17/11/2025
জানেন “মানসিক আশ্রয়” সবার ভাগ্যে থাকে না।
এ পৃথিবীতে নিজের শক্তির ওপর ভরসা করাই সবচেয়ে নিরাপদ। আমি যখন প্যানিক অ্যাটাকে কাঁপতে থাকি আর তাতে কারো অনুভূতি নড়ে না তখন বুঝি ; সবকিছু পাওয়া যায়, কিন্তু “মানসিক আশ্রয়” সবার ভাগ্যে থাকে না। এই যে আমাকে সবাই হাসতে ফিরতে, এদিক-ওদিক ঘুরতে দেখেন ভিতরের কান্নাটা তো কেউ দেখেন না। আমি দেখাতেও চাইনা। কারণ এগুলা ভাগ করলে কমেওনা বাড়েও না বরং লোকজন খুশি হয়।
জানেন অনেক সময় কথা বলার কেউ থাকে না, তাই অনুভূতিগুলো গিলে ফেলা ছাড়া কোন উপায় হয়না। আমি বিশ্বাস করতাম এই বয়সটা নাকি জীবন উপভোগ করার। অথচ প্রতিনিয়ত আমি লড়ছি নিজের ভিতরের অস্থিরতার সাথে।জানেন? কিছু ব্যথা আছে যা বললেই “সমস্যা” হয়ে যায়! আর চুপ থাকলে বুকটা ভারি হয়ে আসে।মেয়ে মানুষদের নাকি আফসোস করতে নেই! ভালো-মন্দ শেয়ার করার মানুষের অভাব। আমি একটা নীরব পৃথিবীতে বেঁচে আছি, যেখানে হাসি দেখানো বাধ্যতামূলক, আর কান্না লুকানো নিয়ম। অনুভূতি প্রকাশ করা এখানে সহজ না।
দুঃখ-ব্যথা বললে ‘সমস্যা’ হয়। চুপ করে থাকাই নিজের নিরাপদ জায়গা হয়ে গেছে। নিজেকে মানিয়ে নিতে গিয়ে কখনো মনে হয়—এটা কি সত্যিই আমার জন্য তৈরি করা কোনো জায়গা? নাকি শুধু অভিনয় করে টিকে আছি? এমনও ব্যাথা আছে যখন গলা আটকে আসে, কান্না চেপে রাখতে রাখতে ভিতরটা ভেঙে যায় তবুও কেউ টের পায় না। একটা অসুস্থ পরিবেশে থাকতে থাকতে মাথা কাজ করা বন্ধ হয়ে যায় মাঝে মাঝে।গলা আটকে যায়, কান্না উঠে আসে কিন্তু সেই কান্না ঝরানোর মতো জায়গা পর্যন্ত নেই। অস্থির মন নিয়ে বেঁচে থাকার সবচেয়ে কঠিন ব্যাপারটা হলো কেউ বুঝতে চায় না যে আপনি কষ্টে আছেন।প্যানিক এট্যাক, ভয়, চাপসবকিছুর সাথে এখন একা লড়াই করতে করতে শিখেছি যে "এ পৃথিবীতে নিজের শক্তির ওপর ভরসা করাই সবচেয়ে নিরাপদ" জানেন আমাকে দেখতে নরম লাগে কিন্তু ভিতরে কতটা ভেঙে পড়ে আছি কেউ জানেও না।প্যানিক আর চাপের মাঝেও নিজেকে ধরে রাখার ক্লান্ত লড়াই চলছে প্রতিদিন।
ইশরে বয়সটা ছিল আনন্দে ভেসে যাওয়ার,কিন্তু আমি লড়ছি নিজের ভিতরের অস্থিরতার সাথে। আমি যখন প্যানিক এট্যাকে ভেঙে পড়ি আর কেউ যদি তাতে বিন্দুমাত্র নাড়া না পায় তখন বুঝি…এই জীবনে সব পাওয়া যায়,
কিন্তু “বোঝাপড়া” নামের জিনিসটা সবার কাছে থাকে না।
_______ ১৭ | ১১ | ২০২৫ _______