14/09/2024
আগে খুব বেশি লেখালেখি করতাম।
ছড়া, কবিতা লেখায় আগ্রহ ছিলো খুব বেশি। আজকে হঠাৎ পুরনো সব ছড়া, কবিতা একসঙ্গে করার একটা ইচ্ছা জাগলো। তাই অনেক খুঁজাখুঁজির পর সেগুলো এক করলাম।
নিম্নে কোনোরকম এডিট ছাড়া কপি পেস্ট করছি।
বোধহীন ধনী।
তারেক আহমদ
__________________
ধনীদের তেনা ছেঁড়া
হাতকাটা জামা পরা
দেখে মনে হয় ওরা
মনে ছোটলোক,
জিজ্ঞাসি বারেবারে
কেনো পরিধান করে
ঘোরো,বলে সে মোরে
ফ্যাশনের অসুখ।
দেখি চুল কিছু কেটে
বাকিটুকু না ছেঁটে
মনে ভাবি কম রেটে
টকেছে নাপিত,
বলি আমি ঢের টাকা
আমাজন কেন দেখা
যায়,অনুদারে থাকা
বলো কি উচিত!
কথা শুনে বুক ফুলে
সে জবাব দিতে বলে
মানে সে যতো দিলে
টাকা পাঁচশত,
আমি বলি খুব ভালো
গরীব আরামে চলো
মরো ধনী কৌশলো
অভাগার মতো।
কিছু খেয়ে সব রেখে
ভদ্রতা ঠিকে থাকে
এই কথা ভেবে হাঁকে
উপোষে মজে,
সুরতের ধনী আমি
চাইনাতো সাজো তুমি
বড় মনে হও দামি
জগতে কাজে।
নকল
তারেক আহমদ
_________________
পরের লেখায় নাম লাগাতে
মনটা বড়ই ব্যাকুল হায়!
ফেইসবুকের এই আজব লিলা
সত্য লেখক চেনা দায়।।
ভাইরালেরি স্রোতে আজি
নিজের পরিচয় দিতে
এক কপিতেই নাম লাগিয়ে
দৌড়ে গ্রুপে ছড়াতে।।
পাঠক যারা পড়ার নেশা
ছিলো যতো জানার আশা।।
এককালে সব ছেড়ে দেয়।
রচনার আসল মালিকে
পায় যখন চোরির খেতাব
চোরের দলে তামাশাতে
করে দাবি ধরে ভাব।।
গালাগালির ডায়রি পেয়ে
হতাশ লেখক লিখতে যেয়ে।।
লেখার ভাষা সব হারায়।
তস্কর
তারেক আহমদ
________________
গুপ্ত ধনে হস্ত দিয়ে
মস্তবড় পাপ করো,
প্রকাশিলে কোলাহলে
উঁচু গলে ভাব মারো।
কষ্ট নাহি নষ্ট হতো
অষ্ট পেশা খুঁজিলে,
বর্ম পেতো মর্ম তবে
কর্ম মাঝে ডুবিলে।
সাধ্য আছে বাধ্য করো
নাদ্য জলে মন ধোয়ে,
লক্ষ্য পথে বক্ষ দিতে
অগ নিপাতে যাও সয়ে।
স্বল্প মাঝে অল্প খুশি
গল্প সাজাও ঢের চোরির,
মন্দ করে অন্ধ হওয়া
বন্ধ করো ভুল সারির।
ভূরি লোভে চোরি চেয়ে
থোরি দিয়ে চলবে তায়
পুন্য দিকে ধন্য সাজো
মান্য হবে এই ধরায়।
একুশ আমার
তারেক আহমদ
_________________
একুশ আমার সুখের ছড়ায়
কষ্টভোগের যে কারণ,
ক্যামন করে যাই ভুলে যাই
দুঃখ হবে নিবারণ!
সালাম রফিক বরকত আরো
জব্বারেরা মন থেকে,
ভালোবেসে প্রাণ বিলালো
দিলো বুলি বাংলাকে।
একুশ শিখায় ভাষার দাবি
রাখতে হলে যুদ্ধ চাই,
পৃথ্বী মাঝে এমন ত্যাগের
নাইরে কোনো নজির নাই।
বাংলা আমার স্বপ্ন আশা
বাংলা ভালোবাসা প্রেম
মনের কথা এই ভাষাতেই
ব্যক্ত করি নয়তো গেম।
তাই বলি আজ একদিনে নয়
বাংলাভাষার খাতির বোধ,
সবসময়ে বাসবে ভালো
পিছনে ফেলে সব ক্রোধ।
বেখবর
তারেক আহমদ
_________________
ঠকিয়ে লভিবে তুমি
এ দুনিয়া বরঞ্চ,
নাটকে সাজিবে হিরো
তালি দেবে এ মঞ্চ।
পিরিতে ফিরিতে কভু
জাননি জানিবে কি?
ছাড়োনি ছাড়িবে কবে
কিছুকালেরি মেকি।
সততা অযথা কেন
শিখিব দাও উপদেশ,
সবেতে স্ব-বেতে বলো
গরীবের উপরে কেস।
করুণা করোনা কেনো
ভালোবেসে কিছুটা,
দূষিতে দুষিত করো
ছাড়োনাতো পিছুটা।
লাভেতে লভেতে ঘুরো
বাহানাটা যেখানে,
সুরতে সুরেতে ঢুকো
সহজে নিচু মনে।
ভাবনা ভা,বনা যবে
বিপরীতে চলে হায়!
কামনা নামোনা মতো
অবনতি দিকে যায়।
ছলনা চলোনা বলে
নিবে আঁধারে যেখান,
থাকিতে তাকিয়ে পাবে
ঘিরে আছে অপমান।
অদূরে সুদূরে সবে
মুখে ছিটাবে ছিঃছি,
আপনে না পণে সবি
দিবেনা মিছেমিছি।
প্রভাতে স্ব-ভাতে নিজে
কাটাবে সারাবেলা,
শরমে নরমে তবে
সহিবে দুঃখ জ্বালা।
মাঙ্গিবে ভাঙ্গিবে তুমি
চিনিবে কী হাহাকার,
আলোতে দেখিতে হলে
দূরে টেলো বেখবর।
১৯-০১-২০২০
আমি চাই
তারেক আহমদ
_________________
আমি চাই,
জালিমের মসনদে আগুন জ্বালতে,
মজলুমের পাশে বসে তার কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে সুউচ্চ সুরে কাঁদতে চাই।
পাহাড়ের চূড়ায় উঠে জংশনের পথচারীর খেলা দেখতে চাই।
আবার দূর দৃষ্টি নিক্ষেপে ছিনতাইকারী অবলোকনে ক্ষিপ্র অবতরন করে
তাকে আটকে বলতে চাই,
"গরীবের দ্রব্যাদি ফিরিয়ে দে!
না হলে তোকে আস্তো রাখবোনা"
আমি চাই,
স্রোতস্বিনী পাড়ে গিয়ে মাছের সঙ্গ ধরে খেলা করতে,
চলতে চাই এই অবি-নশ্বর ভূপৃষ্ঠের এক সীমান্ত থেকে অপর সীমান্তে।
ছুটতে চাই এক রাজ্য থেকে অপর রাজ্য পথে।
দেখতে চাই জীবন বিরহের খেলা।
আমি চাই,
কৃষকের লাঙল ধরে বলতে"চাচা আপনি একটু ছায়ায় বিশ্রাম নিন।"
দুপুরবেলা দেখতে চাই গরীবের রোদে পুড়ে দু'পয়শা রুজির ধান্ধা।
কাছ থেকে শুনতে চাই শীতের রজনীতে ফুটপাতে নিশী অতিবাহিত করা শিশুর খবর।
টহল দিতে চাই অলিতে গলিতে।
আমি চাই,
বিশ্ব ধনীদের জানিয়ে দিতে যে, এই পৃথিবী আসলেই কিছু নয়।
দুদিনের প্রেম ভালোবাসা মাত্র।
সময় থাকতে গরীবের পাশে দাড়াও।
আরো চাই বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কুঠি জনতার মিছিলে নিজেকে জড়াতে।
বলতে চাই,
সবাই এক হও,ঐক্যর জয়গান গাও।
বন্যা
তারেক আহমদ
_________________
আকাশে কালো মেঘ আর
রিমঝিম বৃষ্টি,
ঘরের মধ্যে বন্দি থেকে বাহিরে
দেই দৃষ্টি।
চলার সাহস পাইনা খুঁজে বুকে
জাগে ভয়,
কখন আবার গগন থেকে গর্জন
শুনা যায়।
লোকালয়টা শূন্য যেন মানবহীন
এক ধরা,
ভানুটাও নীরদ সাথে ধরেছে
মজার ক্রীড়া।
ছাতা নিয়ে দুএক জনে রাস্থা
দিয়ে হাটে,
আবার কেহ নৌকা নিয়ে চলে
খেলার মাঠে।
সে কি!এইতো দিন কয়েক আগে
খেলেছি ফুটবল,
এখন দেখি এই প্রান্তরে
কচুরিপানার দল।
মিনার হতে আজান ধ্বনি ভেসে
আসে কর্ণে,
মসজিদেতে নামায পড়ব কিন্তু
যাবো কেমনে?
পানিতে তলিয়ে গেল মাঠ ঘাট
পথো প্রান্তর,
বন্যা এলেই ঝঞ্ঝাটে পরি তাই
চলা কষ্টকর।
তারিখ:-১৩-০৭-২০১৯ইং
সময়:-৯:১০ পি.এম
সেই সে গুণী
তারেক আহমদ
__________________
দিচ্ছে পীড়া ধরছে পিছু
মন খারাপের দল,
স্বল্প কয়েক লোক বলে ওই
চলরে সামন চল।
রূপকথা আর গল্পজোটে
দেয় যে মোটিভেট,
সত্যজ্ঞানের আসর বেঁধে
জীবন করে সেট।
কাছে আরো দূরে কিবা
হোক সে আপন পর,
প্রেম মমতার সুতোয় ঘিরে
উভয় পরস্পর।
কষ্ট ত্যাগে লক্ষ লোকের
হয় সুখের কারণ,
তাইতো সবে সেই সে গুণী
নেয় করে বরণ,
ভালোলাগা কাজ করে মোর
সেই গুণীর লাগি,
যেই মহাবীর সহ্য করে
যাতনার আগি।
গাইবো আমি প্রাণভরে ফের
তাদের তরে গান,
যারা নিজের কষ্ট ভুলে
দেন লোকে সম্মান।
১১-০৭-২০২০
১০:৩০ এই.এম
শুনবে কি?
তারেক আহমদ
___________________
শুনবে কি তুমি আজ?
কিছু কথা আর কাজ,
আলেমের মাঝে লাজ
হয়েছে বিনষ্ট,
বাপ তুলে কথা কয়,
কভু কথা নাহি সয়,
মনে জাগে সদা ভয়,
লাগে খুবই কষ্ট।
মমতার স্লোগান এক
ডাইনোসরেরি ভেক
ধরছে,কতো শায়েখ
পেশা নিলো তর্ক,
কথাতে লাগামহীন,
বুলি দেয় সীমাহীন,
বলে ছলিমোদ্দীন
হয়ে গেলো মূর্খ।
আলিয়ারা কয় তাই
কওমিতে কিছু নাই
কওমিরা ভাবনায়
রাখে একই যুক্তি,
বক্তারা হয়ে যায়
বিক্রি কিছু টাকায়
কথাতে বিনিময়
করে কতো চুক্তি।
বয়ানের ফাঁকে গান
কলে দেয় তালে টান,
হয় যে কমেডিয়ান
পুষে সবে ভ্রান্তি,
মিলাদ আরো তাবলীগ
বলে ধরে দুই লিগ,
খোঁচাখুঁচি চারদিক
করে লভে শান্তি।
এভাবে চললে সব
মুছে যাবে দ্বীন রব
অপমান পাবে ভব
জগতেরই পৃষ্টে,
বলি সবে এক হও
ইসলামী বাণী লও,
বিজয়ের তরী বাও
একতারি সৃষ্টে।
২৭-০৯-২০২০ ইং.
বস্ত্রহীন
তারেক আহমদ
________________
অনাথ অবুঝ ছোট্ট শিশু
একবেলা ভাত নাই,
শীতের কাপড় অতি খরচ
ক্যামনে সে জোগায়!
বড়লোকের বড় কথা
এই দেবো আর সেই,
দেবার ক্ষণে নিজের জীবন
বাঁচলে পরে দিই।
এ কারণ আর সে কারণের
নানান অজুহাত,
গরীব শিশু পথচারী
কাটায় অঘুম রাত।
কাঁথা তোষক দূরের কথা
হেলার নেই বালিশ,
বিফল যত তোদের দেবে
সকল তেল মালিশ।
গরীব হয়ে জন্মেছে এই
তাদের অপরাধ,
আজ বুঝি জয় তোদের হলো
ওদের সকল বাধ।
অহংবোধের ভেঙে দেয়াল
দাও বাড়িয়ে হাত,
বস্ত্রহীনে বস্ত্র দাও আজ
কাটুক সব সংঘাত।
সুর
তারেক আহমদ
________________
[আমি]
বিহগ তুমি শুনাও মোরে
তোমার করুণ সুর,
কীসে তোমায় করলো পাগল
দিলো ঠেলে দূর।
পেট পুরে তো খেতে পারো
আর কী তোমার চাই?
প্রভাত হলে ছুটতে পারো
নানান সীমানায়।
বিহগ তুমি নিত্য শুনাও
আনন্দ উল্লাস,
আজকে কেনো তোমার মুখে
বিষাদ হলো ফাঁস।
[বিহগ]
শুনবি যখন এবার শুনো
আমার বেদনা,
সেদিন মনে ছিলো আমার
কতো বাসনা,
সবকিছু তো চিহ্ন করলো
ভীষণ শিকারি,
দেখো আমার স্বপ্নগুলো
তীর নিলো কাড়ি।
[আমি]
আমি কথা ভুলে গিয়ে
নেহাত অবাক হই,
দেখি ডানা ভেঙ্গে গেছে
চলার শক্তি নেই।
এমন পাষাণ তুই শিকারি
ক্যামনে তীর ছোড়ো,
অবুঝ পাখির কাড়লে তুমি
সুখ ভরোভরো।
অবলাকে আর মেরোনা
এই শপথ আজ নাও,
বিশ্ব জুড়ে স্বাধীন মতো
বাঁচতে তাদের দাও।
প্রভাতসূর্য
তারেক আহমদ
_________________
দিচ্ছে উঁকি গগনপথে
সূর্যটা ওই বেশ,
স্নিগ্ধতার এক মনমাতানো
আলোর মুগ্ধ রেশ।
মেঘ বাতাসে উড়ছে দারুণ
উড়ছে সাদা বক,
কৃষাণ মাঠে চলছে বেগে
দূর সীমানার তক।
কিচিরমিচির পাখির মিছিল
হচ্ছে ভারি যেই,
আহ্লাদের এক ভীষণ সুরে
প্রেম ধ্যানে হারাই।
পাড়া গায়ের সব উঠেছে
ছুট্ট শিশুর দল,
বলছে ডেকে যাবি তোরা?
পড়তে যাই আজ চল।
লাল আভাটা লাগলো গায়ে
ভাবছি তাই আনমন,
শোভন প্রাণে জাগছে ধরা
নতুন আয়োজন।
০৫-০৫-২০২০ ইংরেজি।
সকাল:-৬:১০
বঞ্চনা
তারেক আহমদ
__________________
ইথারে-পাথারে যে দ্বারেই যাই
দূরে সর দূরে সর,
সহসা হেরিয়া দুখে ফিরি হায়
পথ ঘাট প্রান্তর।
সুখের নগরে বেদনায় ক্ষত
মদীয় অন্ত মন,
বিমোহ কয়েক অবলোকনে
ত্রুটি হয় সারাক্ষণ।
ভীষণ এ বিধি মান্য করিতে
আমি যে ক্ষমতাহীন,
অর্থ সম্বল লভিতে না পারায়
হলাম দুঃখি দীন।
ফুটপাতে মোর দিবানিশি কাটে
ওঁচলা সব খাবার,
পৃথ্বী ঘুরিয়া বুঝিতে না পাই
নিজের জীবন পার।
অকালে ঠাট্টা,হিত ভাবে আর
নাহিকো কারো বোধ,
ক্রূর মতো চালচলনে আমায়
করেছে যে নির্বোধ।
দু-চার আনার দাম থাকেনা
খাবো কী বিকিয়ে?
মুখের বুলির মান নাহি পাই
ছাড়িলে লোকালয়ে।
মানবতা কি অর্থহীন আজ
তাদের অবিধানে?
তেরেসার গান দেখেনি তারা
শুনেনি তব কানে।
অচলা জুড়িয়া কবে জানি ফের
আসিবে সুখের নীড়?
বঞ্চনা যত যাইবে বিফলে
পাইবো জয়ের তীর।
তারিখ:-৩০/০৭/২০১৯
সময়:-১১:০০ পি,এম।
বিজয়ের ঠিকানা।
তারেক আহমদ
___________________
জুলুম শোষণ নিপীড়নের
শেষটা হবে কখন?
লাল সবুজের ওই পতাকার
দেশটা পাবে আসন!
বায়ান্নতে কাড়তে ভাষা
চলছিল চক্রান্ত,
'না,না' ধ্বনির আওয়াজেতে
কাঁপছিল সব দন্ত!
এবার ভূমি হরণ করার
ফের নয়া পায়তারা,
পারবে কেমন করে কোটি
মানব-জনের সাড়া।
তিন মিলিয়ন বিনিময়ে
মুক্তি মেললো ডানা,
ন'মাস পরে পেলাম মোরা
বিজয়ের ঠিকানা!
১৬-১২-১৯ ইং.
অল্প জ্ঞান
তারেক আহমদ
_________________
অল্প জ্ঞানে গল্প লেখায়
স্বল্পতার এক চাষ হবে,
কল্পনাবল আঁকতে হলে
অশুদ্ধতার বাস রবে।
ঢের জ্ঞানেরি ইচ্ছেটা নেই
চাই জানাতে অনেকদূর,
লোক তামাশায় মত্ত হলে
দুঃখ আরো ব্যথার ঘুর।
বিজ্ঞজনে যায় বলে যায়
বেশ জানো আর কম বলো,
শিখতে কিছু চায়না এমন
চাই শেখাতে খুব ভালো।
নিত্যদিনের চর্চাটা বেশ
বিলুপ্ত সেই ডাইনোসর,
তাইতো বিফল কষ্ট সবি
পায় পরিচয় ভুল আসর।
ওমনি করে পার করিলে
জীবন আরো এই সময়,
সকলদিকে হারবো তবে
কাটবেনা মোর মনের ভয়।
১৩-০৭-২০২০
৮:২০ পি.এম।
টাকা
তারেক আহমদ
___________________
১.কেউবা ধারা বৈধ রেখে
সহজ সরল নীতি মেখে
করে উপার্জন,
দিচ্ছি তাদের বিবরণ।
অনটনে দিন কাটাতে
কেউবা আবার উপোষেতে
ক্যামনে চলে আর?
তাইতো ছুটে দেশান্তর।
পরবাসী সাধে কি আর
আশা ছিল কোলে বাবার
থাকবে আজীবন
পাবে মায়েরি যতন।
কী ভাবিলো,কিযে হলো
সকলকিছু এলোমেলো
দূরের দেশে হায়!
বছর,যুগ কাটাতে হয়।
মেঘে ভিজে রোদে পুড়ে
ভিনদেশি এক লোকের ঘরে
হতে হয় চাকর,
গালি লেগে থাকে তার।
বিনিময়ে ক'টা টাকা
পিতামাতার হাসি দেখা
আর কি বা সে চায়,
পরাণ তবেই ভরে যায়।
২.আবার কেহ বিলাসিতায়
এদিকওদিক টাকা উড়ায়
হিসেব রাখে কে?
মেলা হয় জমা ব্যাংকে।
অমুক সাহেব জাকাত দিবেন
লুঙ্গি,শাড়ি জামা পাবেন
হবে অনেক নাম,
গরীব ঝরায় রোদে ঘাম।
টাকার বলে নানান ছলে
গরীব মারে অন্তকালে
মরণ স্মরেনা,
আমি'র আসন ছাড়েনা।
ক্যাসিনোতে বড় চেয়ার
পিছনে নয় আগে সবার
দেখে নাচ আর গান,
মারে গাজার কলকি টান।
আপন যদি দরিদ্র হয়
ধনী কিছু দূরেও রয়
তবু সে আপন,
স্বজন পাবে অপমান।
লুপ্ত হলো মানবতা
টাকা আছে,স্বাধীনতা
মিলে সবখানে,
নিয়ম নেই অভিধানে।
৩.কেউবা সুলভ নিজেই কাজে
দুহাত পেতে ভিক্ষু সাজে
অস্মিতা নেই তার,
চরণ টিপায় ধনীদের।
জীবনটা যায় অন্য হাতে
অবলোকন করে,তাতে
কার কি যায় আসে,
নিচু তবুও হাসে।
চলে জীবন ভিক্ষে মাগি
লাইনে দাড়ায় দু'শর লাগি
কাজ কামেতে নাই,
মাগনা পেলেই সেরে যায়।
কর্মে বাচার বুলি তাকে
কে শেখাবে কোন সে লোকে
উল্টু জ্ঞানের ভার,
বইবে কে বলো আজ তার।
টাকায় আপন বন্ধু স্বজন
দূরের কাছের কতো কি মন
সব মিলিয়ে দেয়,
সবাই অনুরাগ জানায়।
হায়রে টাকা স্বজনপ্রীতি
কিযে তোমার নিয়মনীতি
বুঝিতে অক্ষম,
তুমি বাড়াও লোকের দাম।
কোথায় হে স্বাধীনতা?
তারেক আহমদ
_____________________
স্বাধীনতা আমি তোমায় খুঁজি,
পাবোনা কেনো বলো তো আজি,
ঝোপে আড়ালে লুকালে বুঝি,
ওহে মোর স্বাধীনতা।
ধরে নিলো কি শকুনও চিলে,
মান অভিমানে কেন হারালে,
কোথা গেলে আজ তোমাকে মিলে,
কেন এই নীরবতা?
ন্যায় অধিকারে চাহি বলিলে,
তোমারি ছোঁয়া সেথা না মেলে,
কষ্ট বুকেতে চোখেরি জলে,
ভাসে কপোলের হাতা।
নেতা রাজারা তোমাকে ঘিরে,
আজো করে পাপ হাজারো ভিড়ে,
অসহায়েরা কাঁদিয়া মরে,
অন্তরে লাগে ব্যথা।
অগোচরে আর থেকোনা তুমি,
চেয়ে আছে পথে মুক্তিকামী,
উঁচু স্বরে ডাকি তোমায় আমি,
প্রাণপ্রিয় স্বাধীনতা।
১৭-০৪-২০২০ ইংরেজি।
তুমি বক্তা
তারেক আহমদ
___________________
এই বক্তা ভালো না আর
ঐ বক্তা ভালো না,
তুমি বক্তা ভালো আছো কী
বুকে হাত দিয়ে বলো না?
তুমি যদি হও ভালো
তবে আমায় সেটা বলো,
অন্যর কেন করছো তুমি
সমালোচনা?
কেন ফালতু বয়ানে মানুষ
ভ্রষ্ট করছো ভাই?
এখন বলো আম পাবলিক
পালাবে কোথায়?
ভেবেছ তুমি মানুষ তোমার
আছে,থাকবে ভক্ত,
এই সুযুগে নিজের দলটা
করে নিলে যে শক্ত।
এক পলক ও ভাবোনি তুমি
ইসলাম কোন পথে?
তোমার ঈমান তোমার আমল
মজবুত কী তাতে?
আলিমে আলিমে দন্দ রেখে
করছো দাবি ফাঁসি,
এই সুযোগে বাতিল ফেরকা
করছে ঠাট্টা হাসি।
কওমি আলিয়া যার যার মতো
দন্দ কথা বলো,
আবার দেখি একই দাওয়াতে
একই বাড়িতে চলো।
মূর্খরা বিভ্রান্ত, খাতির
তোমাদের ঠিক রয়,
এখন বলো আম পাবলিক
পালাবে কোথায়?
এক মাহফিলে গিয়ে সে শুনে
মিলাদ নাজায়েজ,
আরেক স্থানে গিয়ে সে শুনে
এটা পুণ্যর কাজ।
এক বক্তা বলে মাহফিলে
মোর নবী নূরের,
আরেক জনে না না ধ্বনিতে
বলে নবী মাঠির।
এতো যদি ভাই শখ থাকে তো
গোপনে বাহাস করো,
যেটা সত্য সব আলিমে
আঁকড়ে ধরো।
অতঃপর দিক্বিদিকে সবে
সত্য কথা বলো,
নামায রোজা আমল নিয়ে
দ্বীনের পথে চলো।
এসব যদি না করো মানুষ
বিভ্রান্তিতে রয়।
এখন বলো আম পাবলিক
পালাবে কোথায়?
তারিখ:-০৩-০৯-২০১৯ ইং.
সময়:-১১:১০ পি.এম।
আমি মুসলিম
তারেক আহমদ
__________________
রয়েছে আমার শুধু হাহাকার
বুক জুড়ে এক বেদনা,
পৃথিবীর বুকে বাঁচিতে সুখে
অধীকার আমি কি রাখিনা?
আমার অঙ্গে দাউ দাউ করে
জ্বলছে অগ্নিশিখা,
মাথা থেকে পা সর্বাঙ্গে
দগ্ধতার এক রেখা।
আমি মরে যাই তুমি কি তা ভাই
একটাবারও দেখেছো?
কেমনে আছি,কী করে বাঁচি
তার খুঁজ কি রেখেছো?
ঘরবাড়ি নাই তবুও যে ভাই
পথে ফিরি ধুকে ধুকে,
আমার লাগি ক'জন আছো দেখি
রেখেছ মিছিল মুখে?
ওরা তো আমায় মেরে দিল ভাই
করে দিল ভিক্টিম,
বদ সমাচার যত ব্যবহার
করে দেবো সসীম।
ফিলিস্তিনের মুসলিম আমি
কাশ্মীরি মুসলিম।
আরাকানি মুসলিম আমি
আফগানি মুসলিম।
সিরিয়া লিবিয়া আরো আছে যা
নাম না জানা অসীম,
সর্ব ভূমির মুসলিম আমি
পৃথিবীর মুসলিম।
আমি যে জাতি সে জাতি কভূ
মাতা নত করেনা,
তবে কেন আজ আমার উপরে
জুলুম আর লাঞ্চনা?
ভিখারির বেশে আমি দেখ আজ
অন্ন খুঁজি পথে
মারামারি যত দন্ধ রয়েছে
আমার সে খাসিয়তে।
আমার মুখে জিহাদের বুলি
কেমনে মানায় বলো?
নিজ ঘরে সব রেষারেষি রেখে
করেছি এলোমেলো।
আমি তো ছিলাম ওমর খালিদ
উসমান ও আলি,
তবে কেন আজ দেখে মোর কাজ
ইহুদি লাগায় তালি?
ওরা তো আমায় মেরে দিল ভাই
করে দিল ভিক্টিম,
বদ সমাচার যত ব্যবহার
করে দেবো সসীম,
ফিলিস্তিনের মুসলিম আমি
কাশ্মীরি মুসলিম।
আরাকানি মুসলিম আমি
আফগানি মুসলিম।
সিরিয়া লিবিয়া আরো আছে যা
নাম না জানা অসীম,
সর্ব ভূমির মুসলিম আমি
পৃথিবীর মুসলিম।
তারিখ:-৩১-০৮-২০১৯
সময়:-১১:৩০ পি এম।
বৃষ্টি
তারেক আহমদ
__________________
বৃষ্টি তুমি শেখাও মোরে
লিখতে ছোট্ট কবিতা,
যেথায় আছে প্রেম বিরহ
ভালোলাগা আর ব্যথা।
বৃষ্টি তুমি দৃষ্টিটা মোর
দূর সীমানায় নেও কাড়ি,
সেথায় থাকে কৃষক শতো
আরো এক জেলের সারি।
বৃষ্টি তুমি বর্ষাকালে
নৌকাযোগে মাছ ধরা,
মাঝির গানে সুরের তালে
মনের মাঝে দেয় সাড়া।
বৃষ্টি তুমি মন মানসিক
চাপকে পাঠাও দূর দেশে,
নিত্যদিনে তোমায় খুঁজে
মনটা ব্যাকুল হয় রেশে।
বৃষ্টি তুমি সৃষ্টিকারীর
দান অপার যা চমৎকার
তাইতো তুমি মনটা কাড়ো
দিল নিয়ে যাও বারংবার।
১৯-০৪-২০২০ ইংরেজি।
বন্যার্তদের আর্তনাদ।
তারেক আহমদ
________________________
চলছে যত পানি পানি খেলা,
বন্যায় সবি ভাসিয়ে নিল
কচুরিপানার মেলা।
ঘরের যত বাকি ছিল
সব গেছে তলিয়ে,
চালের উপর বাচ্চা-বুড়ো
রয়েছে হাত বাড়িয়ে।
একটুখানি তিল টেকানোর
কোনো সুযোগ নেই,
জিনিস পত্র যেটুকুই ছিল
উদাও নিমিষেই।
রাত ঘনালে ঘুমাবে কোথায়
অন্ন নেই পেটে,
পেটের জ্বালা পিটের জ্বালা
কেমনে যায় হাটে?
★★★★★★★★★
এমন করুন দুর্দশাতে
একটু পাশে দাড়াও,
বন্যার্তদের কষ্টের ক্ষনে
সাহায্যর হাত বাড়াও।
মনে রেখো পৃথিবীতে
রবেনা চিরদিন,
জীবন পেয়েছ মানবসেবায়
করো তা বিলিন।
তবেই তুমি মনুষ্য হৃদে
করবে নিজের স্থান,
আখিরাতে পাবে মুক্তি
দুনিয়ায় পাবে মান।
তারিখ:-১৫-০৭-২০১৯ ইং.
সময়:-৮:৩০ পি.এম
বিজয়ের সামিয়ানা
তারেক আহমদ
_____________________
বিজয় মানে এক উল্লাসের মূর্তপ্রতীক,
বিজয় মানে উচ্ছল ধূলিকণায় গাত্র বিছিয়ে
শিশুর মুক্তমনে খেলা।
বিজয় মানে কয়েক অশান্ত মনে শান্তির হিমেল হাওয়া।
বিজয় মানে গৃহবধূর কলসি কাকে নদীজল ঘরে আনা।
বিজয় মানে একফোঁটা আনন্দঘন চোখের পানি।
বিজয় মানে রোজ বিহনে কৃষকের
গরু আর জোয়াল নিয়ে মাঠে যাওয়া।
বিজয় মানে সতত সংগ্রামে মেতে উঠা এক নওজোয়ান।
বিজয় মানে নিশীথ ক্ষণে প্রভাতের অপেক্ষা।
বিজয় মানে এক লালসবুজের পথাকাকে সুউচ্চ করে বিশ্ববাসীর কাছে একটি নাম পৌছানো।
সে নাম আমার চীর চেনা,
আমার মাতৃভূমি বাংলাদেশ।
শৈশবকাল
তারেক আহমদ
__________________
চলো সবে নাইতে যাবে নদীতে।
বাদল দিনে বৃষ্টি ক্ষণে মাঠেতে,
খেলা করবো কাদা মাখব শরীরে
হাসির নীড়ে খুশির তীরে যাব রে!
ধানের ক্ষেতে লুকোচুরিতে হামাগুরি,
কাছে এলে দেখতে পেলে বাড়াবাড়ি।
সকাল সাঝে মনের মাঝে বাসনা,
কুড়াবো আম,পেলেও জাম ছাড়বোনা।
বর্ষা এলে সবাই মিলে হাওরে,
জাল ফেলিবো মাছ তুলিব নাওয়েরে।
শীতের ভোরে ধানের তুড়ে কুয়াশা,
ব্যায়ামে যাবো আরো করবো তামাশা।
বন্ধু বান্ধব কী যে আজব মায়াজাল!
এসব ঘটে যায়যে কেটে শৈশবকাল।
তারিখ:-১৬-০৭-২০১৯ ইং.
সময়:-১০:৪০ পি.এম.
কোথায় যাবো?
__________তারেক আহমদ
চারিদিকে মানুষের কোলাহল।
নিস্তব্ধ এলাকার ছোঁয়া পেতে কিছুসময় বাকি।
আর কিছু পথ হাটলেই আমি চলে যাবো নিথর এলাকায়।
আমি হাটছি,
সঙ্গে চাঁদ,
সে কোথায় যাবে?
আমার উদ্দেশ্যতো কোলাহলপূর্ণ এলাকা ত্যাগ।
সে'তো এই বেমার থেকে মুক্ত।
আমি হাটছি,
হাটছি..........
এখন আমি ক্লান্ত পথিক।
পথিকরা বিশ্রামে যায় নাকি?
মনের সাথে বুঝ পরামর্শ করে জোর নিচ্ছি।
আবার হাটছি,
সামনে পাহাড়,
পথ আটকে রেখেছে আমার।
এবার কী করি?
যেতে দেবেনা নিস্তব্ধ এলাকায়?
পথ ছাড়ো,ছেড়ে দাও বলছি।
হঠাৎ দেখি সামনে বিশাল মরুভূমি।
তাইলে পাহাড় কই?
যাক,এতো ভাবার সময় নেই।
আবার হাটা শুরু।
মরুভূমিতে বালিমাখা পা নিয়ে হাটছি।
ঘন্টা তো পেরিয়ে গেলো।তাহলে?
না,হাল ছাড়লে হবেনা।
আবার হাটা শুরু।
হাটছি.................
গাছ বলে আয় বিশ্রাম নিবি।
পরিশ্রান্ত হয়েও বলি আমি ক্লান্ত নই।
মিথ্যা হলো নাকি?
না,মিথ্যা হবে কেন?
সে আমাকে আলস্যজালে বন্ধি করতে চায়।
আমি সেখান থেকে মুক্ত হবার লাগি এই ফন্দি করেছি।
যাইহোক,এতো অন্যদিকে মন দেয়ার সময় তো আমার হাতে নেই।
আবার হাটছি...........
সামনে সাগর,
এখানেতো আরো শব্দ,
ক্যামনে কী করি?
আমি তো জনমানবহীন এলাকায় যাবো।
পানিরাও আমায় শব্দ শুনা থেকে বাঁচতে দেবেনা?
এবার আমি সাগরের কূল ধরে হাটছি।
হাটতে হাটতে আমি আমাতেই মিশে গেছি।
নিজেকে পাইনা খুঁজে।
আমি কোথায়?
নিজেকে খুঁজতে আবার হাটা শুরু।
হাটছি............
আমি আমার খুঁজে অনেক জায়গা পাড়ি দিলাম।
পাচ্ছিনা।
পাবো ভেবে এই আশায় হাটছি।
আবার ভাবছি,আমি বেটা তো নিস্তব্ধতা এলাকায় যাবে বলেছিলো।
সেখানে গেলে আমি'কে সহজেই খুঁজে পাবো।
তাই হাল না ছেড়ে হাটছি।
হাটছি..........হাটছি.........হাটছি........
হঠাৎ আমি'র দেখা মিললো ঐ শহরের
গলিতে।
দৌড়ে গেলাম আমি'কে ধরতে।
মান অভিমান সব ভুলবার জন্য এখন আমি'রা ব্যাকুল প্রায়।
হঠাৎ পাশ ফিরে দেখি মানুষ আর মানুষ।
আবার মানুষ?
আবার কোলাহল?
আবার ঝগড়া,গোলমাল?
অবশেষে আমি ক্লান্ত।
আমার বিশ্রাম চাই।
আমার এই শ্রমের কাছে আমি কী জবাব দেবো?
তার কাছে আমি আজ অপমানিত।
ভীষণ রকম পরাজিত।
17-03-2020
4:20 am
অসতর্কতা
তারেক আহমদ
__________________
মন কি রে তোর এতই চতুর
দূর সীমানায় দেয় পাড়ি,
ফন্দি করে বন্দিশালা
ভেঙ্গে চলো সব এড়ি।
আইনকে তুমি গাইন বানিয়ে
বাহির জগত ঘুরতে চাও?
কে মানে আজ কার সে কথা
পরিবার ও দেশ বাঁচাও।
আর্মি পুলিশ ছুট্টবেলার
খেলার সাথি ভাবছো হায়,
সামনে এলেই দৌড়ে গিয়ে
লুকোচুরি করছো তায়।
একটু পরেই যে যার মতো
চেতনাকে দেয় বলি,
সবাই জ্ঞানি সবাই গুণী
কার কথাতে কে চলি!
নোংরা মনের চিন্তা রীতি
দূর করার এই আসল ক্ষণ,
নিজে বাঁচো বাঁচবে তবে
তোমার প্রিয় আপনজন।
১৮-০৪-২০২০ ইংরেজি।
সুপ্রভাত
তারেক আহমদ
_________________
সকাল হলো ঘুম ছাড়িলো
সূর্যি কিরণ তার ছড়ালো
লাগে দারুণ বেশ,
একটু তারি আলো মেখে
পড়তে বসি পরম সুখে
নেইতো কোনো ক্লেশ।
হঠাৎ দূরের শিশিরজলে
দেখি আমি চোখটি মেলে
ধান করেছে স্নান,
আমার চেয়ে চালাক বটে
সব বেলা তার এমন ঘটে
নিজেই তো অম্লান।
আমি বেটা ঘরের কোণে
সময় গুনি একা মনে
হয়নি বুঝি ভোর,
অলস হয়ে থাকবোনা ভাই
এই ভেবে মোর প্রাণটা জুড়াই
এরপরে এক দৌড়।
গাছের তলে বিশ্রাম নিয়ে
ধানের ক্ষেতের আলপথ দিয়ে
বাড়ি ফিরে যাই,
পড়ার টেবিল পাশে রেখে
নিজের মতো স্বপ্ন এঁকে
কবিতায় হারাই।
হঠাৎ এবার ফোনটা ধরে
বন্ধুদের যোগাযোগ তরে
ফেবুতে দেই হাত,
কতোজনে কতো দিকে
মেসেঞ্জারে আবেগ মেখে
জানায় সুপ্রভাত।
ধর্ষণ
তারেক আহমদ
__________________
কোন বাংলাতে আমি বাস করি হায়?
ধর্ষণকারী যেথা পার পেয়ে যায়,
ধিক্কার সমাজ আরো ধিক্কার জাতি
ভুলে যায় সব শৃঙ্খলা আর নীতি।
একচল্লিশের এক নমুনা কি এই?
অভিনব সুখ আর প্রয়োজন নেই।
সেতু আর রাস্তায় হয়ে ডিজিটাল
জীবনের নির্ভয় ঠিকানা ভেজাল।
ইতিহাস স্বীকৃত স্বাধীন এই দেশ
মোরা চলি ভয় আর পরাধীন বেশ,
আট থেকে আশি সব নিরাপদ নয়
চলতে ফিরতে তাই মনে লাগে ভয়।
লাল সবুজের গায়ে কলঙ্ক দাগ
মুছবে কি আর কভু গড়বে কি বাগ।
হায়নার বাচ্চারা কুকুরের বেশে
ক্যামনে কুকর্ম করে এই দেশে?
সময় এসেছে ফের লাগাম ধরার
পাবেই মা বোন তার যত অধিকার।
'আর নয় ধর্ষণ' প্রতিবাদে জাগো,
মন্দ বিলীন যাক,কাজে সব লাগো।
অন্ধ পথিক
তারেক আহমদ
______________
এদিক সেদিক হাটি শুধু
পথ নাহি গো পাই,
মাজে সাঝে উচু ঢিলায়
হোচট আমি খাই।
হতাশায় আর কতকাল থাকি
একটু পথটি পেলে,
সঠিক দিকে চলব আমি
আলোর আড়ালে।
এখন দেখি পথ দেখানোর
কোনো মানব নাই,
প্রভু তোমায় হাত বাড়িয়ে
ফরিয়াদ জানাই,
আমার একটু আলো চাই।
__________________
সঠিক দ্বারার দিক দেখাতে
দিলে আল কোরআন,
যার জ্যুতির ঐ রৌশনিতে
বাড়ে আমার মান।
তবুও কেন আজকে আমি
ঘুরি অন্ধকারে?
যন্ত্রনারি অশুখ কেন
বুকের মাঝে বাড়ে?
ফেতনা ফাসাদ আমার মাঝে
কেন বিরাজিত?
সঠিক পন্থা দিতে আবার
নবী দিলে শত।
তবে আমি সঠিক দ্বারায়
আজও কেন নেই?
প্রভু নেই কোনো উপায়,
আমার একটু আলো চাই।
০৯/০৩/২০১৯
সুনামগঞ্জ,সিলেট
চেতনার ফেরিওয়ালারা কোথায়,
চলে এসো তোমরা,
লক্ষ জনতা তিলে তিলে মরে
হয়ে যায় দিশেহারা।—
পথপানে চেয়ে আর কতোকাল
করবে যে আহাজারি,
তোমাদেরে কোন শক্তি গিলেছে
মোরা কেঁদে কেঁদে মরি।
বলেছিলে এই বিশ্ব ভূমিটা
করবে তোমরা জয়,
গরীব দুঃখী অসহায়দের
করেছিলে নির্ভয়।
দুঃসময়ের বিপাকে আড়ালে
লুকোচুরি কেন খেলো?
চোখের সামনে সবকিছু বুঝি
হয়ে যাবে এলোমেলো।
মিডিয়াতে হিরো সেজে কেনো তুমি
ড্রামাতে নোয়াও মন,
লড়াকু হওয়ার আসেনি কি তবে
যথার্থ সেই ক্ষণ?
ভাবনাতে এতো নোংরামি আর
পচনের এতো ভাব,
তাহলে কেন নিঃস্বদেরে
দেখিয়েছিলে খোয়াব?
হামছে বড় কোন হ্যায় ভাবো
আরো ভাবো তুমি বীর,
তাইতো স্বদেশ মাতৃভূমির
গরীবের ভাঙ্গো নীড়।
এ জাতি আবার কেমন করে
ভরসায় রাখে হাত?
জানে ওরা অন্নহীন আগামী
কাটাবেই নির্ঘাত।
দুর্দিনের এই কঠিন সময়ে
খুলেছে আজ মুখোশ,
জাতিকে ভেবোনা হয়ে গেছে সবে
উন্মাদ আর বেহুশ।
যাদের কারণে নেতা,তাদেরই
করে যাও অবহেলা,
কে বলে তোমায় তুমি মানুষ আর
চেতনার ফেরিওয়ালা?
০২-০৫-২০২০ ইংরেজি।
পরিশ্রম
তারেক আহমদ
______________
ছোট কাজকে হেয় চুখে
না দেখে তুমি,
যথারীতি পালন কর
হয়ে পরিশ্রমী।
মান হারানোর ভয়ে তুমি
কাজটি ছেড়না,
চুরির চেয়ে কর্ম ভালো
সকলের জানা।
বিখ্যাত দার্শনিক প্লেটুর কথা
ভাব একটিবার,
যিনি তৈল বিক্রিতে রাস্তার খরচ
করেছিলেন যোগার।
তাতে তো তার বিন্দুমাত্র
মানহানি ঘটেনি,
উচু আসনে আসীন করতে
মানুষতো দমেনি।
বিশাল ইতিহাসে উজ্জ্বল সাক্ষর
রেখেছেন যারা,
অনেকেই ছিলেন সম্বলহীন
পিছু হটেননি তারা।
কাজ ছোট বড় যেটাই হোক
সম্মানীয় তুমি,
তবেই যে এই জগৎ মাঝে
হবে অনেক দামি।
২১/০৩/২০১৯
সুনামগঞ্জ,সিলেট।
বৃষ্টি
তারেক আহমদ
__________________
বৃষ্টি তুমি শেখাও মোরে
লিখতে ছোট্ট কবিতা,
যেথায় আছে প্রেম বিরহ
ভালোলাগা আর ব্যথা।
বৃষ্টি তুমি দৃষ্টিটা মোর
দূর সীমানায় নেও কাড়ি,
সেথায় থাকে কৃষক শতো
আরো এক জেলের সারি।
বৃষ্টি তুমি বর্ষাকালে
নৌকাযোগে মাছ ধরা,
মাঝির গানে সুরের তালে
মনের মাঝে দেয় সাড়া।
বৃষ্টি তুমি মন মানসিক
চাপকে পাঠাও দূর দেশে,
নিত্যদিনে তোমায় খুঁজে
মনটা ব্যাকুল হয় রেশে।
বৃষ্টি তুমি সৃষ্টিকারীর
দান অপার যা চমৎকার
তাইতো তুমি মনটা কাড়ো
দিল নিয়ে যাও বারংবার।
১৯-০৪-২০২০ ইংরেজি।