Abdulla Al Mamun

Abdulla Al Mamun This is official page of Abdulla Al Mamun. Digital marketing solutions are available here.

‎মাওলানা রঈস উদ্দীন হত্যাকাণ্ডে তালামীযে ইসলামিয়ার নিন্দা : অপরাধীদের বিচার নিশ্চিতকরণ ও অসহযোগী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে...
29/04/2025

‎মাওলানা রঈস উদ্দীন হত্যাকাণ্ডে তালামীযে ইসলামিয়ার নিন্দা : অপরাধীদের বিচার নিশ্চিতকরণ ও অসহযোগী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান

‎মব সৃষ্টি করে গাজিপুরের একটি মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা রঈস উদ্দীনকে নৃশংসভাবে হত্যার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া। পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে ভিকটিমকে অসহযোগিতারও প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহবুবুর রহমান ফরহাদ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মনোয়ার হোসেন।

‎নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, অপবাদ দিয়ে মাওলানা রঈস উদ্দীনকে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরা সংক্ষুব্ধ ও ব্যথিত। শুধুমাত্র ভিন্ন আদর্শের অনুসারী হওয়ার কারণে ফিলিস্তিন ও ভারতের মজলুম মুসলমানদের পক্ষে সমাবেশে অংশগ্রহণ করায় তাঁকে অপবাদ দিয়ে মব সৃষ্টি করে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। একটা স্বাধীন দেশে এ ধরনের অমানবিকতা ও অন্যায় কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া যায় না। আমরা মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
‎নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা অত্যন্ত আশ্চর্য হয়েছি যে, পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার পর নির্যাতিত সেই ইমামের চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে উল্টো তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করে এবং পরবর্তীতে পুলিশি হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে একজন পুলিশ সদস্য তাকে পানি পর্যন্ত খেতে দেয়নি। এটা চরম অমানবিক আচরণ। এখনও পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে নানা অসহযোগিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মব সৃষ্টিকারীদের স্পষ্ট ভিডিও থাকা সত্ত্বেও এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, যা অত্যন্ত রহস্যজনক। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সকল অপরাধীর দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। পাশাপাশি যে পুলিশ সদস্যরা নির্যাতিত ইমামের চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে তাকে মৃত্যুর পথে ঠেলে দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহবান জানাচ্ছি।

নারায়ে তাকবীর -আল্লাহু আকবার,নারায়ে রিসালাত -ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। Mass Gathering for P-A-L-E-...
26/04/2025

নারায়ে তাকবীর -আল্লাহু আকবার,
নারায়ে রিসালাত -ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

Mass Gathering for P-A-L-E-S-T-I-N-E
Dhaka, 26-04-2025

ঢাকায় সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী (র.) স্মরণে সম্মেলন ৬ মেআযাদী আন্দোলনের অকুতোভয় সিপাহসালার, ঈমানী চেতনার প্রাণপুরুষ, আমীর...
20/04/2025

ঢাকায় সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী (র.) স্মরণে সম্মেলন ৬ মে

আযাদী আন্দোলনের অকুতোভয় সিপাহসালার, ঈমানী চেতনার প্রাণপুরুষ, আমীরুল মুমিনীন ইমামুত তরীকত, শহীদে বালাকোট হযরত সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী (র.) স্মরণে সম্মেলন আগামী ০৬ মে ২০২৫, মঙ্গলবার ঢাকার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।
উক্ত সম্মেলন সফলের লক্ষ্যে ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, শনিবার, বাদ যুহর, সিলেট নগরীর সোবহানীঘাটস্থ হযরত শাহজালাল দারুচ্ছুন্নাহ ইয়াকুবিয়া কামিল মাদরাসা কনফারেন্স হলে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।দারুল ফিকর ওয়াল ইফতা আল ইসলামী বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান মাওলানা গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী‘র সভাপতিত্বে ও বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা নজমুল হুদা খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সম্মেলনের পরিকল্পনা, প্রস্তুতি ও করণীয় নিয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বালাকোট-চেতনা উজ্জীবন পরিষদের সদস্য সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী ফুলতলী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহবুবুর রহমান ফরহাদ, সোবহানীঘাট হযরত শাহজালাল দারুচ্ছুন্নাহ ইয়াকুবিয়া কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আবু ছালেহ মো: কুতবুল আলম, আনজুমানে আল ইসলাহ ইউকে’র প্রেস এন্ড পাবলিসিটি সেক্রেটারি, শাহজালাল মসজিদ ম্যানচেস্টার এর ইমাম ও খতীব মাওলানা খায়রুল হুদা খান প্রমুখ।
এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা শামসুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক মাওলানা আতাউর রহমান, তালামীযে ইসলামিয়ার সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা নজীর আহমদ হেলাল, কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মনজুরুল করিম মহসিন, সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মাওলানা হুমায়ূনুর রহমান লেখন, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম মনোয়ার হোসেন, সৎপুর দারুল হাদীস কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা ছালেহ আহমদ বেতকোণী, আনজুমানে আল ইসলাহ মিডল্যান্ডস, ইউকে’র সেক্রেটারি মাওলানা হুসাম উদ্দিন আল হুমায়দী, বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল লতিফ, উলুআইল আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা বশির উদ্দীন, তালামীযে ইসলামিয়ার সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদুর রহমান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফ আহমদ, কবির আহমদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইমাদ উদ্দিন তালুকদার, সাবেক কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক কাওছার হামিদ সাজু, কেন্দ্রীয় সহ অফিস সম্পাদক মোসলেহ উদ্দিন কাওছার, সহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক উবায়দুর রহমান শাহান, মো. ছাদেকুর রহমান, আনজুমানে আল ইসলাহ মৌলভীবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক, সুনামগঞ্জ জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মোস্তাক আহমদ, জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুস সবুর, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাবেদ হোসাইন, দারুল কিরাত মজিদিয়া ফুলতলী ট্রাস্টের দায়িত্বশীল মাওলানা ইকবাল হোসাইন, সিলেট মহানগর লতিফিয়া কারী সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কাজী জয়নুল ইসলাম মুনিম, ইয়াকুবিয়া হিফজুল কোরআন বোর্ড এর অফিস সম্পাদক মাওলানা সাইদুর রহমান।
অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সদস্য রেজাউল ইসলাম, এম শামছ উদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি আলী রাব্বি রতন, সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি আবু হেনা ইয়াছিন, সিলেট মহানগরীর সভাপতি হুসাইন আহমদ, সিলেট পূর্ব জেলা সভাপতি মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান, সিলেট পশ্চিম জেলা সভাপতি শেখ রেদওয়ান হোসেন, হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি আমিমুল ইহসান তাহসিন, তালামীযে ইসলামিয়া সিলেট মহানগরী সহ সভাপতি মো. মাহমুদুল হাসান, সিলেট পূর্ব জেলা সহ সভাপতি লাবিবুর রহমান লাভলু, সিলেট মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসাইন সামাদ, সিলেট পূর্ব জেলা সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আহমদ, সিলেট পশ্চিম জেলা সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমদ সুফি, মৌলভীবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান প্রমুখ।

যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকের ফদীলত ও আমাল-মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরীহাদীস শরীফে জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের ইবাদত, রোযা রাখ...
08/06/2024

যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকের ফদীলত ও আমাল
-মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী

হাদীস শরীফে জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের ইবাদত, রোযা রাখা, তাসবীহ-তাহলীলের অনেক ফদীলত বর্ণিত হয়েছে। কুরআন কারীমে আল্লাহ তাআলা এ দিনগুলোর শপথ নিয়েছেন, বেশি বেশি যিকর করতে নির্দেশ করেছেন। আমরা এই দশ দিন সম্পর্কে আলোচনা তুলে ধরছি।

কুরআন কারীমে যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশদিনের ফদ্বীলতের ব্যাপারে ইঙ্গিত পাওয়া যায়। যেমন- وَيَذْكُرُوا اسْمَ اللهِ فِي أَيَّامٍ مَعْلُومَاتٍ -এবং নির্দিষ্ট দিনগুলোতে যেন তারা আল্লাহর নাম স্মরণ করে। (সূরা হাজ্জ, আয়াত-২৮)
তাফসীরে ইবন কাসীর-এ হযরত ইবন আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে এখানে أَيَّام مَعْلُومَاتٍ ‘নির্দিষ্ট দিনসমূহ’ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে যিলহজ্জের ‘দশ রাত’।
অনুরূপ সূরা ফাজরে আল্লাহ তাআলা এই দশ রাত্রির কসম করেছেন। আল্লাহ তাআলা যেসব বিষয়ের কসম করেছেন সেসকল বিষয় ইহকালীন অথবা পরকালীন জীবনে কোন না কোন গুরুত্ব বহন করে। আল্লাহ তাআলা সূর্যের শপথ করেছেন, চন্দ্রের শপথ করেছেন, তারকারাজির শপথ করেছেন, মক্কা মুকাররামার শপথ করেছেন, কুরআন মাজীদের শপথ করেছেন, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনের শপথ নিয়েছেন, তেমনিভাবে এই দশ রাত্রিরও শপথ করেছেন- وَالْفَجْرِ * وَلَيَالٍ عَشْرٍ -ফজরের শপথ, আর দশ রাত্রির শপথ। (সূরা ফাজর, আয়াত- ১,২)
এ আয়াতের ব্যাপারেও ইমাম তাবারী (র.) বলেন, ‘দশ রাতের শপথ’ এর দ্বারাও যিলহজ্জ এর প্রথম দশ রাত উদ্দেশ্য। এ ব্যাপারে কুরআন বিশেষজ্ঞগণ ইজমা পোষণ করেছেন।
আর ইবন কাসীর তার তাফসীরে সূরা ফাজরের এ আয়াতের ব্যাপারে বলেন, হযরত ইবন আব্বাস (রা.), ইবন যুবাইর (রা.), মুজাহিদসহ পূর্বাপর প্রায় সবাই এমত পোষণ করেন যে এর দ্বারা যিলহজ্জের ১ম দশ রাত উদ্দেশ্য।
সূরা ফাজরের পরবর্তী আয়াতে আল্লাহ তাআলা জোড় ও বেজোড়ের শপথ নিয়েছেন। হাদীসের ভাষ্য থেকে বুঝা যায় এ দুটিও যিলহজ্জের প্রথম দশকের সাথে সম্পৃক্ত। যেমন-
হযরত জাবির (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সূত্রে বর্ণনা করেন, নিশ্চয় (সূরা ফাজরের আয়াতস্থিত) দশ রাত দ্বারা যিলহজ্জের ১০ রাত আর والشفع والوتر এর والوتر (বেজোড়) দ্বারা আরফার দিন (৯ তারিখ) এবং والشفع (জোড়) দ্বারা কুরবানীর দিন (১০ তারিখ) উদ্দেশ্য। (তাফসীরে কুরতুবী, সূরা ফাজর)
যিলহজ্জের প্রথম ১০ দিনের ফদ্বীলতের ব্যাপারে বহু হাদীসেও উল্লেখ পাওয়া যায়। এইদিনের আমল আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয়। হযরত ইবন আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,

ما من أيامٍ العمل الصالح فيها أحبُّ إلى الله من هذه الأيامِ (يعني أيامَ العشر). قالوا: يا رسول الله، ولا الجهادُ في سبيل الله؟ قال: ولا الجهادُ في سبيل الله إلا رجلٌ خرج بنفسه وماله فلم يرجعْ من ذلك بشيء

-এমন কোনো দিবস নেই যার আমল যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের আমল থেকে আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়। প্রশ্ন করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর পথে জিহাদ করা থেকেও কি অধিক প্রিয়? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ জিহাদ করা থেকেও অধিক প্রিয়, তবে এমন ব্যক্তির কথা ভিন্ন যে তার জান-মাল নিয়ে আল্লাহর পথে বের হলো এবং এর কোনো কিছুই ফেরত নিয়ে এলো না। (সুনান আবি দাউদ, কিতাবুস সাওম, বাবু মিন সাওমিল আশার)

সর্বোত্তম দিন
হযরত জাবির (রা.) হতে বর্ণিত আরেকটি হাদীসে এসেছে- যিলহজ্জের ১০ দিন সর্বোত্তম দিন। হযরত জাবির (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন “দুনিয়ার দিনসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম হচ্ছে ‘দশ দিন’ অর্থাৎ যিলহজ্জ মাসের দশদিন। বলা হলো আল্লাহর পথে (জিহাদে) কাটানো দিনগুলোও এর মতো নয়? রাসূল ব বললেন, আল্লাহর পথের দিনগুলোও এর সমান নয়, তবে এই ব্যক্তি ভিন্ন যে নিজের মুখমণ্ডল ধূলো ধূসরিত করল (অর্থাৎ শহীদ হলো)। (হাইসামী, খণ্ড-৪, পৃষ্ঠা নং-১৭)
ইবন হিব্বান সূত্রে বর্ণিত হয়েছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ما من أيامٍ أفضل عند الله من أيام عشر ذي الحجة -যিলহজ্জের প্রথম ১০ দিনের মতো উত্তম দিন আল্লাহর কাছে আর কোনটিই নয়। (ইবন হিব্বান, খণ্ড -৯, হাদীস নং-৩৮৫৩)

জিহাদ হতেও উত্তম
উপরোক্ত হাদীসে আরো বর্ণিত হয়েছে যে, এক ব্যক্তি প্রশ্ন করলেন, এগুলো উত্তম না যে দিনগুলো জিহাদে কাটানো হয় সেদিনগুলো উত্তম? রাসূল ব বললেন, এগুলো জিহাদে কাটানো দিনের চেয়েও উত্তম।

এ দিনগুলোর আমল পবিত্রতম ও সাওয়াবে সর্বোত্তম
হযরত ইবন আব্বাস (রা.) নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সূত্রে বর্ণনা করেন,

(ما من عملٍ أزكى عند الله ولا أعظم أجراً من خيرٍ يعمله في عشر الأضحى… (رواه الدارمي

-আল্লাহর কাছে উত্তম কাজসমূহের মধ্যে পবিত্রতম ও প্রতিদানের বিবেচনায় সবচেয়ে বড় আমল হচ্ছে যা আদহার দশদিনে সম্পাদন করা হয়। … (দারেমী, খণ্ড-২, হাদীস নং-১৭৭৪)

ফদীলতের কারণ
যিলহজ্জের প্রথম দশকের এতো ফদীলত হওয়ার পেছনে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো রয়েছে-
১. তারবীয়ার দিন (يوم التروية) এটি হচ্ছে যিলহজ্জের ৮ম দিন। যেদিনে হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। মুহরিম অবস্থায় হাজীগণ মিনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে না।
২. এই দশকে রয়েছে আরফার দিন। যা অত্যন্ত ফদ্বীলতের এবং মর্যাদার। হাদীসে এসেছে-
* আরফাই হচ্ছে হজ্জ। (الحج العرفة)
* এই দিনে আল্লাহ তাআলা অধিক সংখ্যক মু’মিন মু’মিনাতকে (মু’মিন নারী-পুরুষ) মাফ করে দেন। (নাসাঈ)
* এ দিনে আল্লাহ তাআলা আরফার ময়দানে উপস্থিতদের নিয়ে ফিরিশতাদের মাঝে গৌরব করেন। (মুসলিম শরীফে হযরত আয়িশা (রা.) বর্ণিত হাদীসে দ্রষ্টব্য)
* এই দিনে রোযা রাখলে আগের ও পরের ২ বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যায়। (সহীহ মুসলিম)
৩. যিলহজ্জের প্রথম দশ দিনগুলোতেই মুজদালিফায় অবস্থান করা হয়।
৪. এ দিনগুলোর মধ্যেই ইসলামের ৫ম স্তম্ভ হজ্জ সম্পাদিত হয়।
৫. এদিনগুলোর ১০ম দিন থেকে কুরবানীর দিন সূচনা হয়। আর হাদীসের এক বর্ণনা অনুযায়ী এই দিন দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ দিনসমূহের একটি। আবূ দাউদে বর্ণিত হয়েছ-

إن أعظم الأيام عند الله يوم النحر، ثم يوم القرّ. رواه أبو داوود

-নিশ্চয় আল্লাহ তাআলার কাছে দিনসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো কুরবানীর দিন, তারপর এর পরবর্তী দিন অর্থাৎ ১১ যিলহজ্জ। (আবু দাউদ)
যিলহজ্জের প্রথম দশকের এতো ফদ্বীলত বর্ণিত হয়েছে যে, আলিমগণ রামাদানের শেষ দশকের এবং এর মধ্যে সমন্বয় করতে গিয়ে বলেন,

عَشْرُ رَمَضَانَ أَفْضَلُ مِنْ حَيْثُ لَيَالِيهِ لِأَنَّ مِنْهَا لَيْلَةَ الْقَدْرِ، وَهِيَ أَفْضَلُ اللَّيَالِي، وَعَشْرُ ذِي الْحِجَّةِ أَفْضَلُ مِنْ حَيْثُ أَيَّامُهُ لِأَنَّ فِيهَا يَوْمَ عَرَفَةَ وَهُوَ أَفْضَلُ الْأَيَّامِ

-রামাদানের শেষ দশক ‘রাতের’ বিবেচনায় সর্বোত্তম কেননা, এর মধ্যে রয়েছে লাইলাতুল কদর। আর এটা রাতসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম। অন্যদিকে যিলহজ্জের প্রথম দশক ‘দিনের’ বিবেচনায় উত্তম, কেননা এর মধ্যে রয়েছে আরফার দিন যা দিনসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম। (মিরকাত, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৪৯৬)
এই দশ দিনের এতো মর্যাদার একটি কারণ হিসেবে উলামায়ে কিরাম বলেন, এই সময়ের মধ্যে সকল প্রকার ইবাদত করা যায়। নামায, রোযা, যাকাত, সাদকাহসহ সব আমল অন্য সময়ে করা যায় কিন্তু কুরবানী, হজ্জ করা যায় না। আর এই দশ দিনের মধ্যে নামায, রোযা, যাকাতের সাথে সাথে কুরবানী ও হজ্জ সহ অন্যান্য সকল ইবাদত করা যায়। সে জন্যে এর মর্যাদা আলাদা। (ইবন হাজার; ফাতহুল বারী)

এ রাতসমূহের আমল
এ রাতসমূহে আমরা নিম্ন লিখিত আমল করতে পারি-

বেশি বেশি আল্লাহর যিকর করা
এ সময়ে যিকর করার জন্য সরাসরি কুরআন শরীফের নির্দেশনা পাওয়া যায়। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, وَيَذْكُرُوا اسْمَ اللهِ فِي أَيَّامٍ مَّعْلُومَاتٍ -তোমরা নির্দিষ্ট দিনসমূহে আল্লাহর নামের যিকর করো। (সূরা হাজ্জ, আয়াত-২৮)
জমহুর মুফাসসিরীনের মতে এই আয়াত দ্বারা যিলহজ্জের প্রথম দশ দিনকে বুঝানো হয়েছে।

অধিক পরিমাণ তাসবীহ-তাহলীল করা
মুসনাদে আহমদে বর্ণিত আছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,

ما من أيام أعظم عند الله، ولا أحب إلى الله العمل فيهن من أيام العشر، فأكثروا فيهن من التسبيح، والتحميد، والتهليل، والتكبير

-এই দশ দিনের মর্যাদার সমতুল্য এবং এই দশ দিনের আমল অপেক্ষা অধিক প্রিয় আমল আল্লাহর কাছে নেই। সুতরাং তোমরা এই দিনসমূহে অধিক পরিমাণে তাসবীহ, তাহমীদ, তাহলীল এবং তাকবীর পাঠ করো। (আহমদ, ৭/২২৪)

রোযা রাখা
যিলহজ্জের প্রথম দিন থেকে নবম দিন পর্যন্ত রোযা রাখা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই সময়ে রোযা রাখতেন। উম্মুল মুমিনীন হযরত হাফসা (রা.) বলেন,

أربع لم يكن يدعهن رسول الله صلى الله عليه وسلم صيام يوم عاشوراء والعشر وثلاثة أيام من كل شهر والركعتين قبل الغداة

-রাসূল ব চারটি জিনিস কখনো ছাড়তেন না। আশুরার রোযা, দশ রাত্রির রোযা, প্রত্যেক মাসে তিনটি রোযা আর সকালের দুই রাকাআত নামায (ফজরের সুন্নত)। (সুনান কুবরা লিন নাসাঈ, হাদীস নং ২৭৩৭)
অন্য হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَال: مَا مِنْ أَيَّامٍ أَحَبَّ إِلَى اللهِ أَنْ يُتَعَبَّدَ لَهُ فِيهَا مِنْ عَشْرِ ذِي الْحِجَّةِ، يَعْدِل صِيَامَ كُل يَوْمٍ مِنْهَا بِصِيَامِ سَنَةٍ، وَقِيَامُ كُل لَيْلَةٍ مِنْهَا بِقِيَامِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ

-হযরত আবূ হুরাইরা (রা.) নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি ইরশাদ করেন, আল্লাহর নিকট দিনসমূহের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকের ইবাদত। এর প্রত্যেক দিনের রোযা এক বছরের রোযার সমান। আর এর প্রত্যেক রাতের ইবাদত শব-ই কদরের ইবাদতের সমান। (সুনান তিরমিযী, হাদীস নং ৭৫৮)

রাত জেগে ইবাদত করা
যিলহজ্জের দশ রাত্রিসমূহে রাত জেগে ইবাদতের গুরুত্ব অপরিসীম। হানাফী ও হাম্বলী মাযহাব অনুযায়ী এ দশকের রাতসমূহে জাগ্রত থেকে ইবাদত করা মুস্তাহাব।
প্রখ্যাত তাবিঈ হযরত সাঈদ ইবন জুবাইর (রা.) বলেন, لاَ تُطْفِئُوا سُرُجَكُم لَيَالِيَ العَشْرِ -তোমরা দশ রাত্রিতে তোমাদের ঘরের বাতিসমূহ নিভিয়ে ফেলো না। অর্থাৎ ঘুমিয়ে পড়ো না।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এই দশককে যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করে আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন।

সবাইকে ''বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা💚আজ তালামীযের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। আল্...
19/02/2024

সবাইকে ''বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা💚

আজ তালামীযের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (রহ:) মোবারক হাতে গড়া প্রাণ প্রিয় সংগঠন "বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া"।

শামসুল উলামা হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.) বাতিল আকীদা-বিশ্বাস থেকে ছাত্রসমাজকে বাঁচিয়ে রাখার নিমিত্তে তালামীযে ইসলামিয়া প্রতিষ্ঠা করেছেন।

তাঁর চেতনা ও আদর্শ লালন করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সমাজের সর্বস্তরে ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সর্বোচ্চ ত্যাগ ও কুরবানীর মানসিকতা অর্জন করতে হবে।

আও রে ভাই দলে দলে
তালামীযের ছায়াতলে।

তুরস্ক কেন ফিলিস্তিনকে সামরিক সহায়তা দিচ্ছে না?🖊️ Khaled Saifullah ১। সবার আগে একটা কথা মাথায় ঢুকিয়ে নিতে হবে বর্তমান...
21/10/2023

তুরস্ক কেন ফিলিস্তিনকে সামরিক সহায়তা দিচ্ছে না?
🖊️ Khaled Saifullah

১। সবার আগে একটা কথা মাথায় ঢুকিয়ে নিতে হবে বর্তমান বিশ্বে আমেরিকা এবং পশ্চিমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো তুরস্ক। তুরস্কের সদ্য অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া নির্বাচন যারা পর্যবেক্ষণ করেছেন, তাদেরকে সেই পরিস্থিতিটা অবশ্যই সর্বদা মাথায় রাখতে হবে। তুরস্ককে তাদের একমাত্র শত্রু যদি বলি তাও বলতে পারি। অত্যুক্তি হবে না। ধীরে ধীরে সব ক্লিয়ার দেখতে পাবেন। পড়তে থাকুন।

২। কুফফার পরাশক্তিগুলোর সামনে নিজেকে বুক চেতিয়ে দাঁড় করানোর জন্য তুরস্ক পৃথিবীর মানচিত্রের গুরুত্বপূর্ণ রেখা গুলোতে পায়ের ছাপ রাখতে শুরু করেছে। এর একটা উদ্দেশ্য হলো কোনো মুসলিম দেশ যেন নিজেদের সুরক্ষার জন্য কাফেরদের ধারস্ত হতে না হয়। বর্তমান পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে আমেরিকার পর সবচেয়ে বেশি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে তুরস্কের। সিরিয়াতে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে ৬টা, সেখানে ৫ হাজার সেনাবাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে। ইরাকে তুরস্কের সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনীর সামরিক ও নজরদারি ঘাঁটি রয়েছে মাত্র ২৫ টা। কাতারে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটিতে রয়েছে পাঁচ হাজার সেনা সদস্য। এছাড়া লিবিয়া, সুদান ও আলবেনিয়াতে রয়েছে নৌঘাটি। সাইপ্রাস, আজারবাইজান, সোমালিয়া, তিউনিসিয়া ও মালিতে রয়েছে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি। এটা পরাশক্তিগুলোর মাথাব্যথার বড় একটা কারণ।

৩। তুরস্ক এখন মৌলিক যে কয়টা বিষয়ে গভীরভাবে ও সর্বোচ্চ গতিশীলতার সাথে ব্যস্ত তার অন্যতম হলো, ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রি। তাদের টার্গেট হলো মুসলিম বিশ্বের সবগুলো দেশকে অত্যাধুনিক সামরিক ডিফেন্সের আওতায় নিয়ে আসা। যেমন- তুরস্কে বর্তমানে নির্মিত হচ্ছে যুদ্ধ জাহাজ, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ফাইটার জেট, এ্যাটাক হেলিকপ্টার, সাবমেরিন, কয়েক প্রকারের অত্যাধুনিক ড্রোন, দূরপাল্লার মিসাইল, ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান। আটটা প্রকল্পে পরমাণু কার্যক্রম প্রাথমিক পর্যায়ে। সবগুলো প্রকল্পে বিশেষত সৌদি আরব, আরব আমিরাত, কাতার, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান ও আজারবাইজানের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে। এ ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে নিরাপদ রাখার জন্য তুরস্ক সার্বক্ষণিক যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে ইরাকে এবং সিরিয়ায়। সেখানে আমেরিকার সামরিক উপস্থিতিকেও ক্ষণে ক্ষণে চোখ রাঙাতে দেখা যায় তুরস্ককে।

৪। তুরস্ক মুসলিম বিশ্বের সকল দেশ থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে স্কলারশিপ দিয়ে তাদের দেশে নিয়ে আসছে। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে প্রথম সারির আমলাদের অধিকাংশ এখন তুরস্ক থেকে ডিগ্রি প্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তুরস্কের মিলিটারি একাডেমি ও ডিফেন্স প্রকল্পগুলোতে বাংলাদেশীসহ মুসলিম বিশ্বের তরুণ প্রজন্ম প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এর সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য বুঝতেই পারছেন।

৫। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তুরস্কের এখন ব্যস্ততা হলো, তারা একটা সংবিধান রচনার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এ সংবিধানের চূড়ান্ত অনুমোদন ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা পর্যন্ত তারা তাদের জাতিকে যেকোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ রাখার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে বাধ্য। ছোট বা বড় যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে তাদেরকে এখন অনেক বেশি ভাবতে হচ্ছে।

৬। আজকে আমরা আফগানিস্তানের সফলতার গল্প পাঠ করতে শুরু করেছি। এই গল্পের শুরুটা কাতার থেকে হয়েছিল। আজকে যে হামাসের সাহসিকতার গল্প আমরা অবলোকন করতে পারছি, তা পরিচালনার প্রধান দপ্তর কাতারে। এই কাতারকে আরব অনারব সকল শত্রুর থাবা থেকে বাঁচাতে সেখানে বাজপাখির গতিতে এসে হাজির হয়েছিল তুরস্ক। এখনও জীবন বাজি রেখে দাঁড়িয়ে আছে।

৭। তুরস্ক তার চূড়ান্ত প্রস্তুতির এ পর্যায়ে কোনো প্রকার শত্রুর সঙ্গে বড় ধরনের সামরিক দ্বন্দ্বে যেতে রাজি নয়। কূটনৈতিকভাবে সমস্যা মোকাবেলায় বিশ্বের সর্বত্র তুরস্ক তার সক্ষমতার জানান দিয়ে যাচ্ছে আপাতত। যার স্বীকৃতি সারা বিশ্ব এমনকি খোদ আমেরিকা পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে দিতে বাধ্য হয়েছে। আজারবাইজান এবং লিবিয়া ও সিরিয়াতে তুরস্ক যদিও সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ করে যাচ্ছে, সেগুলোও মূলত কূটনীতির ছদ্মাবরণে। শত্রুর বন্ধুদের সাথে বোঝাপড়ার ভিত্তিতে এবং সুনিশ্চিত সফলতার কথা জেনেই হস্তক্ষেপ করছে।

৮। তুরস্কের বর্তমান সক্ষমতা হিসেবে চাইলে একাই ফিলিস্তিনিদের পাশে সামরিক শক্তি নিয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ, ভূমধ্যসাগরের রাজা ঈগল হলো তুর্কি নৌ-বাহিনী। কিন্তু ভেজালটা লেগে যাবে হামলা করা মাত্রই। যেই তুরস্ক হস্তক্ষেপ করবে, সাথে সাথে প্রতিপক্ষ হিসেবে পশ্চিমা সকল ক্রুসেডার সর্বশক্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে যাবে। তুরস্কের ফাইনাল পর্যায়ের সকল সামরিক প্রস্তুতি ভেস্তে যাবে। তাই তুরস্ক এখানেও কূটনৈতিকভাবে বিজয় সুনিশ্চিত করবার সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে।

৯। তুরস্ক যা করছে তা হলো, তুরস্কের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাকান ফিদান মিশরে গিয়ে পড়েছিলেন দুই দিন। কারণ, ফিলিস্তিন সমস্যার শতভাগ সমাধান মিশরের হাতে। ইসরাইলসহ পশ্চিমা বিশ্ব যদি ফিলিস্তিনিদেরকে চিনাই উপত্যকায় পুনর্বাসন করবার জন্য মিশরকে রাজি করাতে পারে, তাহলে ইসরাইল এক ঘণ্টার মধ্যে গাজা খালি করে ফেলবে। তুরস্ক কূটনৈতিক উপায়ে মিশরকে গলা চেপে ধরে রেখেছে। এদিকে 'কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়' নীতির আওতায় সৌদি ও আমিরাতের সঙ্গে সম্পর্ক করে বিশাল বিনিয়োগ বাগিয়ে নেয়ায় তারাও তুরস্কের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে বাধ্য। কারণ, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ফাইটার জেট ও ড্রোন প্রদানের মাধ্যমে আগামী দিনে সৌদি-আমিরাতের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে তুরস্ক অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছে। সাথে বলে যাই, হারামাইনে তুর্কি সেনারা আসছে...

১০। গাজায় স্থল অভিযান পরিচালনা করতে না পারার একমাত্র কারণ হলো, মিশর এবং সৌদির সবুজ সংকেত না পাওয়া। আর সেখানেই মাথার উপরে বসে আছে তুরস্ক। তুরস্ক এখন শুধুমাত্র চাচ্ছে যে কোনো মূল্যে একটা স্বীকৃত স্বাধীন ফিলিস্তিন মানচিত্রের আবির্ভাব ঘটানো। বর্তমান বিশ্বব্যাপী যে কূটনৈতিক পারফরমেন্স তুরস্কের রয়েছে, এটা দিয়ে আশা করি অনেক দূর এগিয়ে যাবে ফিলিস্তিন। অলরেডি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের দুই স্থায়ী সদস্য স্বাধীন ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়িয়ে গেছে। স্বাধীনতা ঘোষণা হওয়া মাত্রই দিনে দিনে সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত করার মাধ্যমে সরাসরি আল আকসার আঙিনায় হাজিরা দিবে জাইশে মুহাম্মাদী [তুর্কি সেনারা]। ঠিক যেমনটা করেছিল লিবিয়ায়।

১১। গাজাবাসীকে ফিলিস্তিনের বাইরে মিশরে বা অন্য কোথাও পুনর্বাসিত করবার ইসরাইলী মনোবাসনাকে যেন সমর্থন দিতে আরব নেতারা গড়িমসি না করে, সেজন্যই মূলত ভূমধ্যসাগরে ইঙ্গমার্কিনীদের আনাগোনা। এটাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাতে তুর্কি নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগরে নিজেদের সক্ষমতা জানান দিতে পাঁচ দিনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। দেখা যাক সর্বশেষ কী হয়। এখনো পর্যন্ত বিজয়ের ফলাফল শতভাগ হামাসের হাতেই রয়েছে। নারী এবং শিশুদের হত্যা করা ও ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত করা যুদ্ধের সফলতার লক্ষণ তো নয়ই; বরং সর্বনিম্ন স্তরের ভীরুতা ও কাপুরুষতা। জয়তু তুর্কি।

24/12/2022

নতুন কারিকুলামের বই প্রত্যাখানের আহবান
বিতর্কিত নতুন পাঠ্যপুস্তক এ দেশের মানুষ গ্রহণ করবে না
---মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী

বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র সভাপতি হযরত মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ২০২৩ সালে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে যে পাঠ্যপুস্তক আসছে তা নিয়ে দেশের সচেতন মহলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ সকল পাঠ্যপুস্তকে ইসলামী বিশ্বাস, আদর্শ, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে পাশ কাটিয়ে ভিনদেশী কৃষ্টি-কালচার তুলে ধরা হয়েছে। এমনকি মিথ্যা, কল্পিত ও বিতর্কিত বিবর্তনবাদসহ কুরআন সুন্নাহ বিরোধী বহু বিষয় এগুলোতে রয়েছে। এটি ইসলাম নিয়ে মহলবিশেষের সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্রের ফল। শিক্ষাব্যবস্থায় এ সকল ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক পাঠ্যপুস্তক স্কুল ও মাদরাসায় মেনে নেওয়া হবে না। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এ সকল পাঠ্যপুস্তক বেহায়াপনা, নির্লজ্জতা, নগ্ন মূর্তি, ভাস্কর্য ও নগ্ন ছবি দিয়ে ভরপুর। এতে নৈতিকতা শিক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই, নেই আদর্শ মানুষ গঠনের নির্দেশনা। এ সকল পাঠ্যপুস্তক আদর্শবিবর্জিত খেল-তামাশায় মত্ত অযোগ্য, অদক্ষ একদল নাগরিক গঠন ছাড়া অন্য কোনো কাজে আসবে না। এমন পাঠ্যপুস্তক দেশে নতুন সংকট সৃষ্টি করবে। দেশ আদর্শ মানুষ ও আদর্শ নেতৃত্ব শূণ্য হবে। জাতির এ সংকট মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছিলেন। কুরআন সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন হবে না মর্মে অঙ্গীকার করেছিলেন। আরবী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন দাবী-দাওয়া পূরণ হয়েছে। তাঁর সাথে সাক্ষাত করে অনতিবিলম্বে আমরা পাঠ্যপুস্তক নিয়ে আমাদের দাবীগুলো পেশ করবো। আশা করি তিনি আমাদের দাবী রক্ষা করবেন। এই মুহূর্তে আমাদের প্রধান দাবী এ বইগুলো যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে না যায়। আমরা এগুলো দেখতে চাই না। এ বছর আমরা পুরাতন বইগুলো পড়াবো। দেশের মানুষ বিতর্কিত নতুন পাঠ্যপুস্তক গ্রহণ করবে না। তারা সন্তানদের পৌত্তলিকতা শিক্ষা দিতে চায় না। সকল মাদরাসা ও স্কুলে বিতর্কিত নতুন বইগুলো প্রত্যাখ্যানের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষক, অভিভাবক, কমিটি সহ সকলকে সজাগ ও সতর্ক হতে হবে। দাবী বাস্তবায়ন না হলে আমরা ঘরে বসে থাকবো না। ঈমান ইসলাম রক্ষায় প্রয়োজনে আমরা জীবন বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত আছি। তিনি সোমবার (০৫.১২.২০২২) সকাল ১০ টায় বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর উদ্যোগে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে দেশের প্রখ্যাত আলিম-উলামা, ইসলামী চিন্তাবিদ ও মাদরাসা প্রধানদের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নজমুল হুদা খান এর পরিচালনায় মাদরাসার জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন এবং দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির আলোকে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের দাবিতে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন এর মহাসচিব মাওলানা শাব্বির আহমদ মোমতাজী, ফরিদগঞ্জ আলিয়া মাদরাসা চাঁদপুর এর অধ্যক্ষ ড. মাওলানা এ কে এম মাহবুবুর রহমান, ঢাকা দারুন নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আ খ ম আবু বকর সিদ্দীক, করুণা মোকামিয়া কামিল মাদরাসা বরগুনা'র অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস, ঢাকা নয়াটুলা এ.ইউ কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ রেজাউল হক, ঢাকা গাউছিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ ইজহারুল হক, ইসলামী শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুর রহমান ও বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান আহমদ।

মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী বলেন, নতুন কারিকুলাম দেশের কোনো মুসলমানের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আগে মাদরাসা বোর্ডের উপর বইয়ের দায়িত্ব ছিল। পরবর্তীতে এনসিটিবিকে সাধারণ বইগুলোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিভিন্ন কর্মশালায় নতুন বইয়ের বিষয়ে আলিম-উলামা আপত্তি জানিয়েছেন। মাদরাসা সংশ্লিষ্টদের ধোঁকা দিয়ে এ বইগুলো করা হয়েছে। আমরা মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি যে, জনগণ এ ধরনের বই গ্রহণ করবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করি তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

মাওলানা আ.খ.ম আবূ বকর সিদ্দীক বলেন, বিভিন্ন কর্মশালায় আলেম-উলামার মতকে উপেক্ষা করে নতুন কারিকুলাম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা হয়েছে। অথচ আমরা মাদরাসা শিক্ষার স্বকীয়তার কথা বলেছি, স্কুলের মতো ১০০০ নম্বর নির্ধারণ করার দাবী জানিয়েছি। মাদরাসার জন্য স্বতন্ত্র কারিকুলামের রূপরেখাও মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীকে দিয়েছি। মাদরাসায় নাচ-গান প্রয়োজন নেই। তাই নতুন এ বইগুলো যেন এ বছর শিক্ষার্থীদের কাছে না যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমরা এ দাবী জানাচ্ছি। আমাদের সব হক্কানী দরবার এক হওয়া প্রয়োজন। কারণ আমরা ব্যক্তিস্বার্থে কথা বলছি না, ঈমানের জন্য, দ্বীন ও দেশের জন্য কথা বলছি। আমাদের গুনাহের কারণে, পর্দা রক্ষা না করা, সহশিক্ষা ইত্যাদির কারণে আমাদের উপর বিপদ আপতিত হচ্ছে কি না এ বিষয় চিন্তা করা দরকার। আমরা মহিলাদের শিক্ষার বিরুদ্ধে নই। মাদরাসার জন্য স্বতন্ত্র মহিলা মাদরাসা কিংবা আলাদা মহিলা শাখা করার দরকার। মহিলা মাদরাসায় শতভাগ মহিলা শিক্ষক নিয়োগ হবে। সহশিক্ষা থাকলে মাদরাসার রূহানিয়াত নষ্ট হবে, মাদরাসা স্বকীয়তা হারাবে।

ড. মাওলানা একেএম মাহবুবুর রহমান বলেন, নতুন কারিকুলামের বইগুলো শুধু মাদরাসায় নয় বরং ৯১ ভাগ মুসলমানের এ দেশে স্কুলেও চলতে পারে না। যারা এই বইগুলো করেছে তাদের পরিকল্পনায় এ দেশে সব থাকবে কিন্তু ইসলাম থাকবে না। এটি হতে দেওয়া হবে না। মাদরাসা শিক্ষার বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক। তারপরও কারা মাদরাসা শিক্ষা ও ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করছে সরকারের প্রয়োজনেই তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে।

সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা এ কে এম মনোওর আলী ও সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ এর শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে সূচিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহাখালী হোসাইনিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. মাওলানা নজরুল ইসলাম খান আল মারুফ, বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ এর সহ সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা ছরওয়ারে জাহান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী ফুলতলী, মাহমুদা খাতুন মহিলা কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা বদিউল আলম সরকার, ঢাকা সাহেব আলী আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবূ জাফর মুহাম্মদ সাদেক হাসান, মৌলভীবাজার টাউন কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শামসুল ইসলাম, নয়াটুলা এ.ইউ কামিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বির আহমদ, সিলেট হযরত শাহজালাল দারুচ্ছুন্নাহ ইয়াাকুবিয়া কামিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা আবূ ছালেহ মুহাম্মদ কুতবুল আলম, ঢাকা গাউসিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা আ.ন.ম মাহবুবুর রহমান, বুরাইয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুছ ছালাম, ছাতক জালালিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল আহাদ, রাখালগঞ্জ সিনিয়র মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শেহাব উদ্দিন আলিপুরী, এলাহাবাদ আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবূ তাহির মুহাম্মদ হুসাইন, কুলাউড়া রবির বাজার আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল জব্বার, গণকিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবূ আইয়ূব আনসারী, ঢাকা গাউসিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা আখতার ফারুক, দুর্বাটি কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস ড. মাওলানা মোরশেদ আলম ছালেহী, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ জামী, মাওলানা কবি আবূ জাফর ছালেহী, আনজুমানে আল-ইসলাহ'র কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাওলানা আজির উদ্দিন পাশা, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা বেলাল আহমদ, অফিস সম্পাদক মাওলানা আতাউর রহমান, মাসিক পরওয়ানার সম্পাদক মাওলানা রেদওয়ান আহমদ চৌধুরী ফুলতলী, জকিগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুস সবুর, তালামীযে ইসলামিয়ার সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাবেক সহ সভাপতি মাওলানা মুহিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল করিম মহসিন প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আনজুমানে আল আল ইসলাহর কেন্দ্রীয় সহ প্রচার সম্পাদক মাওলানা কাজী এম হাসান আলী, কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা মকবুল হোসাইন খান, মাওলানা মুজিবুর রহমান মাদানী, হাফিয আব্দুল ওয়াহাব, সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা তাজুল ইসলাম আলফাজ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুর রহমান তাজুল, ঢাকা মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক মাওলানা শাহিদ আহমদ, তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদুর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ফরহাদ, সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আহমদ আল জামিল, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক এম এ জলিল, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এস এম মনোয়ার হোসেন, সহ-শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক কবির আহমদ, মুহা. নুর হোসেন, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আহমদ রায়হান ফারহী, স্কুল ও কলেজ বিষয়ক সম্পাদক রেদওয়ান রাশেদ, সহ-স্কুল ও কলেজ বিষয়ক সম্পাদক আতিকুর রহমান সাকের, সৈয়দ মাজহার আহমদ রাহাত, সদস্য শেখ কাদের আল হাসান, ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মো. ইমাদ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান বাপ্পি, হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি সাদেকুর রহমান, সিলেট মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক কাওছার হামিদ সাজু, সিলেট পূর্ব জেলা সাধারণ সম্পাদক কুতুব আল ফরহাদ, কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি আরিফুল হুসাইন, নারায়নগঞ্জ জেলা সভাপতি কামিল হোসাইন, হবিগঞ্জ জেলা সহ সভাপতি ইমরান আল ইমন, সিলেট পূর্ব জেলার সহ সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহমদ, সুনামগঞ্জ জেলার প্রচার সম্পাদক শাহ আলম প্রমুখ।

সভায় নতুন পাঠ্যপুস্তকের অসঙ্গতি ও আপত্তিকর বিষয় নিয়ে একটি লিখিত বক্তব্য ও ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করা হয়। এতে ছয় দফা দাবি পেশ করা হয়। এগুলো হলো -
১. বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, এনসিটিবি ও বিশেষজ্ঞ আলিম-উলামার সমন্বয়ে মাদরাসার জন্য অবশ্যই স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম, পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করতে হবে। অনতিবিলম্বে একটি সমন্বিত কমিটি গঠন করে এ কাজ শুরু করতে হবে।
২. প্রতিটি পুস্তক রচনায় মাদরাসা সংশ্লিষ্ট ও বিশেষজ্ঞ আলিম-উলামাকে কমিটিতে রাখতে হবে এবং বিষয় নির্বাচন ও কন্টেন্ট তৈরিতে তাদের অভিমতকে প্রাধান্য দিতে হবে।
৩. স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম অনুযায়ী নতুন পাঠ্যপুস্তক রচনার পূর্ব পর্যন্ত বর্তমানে চলমান বই পাঠদান অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. সাধারণ শিক্ষায় দশটি বিষয়ে ১০০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মাদরাসা শিক্ষার জন্য মাদরাসার মূল বিষয়সমূহ ঠিক রেখে সাধারণ বিষয়সমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে ১০০০ নম্বর নির্ধারণ করতে হবে।
৫. দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির আলোকে জাতীয় শিক্ষাক্রম, পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও পরিমার্জন করতে হবে। বিশেষজ্ঞ আলিম-উলামার সমন্বয়ে এ কাজ সম্পাদন করতে হবে। এক্ষেত্রে ইসলামী বিশ্বাস ও আদর্শবিরোধী এবং সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের জীবনাচারের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো বিষয় যেন স্কুলের পাঠ্যপুস্তকেও না থকে সে বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
৬. এসএসসি’র বোর্ড পরীক্ষায় ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক হিসাবে অন্তর্ভুক্ত রাখতে হবে।

সফল হোক,,
01/09/2022

সফল হোক,,

ইংরেজিতে মুখের জড়তা দূর করতে এই বাক্যগুলো মুখস্থ করে দ্রুত চর্চা করুন।
29/07/2022

ইংরেজিতে মুখের জড়তা দূর করতে এই বাক্যগুলো মুখস্থ করে দ্রুত চর্চা করুন।

15/07/2022

Address

Sylhet
3100

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Abdulla Al Mamun posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Abdulla Al Mamun:

Share