12/10/2025
লালাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান তুহিন গ্রেফতারের নেপথ্যে দুইজন ব্যক্তির নাম!
লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তুহিনকে গ্রেফতারের ঘটনাটি এখন পুরো এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। গত বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করার পর থেকেই স্থানীয় রাজনীতি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের আড্ডায় এই ঘটনাই টক অব দ্যা টাউন হয়ে উঠেছে।
তুহিনের অনুসারীরা অভিযোগ করেছেন— তাঁকে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা দাবি করছেন, এই গ্রেফতারের পেছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কাজ করেছে। অন্যদিকে সাধারণ জনগণের একাংশ বলছেন, “এই তুহিনকে অনেক আগেই গ্রেফতার করা উচিত ছিল,”— এমন মন্তব্যও শোনা যাচ্ছে এলাকায়।
গ্রেফতারের পেছনে জটিল সম্পর্কের জাল
তুহিনকে গ্রেফতারের ঘটনায় দুইজন ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে— স্থানীয় ব্যবসায়ী জুবায়ের আহমদ (লিটন), ও ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম মনির মেম্বার। এলাকাজুড়ে আলোচনা চলছে, এই দুই জনের সমন্বিত প্রচেষ্টাতেই তুহিনকে আইনের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পাঁপড়ি রেস্টুরেন্টের জুবায়ের আহমদ লিটনের শত্রুতা
সূত্রে জানা গেছে, লালাবাজারের বিতর্কিত “পাঁপড়ি রেস্টুরেন্ট”-এর স্বত্বাধিকারী লিটনের সঙ্গে তুহিনের দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক বিরোধ ছিল। তুহিনের সঙ্গে পূর্বশত্রুতার জের ধরে লিটন এই গ্রেফতারে ভূমিকা রেখেছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
আরও জানা গেছে, দক্ষিণ সুরমা থানার কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে লিটনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই থানার কর্মকর্তারা তাঁর রেস্টুরেন্টে বিনামূল্যে খাবার খান বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে থানার সঙ্গে লিটনের ‘বিশেষ যোগাযোগ’-এর কারণে তিনি প্রশাসনিকভাবে অনেক সুবিধা ভোগ করেন। এমনকি প্রতি মাসে তিনি বড় অঙ্কের টাকা থানায় দিয়ে আসেন বলেও জানা গেছে। এই সম্পর্কের সূত্র ধরেই তুহিনকে গ্রেফতারে লিটনের ভূমিকা ছিল বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।
মনির মেম্বারের ক্ষোভ
অন্যদিকে, ইউনিয়নের মেম্বার নজরুল ইসলাম মনিরের নামও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়েছে। জানা যায়, তুহিন মনিরের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়েছিলেন তাঁকে প্যানেল চেয়ারম্যান করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। কিন্তু সম্প্রতি প্রশাসনের মাধ্যমে নতুন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়, যেখানে মনিরের নাম বাদ পড়ে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মনির তুহিনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকেই মনির এই গ্রেফতারের পেছনে প্রশাসনিকভাবে ভ