
19/04/2025
"আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও,
রহিমদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও।
বাড়ি তো নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি,
একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি।
একটুখানি হাওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে,
তারি তলে আসমানীরা থাকে বছর ভরে।
পেটটি ভরে পায় না খেতে, বুকের ক-খান হাড়,
সাক্ষী দিছে অনাহারে কদিন গেছে তার।।
কবিতাটি পড়েছেন? এবার ছবির সঙ্গে লাইনগুলো মিলিয়ে দেখুন। মিল পেয়েছেন নশ্চয়ই!
হ্যাঁ, ইনিই সেই আসমানী। যাঁকে নিয়ে পল্লীকবি জসীমউদ্দীন লিখেছিলেন তাঁর অমর সৃষ্টি 'আসমানী' কবিতা।
জসীমউদ্দীন এর নানা সাহিত্য কর্মে কালজয়ী নানা চরিত্র যেমন রুপাই, সাজু, হাজেরা বিবি, গণি মিয়া এবং আসমানী। এসব চরিত্র পল্লীকবি এঁকেছিলেন বাস্তবের মানুষ দেখেই।
কবিরা তাঁদের কবিতায় সমাজের নানা দৃশ্য তুলে ধরেন, অসঙ্গতি দূর করতে চান। কবিতার মাধ্যমেই দেশ থেকে অন্ধকার তাড়ানোর মশাল জ্বালান। মানুষের মাঝে সাহস জোগান। পল্লীকবিও করেছিলেন। কিন্তু আমরা দায় এড়িয়ে গিয়েছি। তাই তো আসমানীদের আর ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি!
আজ তাঁরা কেউই আর সশরীরে বেঁচে নেই, তবে রয়ে গেছে মানুষের মনে স্থান করে নেওয়া পল্লীকবির সেই সাহিত্যকর্ম, যার মাঝেই তাঁরা বেঁচে থাকবেন, বহুকাল।
ছবি: ২০০২ সালে পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের অমর সৃষ্টি 'আসমানী' কবিতার বাস্তব চরিত্র 'আসমানী বেগম' তাঁর নিজ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। ছবিটি তুলেছেন সরকার মন্টু।
সৌজন্যে: বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র
#জসীমউদ্দীন #সাহিত্য #কবিতা #রসুলপুর #আসমানী #ইতিহাসেরখোঁজেগিরিধর