13/10/2025
বন্ধুদের উদ্দেশে আবেগঘন বার্তা জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা
অনলাইন ডেস্ক ডেস্ক::র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-এর সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা,সিলেটের গোয়াইনঘাটের কৃতি সন্তান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার রানা বর্তমানে সেনা হেফাজতে আছেন।
হেফাজতে নেওয়ার আগে তিনি বন্ধুদের উদ্দেশে এক আবেগঘন ও দৃঢ় প্রত্যয়ের বার্তা পাঠান, যা তার মেয়ে রামিশা মোস্তফা সোমবার সকাল ১০টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন।
রামিশা জানান, হেফাজতে যাওয়ার পূর্বে তার বাবা বন্ধুদের উদ্দেশে হৃদয়স্পর্শী বার্তাটি পাঠিয়েছিলেন। সেই বার্তায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা লিখেছেন।
বর্তমানে আমি একটি আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী, ইনশাআল্লাহ সবকিছু শেষে তোমাদের সঙ্গে দেখা হবে। কোনো একদিন জিন্দাবাজার কিংবা আম্বরখানার কোনো রেস্টুরেন্টে বসে আবারও চা খেতে পারব।
তিনি আরও লেখেন,
সেনাবাহিনীতে যোগদানের আগে কিংবা তরুণ বয়সে বিদেশে পড়াশোনা ও স্থায়ীভাবে মাইগ্রেশনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আমি নিজ ইচ্ছায় দেশে থেকেছি। ইনশাআল্লাহ, শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত এই দেশেই থাকব। প্রয়োজনে ফাসিতেও হাসব— তবুও এই মাটিতেই রয়ে যাব।
নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তিনি আরও বলেন,
আমার জ্ঞান অনুযায়ী আমি কারও ক্ষতি করিনি, ক্ষমতার অপব্যবহার করিনি। তাই এটিকে আমি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি পরীক্ষা হিসেবে দেখছি। অনেক মহৎ মানুষকেও আল্লাহ পরীক্ষা করেছেন। আমি একজন সাধারণ মানুষ— তবুও এই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আল্লাহ আমাকে মানুষ ও পৃথিবীকে নতুনভাবে চেনার সুযোগ দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ।
বন্ধুদের উদ্দেশে দোয়া চেয়ে তোফায়েল মোস্তফা লিখেছেন,
যদি মনে করো আমি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত নই, তাহলে দোয়া করো যেন সসম্মানে ফিরে আসতে পারি। আর যদি প্রমাণ হয় আমি দোষী, তাহলেও দোয়া করো যেন যথাযথ শাস্তি পাই। আমি শুধু চাই, প্রতিহিংসা বা চাপের কারণে কোনো নিরপরাধ মানুষ যেন শাস্তি না পায়— এতে জুলাই শহিদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি হবে। ইনশাআল্লাহ সুবিচার হবে, শুধু দোষীরাই শাস্তি পাবে।
শেষে নিজের দৃঢ়তা প্রকাশ করে তিনি লেখেন,
পালিয়ে যাওয়ার জন্য রানা জন্মায়নি। সৎ সাহস নিয়ে হাসিমুখে যেকোনো পরিণতি বরণ করার নৈতিক দৃঢ়তা আমার রয়েছে। ইনশাআল্লাহ।
দেশের একজন সৎ, নীতিবান ও দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তা হিসেবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার রানার সুনাম রয়েছে। তিনি র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ছাড়াও সেনাবাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সূত্র: রামিশা মোস্তফার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্ট ও পারিবারিক সূত্র।