14/07/2025
মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী এমপি নির্বাচিত হবার পর যারা কৃতজ্ঞতায় লুতুপুতু খেয়ে বলেছিলো ‘উনি এমপি হবার পর শান্তিতে ঘুমাতে পারছি; আগে পুলিশ দৌড়ান দিতো’— সেই তারাই এখন সময় বুঝে সুর পাল্টায়। নানা রকম বিদ্বেষপূর্ণ কথা বলে।
বিগত সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেয়া কতটা সঠিক ছিলো, এটা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হতে পারে। যে কেউ গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারেন। কিন্তু গঠনমূলক সমালোচনা আর গোপনে লালিত বিদ্বেষ থেকে ছড়ানো ঘৃণা ভিন্ন বিষয়। জকিগঞ্জ কানাইঘাটের মানুষ একটা উদাহরণ কি দিতে পারবেন যে মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী এমপি হবার পর তিনি ক্ষমতার নূন্যতম অপব্যবহার করেছেন? কাউকে হয়রানি করেছেন? কারও হক নষ্ট করেছেন? তাঁর কথা কিংবা কাজ দিয়ে কাউকে আঘাত করেছেন? এরকম একটা নজিরও তো কেউ দেখাতে পারে নি।
নির্বাচনে মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ছাড়াও অন্যান্য ইসলামী দলের আরও অনেক নেতাই অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু সমালোচনা আর বিদ্বেষের তীর শুধুই হুছামুদ্দীন চৌধুরীর দিকে। কেন? শেখ হাসিনাকে কোন কোন ইসলামী দলের কোন কোন নেতা কী কী রকমভাবে তোষামোদ করেছেন, আনন্দে আত্মহারা হয়ে কারা কোন উপাধি দিয়েছেন, সেইসব উদাহরণ নাই টানলাম। ইসলামী শিক্ষার স্বকীয়তা রক্ষা করাই ছিলো মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরীর সংসদে যাওয়ার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। সংসদে দাঁড়িয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ‘ইবলিসি’ শিক্ষা ব্যবস্থা বলার হিম্মত ক’জন রাখে! মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী তাঁর কাজের মাধ্যমেই প্রমাণ করেছেন ঈমান আকিদার প্রশ্নে তিনি আপোসহীন। জকিগঞ্জ কানাইঘাটের কৃতজ্ঞ মানুষ যাঁরা তাঁরা নিশ্চয়ই সাক্ষী দিবেন, মাত্র ৭ মাসে একজন এমপির কাছ থেকে সাধারণ জনগণ যা আশা করে মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরীর কাছ থেকে তাঁরা তার চেয়ে অনেক বেশিই পেয়েছেন।
গঠনমূলক সমালোচনাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে ঘৃণা আর বিদ্বেষমূলক কথাবার্তা ভেতরে জমানো আক্রোশকে সামনে নিয়ে আসে। একজন হুছামুদ্দীন চৌধুরী এই দেশ, জাতি, এই উম্মাহর সম্পদ। আল্লাহ পাক সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে তাঁকে হেফাজত করুন।
~mujahid bulbul
#বাংলাদেশ #সিলেট