27/09/2025
আল-আকসা মসজিদ কম্পাউন্ডে ইহুদিদের গোপন রিচ্যুয়াল – তিশা বাভ ২০২৫
এ বছর ২ ও ৩ আগষ্ট ইহুদিদের 'তিশা বাভ' পালিত হয়েছে এর নেতৃত্ব দিয়েছে চরমপন্থী ইসরাইলি মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির। ইহুদিরা এই দিনকে আল-আকসা দখলের প্রস্তুতির দিন হিসেবে চিহ্নিত করে বিভিন্ন রিচ্যুয়াল করে।
المسيح الدجال আল-মাসীহুদ দাজ্জাল (মিথ্যা মসিহ) এর আগমনের আহবানে তারা গোপন প্রার্থনা, কান্না এবং গোপন জাদুর আচার, ব্ল|ড রিচ্যুয়াল
(Kabbalah-based rituals) করে, যার পরবর্তী পদক্ষেপ আল-আকসা মসজিদ দখল করা, ভেঙ্গে ফেলা এবং থার্ড টেম্পল নির্মাণ করা।
তিশা বাভ এ ইহুদিরা ২৫ ঘন্টার উপবাস ও শোকের আচরণ করে, এই উপবাস সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নয়,
বরং আগের রাত থেকে পরের দিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত ২৫ ঘণ্টা উপবাস, খাওয়া-দাওয়া, পানীয়, গোসল, তেল মাখা, চামড়ার জুতো পরা নিষিদ্ধ।
উপবাস শুরুর আগের দিনে দুপুরের আগে (পূর্বাহ্নে) একটি বিশেষ খাবার (একবার রান্না করা খাবার) ‘Seudah HaMafseket’ খাওয়া হয়, যা খুবই সীমিত ও শোকপূর্ণ। এক রান্না করা খাবার যেমন ডিম বা ডাল গ্রহণ করা হয়, বিরল রুটির টুকরো আগুন বা ছাইতে ডুবিয়ে খাওয়া হয়,
তারা বসে থাকে মাটিতে বা নিচু চেয়ার-এ
(শোকপ্রকাশের চিহ্ন)
মুখে হাসি বা আনন্দ প্রকাশ করা নিষিদ্ধ,
সিনাগগে তারা আলো কমিয়ে রাখে বা নিভিয়ে রাখে,
গম্ভীর পরিবেশ সৃষ্টি করে। বিনোদন নিষিদ্ধ
গান, টিভি, সোশ্যাল মিডিয়া, আনন্দঘন কথাবার্তা এড়িয়ে চলে, ব্যবসা ও কাজ অনেকেই বন্ধ রাখে,
ফ্যাশন বা সাজসজ্জা নিষিদ্ধ, নতুন পোশাক, গয়নাগাটি, সুগন্ধি ব্যবহার নিষিদ্ধ ,মাংস ও ওয়াইন নিষিদ্ধ
মাটিতে বা নিচু চেয়ারে বসে খাওয়া হয়, কথাবার্তা কম হয় বা হয় না। হাসি-আনন্দ, গান-বাজনা, বিনোদন নিষিদ্ধ
নতুন জামা পরা, চুল, নখ কাটা, বিয়ে অনুষ্ঠান সবই নিষিদ্ধ। তারা প্রার্থনালয়ে নিরব ও গম্ভীর পরিবেশে
কিনোট (Kinot) পাঠ করে।
কিনোট (Kinot) পাঠের সময় বসার ভঙ্গি সাধারণ দিনের মতো হয় না, বরং মাটিতে বা নিচু চেয়ারে বসে পড়া হয়, শোক ও বিনয় প্রদর্শনের জন্য।
অবশ্যই ইসরাইল একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দেশ
যেখানে বিশ্বমানের স্টার্টআপ, সাইবার সিকিউরিটি এবং সামরিক প্রযুক্তিতে নেতৃত্ব রয়েছে। তারপরেও সেখানে সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রাচীনতম শয়ত|নী রিচ্যুয়াল করা হয়।
আধুনিকতা সেখানে একটি হাতিয়ার মাত্র,
তারা তাদের মূল লক্ষ্যে সবসময় সচেতন,
তারা المسيح الدجال আল-মাসীহুদ দাজ্জাল (মিথ্যা মসিহ) এর আগমন তরান্বিত করার প্রচেষ্টা ও অপেক্ষায় রয়েছে। তারা ধারণা করে, আল-মাসীহুদ দাজ্জাল ইহুদি জাতিকে তাদের ভূমিতে একত্রিত করবেন এবং তাদের রাজত্ব স্থাপন করবেন। দুনিয়ার সব রাজনীতি, অর্থনীতি ও ধর্মীয় ক্ষমতা তাদের পক্ষে নিয়ে আসবে এবং সব জাতিকে ইহুদি আইনের অধীনে আনবে।
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম দশটি আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফিতনা হতে হেফাযতে থাকবে।
- মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ফিতান।।