Son of Syed

Son of Syed Life is like a Cheeps. I like cheeps. Thinking Positive. Friends Like, Share and Follow my page.

14/09/2025

টাকা না থাকলে সমাজ ও পরিবারের পুরুষের দাম থাকে না—এটি অনেকাংশে সত্যি। তবে এটি আদর্শ নয়, বরং একটি দুঃখজনক বাস্তবতা। টাকা জীবনের প্রয়োজনীয় অংশ হলেও, কেবল অর্থের ভিত্তিতে পুরুষের মর্যাদা নির্ধারণ করা মানবিকতা ও ন্যায়ের পরিপন্থী। প্রকৃতপক্ষে একজন পুরুষের আসল দাম নির্ধারিত হওয়া উচিত তার সততা, দায়িত্ববোধ, নৈতিকতা ও ভালোবাসার মাধ্যমে।😭

13/09/2025

গল্পের নাম
মাঝেমধ্যে এমন হয় না

সোহান একা বসে নদীর ধারে।
সন্ধ্যার আকাশে রঙ বদলাচ্ছে, বাতাসে হালকা শীতলতা।
তার মনে প্রশ্ন জাগে—
“মাঝেমধ্যে এমন হয় না, যখন জীবনকে বুঝতে চাও, কিন্তু জীবনই তোমাকে প্রশ্ন করে?”

সে ভাবে, মানুষ সারাদিন দৌড়ায়, সাফল্য খোঁজে, সম্পর্ক গড়ে—
কিন্তু এক মুহূর্তে সবকিছু তুচ্ছ মনে হয়।
কারণ আসল প্রশ্নটা তখন দাঁড়ায়—
“আমি আসলে কেন বেঁচে আছি?”

অচেনা এক পথিক এসে তার পাশে বসলো।
কথা না বলেও তারা দুজন একই নিস্তব্ধতা ভাগাভাগি করল।
সোহানের মনে হলো—
“মাঝেমধ্যে এমন হয় না, যখন নীরবতাই কথার চেয়ে বড় শিক্ষা দেয়?”

রাত নেমে এলো।
সে বুঝল, জীবনকে পুরোপুরি বোঝা যায় না,
কেবল অনুভব করা যায়।
এবং এ অনুভবই মানুষকে চিন্তায়, আবার শান্তিতেও ভরিয়ে তোলে।

11/09/2025

“সংসারের ভুল বোঝাবুঝি ধৈর্য, ক্ষমা ও ভালোবাসা দিয়ে মানিয়ে নিলে আল্লাহর রহমত ও বরকত নেমে আসে।”
পরিবারের মুরুব্বীদের ভূমিকা সংসারে শান্তি বজায় রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামিক দৃষ্টিতে তাদের করণীয় হতে পারে এভাবে—

🔹 ন্যায়বিচার বজায় রাখা – ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি হলে কোনো পক্ষকে অকারণে সমর্থন না করে ন্যায়ের সঙ্গে সমাধান করা। আল্লাহ বলেন: “তোমরা ন্যায়বিচার করো, ন্যায়পরায়ণতা তাকওয়ার নিকটবর্তী।” (সুরা মায়েদা ৮)

🔹 সমঝোতা করানো – মুরুব্বীরা রাগ বাড়ানোর পরিবর্তে নরম ভাষায় উভয়কে বোঝাবেন, যেন ছোট সমস্যা বড় ঝগড়ায় রূপ না নেয়।

🔹 গোপনীয়তা রক্ষা – দাম্পত্য জীবনের সমস্যাকে অন্যদের সামনে প্রকাশ না করে, পারিবারিক গোপনীয়তা রক্ষা করে সমাধান করতে সাহায্য করবেন।

🔹 উদাহরণ স্থাপন – নিজের আচরণ দিয়ে সন্তান-পরিবারকে শেখাবেন কিভাবে ধৈর্য, ক্ষমা ও ভদ্রতা দিয়ে সংসার টিকিয়ে রাখতে হয়।

🔹 দোয়া করা – পরিবারের জন্য সর্বদা আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন, যেন ভুল বোঝাবুঝি দূর হয় এবং শান্তি-সুখ-বরকত বজায় থাকে।

👉 সংক্ষেপে: পরিবারের মুরুব্বীরা যদি ন্যায়, ধৈর্য ও প্রজ্ঞা দিয়ে পথ দেখান, তবে ছোটখাটো সমস্যা কখনো বড় অশান্তিতে রূপ নেবে না।

11/09/2025

প্রত্যেক সংসারেই ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এগুলোকে সুন্দরভাবে মানিয়ে নেওয়াই প্রকৃত বুদ্ধিমত্তা ও ঈমানদারের বৈশিষ্ট্য।

🔹 ধৈর্য ধরুন – আল্লাহ ধৈর্যশীলদের ভালোবাসেন। রাগ বা অভিমান বাড়িয়ে না দিয়ে সামান্য সময় নীরব থাকুন, পরিস্থিতি শান্ত হলে কথা বলুন।

🔹 ক্ষমা করুন – কুরআনে এসেছে: “ক্ষমা করো, উপেক্ষা করো, নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালোবাসেন” (সুরা মায়েদা ১৩)। জীবনকে হালকা রাখতে ভুলগুলো সহজভাবে মাফ করে দিন।

🔹 ভালো দিকগুলো মনে করুন – জীবনসঙ্গীর অসংখ্য ভালো দিক আছে, শুধু এক-দুটি ভুল নিয়ে সম্পর্ক নষ্ট করবেন না।

🔹 ভালোবাসা দিয়ে সমাধান করুন – নবী করিম ﷺ বলেছেন: “মুমিন পুরুষ যেন মুমিন নারীর প্রতি ঘৃণা না করে। যদি তার একটি গুণ পছন্দ না হয়, তবে অন্য গুণে সন্তুষ্ট হোক।” (মুসলিম)

👉 অর্থাৎ, সংসারের ভুল বোঝাবুঝি মানিয়ে চলার মূল চাবিকাঠি হলো ধৈর্য, ক্ষমাশীলতা ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। এতে সংসার হয় শান্তিপূর্ণ ও বরকতময়।

11/09/2025

ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে সংসারে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে যেন বিশৃঙ্খলা না হয়, সে বিষয়ে কিছু উপদেশ এভাবে বলা যায়—

🔹 আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেছেন: “তোমরা তাদের (স্ত্রীদের) সাথে উত্তমভাবে বাস করো” (সুরা নিসা ৪:১৯)। অর্থাৎ সংসারে পারস্পরিক ভদ্রতা ও উত্তম আচরণ অপরিহার্য।

🔹 নবী করিম ﷺ বলেছেন: “তোমাদের মধ্যে সে-ই সর্বোত্তম, যে তার স্ত্রীদের সাথে উত্তম আচরণ করে।” (তিরমিজি)

✦ তাই ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে—

ছোটখাটো ভুলত্রুটি ক্ষমা করা।

রাগ নিয়ন্ত্রণ করা, কারণ রাগ থেকে শয়তান উপকৃত হয়।

পরিবারের শান্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া, কারণ অশান্ত ঘরে বরকত নেমে আসে না।

পারস্পরিক পরামর্শ (শূরা) ও নরম আচরণকে গুরুত্ব দেওয়া।

👉 মনে রাখতে হবে, দাম্পত্য জীবনে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে অশান্তি করলে ভালোবাসা কমে যায়, কিন্তু ধৈর্য, ক্ষমাশীলতা ও আল্লাহভীতি থাকলে সংসার হয় জান্নাতের বাগানসম।

11/09/2025

সংসার মানে শুধু একসাথে থাকা নয়, একে অপরকে বুঝে নেওয়া।
ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য বা বিরোধ যেন বড় আকার না পায়, সেজন্য কিছু সহজ কিন্তু উপকারী কথা হলো—

🔹 ছোটখাটো ভুলকে বড় করে না দেখা, বরং ক্ষমাশীল হওয়া।
🔹 তর্কের সময় জেদ না করে নরমভাবে কথা বলা।
🔹 অপ্রয়োজনীয় কথা না বাড়িয়ে শান্তভাবে সমাধান খোঁজা।
🔹 একে অপরের অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা।
🔹 সমস্যার চেয়ে সম্পর্ককে বেশি মূল্য দেওয়া।

👉 মনে রাখতে হবে, সংসারে ছোট ছোট বিষয় নিয়ে অশান্তি হলে বড় সুখও ম্লান হয়ে যায়। তাই ধৈর্য, সহনশীলতা ও পরস্পরের প্রতি ভালোবাসাই শান্তিপূর্ণ সংসারের মূল চাবিকাঠি।

04/09/2025

🌿 কবিতা: ব্যস্ততার দিন

সকাল থেকে রাত, দৌড়েরই গান,
জীবন যেন শুধু হিসাবের টান।
পেট ভরে খাবার, স্বপ্নের পিছু,
তবু কেন মন থাকে শূন্য নিঃশ্বাসে খুঁটুখুঁটু।

এক বৃদ্ধ বলে— “শান্তিই আসল ধন,
ব্যস্ততার ভিড়ে হারিও না মন।
প্রকৃতি, প্রার্থনা, ভালোবাসার ছায়া,
এগুলোই জীবনকে করে সত্যি মায়া।”

04/09/2025

🌿 গল্প: ব্যস্ততার শহর

একটা শহরে সবাই দিন-রাত ছুটে চলত। ভোরে ঘুম ভাঙতেই কানে ভেসে আসত গাড়ির হর্ন, ব্যবসার ডাক, ফোনের রিং। মানুষগুলো মনে করত—
“যদি আমি একটু বেশি করি, তবে সুখ আমাকে ধরা দেবে।”

একজন মানুষ ছিল, নাম তার রাশেদ। অফিস, ব্যবসা, পরিবার—সব কিছুর ব্যস্ততায় সে দিন কাটাতো। একদিন ক্লান্ত হয়ে সে গ্রামের মাটিতে গেল। সেখানে দেখল, এক বৃদ্ধ কৃষক ধীরে ধীরে ক্ষেত চাষ করছে।

রাশেদ অবাক হয়ে বলল:
— “চাচা, আপনি তো কোনো তাড়া করছেন না! তাহলে জীবন চলবে কীভাবে?”

বৃদ্ধ মুচকি হেসে বলল:
— “বাবা, জীবন শুধু পেট ভরানোর জন্য নয়। শান্তি ছাড়া পেট ভরা মানুষও ক্ষুধার্ত থাকে।”

রাশেদ সেই দিন প্রথম বুঝল—
মানুষ দৌড়ায় শুধু বাঁচার জন্য নয়, বরং শান্তি খোঁজার জন্য। কিন্তু যে শান্তি আমরা শহরের ব্যস্ততায় খুঁজে পাই না, সেটাই আমরা মনের ভেতর, আল্লাহর কাছে, আর প্রকৃতির নীরবতায় খুঁজে পাই।

👉 গল্পের শিক্ষা:
ব্যস্ততা দরকার, কিন্তু শান্তি ছাড়া ব্যস্ততা শুধু ক্লান্তি দেয়।

16/08/2025

🌿 কীভাবে প্রকৃতি মানুষের মন পরিবর্তন করে:

1. শান্তি আনে
সবুজ গাছপালা, নদী, আকাশ—এসব দেখলে মন শান্ত হয়, স্ট্রেস কমে।

2. মন ভালো করে
রোদ, বাতাস, পাখির ডাক—এসব প্রাকৃতিক জিনিস মস্তিষ্কে ডোপামিন ও সেরোটোনিন বাড়ায়, ফলে মন প্রফুল্ল হয়।

3. রাগ কমায়
প্রকৃতির মাঝে গেলে রাগ, হতাশা বা দুঃখ অনেকটাই কমে যায়।

4. সৃজনশীলতা বাড়ায়
প্রাকৃতিক পরিবেশ মস্তিষ্ককে সতেজ করে, ফলে নতুন আইডিয়া আসে।

5. আত্মবিশ্বাস বাড়ায়
পাহাড়, নদী বা সমুদ্রের বিশালতা দেখে মনে হয়—“আমার সমস্যাগুলোও এত বড় কিছু নয়।”

---

👉 তাই মন খারাপ থাকলে প্রকৃতির কাছে গেলে সত্যিই মানুষ বদলে যায়।
হয়তো এজন্যই বলে—
“প্রকৃতি হলো মানুষের সেরা হিলার।”

16/08/2025

আপনজন কষ্ট দিলে কী হয়—এটা মন ও শরীর দু’দিকেই প্রভাব ফেলে।

মানসিক দিকঃ

হতাশা ও দুঃখ – সবচেয়ে কাছের মানুষ আঘাত করলে কষ্টটা অনেক গভীর হয়।

আত্মবিশ্বাস কমে যায় – মনে হয় আমি হয়তো ভালো নই।

রাগ জমে যায় – কথায় বা আচরণে প্রকাশ না হলেও ভেতরে ক্ষোভ থেকে যায়।

একাকিত্ব অনুভব – মনে হয় কেউ আমাকে বোঝে না।

শারীরিক দিকঃ

মাথা ব্যথা, ঘুম না আসা, ক্ষুধা কমে যাওয়া, বা শরীরে ক্লান্তি আসতে পারে।

দীর্ঘদিনের মানসিক কষ্ট শরীরকেও দুর্বল করে দেয়।

সম্পর্কের দিকঃ

বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায়।

দূরত্ব তৈরি হয়, আগে যেভাবে খোলামেলা থাকা যেত, তা আর থাকে না।

---

👉 তবে কষ্ট পেলেও দু’টি পথ থাকে:

1. খোলাখুলি কথা বলা – “তুমি যখন এভাবে বললে, আমার খারাপ লেগেছে” – শান্তভাবে বললে অনেকে বুঝতে পারে।

2. ক্ষমা করতে শেখা – সব কিছু মনে পুষে রাখলে বোঝা ভারি হয়, তাই ছাড়তে শেখা দরকার।

Address

Sylhet
3331

Telephone

01743138096

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Son of Syed posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Son of Syed:

Share