Khatibe Jaman Tv

Khatibe Jaman Tv কোরআন হাদিসের আলোকে আলোকিত হোক সারা দুনিয়া।

কেন তিনি খতীবে যামান?খতিবে যামান আল্লামা নূরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী হুজুর কেন তিনি খতিবে যামান?১১ ফেব্রুয়ারি ১১ সাল। রোজ...
08/08/2025

কেন তিনি খতীবে যামান?
খতিবে যামান আল্লামা নূরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী হুজুর কেন তিনি খতিবে যামান?

১১ ফেব্রুয়ারি ১১ সাল। রোজ বুধবার। জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুরের ৫০বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে সম্মেলন ও দশসালা দস্তারবন্দির প্রথম দিন। সম্মেলন তো নয়, যেন জনসমুদ্র। দ্বিতীয় বিশ্ব ইজতেমা। পবিত্র জুমুআর নামাজ পড়ানোর কথা আধ্যাত্মিক বিশ্বের প্রধান রাহবার, দারুল উলূম দেওবন্দের সবচেয়ে প্রিয় ও আদর্শ উস্তাদ, জমিয়তে উলামা ভারতের সভাপতি, শাইখুল ইসলাম মাদানী রাহ. এর সুযোগ্য সাহেবজাদা আল্লামা আরশাদ মাদানীর। তাঁর সফর ব্যবস্থাপকের নেক তায়াজ্জুহ এর বরকতে (?) আগেই সন্দেহ করা হয়েছিল সঠিক সময়ে উপস্থিতির বিষয়ে। দাওয়াত করে রাখা হয়েছিল সুনামগঞ্জের সুনাম শায়খুল হাদীস নূরুল ইসলাম খান সাহেবকে। অন্যদিকে বিশ্ব ইজতেমায় ব্যবহৃত মাইক আনা সত্ত্বেও যান্ত্রিক কারণে মাইক বন্ধ না হলেও এলাকা দূরে থাকায় মাহফিলের ভিতরাংশও আওয়াজ দিয়ে কাভার করতে না পারায় কর্তৃপক্ষ যারপরনাই পেরেশান। এমন পরিস্থিতিতে ঠিকই যথাসময়ে হযরত মাদানী এসে উপস্থিত হতে পারেন নি। এখন কী করা? অবশ্য দেশের শীর্ষ কয়েকজন আলিমই হাযির রয়েছেন। তাই বলে এঁদের কেউ তো আর আরশাদ মাদানীর বিকল্প হতে পারেন না। কিন্তু এহেন পরিস্থিতিতে মুশকিলে আসানও উত্তম বিকল্প হয়ে উঠলেন এমন একজন খতীব যাঁর বয়ান শুনলে মুসল্লীরা তীর্থের কাকের মতো চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকে। বয়ান ছাড়া অন্য কিছুর অনুভব শক্তি হারিয়ে ফেলে। গায়ে চিমটি দিয়ে দেখতে হয় নিজে নিজের মধ্যে আছে কি না। তিনি আর কেউ নন- আমাদের দেশের আলিম সমাজের গৌরব হযরত নূরুল ইসলাম খান সাহেব। তাঁকে জুমুআর খুতবা ও নামাজের দায়িত্ব দেওয়া হল। শুরু করলেন মহানবীর ভাষায় খুতবা প্রদান। খুতবা তো নয়,

যেন স্বকোয়াবী। যেন অদ্ভুত বর্ষন। মুসাজ্জা বা ছন্দাবদ্ধ আরবিতে এমন যথা ও আরবীয় খুতবা নিলেন যা আমার জীবনে শোনা সর্বাধিক আজবনীর স্বতরা। যার জেরে সকল পেরেশানীর মাঝেও যেন এক জান্নাতি মুলক অনুভব করছিলাম। হারিয়ে গিয়েছিলাম সে যাদুকরী ভাষায়। সাবলীল ও সোল্ডগ উনভালগায়। অর্থগিত মধুময় আবেদনে। কুকিলের ন্যায় বশ করা দূর, লয় ও তামে। সেই খুতবা আলিম সমাজকে নিয়ে গিয়েছিল চৌদ্দশ বছর পূর্বের পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রাঞ্জল ভাষা ও ভাবের মালিক আখেরী নবীর ভালে। যোগা ওয়ারিয়ে মনীর ঘুমুখে তারা যেন নবীকণ্ঠ শুনতে পাচ্ছিল।

সংস্থারদ গোকেরা বুঝে উঠতেই পারে নি যে, হযরত মাদানী জুমুআ পড়ান নি। যেহেতু কেউ এ ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন তুলে নি। কর্তৃপক্ষের জন্য এটা এক বিরাট রহমত হয়ে ওঠল। তারা প্রশ্নবান জনিত পেরেশানী থেকে রেহাই পেলেন।

এটা তাঁর আরবী বক্তৃতার বাস্তব রূপ। বাংলা বা উর্দু ভাষায়ও তিনি একই আদলে বক্তব্য দেন। যা শুনে শ্রোতাদের মাঝে বিরাজ করে পিনপতন নিরবতা। মন্ত্র মুগ্ধের মতো সবাই হাঁ করে বসে থাকে। যেন সবাই অমৃত গিলছে। জান্নাতি সুরের আবহে মজছে। হৃদয়ের পরতে পরতে পরম সুখ অনুভব করছে। তাঁর ভাষা যেমন সাহিত্য মানে উন্নীত। তেমনি আঞ্চলিকতার রেশ থেকেও শতভাগ মুক্ত। যা দীর্ঘ, অতি দীর্ঘ হলেও শ্রোতামণ্ডলী হয় না বিরক্ত। বরং হয়ে ওঠে ভক্ত ও অনুরক্ত। তবে তাঁর খুতবা বা বয়ান সুরসর্বস্ব নয়। যেমন মধুকণ্ঠী, তেমনি পাণ্ডিত্যপূর্ণ। তাঁর বয়ান থেকে সূর্য কিরণের মতো ইলমের আলো বিচ্ছুরিত হয়। যেভাবে জনসাধারণ উপকৃত হয়, সেভাবে আলিম সমাজেরও জ্ঞানের ঝুলি ভরে ওঠে। এজন্যই তো তিনি খতীবে যামান। বাস্তব অর্থে তাঁর বক্তব্য-

কবিতায় জ্ঞান আছে, আর বাগ্মীতায় জাদু আছে।

'কিছু কবিতায় প্রজ্ঞা থাকে আর কোনো কোনো বয়ানে থাকে যাদুর প্রভাব'। এ হাদীসের সাক্ষাৎ মিসদাক। যথার্থ প্রতিচ্ছবি। তাঁকে এই খেতাব যারা দিয়েছেন, তাদের অশেষ মুবারকবাদ।

আল্লাহ হযরত খান সাহেবকে সুস্থ সবল দীর্ঘ হায়াত দান করুন। এই কামনা রইল বিশ্ব-বিধাতার কাছে। আমীন।

লেখক পরিচিতি: মাওলানা ফয়জুল হাসান খাদিমানী সিনিয়র মুহাদ্দিস, জামেয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর, বিয়ানীবাজার।

08/08/2025

মৃত্যুর পর মানুষকে কবর দিবেন কি ভাবে এই বয়ান শুনে বুঝবেন। সুনামগঞ্জের রত্ন খতিবে যামান আল্লামা নূরুল ইসলাম খান।






খতিবে যামান আল্লামা নূরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী হুজুরের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও কর্ম জীবন।দেশ যখন পরাধীন ছিল তখন দ্বীনী ইলম...
07/08/2025

খতিবে যামান আল্লামা নূরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী হুজুরের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও কর্ম জীবন।

দেশ যখন পরাধীন ছিল তখন দ্বীনী ইলম অন্বেষণে তিনি পাকিস্তানে ছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার বেশ কিছু দিন পর আবার দেশে ফিরেন মা ও মাতৃভূমির টানে।

তখন ছিল ১৯৭৩ ইংরেজী। দেশে ফেরার পর হযরত শায়খে গাজীনগরী রাহ.

ও সদর সাহেব হুজুর রাহ. উভয় বুযুর্গ ১৪-১০-১৩৯৩ হিজরী মুতাবেক ১৩৮০ বাংলায় ১-১-১৯৭৪ ইংরেজিতে তাঁকে দারুল উলূম দরগাহপুর মাদরাসায় শিক্ষক পদে নিয়োগ দেন। এ সময় তাঁর শিক্ষাসাথী মুফতী শফিকুল আহাদ সরদার সাকিতপুরীকেও শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

একজন আদর্শ শিক্ষক:

মহান শিক্ষকতার গুরুদায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে চমৎকারভাবে শিক্ষাদানের মাধ্যমে ছাত্রদের অন্তরের মনিকোঠায় আসন গেড়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন। পাঠদান পদ্ধতি অভিনব হওয়ায়, উপস্থাপন আকর্ষণীয় হওয়ায়, তাঁর কথামালা শিক্ষকে পরিণত হন। অধ্যয়ন-অধ্যাপনায় তাঁর কোনো তুলনা নেই। পড়া-পড়ানো যেন তাঁর একমাত্র জীবন সাধনা। দরসে নেজামীর প্রায় সবকটি কিতাব তিনি দারুল উলুমে পড়িয়েছেন। তাঁর পড়ানোর সময় অতি সহজে ছাত্ররা কিতাব বুঝে নেয়। তাঁর পাঠদানের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তিনি ছাত্রদের সিগাহ ডাকেন, আরবী তারকিব জিজ্ঞেস করেন। কিতাবের ভাবার্থ, মর্মার্থ ছাত্রদের হৃদয়ঙ্গম করিয়ে দেন। যতো বড় মেহমান আসুক ক্লাস বর্জন করে তাকে সময় দেন না। সময় মতো তিনি ক্লাসে উপস্থিত হয়ে ঘণ্টার বড়ই পাবন্ধী করে থাকেন। বর্তমানে খান সাহেব হুজুরের মেহমানের আনাগোনা এবং অতিরিক্ত যিম্মাদারীর কারণে কেবল বুখারী শরীফের দরস দেন। কিন্তু নিয়মিত ক্লাস

করেন। বাদ ফজর খারিজিতেও নিয়মিত বুখারীর দরস দিয়ে থাকেন। এছাড়াও হুজুররা নিয়মিত ক্লাস করছেন কি না, সে ব্যাপারে পূর্ণ নযরদারী করেন। তালীমী তারাক্কীর বিষয়ে সদা তৎপর আছেন। কিতাবের নেসাব পূর্ণ করতে নিজেও সচেষ্ট থাকেন এবং অন্যদের উদ্বুদ্ধ করেন।

অনিবার্য কারণ ছাড়া নিয়মানুবর্তীতার ব্যতিক্রম করেন না। হুজুরের বুখারী শরীফের দরস দান চরম ঈর্ষণীয়। পরম আকর্ষণীয়। আমি নিজেও তাঁর কাছে পূর্ণ বুখারী শরীফ পড়েছি। কি চমৎকার উপস্থাপন। সৃষ্ট প্রশ্নের জবাব প্রদানে যেন তাঁর কোনো জুড়ি হয় না। তাঁর কাছে বুখারী শরীফ অধ্যয়ন করতে পেরে নিজেকে ধন্য ও গর্বিত মনে করি। বর্তমানে তিনি এক অনন্য ও বরেণ্য শায়খুল

হাদীস। মডেল শায়খুল হাদীস।

খতিবে যামান টিভি পেইজটি ফলো করে সাথে তাকবেন।

খতিবে যামান আল্লামা নূরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী হুজুরফুনুনের কিতাবাদী যাদের কাছে পড়েন ও মেট্রিক পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ। জামেয়...
06/08/2025

খতিবে যামান আল্লামা নূরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী হুজুর
ফুনুনের কিতাবাদী যাদের কাছে পড়েন ও মেট্রিক পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ।

জামেয়া মাদানিয়া লাহুরে তিনি ফুনুনাতে ফালাসিফা অধ্যয়ন করতে ভর্তি হন। সেখানে 'শামসে বাযেগাহ' কিতাবটি পড়েন জনাব মাওলানা শরীফুল্লাহ খান কাশ্মীরী রাহ. এর নিকট। যিনি শায়খুল হিন্দ রাহ. এর ছাত্র।

সদরা-পড়েন সায়্যিদ গুলইয়ার পেশওয়ারী রাহ. এর কাছে। খিয়ালী- শায়খ গাজীশাহ রাওয়ালপিণ্ডি রাহ. এবং মীর যাহিদ আর মোল্লা জালাল শায়খ করীমুল্লাহ খান পেশওয়ারী রাহ. এর নিকট পড়েন। হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ-পড়েন জনাব মাওলানা আব্দল কাইয়ূম খান পেশওয়ারী রাহ. এর নিকট।

মেট্রিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ:

এরপর তিনি মাদরাসায়ে তালীমুল ইসলাম করাচীতে ভর্তি হন। যেখানে জেনারেল ও জাগতিক শিক্ষার ব্যবস্থা ছিল। জনাব খান সাহেব সেখানে অধ্যয়ন করে মেট্রিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হন। সেখানকার তাঁর সাথী ছিলেন মুফতী শফিকুল আহাদ সরদার সাকিতপুরী, জনাব শামছুল ইসলাম খলিল সাহেবজাদায়ে হযরত শায়খে রেঙ্গা রাহ. প্রমুখ।

( খান সাব হুজুরের কথা আরো জানতে খতিবে যামান টিভি পেইজটি ফলো করে সাথে তাকেন।)

সুনামগঞ্জের রত্ন খতিবে যামান আল্লামা নূরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী,আল্লামা আব্দুল্লাহ দরখাস্তী রাহ. এর শিষ্যত্ব গ্রহণ:।১৩৯০...
05/08/2025

সুনামগঞ্জের রত্ন খতিবে যামান আল্লামা নূরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী,আল্লামা আব্দুল্লাহ দরখাস্তী রাহ. এর শিষ্যত্ব গ্রহণ:।

১৩৯০ হিজরী সনে তাকমীল ফিল হাদীস সমাপন করার পর মুফতী মাহম রাহ. তাঁর প্রিয় শাগরিদ জনাব খান সাহেব হুজুরকে পরামর্শ দিলেন হাফিযু হাদীস, শায়খুত তাফসীর হযরাতুল আল্লাম আব্দুল্লাহ দরখাস্তি রাহ. এর কালে কুরআন করীমের তাফসির পড়ে নিতে। তাই স্বীয় উস্তাদের নির্দেশে তাফসী শাস্ত্রে অগাধ পাণ্ডিত্ব অর্জন ও প্রভূত দক্ষতা লক্ষ্যে তাফসীর শাস্ত্রের উজ্জ নক্ষত্র হাফিযুল হাদীস আল্লামা আব্দুল্লাহ দারখাস্তীর রাহ. নিকট তাফসীর পড়তে খানপুরে চলে যান।

১৩৯০ হিজরীর শাবান ও রমজান দুটি বরকতপূর্ণ মাসে মহিমা মণ্ডিত কুরআন মজিদের পুরো তাফসির পড়ে নেন এবং তাঁর তাফসীরের ছাত্র হওয়ার গৌরব লাভ করেন।

পুনঃদাওরা পড়তে নুসরাতুল উলূমে ভর্তি:

১৩৯০ হিজরীতে ভর্তির সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার পর খান সাহেব হুজুর হাযির নুসরাতুল উলূমে হাযির হন। যদিও ভর্তির কোনো সুযোগ ছিল না তবুও ইলম তলবে গভীর আগ্রহ এবং তাঁর অনেক পীড়াপিড়ির ফলে তাঁর অনুনয়-বিনয়কে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ উপেক্ষা করতে পারলেন না। অবশেষে তাঁরা তাঁকে ভর্তি করতে বাধ্য হলেন। সেখানকার শায়খুল হাদীস ছিলেন যুবদাতুল মুহাক্কিকীন আল্লামা সরফরাজ খান সফদর রাহ.। তাঁর কাছ থেকে নিয়মতান্ত্রিক পড়ে বুখারী শরীফ ও তিরমিযী শরীফের সনদ গ্রহণ করেন। ১৩৯১ হিজরীতে সেখান থেকে ফেরাগত লাভ করেন।

এছাড়াও সেখানে তাঁর যে উস্তাদগণের নাম হুজুরের সনদে পাওয়া যায়। তাঁরা হলেন- হাফিয শব্বির আহমদ, আব্দুল্লাহ সাহেব, ইউসুফ সাহেব, আব্দুল হামিদ সাহেব, ঈসা সাহেব, আযীযুর রহমান সাহেব, উবায়দুল্লাহ সাহেব রাহ, প্রমুখ।

( সবাই খতিবে যামান টিভি পেইজটি ফলো করবেন)
"This content is fully owned and produced by Khatibe Jaman TV."

খতিবে যামান আল্লামা নূরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী হুজুর গুরু যেমন শিষ্য তেমন:।শাহবাযে সিয়াসত মুফতী মাহমুদ মুলতানী রাহ. পাকি...
04/08/2025

খতিবে যামান আল্লামা নূরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী হুজুর গুরু যেমন শিষ্য তেমন:।

শাহবাযে সিয়াসত মুফতী মাহমুদ মুলতানী রাহ. পাকিস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। পাকিস্তান পার্লামেন্টের জাদরেল সদস্য ছিলেন। মহান আল্লাহ তাঁকে এমন বাকপটুতা ও বাগ্মিতা দান করেছিলেন যে, কথিত আছে, তিনি যখন সংসদে প্রথম দিন যান, দেখতে পান মহিলা সাংসদ পুরুষ সাংসদের সাথে অবলীলায় হ্যান্ডশেক করে যাচ্ছে। পাকিস্তান সংসদের পুরুষ সদস্যগণ এবার চরম কৌতূহলী দৃষ্টিতে মুফতী মাহমুদ সাহেবের দিকে তাকিয়ে আছে। আর মনে মনে ভাবছে দেখি মুফতী সাহেবের ফতোয়া তাঁকে পরনারী স্পর্শ থেকে কীভাবে রক্ষা করে? এবার মহিলা সংসদ সদস্য, পুরুষ সদস্যদের সাথে হ্যান্ডশেক করে অবশেষে যখন মুফতী সাহেবের দিকে হাত বাড়িয়ে দিল- মুফতী সাহেব তখন বসা থেকে উঠে উভয় হাত প্রসারিত করে অপকটে বলতে লাগলেন- 'মুসাফাহা করনে সে মুআনাকা করনা বেহতর হ্যায়'। 'হ্যান্ডশেক করার চেয়ে তো আলিঙ্গন করাই উত্তম'। এসো একটু কোলাকুলি করে নিই! একথা বলার সাথে সাথে ওই মহিলা দূরে সরে গেল। ফলে নিন্দুকের সিন্ধুক বন্ধই রইল। অপেক্ষমান দর্শক সমালোচনা করার কোনো সুযোগ পেল না। এ ছিল মুফতী মাহমুদ মুলতানীর খোদাপ্রদত্ত জ্ঞান-গরিমা, বিচক্ষণতা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অবস্থা। বাতিল প্রতিরোধে কুট-কৌশল গ্রহণ ও ফলপ্রদ পলিসি অবলম্বনের ক্ষেত্রে জনাব খান সাহেব হুজুরকেও আল্লাহ তায়ালা স্বীয় উস্তাদের মতো ফিতনা-দমনে ও বাতিলের মুলোৎপাঠনে রাজনৈতিক প্রজ্ঞার দ্বারা কলা-কৌশল গ্রহণ করার যোগ্যতা দান করেছেন। জনাব মুফতী মাহমুদ মুলতানীকে যেভাবে দলমত নির্বিশেষে সকলই সমীহ করতেন, অনুরূপ খান সাহেব হুজুরকে

আপন-পর সবাই শ্রদ্ধা করে থাকে।
( আরো জানতে খতিবে যামান টিভি ফলো করে সাথে তাকবেন।)

03/08/2025

এই ঘটনা শুনলে আপনি আপনার চোখের পানি ধরে রাখতে পারবেন না। হযরত মোহাম্মদ সা: একা দ্বারে পাঁচ দিনের ক্ষুধার্ত।
খতিবে যামান আল্লামা নূরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী।




খতিবে যামান শায়খুল হাদীস আল্লামা নূরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী হুজুরের কাসিমুল উলুম মুলতানের উদ্দেশ্যে শুভযাত্রা:।দ্বীন অর্...
03/08/2025

খতিবে যামান শায়খুল হাদীস আল্লামা নূরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী হুজুরের কাসিমুল উলুম মুলতানের উদ্দেশ্যে শুভযাত্রা:।

দ্বীন অর্জনের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার মানসে ওই মহান জ্ঞান তাপস ভ্রমণ বিলাসি জনাব খান সাহেব হুজুর জ্ঞান আহরণে ১৩৮৯ হিজরী সনে এক অজানা অচেনা দেশে গুরুজনের দোয়া নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। এই হিজরীর শাওয়াল মাসে পাকিস্তানের কাসিমুল উলূম মুলতানে দাওরায়ে হাদীসে ভর্তি হন। সেখানে জামে সহীহ বুখারী শরীফ প্রথম খণ্ড ও জামে তিরমিযী প্রথম খণ্ড পড়েন রাজনৈতিক ময়দানের সিপাহসালার, ফকীহুল আসর, মুফতী মাহমুদ মুলতানীর নিকট। সহীহ মুসলিম শরীফ ও তিরমিযী শরীফ দ্বিতীয় খণ্ড পড়েন আল্লামা মুসা খান রুহানীবাযি রাহ. এর নিকট। এবং আবু দাউদ পড়েন আল্লামা ফয়েজ আহমদ রাহ. এর কাছে। আর সহীহ বুখারী প্রথম খণ্ডের শেষ ভাগ পড়েন মুফতী আব্দুল্লাহ রাহ.এর নিকট। এছাড়াও তাঁর হাদীসের সনদে উস্তাদে হাদীস হিসেবে যাঁদের নাম পাওয়া যায় তাঁরা হলেন আল্লামা গোলামগৌছ হাযারবী রাহ., আল্লামা মুহা. শফি রাহ., আল্লামা মাসউদ রাহ., আল্লামা শামসুদ্দিন কাসেমী রাহ., আল্লামা আব্দুল গফুর রাহ., আল্লামা আব্দুল হাকিম, আল্লামা উবায়দুল হক প্রমুখ।

জামেয়া কাসিমুল উলুমে তিনি ছিলেন মাতিনে হাদীস। মুফতী মাহমুদ মুলতানীর কাছে হাদীসের মতন পড়া চাট্টিখানি কথা নয়। যাঁকে আল্লাহ তায়ালা ওই যোগ্যতা দিয়েছেন তাঁর দ্বারাই তা সম্ভব। এরপর তিনি ১৩৯০ হিজরীতে জামেয়া কাসিমুল উলূম থেকে হাদীস চর্চা ও গবেষণা হতে ফেরাগত লাভকরেন। সেখানে তাঁর একনিষ্ট সাথী ছিলেন শফিকুল আহাদ সরদার সাকিতপুরী (রহ.)

( ইনশাআল্লাহ সাবাই খতিবে যামান টিভি পেইজটি ফলো করে সাথে তাকবেন।)

খতিবে যামান আল্লামা নূরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী হুজুর উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য পাকিস্তান গমন:।খলীফায়ে মাদানী মদফুনে মক্কী শা...
02/08/2025

খতিবে যামান আল্লামা নূরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী হুজুর উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য পাকিস্তান গমন:।

খলীফায়ে মাদানী মদফুনে মক্কী শায়খ আব্দুল হক গাজীনগরী রাহ. এর উস্তাদে মুহতারাম হযরত মাওলানা আব্দুল মুসাব্বির চৌধরী রাহ, যিনি সিলেট ওসমানী নগর থানাধীন পারকুল গ্রামের অধিবাসী, অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত পরিবারের লোক ছিলেন। দ্বীন প্রচারে ব্রত হয়ে সুদূর সুনামগঞ্জ জেলার ভাটি অঞ্চল দরগাহপুর গ্রামে এসে, সুফি সাহেব হুজুরকে নিয়ে দারুল উলূম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। উক্ত এলাকায় তাঁর প্রভাব-প্রতিপত্তি বিদ্যমান ছিল। দরগাহপুর থেকে বিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার পরও আমাদের এলাকায় আসা-যাওয়া করতেন। এরই মাঝে একদিন খান সাহেব হুজুরের মাঝে নববী ইলমের নুরের আভা প্রস্ফুটিত দেখে তাঁকে স্বপ্নেহে অসিয়ত করে বললেন, তুমি ইলমে হাদীস হয়তো আল্লামা মুশাহিদ বায়মপুরীর নিকট পড়বে, নয়তো শাহবাযে সিয়াসত মুফতী মাহমুদ মুলতানীর নিকট পড়বে। তাঁর কথাটি খান সাহেব হুজুরকে রেখাপাত করল।
এবং তাঁকে এমনভাবে প্রভাবিত করল তিনি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিলেন পাকিস্তান গিয়ে মুফতী মাহমুদ মুলতানীর কাছে হাদীস অধ্যয়ন করে উক্ত শাস্ত্রে উচ্চ ডিগ্রি লাভ করবেন। যেই ভাবা সেই কাজ।

(আরো জানতে পেইজটি ফলো করে সাথে তাকবেন)

খতিবে যামান আল্লামা নূরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী হুজুরের দারুল উলুম দরগাহপুরে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন উস্তাদ:।১. খলীফায়ে মাদানী...
01/08/2025

খতিবে যামান আল্লামা নূরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী হুজুরের দারুল উলুম দরগাহপুরে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন উস্তাদ:।

১. খলীফায়ে মাদানী মদফুনে মক্কী শায়খ আব্দুল হক গাজীনগরী রাহ.। ২. খলীফায়ে শায়খে কৌড়িয়া শায়খ আব্দুল মালিক সদর সাহেব রাহ.। তাঁরা উভয়ে দারুল উলূমের ক্ষেত্রে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠের মতো ছিলেন। শায়খে গাজীনগরী ছিলেন সুদীর্ঘকালের মুহতামিম। এবং সদর সাহেব ছিলেন দীর্ঘ দিনের নাযিমে তালীমাত। মহান আল্লাহ যেন উভয় বুযুর্গের শ্রমের উত্তম বদলা দান করেন। ৩. খলীফায়ে শায়খে কৌড়িয়া শায়খ আব্দুল হান্নান পাগলার হুজুর রাহ। যিনি আযাদ দ্বীনী এদারা বোর্ডের নির্বাহি সদর ছিলেন। 'জামেয়া পাগলা' নামে তাঁর প্রতিষ্ঠিত একটি মাদরাসা রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন মাদরাসায় তিনি শায়খুল হাদীস ছিলেন। ৪. হযরত মাওলানা আব্দুল জলিল বাঘার হুজুর রাহ.।

৫. হযরত মাওলানা আব্দুল মান্নান শাল্লার হুজুর রাহ.। যিনি দীর্ঘদিন জামেয়া হুসাইনিয়া সৈয়দপুরে ইলমে দ্বীনের খিদমতে নিয়োজিত ছিলেন। জামেয়া ইসহাকপুরেও পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ৬. হযরত মাওলানা হুসাইন আহমদ সাহেব চান্দিপুরী। যিনি এখনো জীবিত আছেন। আল্লাহ যেন তাঁকে আরো নেক হায়াত দান করেন। যিনি কাশিপুর মাদরাসার মুহতামিম পদে এবং হালিমাতুস সাদিয়াহ দিরাই মহিলা মাদরাসায় হাদীসের খিদমতে নিয়োজিত আছেন। ৭. হা. রজব আলী রাহ., চাতলপাড়, দিরাই। ৮. মাস্টার আব্দুল ওয়াহহাব রাহ., ফেঞ্চুগঞ্জী। ৯. ক্বারী কমর উদ্দীন সাহেব রাহ., সেছনী ১০. ক্বারী রইছ উদ্দীন রাহ, হাসারচরী। যিনি দারুল উলুমে প্রায় পয়ত্রিশ বছর সহীহ-শুদ্ধভাবে কুরআন হাকীমের দারস দিয়েছেন।

( আরো জানতে খতিবে যামান টিভি পেইজটি ফলো করে সাথে তাকবেন।)

খতিবে যামান আল্লামা নূরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী হুজুরের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা:।১৩৮৫ হিজরী সনে জনাব খান সাহেব দারুল উলুম দরগ...
31/07/2025

খতিবে যামান আল্লামা নূরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী হুজুরের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা:।

১৩৮৫ হিজরী সনে জনাব খান সাহেব দারুল উলুম দরগাহপুরেই আলীয়া আউয়াল বা কাফিয়া জামাত পড়েন। ১৩৮৬ হিজরী সনে শরহে জামি জামাত বা আলিয়া দুওম পড়েন। তখন ইলমে নাহুর এ দুটি কিতাব পড়েন মুহাক্কিক আলেমে দ্বীন কবি আল্লামা আব্দুল মান্নান শাল্লার হুজুর রাহ. এর নিকট। এবং ইলমে ফেকাহর কিতাব হেদায়া ১ম খণ্ড পড়েন সর্বজনাব আব্দুল মালিক সদর সাহেব হুজুর রাহ. এর কাছে।

উল্লেখ্য যে, তাঁর অত্যন্ত প্রিয় সাথী জনাব মুফতী শফিকুল আহাদ সাকিতপুরী (র:) কাফিয়া জামাতে তাঁর সাথে ভর্তি হন। এরপর লেখাপড়ার প্রতিযোগিতায় বাঘ-সিংহের লড়াই শুরু হয়। জনাব খান সাহেব হুজুর তখন থেকেই লেখাপড়ায় বেশ মনোযোগী ছিলেন। তিনি সাথীদেরকে নিয়ে কঠিন কঠিন কিতাবগুলোর নিয়মিত তাকরার করতেন। রাত এগারোটার পূর্বে ঘুমাতেন না। আরবী কবিতা আছে-

بقدر الكد تكتسب المعالى : ومن طلب العلى سهر الليالي 'শ্রমেতে লক্ষ্যার্জনে মানুষ হয় মহামান্য নিশি জাগে যে সমাজে হতে চায় ধন্য'।

খান সাহের হুজুর চরম কষ্ট ও মেহনতের সাথে লেখাপড়া করায় আজ সর্ব মহলে অনন্য, বরেণ্য হয়েছেন। ইজ্জত ও সম্মানের উচ্চাসন লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন।

একদা তাঁর প্রিয় উস্তাদ মাওলানা আব্দুল মান্নান শাল্লার হুজুর রাহ. তাঁকে প্রেরণা যোগানোর ছলে বললেন, সাকিতপুরের শফিকুল আহাদের তো দুরুসুল বালাগাত কিতাবটি আদ্যোপান্ত মুখস্থ। তখন জনাব খান সাহেব হুজুর স্বীয় উস্তাদকে আদবের সাথে মৃদু হেসে বললেন, হুজুর আমার তো সে কিতাবটির (হাশিয়া) পার্শ্বটিকা পর্যন্ত মুখস্থ। শাল্লার হুজুর তাঁর ওই কথার সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে কয়েক জাগায় (হাশিয়া) সহ জিজ্ঞেস করলেন। বিস্ময়ের বিষয় হচ্ছে, জনাব খান সাহেব উস্তাদে মুহতারামের জিজ্ঞাসিত সব জায়গা থেকে অনায়াসে জবাব দিলে, উস্তাদ এতে অবাক-হতবাক হয়ে এমন ছাত্রের ইলমী তারাক্বীর জন্য মন-প্রাণ উজাড় করে দোয়া দিলেন।

এরপর ১৩৮৭ হিজরী সনে জনাব খান সাহেব হুজুর (দা.বা.) মুখতাসারুল মাআনী বা আলিয়া ছুওম জামাতে চরম আগ্রহের সাথে লেখাপড়া করেন। তখন ইলমে মাআনীর সর্বোচ্ছ কিতাব মুখতাসারুল মাআনী পড়েন প্রথিতযশা আলেমেদ্বীন কাইদুল উলামা, ইমামে মাদানী শায়খ আব্দুল করীম রাহ.-র খলীফা শায়খ আল্লামা আব্দুল হান্নান পাগলার হুজুর রাহ.-র কাছে। তাঁর কাছ থেকে অনেক ইলমী ফায়দা লুটতে থাকেন। অবশেষে আযাদ দ্বীনী এদারা বোর্ড কর্তৃক চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রশংসনীয় ফলাফল লাভ করেন।

এরপর ১৩৮৮ হিজরী সনে জনাব খান সাহেব হুজুর ইলমে নববীর আহরণে অধীর আগ্রহ থাকায়; তৃষ্ণার্থ হৃদয়ে চলে যান ঢাকা উত্তর রানাপিং মাদরাসায়।

সেখানে এক সপ্তাহ অবস্থান করে লেখাপড়ার মান পর্যবেক্ষণ করে চলে যান জামেয়া ইউনুছিয়া বি-বাড়িয়ায়। সেখানে গিয়ে তাফসীরে জালালাইন পড়েন মুফাসিসর হুজুর- যিনি বড় হুজুর নামে খ্যাত, আল্লামা সিরাজুল ইসলাম রাহ. এর কাছে। এবং উসুলে ফেকাহ শাস্ত্রের সর্বোচ্চ কিতাব হুসামী পড়েন আল্লামা মুফতী নূরুল্লাহ রাহ. এর নিকট। আরও অন্যান্য কিতাব বিখ্যাত মনীষীদের কাছে পড়েন বটে; কিন্তু ওই সকল তারকাদের খাচা ইলমেদ্বীনের পিপাসার্ত খান সাহেবকে আটকিয়ে রাখতে পারে নি। তিনি আবার নাড়ীর টানে দারুল উলূম দরগাহপুর মাদরাসায় দিকে প্রত্যাবর্তন করেন। ঘরের সন্তান ঘরে ফিরেন। মনোযোগ সহকারে বছরের অবশিষ্ট দিনগুলো লেখাপড়া করতে থাকেন।

এরপর তিনি ১৩৮৯ হিজরী সনে মিশকাত জামাত বা আলিয়া পাঞ্জমে (যা

বর্তমানে ফযিলত দ্বিতীয় বর্ষে) ওঠেন। দরসে নেযামীর হাদিসের জগৎবিখ্যাত কিতাব মিশকাতুল মাসাবিহ ও তাফসীরে বায়যাবী পড়েন শায়খ আব্দুল হান্নান পাগলার হুজুর রাহ. এর নিকট।

খান সাহেব হুজুর ও মুফতী শফিকুল আহাদ সরদার তারা উভয়ে প্রবল আগ্রহ ও দূর্দান্ত মনোবল এবং প্রবল প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্ধিতা সহকারে লেখা-পড়া করে- মিশকাত জামাতে আযাদ দ্বীনী এদারা বোর্ডের মারকাযী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আশাতীত ফলাফল লাভ করে বোর্ডে রেকর্ড সৃষ্টি করেন।

জনাব খান সাহেব হুজুর ৩১৭ মার্ক পেয়ে বোর্ডে প্রথম স্থান আর মুফতী শফিকুল আহাদ সরদার সাকিতপুরী ৩১৬ মার্ক পেয়ে বোর্ডে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। উল্লেখ্য যে, তখন সাবজেক্ট প্রতি মার্ক বা নাম্বার ছিল পঞ্চাশ।

( ইনশাআল্লাহ হুজুরের বিষয়ে আরো জানতে খতিবে যামান টিভি পেইজটি ফলো করে সাথে তাকবেন।)

খতিবে যামান আল্লামা নূরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী হুজুরের প্রাথমিক শিক্ষা:।১৩৬৪ বাংলার ২৩ শে ফাল্গুন মোতাবেক ১৯৫৮ ইংরেজির ৯...
30/07/2025

খতিবে যামান আল্লামা নূরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী হুজুরের প্রাথমিক শিক্ষা:।

১৩৬৪ বাংলার ২৩ শে ফাল্গুন মোতাবেক ১৯৫৮ ইংরেজির ৯ই মার্চ জনাব খান সাহেব হুজুর দরজায়ে হিফযে বেশি দিন সময় ব্যয় না করে জামাতে ভর্তি হয়ে যান। আল্লাহ প্রদত্ত স্মৃতি ও মেধাশক্তির বলে অল্প দিনেই প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন, এমনকি আনুমানিক ১৩৮০ হিজরী সনে ইবতেদাইয়া ৫ম বর্ষে আযাদ দ্বীনী এদারা বোর্ডের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ঈর্ষণীয়ভাবে মার্ক পেয়ে মাদরাসার সুনাম অক্ষুন্ন রাখেন। বলা বাহুল্য যে, শায়খ আব্দুল মালিক সদর সাহেব হুজুরের মুখ থেকে বহুবার শুনেছি জনাব খান সাহেব হুজুর ইবতেদাইয়া ৫ম বর্ষে অধ্যয়ন কালে এতো ছোট ছিলেন। তিনি তাঁকে কোলে করে লঞ্চে উঠিয়ে বৃত্তি পরীক্ষার সেন্টারে নিয়ে গেছেন। মক্তব শিক্ষাগ্রহণ কালে তাঁর সাথী ছিলেন গাজীনগর নিবাসী জনাব আযহার আলী রাহ. প্রমুখ।

মাধ্যমিক শিক্ষা:

এবার শুরু হয় চরম উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে তাঁর মাধ্যমিক শিক্ষা। হিজরী সন আশির দশকের পর ছাফেলা ১ম বর্ষে পড়েন। এরপর গতানুগতিকভাবে লেখাপড়া করে ছাফেলা ২য় বর্ষে উঠেন। সে সময় উক্ত জামাতের উল্লেখযোগ্য কিতাব যেমন মিযান, মুনশাইব, পাঞ্জগঞ্জ, মালাবুদ্দা মিনহু পড়েন সর্বজনাব সদর সাহেব হুজুর নামে খ্যাত মাওলানা আব্দুল মালিক শায়খে গাজীনগরীর নিকট।

মুতাওয়াসসিতাহ ৪র্থ বর্ষে অধ্যয়ন কালে ইলমে সারফের গুরুত্বপূর্ণ কিতাব ফুসুলে আকবরী পড়েন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানাধীন ডুংরিয়া নিবাসী জনাব আব্দুল কাইয়ুম রাহ. এর কাছে। এবং উক্ত জামাতের উল্লেখযোগ্য কিতাব হিদায়াতুন্নাহু পড়েন সদর সাহেব হুজুর রাহ, এর নিকট। এরপর আযাদ দীনি এদারা বোর্ডের ছাফেলা ৪র্থ বর্ষের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৩৮৪ হিজরী সনে চরম কৃতিত্বের সাথে বৃত্তি পান।

( হুজুরের বিষয়ে আরো যানতে খতিবে যামান টিভি পেইজটি ফলো করে সাথে তাকবেন।)

Address

Shantiganj, Sunamganj
Sylhet
3000

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Khatibe Jaman Tv posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category