10/08/2025
ফ্যাক্ট সংগীতাঙ্গনঃ
পুতে ভাই পুতে সোসাল মিডিয়ায় হুট করে লাইভ
আর হুট করে স্ট্যাটাস মুর্খতার পরিচয় বহন করে।।
সোসাল মিডিয়ায় হুট করে অর্থাৎ বল্লারি লাইভ আর বল্লারি স্ট্যাটাস এসব করা মুর্খতার পরিচয় বহন করা ছাড়া আর কিছু নয়।এসব কারা করে যাদের বিন্দু পরিমান আখল বুদ্ধি নাই তারাই এসব করতে পারে।এটা আমার বিবেক থেকে বলছি।
গান বা কবিতা, ছড়া বা যে কোন বই পুস্তক নিয়ে আলোচনা সমালোচনা কারা করেন তারা হলেন বাংলা বিভাগে যারা উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেছেন বাংলা বিভাগে বিশারদ তারাই একমাত্র গান কবিতা ছড়া ইত্যাদি বিষয়ের উপর আলোচনা সমালোচনা করতে পারেন।
মুরব্বিদের প্রবাদ আদা ব্যাপারী বেটা জাহাজের খবর লয়।
বর্তমান সময়ে এই টাস মোবাইল আর ফেইসবুক বের হয়ে পুতে ভাইপুতে অর্থাৎ কটাই মজর আজর এদের উৎপাতে সংগীত জগতটা বিনাশ। সবাই গানের ভাবার্থ বুঝেন গানে ভুল ধরতে পারেন মাসাআল্লাহ। এখন বড় যারা জ্ঞানী গুনীজন তারা বেকার হয়ে পড়েছেন।কারন ছোট পন্ডিতরা খুব বেশী বুঝেন।এজন্য আর বড় যারা সম্মানিতদের কোন প্রয়োজন নেই। এটাই ভাবেন আমাদের কিছু কিছু পন্ডিত মশাইরা।
আগেকার জামানায় দেখেছি বড় বড় বাউল শিল্পীরা পালা গান করতেন তখন পালাগানের মঞ্চে বাউল গানে তত্ত্ব জ্ঞানে যারা পারদর্শী তাদেরকে বিচারক হিসাবে মঞ্চে রাখতেন।আমার দেখা ও জানামতে কটাই মজর আজর এদেরকে কোন পাত্তা দিতে দেখিনি। মঞ্চের ধারে কাছে যাওয়া বসার কোন সুযোগই ছিলো না।
এখনকার সময়ে গান কিনে যারা গীতিকার হয়েছেন এবং গীতিকার নাম লাগিয়েছেন তাদের মাতব্বরি আর বাহাদুরি তকব্বরি দেখলে মনে হয় তারাই এ জগতের সেরা সংগীতের মহা পন্ডিত, বা মহাজন। কি বলবো বলার কোন ভাষা জানা নাই।
ভয় লাগে কিছু কিছু লোকের আচরনে। আমি তো অনলাইনে সব দেখি কে কি করছেন বলছেন লিখছেন। যারা যে কোন বিষয় নিয়ে হুট করে অর্থাৎ বল্লারি লাইভে চলে আসলেন আর একদম গাফিল হয়ে শুরু করলেন কথাবার্তা যে কথাবার্তায় নেই শালিনতা ভদ্রতা নম্রতা ও কথার ধরনের নেই কোন লেশ।
পন্ডিত মশাইদের যন্ত্রনায় পুরো সংগীত ভুবনের সত্যিকারের বিজ্ঞজনদের নেই কোন দাম বা মুল্যায়ন। আগেকার জামানায় যে কোন বিষয়ে ছোট যারা অর্থাৎ জুনিয়র ভাই ভাতিজা যারা তারা কথা বলার আগে মুরব্বিদের অপেক্ষায় থাকতো। তারা মুরব্বিদের প্রতি খুবই সম্মান শ্রদ্ধাবোধ দেখাতো।বলতো আমরা কথা বলার আগে দেখি আমাদের মুরব্বিরা কি করেন আর কি বলেন।
আজকাল এসব নেই। সব বিলিন হয়ে গেছে।এখন পুতে ভাই পুতে সব পন্ডিত, সব জাননেওয়ালা,সব মাতব্বর,সব লিডার, সব নেতা, মহা নেতা। মানুষ বলতে ভুল হবে ভুল করবে এটা স্বাভাবিক। ভুলের উর্দ্ধে কেউ নয়। একজন ভুল করতে পারে ভুল হবে এতে করে রাগ দেখানো, অশ্লিল ভাষায় গাল মন্দ করা, বাহাদুরী, নবাবী, বেটাগেরী জাহির করার কি প্রয়োজন।
আমার কথা হলো যদি সংগীতের একজন যেমন বাউল শিল্পী হোক, গীতিকার হোক,যন্ত্রীক হোক কোন ভুল করেন তাহলে আপনি বা আমি আগে আমাদের সিনিয়র সম্মানিত ব্যক্তিদ্বয়ের দিকে থাকাতে হবে। অপেক্ষা ও দেখতে হবে আমাদের মুরব্বিরা এ বিষয়ে কি বলেন বা কি ভুমীকা রাখেন।সে দিকে খেয়াল না করে ছোটরা কেনো হুট করে প্রতিবাদমুখি হয়েই বল্লারী লাউভে চলে আসবেন।আর আসলেনই ভাল কিন্তু কথাবার্তা বলতে গিয়ে একটু সজাগ দৃষ্টি বা শতর্কতা অবলম্বন করা কি উচিত নয় ?
একজন দোষ করবে আর আপনি আমি তাড়াহুড়া করে টাস মোবাইল হাতে নিয়েই চলে আসবো লাইভে এটা কেমন কথা আর কেমন জ্ঞান দেখানো তা আমার জানা নেই। আমার বয়সে অনেক বাউল শিল্পী পেয়েছি দেখেছি, অনেক মঞ্চে বসেছি গান শুনেছি কিন্তু বড় বড় মহাজনরাই গানে ভুল করতে দেখেছি। কিন্তু তারা এসব আগডুম বাগডুম নিয়ে হাউ মাউ এই সেই এছেং তেছেং করতে দেখেনি ও কখনও শুনিনি।
আমার কথায় কেহ কষ্ট পেতে পারেন ভাই থাকুন আর বন্ধু থাকুন একবার ছিন্তা করবেন আমি কি বলেছি। বর্তমান সময়ে আমাদের বাউল অঙ্গনে যে ধরনের আচরন হচ্ছে তা বাউল অঙ্গনকে অন্ধকারের দিকে ধাবিত করছে। একে অন্যের প্রতি সম্মান শ্রদ্ধা ভক্তি সব উটে যাচ্ছে।কেউ কাউরে সম্মান দিচ্ছেনা দিবেওনা । তাহলে এসব আচরন আমরা পরিহার করা উচিত কি না আপনারাই বিচার করুন ।আসুন আমরা এসব নুংরামি থেকে বেরিয়ে আসি এবং আমাদের মুরব্বিদের সম্মান করতে শিখি।
ভুল ভ্রান্তি হবে দয়া করে কেহ কোন প্রকার কষ্ট পেয়ে থাকলে নিজো গুনে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।আল্লাহ হাফেজ।