Zakiganj Live-জকিগঞ্জ লাইভ

Zakiganj Live-জকিগঞ্জ লাইভ Zakiganj Itv Multimedia is the Most Popular and Most Viewed Online Channel From the North-Eastern Regio

জকিগঞ্জে প্রথম ইংলিশ ভার্সন স্কুল ‘লিটল স্টারস’ — আধুনিক ও নৈতিক শিক্ষার নতুন দিগন্তসিলেটের জকিগঞ্জে শিক্ষা ক্ষেত্রে নতু...
17/10/2025

জকিগঞ্জে প্রথম ইংলিশ ভার্সন স্কুল ‘লিটল স্টারস’ — আধুনিক ও নৈতিক শিক্ষার নতুন দিগন্ত

সিলেটের জকিগঞ্জে শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন এক দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। দীর্ঘদিন ইংলিশ ভার্সন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভাব অনুভূত হয়েছে। সেই চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যে তিনজন শিক্ষানুরাগী — মোঃ আব্দুর রহমান জিহান, শরীফ আহমদ এবং শামীম আহমদ — স্থাপন করেছেন Little Stars English School, জকিগঞ্জ। এই স্কুলটি আধুনিক শিক্ষার সঙ্গে ইসলামী মূল্যবোধ ও নৈতিক শিক্ষা একত্রিত করে, শিশুর জন্য একটি অনন্য এবং মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করছে।

স্কুলের স্লোগান "A Foundation for Lifelong Success" প্রতিফলিত করছে আমাদের লক্ষ্য — শিশুর শৈশব থেকেই এমন শিক্ষার ভিত্তি তৈরি করা, যা হাই স্কুলে ওঠার পূর্বে তাদের বেসিক দক্ষতা দৃঢ়ভাবে স্থাপন করবে এবং ভবিষ্যতের শিক্ষা, কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

প্রতিষ্ঠানটির পরামর্শক ও লন্ডন প্রবাসী শরীফ আহমদ বলেন, “আমরা চাই এমন একটি শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে, যেখানে শিশুরা কেবল বইয়ের পাঠ নয়, বাস্তব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শেখার সুযোগ পাবে। আমরা চাই শিশুরা সৃজনশীলভাবে চিন্তা করতে শিখুক এবং তাদের মেধা ও আগ্রহের বিকাশে পূর্ণ সুযোগ পেয়ে উঠুক।”

বিদ্যালয়ের পরিচালক মোঃ আব্দুর রহমান জিহান যোগ করেন, “আমরা চাই জকিগঞ্জের শিশুদের আধুনিক, ব্যবহারিক এবং ধর্মীয় শিক্ষার সমন্বিত সুযোগ দেওয়া হোক। হাই স্কুলে ওঠার পূর্বে শিশুদের মৌলিক দক্ষতা এমনভাবে গড়ে উঠুক যাতে তারা আত্মনির্ভরশীল হয়ে ভবিষ্যতে নিজেকে স্বাধীনভাবে পরিচালনা করতে পারে।”

অন্য পরিচালক শামীম আহমদ বলেন, “জকিগঞ্জে এটি প্রথম ইংলিশ ভার্সন স্কুল। তাই আমরা প্রতিটি বিষয়ে যত্নসহকারে এবং পরিকল্পনার সঙ্গে কাজ করছি। আমাদের শিক্ষকবৃন্দ অভিজ্ঞ এবং অধিকাংশ শিক্ষক IELTS-এ উচ্চ স্কোরধারী। তারা ইংরেজিতে দক্ষ, শিক্ষার্থীদের শেখার প্রতিটি মুহূর্তকে ফলপ্রদ এবং আনন্দময় করে তোলেন। তাদের পেশাদার দক্ষতা শিশুদের শিক্ষার মান এবং সৃজনশীল বিকাশ নিশ্চিত করে।”

Little Stars English School ইতোমধ্যেই জকিগঞ্জবাসীর মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। পরিচালকবৃন্দ জকিগঞ্জবাসীর কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন, যাতে প্রতিষ্ঠানটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জ্ঞানের উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা হয়ে ওঠে।

স্কুলের সুবিধা ও ফেসিলিটি
- আধুনিক ইংলিশ ভার্সন শিক্ষাব্যবস্থা

জকিগঞ্জে এইচএসসি ফলাফল: শীর্ষে বারহাল ডিগ্রি কলেজ, উপজেলায় গড় পাসের হার ৩৯.৪৩%নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের জকিগঞ্জে এইচএস...
16/10/2025

জকিগঞ্জে এইচএসসি ফলাফল: শীর্ষে বারহাল ডিগ্রি কলেজ, উপজেলায় গড় পাসের হার ৩৯.৪৩%

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের জকিগঞ্জে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে আটটি কলেজের মধ্যে গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩৯.৪৩%। এর মধ্যে সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জন করেছে বারহাল ডিগ্রি কলেজ, যেখানে পাসের হার ৭৮ দশমিক ২৬ শতাংশ। আর সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী একাডেমি। যেখানে পাসের হার মাত্র ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, হাফছা মজুমদার মহিলা ডিগ্রি কলেজে পাসের হার ৬৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ, এবং এই কলেজের ৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। মেয়েদের এই প্রতিষ্ঠানই উপজেলায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ফলাফল করেছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে লুৎফর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পাসের হার ৪৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। চতুর্থ স্থানে ইছামতি ডিগ্রি কলেজ, যেখানে পাসের হার ৪২ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এছাড়া, জকিগঞ্জ সরকারি কলেজে পাসের হার ৩৮ শতাংশ, গুরুসদয় স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২৪ দশমিক ৬২ শতাংশ, গনিপুর কামালগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ, এবং সবচেয়ে নিচে রয়েছে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী একাডেমি, যেখানে পাসের হার মাত্র ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ।

ফলাফলের এই পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় মহলে চলছে আলোচনা সমালোচনা। শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কিছু প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট, অনিয়মিত ক্লাস এবং শিক্ষার্থীদের অধ্যবসায়ের অভাবই নিম্ন ফলাফলের প্রধান কারণ।

হাফছা মজুমদার মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ খালেদ আজাদ বলেন, শিক্ষকদের আন্তরিকতা, শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পড়াশোনা, অভিভাবক গভর্নিং বডির সহযোগিতার কারণে আমরা ধারাবাহিকভাবে ভালো ফল করে আসছি। আগামী বছর আরও উন্নত ফলাফলের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।

এদিকে, ফলাফলে পিছিয়ে পড়া কলেজগুলো নিয়ে অভিভাবক ও সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। তারা মনে করছেন, উপজেলার সার্বিক শিক্ষার মান উন্নয়নে এখনই পরিকল্পিত উদ্যোগ, শিক্ষক সংকট নিরসন এবং ক্লাস কার্যক্রমে কঠোর নজরদারি জরুরি।

স্থানীয় শিক্ষাবিদদের মতে, গড় পাসের হার মাত্র ৩৯.৪৩ শতাংশ হওয়া জকিগঞ্জের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য একটি সতর্কবার্তা। তারা বলছেন, সময়মতো উদ্যোগ না নিলে আগামী বছর ফলাফল আরও নিম্নমুখী হতে পারে, যা এলাকার সামগ্রিক শিক্ষার মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

নোমান উদ্দিন হত্যাকাণ্ড: আদালতে শ্যালক সুমনের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরনিজস্ব প্রতিবেদক:: জকিগঞ্জের কালিগঞ্জ বাজারের আলোচিত...
15/10/2025

নোমান উদ্দিন হত্যাকাণ্ড: আদালতে শ্যালক সুমনের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

নিজস্ব প্রতিবেদক:: জকিগঞ্জের কালিগঞ্জ বাজারের আলোচিত ব্যবসায়ী নোমান উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনে শ্যালক হানিফ আহমদ সুমন (৩৮) কে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার দুপুরে জকিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইবরাহিম সরকারের আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড শুনানির পর বিচারক ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। এ সময় আসামি হানিফ আহমদ সুমন আসামির ডকে উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর কালিগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী নোমান উদ্দিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজ দোকানে এসে সকাল ১১ টার দিকে নিখোঁজ হন। ২ অক্টোবর বাড়ির অদূরে শায়লা স্মৃতি হাসপাতালের পেছনের ধান ক্ষেতে তার লাশ পাওয়া যায়। নৃশংস ঘটনার পর নিহতের শ্যালক সুলতানপুর ইউপির ঘেছুয়া গ্রামের তেরাই মিয়ার ছেলে হানিফ আহমদ সুমন (৩৮), বাবুর বাজার পশ্চিম গঙ্গাজল গ্রামের মামই মিয়ার ছেলে শ্যালক মাজেদ (২৬), গোলাঘাট গ্রামের তাছকিন আহমদ তাজুল (২৫)সহ নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস মুন্নির দিকে ঘটনার অভিযোগ তুলেন এলাকার সর্বস্তরের লোকজন।

এদিকে নিহতের ভাই রিয়াজ উদ্দিন দাবী করছেন, তার ভাইয়ের হত্যা মামলাকে ধামাচাপা দিতে নোমানের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও মামলার বাদী মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস মুন্নি তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। আসামি সুমন, মাজেদ ও তাজুলসহ অন্য আসামিরা নিকট আত্মীয় হওয়ায় তাদেরকে বাঁচানোর ছলচাতুরী করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ঘটনায় সরাসরি জড়িত মাজেদ ও তাজুলকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার না করায় তারা মামলাকে প্রভাবিত করে ঘটনার আলামত নষ্ট করছে। এ নিয়ে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অন্যদিকে, ঘটনায় জড়িত বাবুর বাজার পশ্চিম গঙ্গাজল গ্রামের মামই মিয়ার ছেলে মাজেদ আহমদ বিদেশ পালিয়ে যাচ্ছে বলে ফেসবুকে স্কীনশট ভাইরাল হয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতারেে অভিযান চালালে মাজেদের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় মাজেদের পরিবারের লোকজন বাড়ি তালা দিয়ে চলে গেছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জকিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আল মোমেন জানান, সুমনকে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে অন্য তথ্য পাওয়া যাবে।

জকিগঞ্জের ফাহিম চাকসু নির্বাচনে যোগাযোগ ও আবাসন বিষয়ক সম্পাদক পদে প্রার্থী নিজস্ব প্রতিবেদক, জকিগঞ্জআসন্ন ১২ অক্টোবর চট্...
10/10/2025

জকিগঞ্জের ফাহিম চাকসু নির্বাচনে যোগাযোগ ও আবাসন বিষয়ক সম্পাদক পদে প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, জকিগঞ্জ
আসন্ন ১২ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জকিগঞ্জের মেধাবী শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসাইন ফাহিম। তিনি যোগাযোগ ও আবাসন বিষয়ক সম্পাদক পদে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

ইসমাইল হোসাইন ফাহিম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এবং এ.এফ. রহমান আবাসিক হলের শিক্ষার্থী। নির্বাচনে তাঁর ব্যালট নম্বর ০৩।

নিজ এলাকার শিক্ষার্থীদের গর্ব এই তরুণ প্রার্থী ফাহিম জকিগঞ্জবাসীর দোয়া, ভালোবাসা ও সমর্থন কামনা করেছেন। তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করাই আমার মূল লক্ষ্য। আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা পেলে শিক্ষার্থীদের সেবায় নিজেকে নিবেদিত রাখতে চাই।”

এদিকে, জকিগঞ্জের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও শিক্ষার্থী মহলে ফাহিমের প্রার্থিতা নিয়ে ইতোমধ্যেই আনন্দ ও উৎসাহের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সবাই তাঁর সফলতা কামনা করছেন।

নোমান হত্যার প্রতিবাদে ও আসামি গ্রেফতার দাবিতে জকিগঞ্জে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধননিজস্ব প্রতিবেদক: জকিগঞ্জের কালি...
10/10/2025

নোমান হত্যার প্রতিবাদে ও আসামি গ্রেফতার দাবিতে জকিগঞ্জে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: জকিগঞ্জের কালিগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী নোমান আহমদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ও প্রকৃত রহস্য উদঘাটন এবং খুনিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার বাদ আছর জকিগঞ্জ এম এ হক চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ জকিগঞ্জ উপজেলা শাখার আহবানে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রতিবাদী এ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন জকিগঞ্জ উপজেলা সভাপতি আমান উল্লাহ ইমন এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক তারেক আহমদ।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জকিগঞ্জ উপজেলা সভাপতি হেকিম মো. শিহাব উদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন জকিগঞ্জ উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা জয়নুল ইসলাম। বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সদস্য জুবায়ের আহমদ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মো. ইজ্জাদ, আল-ইসলাহ নেতা মাওলানা কবির আহমদ, ইসলামী যুব আন্দোলন উপজেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমদ, এবং নিহত নোমান আহমদের ভাই রিয়াজ উদ্দিন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহ আলম, কওমি মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক উবায়দুর রহমান, দাওয়াহ সম্পাদক সৈয়দ মারজান আহমদ ও মিজানুর রহমান কামরান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, “ব্যবসায়ী নোমান আহমদকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলেও এখনো প্রকৃত সকল খুনিদের আইনের আওতায় আনা হয়নি। তদন্তে বিলম্ব ও রহস্যজনক নীরবতায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।”

তারা আরও বলেন, “এ হত্যাকাণ্ড কোনো সাধারণ ঘটনা নয়—এর পেছনে রয়েছে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। প্রশাসন যদি দ্রুত প্রকৃত খুনিদের গ্রেফতার ও বিচার না করে, তবে জকিগঞ্জবাসী কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।”

মানববন্ধনে বক্তারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে কোনোরূপ টালবাহানা না করে দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন ও জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ন্যায়বিচারের দাবিতে জকিগঞ্জবাসী ঐক্যবদ্ধ। নোমান হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”

09/10/2025

জকিগঞ্জে মানবিকতায় আলোড়ন: প্রশংসায় ভাসছেন ডিসি'সহ উপজেলার শীর্ষ তিন কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক, জকিগঞ্জ
সিলেটের জকিগঞ্জে এক মানবিক পদক্ষেপে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সারওয়ার আলমসহ উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ ৩ কর্মকর্তা। দীর্ঘ ছয় মাস অবরুদ্ধ থাকার পর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবশেষে মুক্তি পেলেন জেসমিন আক্তার ও তার পরিবার। এই উদ্যোগের ফলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সারওয়ার আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুবুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রণয় বিশ্বাস এবং জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না সর্বমহলে প্রশংসায় ভাসছেন।

গত বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসকের নির্দেশে পৌর এলাকার বিলেরবন্দ গ্রামে প্রভাবশালী এমাদ উদ্দিন ও তার ভাই এনাম আহমদের নির্মিত অমানবিক দেয়াল ভেঙে অসহায় জেসমিন আক্তারের পরিবারের চলাচলের পথ উন্মুক্ত করেন ইউএনও, এসিল্যান্ড, পৌর প্রশাসক ও থানা পুলিশ। দেয়াল অপসারণের মুহূর্তে স্বস্তি ও আনন্দে চোখ ভিজে ওঠে উপস্থিত মানুষের। অনেকেই বলছিলেন—“এ যেন ন্যায় ও মানবতার বিজয়।”

এ দৃশ্যের ভিডিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। জকিগঞ্জ আই টিভি ও জকিগঞ্জ নিউজের ফেসবুক পেইজে প্রকাশিত ভিডিওটি ইতোমধ্যে এক মিলিয়নের বেশি মানুষ দেখেছেন। মন্তব্যে সাধারণ মানুষ প্রশাসনের এই সাহসী ও মানবিক পদক্ষেপকে স্বাগত জানান। তাদের মতে, প্রশাসনের এ উদ্যোগ শুধু একটি পরিবারকে নয়, বরং পুরো এলাকাকে অন্যায়ের হাত থেকে মুক্ত করেছে।

এ ঘটনাকে ঘিরে সামাজিক ও জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া পড়ে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায়ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকরা জেলা প্রশাসকসহ চার কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানান।

জকিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক ও উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সাংবাদিক কেএম মামুন বলেন, “আমরা শুরু থেকেই এ ঘটনাটি তুলে ধরেছিলাম। তবে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে যে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হলো, তা প্রমাণ করে মানুষ প্রশাসনের কাছেই নিরাপদ। এ ধরনের দৃঢ় অবস্থান ভবিষ্যতে অন্যায়-অবিচার রুখে দাঁড়াতে সহায়ক হবে।”

মুক্তির পর আবেগাপ্লুত কণ্ঠে জেসমিন আক্তার বলেন, “আমার সন্তানরা অবশেষে মুক্ত হলো। এখন তারা আবার স্কুলে যেতে পারবে। আমি ডিসি স্যার, ইউএনও, এসিল্যান্ড এবং ওসি, জকিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।”

এলাকার প্রবীণ নোমান উদ্দিন বলেন, “একটি পরিবারকে টাকার জোরে বন্দি রাখা ভয়াবহ অমানবিক কাজ। প্রশাসনের দৃঢ় পদক্ষেপে তাদের মুক্তি—এটি আমাদের জন্য স্বস্তির খবর।”

প্রসঙ্গত, জকিগঞ্জ পৌর এলাকার বিলেরবন্দ গ্রামে আজিজিয়া কমিউনিটি সেন্টারের মালিক প্রভাবশালী এমাদ উদ্দিন ও তার ভাই এনাম আহমদ জেসমিন আক্তারের বাড়ির প্রবেশপথ বন্ধ করে পাঁচ ফুট উঁচু দেয়াল নির্মাণ করেছিলেন। এর ফলে জেসমিন, তার চার সন্তান, বৃদ্ধা শাশুড়ি ও মানসিক ভারসাম্যহীন স্বামীকে ছয় মাস ঘরবন্দি জীবন কাটাতে হয়। অসহায় জেসমিন বারবার স্থানীয় প্রভাবশালীদের কাছে কাকুতি-মিনতি করেও সাড়া পাননি। বরং তার অসুস্থ স্বামীকে অপমান করে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে এবং শেষমেশ প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপে মুক্তি মেলে পরিবারের।

নোমান হত্যাকাণ্ডে নতুন মোড়: ‘যারা হত্যাকারী তারাই বাদী-সাক্ষী’—ভাইয়ের অভিযোগনিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটের জকিগঞ্জের কালিগঞ্...
09/10/2025

নোমান হত্যাকাণ্ডে নতুন মোড়: ‘যারা হত্যাকারী তারাই বাদী-সাক্ষী’—ভাইয়ের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটের জকিগঞ্জের কালিগঞ্জ এলাকার বহুল আলোচিত ব্যবসায়ী নোমান উদ্দিন হত্যা মামলায় নতুন করে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের ভাই রিয়াজ উদ্দিনের দাবি, সন্দেহভাজন খুনীদের স্বজনকে বাদী ও সাক্ষী বানিয়ে মামলা রেকর্ড করায় ন্যায়বিচার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, “যারা হত্যাকারী, তারাই এখন বাদী ও সাক্ষী।”

এ ঘটনায় নিহত নোমানের ভাই, চাচাসহ নিকটতম স্বজনরা পুলিশের উচ্চপর্যায়ের তদন্ত ও প্রকৃত হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার নিহতের ভাই, চাচা ও ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা সিলেটের পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত আবেদন দাখিল করেছেন। এ সময় তারা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে দেখা করে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানান। তখন পুলিশ সুপার আশ্বাস সুষ্ঠু তদন্ত করে ন্যায় বিচার নিশ্চিতের আশ্বাস দেন।

লিখিত অভিযোগে তাঁরা উল্লেখ করেন, জকিগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলাটি রহস্যজনকভাবে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে। প্রায় ৩০ বছর প্রবাসে থাকার পর নোমান উদ্দিন দেশে ফিরে কালিগঞ্জ বাজার সংলগ্ন নতুন বাড়িতে স্ত্রী, দুই কন্যা এবং শ্যালক হানিফ উদ্দিন সুমনসহ বসবাস শুরু করেন। নোমানের ক্রয়কৃত বাড়িটির অর্ধেক তাঁর স্ত্রীর নামে ও অর্ধেক নিজের নামে ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে শ্যালক সুমন বাড়িটি নিজের নামে দলিল করার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে পারিবারিক বিরোধ চরমে পৌঁছালে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিশ হলেও কোনো সমাধান হয়নি।

পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য, এই বিরোধ নিয়েই ঘরে কলহ লেগে থাকত। এমনকি নোমান দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাচ্ছেন — এমন গুজব ছড়িয়ে শ্যালক সুমন পরিবারকে উত্তেজিত করে তোলে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে হানিফ আহমদ সুমন সহযোগী বাবুর বাজার এতিছামনগর গ্রামের মামই মিয়ার ছেলে মাজেদ আহমদ ও বিয়ানীবাজারের গোলাঘাট গ্রামের তাছকিন আহমদ তাজুলসহ কয়েকজনকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে নোমানকে দোকান থেকে বাড়িতে ডেকে নেন। সেখানে অস্ত্রের মুখে একটি লিখিত স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিতে চাপ দেওয়া হয়। নোমান রাজি না হলে তাঁকে মারধর করে একপর্যায়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে পরিবারের দাবি। পরে রাতে লাশ ঘরের ভেতরে বাথরুমে রেখে পরদিন পার্শ্ববর্তী ধানক্ষেতে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর ফেসবুকে ‘নোমান নিখোঁজ’ শিরোনামে একটি পোস্ট করেন শ্যালক হানিফ আহমদ সুমন। ওই পোস্ট দেখে ভাই রিয়াজ উদ্দিনসহ স্বজনরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। ৩০ সেপ্টেম্বর তাঁরা থানায় গিয়ে নিখোঁজের বিষয়টি জানান। তখন পুলিশ জানায়, এর আগেই শ্যালক সুমন ও শ্যালক মাজেদ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

নোমানের ভাই রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ভাই নিখোঁজের ঘটনায় তাঁরা দু’দিন ধরে থানায় মামলা করার আবেদন করলেও পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। এরপর ১ অক্টোবর ধানক্ষেত থেকে নোমানের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহতের ভাই দাবি করেন, দাফনের পরদিন তিনি ও চাচা থানায় গিয়ে বাদী হয়ে মামলা করতে চান। কিন্তু এর পরদিনই রহস্যজনকভাবে তাদের অভিযোগ আমলে না নিয়ে নোমানের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস মুন্নিকে বাদী করে ‘অজ্ঞাত আসামি’ উল্লেখ করে মামলা রেকর্ড করা হয়। অথচ ঘটনার সময় ওই মেয়ে নিজেই বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার পর শ্যালক হানিফ আহমদ সুমনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও তাকে মূল আসামি হিসেবে এফআইআরে নামোল্লেখ করা হয়নি। একইভাবে ঘটনায় সরাসরি জড়িত বাবুর বাজারের মাজেদ আহমদ ও গোলাঘাট গ্রামের তাছকিন আহমদ তাজুলকেও আসামির তালিকায় রাখা হয়নি।

নোমানের স্বজনরা জানান, জানাজার সময় শ্যালক সুমন, মাজেদ, তাজুলসহ সন্দেহভাজনরা পলাতক ছিলেন। এখন পর্যন্ত সুমন ছাড়া অন্য আসামিদের গ্রেফতার না করায় মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে আলামত নষ্ট করছে।

পরিবারের দাবি, আদালতে খুনি সুমনের জামিন আবেদনের সময় বাদিনী মেয়ে অনাপত্তি পেশ করতে যাচ্ছেন—এমন তথ্য তাঁদের কাছে এসেছে। তাঁদের আশঙ্কা, হানিফ আহমদ সুমনের কাছ থেকে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করা না হলে মামলাটি ভেস্তে যেতে পারে এবং প্রকৃত খুনীরা পার পেয়ে যাবে।

তাঁরা বলেন, “যারা হত্যাকারী, তারাই এখন বাদী ও সাক্ষী। তারা নিহতের ঘনিষ্ঠজন পরিচয়ের আড়ালে খুন থেকে রেহাই পেতে চায়। কিন্তু নোমানের রক্তের আত্মীয়রা সাক্ষ্য-প্রমাণ দিতে প্রস্তুত, প্রয়োজন শুধু উচ্চ পর্যায়ের সুষ্ঠু তদন্ত।”

নোমান উদ্দিনের ভাই রিয়াজ উদ্দিন, চাচা বশির আহমদ চৌধুরী ও আত্মীয় আব্দুল মান্নান বলেন, “আমরা শুধু ন্যায়বিচার চাই। খুনীদের স্বজনদের বাদী ও স্বাক্ষী বানিয়ে মামলা রেকর্ড করায় আমরা হতবাক। এই মামলার স্বচ্ছ তদন্ত না হলে নোমান হত্যার রহস্য চিরতরে চাপা পড়ে যাবে। তাঁরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নিরপেক্ষ ও উচ্চপর্যায়ের তদন্ত এবং প্রকৃত খুনীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, ঘটনায় জড়িত সকল আসামিকে সনাক্ত করতে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

জকিগঞ্জে নবাগত অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গে ইসলামী আন্দোলন নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটের জকিগঞ্জ...
04/10/2025

জকিগঞ্জে নবাগত অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গে ইসলামী আন্দোলন নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটের জকিগঞ্জ জকিগঞ্জ সার্কেলের নবাগত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মফিজুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জকিগঞ্জ উপজেলা নেতৃবৃন্দ। শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে জকিগঞ্জ সার্কেল অফিসে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ করা হয়।

এ সময় উপজেলার সাম্প্রতিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, আলোচিত হত্যাকাণ্ডগুলোর রহস্য উদঘাটন, মাদক ও জুয়ার বিস্তার রোধসহ বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে গত সপ্তাহে নিখোঁজের পর ব্যবসায়ী নোমান উদ্দিনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য দ্রুত উদঘাটন ও প্রকৃত সকল খুনিদের গ্রেফতারের জোর দাবি জানান।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জকিগঞ্জ উপজেলা সভাপতি হেকিম মো. শিহাব উদ্দিন, সহ-সভাপতি মাওলানা লুৎফুর রহমান শামীম, সেক্রেটারি মাওলানা জয়নুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা ফয়জুল হাসান, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মো. ইজ্জাদ, এবং ইসলামী যুব আন্দোলন উপজেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমদ।

সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মফিজুর রহমান বলেন, “জকিগঞ্জ থানা পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আলোচিত হত্যাকাণ্ডগুলোর রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে এবং অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি আনতে প্রশাসন বদ্ধপরিকর।”

তিনি আরও বলেন, “মাদক, জুয়া ও অপরাধ দমনে আমরা আরও কঠোর হবো। তবে এই প্রচেষ্টায় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, আলেম সমাজ ও সাধারণ জনগণের সহযোগিতা অত্যন্ত প্রয়োজন।”

মতবিনিময়ে জকিগঞ্জ উপজেলাকে অপরাধমুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও আদর্শ সমাজ হিসেবে গড়ে তোলতে ইসলামী আন্দোলন নেতৃবৃন্দ পুলিশকে সহযোগিতা করা অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশ জকিগঞ্জ উপজেলা আহবায়ক কমিটি গঠননিজস্ব প্রতিবেদক:: খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের জকিগঞ্জ উপজেলা আহবায়ক কম...
04/10/2025

খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশ জকিগঞ্জ উপজেলা আহবায়ক কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক:: খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের জকিগঞ্জ উপজেলা আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) বাদ আছর খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির সিলেট জেলা অফিসে এক জরুরি সভায় এই কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা শাখার সভাপতি শায়খুল হাদীস মাওলানা শফিকুল হক সুরইঘাটী এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নিযাম উদ্দিন রানাপিংগী। সভায় সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলাসহ অনান্য উপজেলার আহবায়ক কমিটি অনুমোদন করা হয়।

ঘোষিত জকিগঞ্জ উপজেলা আহবায়ক কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন—আহবায়ক মাওলানা আব্দুল মুকিত। যুগ্ম আহবায়ক মুফতী আবুল হাসান, মাওলানা মাহমুদ হোসাইন, মুফতী মাসউদ আহমদ চৌধুরী, মাওলানা বিলাল আহমদ ইমরান ও মাওলানা আব্দুশ শহীদ।

সদস্য সচিব মাওলানা আব্দুস সবুর কাসিমী। যুগ্ম সদস্য সচিব মাওলানা হামিদুর রহমান মাদানী, মাওলানা রূহুল আমিন ও মাওলানা ফয়জুর রহমান।

সদস্য মাওলানা মাহমুদুর রহমান রায়হান, মাওলানা মুরাদ কাসিমী, মাওলানা জমিল আহমদ আশুক, মাওলানা হাফিজ জুবায়ের আহমদ, মাওলানা জিয়াউর রহমান ফারুকী, মাওলানা আযহার হোসাইন, জনাব জুনেদ আহমদ, হাফিজ ফয়সল আহমদ ও কারী আব্দুল আজিজ।

সভায় নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা জানিয়ে জেলা নেতারা বলেন, খতমে নবুওয়াতের মূলনীতি ও চেতনা রক্ষায় এই কমিটি জকিগঞ্জ উপজেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সভা শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

জকিগঞ্জ পৌরসভা জমিয়তের কাউন্সিল সম্পন্ন: ২১ সদস্যের কমিটি গঠননিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটের জকিগঞ্জ পৌরসভা জমিয়তে উলামায়ে ইস...
04/10/2025

জকিগঞ্জ পৌরসভা জমিয়তের কাউন্সিল সম্পন্ন:
২১ সদস্যের কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটের জকিগঞ্জ পৌরসভা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বাদ এশা জকিগঞ্জ উপজেলা জমিয়তের কার্যালয়ে এই অধিবেশন সম্পন্ন হয়।

অধিবেশনে মাওলানা হুসাইন আহমদ-কে সভাপতি, হাবিবুর রহমান-কে সাধারণ সম্পাদক (সেক্রেটারি) এবং মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান সাদী-কে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে ২১ সদস্যের একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন জকিগঞ্জ উপজেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শামসুদ্দিন জাকারিয়া, যুব জমিয়ত জকিগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু হুজায়ফা, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাদিকুর রহমান সিদ্দিকী, সহ-সভাপতি মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ, সহ পৌর এলাকার স্থানীয় জমিয়ত নেতৃবৃন্দ।

অধিবেশনে নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তারা বলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম একটি ঈমানি আন্দোলন—আকাবির আসলাফের রেখে যাওয়া এই ঐতিহ্য রক্ষায় নতুন নেতৃত্বকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।

কাউন্সিলে পৌর এলাকার এক তরুণ জমিয়তের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে স্বেচ্ছায় সংগঠনে যোগদান করেন। সভা শেষে দেশ, জাতি ও ইসলামী মূল্যবোধের সংরক্ষণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

জকিগঞ্জ সদর ইউপিতে সাবেক মেম্বার আজিজুর রহমানকে জামায়াতের চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষণা #নির্বাচনী উত্তাপ বাড়ছে এলাকায় নিজস্...
04/10/2025

জকিগঞ্জ সদর ইউপিতে সাবেক মেম্বার আজিজুর রহমানকে জামায়াতের চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষণা

#নির্বাচনী উত্তাপ বাড়ছে এলাকায়

নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেটের জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দলীয় প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে জকিগঞ্জ সদর ইউপির সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ও বারবার নির্বাচিত ইউপি সদস্য, ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সহসভাপতি আজিজুর রহমানকে।

শনিবার বিকেলে জকিগঞ্জ শহরস্থ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সদর ইউপির দায়িত্বশীলদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউপি জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি শাহীন আহমদ ও পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মিসবাউল ইসলাম।
এ সময় দায়িত্বশীল সকলের মতামতের ভিত্তিতে সিলেট জেলা ও জকিগঞ্জ উপজেলা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পরামর্শ করে আজিজুর রহমানকে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সারওয়ার হোসেন।

এ সময় সারওয়ার হোসেন বলেন, “আজিজুর রহমান একজন সাবেক জনপ্রতিনিধি ও সমাজসেবক। তাঁর সততা, নিষ্ঠা ও জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি দলমত নির্বিশেষে এলাকায় ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। দলের জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের পরামর্শক্রমে তাঁকেই এবার চেয়ারম্যান পদে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।”

তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “আজিজুর রহমানকে বিজয়ী করতে এখন থেকেই প্রতিটি ওয়ার্ডে, পাড়া-মহল্লায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। জনগণের দোরগোড়ায় গিয়ে তাঁর উন্নয়ন ভাবনা তুলে ধরুন।”

দায়িত্বশীল সভায় উপজেলা ও ইউনিয়ন জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে আজিজুর রহমান উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়ন, শিক্ষা ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় আমি কাজ করতে চাই। জনগণের সহযোগিতায় ইনশাআল্লাহ ইউনিয়নকে একটি আধুনিক ও সেবামূলক প্রশাসনিক ইউনিটে রূপান্তর করব। আমি সকল নাগরিকদের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজিজুর রহমান ইতোপূর্বে ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও দু'বারের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক উদ্যোগের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর প্রার্থিতা ঘোষণার পর থেকেই এলাকাবাসীর মধ্যে নির্বাচন নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে।

জকিগঞ্জে নোমান হত্যা: পরিবারের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ, ৪৮ ঘণ্টা পরেও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি #জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী-শ্যালকসহ ১...
03/10/2025

জকিগঞ্জে নোমান হত্যা: পরিবারের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ, ৪৮ ঘণ্টা পরেও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি

#জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী-শ্যালকসহ ১০ জন

#কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি: ওসি

আল হাছিব তাপাদার:: সিলেটের জকিগঞ্জের কালিগঞ্জ বাজারের মুদি ব্যবসায়ী নোমান উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৪৮ ঘণ্টা পার হলেও শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ জমা হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে ধারাবাহিক জিজ্ঞাসাবাদ ও ব্যাপক তদন্ত চললেও এখনো হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়নি। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

গত বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেলে নিহত নোমান উদ্দিনের বাড়ির অদূরে কালিগঞ্জ বাজার এলাকার শায়লা স্মৃতি হাসপাতালের পেছনের ধানক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা ও পরিবার সদস্যরা লাশ দেখে নিখোঁজ নোমান উদ্দিন (৫০) হিসেবে শনাক্ত করেন। তিনি মানিকপুর ইউনিয়নের পূর্ব মানিকপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে। সূত্র জানায়, নিহত নোমান উদ্দিন প্রায় ২০ বছর সৌদি আরব প্রবাসে ছিলেন। গত প্রায় ২ আগে দেশে ফেরে কালিগঞ্জ বাজারে মুদি ব্যবসা শুরু করেন। প্রবাসে থাকার সুবাদে অনেক ধনসম্পত্তি করেন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে নোমান উদ্দিন বাড়ি থেকে বের হয়ে কালিগঞ্জ বাজারে দোকান খোলে সকাল ১১টার দিকে তিনি শায়লা স্মৃতি হাসপাতালে যান এমন দাবী নিহতের শ্যালক হানিফ আহমদ সুমনের। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ওইদিনই পরিবারের পক্ষ থেকে স্ত্রী মনোয়ারা বেগম জকিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। অতঃপর অজ্ঞাত একটি মোবাইল নম্বর থেকে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তবে বিষয়টি সন্দেহজনক বলে মনে করছে এলাকাবাসী।

বুধবার সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ থানায় নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাতে নিহত নোমান উদ্দিনের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়। জানাজায় অংশগ্রহণকারী স্থানীয়রা হত্যার রহস্য উদঘাটন ও প্রকৃত আসামিদের গ্রেফতারের জোর দাবি জানান। তারা প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন, এ ঘটনার সঙ্গে নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, শ্যালক হানিফ আহমদ সুমনসহ পরিবারের কিছু সদস্য জড়িত থাকতে পারেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পর থেকে নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, মেয়ে মুন্নি ও তান্নি, শ্যালক হানিফ আহমদ সুমন, চাচাতো ভাই রিয়াজ উদ্দিন, হাসপাতালের কেয়ারটেকার তেরা মিয়াসহ অন্তত ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

এদিকে, নোমান উদ্দিন নিখোঁজ হওয়ার পর তার শ্যালক সুমন আহমদ ও বাবুর বাজার এতিছামনগর গ্রামের মাজেদ আহমদ থানায় গিয়ে অসংলগ্নভাবে কথাবার্তা বলে জিডি করেছিলেন বলে জানা গেছে। পুলিশকে ঘটনার সঠিক কোন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন নি। নোমান উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধারের পর থানায় রাতভর অ্যাম্বুলেন্সে লাশ রাখা হলেও পরিবারের কোনো সদস্য, আত্মীয় স্বজনরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না, লাশ সারারাত পুলিশ পাহারায় ছিলো। নিহতের মেয়ে মুন্নি বেগম এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মামলা করবেন। যাদেরকে তিনি সন্দেহ করবেন তাদেরকেই আসামি করবেন। তবে তাদেরকে (পরিবারকে) কেউ সন্দেহ না করতে বলেন। যা স্থানীয়দের মনে আরও প্রশ্ন তৈরি করেছে।

এছাড়া, নোমান উদ্দিনের বাড়িতে থাকা সিসি ক্যামেরা সরিয়ে ফেলা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। লাশ পাওয়ার পর নিহতের শ্যালক মরদেহ একনজর দেখার পর ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন বলে অভিযোগ ওঠে। এছাড়া দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও মেয়ে বা স্ত্রী কেউ এখনো লিখিত কোন অভিযোগ দায়ের না করায় ঘটনার রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে।

এলাকার মানুষের অভিযোগ, ব্যবসায়ী নোমান উদ্দিনকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পরিবার সদস্য ও নিহতের শ্যালকের রহস্যজনক নানা আচরণে পুরো ঘটনাকে ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। পুলিশের তদন্ত চললেও স্থানীয়রা মনে করছেন, পরিবারের ভেতরের সম্পর্ক, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ও মুক্তিপণের নাটক—সব মিলিয়ে এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে।

জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, “ঘটনার পর থেকে নিহতের স্ত্রী, সন্তান, শ্যালক ও কয়েকজন নিকটাত্মীয়সহ অন্তত ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্তে একাধিক দিক সামনে রেখে কাজ চলছে। তবে এখনো প্রকাশ করার মতো কোনো অগ্রগতি হয়নি। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, “এটিকে হত্যাকাণ্ড হিসেবেই দেখা হচ্ছে। জড়িতদের শনাক্তে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে।”

Address

Sylhet
Sylhet
3190

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Zakiganj Live-জকিগঞ্জ লাইভ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Zakiganj Live-জকিগঞ্জ লাইভ:

Share