10/07/2025
"বিশ্বাসঘাতকতার নাম যদি হয় আপন ভাই ও স্ত্রী ..."
গরীব ঘরের ছেলে ফারুক আহমেদ, লেখাপড়ায় অল্প জানলেও জীবিকার তাগিদে পাড়ি জমিয়েছিলেন সৌদি আরব। জীবনের ২০টি বছর কাটিয়েছেন প্রবাসে, একটানা কষ্ট করে উপার্জন করেছেন নিজের পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে।
তিনি ভরসা করেছিলেন আপন ছোট ভাইয়ের ওপর। নিজের উপার্জনের টাকা পাঠাতেন তার একাউন্টে, বাড়ি তৈরি, জমি কেনা—সবই করেছেন নিজের কষ্টের টাকায়। পরে বিয়ে করে দুটি সন্তানের জনক হন, এরপর লিবিয়ায় গিয়ে আরও ৪ বছর কাজ করেন। প্রতিমাসেই টাকা পাঠাতেন ভাই ও স্ত্রীর একাউন্টে।
কিন্তু ভাগ্য যেন ছিল অন্ধকারে লেখা।
লিবিয়ায় তিনি জেল খাটেন ৫ বছর। দেশে ফিরে আসেন বয়স ৫৫ পেরিয়ে। এসে দেখেন—সব শেষ। নিজের কেনা বাড়ি জমি কিছুই আর তার নামে নেই। স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গেছে নিজের আপন ছোট ভাই,, বর্তমানে তারা সিলেট শহরে বসবাস করেন।
এখন সবই ভাইয়ের নামে, স্ত্রীর সাথেও তার আর কোনো যোগাযোগ নেই। তারা কোথায় আছে তা ও জানেন না ফারুক আহমেদ।।
ফারুক আহমেদ পিতা মৃত সমছুল হক, গ্রাম কাকুনাখাই, পোঃ লাফনাউট গোয়াইনঘাট, তিনি ২০০৮ সালে মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন,, জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের কহাইগড় ১ ম খন্ডের, তাজুল মৌলার মেয়ে ফাতেমা বেগমের সাথে ।
আজ ফারুক আহমেদ একটি ছায়া মাত্র। দিন কাটে শালিসদার আর প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে, কিন্তু সাড়া নেই কোথাও।
এই কি ছিল তার পরিণাম?
এই কি ছিল তার প্রাপ্য?
সমাজ, রাষ্ট্র ও প্রশাসনের কাছে আমাদের আবেদন:
এই ধরনের প্রবাসীদের জন্য সঠিক আইনি সহায়তা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক। যাদের ঘামে বৈদেশিক মুদ্রা আসে দেশে, তারা যেন দেশে ফিরে এসে পথে না বসে।