18/10/2025
⭕ আমাদের সমাজে প্রচুর লোক নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা ও চক্রান্ত (আরবিতে ফিতনা) করে সাথে নামাজ ও পড়ে।কেননা তারা নামাজ পড়া আর কায়েম করার পার্থক্য বুঝে পড়ে দেখতে চায় না। কুরআনে আপনি নামাজ পড়ার নিয়ম পাবেন না কিন্তু কায়েম করার বিস্তারিত পাবেন। যারা নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা বা চক্রান্ত করে তাদের উদ্দেশ্য আল্লাহ বলেন :
(সূরাঃ আল-বাকারা ২, আয়াত ২১৭)"...নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা বা চক্রান্ত মানে ফিতনা হত্যার চেয়ে মহাপাপ।...."
(সূরাঃ রা'দ ১৩, আয়াত ২৫)"আর যারা আল্লাহর সঙ্গে দৃঢ় অঙ্গীকার করার পর তা ভঙ্গ করে এবং যে সম্পর্ক বজায় রাখতে আল্লাহ আদেশ করেছেন তা ছিন্ন করে, আর পৃথিবীতে ফ্যাসাদ (বিশৃঙ্খলা) সৃষ্টি করে বেড়ায়, তাদেরই জন্য রয়েছে লানত এবং তাদেরই জন্য রয়েছে নিকৃষ্ট পরিণাম।"
(সূরাঃ আশ-শোয়ারা ২৬, আয়াত ১৮৩)"আর মানুষকে তাদের প্রাপ্য দ্রব্যাদি কম দিও না এবং পৃথিবীতে ফ্যাসাদ (বিশৃঙ্খলা) সৃষ্টি করে ফিরিও না।"
(সূরাঃ আল-কাসাস ২৮, আয়াত ৭৭)"আর তোমাকে আল্লাহ যা দিয়েছেন, তা দিয়ে আখেরাতের আবাস অনুসন্ধান কর এবং দুনিয়া থেকে তোমার অংশ ভুলে যেও না। এবং তুমি অনুগ্রহ কর যেমন আল্লাহ তোমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন এবং পৃথিবীতে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করতে চেয় না। নিশ্চয় আল্লাহ ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারীদের ভালোবাসেন না।"
সালাতের উদ্দেশ্য হলো কুরআন কায়েম করা।সালাতের মাধ্যমে আপনি আল্লাহর আদেশ জানবেন আর সেসকল বিষয়ে স্টিক মানে লেগে থাকবেন, এগুলো জীবনে বাস্তবায়ন করাই সালাত কায়েম। আর আল্লাহর আদেশে অটল থাকার চেষ্টাই জিহাদ আর কুরআনের করণীয় আল্লাহর বলা আদেশ বা কাজগুলোই হল আল্লাহর পথ।
(সূরাঃ আন-নিসা ৪, আয়াত ৩৬)"তোমরা আল্লাহর ইবাদত করবে ও কোন কিছুকে তাঁর শরিক করবে না এবং পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, এতিম, অভাবগ্রস্ত, নিকট-প্রতিবেশী, দূর-প্রতিবেশী, মুসাফির ও তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের প্রতি সদ্ব্যবহার করবে।নিশ্চয়ই আল্লাহ পছন্দ করেন না দাম্ভিক অহংকারীকে।"
পূর্ণ জ্ঞান না থাকায় মানুষ আয়াত প্রত্যাখ্যান করে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন...
(সুরাঃ নমল ২৭, আয়াত ৮৪)"এমনকি যখন তারা উপস্থিত হয়ে যাবে, তখন আল্লাহ বলবেন-তোমরা কি আমার আয়াত সমূহকে অস্বীকার করেছিলে? অথচ এগুলো সম্পর্কে তোমাদের পূর্ণ জ্ঞান ছিল না। অথবা তোমরা অন্য কিছু করছিলে?"
যারা আয়াত প্রত্যাখ্যান করে তাদের সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন...
(সূরাঃ আল-বাকারা ২, আয়াত ৩৯)"আর যারা সত্য প্রত্যাখ্যান করে এবং আমার আয়াতগুলোকে অস্বীকার করে, তারাই হবে জাহান্নামি,সেখানে তারা অনন্তকাল থাকবে।"
(সূরাঃ আল-বাকারা ২, আয়াত ৯৯)"আর আমি আপনার প্রতি স্পষ্ট আয়াতসমূহ নাজিল করেছি।কাফেররা ছাড়া কেউ তা প্রত্যাখ্যান করে না।"
(সূরাঃ আল-ইমরান ৩, আয়াত ১৯)"নিঃসন্দেহে ইসলাম তথা আত্মসমর্পণই হলো আল্লাহর নিকট দ্বীন বা ধর্ম। যাদের কিতাব দেওয়া হয়েছিল, তাদের কাছে প্রকৃত জ্ঞান আসার পর শুধু পরস্পর বিদ্বেষবশত তারা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছিল। আর কেউ আল্লাহর আয়াতকে প্রত্যাখ্যান করলে, সে জেনে রাখুক নিশ্চয়ই আল্লাহ হিসেব গ্রহণে অত্যন্ত দ্রুত।"
(সূরাঃ আল-বালাদ ৯০, আয়াত ১৯,২০)"আর যারা আমার আয়াতসমূহকে প্রত্যাখ্যান করে, তারাই হতভাগ্য। তারা হবে অগ্নিপরিবেষ্টিত বন্দি।"
(সূরাঃ আশ-শুরা ৪২, আয়াত ৩০)"আর তোমাদের প্রতি যে মুসীবত আপতিত হয়, তা তোমাদের কৃতকর্মেরই ফল। আর অনেক কিছুই তিনি ক্ষমা করে দেন।"
আল্লাহ বিশ্বাস ও সৎকর্মের জন্য জান্নাত দিবেন তা অসংখ্য বার বলেছেন। আর কিসে বিশ্বাস করতে হবে আর সৎকর্ম কি তাও বলে দিয়েছেন। দুঃখের বিষয় সেখানে আল্লাহ প্রদত্ত কিতাবের বাইরে অন্যকোন কিতাবে বিশ্বাসের কথা আল্লাহ বলেন নি। কিন্তু আমরা করছি উল্টো
(সূরাঃ আল-বাকারা ২, আয়াত ১৭৭)"পূর্ব এবং পশ্চিম দিকে তোমাদের মুখ ফিরানোতে কোন পুণ্য নাই; কিন্তু পুণ্য আছে কেহ আল্লাহ্ , পরকাল, ফিরিশ্তাগণ, সমস্ত কিতাব এবং নবীগণে ঈমান আনয়ন করিলে এবং আল্লাহ্প্রেমে আত্মীয় - স্বজন, পিতৃহীন, অভাবগ্রস্ত, পর্যটক, সাহায্যপ্রার্থিগণকে এবং দাস - মুক্তির জন্য অর্থ দান করিলে, সালাত কায়েম করিলে ও যাকাত প্রদান করিলে এবং প্রতিশ্রুতি দিয়া তাহা পূর্ণ করিলে, অর্থ - সংকটে দুঃখ - ক্লেশে ও সংগ্রাম - সংকটে ধৈর্য ধারণ করিলে। ইহারাই তাহারা যাহারা সত্যপরায়ণ এবং ইহারাই মুত্তাকী।"
আল্লাহ সৎকর্ম বা ভালো কাজের বিবরণ দিয়েছেন আরো কিছু আয়াত দেখে নেই।
.
(সূরাঃ আল-বাকারা ২, আয়াত ১৯৫)"আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় কর এবং তোমাদের হাত দ্বারা কোনো ক্ষতিসাধন বা ধ্বংস কোরো না এবং সৎকাজ করো, নিশ্চয় যারা সৎকাজ করে আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন।"
এখন আল্লাহর রাস্তায় ব্যয়ের নামে আল্লাহ যে কয়েকটা অ্যাকাউন্ট নাম্বার দিয়েছেন তার বাইরে অন্য অ্যাকাউন্টে ডিপোজিট করলে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।
কুরআন পাঠ করুন নিজ মাতৃভাষা বাংলায় অর্থসহ বুঝে বঝে, সে অনুযায়ী কাজ করুন, অবশ্যই নিরবিচ্ছিন্ন কুরআন অনুসরনই অন্যায় - অনৈতিক কাজ হইতে ফিরাইয়া রাখে।