Imran Emon - ইমরান ইমন

Imran Emon - ইমরান ইমন Author, Short Story Writer, Content Creator & Cultural Activist.

❝আমি এবং আমাদের গল্প—কথক❞

:: প্রকাশিত বই ::
১/- ছোটোগল্পগ্রন্থ— 'এই তো তুমি এলে' অমর একুশে বইমেলা- ২০১৮ তে প্রকাশিত।
২/- ছোটোগল্পগ্রন্থ— 'বসন্তকথা' অমর একুশে বইমেলা- ২০২১ এ প্রকাশিত।

আমি একসময় সংবাদের পেছনে দৌড়তে চেয়েছিলাম, তারপর হুট করে হাওয়া এসে বদলে দিলো সব...এখন সংবাদ পড়ি আর দেখি! বুঝতে পারি কিনা ত...
08/08/2025

আমি একসময় সংবাদের পেছনে দৌড়তে চেয়েছিলাম, তারপর হুট করে হাওয়া এসে বদলে দিলো সব...
এখন সংবাদ পড়ি আর দেখি! বুঝতে পারি কিনা তা বুঝে আসে না!

নীরব থাকো। শোনো। দেখো। বুঝো!
01/08/2025

নীরব থাকো। শোনো। দেখো। বুঝো!

29/07/2025

পথিকের পথচলা থেমে গেলো পাখির গানে। প্রকৃতিতে কিচিরমিচির শব্দ যেন প্রাণে এক নতুন দোলা এনে দিলো। ক্লান্ত পায়ে হেঁটে চলা মানুষটি দাঁড়িয়ে গেলো— শুধু শোনার জন্য, উপলব্ধি করার জন্য। পাখির সেই ছোট্ট বার্তা যেন বলে উঠল, ‘আছি, বেঁচে আছি, এক টুকরো সবুজে।’
প্রাণভরে পথিক শুনতে লাগল প্রকৃতির ভাষা, জীবনের ডাক। গাছের ছায়ায় বসে একটু জিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানালো প্রকৃতি নিজেই— ভালোবাসায়।

🗓️ ২৮ জুলাই, ২০২৫
📍 সিলেট

শুভ জন্মদিন স্যার
25/07/2025

শুভ জন্মদিন স্যার

23/07/2025

সন্তান হারিয়ে নিস্তব্ধ পিতার আহাজারি...

মহান রব, তুমি ছোট ছোট বাচ্চাদের রক্ষা করো। সহায় হও। পৃথিবীটাকে শান্ত করো, মাবুদ।🤲
21/07/2025

মহান রব, তুমি ছোট ছোট বাচ্চাদের রক্ষা করো। সহায় হও। পৃথিবীটাকে শান্ত করো, মাবুদ।🤲

হুমায়ূন আহমেদ যেভাবে গুলতেকিনকে বিয়ে করেছিলেন!গুলতেকিন এর সঙ্গে বিয়ে প্রসঙ্গে হুমায়ূন আহমেদ বলেন, এই জীবনে বেশিরভাগ কা...
19/07/2025

হুমায়ূন আহমেদ যেভাবে গুলতেকিনকে বিয়ে করেছিলেন!

গুলতেকিন এর সঙ্গে বিয়ে প্রসঙ্গে হুমায়ূন আহমেদ বলেন, এই জীবনে বেশিরভাগ কাজই আমি করেছি ঝোঁকের মাথায়। ডিগ্রী শেষ করে দেশে ফিরলাম। সাত বছর আমেরিকায় কাটিয়ে যে সম্পদ নিয়ে ফিরলাম তা হলো, নগদ পঞ্চাশ ডলার, দুই স্যুটকেস ভর্তি বাচ্চাদের পুরানো খেলনা, এক স্যুটকেস বই এবং প্রচুর চকলেট।

কাজে-কর্মে, চিন্তা-ভাবনায় আমি শুধু যে গোছানো তা না, অসম্ভব গোছানো। উদ্ভট একেকটা কাণ্ড করে বসি। কোনো সুস্থ মাথার মানুষ যা কখনো করবে না। গুলতেকিনের সঙ্গে বিয়ে হয় এমন ঝোঁকের মাথায়। তখন আমি হতদরিদ্র। লেকচারার হিসেবে ইউনিভার্সিটি থেকে সব মিলিয়ে সাত/আটশ টাকা পাই। দুই ভাইবোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বাবর রোডের এক বাসায় থাকি। সে বাসা সরকারী বাসা। এভিকেশন নোটিস হয়ে গেছে। ম্যাজিস্ট্রেট নিজে এসে বলে গেছেন, বাড়ি ছেড়ে দিতে। পনেরো দিনের নোটিস। বাড়ি না ছাড়লে পুলিশ দিয়ে উঠিয়ে দেওয়া হবে। টাকা-পয়সার দিক দিয়ে একেবারে নিঃস্ব। মাসের শেষের দিকে বেশির ভাগ সময়ই বাসে করে ইউনিভার্সিটিতে আসার পয়সাও থাকে না। হেঁটে হেঁটে আমি ক্লাসে যাই। ক্লাস শেষ করে ক্লান্ত হয়ে হেঁটে হেঁটে বাসায় ফিরি। নিতান্ত পাগল না হলে এমন অবস্থা কেউ বিয়ের চিন্তা করে না।

আমার মনে হলো, গুলতেকিন নামের এই বালিকাটিকে পাশে না পেলে আমার চলবে না। গুলতেকিনের মা-বাবা আমার কাছে মেয়ের বিয়ে দেবেন না। বড় মেয়েরই বিয়ে হয়নি। ক্লাস টেনে পড়া মেয়ের বিয়ে হবে কী করে? কী করা যায় কিছুই ভেবে পাই না।

একদিন গুলতেকিন ডিপার্টমেন্টে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। আমি বললাম, চলো, এক কাজ করি– আমরা কোর্টে গিয়ে বিয়ে করে ফেলি। সে চোখ বড় বড় করে বলল,
–কেন? কোর্টে গিয়ে বিয়ে করব কেন?
–খুব মজা হবে। নতুন ধরনের হবে। ব্যাপারটা খুব নাটকীয় না? তোমাকে ভাবার জন্য তিন মিনিট সময় দিলাম। তুমি ভেবে দেখ, তারপর বলো।
সে ভাবার জন্য তিন মিনিটের মতো দীর্ঘ সময় নিল না। এক মিনিট পরেই বলল,
–চলুন যাই। কিন্তু আমি তো শাড়ি পরে আসিনি। সালোয়ার-কামিজ পরে কি বিয়ে করা যায়?

কোর্টে শেষ পর্যন্ত যাওয়া হলো না। কনের বয়স চৌদ্দ। এই বয়সে বিয়ে হয় না। আমি কোনো উপায় না দেখে তার ফুপু খালেদা হাবীবকে একটি দীর্ঘ চিঠি লিখলাম। আমার সাহিত্যপ্রতিভার পুরোটাই ঢেলে দিলাম চিঠিতে। চিঠি পড়ে তিনি বিস্মিত এবং খুব সম্ভব মুগ্ধ। কারণ তিনি গুলতেকিনের পরিবারের সবাইকে ডেকে দৃঢ় গলায় বললেন, এই ছেলের সঙ্গেই গুলতেকিনের বিয়ে দিতে হবে। অন্য কোথাও নয়। ভবিষ্যৎ-এ যা হবার হবে।
আমার চিঠির জবাবে তিনি লিখলেন – আপনার অদ্ভুত চিঠি পেয়েছি। এত বানান ভুল কেন?

তারা ক্লাস টেনে পড়া মেয়েকে আমার সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হয়েছেন। এপ্রিল মাসের ২৮ তারিখে বিয়ে হবে। এই খবরে আমার এবং মা’র মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। হাতে একটা পয়সা নেই। যেকোনো মুহূর্তে আমাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেবে। এই অবস্থায় বিয়ে! কে জানে নতুন বউ নিয়ে বাসায় এসে দেখা যাবে পুলিশ দিয়ে সবাইকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। নতুন বউ নিয়ে রাস্তায় রাত কাটাতে হবে।

মা তাঁর সর্বশেষ সম্বল বাবার দেওয়া হাতের একজোড়া বালা, যা তিনি চরম দুঃসময়েও যক্ষের ধনের মতো আগলে রেখেছিলেন, বিক্রি করে বিয়ের বাজার করলেন। জিনিসপত্রগুলি খুব সস্তা ধরনের কিন্তু তাতে মিশে গেল আমার বাবা এবং মা’র ভালোবাসা। আমি জানতাম, ভালোবাসার এই কল্যাণময় স্পর্শেই আমার অনিশ্চয়তা, হতাশা কেটে যাবে।

বউ নিয়ে বাসায় ফিরে বড় ধরনের চমক পেলাম। আমার শোবার ঘরটি অসম্ভব সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছে আমার ছোট বোন। আমাদের কোনো ফ্যান ছিল না। কিন্তু আজ মাথার উপরে ফ্যান ঘুরছে। বিছানায় কী সুন্দর ভেলভেটের চাদর। খাটের পাশে সুন্দর দুটি বেতের চেয়ার। বেতের চেয়ারের পাশে ছোট্ট একটা টেবিলে একগাদা রক্ত গোলাপ। গোলাপের পাশে একটা চিঠিও পেলাম। মেজো বোন শিখুর লেখা চিঠি–

“দাদা ভাই,
তুমি যেসব গান পছন্দ করতে তার সব ক’টি টেপ করা আছে। কথা বলতে বলতে তোমরা যদি ক্লান্ত হয়ে পড় তাহলে ইচ্ছা করলে গান শুনতে পার। দরজার কাছে একটা ক্যাসেট প্লেয়ার রেখে দিয়েছি।”

ক্যাসেট প্লেয়ার চালু করতেই সুচিত্রা মিত্রের কিন্নর কণ্ঠ ভেসে এলো– ভালোবেসে যদি সুখ নাহি তবে কেন, তবে কেন মিছে এ ভালোবাসা?
গভীর আবেগে আমার চোখে জল এসে গেল। আমি সেই জল গোপন করবার জন্য জানালা দিয়ে তাকিয়ে বললাম,
–কেমন লাগছে গুলতেকিন?
সে নিচু গলায় বলল,
–বুঝতে পারছি না। কেমন যেন স্বপ্ন স্বপ্ন লাগছে।
–ঘুম পাচ্ছে?
–না।
সারারাত আমরা গান শুনে কাটিয়ে দিলাম দু’জনের কেউই কোন কথা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। গান শোনা ছাড়া উপায় কী?

পরদিন ভোরবেলা খুব দুঃখজনক ব্যাপার ঘটল। যাদের বাসা থেকে সিলিং ফ্যান ধার করে আনা হয়েছিল তারা ফ্যান খুলে নিয়ে গেল। গুলতেকিন বিস্মিত হয়ে বলল,
–ওরা আমাদের ফ্যান খুলে নিচ্ছে কেন?
আমি মাথা নিচু করে রইলাম। জবাব দিতে পারলাম না। বিছানার চমৎকার চাদর, বেতের চেয়ার, ক্যাসেট প্লেয়ার সবই তারা নিয়ে গেল। এমনকি টেবিলে রাখা সুন্দর ফুলদানিও অদৃশ্য। গুলতেকিন হতভম্ব। সে বলল,
–এসব কী হচ্ছে বলুন তো? ওরা আমাদের জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে কেন? আমরা বুঝি রাতে গান শুনব না?
গুলতেকিনের প্রশ্নের জবাব দেবার মতো মানসিক অবস্থা তখন আমার নেই। আমার জন্য আরো বড় সমস্যা অপেক্ষা করছে। বাসার সামনে পুলিশের গাড়ি এসে দাঁড়িয়ে আছে। আজ আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দেবে। এই কারণেই সবাই তড়িঘড়ি করে তাদের জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে। ওদের দোষ দিয়ে লাভ নেই।

মা পুলিশ অফিসারের সঙ্গে কথা বলছেন। আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে লজ্জায় কাঁপছি। আমার ছোটবোন এসে বলল,
–দাদাভাই, তুমি ভাবিকে নিয়ে কোথাও বেড়াতে চলে যাও। এই নোংরা ব্যাপারটা ভাবির সামনে না হওয়াই ভালো।

আমি গুলতেকিনকে নিয়ে বের হয়ে পড়লাম। বৈশাখ মাসের ঘন নীল আকাশ, পেঁজাতুলার স্তূপীকৃত মেঘ, চনমনে রোদ। আমরা রিকশা করে যাচ্ছি। হুড ফেলে দিয়েছি। আমার মনের গোপন ইচ্ছা – পৃথিবীর সবাই দেখুক, এই রূপবতী বালিকাটিকে আমি পাশে পেয়েছি। গভীর আনন্দে আমার হৃদয় পূর্ণ। বাসায় এখন কী হচ্ছে তা এখন আমার মাথায় নেই। ভবিষ্যতে কী হবে তা নিয়েও ভাবছি না। বর্তমানটাই সত্যি। অতীত কিছু না। ভবিষ্যৎ তো দূরের ব্যাপার। আমরা বাস করি বর্তমানে – অতীতেও না, ভবিষ্যতেও না।

12/07/2025

রুমে শুয়ে শুয়ে বাইরের গাছপালা দেখি। হুহু করে বাতাস আসে জানালায়। বইয়ের পাতায় চোখ বুলাই। এভাবেই চলে যায় একেকটা শুক্রবার।🌿

09/07/2025
আপনি হেরে গেছেন? হতাশ হয়ে পড়ছেন? হতাশ হওয়ার কিছু নেই। জীবনে হার মানে শেষ নয় বরং যেখানে হেরেছেন, সেখান থেকেই শুরু হতে পার...
06/07/2025

আপনি হেরে গেছেন? হতাশ হয়ে পড়ছেন? হতাশ হওয়ার কিছু নেই। জীবনে হার মানে শেষ নয় বরং যেখানে হেরেছেন, সেখান থেকেই শুরু হতে পারে নতুন পথচলা...

মনে রাখবেন— শেষ বলে কিছু নেই! যারা হেরে যায়, তারাই কিন্তু আবার উঠে দাঁড়ায়। নিজেকে গড়ে তোলে নতুন করে এবং তারাই একদিন বিশ্ব জয়ী হয়। আপনিও পারবেন। শুধু চলতে হবে...

আপনার জীবনের একটি হারই আপনাকে শিখাবে জয়ের মূল মন্ত্র। জীবনের প্রতিটি ব্যর্থতা ভবিষ্যতের অন্যতম সফলতার সিঁড়ি হতে পারে। যদি আপনি থেমে না যান...

তাই মনে সাহস রাখুন এবং দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে চলুন। বিজয় আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। হ্যাঁ আপনার জন্যই অপেক্ষা করছে! ঠিক সামনে...

বিঃদ্রঃ ছবিতে থাকা গাছটিকে একপলক ভালো করে দেখুন এবং কাজে লেগে যান। বিজয় সুনিশ্চিত!

© ইমরান ইমন

Thank You Mr. Kamrul Hasan Vai For Nice Poster.© Editor
01/07/2025

Thank You Mr. Kamrul Hasan Vai For Nice Poster.

© Editor

Address

Sylhet

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Imran Emon - ইমরান ইমন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Imran Emon - ইমরান ইমন:

Share