্তান সরকারকে ইউক্রেনের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার জন্য আহবান জানিয়ে চিঠি দেন। ইমরান খান বলেন, আমরা আপনাদের গোলাম নই যে, যা বলবেন তাই করবো। পারলে ভারতকে বলেন। এটাকে পশ্চিমারা ভালো চোখে দেখিনি। তাই স্বাভাবিকভাবেই ইমরানের বিরুদ্ধে তারা শক্ত অবস্থান নিচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

প্রশ্ন- এখানে চীনের ভূমিকা কি?

উত্তর : আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে চীন চাচ্ছে ইমরান খান ক্ষমতায় থাকুক। তবে চীন কখনো সরাসরি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করে না।

প্রশ্ন- আলেম-উলামারা সবাই কি ইমরান খানের বিরোধী?

উত্তর : না, ইমরান খানের সাথে বিরোধটা মূলত জমিয়তের একাংশের। অর্থাৎ জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (এফ) -এর। জমিয়তের আরেক অংশ, অর্থাৎ শহীদ মাওলানা সামিউল হক রহ.-এর জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (এস) মৌন ভাবে সবসময় ইমরান খানকে সমর্থন দিয়ে আসছে। শহীদ মাওলানা সামিউল হক রহ.-কে বাবায়ে তালে*বান বলা হতো। তিনি জামিয়া হক্কানিয়ার মুহতামিম ছিলেন। এছাড়াও পাকিস্তানের আরেক বিখ্যাত আলেম মুফতী জারওয়ালী খান রহ. ছিলেন ইমরান খানের কট্টর সমর্থক। মাওনা তারীক জামিলসহ বেশিরভাগ আলেমের সাথে ইমরান খানের খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়াও মুফতী তাক্বী উসমানী সাহেবদের সাথে সম্পর্ক দুই পক্ষেরই সমান। ওনারা বিশেষ কারো পক্ষে নন।

প্রশ্ন - ইমরান খান কি কাদি*য়ানীদের পক্ষে?

উত্তর : ইমরান খানসহ পাকিস্তানের কোন দলই কাদি*য়ানীদের পক্ষে না। কাদিয়ানীদের পক্ষে অবস্থান নেওয়া পাকিস্তানে সম্ভব না। ইমরান খান এক কাদি*য়ানীকে উপদেষ্টা করতে চেয়েছিলেন। সে কাদি*য়ানী বিশ্বের অন্যতম সেরা অর্থনীতিবিদ। কিন্তু প্রতিবাদের মুখে ইমরান খান সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। এছাড়াও কাদি*য়ানীদের বিরুদ্ধে ইমরান খানের শক্ত বক্তব্য আছে। এনিয়ে কাদি*য়ানীরাও ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনেক বক্তব্য দিয়েছে।

মজার বিষয় হচ্ছে, পাকিস্তানে ইমরান খানের বিষয় কেউ কাদি*য়ানী ইস্যু না টানলেও বাংলাদেশে ইমরান খানের বিষয় আসলেই কাদি*য়ানী ইস্যু টানা হয়। একজনকে তো দেখলাম ইমরান খানের দল থেকে নির্বাচিত হওয়া পাকিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভীকেও কাদি*য়ানী বলছে! আরিফ আলভী মূলত কাদি*য়ানীদের প্রধান দুষমন জামায়াতে ইসলামী থেকে ইমরান খানের দলে এসেছেন। (জামায়াত কেন কাদি*য়ানীদের প্রধান দুষমন, সেটা ভিন্ন আলাপের বিষয়।)

প্রশ্ন - এই বিরোধে জামায়াতের অবস্থান কি?

উত্তর : জামায়াত এখানে মাওলানা ফজলুর রহমানের সাথেই আছেন বলা যায়। তারাও ইমরান খান সরকারকে উতখাত করার বিষয়ে এক মত।

প্রশ্ন - পারভেজ মোশারফের অবস্থান কার পক্ষে?

উত্তর : পারভেজ মোশারফ এখন নির্বাসিত অবস্থায় আছেন। সরাসরি রাজনীতির সাথে যুক্ত নন। তবে তার প্রতিষ্ঠিত দল মুসলিম লীগ (কিউ) এতদিন ইমরান খানের সাথে থাকলেও এখন বিরোধীদের সাথে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এই দলটির নেতৃত্বে আছেন চৌধুরী সুজ্জাত হুসাইন ও চৌধুরী পারভেজ ইলাহী। তাদের সংসদে এমপি ৫ জন।

20/03/2022

ভয়াবহ লঞ্চ দুর্ঘটনা

আজ ২০ মার্চ ২০২২ রবিবার দুপুরে, নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে সিটি গ্রুপের বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ এম ভি রুপসির ধাক্কায় নারায়ণগঞ্জ - মুন্সিগঞ্জ নৌ রুটের একটি যাত্রিবাহী সানকেন ডেক টাইপ লঞ্চ ডুবে গিয়েছে।
লঞ্চটিতে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিল বলে জানা যাচ্ছে।

ভিডিও কার্টেসি - রাকিব আল রাজু।

সাম্রাজ্যের পরিসমাপ্তি অ্যামেরিকান সাম্রাজ্যের পতন ঘনিয়ে আসছে। মধ্য প্রাচ্যের যুদ্ধ আর বিশ্ব জুড়ে ব্যাপক সামরিক সম্প্রসা...
16/03/2022

সাম্রাজ্যের পরিসমাপ্তি

অ্যামেরিকান সাম্রাজ্যের পতন ঘনিয়ে আসছে। মধ্য প্রাচ্যের যুদ্ধ আর বিশ্ব জুড়ে ব্যাপক সামরিক সম্প্রসারণ অ্যামেরিকার অর্থনীতিকে নিঃশেষিত করছে। বাড়তে থাকা ঋণ, ঘাটতি, ডি-ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইযেশান এবং বৈশ্বিক নানা বানিজ্য চুক্তির ভারে অ্যামেরিকার অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ছে। অ্যামেরিকার গনতন্ত্রকে বন্দি ও ধ্বংস করে ফেলেছে - ট্যাক্স মওকুফ, ডি-রেগুলেইশান, এবং ভয়ঙ্কর মাত্রার জোচ্চুরির পর সব ধরণের জবাবদিহিতা থেকে অব্যহতির আবদার করা - আর সরকারি বেইলআউটের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার লুট করা বড় বড় কর্পোরেইশানগুলো। ইউরোপ, ল্যাটিন অ্যামেরিকা, এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলোকে দিয়ে নিজেদের কাজ করিয়ে নেয়ার জন্য যে ন্যূনতম সম্মান ও শ্রদ্ধা পাওয়া দরকার, জাতি হিসেবে অ্যামেরিকা অনেক আগেই সেটা হারিয়েছে।

এসব কিছুর সাথে যোগ করুন জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঘনিয়ে আসা বিপর্যয় - অবশ্যম্ভাবী এক ডিসটোপিয়ার (Dystopia) রেসিপি পাবেন। এ পতনের তদারকি করছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বসে থাকা, মূর্খ, ভন্ড, চোর, সুবিধাবাদী আর যুদ্ধবাজ জেনারেলদের এক বিচিত্র দল। আর স্বচ্ছতার খাতিরে, এখনই বলে দেই, হ্যাঁ, আমি ডেমোক্রেটদের কথাও বলছি।

অ্যামেরিকান সাম্রাজ্য কিছুদিন খুড়িয়ে খুড়িয়ে এগিয়ে যাবে। ক্রমেই প্রভাব কমতে থাকবে। এক পর্যায়ে বিশ্বের রাষ্ট্রগুলো রিযার্ভ কারেন্সি হিসেবে ডলারের ব্যবহার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেবে। আর ঠিক তখনই অ্যামেরিকা এমন এক মারাত্মক, অবশ করে দেওয়া অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি হবে, যা তাকে তাৎক্ষনিকভাবে বাধ্য করবে নিজ সামরিক যন্ত্রের আকার কমিয়ে আনতে।

আকস্মিক ও ব্যাপক গণবিদ্রোহ ছাড়া এই মৃত্যুর এই ক্রমেই নিয়ন্ত্রণ হারাতে থাকা, এই সাম্রাজ্যের পতন থামানো অসম্ভব। আর এমন কোন বিদ্রোহ সম্ভাবনাও অত্যন্ত ক্ষীণ। যার অর্থ হল, সর্বোচ্চ এক থেকে দু’ দশকের মধ্যে, আমাদের চেনা অ্যামেরিকার আর অস্তিত্ব থাকবে না।

সাম্রাজ্যের পতনের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক শূন্যতা পূরণ করবে অতিকায় সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে ইতিমধ্যেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা চীন। অথবা রাশিয়া, চীন, ভারত, ব্রাযিল, তুর্কি, দক্ষিন আফ্রিকা এবং অন্যান্য আরো কিছু রাষ্ট্রকে নিয়ে বহুমেরুর এক বিশ্ব গড়ে উঠবে। কিংবা এ শূন্যতা পূরণ করবে “ডাভোস ও বিল্ডারবার্গ থেকে স্ব-নির্বাচিত অর্থনৈতিক নেতৃত্বের অধীনে বহুজাতিক কর্পোরেইশান ও ন্যাটোর মতো বহুপাক্ষিক সামরিক জোটকে একত্রিত করে তৈরি করা এমন এক অক্ষ, যা ছাড়িয়ে যাবে যেকোন জাতি, রাষ্ট্র অথবা সাম্রাজ্যকে” – যেমনটা ঐতিহাসিক অ্যালফ্রেড ডাবিউ. ম্যাকয় তার বই “In the Shadows of the American Century: The Rise and Decline of US Global Power” – তে লেখেছেন। [1]

অর্থনৈতিক বৃদ্ধি থেকে শুরু করে অবকাঠামোগত বিনিয়োগ – সুপারকম্পিউটার, মহাকাশে ব্যবহারের অস্ত্র, এবং সাইবার ওয়ারফেয়ারসহ অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তি – সব ক্ষেত্রে, সব সূচকে চাইনিযরা অ্যামেরিকাকে পেছনে ফেলে দিচ্ছে। ম্যাকয় তার বইয়ে উল্লেখ করেছেন যে - “২০১৫ এর এপ্রিলে অ্যামেরিকার কৃষি বিভাগ (Department of Agricuture) মতপ্রকাশ করেছে আগামী ১৫ বছরে অ্যামেরিকার অর্থনীতিতে বৃদ্ধি হবে প্রায় ৫০% এর মতো। অন্যদিকে একই সময়ে চীনের অর্থনীতি বেড়ে বর্তমান অবস্থার তিন গুন হবে, এবং ২০৩০ এর মধ্যে চীন অর্থনীতিতে অ্যামেরিকাকে ছাড়িয়ে যাবার দ্বারপ্রান্তে পৌছে যাবে।” চীন পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত ২০১০ সালে হয়। একই বছর বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় উৎপাদক রাষ্ট্রের স্থানটাও তারা দখল করে নেয় - যে অবস্থানটা এর আগের একশো বছর ধরে অ্যামেরিকার দখলে ছিল।

অ্যামেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগ (Department of Defense) “At Our Own Peril: DoD Risk Assessment in a Post-Primacy World” নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদন অনুযায়ী অ্যামেরিকার সামরিক বাহিনীর “(বিভিন্ন) রাষ্ট্রীয় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আগের মতো অজেয়, অনাক্রমনীয় অবস্থান আর নেই”, এবং “অ্যামেরিকান সামরিক বাহিনী এখন আর আগের মতো নিজ শক্তির কেন্দ্রের বাইরে, সুসংহত এবং টেকসই আঞ্চলিক সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখতে সমর্থ না”।

ম্যাকয়ের ধারণা অ্যমেরিকান সাম্রাজ্যের পতন আসবে ২০৩০ এর মধ্যে।

ক্ষয়িষ্ণু সাম্রাজ্যগুলো আত্মহননের একগুঁয়ে পথ বেছে নেয়। ঔদ্ধত্য তাদের অন্ধ করে রাখে, নিজেদের কমতে থাকা ক্ষমতার বাস্তবতা তারা স্বীকার করতে পারে না। বাস্তবতাকে মুছে দিয়ে তারা এমন এক কল্পরাজ্যে আশ্রয় নেয় যেখানে কঠিন ও অপ্রিয় সত্যগুলোর প্রবেশাধিকার থাকে না। গণতন্ত্র, জোটবদ্ধতা এবং রাজনীতিকে তারা প্রতিস্থাপন করে একপাক্ষিক হুমকি আর যুদ্ধের হাতুড়ি দিয়ে।

সামস্টিক এ আত্মপ্রতারণার কারণেই অ্যামেরিকা ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক স্ট্র্যাটিজিক ভুল করেছিল – ইরাক ও আফগানিস্তান আক্রমণ। বস্তুত এ ভুলই অ্যামেরিকান বিদায়ঘন্টা বাজিয়ে দিয়েছে।[2]

বুশ প্রশাসনের সময়কার এ যুদ্ধের স্থপতিদের, এবং মিডিয়া ও অ্যাকাডেমিয়ায় তাদের মূর্খ স্তাবক তোতাপাখিদের এ দেশদুটোর ব্যাপারে বাস্তব ধারণা ছিল খুব কম। এ ধরণের যুদ্ধের ফলাফল সম্পর্কে তাদের চিন্তাভাবনা ছিল শিশুসুলভ, এবং এ আক্রমণের ভয়ঙ্কর প্রতিক্রিয়া মোকাবেলার কোন রকমের প্রস্তুতি তাদের ছিল না। তারা দাবি করেছিল, সম্ভবত বিশ্বাসও করেছিল সাদ্দাম হোসেইনের কাছে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র আছে, যদিও এ দাবির পক্ষে কোন গ্রহণযোগ্য প্রমাণ তাদের কাছে ছিল না। তারা বলেছিল, বাগদাদে গণতন্ত্র স্থাপিত হবে এবং তারপর তা ছড়িয়ে পড়বে পুরো মধ্য প্রাচ্যে। তারা অ্যামেরিকান জনগণকে আশ্বস্ত করেছিল - ইরাকি ও আফগানরা হাসিমুখে, কৃতজ্ঞচিত্তে অ্যামেরিকান সেনাদের ত্রাণকর্তা হিসেবে বরণ করে নেবে। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ইরাকের তেলের টাকা দিয়েই ইরাক পুনর্গঠন করা সম্ভব হবে। তারা জোরগলায় দাবি করেছিল, দ্রুত ও আগ্রাসী সামরিক আঘাত – শক অ্যান্ড অ’ (shock & awe) – মধ্যপ্রাচ্যে অ্যামেরিকান কর্তৃত্ব এবং নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্টিত করবে।

বাস্তবতা ছিল তাদের দাবির সম্পূর্ণ বিপরীত।

যেবিগ্নিউ ব্রেযনিস্কির ভাষায় – “ইরাকের বিপক্ষে স্বেচ্ছায় শুরু করা এই একপাক্ষিক যুদ্ধ অ্যামেরিকান বৈদেশিক নীতির অন্যায্যতার ব্যাপারে বিশ্ব জুড়ে অত্যন্ত দ্রুত, অত্যন্ত নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করেছিল।”

সাম্রাজ্যের অন্তিম পর্যায়ে ঘটা এসব সামরিক কেলেঙ্কারিকে ঐতিহাসিকরা বলেন “মাইক্রো-মিলিটারিযম” (micro-militarism). এথেন্সবাসী মাইক্রো-মিলিটারিযমে লিপ্ত হয়েছিল পেলোপোনেইশান (৪৩১-৪০৪ খ্রিষ্টপূর্ব) যুদ্ধের সময় সিসিলি আক্রমণের মাধ্যমে। এর ফলে তারা হারিয়েছিল ২০০ জাহাজ ও হাজার হাজার সেনা। এ ঘটনা পুরো সাম্রাজ্য জুড়ে বিদ্রোহের স্ফুলিঙ্গ হিসেবে কাজ করেছিল। ১৯৫৬ সালে সুয়েজ প্রণালীর জাতীয়করণকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া দ্বন্দ্বের জের ধরে মিশর আক্রমণ করে, ব্রিটেন একইধরনের ভুল করেছিল। আক্রমণের অল্প কিছু দিন পরই অপমানিত ব্রিটেন পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল। এ ঘটনার ফলে আরব জুড়ে জামাল আব্দুন-নাসেররের মতো জাতীয়তাবাদী নেতাদের অবস্থান শক্ত হয়েছিল, এবং যে ক’টি অবশিষ্ট উপনিবেশের ওপর তখনো ব্রিটেনের কর্তৃত্ব টিকে ছিল, তারা সেগুলোর নিয়ন্ত্রণও হারিয়ে ফেললো। এথেন্স বা ব্রিটেন, কেউই এ ভুলগুলোর পর ঘুরে দাড়াতে পারেনি।

ম্যাকয়ের মতে – “সামরিক শক্তি প্রয়োগ, দখলদারিত্ব, ও দূরবর্তী উপনিবেশ নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে উদীয়মান সাম্রাজ্যগুলো বিচক্ষণতা, দূরদৃষ্টি ও যৌক্তিক চিন্তার পরিচয় দেয়। অন্যদিকে ম্লান হয়ে আসা পতনোন্মুখ সাম্রাজ্যগুলোর ঝোঁক থাকে শক্তি প্রদর্শনের হঠকারী পদক্ষেপ আর কাল্পনিক কোন সামরিক মহাকৌশলের মাধ্যমে এক ধাক্কায় হারানো সম্মান ও শক্তি ফিরে পাবার আকাশকুসুম স্বপ্নের দিকে। অধিকাংশ সময়, সাম্রাজ্যবাদের অবস্থান থেকেও অযৌক্তিক এসব মাইক্রো-মিলিটারি অভিযান বা যুদ্ধগুলোর খরচ জোগাতে সাম্রাজ্যের সম্পদ ক্রমেই নিঃশেষিত হতে থাকে। অথবা তারা লজ্জাজনকভাবে পরাজিত হয়, যা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে যাওয়া পতনের প্রক্রিয়াকে আরো ত্বরান্বিত করে।”

অন্যান্য জাতিগুলোকে নিয়ন্ত্রণের জন্য শক্তিই যথেষ্ট না। সাম্রাজ্যগুলোর আরও বেশি কিছুর প্রয়োজন হয় - এক ধরণের মিস্টিক (Mystique) – এর। এমন কিছু যা সাম্রাজ্যবাদী লুটপাট, শোষণ ও নিপীড়নকে আড়াল করে রাখবে। এমন কোন মুখোশ যা উপনিবেশের বোকা নেটিভ অভিজাতদের সাম্রাজ্যাবাদের জন্য কাজ করতে প্রলুব্ধ করবে, অথবা কমসেকম তাদের নিষ্ক্রিয় করে রাখবে। আর যেসব জনগণ ও সেনাদের পয়সা ও রক্ত দিয়ে সাম্রাজ্য গড়ে ওঠে - এই মিস্টিক তাদের সামনে, সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের ওপর সভ্যতা; এমনকি মাহাত্ম্যের একটা আস্তরণ তৈরি করে উপস্থাপন করবে।

কেন্দ্রের আদলে উপনিবেশগুলোতে ব্রিটিশ সংসদীয় গণতন্ত্রের আপাত প্রতিষ্ঠা, পোলো, ক্রিকেট আর ঘোড়দৌড়ের মতো বিভিন্ন ব্রিটিশ খেলার আমদানী, জাকজমকপূর্ণ পোশাক পরা রাজপ্রতিনিধি আর মহাসাড়ম্বরে রাজবংশীয়দের প্রদর্শনী – এসব কিছু ছিল ঐ মিস্টিক, যা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের “অজেয় নেভি ও সামরিক বাহিনীর” পরিপূরক হিসেবে কাজ করতো। ১৮১৫ থেকে ১৯১৪ পর্যন্ত ইংল্যান্ড নিজের সাম্রাজ্য ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল। তারপর তারা বাধ্য হয় বিশ্ব মঞ্চ থেকে নিয়মিত পশ্চাদপসরনে।

গণতন্ত্র, মুক্তি আর সাম্য নিয়ে অ্যামেরিকার গালভরা বুলির পাশাপাশি – বাস্কেটবল, বেইসবল ও হলিউড, অ্যামেরিকার সামরিক বাহিনীকে পূজনীয়, অজেয়, অপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রায় ঐশ্বরিক শক্তি হিসেবে উপস্থাপন – এসব কিছুই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বকে মন্ত্রমুগ্ধ অথবা আতঙ্কিত করে রেখেছিল। কিন্তু পর্দার আড়ালে, অ্যামেরিকান সাম্রাজ্যের প্রসার ঘটেছিল, মার্কিন সমর্থিত অভ্যুত্থান, সাজানো নির্বাচন, রাজনৈতিক হত্যাকান্ড, প্রপাগ্যান্ডা ক্যাম্পেইন, ঘুষ, ব্ল্যাকমেইল, হুমকি ও নির্যাতন – এর মতো সিআইএ-এর নানা নোংরা কৌশলের মাধ্যমে।

কিন্তু আজ আর এগুলো কাজ করছে না।

অ্যামেরিকা তার মিস্টিক হারিয়েছে। এ অপূরনীয় ক্ষতি তাকে “প্রায় অক্ষমে” পরিণত করেছে। এর ফলে সাম্রাজ্যের দেখাশোনার জন্য দালাল খুজে পাওয়া কঠিন হয় গেছে। যেমনটা আমরা ইরাক ও আফগানিস্তানে দেখেছি। আবু গ্রাইবে আরব বন্দিদের ওপর চালানো শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের ছবিগুলো মুসলিম বিশ্বে প্রতিশোধের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং আল-ক্বাইদা ও আইএস-এর জন্য জোগাড় করেছে অসংখ্য নতুন সদস্য । মার্কিন নাগরিক আনওয়ার আল-আওলাকি ও ওসামা বিন লাদেনসহ বিভিন্ন জিহাদি নেতাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুপ্তহত্যা অ্যামেরিকার প্রচারিত আইনের শাসনের (Habeas Corpus) পুরো ধারণাকেই উপহাসে পরিণত করেছে, হাস্যস্পদ করে তুলেছে।

লক্ষা লক্ষ মৃতদেহ, অ্যামেরিকার ব্যর্থ সামরিক আগ্রাসনের পরিণতি থেকে পালাতে বেপরোয়া লক্ষ লক্ষ আরব রিফিউজি এবং ড্রোন হামলার প্রায় নিরবচ্ছিন্ন হুমকি - সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে অ্যামেরিকার স্বরূপ প্রকাশ করে দিয়েছে। ব্যাপক নৃশংসতা, নির্বিচার সহিংসতা, মিথ্যা এবং প্রতিবন্ধীর মতো হিসেবের গড়মিলের প্রতি যে আসক্তি ভিয়েতনামে অ্যামেরিকান সেনাবাহিনীর পরাজয়ের কারণ হয়েছিল, মধ্যপ্রাচ্যে তার পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে।

দেশের বাইরে চালানো এ নৃশংসতারা সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দেশের ভেতরের সহিংসতা। সামরিকায়িত এক পুলিশ বাহিনী নিয়মিত গুলি করে হত্যা করছে নিরস্ত্র, গরীব এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে অশ্বেতাঙ্গ নাগরিকদের। বৈশ্বিক জনসংখ্যার মাত্র ৫% হবার পরও অ্যামেরিকার কারাগারগুলোতে আবদ্ধ পুরো পৃথিবীর মোট বন্দিদের ২৫%। অ্যামেরিকার অনেক শহর ধ্বংস হয়ে গেছে। গণপরিবহন ব্যবস্থায় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। মার্কিন শিক্ষা ব্যবস্থার মানের অবনতি হচ্ছে, এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রাইভেটাইয করা হচ্ছে। অপিঅয়েড আসক্তি , আত্মহত্যা, বন্দুকধারীদের চালানো গণহত্যা, ডিপ্রেশান এবং বীভৎস স্থুলতা আজ প্লেগের মতো জেঁকে বসেছে প্রগাঢ় হতাশার অন্ধকূপে আটকে যাওয়া এক জনগোষ্ঠীর ওপর।

অ্যামেরিকার শাসনব্যবস্থার ওপর ওয়াল স্ট্রিটের নীরব কর্পোরেট অভ্যুত্থান এবং রাষ্ট্রের অর্ধেকেরও বেশি অংশকে ভোগানো দারিদ্র্য - অ্যামেরিকান স্বপ্নের অবাস্তবতার ব্যাপারে অ্যামেরিকানদের মোহমুক্তি ঘটিয়েছে। জন্ম দিয়েছে গভীরে প্রোথিত ক্ষোভের। এ প্রতিক্রিয়া একদিকে ট্রাম্পকে নির্বাচনে বিজয়ী করেছে, অন্যদিকে “অ্যামেরিকা একটি কার্যকরী গণতন্ত্র” – এই মিথ্যে ধারণা ভেঙ্গে দিয়েছে। অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্টের টুইট এবং বক্তব্যগুলো ঘৃণা, বর্ণবাদ, গোঁড়ামিতে পরিপূর্ণ। দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি ব্যাঙ্গ-বিদ্রূপে ভরা। এই প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘের অধিবেশনে একটি রাষ্ট্রকে পৃথিবীর বুক থেকে মুছে ফেলার এবং একটি জাতির ওপর গণহত্যা চালানোর হুমকি দিয়েছে।

অ্যামেরিকা এখন বিশ্বজুড়ে উপহাস ও ঘৃণার পাত্র। অন্ধকার ভবিষত্যের পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে একের পর এক ডিস্টোপিয়ান সিনেমাতে, যেগুলো আর অ্যামেরিকার মাহাত্ম্যের কথা বলে না, অ্যামেরিকার বিশেষত্বের কথা বলে না, মানবজাতির উন্নতির মুখস্থ, মিথ্যে বুলি আওড়ায় না – বরং এক অন্ধকার, হতাশাময় ভবিষত্যের ছবি আঁকে।

অ্যালফ্রেড ম্যাকয়ের ভাষায় –

“সর্বশ্রেষ্ঠ বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে অ্যামেরিকার মৃত্যু আমাদের ধারণার চেয়েও অনেক দ্রুত হতে পারে। যদিও সাম্রাজ্যগুলোর অসীম শক্তিধর বা অজেয় হবার একটা মায়াজাল ছড়িয়ে থাকে, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাম্রাজ্যগুলো বিস্ময়কর রকমের ভঙ্গুর হয়ে থাকে। একটা সাধারন জাতিরাষ্ট্রের সমান সহজাত শক্তিও তাদের থাকে না। সবচেয়ে শক্তিশালী সাম্রাজ্যেরও বিভিন্ন বিচিত্র কারণে পতন ঘটতে পারে। বিশ্ব ইতিহাসের সাম্রাজ্যগুলোর ইতিহাসের দিকে এক নজর তাকানোই এ সত্য মনে করিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। তবে সাধারণত রাজস্ব ও অর্থনৈতিক চাপ প্রধান অথবা প্রাথমিক ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে।

প্রায় দু’শতাব্দী ধরে অধিকাংশ স্থিতিশীল রাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য ছিল স্বদেশের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি অর্জন ও বজায় রাখা। বৈদেশিক বা সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন ছিল অপশনাল। বাজেটের ৫% এর বেশি এর পেছনে ব্যয় করা হতো না। কিন্তু একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রে প্রায় প্রাকৃতিকভাবে যে অর্থায়নের উদ্ভব ঘটে সেটার অবর্তমানে সাম্রাজ্যগুলো যেকোন মূল্যে লুটপাট অথবা মুনাফার জন্য বুভুক্ষু শিকারির মতো আচরণ করে। অ্যাটল্যানন্টিক দাস ব্যবসা, কঙ্গোতে বেলজিয়ামের রাবার লালসা, ব্রিটেনের ভারতীয় আফিম বাণিজ্য, তৃতীয় রাইখের হাতে ইউরোপের ধর্ষন অথবা সোভিয়েত ইউনিয়নের দ্বারা পূর্ব ইউরোপের শোষণ - এমন আচরণের জন্য সাম্রাজ্যবাদ কুখ্যাত।”

কিন্তু যখন রাজস্ব প্রবাহ শুকিয়ে আসে, কিংবা থেমে যায়, ম্যাকয়ের মতে - “অতিকায় সাম্রাজ্যগুলো ভঙ্গুর হয়ে পড়ে”। সাম্রাজ্যগুলোর ক্ষমতার বলয় এতোটাই দুর্বল যে, আসল বিপদ আসলে অভাবনীয় দ্রুততার সাথে তাদের পতন ঘটে।

পর্তুগালের সময় লেগেছিল মাত্র এক বছর, সোভিয়েত ইউনিয়নের লেগেছিল দু বছর, ফ্রান্সের আট বছর, অটোমানদের এগারো বছর, “গ্রেট ব্রিটেনের” সতেরো বছর, এবং খুব সম্ভবত অ্যামেরিকার জন্য সময়টা হল ২০০৩ এর ইরাক আক্রমণ থেকে শুরু করে ২৭ বছর।”[3]

ইতিহাস থেকে মোটমাট ৬৯টি সাম্রাজ্যের অস্তিত্বের কথা জানতে পাওয়া যায়। কোনটিই পতনের সময় যোগ্য নেতৃত্ব পায়নি। বরং এ পর্যায়ে ক্ষমতা গেছে রৌমান সম্রাট ক্যালিগুলা অথবা নিরোর মতো বিকৃত পশুদের কাছে। আমরা হয়তো এখন অ্যামেরিকায় বিকৃত, অসুস্থ বক্তৃতাবাজ নেতাদের কাছে শাসনকর্তৃত্ব যাবার এ প্রক্রিয়ারই বাস্তবায়ন দেখছি।

ম্যাকয়ের মতে - “অধিকাংশ অ্যামেরিকান ২০২০ এর দশককে মনে রাখবে - সেই একই বেতন দিয়ে হতাশাজনক, মনোবল ভেঙ্গে দেওয়া, মূল্যস্ফীতির বাজারের মুখোমুখি হওয়া, আর ম্লান হতে থাকা আন্তর্জাতিক প্রভাবের জন্যে।”

বৈশ্বিক রিযার্ভ কারেন্সি হিসেবে ডলারকে যখন বাদ দেওয়া হবে, অ্যামেরিকার আর তখন ডলার ছাপানোর মাধ্যমে ঋণ ও বাজেট ঘাটতি মেটাতে পারবে না। খুব দ্রুত, খুব তীব্রভাবে অ্যামেরিকার ট্রেজারি বন্ডের অবমূল্যায়ন ঘটবে। আমদানির খরচ বেড়ে যাবে। বেকারত্বের বিস্ফোরণ ঘটবে। “অগুরুত্বপূর্ণ নানা ইস্যু নিয়ে সমাজের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সংঘর্ষ দেখা দেবে। ফলে উত্থান ঘটবে বিপদজনক কট্টর জাতীয়তাবাদের (hypernationalism) যা জন্ম দিতে পারে অ্যামেরিকান ফ্যাসিযমের।”

পতনের যুগেও প্যারানয়েড, বিচ্ছিন্ন, অপমানিত, নিন্দিত অভিজাতশ্রেণি প্রতিটি বাঁকে শত্রু আবিষ্কার করবে। পাইকারি নজরদারি, নাগরিক স্বাধীনতার ধ্বংস, নির্যাতনের সুক্ষাতিসুক্ষ পদ্ধতি, সামরিকায়িত পুলিশ, অতিকায় কারাগার, হাজার হাজার সামরিক ড্রোন আর স্যাটেলাইট - বৈশ্বিক কর্তৃত্বের জন্য গড়ে তোলা এসব যন্ত্রপাতি এবার ব্যবহার করা হবে স্বদেশে। সাম্রাজ্য ধ্বসে পড়বে। অ্যামেরিকা নিজেই নিজেকে গ্রাস করবে। কর্পোরেট রাষ্ট্রের শাসকদের হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে না নিলে আমাদের জীবদ্দশাতেই তা ঘটবে।

* * *
লেখক - ক্রিস হেজেস

ক্রিস হেজেস একজন কলামিস্ট। পুলিতযার পুরস্কার পাওয়া সাংবাদিক। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির সাবেক প্রফেসর। অ্যাক্টিভিস্ট, এবং একাধিক বেস্ট-সেলিং বইয়ের লেখক। এখনো পর্যন্ত তার লেখা ১১টি বই প্রকাশিত হয়েছে।

[1] লেখকের এ পয়েন্টের সাথে দ্বিমত আছে। অন্যান্য আরো পয়েন্টেও আছে, তবে এ পয়েন্টটা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ইন শা আল্লাহ সুযোগ পেলে অন্য কোন লেখায় এটা নিয়ে আলোচনা করা হবে।

[2] নিসন্দেহে অ্যামেরিকার এ “মারাত্মক স্ট্র্যাটিজিক ভুল” – এর ট্রিগার ছিল ৯/১১। এক অর্থে ৯/১১ অ্যামেরিকাকে এই স্ট্র্যাটিজিক ভুলের অর্ধেকের জন্য বাধ্য করেছিল।

[3] হেজেস এবং ম্যাকয়ের যুক্তি অনুযায়ীই, ২০০১ থেকে হিসেবে শুরু করাও খুব একটা অযৌক্তিক হবে না।

আসিফ আদনান

Address

Sylhet

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when The daily news point posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to The daily news point:

Share