RadioRumio.com

RadioRumio.com Radio station > RadioRumio.com

22/04/2025

"ফেসবুক থেকে টাকা কামানোর ধান্দায়. মানুষ ভিডিও এবং রিলস এর পিছে ছুটে, মানুষ নিজের ব্যাক্তিত্ব হারায় ফেলতেছে।

02/03/2025

হে যুবক বিয়ে করুন!🖤

পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এবং দাবায় বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা তারকা নরওয়ের ম্যাগনাস কার্লসেনকে বুলেট গেমে হারিয়েছেন বা...
25/01/2025

পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এবং দাবায় বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা তারকা নরওয়ের ম্যাগনাস কার্লসেনকে বুলেট গেমে হারিয়েছেন বাংলাদেশের ৯ বছর বয়সী রায়ান রশিদ মুগ্ধ।

বিস্তারিত: কমেন্টে....

🔸🔹কেঁচো কে প্রাকৃতিক লাঙ্গল বলা হয়।কেঁচো প্রকৃতপক্ষে  গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সবজি চাষের ক্ষেত্রে। এখানে তাদের কিছু...
25/01/2025

🔸🔹কেঁচো কে প্রাকৃতিক লাঙ্গল বলা হয়।
কেঁচো প্রকৃতপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সবজি চাষের ক্ষেত্রে। এখানে তাদের কিছু অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে:

🔰সুবিধা:

১. মাটির বায়ুচলাচল: কেঁচো গর্ত করে, টানেল তৈরি করে যা মাটির বায়ুচলাচল, জলের অনুপ্রবেশ এবং শিকড়ের বৃদ্ধিকে উন্নত করে।

২. পুষ্টির সাইকেল চালানো: কেঁচো জৈব পদার্থকে ভেঙে ফেলে, পুষ্টির পুনর্ব্যবহার করে এবং উদ্ভিদের জন্য উপলব্ধ করে।

৩. মাটির গঠন: কেঁচো মাটির গঠন উন্নত করে, এর জল ধারণ ক্ষমতা এবং উর্বরতা বৃদ্ধি করে।

৪. ইকোসিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং: কেঁচো তাদের পরিবেশ পরিবর্তন করে, অন্যান্য জীবের জন্য বাসস্থান তৈরি করে।

৫. জীববৈচিত্র্য: কেঁচো জটিল খাদ্য জালকে সমর্থন করে জীববৈচিত্র্যে অবদান রাখে।

৬. কৃষি: কেঁচো ভার্মি কম্পোস্টিং-এ ব্যবহার করা হয়, যা কৃষির জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ কম্পোস্ট তৈরি করে।

৭. পরিবেশগত সূচক: কেঁচো মাটির স্বাস্থ্য এবং বাস্তুতন্ত্রের মানের সূচক হিসাবে কাজ করে।

🔰খরচ:

১. মাটির ক্ষয়: কেঁচো মাটির ক্ষয় ঘটাতে সাহায্য করতে পারে, যা মাটিকে জল এবং বায়ু ক্ষয়ের জন্য আরও সংবেদনশীল করে তোলে।

২. ফসলের ক্ষতি: বিরল ক্ষেত্রে, কেঁচো শস্যের ক্ষতি করতে পারে, যেমন আলফালফা বা ক্লোভার, শিকড়ের মধ্যে গুঁজে দিয়ে।

সামগ্রিকভাবে, কেঁচোগুলির উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক সুবিধা রয়েছে এবং বাস্তুতন্ত্রে তাদের গুরুত্বকে বাড়াবাড়ি করা যায় না। এগুলি মাটির বাস্তুতন্ত্রের একটি মূল্যবান উপাদান এবং তাদের কার্যক্রম কৃষি উৎপাদনশীলতা এবং বাস্তুতন্ত্রের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে।

14/10/2024

সন্তান জন্মের পর আমাদের দেশের বেশীরভাগ স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কেই ভাটা পড়ে। ২ জন বা ৩ জন বাচ্চা হলে তো কথাই নেই। স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক হয়ে যায় ভাইবোনের মতো। বাচ্চার পিছনে দৌড়ে দৌড়ে, সংসারের কাজ করে করে স্বামীর সাথে রোমান্টিক সম্পর্কের মুড আর থাকেনা। সম্পর্কে শুরু হয় তিক্ততা। এদিকে দেশীয় কালচারে বাচ্চা নিয়ে ঘুমানো প্রায় সব পরিবারেই দেখা যায়। বাচ্চার বয়স ৫/৬/৭, কিন্তু মা বাবার সাথে শোয়। যেখানে আড়াই বা তিন হলেই বাচ্চাকে আলাদা করে দেয়া উচিত। কারন এরপর বাচ্চারা বুঝতে পারে অনেককিছুই। রাতে ঘুম ভেংগে সে মা-বাবাকে অপ্রস্তুত অবস্থায় দেখলে তার মনে যেমন প্রশ্নের উদ্রেক হবে, তেমনি উল্টোদিকে বাচ্চার সাথে একসাথে শোবার কারনে দাম্পত্যে বিঘ্ন তৈরি হয়।

বাচ্চার বয়স আড়াই বা তিন হলেই তাকে আলাদা করে দিন। বাচ্চা কিন্তু কষ্ট পাবেনা, কষ্ট পাবেন আপনি, বাচ্চা দূরে সরে যাবে মনে হবে। কিন্তু না, আসলে বাচ্চা দূরে সরে যায়না। এটা বাচ্চার ভালোর জন্য, আপনাদের স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো থাকার জন্য অত্যাবশ্যকীয়। বাচ্চার জন্য আলাদা বিছানা রেডি করুন। ওর রুমটাকে ওর পছন্দ মতো সাজিয়ে দিন। রাতে গল্প শুনিয়ে বা বই পড়িয়ে ওকে ঘুম পাড়ান। ঘুমিয়ে গেলে চলে আসুন আপনার রুমে। ও আপনার অনুপস্থিতি টেরও পাবেনা। রাতে ও উঠতে পারে এই ভয় থাকলে একটা বেবি মনিটর কিনে নিন, দাম বেশি নয়। ওর মাথার কাছে মনিটর রেখে রিসিভার আপনার নিজের বালিশের কাছে রাখুন। রাতে উঠলে আপনি সাথে সাথে টের পাবেন, যেমনটা পেতেন আপনার সাথে ঘুমালে। আপনি তো জানেনই সকালে কখন উঠে। তার একটু আগে গিয়ে ওর সাথে শোবেন। ও ঘুম হতে উঠেও আপনাকে পাবে। রাতে যে আপনি ছিলেন না, তা ও বুঝবেইনা।

দ্বিতীয় সন্তান হলে বেশীরভাগ মায়েরা প্রথম সন্তানকে অবহেলা শুরু করে। সব আদর যেন ছোটজনের জন্য, অথচ সে আদরের কিছুই বোঝেনা। আর যে বোঝে সেই বড়জনকে কথায় কথায় ডাক দেয়া, বকা দেয়া চলতে থাকে। মা/ রে*র কথা তো বাদই দিলাম। স্বাভাবিকভাবেই তার মনে ছোট বাচ্চাটার প্রতি বি- দ্বেষ সৃষ্টি হয়। ভাবে, ও না থাকলেই ভালো হতো, মা আদর করতো। অথচ মায়ের উচিত এই সময়ে বড়জনকে বেশি করে সময় দেয়া, আদর করা। বড়জনকে বোঝানো তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা একটুও কমেনি। আপনি আর আপনার স্বামী দুজনেরই দায়িত্ব এটা।

দু বাচ্চার মাঝে তুলনা করবেন না। কারন তারা দুজনই সম্পুর্ন আলাদা মানুষ। দুই বাচ্চার জন্য আলাদা নিয়ম বানাবেন না। একজনকে মোবাইল দেখিয়ে খাওয়াবেন, আরেকজনকে বলবেন খাওয়ার সময় নো ডিভাইস, তাহলে তো হবেনা। দুজনের বেডটাইম যেন এক হয়। কোনো জিনিস কিনলে একজনের জন্য নয়, দুজনের জন্যই কিনবেন।
ছোটটির বয়স যখন আড়াই হবে তখন ওকেও আলাদা করে দিন, বড়জনের সাথে। দুজন একসাথে ঘুমুবে বা একই রুমে দুটো বিছানায়।

দিনে এক হতে দেড়ঘন্টা আলাদা করে রাখুন যখন পরিবারের সবাই মিলে সময় কাটাবেন। হাসি আনন্দ করবেন। বাচ্চাদের সাথে স্বামী স্ত্রী একসাথে খেলবেন। নিজের পার্টনারের দিকে ভালোবাসার দৃষ্টিতে তাকাবেন। মেজাজ যদি বেশি খারাপ থাকে অকারণে, সরে যান প্রিয় মানুষগুলোর কাছ হতে তাদের আ*ঘাত করার আগেই। আলাদা রুমে বা বারান্দা বা ছাদে গিয়ে মেডিটেশন করুন। নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন যে কারনে আপনার মেজাজ খারাপ তা কতটা যুক্তিযুক্ত। গভীর নিঃস্বাস নিন। মন খারাপকে ছড়িয়ে দিন বাতাসে।

সংসার তৈরি হয় স্বামী স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে। সংসারের কাজ করতে করতে এই মানুষগুলোই যেন অবহেলিত না হয় সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কিন্তু আমাদেরই। ভালোবাসার সম্পর্কগুলো অটুট থাকুক 🙏

ড. মুহাম্মদ খানী বলছেন - একদিন আমি আমার গাড়িতে বসে ছিলাম, হঠাৎ প্রায় ষোল বছর বয়সী এক কিশোর এসে আমাকে বলল, স্যার আমি কি ...
26/08/2024

ড. মুহাম্মদ খানী বলছেন - একদিন আমি আমার গাড়িতে বসে ছিলাম, হঠাৎ প্রায় ষোল বছর বয়সী এক কিশোর এসে আমাকে বলল, স্যার আমি কি আপনার গাড়ির সামনের গ্লাসগুলো পরিস্কার করে দিতে পারি?
আমি বললাম - হ্যাঁ।
সে যত্ন করে গ্লাস পরিষ্কার করে দিলে আমি তার হাতে ২০ ডলার গুঁজে দিলাম।ছেলেটি খানিক অবাক হয়ে বলল, আপনি কি আমেরিকায় থাকেন?আমি বললাম - হ্যাঁ। কেন?
সে বলল, আমি কি এই ২০ ডলারের বদলে সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সম্পর্কে কিছু কথা জানতে পারি?
আমি তার বিনয় ও লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ দেখে তাকে কাছে ডেকে নিয়ে আলাপ শুরু করে দিলাম।
আলাপের শেষ দিকে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম - তুমি এভাবে রাস্তায় গাড়ি পরিস্কারের কাজ করে বেড়াচ্ছ কেন , তুমি তো একজন মেধাবী ছাত্র?
উত্তরে সে বলল, আমার দু বছর বয়সেই আমার বাবা মারা যান। আমার মা মানুষের বাসায় কাজ করেন। আমি এবং আমার ছোট বোন বাইরে টুকটাক কাজ করে বেড়াই বাড়তি কিছু রোজগারের আশায় যা দিয়ে আমাদের লেখাপড়ার খরচ চলে। আমি শুনেছি আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নাকি মেধাবী ছাত্রদের উচ্চতর লেখাপড়ার জন্য স্কলারশিপ দেয়। আমার খুব ইচ্ছা সেখানে পড়ার।কিন্তু সেখানে আমাকে সাহায্য করার মত তো কেউ নেই।
আমি বললাম - চলো, আগে আমরা একসাথে ডিনার করি।
সে বলল, একটি শর্তে আপনার দাওয়াত কবুল করতে পারি। আর তা হল বিনিময়ে আমি আপনার গাড়ির পেছনের গ্লাসগুলোও পরিষ্কার করে দেব।
আমি কথা না বাড়িয়ে তা মেনে নিয়ে হোটেলে ঢুকলাম।খাবার অর্ডার করলে সে ওয়েটারকে বলল তারগুলো পার্সেল করে দিতে। সে বাসায় গিয়ে তার মা আর বোনকে নিয়ে খাবে। খেয়াল করলাম তার ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অসামান্য।
বিদায় বেলায় সিদ্ধান্ত হল সে তার কাগজপত্রগুলো আমাকে দিবে, আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করব।
এভাবে দীর্ঘ ছয়মাস পর আমি তাকে আমেরিকা এনে ভালো একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করতে সক্ষম হলাম।
সে তার তার মেধা ও অধ্যবসায়ের জোরে কয়েক বছরের মধ্যেই আধুনিক টেকনোলজির কনিষ্ঠ টেক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। নিউইয়র্ক টাইমসের পাতায় তাকে নিয়ে লিড নিউজ হলে সারা বিশ্বে হইচই পড়ে যায়।
তার ঈর্ষনীয় সফলতায় আমি ও আমার পরিবার যারপরনাই আনন্দিত হই। এদিকে তাকে না জানিয়ে তার মা ও বোনের ভিসা ব্যবস্থা করে আচমকা তার সামনে আমেরিকায় নিয়ে এসে তাকে বড়সড় সারপ্রাইজ দিয়ে চমকে দেই। তাদের দেখে সে বোবা বনে যায়। এমনকি কাঁদতে পর্যন্ত ভুলে যায়।
এখন সে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা শিক্ষকদের একজন।
তারও কিছুদিন পর আমি একদিন বাসা থেকে রাস্তার দিকে তাকিয়ে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যাই। দেখি সে বাইরে দাঁড়িয়ে আমার গাড়ির গ্লাসগুলো পরিষ্কার করছে!চটজলদি দৌড় গিয়ে তাকে বাধা দিয়ে বলি - এগুলো কি করছো?সে অশ্রুসজল চোখে বলল, ছাড়ুন স্যার! আমাকে আমার কাজ করতে দিন। যেন আমি আমার পরিচয় ভুলে না যাই। আমি মনে রাখতে চাই আমি কি ছিলাম আর আজ কি হলাম। এবং আপনি আমার জন্য কী করেছেন!
এই সেই ফি'লি'স্তিনি যুবক ফরিদ আব্দুল আলী। যিনি বর্তমানে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসিদ্ধ তরুণ প্রফেসর।
সংগৃহীত

15/08/2024
15/08/2024
SPREAD IT AS MUCH AS POSSIBLE!...
03/08/2024

SPREAD IT AS MUCH AS POSSIBLE!...

৬ অক্টোবর ২০১৯।রাত  ৮.১৩।বুয়েট শেরেবাংলা হলের ১০১১  নাম্বার কক্ষে ঘুমাচ্ছিলো একটা ছেলে। একই ব্যাচের তানিমসহ তিনজন এসে তা...
12/04/2024

৬ অক্টোবর ২০১৯।
রাত ৮.১৩।
বুয়েট শেরেবাংলা হলের ১০১১ নাম্বার কক্ষে ঘুমাচ্ছিলো একটা ছেলে। একই ব্যাচের তানিমসহ তিনজন এসে তাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে।
-- বড় ভাইয়েরা তোকে ডাকছে। ২০১১ তে আয়।
-- কেনো?
-- গেলেই দেখতে পাবি।
-- কখন যাওয়া লাগবে?
-- এখনই। তোর ল্যাপটপ এটা?
-- হ্যাঁ।
-- মোবাইলটাও দে।
--কেনো?
-- দিতে বলছি তাই দিবি। ভাইরা বলছে।
মোবাইল, ল্যাপটপ এবং ছেলেটাকে নিয়ে তারা রওনা দিলো ২০১১ নাম্বার রুমের উদ্দেশ্যে। এই ছেলেটা কোন সাধারণ ছেলে ছিলো না। বুয়েটের EEE বিভাগে ২০১৮ সালে ভর্তি হওয়া এই ছেলের নাম আবরার ফাহাদ রাব্বি। অসাধারণ মেধাবী এই ছেলে ঢাবি 'ক ইউনিট' ভর্তি পরীক্ষায় ১৩ তম হয়েছিলো। চান্স পেয়েছিলো ঢাকা মেডিকেলেও। বড় ভাইদের ডাকে ২০১১ নাম্বার রুমের দিকে পা বাড়ানো আববার তখনো জানতো না, "অনন্ত মহাকালে এই যাত্রা, অসীম মহাকাশের অন্তে"।
আবরারের অপরাধ ছিল তাদের চোখে মারাত্মক! ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিয়েছে সে। আবরারেরই রুমমেট মিজানের সন্দেহ, "আবরার শিবির করে।" তাই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আজ এই আয়োজন। কক্ষে ঢোকার পরই মোবাইল আর ল্যাপটপ চেক করা শুরু করে তারা। তেমন কোন প্রমাণ না পেয়ে রুমে থাকা রবিন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
-- এদিকে আয়। চশমা খোল।
আবরার চশমা খোলার পর রবিন প্রচন্ড জোরে তার গালে কয়েকটি চড় মারে। হাত দিয়ে গাল চেপে বসে পড়ে আবরার। এরই মধ্যে মোরশেদ কাঠের তৈরি শক্ত ক্রিকেট স্ট্যাম্প নিয়ে আসে। ইফতি প্রথমে রবিনের মতোই গায়ের জোরে থাপ্পড় মারে আবরারকে। এরপর হাতে তুলে নেয় ক্রিকেট স্ট্যাম্প। পিঠে, পায়ে, পায়ের তালুতে, হাতে সর্বশক্তিতে মারতে থাকে। প্রচণ্ড শক্তিতে মারার কারণে কয়েক বাড়ি দেওয়ার পরই স্ট্যাম্প ভেঙে দুই টুকরা হয়ে যায়। আবরার ততক্ষণে চিৎকার দিতে দিতে লুটিয়ে পড়েছে মেঝেতে। সেই চিৎকার শুনে আশেপাশের রুমের জানালা ভয়ে দ্রুত বন্ধ হয়ে যায়। এহতেসামুল, রাব্বি ও তানিম আরেকটি নতুন স্ট্যাম্প নিয়ে আসে। এবার অনিক স্ট্যাম্প হাতে তুলে নেয়। একাধারে মাটিতে লুটিয়ে থাকা আবরারের সারা শরীরে আঘাত করতে থাকে। প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি আঘাত করে অনিক নিজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। মেঝেতে পড়ে কাতরাতে থাকে আবরারের শরীর। সঙ্গে সঙ্গে মুজাহিদ ও শামিম স্কিপিং রোপ (মোটা দড়ি) দিয়ে মারতে শুরু করে। আবরার তখন বাঁচার জন্য আকুতি-মিনতি করে কিন্তু তাতে কারো মন গলেনি। কারো মধ্যেই মনুষ্যত্ব ফিরে আসেনি। বরং জীয়ন এগিয়ে এসে অনিক থেকে ক্রিকেট স্ট্যাম্প নিয়ে আবরারের শরীরের বিভিন্ন স্থানে সর্বশক্তিতে মারতে থাকে।
রাত সাড়ে দশটা। অমানুষিক মার খেয়ে মেঝেতে লুটিয়ে গোঙাতে থাকে আবরার। ইফতি ধমক দিয়ে টেনে দাঁড় করায়। তারপর সর্বশক্তিতে কয়েকটি চড় মারে। এরপর আবার স্ট্যাম্প দিয়ে পেটাতে থাকে।
রাত এগারোটা। ২০১১ নাম্বার কক্ষে এসে হাজির হয় এস এম মাহমুদ সেতু। এসেই সবাইকে জিজ্ঞেস করলো,
-- কি অবস্থা? কিছু বাইর হইছে?
-- না, কোন কিছু বলতেছে না।
-- মারতে থাক।
সেতুর নির্দেশে আবরারকে আবার ক্রিকেট স্ট্যাম্প, স্কিপিং রোপ দিয়ে মারা শুরু হয়। ইফতি ও অনিক আবরারকে ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে মারতে থাকে। হাতের কনুই দিয়ে পিঠে প্রচণ্ড আঘাত করে। উৎসাহিত হয়ে তখন সবাই মিলে প্রচন্ড শক্তিতে আবরারকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি চড়-থাপ্পড়, লাথি মারতে থাকেন। আবরারের কুঁকড়ে যাওয়া শরীর থেকে তখন শুধু গোঙানি শোনা যাচ্ছিলো।
রাত সাড়ে এগারোটা। কিছুক্ষণের জন্য রুম থেকে বের হওয়ার আগে অনিক ও রবিন অন্যদের বলে যায়,
-- তোরা অর কাছ থেকে যেমনেই হোক তথ্য বের কর।
এবার মনির ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে আবরারকে পেটাতে শুরু করে। তাবাখখারুল, নাজমুস সাদাত, তানিম, জেমি আবরারকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। বাইরে থেকে আবার রুমে ঢুকে অনিক হাতে ক্রিকেট স্ট্যাম্প তুলে নেয়। এরপর আবরারকে প্রচন্ড জোরে একটানা আরও ৪০ থেকে ৫০টি আঘাত করে। মুমূর্ষু আবরার তখন বমি ও প্রস্রাব করে ফেলে। ব্যথায় চিৎকার করার মতো শক্তিও অবশিষ্ট নেই। বাঁচার জন্য ইশারা-ইঙ্গিতে কাকুতি-মিনতি করে। নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম হয়। শ্বাসকষ্ট দেখে ইফতি আবরারের মাথার নীচে বালিশ দেয়। পরপর আরো কয়েকবার বমি করে আববার। এমন অবস্থায় আবরারকে হলের বাথরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। ধুয়ে মুছে জামা কাপড় বদলানো হয়।
রাত সাড়ে বারোটা। ইফতি ও মেহেদীর নির্দেশে আবরারকে ধরাধরি করে ২০০৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে আসা হয়। ইফতি মোশাররফ হলের মেস বয় জাহিদ হাসানকে ডেকে আসে। ২০১১ নম্বর রুমে আবরারের বমি তাকে দিয়ে পরিষ্কার করানো হয়।
২০০৫ নম্বর কক্ষে আনার পর ইফতি বলে,
-- তোরা এবার অর থেকে তথ্য বাইর কর। বুয়েটে কে কে শিবির করে বাইর কর।
দুই-একজন আবরারের মুমূর্ষু অবস্থা দেখে ভয়ে ভয়ে বললো,
-- ভাই, অবস্থা বেশ খারাপ। হাসপাতালে নেওয়া দরকার।
এই কথা শোনার পর রবিন তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেন।
-- যা বলছি তাই কর। এইগুলি সব নাটক। ভং ধরছে। তোরা শিবির চেনস না। শিবির চেনা কষ্ট।
রবিনের রেগে ওঠা দেখে সবাই ভয়ে জলদি আবরারকে আবার ইন্টারোগেট শুরু করে। কিন্তু আবরারের মুখ থেকে কোন শব্দ আসে না। নিশ্চল, নিস্তেজ পড়ে থাকা দেহ কোন সাড়া না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আবার আরেক দফা পেটানো শুরু হয়।
রাত দুইটা। সিদ্ধান্ত হয় আবরারকে হল থেকে বের করে পুলিশে দেওয়া হবে। মেহেদী চকবাজার থানা পুলিশকে ফোন দেয়, "হলে একটা শিবির ধরা পড়েছে। এসে নিয়ে যান।" চকবাজার থানা পুলিশ একটা টহল দল পাঠায় শেরে বাংলা হলের গেইটে। কিন্তু দেরী হওয়ায় গেইট থেকে পুলিশকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
রাত আড়াইটা। ইফতি, মুজাহিদ, তাবাখখারুল ও তোহা মিলে নিশ্চল আবরারকে তোশকে করে হলের দোতালার সিঁড়িতে এনে রেখে দেয়। সিঁড়ির লাইটের আলোয় আবরারের খালি গায়ে তখন স্পষ্ট কালো কালো দাগ। সারা শরীরে স্ট্যাম্পের বাড়ির কারণে কালশিটে পড়ে আছে। চোখ বন্ধ। তবে চেহারায় কোন যন্ত্রণার ছাপ নেই। বরং সেখানে প্রশান্তির চিহ্ন। নিষ্ঠুর অমানুষদের এই পৃথিবী ছেড়ে স্রষ্টার সান্নিধ্যে চলে যাওয়ার প্রশান্তি।
রাত তিনটা। খুনীরা বুয়েটের চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স ডেকে আনে। চিকিৎসক আবরারের দেহ পরীক্ষা করে ঘোষণা দেন সে মারা গেছে। তড়িঘড়ি করে ক্রিকেট স্ট্যাম্প, তোষক, বালিশ, আবরারের ল্যাপটপ, চাপাতি হলের ২০১১ নম্বর কক্ষ থেকে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ এর কক্ষে নিয়ে রেখে দেওয়া হয়। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রাসেল আবরারের মৃতদেহ হলের নিচে নামানোর পর তড়িঘড়ি করে সেখান থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বুয়েটের চিকিৎসককে চাপ দেন। খুনীরা সিদ্ধান্ত নেয় আবরারের লাশ গুম করে ফেলা হবে। কিন্তু ততক্ষণে কিছু শিক্ষার্থী দেখে ফেলায় তার নতুন পরিকল্পনা করে। আবরারের লাশের সাথে কিছু মাদক দিয়ে গণপিটুনিতে মারা যাওয়ার নাটক সাজানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আবরারের সহপাঠীদের দৃঢ়তায় সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
৭ অক্টোবর ২০১৯। ভোরের আলো ফোটার আগেই বুয়েটের শিক্ষার্থীরা উপহার পায় এক সতেজ তাজা লাশ। পাঁচ ঘন্টা অমানুষিক নির্যাতনে মৃত ফর্সা শরীরটার সবখানে শুধু লাল আর কালোর মিশ্রণ। দেশের পক্ষে ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাস আবরার ফাহাদ রাব্বিকে পৌঁছে দিয়েছে অনন্ত মহাকাশের পথে।
***
লেখা- মারুফ হাসান,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

বউ বাচ্চা মারা গেছে আমি বেচে কি করবো এই সংক্রান্ত বস্তাপচা সস্তা চ্যানেলে প্রচারিত আবেগে গা ভাসাবেন না। উনি বাঁচতে চাইছে...
07/01/2024

বউ বাচ্চা মারা গেছে আমি বেচে কি করবো এই সংক্রান্ত বস্তাপচা সস্তা চ্যানেলে প্রচারিত আবেগে গা ভাসাবেন না। উনি বাঁচতে চাইছে। উনি আবেগের গল্প বলার জন্য জানালা দিয়ে গলিত হাত আর মাথা বের করে দেয় নাই। উনি শেষ অব্দি বাঁচতে চাইছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা সবাই দেখেছে। সেইটার ভিডিও আছে। শহীদি মৃত্যুকে আবেগ দেখিয়ে সুইসাইড বানাবেন না প্লিয।

একটা সিরিয়াস ঘটনাকে হালকা করার জংলি ক্ষমতা বাঙালির আছে, আমি মনে করি এই প্রোপাগান্ডাটা তারই একটা অংশ। এখানে একজন ভিক্টিম যিনি বাঁচার চেষ্টা করেছে, তাঁর কাহিনীকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে রসে ডুবিয়ে পুরো ঘটনার চেয়ে তাঁর বৌ-বাচ্চার প্রতি অতি আবেগ দেখিয়ে মূল ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার একটা অসভ্য প্রচেষ্টা হয়েছে, আপনি যদি আজকে সাবধান না হন, তা হলে আগামীকাল আপনি তার জায়গায় থাকবেন।

-সংগৃহীত।
SaDik Rahman

Address

RadioRumio. Com
Sylhet
3100

Telephone

+8801717527756

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when RadioRumio.com posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to RadioRumio.com:

Share

Category