Voice of Madrasha

Voice of Madrasha اسلام عليكم ورحمة الله Let's promote something good and build a beautiful society! WARNING!

Assalamu Alaikum, welcome to the Voice of Madrasha channel, stay tuned by sharing like follow comment on our page to be the first to get new nasheed and waz and islamic videos. All contents of this channel are copyrighted by Voice of Madrasha redistribution or re-upload is strictly prohibited. legal action will be taken against who violates the copyright.

আসসালামু আলাইকুম, ভয়েস অফ মাদরাসা চ্যানে

লে স্বাগতম, নতুন নতুন নাশিদ ও ওয়াজ এবং ইসলামিক ভিডিও সবার আগে পেতে আমাদের পেজে লাইক ফলো কমেন্ট শেয়ার করে আমাদের সাথেই থাকুন। আসুন ভালো কিছু প্রচার করি এবং সুন্দর সমাজ গড়ি!

সতর্কীকরণ!
এই চ্যানেলের সকল বিষয়বস্তুর কপিরাইট ভয়েস অফ মাদ্রাসা পুনরায় বিতরণ বা পুনরায় আপলোড করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। যারা কপিরাইট লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যথায় কপিরাইট স্ট্রাইকের ফলে কারও চ্যানেল বা অনন্য সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট ক্ষতিগ্রস্ত এর দায় আমাদের নয়। আশা করি মূল ভিডিও লিংক শেয়ার করে সহযোগিতা করবেন।
জাযাকুমুল্লাহ।

Facebook▶ https://www.facebook.com/Voiceofmadrasha

04/06/2025

কুরবানীর ঈদের আগের দিন আরাফাহর দিন। আমরা সবাই আরাফাহর দিনের রোজা রাখার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

27/05/2025

لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ، وَالنِّعْمَةَ، لَكَ وَالْمُلْكَ، لاَ شَرِيكَ لَكَ

15/05/2025

আজকে ব্লক দিলাম ২৩ জনকে কিন্তু ফলোয়ার বাড়লো প্রায় ১ হাজার।

মিডিয়া দেখছে ড. ইউনুস ও গুতেরেসকে আর বিশ্ব দেখুক আমাদের পরিচয়কে!এভাবে আমাদের বার্তা পৌছুক বিশ্বের সবপ্রান্তে
21/03/2025

মিডিয়া দেখছে ড. ইউনুস ও গুতেরেসকে আর বিশ্ব দেখুক আমাদের পরিচয়কে!
এভাবে আমাদের বার্তা পৌছুক বিশ্বের সবপ্রান্তে

01/03/2025

আহলান সাহলান, মাহে রামাদান।
اللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالإِيمَانِ وَالسَّلَامَةِ وَالإِسْلاَمِ وَالتَّوْفِيقِ لِمَا تُحِبُّ وَتَرْضَى، رَبُّنَا وَرَبُّكَ اللَّهُ

17/12/2024
02/11/2024

শুনো এক দরবেশ বাদশার কথা
✍️ Marjan Ahmad Chowdhury

এক.
মিম্বরে দাঁড়িয়েছেন মুসলিম জাহানের খলিফা সায়্যিদুনা উমর ইবনে খাত্তাব রাদ্বিআল্লাহু আনহু। নাকের সামনে দাঁড়িয়ে গেলেন এক সাধারণ নাগরিক। প্রশ্ন করলেন, আপনি এতো লম্বা জামা কিভাবে তৈরি করেছেন? বাইতুল মাল থেকে আমাদেরকে যেটুকু কাপড় দেয়া হয়েছে, তাতে এই জামা তৈরি হওয়ার কথা নয়! খলিফা-পুত্র আবদুল্লাহ উঠে দাঁড়ালেন। বললেন, "চাচা আপনার কথা ঠিক আছে। তবে আমি আমার কাপড়ের অংশ বাবাকে দিয়ে দিয়েছি। তিনি তাঁর অংশ এবং আমার অংশ মিলিয়ে এই জামা তৈরি করেছেন।"

সততা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার ওয়াজ অনেক হয়েছে। কিন্তু সততা-জবাবদিহিতার এরকম উদাহরণ আর কেউ দেখাতে পেরেছেন? রাসূলুল্লাহ ﷺ যথার্থ বলেছেনঃ
‎إِنَّ اللَّهَ جَعَلَ الْحَقَّ عَلَى لِسَانِ عُمَرَ وَقَلْبِهِ
"উমরের জিহ্বা এবং অন্তরে আল্লাহ হক স্থাপন করে দিয়েছেন।"
[জামে আত-তিরমিযি ; কিতাবুল মানাকিব]

দুই.
সেনাপতি আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ রা.'র বাহিনী জেরুজালেম শহর অবরোধ করে রেখেছে। জেরুজালেমের শাসনকর্তা পেট্রিয়ার্ক সফ্রোনিয়াস শর্ত দিয়েছেন, "যদি খলিফা নিজে আসেন, তাহলে আমরা জেরুজালেম হস্তান্তর করব।"
খলিফা উমর চললেন জেরুজালেমের পথে। ব্যক্তিগত সফর নয়; রাষ্ট্রীয় সফরে। সাথে একটিমাত্র উট এবং একজন খাদিম। যেহেতু উটের পিঠে রাস্তার প্রয়োজনীয় খাদ্য-পানীয় চড়ানো হয়েছে, তাই একজনের বেশি বসার সুযোগ নেই। অগত্যা এক ক্রোশ পথ খলিফা উটের পিঠে বসা, খাদিম চলছে উটের লাগাম ধরে। আরেক ক্রোশ পথ খাদিম ওপরে বসা, খলিফা চলছেন উটের লাগাম ধরে। পথিমধ্যে এক জায়গায় কাদা ছিল বলে জুতা খুলে হাতে নিয়ে নিয়েছেন। জেরুজালেম শহরে যখন প্রবেশ করছেন, তখন পালাক্রমে খাদিম উটের পিঠে। বেচারা খাদিম হাত জোড় করে বলেছে, "আল্লাহর ওয়াস্তে আপনি ওপরে উঠুন। লোকে কী বলবে!" খলিফার জবাব ছিলঃ الدور دورك
"এখন পালা তোমার, তুমিই বসবে।"

খাদিমকে উটের পিঠে বসিয়ে এক হাতে কাদামাখা জুতা আর অন্য হাতে উটের লাগাম ধরে জেরুজালেম শহরে প্রবেশ করলেন মুসলিম জাহানের খলিফা উমর ইবনে খাত্তাব রা.। মুসলিম সেনাবাহিনীর মুখ ঝুলে পড়ল। কী ভাববে রোমান সৈন্যিরা? মুসলিম বিশ্বের খলিফার এই অবস্থা?
পেট্রিয়ার্ক সফ্রোনিয়াস দৌড়ে আসলেন। বললেন, "আমরা শুনেছি, এক দরবেশ বাদশার হাতে আমাদেরকে জেরুজালেম ছেড়ে দিতে হবে। আপনাকে দেখে কোনো সন্দেহ রইল না যে, সেই দরবেশ বাদশা আপনিই।" রাসূলুল্লাহ ﷺ যথার্থ বলেছেনঃ
‎لَوْ كَانَ بَعْدِي نَبِيٌّ لَكَانَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ
"যদি আমার পরে কেউ নবী হতেন, তাহলে উমর ইবনে খাত্তাব হতেন।"
[জামে আত-তিরমিযি ; কিতাবুল মানাকিব]

তিন.
উমর রা.'র খেলাফতকালে ইরাক, ইরান, সিরিয়া, ফিলিস্তিন, মিশর প্রভৃতি এলাকাজুড়ে মুসলমানরা সগৌরবে ইসলামের পতাকা উড়িয়ে যাচ্ছেন। ঠিক সে সময় বিজিত এলাকার ভূমি মালিকানা নিয়ে জটিলতা দেখা দিল। প্রস্তাব দেয়া হলো, বিজিত এলাকার ভূমি মুজাহিদদের মধ্যে গণিমত হিসেবে বণ্টন করে দেয়া হোক। কিন্তু বাধ সাধলেন স্বয়ং খলিফা উমর। বললেন, যুদ্ধ চলাকালীন সময় যুদ্ধের ময়দান থেকে লব্ধ সম্পদ ব্যতীত আর কিছুই মুজাহিদদের মধ্যে গণিমত হিসেবে বণ্টন করা হবেনা। বিজিত ভূমির মালিকানা ইসলামি রাষ্ট্রের হাতে ন্যস্ত থাকবে এবং এর থেকে প্রাপ্ত যাবতীয় কর সরাসরি বাইতুল মালে (State Treasury) চলে আসবে। খলিফার যুক্তি ছিল, প্রাপ্ত ভূমির মালিকানা ব্যক্তির হাতে ছেড়ে দিলে এর পরিণাম হবে ভয়াবহ। একদিকে বিজিত এলাকার অমুসলিমরা নির্দিষ্ট ব্যক্তির গোলাম হয়ে পড়বে। তাদের ভূমি থেকে প্রাপ্ত কর চলে যাবে ওই ব্যক্তির হাতে। এতে করে পুরো মুসলিম বিশ্ব পরিণত হবে এক বৃহৎ জায়গিরদারিতে। অপরদিকে মুসলিম মুজাহিদগণ দুনিয়ার সম্পদের মোহে পড়ে যাবেন এবং জমিদার হয়ে বসে থাকবেন।

এমন নয় যে, খলিফা তাঁর রায়কে সবার ওপর চাপিয়ে দিয়েছিলেন। বরং ভূমি সম্পর্কে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। উক্ত কমিটি সবদিক যাচাই-বাছাই করে শেষ পর্যন্ত খলিফার রায়কে বলবৎ রেখেছিল। সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল যে,
১. বিজিত এলাকার ভূমি গণিমত নয়; বরং ফাঈ হিসেবে গণ্য হবে। যেহেতু পবিত্র কুরআনের নির্দেশ অনুযায়ী ফাঈ ইসলামি রাষ্ট্রের সম্পত্তি, সুতরাং এতে কোনো ব্যক্তি মালিকানা থাকবে না।
২. মুসলমানদের মালিকানাধীন ভূমি মুসলমানদের হাতে থাকবে। এ ধরণের ভূমির জন্য খারাজ (Land Tax) দিতে হবেনা, বরং এক-পঞ্চমাংশ বা এক-দশমাংশ হারে উশর (Crop Tax) দিতে হবে।
৩. অমুসলিমদের ভূমি তাদের হাতেই থাকবে। তারা যেভাবে চাষাবাদ করে আসছে, সেভাবে করে যাবে। এ ধরণের ভূমির জন্য খারাজ (Land Tax) দিতে হবে। যেহেতু এগুলো বিজিত এলাকার ভূমি, তাই এর থেকে উশর (Crop Tax) আদায় করা হবেনা। অমুসলিমরা ইসলাম গ্রহণ করলে তাদের ওপর জিযিয়ার (Security Tax) পরিবর্তে মুসলমানদের ন্যায় যাকাত আরোপিত হবে। কিন্তু ভূমির অবস্থা পরিবর্তন হবেনা।
৪. আবাদকৃত ভূমির মালিকানা আবাদকারী ব্যক্তির হাতে থাকবে। এর জন্য তাকে কর দিতে হবে।
৫. যদি কেউ নিজের কৃষিভূমি ৩ বছর পর্যন্ত পতিত অবস্থায় ফেলে রাখে, তাহলে সেটি রাষ্ট্রীয় মালিকানায় চলে যাবে।
৬. বিজয়ী মুজাহিদরা বিজিত শহরের ভেতরে থাকতে পারবেন না। তাঁদেরকে শহরের বাইরে ছাউনি বানিয়ে সেখানে অবস্থান করতে হবে। এতে করে পার্থিব সম্পদের প্রতি তাঁদের মোহ সৃষ্টি হবেনা। অপরদিকে বিজিত এলাকার অমুসলিমরাও সর্বদা হীনমন্যতায় ভুগবে না।

এই সুদূরপ্রসারী বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত পুরো মুসলিম জাহানকে জায়গিরদারি এবং পরোক্ষ জমিদারির অভিশাপ থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল। যেন এই রায় উমরের নয়; স্বয়ং আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত হয়েছিল। রাসূলুল্লাহ ﷺ যথার্থ বলেছেনঃ
‎قَدْ كَانَ يَكُونُ فِي الأُمَمِ قَبْلَكُمْ مُحَدَّثُونَ فَإِنْ يَكُنْ فِي أُمَّتِي مِنْهُمْ أَحَدٌ فَإِنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ مِنْهُمْ
"তোমাদের পূর্বেকার উম্মতের মধ্যে কতিপয় ব্যক্তি ছিলেন মুহাদ্দাছ (আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রত্যাদেশপ্রাপ্ত)। যদি আমার উম্মতের মধ্যে এমন কেউ থাকেন, তাহলে তিনি উমর ইবনে খাত্তাব।"
[সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম ; কিতাবু ফাদ্বায়িলুস সাহাবা]

চার.
সংবাদ আসল, ইরানে নিযুক্ত গভর্নর সা'দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রা. তাঁর বাসভবনের সামনে একটি সেন্ট্রি ঘর বসিয়ে দিয়েছেন। তাঁর সাথে দেখা করতে হলে দারোয়ানের অনুমতি নিতে হয়।
দরবারে খেলাফত থেকে বিলাল রা.-কে একটি চিঠি দিয়ে ইরানে পাঠানো হলো। বলে দেয়া হলো, "প্রথমে গিয়ে ওই সেন্ট্রি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেবে। এরপর গভর্নরের হাতে আমার চিঠি পৌঁছে দেবে।"

খলিফার কথামতো বিলাল রা. গিয়েই ওই সেন্ট্রি ঘর জ্বালিয়ে দিলেন। এরপর খলিফার চিঠি দিলেন গভর্নরের হাতে। কাঁপা কাঁপা হাতে চিঠি খুললেন সা'দ। ভেতরে লেখা ছিল- "লোকদেরকে তাদের মায়েরা স্বাধীন জন্ম দিয়েছে। তোমরা কবে থেকে তাদেরকে তোমাদের গোলাম বানিয়ে নিলে?"

উল্লেখযোগ্য যে, সা'দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রা. যেনতেন ব্যক্তি ছিলেন না। তিনি নিজে পারস্য সম্রাজ্য বিজয়ের সেনাপতি ছিলেন। ঘোড়ায় চড়ে সাগর পাড়ি দিয়ে মাদায়েনের শুভ্র প্রাসাদসমূহে আল্লাহু আকবার-এর পতাকা উড়িয়েছেন এই সা'দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রা.। কিন্তু ইরান বিজয়ী সা'দ হোন, সিরিয়া বিজয়ী খালিদ ইবনে ওয়ালিদ হোন কিংবা মিশর বিজয়ী আমর ইবনুল আস; খলিফা উমরের দরবারে আইন সবার জন্য সমান। এক চিঠিতে মহাবীর খালিদকে সেনাপতির আসন থেকে সাধারণ সৈনিক বানিয়ে দিতে উমরের হাত কাঁপেনি। সাধারণ এক মিশরীয় খ্রিস্টানকে প্রহার করার অপরাধে গভর্নর আমর ইবনুল আস-এর পুত্রকে পিতাসমেত মদীনায় ডেকে এনে শাস্তি দিতেও উমর রা. দ্বিধাবোধ করেননি। সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেছেনঃ
‎إن إسلام عمر كان فتحا، وإن هجرته كانت نصرا، وإن إمارته كانت رحمة
উমর রা.'র ইসলাম গ্রহণ ছিল (আমাদের জন্য) বিজয়, তাঁর হিজরত ছিল সহযোগিতা এবং তাঁর শাসন ছিল রহমত।
[সীরাতে ইবনে হিশাম, মুজমা' আয-যাওয়ায়িদ]

পাঁচ.
উমর রা. বলেছিলেন, "শাসন করার পূর্বে জ্ঞান অর্জন করো।" আর উমরের জ্ঞানের সাক্ষী দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহর নবী। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ
‎بَيْنَا أَنَا نَائِمٌ إِذْ رَأَيْتُ قَدَحًا أُتِيتُ بِهِ فِيهِ لَبَنٌ فَشَرِبْتُ مِنْهُ حَتَّى إِنِّي لأَرَى الرِّيَّ يَجْرِي فِي أَظْفَارِي ثُمَّ أَعْطَيْتُ فَضْلِي عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ.‏ قَالُوا فَمَا أَوَّلْتَ ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏الْعِلْمَ
"আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। স্বপ্নে দেখলাম, আমার সামনে একটি দুধের পাত্র উপস্থাপন করা হয়েছে। আমি এর থেকে পান করলাম। এমনকি আমি আমার নখের মধ্যেও এর সজীবতা অনুভব করলাম। এরপর দুধের বাকি অংশ উমর ইবনে খাত্তাবকে দিয়ে দিলাম।"
সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ, আপনি এর দ্বারা কী ব্যাখ্যা করছেন? রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন- জ্ঞান।
[সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম ; কিতাবু ফাদ্বায়িলুস সাহাবা]

এই জ্ঞান উমরকে অহংকারী করে তুলতে পারেনি। ক্ষমতা তাঁকে স্বেচ্ছাচারী বানাতে পারেনি। শয়তান তাঁর দোয়ারে কদম রাখতে পারেনি। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ
‎إِيهًا يَا ابْنَ الْخَطَّابِ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا لَقِيَكَ الشَّيْطَانُ سَالِكًا فَجًّا قَطُّ إِلاَّ سَلَكَ فَجًّا غَيْرَ فَجِّكَ
"হে খাত্তাবের পুত্র, কসম সেই সত্ত্বার যার হাতে আমার প্রাণ। যখনই শয়তান তোমাকে পথ দিয়ে চলতে দেখে, তখনই সে তোমার পথ ছেড়ে অন্য পথে চলে যায়।"
[সহীহ বুখারী ; কিতাবু ফাদ্বায়িলু আসহাবিন নাবী, সহীহ মুসলিম ; কিতাবু ফাদ্বায়িলুস সাহাবা]

বলা হয়, "আইন সবার জন্য সমান"। বাঘে-মহিষে এক ঘাটে পানি খাইয়ে উমর সেটি করে দেখিয়েছেন। বলা হয়, "নেতা জনগনের সেবক"। নিজের কাঁধে চাপিয়ে বিধবার কুঁড়েঘরে আটার বস্তা পৌঁছে দিয়ে উমর সেটি করে দেখিয়েছেন। সুশাসনের আশায় মানবজাতি অনেক চেষ্টাচরিত্র করেছে। এক সময় পৃথিবীতে গোত্রীয় শাসন ছিল। বছর জুড়ে গোত্রে গোত্রে যুদ্ধবিগ্রহ লেগে থাকত। সেখান থেকে উন্নত হয়ে মানবজাতি রাজতন্ত্রে পা দিল। তখন রাজা-বাদশারা হয়ে উঠল নমরুদ-ফেরাউন। শুরু হলো অমানবিক অত্যাচার, ভোগ এবং স্বেচ্ছাচারিতা। মানুষ আরেক লাফে চলে আসলো গণতন্ত্রে। সেটি হয়ে গেল পুঁজিপতিদের জুয়াখানা। সেখান থেকে দুই লাফ দিয়ে পাড়ি জমালো সমাজতন্ত্রে। সেটি হয়ে উঠল প্রলেতারিয়েতদের বর্বর দলতন্ত্র। অথচ যে সাম্য, মুক্তি ও ন্যায়বিচার মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ ﷺ নিয়ে এসেছিলেন, তার ধারক-বাহকরা এ ব্যাপারে নিতান্ত বেখেয়াল। যে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন উমর ইবনে খাত্তাব রা., সেই সুশাসনের উত্তরাধিকারীরা আজ বিমর্ষ, রঙহীন, হতাশ, দ্বিধাবিভক্ত, জীবন্মৃত। পৃথিবী তাকিয়ে আছে, আমরা ঘুমিয়ে আছি!

আমিরুল মু'মিনীন...
আমিরুল মু'মিনীন...
আমিরুল মু'মিনীন...
আর আসবেন না আপনি?

26/10/2024

আজ রাতে ইউকেসহ ইউরোপের কিছু দেশে ১ঘন্টা পিছিয়ে দেয়া হবে ঘড়ির কাটা। গত মার্চে ১ ঘন্টা এগিয়ে দেয়া হয়েছিল।
এমনটা বাংলাদেশেও একবার করা হয়েছিল। জানেন কি?

25/10/2024

আমাকে কেউ যদি প্রশ্ন করে জীবন কী? আমি উত্তর দিবো 'জীবন একটি পরিক্ষা'। এই পরিক্ষা ধৈর্যের। দৈনন্দিন জীবনে আমাদেরকে প্রতিদিন অসংখ্য পরিক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। যেইখানে আমরা সবচেবেশী আশা করি, আত্মবিশ্বাসী হয়ে থাকি, জীবন আমাদের সেখানেই খুব বাজেভাবে হতাশ করে। আর এই হতাশার মুহূর্তকালে ধৈর্য ধারণ করাটাই জীবন।

গত বছর যে প্রবাসী ছেলেটা ভেবে রেখেছিল এই বছর শীতে মায়ের হাতে পিঠা খাবে দেশে ফিরে; এই বছর এসে ছেলেটার বাড়ি ফেরা হলো ঠিকি, বছর ঘুরে শীতও এলো, শুধু মা আর রইলো না তার। পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের একখান ঘর হয়েছে ঐ কঠিন মাটির তলে।

যে বেকার ছেলেটা গত বছর ভাতের প্লেট সামনে নিয়ে একদলা দীর্ঘশ্বাস ভুস করে আকাশে উড়িয়ে দিয়ে ভেবেছিলো, এ বছর একটা চাকরি হলে সে বাবার দুঃখ কষ্ট লাগব করে দিবে। পুরান একটা জামা আর কতো? ঈদে কিনে দিবে একটা নতুন জামা। এই বছর এসে ছেলেটার বড় কম্পানিতে একটা চাকরি হয়েছে। ভালো টাকা মাইনে। কিন্তু শখ করে বাবাকে একটা পাঞ্জাবি কিনে দেওয়ার জন্য বাবা আর রইলেন না; তিনি পাড়ি দিয়েছেন না ফেরার দেশে।

এইগুলো আমাদের পরিক্ষা। জীবন সহজভাবেই চলে, আচমকা উটকো সব ঝামেলায় এসে পড়ে মাথার উপর। চাকরি চলে যায়, বন্ধুবান্ধব হারিয়ে যায়, দাম্পত্য জীবনে অশান্তি সৃষ্টি হয়, প্রিয় বলে আসা মানুষের মুখোশের ভিতরের কুৎসিত রুপ দেখা হয়ে যায়, ব্যাবসায় লস হয়, ঘরবাড়ি বন্যায় ভেসে যায়, অকারণে খোয়াতে হয় সম্পদ, দেখা দেয় অস্বাভাবিক অসুখবিসুখ, গাড়ে ঝেকে বসে ঋণের বোঝা। চোখের সামনে বন্ধুবান্ধবের উন্নতি হয়, আর নিজের হয় অবনতি। একটা নদী পাড়ি দিয়ে দেখি সম্মুখে দাঁড়িয়ে থাকে অসংখ্য সমুদ্র।

জীবনের প্রতি এক আকাশ বিতৃষ্ণা নিয়ে আমরা ভেঙে পড়ি খুব। ভীষণ কষ্ট লাগে। বুকের ভেতর বাসা বাঁধে ক্লান্তির কালো মেঘ। যেন আর পারছি না নিজের সাথে যুদ্ধ করতে। আমরা অক্রোশের সাথে বলে থাকি, কেন আমার সাথেই এমন হয়, কেন অভাব আমার পিছন ছাড়ে না, কেন সমস্ত বিপদআপদ শুধু আমাকেই তাড়া করে, কেনো আমার প্রিয় মানুষ হারায়া যায়। এই সমস্ত কেনো এর উত্তর একটাই ' পরিক্ষা'। সৃষ্টিকর্তা মানুষকে পরিক্ষা করেন নানান সংকটে ফেলে দিয়ে।

আল্লাহ বলেন,
"আমি অবশ্যই তোমারে পরিক্ষায় করব ভয়, ক্ষুধা এবং (তোমাদের) জানমাল ও ফসলাদির ক্ষয়ক্ষতির মাধ্যমে। আর দৈর্যশীলদের সুসংবাদ দিন" [ সূরা বাকারা, আয়াত: ১৫৫ ]

জীবনের এই পরিক্ষায় আমাদের শুধু ধৈযশীল হতে হবে। আমাদের শুধু বিশ্বাস রাখতে হবে সেই মহান সত্ত্বার উপর যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন। আর যারা মহান রবের উপর বিশ্বাস রাখেন তারা কখনো ব্যার্থ হয় না। বিশ্বাসীদের উদ্দেশ্য করে আল্লাহ বলেন,
"নিশ্চয়ই বিশ্বাসীরা সফল হয়েছে" [সূরা মুমিনুন, আয়াত ১]

আমরা যখন দুনিয়ায় হাতাশ হয়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করে বলি, হে আমার রব আমায় সাহায্য করুন, আমি বড়ই অসহায়। তখন আল্লাহ বলেন,
"মুনিনদের সাহায্য করা আমার দায়িত্ব" [সূরা রুম, আয়াত ৪৭]

সুতরাং জীবনের যাবতীয় প্রতিকূলতার মধ্যেও বিশ্বাস হারাবেন না। ধৈর্য হারাবেন না। ধৈর্যের ফল বড়োই সুস্বাদু। নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রতিশ্রুতির ব্যাতিক্রম করে না।

20/10/2024

হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন। অসুখের মাত্রা বেড়েই চললো। প্রায় মাস খানেকের মাথায় একটি স্বপ্ন দেখলেন। বেশ অদ্ভুত স্বপ্ন।

তিনি দেখলেন দুজন লোক দাড়িয়ে আছে। একজন মাথার কাছে। অপরজন পায়ের কাছে। একজন আরেকজনকে প্রশ্ন করছে,

'উনার কী হয়েছে'?
'উনাকে জাদু করা হয়েছে'?
'জাদুর জিনিসপত্র কোথায় রাখা আছে'?
'একটি কুয়ায়'

এটুকু শোনেই ঘুম ভেঙ্গে গেলো। কোনো গল্প নয়, বাস্তব ঘটনা বলছি।

ডেকে পাঠালেন কয়েকজনকে, কুয়ার কাছে। তারা গিয়ে দেখলেন কুয়ার পানি লাল হয়ে আছে জাদুর প্রভাবে। পানি তোলা হলো।

নীচে পাওয়া গেল পাথর। তার নীচে আরেকটি পাথর। উভয়টার মাঝে চাপা দেয়া চুল, চিরুনির দানা ইত্যাদি। যাতে এগারোটি গিঁট দেয়া।

কার সাথে ঘটছে এসব? তিনি মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

তিনি উপস্থিত হলেন। ঐ সময় সূরা ফালাক ও নাস নাযিল হলো। একেকটা আয়াত নাযিলের সাথে সাথে একেকটা গিঁট খুলতে লাগলো।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুস্থ হয়ে ওঠলেন তাৎক্ষণিক। (কিতাবুত তিব, সহীহ বুখারী)।

#জাদু, হিংসা, মানুষের কু দৃষ্টি সহ সকল ক্ষতি থেকে বাঁচার আমল।

#রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
قُلْ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ وَالْمُعَوِّذَتَيْنِ حِينَ تُمْسِي وَحِينَ تُصْبِحُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، تَكْفِيكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ
যদি সকালে ও সন্ধ্যায় তিনবার করে পড়ো, সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস, তাহলে তা সারাদিন তোমার সকল কাজের জন্য (গুনাহ, মানুষের কু দৃষ্টি, সকল ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য) যথেষ্ট হবে' (আবূ দাউদ, ৫০৭২)।

#আম্মাজান আয়েশা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুমানোর সময় দুই হাতের তালু একত্রিত করতেন। অতঃপর তাতে সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়ে ফুঁ দিতেন। তারপর সারা শরীরে হাত বুলাতেন। এভাবে তিনবার করতেন। (সহীহ বুখারী)।

#রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক ফরয সালাত শেষে একবার করে পড়তেন, সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস' (আবূ দাউদ, ১৫২৩)।

ছোট এই তিনটি সুরা আমাদের সবারই মুখস্থ আছে। আসুন আমল করার চেষ্টা করি।

#কারো বুঝতে অসুবিধা হলে প্রশ্ন করতে পারেন।

আসুন, নিজে আমল করি। পরিচিতজনদের কাছে ছড়িয়ে দেই। আল্লাহ তাওফিক দান করুন।

Dorud e nariah
14/10/2024

Dorud e nariah

11/10/2024

আজ শুক্রবার;

দিনশেষে তুমি যদি একজন মুমিন হও তবে এই বিশ্বাস রাখো যে বিশ্বাসই তোমার জন্য সবকিছু সহজ করার একমাত্র মাধ্যম। সুতরাং আল্লাহ'র উপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখো। এমনভাবে বিশ্বাস রাখো যে- তুমি যদি বৃষ্টির জন্যে দো'য়া করে ঘর থেকে বের হও তবে সঙ্গে করে ছাতা নিয়ে বের হও, যেন পথে তোমাকে বৃষ্টিতে ভিঁজতে না হয়। মনে রাখা ভালো আল্লাহ বিশ্বাসী হৃদয়কে কখনোই হতাশ করেনা।

ইয়া রব আমাদের জীবনকে সহজ করে দিন।

Address

Sylhet

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Voice of Madrasha posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share