ঐতিহ্যবাহী লাউতা ইউনিয়ন

ঐতিহ্যবাহী লাউতা ইউনিয়ন abc

29/07/2023
"কৃত্রিম রক্ত তৈরি করা যায়-না"তাই নিজে রক্ত দিন, অন্যকে রক্ত-দানে উৎসাহিত করুন"ব্লাড ফাইটার্স সোশ্যাল অর্গানাইজেশন পরিবা...
28/11/2021

"কৃত্রিম রক্ত তৈরি করা যায়-না"
তাই নিজে রক্ত দিন, অন্যকে রক্ত-দানে উৎসাহিত করুন"

ব্লাড ফাইটার্স সোশ্যাল অর্গানাইজেশন পরিবারের উপদেষ্টা প্রিয় Md Jaber Hussain ভাইয়ের O+ লাল ভালোবাসা দান, বিয়ানীবাজার সরকারি হসপিটালে একজন রক্তশুন্যতা রোগীকে।

শুভ রক্তদান ভাই ♥

................"আল্লাহ সর্বশক্তিমান".................জয় বাংলা                                জয় বঙ্গবন্ধুসুধী,         ...
22/11/2021

................"আল্লাহ সর্বশক্তিমান".................
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু

সুধী,
আসছে আগামী ২৪ শে নভেম্বর ২০২১ইং রোজ বুধবার, বিকাল ৩ঘটিকায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ এর নেতা কর্মীদের নিয়ে "লাকী বেনকিউটিং হল" বারইগ্রাম বাজারে এক বিশাল কর্মী সভার আয়োজন করা হয়েছে।
উক্ত কর্মী সভায় সকলের সরব উপস্থিতি ও সার্বিক সহযোগীতা কামনা করি।

আসন্ন ইউনিয়ন নির্বাচন কে সামনে রেখে ১১নং লাউতা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের যুব সমাজের উদ্দ্যোগে লাউতা ৫নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম...
01/11/2021

আসন্ন ইউনিয়ন নির্বাচন কে সামনে রেখে ১১নং লাউতা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের যুব সমাজের উদ্দ্যোগে লাউতা ৫নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার কবির উদ্দিন এর সমর্থনে এক বিশাল নির্বাচনী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভার বিশাল উপস্থিত সকলেই বর্তমান মেম্বার এর কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং কবির উদ্দিন কে পূনরায় মেম্বার হিসেবে নির্বাচিত করার জন্য অভিমত ব্যক্ত করেন।
লাউতা ৫নং ওয়ার্ডের উন্নয়নের এই দ্বারা কে অব্যাহত রাখতে কবির উদ্দিন মেম্বারের কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।
সর্বপরি সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সরব উপস্তিতি এটাই প্রমান করে জনগণের ভোটে পুনরায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন কবির উদ্দিন মেম্বার।

03/09/2021
03/09/2021
বিয়ানীবাজার উপজেলা সহ দেশ এবং বিশ্বের সকল মুসলমানদের কাছে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ১১ নং লাউতা ইউনিয়নের চেয়া...
30/07/2020

বিয়ানীবাজার উপজেলা সহ দেশ এবং বিশ্বের সকল মুসলমানদের কাছে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ১১ নং লাউতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব গৌছ উদ্দিন।
তিনি বলেন, বছর ঘুরে আবারও আমাদের মাঝে হাজির হলো পবিত্র ঈদুল আযহা অর্থাৎ কোরবানীর ঈদ। এটি মুসলমানদের অন্যতম সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। ধনী,গরিবের বৈষম্য কমাতে ধনীরা তাদের সম্পদ থেকে পশু কুরবানীর মাধ্যমে গরীবদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয় এবং মনের পশুত্বকে বিসর্জন দেয়াই হচ্ছে ঈদুল আযহার প্রকৃত শিক্ষা।তাই ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক সবার জীবন।
ঈদ মানে হাসি-খুশি,ঈদ মানে আনন্দ-উল্লাস, ঈদ মানে ধনী-গরীবের একাকার মেলামেশা।

তিনি আরো বলেন, সেই সাথে পবিত্র ঈদের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি দূর হয়ে যাক,দূর হয়ে যাক সকল গ্লানি, আবার পৃথিবীর বুকে উদিত হোক নতুন সূর্য, ঘুচে যাক করোনার সকল অমানিশা। ঈদ শুভ বার্তা নিয়ে সবার জীবনে আসুক, ছড়িয়ে দিক রহমতের আলো বয়ে আসুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।

লাউতা জনপদের আর এক জীবন্ত  কিংবদন্তি  দৌড়বিদ মোস্তাক আহমেদ।প্রশ্ন : বাংলাদেশ জাতীয় অ্যাথলেটিকসে দূরপাল্লার দৌড়ে আপনি চ্য...
18/04/2019

লাউতা জনপদের আর এক জীবন্ত কিংবদন্তি দৌড়বিদ মোস্তাক আহমেদ।

প্রশ্ন : বাংলাদেশ জাতীয় অ্যাথলেটিকসে দূরপাল্লার দৌড়ে আপনি চ্যাম্পিয়ন ছিলেন অনেকটা সময়। ঠিক কত বছর, মনে আছে?
অনারারি ক্যাপ্টেন (অব.) মোস্তাক আহমেদ : ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় অ্যাথলেটিকস হয়। তখন থেকেই আমার দৌড় শুরু। দৌড়াই ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত। প্রতিবার চার-পাঁচটি করে ইভেন্টে হই প্রথম।
আর তা-ও রেকর্ড গড়ে। নিজের রেকর্ড নিজে ভেঙেছে বহুবার।
প্রশ্ন : ইভেন্ট ছিল কোনগুলো?
মোস্তাক : ৮০০ মিটার, ১৫০০ মিটার, পাঁচ হাজার মিটার, ১০ হাজার মিটার, ম্যারাথন—এগুলো ব্যক্তিগত ইভেন্ট। পাশাপাশি ৪ী৪০০ মিটার রিলেতে দৌড়াই। একবার তো সেনাবাহিনীর প্রয়োজনে ৪ী১০০ মিটার রিলেতেও অংশ নিই। প্রথম হই সেখানেও। তবে প্রতিবার যে সব ইভেন্টে খেলি, তা নয়। ১৯৯৩ সালে সর্বশেষ দৌড়াই যেমন পাঁচ হাজার মিটার ও ৪০০ মিটার রিলেতে। দুটিতেই সোনার পদক জিতে আমার শেষ।
প্রশ্ন : টানা ২০ বছর এত ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন। সোনার পদকের সংখ্যা নিশ্চয়ই অনেক?
মোস্তাক : যতটুকু হিসেব আছে, সোনার পদক ৬৯টি।
প্রশ্ন : ৬৯! জাতীয় অ্যাথলেটিকসে?
মোস্তাক : হ্যাঁ। আমার কাছে ওই আমলের পেপার কাটিং আছে। তা দেখাচ্ছি...
প্রশ্ন : টানা ২০ বছর জাতীয় প্রতিযোগিতায় দৌড়ানোই অবিশ্বাস্য। সেখানে আবার এত এত সোনার পদক! পেপার কাটিং না হয় একটু পর দেখছি। আগে বলুন তো, অন্য কোনো পদক পাননি? মানে দ্বিতীয়-তৃতীয় হন কখনো?
মোস্তাক : জাতীয় অ্যাথলেটিকসে আমি একবারই শুধু দ্বিতীয় হই। ১৯৭৩ সালের প্রথম অংশগ্রহণে ১৫০০ মিটারে। তখন নতুন খেলোয়াড় তো, একটু ভুল হয়ে যায়। কিন্তু পরের বছর থেকে আর কোনো ইভেন্টে আমার ধারেকাছেও আসতে পারেনি কেউ।
প্রশ্ন : কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পারেনি?
মোস্তাক : চেষ্টা করে অনেকে। চ্যালেঞ্জ পর্যন্ত করে। কিন্তু লাভ হয়নি। ১৯৭৪ সালে দ্বিতীয় জাতীয় অ্যাথলেটিকসের একটি ঘটনা বলি। পেপারে নিজের ছবি দিয়ে মীনু খাদেম বলে, ‘এবার ঘুমন্ত সিংহ জাগবে। আমার সঙ্গে ১৫০০ মিটারে মোস্তাক পারবে না। ’ সে কথা অবশ্য আমি জানি না। ম্যারাথন দৌড়ে রেকর্ড করে সোনার পদক জিতি। এর দুই ঘণ্টা পরই ১৫০০ মিটার। আমি তখন হাবিলদার। সেনাবাহিনীর সৈনিকরা এসে আমাকে ওই পেপার দেখিয়ে বলে, ‘হাবিলদারজি, মীনু খাদেম কী বলেছে দেখুন। আপনাকে তো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। ’ সংবাদপত্রে তা দেখে জেদ চেপে যায়। এমনিতে ম্যারাথন করে এসেছি, কয়েক ঘণ্টা পরই ১৫০০ মিটার দৌড়ানোর ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু মীনু খাদেম চ্যালেঞ্জ করার পর মনে হয়, আমাকে দৌড়াতে হবে। ১৫০০ মিটার দৌড়াই এবং নতুন রেকর্ড করে সোনার পদক জিতি। পরে ‘ঘুমন্ত সিংহ’ আর কী বলবে! আস্তে করে চলে যায় মাঠ থেকে।
প্রশ্ন : দৌড় তো ঠিক ফুটবল না যে ছোটবেলায় সবার মতো বলে লাথি মেরে এর শুরু। এই দৌড়ে আপনার আগ্রহ হয় কিভাবে?

মোস্তাক : ছোটবেলা থেকে আগ্রহ খেলাধুলায়। সিলেটের বিয়ানীবাজার থানার বারইগ্রামে আমার জন্ম। বাবা মো. তকলিম আলী কৃষক। মা মকলিসা বেগম পরিবার সামলান। চার ভাই, তিন বোনের মধ্যে আমি দ্বিতীয়। কৃষকের ছেলে হিসেবে বাবাকে ক্ষেতে সাহায্য করতে হয়। স্কুল থেকে ফিরে ক্ষেতে যাই। আর আমার দৌড় শুরু বলতে পারেন স্কুলে। সেখানে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়। তাতে দৌড়ে আমি প্রথম। পুরস্কার হিসেবে দেয় টিন দিয়ে বানানো পদক। তা নিয়েই আমার কী খুশি! বাসায় এনে দেখানোর পর মা-বাবাও খুশি হন অনেক।
প্রশ্ন : স্কুলের দৌড় মানে তো ১০০ মিটার, বড়জোর ২০০ মিটার। দূরপাল্লার দৌড়ে আসেন কিভাবে?
মোস্তাক : কিভাবে আসি, তা পরের কথা। আগের কথা হলো, জীবনে প্রথম লম্বা দৌড় দৌড়াই জীবন বাঁচানোর জন্য। মুক্তিযুদ্ধের সময়।
প্রশ্ন : কাহিনীটি একটু যদি বলেন।
মোস্তাক : অনেক লম্বা কাহিনী। শুনবেন?
প্রশ্ন : হ্যাঁ, বলুন না...
মোস্তাক : আমি ইপিআরে ভর্তি হই ১৯৭০ সালে। ১৯৭১ সালে পোস্টিং ছিল পার্বত্য অঞ্চলে। হেলিকপ্টারে করে আমাদের সেখানে দিয়ে আসা হয়। দেশে স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হলে ওয়ারলেসে খবর পাঠায় চট্টগ্রামে আসার জন্য। দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ বলে কথা, হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে পারি! দুই দিন-দুই রাত জঙ্গলের ভেতর দিয়ে হেঁটে আমরা ৩৫ জনের প্লাটুন আসি চট্টগ্রামের কালুরঘাটে। সেখানে পাই ক্যাপ্টেন হারুনকে। তিনি কিছু নির্দেশনা দিয়ে আমাদের বলেন চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিংয়ে অবস্থান নিতে। কিন্তু ওখানে পাঞ্জাবিরা আক্রমণ করে। ঘেরাও করে চতুর্দিক। ওরা নিচ থেকে গুলি করে, আমরা ওপর থেকে। টানা তিন দিন এই অবস্থা। এরপর আমাদের খাওয়া শেষ, পানির লাইনও ওরা কেটে দেয়। সিঁড়ি দিয়ে পাঞ্জাবিরা উঠতে চায়, আমরা গুলি করে ফেলে দিই। তিন দিন পর ওরা একটু পিছু হটে। আমরা নিউমার্কেটে গিয়ে দোকান ভেঙে চিঁড়া এনে খাই। কিন্তু ওতে কি পেট ভরে! সবার তখন কাহিল অবস্থা। আবার কোর্ট বিল্ডিংয়ে গেলে কয়েকজন এসে জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনারা কী মুক্তিযোদ্ধা?’ উত্তর শুনে বলে, ‘আমরাও মুক্তিযোদ্ধা। এখানে থাকেন, আমরা খাবার নিয়ে আসি। ’ কিন্তু ওরা ছিল রাজাকার। খাবারের বদলে আবার পাঞ্জাবি নিয়ে আসে। এবার যখন হঠাৎ আক্রমণ করে, আমাদের ডিফেন্স করার উপায় থাকে না। চারপাশে দেখি একের পর এক সবাই পড়ে যাচ্ছে। আমি দিলাম দৌড়। কোনোদিকে না তাকিয়ে শুধু দৌড়াই আর দৌড়াই। দেড় মাইল-দুই মাইল দৌড়ে পাই এক বুড়িকে। তাঁর কাছে জিজ্ঞেস করে যাই নোয়াপাড়া মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে। ওই যে দেড়-দুই মাইল দৌড়ে দিলাম, তা-ই আমার জীবনের প্রথম দূরপাল্লার দৌড়। কোনো পদকের জন্য ওই দৌড় না, জান বাঁচানোর জন্য।
প্রশ্ন : এমনিতে এর আগের সময়টায় কি দৌড়ে আগ্রহ ছিল?
মোস্তাক : ওই যে বললাম না, স্কুলে দৌড়েছি। কিন্তু পরে যে দূরপাল্লার দৌড়বিদ হই, সেই দূরপাল্লার দৌড় স্কুলে ছিল না। মুক্তিযুদ্ধের সময় জান বাঁচানোর জন্য দৌড়াই প্রথম দূরপাল্লার দৌড়।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় বারবার নিশ্চয়ই মৃত্যুর মুখোমুখি হন?
মোস্তাক : অনেকবার। ইপিআরে থাকলেও স্বাধীনতার সময় আমি যুদ্ধ করি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে থেকে। স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে বেতন পাই মাসে ৭৫ টাকা। প্রথমে যুদ্ধ করি চট্টগ্রামের কালুরহাট, মদিনাঘাট, কুমিরা, বেলুনিয়ায়। ওখানে টিকতে না পেরে চলে যাই ভারতে। পরে দেশে ফিরে চার নম্বর সেক্টরের অধীনে সিলেটে যুদ্ধ করি। কত যুদ্ধে আমার কত ভাই শহীদ হয়েছেন! এই দেখুন, আমার কাঁধেও লাগে গুলি। যে দাগ এখনো আছে। সিলেটর গুটারগ্রাম যুদ্ধে গুলি লাগে। একটু ভালো হয়ে আবার যোগ দিই যুদ্ধে।
প্রশ্ন : ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় অ্যাথলেটিকসে অংশ নেওয়ার কথা বলেছেন। অ্যাথলেটিকসের মূল স্রোতে আসেন তাহলে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পরই?
মোস্তাক : এখানে একটি সিদ্ধান্ত আমার অ্যাথলেট হওয়ার পর তৈরি করে দেয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমাদের জিজ্ঞেস করা হয়, কে কোন বাহিনীতে যাবে। আমি থেকে যাই সেনাবাহিনীতে। কারণ ছোটবেলা থেকে আমার খেলাধুলার শখ; আর জানি যে সেনাবাহিনীতে খেলাধুলার সুযোগ বেশি। উৎসাহ বেশি। ইপিআর তখন বিডিআর হয়েছে। সেখানে গেলে সীমান্তে সীমান্তে থাকতে হবে। এখানে আবার আরেকটি জেদও কাজ করে। যুদ্ধের আগে ইপিআরে নিজেদের মধ্যে দৌড়ের ট্রায়ালে আমি আরেকজনের পায়ে বাড়ি লেগে পড়ে যাই। তবু হই দ্বিতীয়। পায়ে বাড়ি লেগে না পড়ে গেলে প্রথমই হতাম। কিন্তু ওই দ্বিতীয় হওয়ার কারণে ইপিআরের মূল অ্যাথলেটিক দলে যেতে পারিনি। মনে তাই জিদ ছিল, যাদের পেছনে পড়ে গেলাম, তাদের আমি একদিন পেছনে ফেলব। যুদ্ধের সময় তো আর এসব ভাবার সুযোগ ছিল না। কিন্তু যুদ্ধ শেষে যখন বাহিনী বেছে নেওয়ার প্রশ্ন আসে, তখন সেনাবাহিনীতে খেলার উৎসাহ বেশি বলে আমি সেখানেই যাই।
প্রশ্ন : ইপিআরের ওই অ্যাথলেটদের পরে পান ট্র্যাকে?
মোস্তাক : ১৯৭৩ ও ১৯৭৪ সালের জাতীয় অ্যাথলেটিকসে ওদের অনেকেই ছিল। তারা আমার কাছে মার খেয়ে যায়। ফলে আর মাঠে আসে না। এদিকে আমি চার-পাঁচটি করে পদক পাই প্রতিবার। এর মধ্যে আমাকে নিয়ে আবার টানাটানি শুরু হয় সেনাবাহিনী ও বিডিআরের মধ্যে।
প্রশ্ন : কেন?
মোস্তাক : আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু যুদ্ধ শেষ করে বসে থাকিনি। কিভাবে দেশের নাম বাড়ানো যায়, সে চেষ্টা করি দৌড়ের মাধ্যমে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রতিবছর জাতীয় অ্যাথলেটিকসে চার-পাঁচটি করে সোনার পদক এনে দিই। এই বাহিনীর হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিই, তাদের সোনার পদক জেতানো আমার কাছে তাই বিরাট ব্যাপার। আর টানাটানির কথা যে বলছিলাম? জাতীয় অ্যাথলেটিকসে রেকর্ড করে সোনার পদক পাওয়ার পর আমাকে নিয়ে দেশের সব সংবাদপত্র মশহুর, পুরো বাংলাদেশ মশহুর। তখন সেনাবাহিনীকে চিঠি দেয় বিডিআর, ‘মোস্তাক তো আগে আমাদের বাহিনীতে ছিল, ওকে আমাদের কাছে ফেরত দেওয়া হোক। ’ কিন্তু আমি সেনাবাহিনী ছাড়ব না। সেনাবাহিনীর প্যাডে তা লিখে জানিয়ে দিই। এর পরও বিডিআরের জওয়ানরা প্রতিযোগিতার সময় দেখা হলেই বলত, ‘মোস্তাক ভাই, আপনি থাকলে আমরা চার-পাঁচটি করে সোনার পদক জিততাম। ’ দাঁড়ান, পদক জেতার পেপার কাটিংগুলো দেখাই।
প্রশ্ন : হ্যাঁ, শিরোনাম দেখছি ‘মুস্তাকের ২৯তম স্বর্ণপদক’...
মোস্তাক : এটি তো শুরুর দিকের। সামনে পৃষ্ঠা ওল্টান। (আরেকটি পেপার কাটিং দেখিয়ে) এই দেখুন ‘মুস্তাকের ৪৫তম স্বর্ণপদক’, ‘ষোড়শ জাতীয় অ্যাথলেটিকসে মুস্তাকের ৬৪তম এবং লুবনার প্রথম স্বর্ণ’।
প্রশ্ন : সত্যি অবিশ্বাস্য। এখানে ‘সাপ্তাহিক বিচিত্রা’য় সংবাদ শিরোনাম দেখছি, ‘দৌড়ে মুস্তাক ইতিহাস সৃষ্টি করলেন’। কোন ইতিহাস?
মোস্তাক : ওই যে ম্যারাথন করে এসে ঘণ্টাদুয়েকের মধ্যে ১৫০০ মিটার দৌড়ে সোনার পদক জেতার গল্পটি বললাম, সেই ইতিহাস। এ ছাড়া সেবার চারটি ইভেন্টে অংশ নিয়ে চারটিতেই জাতীয় রেকর্ড গড়ে প্রথম হই। সে কারণেও লিখেছে ইতিহাস সৃষ্টি করার কথা।
প্রশ্ন : আরেক শিরোনাম, ‘মুস্তাককে দেড় মিনিটের ব্যবধান ঘোচাতে হবে। ’ এই দেড় মিনিটের ব্যাপার কী?
মোস্তাক : তখন পাঁচ হাজার মিটারে আমার দৌড়ের যে টাইমিং ছিল, তা বিশ্ব রেকর্ডের চেয়ে দেড় মিনিট বেশি। ১৯৭৫ সালে রাশিয়া যাই দৌড়াতে। ওখানে দৌড়ানোর পর এ লেখা। এ কারণেই তো বলি, যদি ভালো প্রশিক্ষণ পেতাম, খাওয়া-দাওয়া পেতাম, তাহলে অলিম্পিকে সোনার পদক জেতা আমার জন্য অসম্ভব ছিল না। এই দেখুন আমার একসময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী মীনু খাদেমও লিখেছেন, ‘কৃতী অ্যাথলেট মুস্তাককে নিয়ে অনেক আশা। ’
প্রশ্ন : এখানে শিরোনাম ‘চারদিকে মুস্তাক, মুস্তাক ধ্বনি’। আরেকটি ‘শাবাশ মুস্তাক’। দর্শকদের কাছেও তখন জনপ্রিয় ছিলেন দেখছি...
মোস্তাক : কেমন জনপ্রিয় ছিলাম, সে আমলের দর্শকদের কাছে জিজ্ঞেস করলে জানতে পারবেন। চট্টগ্রাম, যশোর যেখানে খেলতে যাই, উৎসাহ পাই খুব। আমি যখন মাঠে নামি, লোকজন গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে যায়। সবাই চিৎকার করে ‘মোস্তাক ভাই, মোস্তাক ভাই’। ওই যে ম্যারাথন দিয়ে এসে ১৫০০ মিটারে প্রথম হই, এরপর মানুষ আমাকে আরো বেশি ভালোবাসা শুরু করে। সবাই শাবাশি দেয়, হাততালি দেয়। পাঁচ হাজার মিটারে যে দ্বিতীয় হয়, সে আমার দুই-তিন চক্কর পেছনে থাকে। ১০ হাজার মিটারে থাকে চার-পাঁচ চক্কর পেছনে। এগুলোয় দর্শকরা মজা পায়। দৌড়ের পর আমাকে কাঁধে নিয়ে ঘোরায় পুরো স্টেডিয়াম। সেই ভালোবাসার কথা মনে পড়লে এখনো চোখে পানি এসে যায়।
প্রশ্ন : তখন তো বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুটবলাররা। তাঁদের সঙ্গে আপনার জনপ্রিয়তার তুলনা যদি করেন?
মোস্তাক : ওদের চেয়ে কোনো অংশে কম ছিলাম না। মনে রাখতে হবে, ফুটবলে মোহামেডান-আবাহনীর খেলোয়াড়রা শুধু নিজ দলের সমর্থকদের উৎসাহ পায়। কিন্তু আমার বেলায় কোনো ভাগ নেই। সবাই সমর্থন দেয়। সালাউদ্দিন, মনজু, টুটুল, রামা ওরা সবাই তো হিরো। আমিও একরকম হিরো ছিলাম। মানুষ আমাকে মনে হয় আরো বেশি ভালোবাসত।
প্রশ্ন : সেনাপ্রধান কেএম শফিউল্লাহর প্রশংসাপত্র দেখছি। জেনারেল এরশাদের কাছ থেকে পুরস্কার নেওয়ার ছবিও। সেনাপ্রধানদের কাছ থেকে উৎসাহ পান কেমন?
মোস্তাক : অনেক। তাঁরা স্পোর্টস ডিরেক্টরকে বলে দিতেন, ‘মোস্তাককে অন্য কোনো ডিউটি দেবে না। ও শুধু দৌড়ের অনুশীলন করবে। ’ জেনারেল শফিউল্লাহ, জেনারেল এরশাদ সবাই উৎসাহ দেন। কাঁধে হাত রেখে হাল-হকিকত জিজ্ঞাসা করেন। সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দিতেন জেনারেল নুরুদ্দিন সাহেব। খেলাধুলা শেষে ১৯৯৪ সালে সেনাবাহিনী থেকে কুয়েত সিকিউরিটি ব্যাটালিয়নে যাই। সেখান দুই বছর চার মাস থেকে বেশ কিছু টাকা কামাই করে নিয়ে আসি। এ সুযোগও সেনাবাহিনী করে দেয় আমাকে।
প্রশ্ন : আপনার দৌড়ের অনুশীলন ছিল কী রকম?
মোস্তাক : অনুশীলন করি একা একা। রাস্তায় রাস্তায় গাড়ির সঙ্গে দৌড়াই। বাস-ট্রাকের পেছনে ছুটে নিজে নিজে বুঝি কত সময় দৌড়াতে পারি। রাস্তায় সাইকেলে চড়া কাউকে পেলে বলি, ‘ভাই, তুমি জোরে জোরে চালাও, দেখি তোমার সঙ্গে আমি দৌড়ে পারি কি না। ’ ও চালাতে চালাতে ক্লান্ত হয়ে পেছনে পড়ে যায় কিন্তু আমি ক্লান্ত হই না। ম্যারাথন দৌড় তো ২৬ মাইলের কিছু বেশি। আমি অনুশীলনে দৌড়াই ৪০ মাইল, ৪৫ মাইল। একবার তো কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট থেকে দৌড়ে ব্রাক্ষণবাড়িয়া পর্যন্ত যাই চলে। টানা ৫৫ মাইল দৌড়! এরপর আর ফেরার শক্তি নেই। বাসে করে ফিরি কুমিল্লায়। অনুশীলনে ৪০-৫০ মাইল করে দৌড়ানোর পর প্রতিযোগিতায় গিয়ে ম্যারাথনের ২৬ মাইল আমার কাছে কোনো ব্যাপার মনে হয় না। প্রথম জাতীয় অ্যাথলেটিকসে ম্যারাথনে আমি যখন দৌড় শেষ করি, দ্বিতীয়তে থাকা প্রতিযোগী তখন সাত মাইল পেছনে। ওর ২০ মাইলও হয়নি।
প্রশ্ন : কোনো কোচ ছিল না?
মোস্তাক : তেমন একটা না। ১৯৭৫ সালে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন একজন রাশিয়ান কোচ আনে। তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখে রাখি। সেগুলো পরে অনুসরণ করি নিজে নিজে। আবার ভারতে গিয়ে ওখানকার দৌড়বিদ-কোচদের কাছ থেকে অনুশীলনের বিভিন্ন নিয়ম শিখি। এগুলোও কাজে লাগে।
প্রশ্ন : অ্যাথলেটদের জন্য খাওয়া-দাওয়া তো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার খাওয়ার রুটিন ছিল কেমন?
মোস্তাক : খাওয়া-দাওয়া ছিল খুব দুর্বল। অনেক অনুশীলন করায় আমার খিদা লাগে খুব। কিন্তু সে অনুযায়ী খাওয়ার উপায় ছিল না। সেনাবাহিনীর মেসের খাওয়া দিয়ে পেট ভরে না। নিজের বেতনের টাকা দিয়ে মুরগির বাচ্চা, কবুতরের বাচ্চা, ডিম-দুধ-কলা খাই। কিন্তু বেতন তো আর খুব বেশি টাকা না। সেনাবাহিনীতে ঢুকি সৈনিক হিসেবে। ৪৫০ টাকার মতো বেতন। তা দিয়ে কী হয়! জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে রেকর্ড করার পর সেনাবাহিনী থেকে আমার নামে দৈনিক এক কেজি দুধ ইস্যু করা হয়। আধা কেজি মাংস দেয় পরে। ফল এলে দেয় ফল। এ কারণেই মনে হয়, এখনকার মতো সুযোগসুবিধা পেলে অলিম্পিকে দুই-একটা সোনার পদক থাকত আমার।
প্রশ্ন : আপনি যে জাতীয় অ্যাথলেটিকসে সোনার পদক জেতা শুরু করেন, সংবাদপত্রে নাম আসে, তখন মা-বাবা খুশি হন কেমন?
মোস্তাক : খুব খুশি। কৃষকের ছেলের নাম পুরো বাংলাদেশ জানে, তাঁরা খুশি হবেন না! পদক জয়ের পর সেগুলো গলায় ঝুলিয়ে বাড়ি যাই। মা-বাবা, ভাইবোন সবাই খুশি হয়। গ্রামের লোক খুশি।
প্রশ্ন : জাতীয় প্রতিযোগিতায় টানা সাফল্য সত্ত্বেও সাফ গেমসে তেমন সফল হননি। কারণটা কী বলে মনে হয়?
মোস্তাক : আমি আসলে নিজের সেরা টাইমিংয়ের চেয়েও ভালো টাইমিং করি সাফে। কিন্তু ভারতের ওরা এত এগোনো যে সোনার পদক জিততে পারিনি। দুটি সাফ খেলি আমি। ১৯৮৫ সালে ঢাকা সাফে ১৫০০ মিটার দৌড়ে পাই ব্রোঞ্জ। সোনা-রুপা দুটিই ভারতের। তিনজন প্রায় একসঙ্গে ফিনিশিং লাইনে যাই। কিন্তু একটুর জন্য আমি পড়ে যাই পেছনে। এরপর ১৯৮৭ সালে কলকাতা সাফ গেমসে ৪ী৪০০ মিটার রিলেতে পাই ব্রোঞ্জ।
প্রশ্ন : আর কোন কোন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেন?
মোস্তাক : রাশিয়ার মস্কোতে যাই ১৯৭৫ সালে। ‘মুস্তাককে দেড় মিনিটের ব্যবধান ঘোচাতে হবে’ শিরোনামের পেপার কাটিং দেখলেন না, এটি তখনকার। ‘ওয়ার্ল্ড মুসলিম রান’ নামে প্রতিযোগিতা হয় কুয়েতে, সেখানে দৌড়াই। ইন্টারন্যাশনাল মিলিটারি মিটে অংশ নিতে যাই ফিনল্যান্ডে। ওসব জায়গায় দৌড়ান বিশ্বের সেরা দৌড়বিদরা। তাঁদের সঙ্গে পারিনি। এশিয়ান গেমস ব্যাংককে যাই ১৯৭৮ সালে। আর ইসলামিক গেমস খেলতে যাই পাকিস্তানে। সেখানে তৃতীয় হই রিলেতে।
প্রশ্ন : আপনার অনেক পুরস্কারের সার্টিফিকেটের ফটোকপি দেখলাম। কী কী পুরস্কার পেয়েছেন?
মোস্তাক : ১৯৭৭ সালে প্রথম যেবার স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়, তা পাই আমি। বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের পুরস্কার পাই ১৯৭৫ সালে। ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ ক্রীড়া সাংবাদিক সংস্থার সেরা অ্যাথলেট হই। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার পাই ১৯৮৯ সালে। সব পুরস্কার পেয়েছি শুধু জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার ছাড়া। সেটি দেওয়ার কথা ছিল শুনেছি কিন্তু এখনো দেওয়া হয়নি।
প্রশ্ন : বিয়ে করেন কবে?
মোস্তাক : ১৯৭৫ সালে। স্ত্রীর নাম আছিয়া বেগম। আমাদের চার ছেলে দুই মেয়ে। কুয়েতে গিয়ে যে টাকা পাই, তা খরচ করে এক ছেলেকে পাঠাই লন্ডনে। কিন্তু ওখানে গিয়ে ওর ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। নিজেই কাজ করতে পারে না, আমাদেরও তাই দেশে টাকা পাঠাতে পারে না। আরেক ছেলেকে দিয়েছিলাম বিকেএসপিতে। সেখানে জুনিয়র গ্রুপে ৪০০ মিটার, ৮০০ মিটারে প্রথম হয়। কিন্তু পরে আর দৌড় চালিয়ে যায়নি।
প্রশ্ন : বাবার কীর্তির কথা ছেলেমেয়েরা জানে?
মোস্তাক : জানে। বাবাকে নিয়ে খুব গর্ব করে, খুব ফুর্তি করে।
প্রশ্ন : সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যান কবে?
মোস্তাক : ২০০২ সালে। ঢুকি সৈনিক হিসেবে, অবসর নিই অনারারি ক্যাপ্টেন হিসেবে।
প্রশ্ন : শেষ প্রশ্ন। সব মিলিয়ে জীবন নিয়ে, ক্যারিয়ার নিয়ে আপনার তৃপ্তি কতটা?
মোস্তাক : আমার খুবই আনন্দ। নিজে নিজে গর্ব করি যে দৌড় দিয়ে জীবনে অনেক কিছু করেছি। একজন কৃষকের ছেলে হয়েও সারা দেশের মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছি, তাতে আমি ধন্য। তার পরও বালিশে মাথা দিয়ে চিন্তা করি, আমি আরো বেশি দৌড়ালাম না কেন? আরো জোরে দৌড়ালাম না কেন? কেন সাফ গেমসে সোনার পদক পেলাম না? কেন এশিয়ান গেমসে প্রথম হতে পারিনি? মাঝেমধ্যে মনে হয়, আমার জওয়ানিটা যদি থাকত এখন! তাহলে এশিয়ার মধ্যে সোনার পদক জিততাম।

লাউতার আর এক কৃতি সন্তান কমরেড অজয় ভট্টাচার্য। কমরেড অজয় ভট্টাচার্যভট্টাচার্য, কমরেড অজয়  বিপ্লবী, সাম্যবাদী রাজনীতিক,...
17/04/2019

লাউতার আর এক কৃতি সন্তান কমরেড অজয় ভট্টাচার্য।

কমরেড অজয় ভট্টাচার্য
ভট্টাচার্য, কমরেড অজয় বিপ্লবী, সাম্যবাদী রাজনীতিক, ইতিহাসকার, সাহিত্যিক। নানকার বিদ্রোহে (১৯৪৫-৪৮) নেতৃত্ব প্রদান এবং এর প্রামাণ্য গ্রন্থ রচনা তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ অবদান। ১৯১৪ সালের ১০ জানুয়ারি অবিভক্ত ভারতের আসাম প্রদেশের অন্তর্গত সিলেট জেলার পঞ্চখন্ড পরগনার লাউতা গ্রামে এক সামন্ত পরিবারে অজয় ভট্টাচার্যের জন্ম। তাঁর পিতা উপেন্দ্রকুমার ভট্টাচার্য এবং মাতা কৃপাময়ী ভট্টাচার্য। উপেন্দ্রকুমার ভট্টাচার্য জমিদার সমিতির এবং সিলেট জেলা কংগ্রেসের নেতা ছিলেন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী মনোভাব ছিল অজয় ভট্টাচার্যের গোটা পরিবারে। গোপন রাজনীতির কারণে তিনি দেওয়ানভাই, কাসেম, অনিল ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। রাজনৈতিক সাহিত্য ও প্রবন্ধ রচনায় তিনি যাত্রিক, সাজ্জাদ জহির প্রভৃতি ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন।

অজয় ভট্টাচার্য লাউতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা এবং লাউতা এম.ই স্কুল ও বিয়ানীবাজার হরগোবিন্দ স্কুলে মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি করিমগঞ্জ পাবলিক হাইস্কুল থেকে ১৯৩৭ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ১৯৩৯ সালে আসামের কাছাড় জেলার শিলচর গুরুচরণ কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে আই.এ পাশ করেন। তিনি ১৯৪১ সালে সিলেট মুরারী চাঁদ কলেজ (এম.সি)-এ বি.এ শ্রেণিতে ভর্তি হন। কিন্তু ছাত্র ও কৃষক আন্দোলনে জড়িয়ে পড়ায় তাঁর পক্ষে পড়ালেখা অব্যাহত রাখা সম্ভব হয় নি। কিশোর বয়সে অজয় ভট্টাচার্য ‘তরুণ সংঘ’ নামে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী বিপ্লবী সংগঠনে যোগ দেন এবং লাউতা শাখার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রাবস্থায় অজয় ভট্টাচার্য কুলাউড়া কৃষক বিদ্রোহ এবং ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৩৫-৩৬ সালে ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের সংস্পর্শে আসেন। ১৯৩৬ সালে সিলেটে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির শাখা গঠিত হলে তিনি পার্টির রাজনৈতিক নেতৃত্বে পরিচালিত সর্বভারতীয় ছাত্র ফেডারেশনের সুরমা উপত্যকা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কৃষক সভা কাছাড় জেলার সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৩৭ সালে অজয় ভট্টাচার্য ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯৪০ সাল থেকে তিনি পার্টির সার্বক্ষণিক কর্মী হিসেবে আত্মগোপনে থেকে বিপ্লবী কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। ১৯৪১ সালে তিনি কমিউনিস্ট পার্টি সিলেট জেলা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৪৮ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিতীয় কংগ্রেসের ডেলিগেট নির্বাচিত হন। অজয় ভট্টাচার্য সিলেটের ঐতিহাসিক নানকার বিদ্রোহে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী নানকার বিদ্রোহের প্রাণকেন্দ্র ছিল লাউতা বাহাদুরপুর। ১৯৪৮ সালের মে মাসে গ্রেফতারের পূর্ব পর্যন্ত লাউতা বাহাদুরপুর কেন্দ্রিক পঁয়তাল্লিশ সদস্য বিশিষ্ট নানকার আন্দোলন সংগ্রাম পরিচালনা কমিটির সম্পাদক ছিলেন তিনি।

ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে তিনি মোট সাতবার কারাবন্দি হন। পাকিস্তান আমলে ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি বিশ বছর জেলে কাটান। পূর্ব পাকিস্তানের নূরুল আমিন সরকার কারামুক্তির বিনিময়ে অজয় ভট্টাচার্যকে চিরতরে দেশত্যাগ করে ভারতে চলে যাবার প্রস্তাব দেয়। তিনি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। বিশ শতকের পঞ্চাশের দশকে তিনি কারাগারে থেকেই কমরেড আব্দুল হকের সাথে সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা ক্রুশ্চেভ সংশোধনবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেন। বিশ শতকের ষাটের দশকে আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলনে ক্রুশ্চেভতত্ত্ব কেন্দ্রিক মহাবিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি বিভক্ত হয়। ১৯৬৭ সালে পার্টির চতুর্থ কংগ্রেসে গড়ে ওঠে পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) [ইপিসিপি(এম-এল)]। তিনি এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দল ইপিসিপি (এম-এল) ১৯৭০ সালে আব্দুল হকের নেতৃত্বে চারু মজুমদার প্রণীত শ্রেণিশত্রু খতমের রাজনৈতিক কৌশল গ্রহণ করে। ইপিসিপি (এম-এল) তাদের ভাষায় ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে শ্রেণিভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে বিপ্লবী যুদ্ধ পরিচালনা করে।

১৯৭৫ সালে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অজয় ভট্টাচার্য কমরেড আব্দুল হকের সাথে সমন্বিতভাবে তাঁদের ভাষায় এসব ‘শ্রেণি সমন্বয়বাদী’, ‘বিলোপবাদী’, ‘আত্মসমর্পণবাদী’, লেজুড়বৃত্তির প্রতিবিপ্লবী লাইনের বিরুদ্ধে আদর্শগত সংগ্রাম পরিচালনা করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি পার্টির কেন্দ্রীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি গ্রহণ করেন। তবে একজন পার্টিসভ্য ও অভিজ্ঞ প্রবীণ বিপ্লবী নেতা হিসেবে তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা, জ্ঞান, পরামর্শ, মতামত ও সহযোগিতা দিয়ে আমৃত্যু পার্টিতে ভূমিকা পালন করেন। বিশ শতকের নববইয়ের দশকের শুরুতে সোভিয়েত রাশিয়া ও পূর্ব-ইউরোপের দেশসমূহের পতনের সময় তিনি সমাজতন্ত্র ও সাম্যবাদের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। এ সময় তিনি ছদ্মনাম পরিত্যাগ করে স্বনামে লিখতে শুরু করেন।

ব্রিটিশ আমলে সিলেট থেকে প্রকাশিত ও জ্যোতির্ময় নন্দী সম্পাদিত সাপ্তাহিক নয়া দুনিয়া, সংহতি এবং কালিপ্রসন্ন দাস সম্পাদিত মাসিক বলাকা পত্রিকার মাধ্যমে তাঁর লেখক জীবনের সূত্রপাত হলেও দীর্ঘ কারাজীবনই তাঁর লেখক জীবনের রচনাস্থল। এক্ষেত্রে সত্যেন সেন, রণেশ দাশগুপ্ত, সরদার ফজলুল করিম, আব্দুল হকের মতো সহবন্দিদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা তাঁকে কলম সৈনিকে পরিণত করে। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো: উপন্যাস: এঘর-ওঘর (১৯৬৮), কুলিমেম (১৯৯৫), অরণ্যানী (১৯৮৩), বাতাসির মা (১৯৮৫), রাজনগর (১৯৯৫), গল্পগ্রন্থ: নীড় (১৯৬৯), সুবল মাঝির ঘাট (১৯৯৭); ইতিহাস গ্রন্থ: নানকার বিদ্রোহ (অখন্ড ১৯৯৯), অর্ধ শতাব্দী আগে গণ আন্দোলন এদেশে কেমন ছিল (১৯৯০)। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত ও অগ্রন্থিত তাঁর শতাধিক প্রবন্ধ এবং গল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধের পান্ডুলিপি অপ্রকাশিত অবস্থায় রয়ে গেছে। তাঁর সৃষ্টিশীল লেখায় ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষে সামন্ত শোষণ এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মানুষের জীবন সংগ্রামের কথা প্রাধান্য পেয়েছে। তাঁর নানকারবিষয়ক দুটি গ্রন্থ এদেশের কৃষক-আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক দলিল।

১৯৯৯ সালের ১৩ অক্টোবর ৮৫ বছর বয়সে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বিয়ানীবাজার  লাউতা গ্রামের কীর্তিমান সন্তান রায় বাহাদূর "দূলাল চন্দ্র দেব"----বিশিষ্ট আইনজীবী , রাজনীতিবিদ ও সিলেট মিউনি...
16/04/2019

বিয়ানীবাজার লাউতা গ্রামের কীর্তিমান সন্তান
রায় বাহাদূর "দূলাল চন্দ্র দেব"----

বিশিষ্ট আইনজীবী , রাজনীতিবিদ ও সিলেট মিউনিসিপ্যালটি'র প্রথম চেয়ারম্যান 'দূলাল চন্দ্র
দেব' বিয়ানীবাজার উপজেলার অন্যতম রত্নগর্ভা গ্রাম "লাউতা"গ্রামে উনবিংশ শতাব্দীর পঞ্চম শতকের প্রথম দিকে জন্ম গ্রহণ করেন । তার বাবার নাম ছিল শ্রী
মাধব চন্দ্র দেব।

শিক্ষাজীবন শুরু হয় নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তিনি কত সালে প্রবেশিকা পাশ করেন তারপর দূলাল চন্দ্র দেব কত সালে ঢাকা কলেজ থেকে এফ এ পাস করেন তার সঠিক কোন তথ্য দেয়া আমার পক্ষে এ যাবৎ সম্ভব হচ্ছে না । তবে এটুকু সত্য যে, তখনকার সময়ে দূলাল চন্দ্র দেব ছাত্র হিসাবে তিনি অসাধারণ মেধার পরিচয় রাখেন যাহা বিভিন্ন তথ্যে প্রমান পাওয়া যায় ।

জানা যায় , তাঁর অসাধারণ মেধা ও প্রতিভার কারণে মিঃ স্টুয়ার্ট নামক একজন ইংরেজ তৎকালীন সময়ে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বি,এ ডিগ্রি করার জন্য তাঁহাকে মাসিক খরচবাবত ২২/ টাকা বৃত্তির
ব্যবস্থা করে দেন । অবশেষে তিনি কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৮৬৯ সালে বি,এ পাশ করেন । তিনি ছিলেন সিলেট জেলার তৃতীয় গ্রাজুয়েট ।

দূলালল চন্দ্র দেব কিছুদিন পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন । ১৮৭৫ সালে তিনি (বি,এল)
ব্যাচেলর অফ ল' পাশ করে সিলেট চলে আসেন এবং কিছুদিনের মধ্যেই তিনি সিলেট জেলাবারে যোগদান করেন । ওকালতির পাশাপাশি জনাব দূলাল চন্দ্র দেব জনগণের কল্যাণে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন এবং ব্যাপক জনকল্যাণমুখী কাজ শুরু করেন।

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ শাসন আমল থেকেই চালু হয়ে আসছে। ১৮৬৭ সালে সিলেট মিউনিসিপ্যাল বোর্ড গঠিত হয়। মিউনিসিপ্যাল বোর্ডকে জেলা সদরে মিউনিসিপ্যাল কমিটি এবং মহকুমার সদরে টাউন কমিটি হিসেবে রূপান্তর করা হয়। ১৮৭৯ সালে তিনি মিউনিসিপ্যাল কমিটির কমিশনার নিযুক্ত হন।

১৮৮৩ সালে পুনরায় নির্বাচন প্রথা শুরু হলে তিনি সদস্য নির্বাচিত হন এবং একই সনে অর্থাৎ ১৮৮৩ সালের নির্বাচনে তিনি সিলেট মিউনিসিপ্যালিটির ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন । তিনি ১৮৮৩ থেকে ১৮৮৬
সাল পর্যন্ত উক্ত মিউনিসিপালটি দক্ষতার সহিত পরিচালনা করেন । তখন জেলার ডেপুটি কমিশনার ছিলেন পদাধিকার বলে চেয়ারম্যান ।

আবার ১৮৮৭ সালে এই কিংবদন্তি দূলাল চন্দ্র দেব সিলেট মিউনিসিপ্যালটির অর্থাৎ পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন এবং ১৮৯৬ সাল পর্যন্ত বিয়ানীবাজারের এই কৃতিসন্তান কৃতিত্বের সহিত এবং
বীরের মত সিলেট পৌরসভার কর্মকান্ড পরিচালনা করেন।

তাঁর কর্মের স্বীকৃতি হিসাবে সরকার তাঁকে ১৮৯৭ সালে( 'Letter'of Honoured" সম্মানপত্র প্রদান করেন এবং ১৮৯৮ সালে সরকার তাঁকে 'রায় বাহাদুর' খেতাবে ভূষিত করেন । রাজনৈতিক এ ব্যক্তিত্ব তৎকালীন পুর্ববঙ্গও আসামের ব্যবস্থা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। আবার বঙ্গভঙ্গ রদ হলে ১৯১৬ সালে তিনি আসাম
ব্যবস্থা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন ।

শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে তিনি ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন । মুরারী চাঁদ কলেজের জন্মলগ্ন থেকে সরকারী হওয়া পর্যন্ত ১৮৯২ সাল থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২০ বৎসর তিনি উক্ত কলেজের সম্পাদক হিসাবে অত্যন্ত দক্ষ ও বিচক্ষণতার সহিত কলেজের উন্নয়নে কৃতিত্বের পরিচয় দেন । দূলাল চন্দ্রের ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাঁর নিজ গ্রাম লাউতায় একটি মধ্য ইংরেজী স্কুল স্থাপিত হয় । তিনি আজীবন এই স্কুলের ব্যয়ভার বহন করে গেছেন ।

১৯১৪ সালে তিনি সরকারী উকিলের পদ থেকে
অবসর গ্রহন করেন এবং তাঁর মাতৃভুমিতে ফেরে আসেন । তিনি তাঁর জীবনের শেষ সময়টুকু শহর ছেড়ে এসে গ্রামে বাস করেন এবং জনহিতকর কাজে নিজেকে ব্যাপৃত করেন । ১৯২১ সালে মহান এই গুনী ব্যক্তিটি ইহলোক গমন করেন । তাকে নিজ গ্রামেই
সমাহিত করা হয় ।

লিখক সমশের আলম
জীবন সদস্য, মুসলিম সাহিত্য সংসদ ।

তথ্য সংগ্রহ
1)Social and cultural position of Sylhet
By kazi Abdur Rouf
2) The Sylhet Diary by Abdul hamid manik.

ছবিঃ দুলাল চন্দ্র দেবের বাড়ির দালানের সামনে বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের নিয়ে।

কাল বৈশাখীর তান্ডব শুরু....  সকাল নয়টা কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে যেন রাত পোহায়নি।অতঃপর বৃষ্টি....
15/04/2019

কাল বৈশাখীর তান্ডব শুরু.... সকাল নয়টা কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে যেন রাত পোহায়নি।
অতঃপর বৃষ্টি....

লাউতা তরুণ প্রজন্ম সমাজ কল্যাণ সংস্থা ফুটবল টুর্ণামেন্ট ২০১৯ এর, ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত। উক্ত খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠ...
18/01/2019

লাউতা তরুণ প্রজন্ম সমাজ কল্যাণ সংস্থা ফুটবল টুর্ণামেন্ট ২০১৯ এর, ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত।
উক্ত খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বকরেনঃ
★বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আফতাব আলী

প্রধান অতিথিঃ
★কবির উদ্দিন
(সাবেক ফুটবলার, ৫নং ওয়ার্ডের ইউ.পি সদস্য)

বিশেষ অতিথিঃ
★আব্দুল করিম
(লাউতা ইয়াং সোসাইটির সভাপতি, ৫ও৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব)
★রিপন পদকর
(সাধারণ সম্পাদক, বিয়ানী বাজার উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগ)
★রুহুল আমীন
(লাউতা ইউনিয়ন ক্রিকেট ক্লাব এর ম্যানেজার)
★ অপু মালাকার
(সহ.শিক্ষক, ঘড়ুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়)
★মোঃ জাবের হোসেন
(আহবায়ক- বিয়ানী বাজার উপজেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদ, সাবেক সভাপতি- লাউতা তরুণ প্রজন্ম সমাজ কল্যাণ সংস্থা )
★ কাশেম উদ্দিন
(সহ.শিক্ষক, বাহাদুর পুর উচ্চ বিদ্যালয়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক - লাউতা তরুণ প্রজন্ম সমাজ কল্যান সংস্থা)
এছাড়ও এই খেলায় যারা সার্বিক সহযোগিতা করেছেন তারা হচ্ছেন....
★এনু মিয়া (উপজেলা যুবলীগ নেতা)
★সাইদুল ইসলাম (উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা)
★পুলক মালাকার (বিয়ানী বাজার কলেজ ছাত্রলীগ নেতা)
এই খেলায় যারা কষ্ট করে আয়োজন করেছে তারা হচ্ছে.....
★রাসেল আহমদ
(সহ. সাংগঠনিক সম্পাদক - সজীব ওয়াজেদ জয় পরিষদ বিয়ানী বাজার উপজেলা)
★দেলওয়ার হোসেন
(শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক- সজীব ওয়াজেদ জয় পরিষদ বিয়ানী বাজার উপজেলা)
সহ তরুণ প্রজন্মের সকলকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।
খেলায় #লাউতা জুনিয়র ফুটবল - #বাহাদুরপুর উচ্চ বিদ্যালয়কে ট্রাইবিকারে( ২-০) গোলে পরাজিত করে।

Address

Lauta. Beanibazar, Sylhet
Sylhet

Telephone

+8801742240106

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ঐতিহ্যবাহী লাউতা ইউনিয়ন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share