কৃষি তথ্য

কৃষি তথ্য কৃষিতাত্বিক বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়ার মাধ্যমে মানুষের সেবা করা।

ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ‘ঈশান’, প্লাবিত হতে পারে সিলেট
04/08/2025

ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ‘ঈশান’, প্লাবিত হতে পারে সিলেট

বিশেষ কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ.....
04/08/2025

বিশেষ কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ.....

ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় কৃষক ভাইদের সচেতন থাকতে হবে। বিশেষ করে বর্তমান মাঠের শাকসবজি এবং রোপা ...
04/08/2025

ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় কৃষক ভাইদের সচেতন থাকতে হবে। বিশেষ করে বর্তমান মাঠের শাকসবজি এবং রোপা আমন ধানের জমিতে সার কীটনাশক ব্যবহার এর ক্ষেত্রে।

শুভ সকাল বাংলাদেশের সবাইকেশনিবারের (আগস্ট ২, ২০২৫)  বৃষ্টিপাত পূর্বাভাসআজ শনিবারের (আগস্ট ২, ২০২৫) সকাল ৯ টা বেজে ৪০ মিন...
02/08/2025

শুভ সকাল বাংলাদেশের সবাইকে

শনিবারের (আগস্ট ২, ২০২৫) বৃষ্টিপাত পূর্বাভাস

আজ শনিবারের (আগস্ট ২, ২০২৫) সকাল ৯ টা বেজে ৪০ মিনিটের পর থেকে বিকেল ৬ টার মধ্যে নিম্নলিখিত জেলাগুলোর উপরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে:

সিলেট বিভাগ: সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার উত্তর দিকের মেঘালয় পর্বতের কাছা-কাছি সকল উপজেলায় উপরে আজ প্রায় সারাদিন মাঝারি থেকে ভারি মানের বৃষ্টির প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে।

ময়মনসিংহ বিভাগ: শেরপুর, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ জেলার উত্তর দিকের মেঘালয় পর্বতের কাছা-কাছি সকল উপজেলায় উপরে আজ প্রায় সারাদিন মাঝারি থেকে ভারি মানের বৃষ্টির প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে।

চট্রগ্রাম বিভাগ: চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবন, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, ফেনী, কুমিল্লা জেলার উপরে আজ দিনের বিভিন্ন সময়ে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টির প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে।

রংপুর বিভাগ: গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট জেলার উপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সকাল ১১ টার পর থেকে বিকেল ৬ টার মধ্যে।

ঢাকা বিভাগ: শরিয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, মুন্সিগন্জ, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ জেলার কোন-কোন উপজেলায় হালকা পরিমাণে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দুপুর ১২ টার পর থেকে বিকেল ৬ টার মধ্যে। আজ ঢাকা শহরের উপরে বৃষ্টির সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত কম দুপুর ১২ টার পূর্বে। তবে দুপুর ১২ টার পর থেকে বিকেল ৬ টার মধ্যে ঢাকা জেলার পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকের কোন-কোন উপজেলার উপরে হালকা মানের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

রাজশাহী বিভাগ: দুপুর ১২ টার পূর্বে রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর উপরে বৃষ্টির সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত কম। তবে দুপুর ১২ টার পর থেকে বিকেল ৬ টার মধ্যে জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, বগুড়া জেলার উপরে বৃষ্টির কিছু সম্ভাবনা রয়েছে।

খুলনা বিভাগ: নড়াইল, মাগুরা, যশোর, খুলনা, বাগেরহাট জেলার কোন-কোন উপজেলায় হালকা পরিমাণে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সকাল ১১ টার পর থেকে বিকেল ৬ টার মধ্যে।

বরিশাল বিভাগ: দুপুর ১২ টার পূর্বে বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোর উপরে বৃষ্টির সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত কম। তবে দুপুর ১২ টার পর থেকে বিকেল ৬ টার মধ্যে ভোলা, পটুয়াখালী জেলার উপকূলীয় উপজেলাগুলোর উপরে বৃষ্টির অল্প কিছু সম্ভাবনা রয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের মোট বাজেটের প্রায় ৭০ শতাংশই সারের ভর্তুকিতে ব্যয় করা হয়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী প্রতি কেজি সারের আমদানি ...
31/07/2025

কৃষি মন্ত্রণালয়ের মোট বাজেটের প্রায় ৭০ শতাংশই সারের ভর্তুকিতে ব্যয় করা হয়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী প্রতি কেজি সারের আমদানি মূল্য ও কৃষকের কাছে বিক্রয়মূল্য নিম্নরূপ—🗣️🗣️🗣️🗣️🗣️🗣️🗣️

📌 আমদানি মূল্য / বিক্রয় মূল্য
🔹 ইউরিয়া : ১০৯ টাকা / ২৭ টাকা
🔹 ডিএপি : ১০০ টাকা / ২১ টাকা
🔹 টিএসপি : ৭৭ টাকা / ২৭ টাকা
🔹 এমওপি : ৬১ টাকা / ২০ টাকা

বি:দ্র: সারের আমদানি মূল্য সময় ও বাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।

🌿 সারের পরিমিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে কৃষক ভাইদের জন্য পরামর্শ:

✅ ১. মাটির গুণাগুণ অনুযায়ী সার ব্যবহার করুন:
প্রতি তিন বছর অন্তর মাটির পরীক্ষা করে মাটির ধরন অনুযায়ী সার প্রয়োগ করুন। এতে অতিরিক্ত সার অপচয় হয় না এবং ফসল ভালো হয়।

✅ ২. সুষম সার ব্যবহার নিশ্চিত করুন:
শুধু ইউরিয়া নয়—ডিএপি, টিএসপি ও এমওপি সঠিক অনুপাতে ব্যবহার করুন। এতে মাটি ক্ষয় হয় না এবং ফসলের গুণমান বাড়ে।

✅ ৩. জৈব সারের ব্যবহার বাড়ান:
গোবর, ভার্মি কম্পোস্ট বা অন্যান্য জৈব সার বেশি ব্যবহার করলে রাসায়নিক সারের প্রয়োজন কমে যায় এবং মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

✅ ৪. সার প্রয়োগের সঠিক সময় ও পদ্ধতি অনুসরণ করুন:
বীজ বপনের আগে, মাঝখানে ও শেষ পর্যায়ে কতটুকু সার প্রয়োজন তা জেনে প্রয়োগ করুন। ছিটিয়ে না দিয়ে মাটির নিচে প্রয়োগ করলে অপচয় কম হয়।

✅ ৫. সরকারি ভর্তুকিযুক্ত সার ব্যবহার করুন:
অতিরিক্ত লাভের আশায় অতিরিক্ত সার ব্যবহার না করে সরকার নির্ধারিত পরিমাণ ও দামে সার ব্যবহার করুন।

✅ ৬. প্রশিক্ষণ নিন ও সচেতন হোন:
কৃষি সম্প্রসারণ অফিস বা মাঠ পর্যায়ের ব্লক পরিচালনা করা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে সারের সঠিক মাত্রা ও ব্যবহারের কৌশল শিখুন।

📌 পরিমিত সারের ব্যবহার শুধু খরচ বাঁচায় না, বরং মাটি, পরিবেশ এবং ভবিষ্যৎ কৃষির জন্য উপকারী।

📢 প্রচারে:
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
উপজেলা কৃষি অফিস গোয়াইনঘাট , সিলেট

যারা কৃষি কাজের সাথে জড়িত, তাদের অনেকের কাছেই অজানা, জমিতে চাষাবাদের ক্ষেত্রে TSP (টিএসপি সার) নাকি DAP(ডিএপি সার ) ভাল...
31/07/2025

যারা কৃষি কাজের সাথে জড়িত, তাদের অনেকের কাছেই অজানা, জমিতে চাষাবাদের ক্ষেত্রে TSP (টিএসপি সার) নাকি DAP(ডিএপি সার ) ভালো ।

বলে রাখা ভালো,

টিএসপি সারের মূল উপাদান ফসফেট ৪৬% সাথে সামান্য ক্যালসিয়াম ও গন্ধক।

অন্য দিকে,
ডিএপি সারের মূল‌ উপাদান ফসফেট ৪৬% ও নাইট্রোজেন ১৮% সাথে সামান্য ক্যালসিয়াম ।

এখন প্রশ্ন হলোঃ
টিএসপি সারের মধ্যে আমরা পাচ্ছি ফসফেট।
অপরদিকে, ডিএপি সারের মধ্যে একই পরিমাণ ফসফেট ও ইউরিয়া সারের মূল উপাদান নাইট্রোজেন সাথে পাচ্ছি।

ডিএপি সারের ব্যবহারে অতিরিক্ত সুবিধাঃ

১) ৫০ কেজি এক বস্তা ডিএপি সার কিনলে তার সাথে প্রায় ২০ কেজি ইউরিয়া সার কিনলে যে পরিমাণ উপকার পাওয়া যেতো ।ঠিক ততটুকু না ক্রয় করেই সুবিধা পাচ্ছি শুধু মাত্র টিএসপি বদলে ডিএপি সার ক্রয় ও জমিতে প্রয়োগের ফলে ।
ধান চাষে ডিএপি সার ব্যবহারের ফলে বিঘা প্রতি ৫ কেজি ইউরিয়া সার কম লাগে।

২) ডিএপি সার অতিদ্রুত পুরোপুরি পানিতে মিশে যায়,পুরো উপাদানের রেজাল্ট মাটি পেয়ে থাকে। কিন্তু

অপরদিকে, টিএসপি সারের অসুবিধাঃ

১) টিএসপির ক্ষেত্রে পুরোপুরি পানিতে দ্রবীভূত হয় না ।
কিছু অংশ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দানা অবস্থায় মাটির উপরিভাগে জমা হয়ে থাকে। সারের অপচয় হয়।

উত্তরঃ পরিশেষে বলা যায়, ডিএপি সার টিএসপি সারের থেকে নিঃসন্দেহে ভালো। ডিএপি সার ব্যবহারের ফলে ফলন বাড়ে।

সর্তকতাঃ ধান চারা রোপনের ২০ দিন পরে ডিএপি সার ব্যবহার করা যাবে না । ব্যবহারে ফলে ধানের গোড়া পচা রোগ সৃষ্টি হতে পারে ।তাই, ২০ দিন বয়সের পূর্বে ব্যবহার করবো । ২০ দিন বয়সের পরে ক্ষেত্র বিশেষে টিএসপি সার ব্যবহার করবো ।

রোপা আমন ধানে কুশি (Tillers) বেশি হওয়া মানেই বেশি ফলনের সম্ভাবনা। নিচে কুশির সংখ্যা বাড়ানোর কার্যকরী উপায়গুলো দেওয়া হ...
30/07/2025

রোপা আমন ধানে কুশি (Tillers) বেশি হওয়া মানেই বেশি ফলনের সম্ভাবনা। নিচে কুশির সংখ্যা বাড়ানোর কার্যকরী উপায়গুলো দেওয়া হলো:



🌾 রোপা আমন ধানে কুশির সংখ্যা বাড়ানোর উপায়

✅ ১. সঠিক জাত নির্বাচন
• অধিক কুশি উৎপাদনকারী জাত বেছে নিতে হবে, যেমন: ব্রিধান ৫১, ব্রিধান ৭৫, ব্রিধান ৯৩ ইত্যাদি।

✅ ২. সময়মতো রোপণ
• আমন ধানের জন্য উপযুক্ত রোপণের সময় আষাঢ়ের শেষ থেকে শ্রাবণের মাঝামাঝি।
• দেরিতে রোপণ করলে কুশির সংখ্যা কমে যায়।

✅ ৩. সঠিক রোপণ দূরত্ব
• লাইনে রোপণ করে ২০×২০ সেমি বা ২০×১৫ সেমি দূরত্ব বজায় রাখা উচিত, যাতে আলো-বাতাস ঠিকমতো চলাচল করে এবং কুশি ভালো হয়।

✅ ৪. চারা বয়স
• ২৫-৩০ দিন বয়সী চারা রোপণ করলে কুশির সংখ্যা বেশি হয়। অতিবৃদ্ধ চারা দিলে কুশি কম হয়।

✅ ৫. সুষম সার ব্যবস্থাপনা
• জমিতে জৈব সার ও রসায়নিক সারের সুষম ব্যবহার কুশি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ।
• উদাহরণস্বরূপ (বিঘা প্রতি):
• ইউরিয়া: ২৫-৩০ কেজি
• টিএসপি: ১৫-২০ কেজি
• এমওপি: ১০-১৫ কেজি
• জিপসাম: ৮-১০ কেজি

• ইউরিয়া ৩ কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে:
1. চারা রোপণের ৭-১০ দিন পর
2. ২৫-৩০ দিন পর (কুশি গজানো সময়)
3. ৫০-৫৫ দিন পর

✅ ৬. সঠিক পানি ব্যবস্থাপনা
• জমিতে হালকা পানি রাখতে হবে, যেন জমি স্যাঁতসেঁতে থাকে কিন্তু জলাবদ্ধ না হয়।
• কুশি গজানোর সময় বেশি পানি জমলে কুশি কম হয়।

✅ ৭. আগাছা নিয়ন্ত্রণ
• আগাছা কুশির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে, তাই ২ বার নিড়ানি দিয়ে আগাছা দমন করা উচিত।
• প্রথমবার: রোপণের ১৫-২০ দিন পর
• দ্বিতীয়বার: রোপণের ৩০-৩৫ দিন পর

✅ ৮. পার্চিং
• পোকামাকড় দমনে পার্চিং করলে গাছের স্বাস্থ্য ভালো থাকে, ফলে কুশি ভালো হয়।

✅ ৯. রোগবালাই দমন
• ধানের গোড়াপচা, মাজরা পোকা, ব্লাস্ট রোগ প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
• প্রয়োজনে কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক ব্যবহার করতে হবে।

30/07/2025
 #বর্ষাকালীন_মরিচ_কিভাবে_আবাদ_করবেন #মাটিঃপানি নিস্কাশন সুবিধাযুক্ত বেলে দোঁআশ থেকে এঁটেল দোঁআশ জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ উর্ব...
29/07/2025

#বর্ষাকালীন_মরিচ_কিভাবে_আবাদ_করবেন

#মাটিঃ
পানি নিস্কাশন সুবিধাযুক্ত বেলে দোঁআশ থেকে এঁটেল দোঁআশ জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ উর্বর দোঁআশ মাটি উত্তম। ক্ষারীয় মাটিতে ফলন ভালো হয় না। মাটির পিএইচ ৬.০ থেকে ৭.০ হলে উৎপাদন ভালো হয়।

#জলবায়ুঃ
মরিচ গ্রীষ্মপ্রধান জলবায়ু উপযোগী ফসল ডিসেম্বর- জানুয়ারীতে নিম্ন তাপের কারণে গাছের বৃদ্ধি কিছুটা ব্যাহত হয় ও অতিরিক্ত ঠান্ডায় মরিচের ঝাঁঝ কমে যায়। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে (২০°-৩০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায়) সঙ্গে গাছের দৈহিক বৃদ্ধি স্বাভাবিক হতে থাকে।

তাপমাত্রা ১৫° সেলসিয়াসের নিচে বা ৩৫° সেলসিয়াসের বেশী হলে গাছের বৃদ্ধি ও ফলন সাধারণত কমে যায়। দেশের যে সমস্ত অঞ্চলে ৭৫ সে.মি. থেকে ১০০ সে.মি. বৃষ্টিপাত হয় এবং মাঝে মাঝে রোদ ও বৃষ্টি হয় সে সব অঞ্চলে মরিচ খুব ভালো হয়। ফসলের প্রাথমিক অবস্থায় অল্প বৃষ্টিপাত এবং ফসলের বৃদ্ধির সময় পরিমিত বৃষ্টিপাত হলে মরিচ খুব ভাল জন্মে।

#জাতঃ

#বিজলী_প্লাস_২০২০
#সানড্রপ
#নাগা_ফায়ার
#মরিচ_সুপার
#মধুমতি
#গ্রীণ_ফায়ার
#উল্কা
#সুপার_হট
#সনিক
#মোহনা

#চারা_উৎপাদন_পদ্ধতিঃ
বীজতলার উপরের মাটিতে বালি ও পঁচা গোবর দিয়ে মাটি ঝুরঝুরা করে চারা উৎপাদন অথবা সরাসরি মুল জমিতে বীজ বপন

#বীজ_শোধনঃ
বীজ বপনের পূর্বে কার্বোডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক দিয়ে বীজ শোধন করে নিতে হবে। বীজতলার চারপাশে সেভিন ডাস্ট ছিটিয়ে দিতে হবে। বীজতলা পলিথিন বা চাটাই দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।

#মাটি_শোধনঃ
বীজতলার উপরের ৩-৪ সেন্টিমিটার ধানের খড়ের স্তর তৈরী করে পুড়িয়ে মাটি শোধন করতে হবে।

#বীজ_বপনের_সময়ঃ
শীতকালীন- ভাদ্র-আর্শ্বিন মাসে বীজ বপন করতে হবে
বর্ষা মৌসুমে- ফাল্গুন-চৈত্র মাসে বীজ বপন করতে হবে।

#বীজহারঃ
রবি মৌসুমে সরাসরি বীজ বপন করলে বিঘা প্রতি ৩৫০-৪০০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়।
বীজতলায় চারা উৎপাদন করে লাগালে ১২০-১৩০ গ্রাম বীজ দরকার।

#জমি_চাষ:
মাটির প্রকারভেদে জমিতে ৪-৬ টি চাষ ও মই দিতে হয়। শেষ চাষের সময় সুপারিশকৃত মাত্রায় গোবর, টিএসপি ও জিপসাম, পটাশ, জিংক, বোরন মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।

#বেড_তৈরিঃ
জমিতে ১ মিটার প্রস্থ ও লম্বায় জমির অবস্থান মত বেড তৈরি করতে হবে। পানি সেচ ও নিষ্কাশনের সুবিধার্থে বেড ২০ সে.মি. উঁচু হবে ও দুই বেডের মাঝে ৩০ সে.মি. নালা থাকবে।

#চারার_বয়সঃ
৩০-৩৫ দিন বয়সের চারা অথবা, মোটা কান্ড ও ৪-৫ পাতা বিশিষ্ট চারা লাগানোর জন্য উত্তম।

#চারা_রোপণ_দুরত্বঃ
মূল জমিতে সারি থেকে সারি দুরত্ব ৫০ সে: মি: চারা থেকে চারার দুরত্ব ৪০ সে.মি.

#চারার_পরিচর্যাঃ
বাঁশের চাটাই বা পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দিতে হবে।
বীজ লাগানোর পর চারা বের না হওয়া পর্যন্ত নেটের উপর ঝরনা দিয়ে সেচ দেয়া আবশ্যক।

চারা গজালেই ইনসেক্টপ্রুফ নেট দিয়ে চারা ঢেকে দিতে হবে।
চারা রোপন মুহুর্তে পানি সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বীজতলার আগাছা নিড়ানি দিয়ে উঠিয়ে ফেলতে হবে ।
চারা তোলার আগের দিন বীজতলায় হালকা সেচ দিলে মাটি নরম হয়।

#সারের পরিমানঃ (শেষ চাষের সময়)

শেষ চাষের সময় বিঘা প্রতি-৩৩ শতকে
গোবর ২০০০ কেজি
ইউরিয়া ২৮ কেজি
টিএসপি- ৪৪ কেজি
এম ও পি- ২৫ কেজি
জিপসাম- ২০ কেজি
জিংক ১.৫ কেজি
বোরন ১ কেজি

#সার_প্রয়োগ_পদ্ধতিঃ
জমি তৈরি সময় সমস্ত গোবর, টিএসপি, জিপসাম, জিংক(আলাদাভাবে), বোরন ও এক-তৃতীয়াংশ এমওপি প্রয়োগ করতে হবে।

#চারা রোপনের ২৫ দিনে:
বিঘা প্রতি ইউরিয়া ১০ কেজি পটাশ ৮ কেজি

#চারা রোপনের ৫০ দিনে:
বিঘা প্রতি ইউরিয়া ১০ কেজি পটাশ ৮ কেজি

#চারা রোপনের ৭৫ দিনে:
বিঘা প্রতি ইউরিয়া ১০ কেজি পটাশ ৮ কেজি

#সেচঃ
রসের ঘাটতি থাকলে সেচ দিতে হবে। বর্ষাকালে সেচ কম সেচ লাগে।
মরিচ অতিরিক্ত পানি সয় না তাই অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করতে হবে।
সেচের প্রয়োজনীয় মাটির পানি ধারন ক্ষমতা ও আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে। সেচের কয়েক দিন পর মাটিতে চটা দেখা যায়। এই চটা ভেঙ্গে দিতে হবে যাতে শিকড় প্রয়োজনীয় আলো ও বাতাস পায়। এতে গাছের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।

#আগাছা_দমনঃ
নিড়ানি দিয়ে আগাছা পরিস্কার ও মাটি ঝুরঝুরা করতে হয়।

#হরমোন প্রয়োগঃ
প্লানোফিক্স নামক পিজিআর ব্যবহারে মরিচের ফুল কম ঝরে এবং ফলন বাড়ায় ফুল আসার সময় ও তার ২০-২৫ দিন পরে আরেকবার স্প্রে করতে হবে।

#ফসল সংগ্রহঃ
মরিচ কাঁচা অথবা পাকা অবস্থায় তোলা হয়। চারা লাগানোর ৩৫- ৪০ দিন পর গাছে ফুল ধরতে শুরু করে, ৫৫-৬০ দিনের মধ্যে ফল ধরে। ৭৫ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে ফল পাকতে আরম্ভ করে। প্রথম ও দ্বিতীয় বারের সংগৃহীত ফসল কাচা মরিচ হিসাবে গণ্য করা হয়। পরের মরিচ পাকা (লাল রং) হিসাবে সংগ্রহ করা হয়।

🌿 লেবু জাতীয় গাছে পাতায় আঁকাবাঁকা দাগ? সাবধান! এটা হতে পারে লিফ মাইনর পোকার আক্রমণ! 🐛✅ লিফ মাইনর পোকা কি করে?এই ক্ষুদ্র ...
29/07/2025

🌿 লেবু জাতীয় গাছে পাতায় আঁকাবাঁকা দাগ? সাবধান! এটা হতে পারে লিফ মাইনর পোকার আক্রমণ! 🐛

✅ লিফ মাইনর পোকা কি করে?
এই ক্ষুদ্র পোকাটি পাতার ভেতর সুরঙ্গ তৈরি করে পাতার সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে। এতে পাতায় আঁকাবাঁকা সাদা/বাদামি দাগ দেখা যায়, পাতা শুকিয়ে যায় ও ঝরে পড়ে। ফলন কমে যায় এবং গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে।

🛡️ লিফ মাইনর দমনের কার্যকর উপায়ঃ

🔹 আক্রান্ত পাতা ছিঁড়ে পুড়িয়ে ফেলুন
🔹 প্রতি লিটার পানিতে ৫-৭ মিলি নীম তেল মিশিয়ে স্প্রে করুন
🔹 প্রয়োজনে ব্যবহার করুন—
📌 ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮% SL – ০.৫ মিলি/লিটার
📌 সাইপারমেথ্রিন ১০% EC – ১ মিলি/লিটার
📌 থায়োমেথোক্সাম – নির্দেশনা অনুযায়ী

⏰ ৭-১০ দিন পরপর প্রয়োগ করতে হবে
☀️ স্প্রে সকাল বা বিকেলে করুন
🚫 ফল তোলার ১৫ দিন আগে স্প্রে বন্ধ করুন

🌱 প্রতিরোধে করণীয়:
✔️ গাছের নিচে শুকনো পাতা পরিষ্কার রাখা
✔️ নিয়মিত ছাঁটাই করা
✔️ সুষম সার ব্যবস্থাপনা
✔️ গাছ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ


👨‍🌾 প্রিয় কৃষক ভাই ও বোনেরা, লিফ মাইনর পোকা দমন করুন সময়মতো, ফলন বাড়ান নিরাপদ উপায়ে।

#লেবু #লিফ_মাইনর #কীট_দমন #জৈব_চাষ #কৃষি_পরামর্শ

ধান চাষে দস্তা (Zinc) সারের গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপকারিতা রয়েছে, যা ধানের ভালো বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ও ফলন বৃদ্ধিতে সহায়তা ক...
29/07/2025

ধান চাষে দস্তা (Zinc) সারের গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপকারিতা রয়েছে, যা ধানের ভালো বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ও ফলন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। নিচে এর বিস্তারিত উপকারিতা দেওয়া হলো:



✅ ধান চাষে দস্তা সারের উপকারিতা:
1. চারা সুস্থ ও সবল হয়:
• দস্তা ধানের চারা গাঢ় সবুজ ও শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।
2. পত্রদগ্ধতা ও খরারোধী ক্ষমতা বাড়ায়:
• দস্তার অভাবে পাতায় বাদামি বা সাদা দাগ পড়ে (pale streaks), যা দস্তা দিলে প্রতিরোধ হয়।
3. শিকড়ের গঠন উন্নত করে:
• দস্তা শিকড়ের বিকাশ বাড়িয়ে গাছের পুষ্টি সংগ্রহ ক্ষমতা বাড়ায়।
4. শষ্য গঠনে সহায়তা করে:
• শীষের দানা পরিপূর্ণ ও ভারী হয়, ফলে ফলন বাড়ে।
5. হরমোনের কাজকে উদ্দীপিত করে:
• উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন যেমন অক্সিন তৈরি করতে দস্তা জরুরি।
6. গাছকে রোগপ্রতিরোধী করে তোলে:
• দস্তার উপস্থিতিতে গাছ বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধ গড়ে তোলে।



⚠️ দস্তা সারের অভাবে যেসব সমস্যা হয়:
• ধানের চারা খাটো ও পাতলা হয়ে যায়।
• পাতায় বাদামি দাগ বা হালকা হলদে রঙ দেখা যায়।
• গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে, ফলন কমে যায়।
• রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।



📌 প্রয়োগের সময় ও পরিমাণ:
• বিঘা প্রতি:
জিপসাম বা দস্তা সালফেট (ZnSO₄) – ১–২ কেজি
• প্রয়োগ সময়:
জমি তৈরি করার সময় বা ধান রোপণের ৭–১০ দিনের মধ্যে প্রয়োগ করতে হয়।

Address

Sylhet

Telephone

+8801749363391

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when কৃষি তথ্য posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to কৃষি তথ্য:

Share

Category