27/10/2025
গোয়াইনঘাটের নদী পথে চোরাচালানের রাজা যুবলীগ কেডার দুলাল
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাট প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর হলেও, সাম্প্রতিক সময়ে এখানে গড়ে উঠেছে এক ভয়ঙ্কর চোরাচালান সিন্ডিকেট। সেই সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা হিসেবে পরিচিত যুবলীগ কেডার দুলাল, যার দাপটে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুলাল দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা নদীপথ ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। বিশেষ করে ভারতীয় চিনি, মদ, ফেন্সিডিল ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য নদীপথে এনে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে সে। চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে থাকা এই দুলাল এখন এলাকায় “নদীপথের মাফিয়া” নামে কুখ্যাত হয়ে উঠেছে।
গোয়াইনঘাটের বিখ্যাত চেঙেরখাল নদীতে দুলাল প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করে বলে অভিযোগ রয়েছে। নদীপথে চলাচলকারী পণ্যবাহী নৌকা ও বালুবাহী ট্রলার থেকে নিয়মিতভাবে সে টাকা আদায় করে। অনেক সময় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও নৌযান মালিকদের ওপর ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদা দিতে বাধ্য করা হয়।
দুলালের বাড়ি উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নে। এলাকাবাসীর দাবি, সে যুবলীগের ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। এমনকি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তার দাপট ছিল তুঙে। তার বিরুদ্ধে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে অভিযোগ উঠলেও রহস্যজনক কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় অনেক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, দুলালের চাঁদাবাজি ও চোরাচালান কর্মকাণ্ডের কারণে তারা ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছেন না। জুবের নামের এক ব্যবসায়ী বলেন আমরা নদীপথে পণ্য আনি, কিন্তু দুলালের লোকজন এসে বাধ্য করে চাঁদা দিতে। না দিলে নৌকা আটকানো বা মারধরের হুমকি দেয়। প্রশাসন জানে, কিন্তু কেউ কিছু বলে না।
গোয়াইনঘাটের সাধারণ মানুষ ও শতাধিক ব্যবসায়ী দুলালকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, প্রশাসন যদি এখনই কঠোর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে গোয়াইনঘাটের নদীপথে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।