আ বে গী ম ন

আ বে গী ম ন মানুষ তো খেলনা নয়, হাসবে,গাইবে,যোদ্ধ করবে এটাই তো তার পরিচয়। এখানে সব ধরনের ভিডিও পাবেন

29/10/2025

২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে লাচো মাছ—মনু নদীতে জেলেদের ব্যস্ততা, মৌলভীবাজার

29/10/2025

সম্পর্ক কত দিনের সেটা বড় বিষয় না, বড় বিষয় সম্পর্কের গুরুত্ব আর গভীরতা কতটুকু।

29/10/2025

- তোমাকে না জানিয়ে তোমার এই কালো কুচকুচে চুল সাদা করে দিবো..!!🥲🖤🥀

হুম❤️❤️❤️
29/10/2025

হুম❤️❤️❤️

❤️❤️❤️❤️
29/10/2025

❤️❤️❤️❤️

🟢সত্যিই কী শেখ হাসিনা মারা গেছেন, যা জানা গেলসামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোতে সম্প্রতি একটি ছবি ব্যাপক হারে ভাইরা...
29/10/2025

🟢সত্যিই কী শেখ হাসিনা মারা গেছেন, যা জানা গেল

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোতে সম্প্রতি একটি ছবি ব্যাপক হারে ভাইরাল হয়েছে, যা নিয়ে দেশজুড়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে তীব্র বিভ্রান্তি এবং আলোচনার সৃষ্টি হয়। ছবিটি বাংলাদেশের পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত বা বিরল মুহূর্তের ছবি হিসেবে দাবি করা হচ্ছিল এবং এটি হাজার হাজার বার শেয়ার হয়। এর ফলে অনলাইনে নানা ধরনের গুজব ও বিতর্ক তৈরি হয়। এ নিয়ে রিউমার স্ক্যানার ফ্যাক্টচেক করেছে।

তবে ছবিটির সত্যতা যাচাইয়ের পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য। ছবিটি আসলে শেখ হাসিনার নয়, বরং প্রতিবেশী দেশ ভারতের ভিন্ন এক নারীর। প্রযুক্তির অপব্যবহার কিংবা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভুল ব্যাখ্যার মাধ্যমে এই ছবিটি বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ছবি হিসেবে প্রচার করা হচ্ছিল। এই ধরনের মিথ্যা দাবি রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা নাকি শুধুমাত্র মনোযোগ আকর্ষণ করার কৌশল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বিশেষজ্ঞরা এই প্রবণতাকে ‘ডিজিটাল গুজব’ বা ভুল তথ্যের বিস্তার হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তারা বলছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য অথবা কেবল ক্লিক ও রিচ বাড়ানোর জন্য এই ধরনের বিভ্রান্তিকর ছবি ও তথ্য ছড়ানো সাইবার অপরাধের একটি অংশ। এই প্রবণতা কেবল দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলেও অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে, যেখানে তথ্যের দ্রুত যাচাই-বাছাই অত্যন্ত জরুরি, সেখানে এই ধরনের ভুল তথ্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পায়।

বিভ্রান্তি দূর করতে গিয়ে এর আগেই সরকার দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে যে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এই ধরনের ভুল তথ্যের বিস্তার রোধে সরকারি মহল থেকে সাধারণ নাগরিকদের প্রতি জোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

সবাইকে অনুরোধ করা হয়, কোনো ছবি বা তথ্য প্রচারে অংশ নেওয়ার আগে অবশ্যই তার উৎস এবং সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত নির্ভরযোগ্য সূত্র ছাড়া বা যাচাই না করে কোনো কিছু শেয়ার করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর বিরুদ্ধে সরকার কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেবে বলেও সংশ্লিষ্ট মহল থেকে জানানো হয়েছে।

এর আগেও একই ছবি নিয়ে বানানো একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। দাবি করা হয়, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের খবর শুনে তিনি ভারতের নয়াদিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ওই ফটোকার্ডে শেখ হাসিনার একটি ছবিও ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে, এটা শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক কোনো ছবি নয় বরং, ভিন্ন এক নারীর ছবি এডিট করে এটি বানানো। ৮২ বছর বয়সী এই নারী যাত্রীকে দিল্লি বিমানবন্দরে হেঁটে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। তার পরিবার আগে থেকে হুইলচেয়ার বুক করে রেখেছিল তা স্বত্বেও এয়ার ইন্ডিয়া তাকে হুইলচেয়ার সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছিল। বেঙ্গালুরুতে পৌঁছানোর পর এই বৃদ্ধা অসুস্থ হয়ে পড়ে যান এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এই ঘটনাটি ২০২৫ সালের ১২ মে আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার আগের। তাই ফ্যাক্টওয়াচের বিবেচনায় ভাইরাল ফটোকার্ডটি বিকৃত।

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান: ছড়িয়ে পড়া ফটোকার্ডটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ১৩ মে ২০২৫ উল্লেখ করা হয়। এই ফটোকার্ডে শেখ হাসিনার হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকার ছবি দাবিতে যেই ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে তার উৎস খোঁজার জন্য রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হয়। এর ফলে ফার্স্টপোস্ট এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ২০২৫ সালের ৮ মার্চ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে উক্ত ছবির মত একটি ছবি পাওয়া যায়। সেখানে শেখ হাসিনা নয় বরং, ভিন্ন এক নারীকে দেখতে পাওয়া যায়। এই নারীর মুখের শেখ হাসিনার ছবি যুক্ত করে বিকৃত করা হয়েছে।

এই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ৮২ বছর বয়সী এই নারীর হাঁটতে সমস্যা থাকায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে হুইলচেয়ারের জন্য বুকিং দেওয়া ছিল। কিন্তু দিল্লি বিমানবন্দরে তার জন্য হুইলচেয়ার সরবরাহ না করার কারণে তাকে টার্মিনালে পৌঁছানোর জন্য বেশ কিছুটা পথ হেঁটে যেতে হয়েছিল। এর ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ে যান এবং তাকে আইসিইউতে ভর্তি করতে হয়। তিনি এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রী হওয়ার কারণে এই ঘটনার পরে এয়ারলাইন্সটি বিতর্কের মুখে পড়ে।

পরবর্তীতে, হিন্দুস্তান টাইমসের প্রকাশিত আরেকটি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, আলোচিত এই নারীর নাম রাজ পাসরিচা যিনি ভারতীয় এক সেনা কর্মকর্তার বিধবা স্ত্রী। ৪ মার্চ এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিলেন রাজ পাসরিচা। তিনি একটি হুইলচেয়ার আগে থেকে বুক করেছিলেন, যা এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। কিন্তু পরিবার বিমানবন্দরে পৌঁছালে, এয়ার ইন্ডিয়া অনুরোধকৃত হুইলচেয়ারটি সরবরাহ করেনি। এই তথ্যের সোর্স হিসেবে তার নাতনি পারুল কানওয়ারের এক্স-এ করা একটি পোস্টকে ব্যবহার করা হয়।

এনডিটিভি, টাইমস অফ ইন্ডিয়া, ইকোনমিক টাইমস এবং এ বি পি লাইভ-এ একই ঘটনা সম্পর্কিত রিপোর্ট খুঁজে পাওয়া যায়।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় চলতি বছরের ১২ মে।

দেখা যাচ্ছে যে, রাজ পাসরিচার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার অনেক পরে আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়। পাশাপাশি ভিন্ন এক নারীর স্থানে শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করে বিকৃত করা হয়েছে। অন্যদিকে মূলধারার কোনো সংবাদ মাধ্যমেও শেখ হাসিনার মৃত্যু সম্পর্কিত নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

তাই, উপরের উল্লেখিত প্রমাণের ভিত্তিতে ভাইরাল হওয়া ছবিটিকে ফ্যাক্টওয়াচ “বিকৃত” হিসেবে সাব্যস্ত করছে।

সূত্রঃআমার সংবাদ

ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনক হীরালাল সেন (জন্মঃ- ১৮৬৬ - মৃত্যুঃ- ২৯ অক্টোবর, ১৯১৭)ছাত্র অবস্থায় তিনি চলচ্চিত্রের প্রতি আগ্রহী ...
29/10/2025

ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনক
হীরালাল সেন (জন্মঃ- ১৮৬৬ - মৃত্যুঃ- ২৯ অক্টোবর, ১৯১৭)

ছাত্র অবস্থায় তিনি চলচ্চিত্রের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ১৯০০ সালে ফরাসি কোম্পানি ভারতীয় উপমহাদেশের রাজাদের হাতি, ঘোড়া, উট, ইত্যাদি সহ শোভাযাত্রা, সাপের খেলাসহ বিভিন্ন ধরনের খেলার ছবি তুলে ইউরোপ, আমেরিকায় দেখাত। আর এর জন্য তারা এদেশে কিছু ক্যামেরাম্যান নিয়ে আসেন ছবি তোলার জন্য। হীরালাল তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক করেন এবং তাদের কাছ থেকে ক্যামেরা চালানো শেখেন। আই, এস, সি পড়ার সময় তিনি লেখাপড়া বাদ দিয়েই চলচ্চিত্র পেশায় যোগদেন। ১৮৯৮ সালে হীরালাল সেন ও তার ভাই মতিলাল সেন রয়েল বায়োস্কোপ কোম্পনি তৈরি করেন। এরপর শুরু করে দেন বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনী। ১৮৯৯ সালে মিনারভা রঙ্গমঞ্চ ভাড়া করে একটি প্রদর্শনী করেন যা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এই সব প্রদর্শনীতে সাফল্য অর্জন করার পর তিনি চিত্র নির্মাণের চিন্তা শুরু করেন। কিন্তু তাঁর নিজের কোন ক্যামেরা ছিলনা। প্যাথে ফ্রেবিজা ও আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ক্যামেরা ভাড়া নিয়ে অনেক ধরনের ছবি তোলা শুরু করেন। কিছু দিন পর নিজেই ক্যামেরা কেনার চিন্তা করেন। ১৯০০ সালে রয়েল বায়স্কোপ কোম্পানি লন্ডন ওয়ারউইক ট্রেডিং কোম্পানি থেকে ক্যামেরা প্রজেক্টিং মেশিন ও বিভিন্ন ধরনের চলচ্চিত্রের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানি করে। হীরালাল সেন এরপর থেকে শুরু করেন নিজের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা ও চলচ্চিত্র নির্মাণ। হীরালাল সেনের সুনাম দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। নিজের ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবির প্রদর্শনীতে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেন।

১৯০১ সালে ৯ ই ফেব্রুয়ারি ক্লাসিক থিয়েটার চিত্রায়িত করেন কিছু বাংলা নাটকের বিশেষ বিশেষ দৃশ্য। এর মধ্য ছিল আলী বাবা, সীতারাম, হরিপদ, ভ্রমর, সরলা, দোলযাত্রা, বন্ধু ইত্যাদি। ১৯০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর তিনি ব্যবসায়িকভাবে চিত্র প্রদর্শনী শুরু করে। তাঁর প্রদর্শনী দেখার জন্য আসেন প্রধান বিচারপতি স্যার উইলিয়াম ম্যাকমিলান। হীরালাল সেন তাঁর নিজ গ্রাম বগজুরিতে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেন। তিনি তাঁর বাড়ির নাট মন্দিরে ১৯০২ থেকে ১৯০৫ সালে পর্যন্ত তিনি প্রদর্শনী চালু রাখেন। ১৯০০ সালে ২ ফেব্রুয়ারি তার প্রতিষ্টিত রয়েল বায়স্কোপ কোম্পানি কলকাতার বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তির বাসভবনে প্রদর্শনী করেন। তিনি একই সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রামে গঞ্জে এবং উড়িষ্যা উত্তর প্রদেশে ও বিহারে বিভিন্ন স্থানে বায়স্কোপ প্রদর্শন করেন। হীরালাল সেন তার ছোট ভাই মতিলাল সেন ও দোকিলাল সেন এবং তাঁর বোনের ছেলে ডোলনাথ সেন কে নিয়ে দি রয়েল বায়োস্কোপ কোম্পানি ব্যানারে প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেন। তিনি তার নিজ গ্রামে বগজুরিতে প্রতিষ্টা করেন ফটোগ্রাফি প্রতিষ্ঠান, অমরাবতী ফাইন আর্টস এসোসিয়েশন এবং এইচ,এল সেন এ্যান্ড ব্রাদার্স। ১৯০২ সালে তিনি শরীয়তপুর জেলার পালং থানায় বয়স্কোপ প্রদর্শনী করেন। তিনি যখন ঢাকার কলেজিয়েট স্কুলে পড়তেন তখনই তিনি ফটোগ্রাফির প্রতি আকৃষ্ট হন।
..........
তথ্য সংগৃহীত - প্রতাপ সাহা (https://www.facebook.com/pratapcsaha)। ধন্যবাদ।.........
জন্ম
বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার হীরালাল সেন তৎকালীন ঢাকা জেলার মানিকগঞ্জ মহকুমার বগজুরি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তাঁর জন্ম তারিখ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তাঁর বাবার নাম ছিল চন্দ্রমোহন সেন ও মায়ের নাম বিধুমুখী। হীরালাল সেন এর পারিবারিক বংশ ছিল মুনশী।

শিক্ষা জীবন
হীরালাল সেনের শিক্ষা জীবন শুরু হয় মানিকগঞ্জের বগজুরি গ্রাম থেকেই। তিনি প্রথম অবস্থাতে তিনি পরিবার থেকেই শিক্ষা গ্রহন করেন। হীরালাল সেন ও ডঃ দীনেশ চন্দ্র সেন ছিলেন সমবয়সী। ধারনা করা হয়, হীরালাল সেন মানিকগঞ্জের মাইনর স্কুলে পড়ালেখা করেছেন। এরপর ১৮৯৫-১৮৯৬ সালের দিকে হীরালাল সেন ভর্তি হন কলেজিয়েট স্কুলে। তাঁর বাবাসহ পরিবারের সকলেই কলকাতায় চলে যাওয়ার ফলে তিনি সেখানে একটি কলেজে আই, এস, সি তে ভর্তি হন। পড়ালেখার প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিল কম। কলেজে পড়া অবস্থাতেই তিনি চলচ্চিত্রের সাথে জড়িয়ে পড়েন এবং সেখানেই তিনি পড়ালেখার ইতি টানেন।

শেষ জীবন
হীরালাল সেন এর শেষ জীবন কেটেছে খুব কষ্টে। জীবনের শেষ সময়ে তাকে অনেক কঠিন পরিস্তিতির মোকাবেলা করতে হয়েছে। ১৯০৫ সালের পর থেকেতাঁর চলচ্চিত্র জীবনের পতন শুরু হয়। আস্তে আস্তে দেশে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান হতে থাকে। এতে চলচ্চিত্রের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এছাড়াও সে সময় দেশ বিদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের নামকরা চলচ্চিত্র আমদানি শুরু হয়। এতে সাধারন জনগণ দেশিয় খণ্ড খণ্ড চিত্রের প্রতি আগ্রহ হঁড়িয়ে ফেলে। বিদেশী চলচ্চিত্রের আমদানির ফলে তাঁর জীবনের সব সাধনা ধীরে ধীরে ভেস্তে যায়।

হীরালাল সেনের তিন ভাই মিলে চলচ্চিত্র ব্যবসা করতেন। একসময় তাঁর ভাই চলচ্চিত্র ছেড়ে দিয়ে চাকরী ধরেন। সাথে থাকেন মতিলাল সেন। কিন্তু এক সময় হীরালাল সেন ও মতিলাল সেনেরমধ্যে চরম দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এরপর হীরালাল সেন তাঁর প্রতিপক্ষ রয়েল বায়োস্কোপ কোম্পানি ত্যাগ করেন। হীরালাল সেন তাঁর ভাগ্নে কুমার সংকর গুপ্তকেও চলচ্চিত্র এনেছিলেন। কুমার সংকর গুপ্ত ও চলচ্চিত্র সম্পর্কে শিক্ষা নেন হীরালাল সেনের কাছ থেকে। কিন্তু এক সময় তাঁর ভাগ্নে ও তাকে ছেড়ে অন্য কোম্পানিতে চলে যান। এরপর হীরালাল সেন এইচ, এল সেন কোম্পানিতে কাজ করেন। পরে তিনি এই কোম্পানি ছেড়ে তাঁর ভাগ্নের প্রতিষ্টিত লন্ডন বায়োস্কোপ কোম্পানিতে যোগদান করেন।
১৯১৩ সালের কোন এক সময়ে হীরালাল সেনের জীবনে ঘটে সবচেয়ে বড় এক দুঃখজনক ঘটনা। হীরালাল সেনের নির্মিত সব চলচ্চিত্র ও নথিপত্র ছিল তাঁর ভাই মতিলাল সেনের বাসায়। হঠাৎ একদিন মতিলাল সেন এর বাসায় আগুন লেগে যায়। হীরালাল সেনের নির্মিত সব চলচ্চিত্র ও নথিপত্র আগুনে পুড়ে যায়। মতিলাল সেন এর কন্যাও আগুনে পুড়ে মারা যায়। তখন শুরু হয় হীরালাল সেনের সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। একদিকে পারিবারিক দ্বন্দ্ব অন্যদিকে তাঁর নির্মিত সব কিছু হারানোর বেদনা। আর্থিক অভাবের ফলে তাঁর ক্যামেরা ও সকল যন্ত্রপাতি এবং হাতের আংটি মালিকের কাছে বন্ধক রাখেন। পরবর্তীতে অনাদি বসু এগুলো মালিকের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেন। বিখ্যাত ক্যামেরাম্যান দেবী ঘোষ ক্যামেরাগুলো মেরামত করে নিজে ব্যবহার করেন।

উপমহাদেশের বিজ্ঞাপনের জনক
হীরালাল সেনকে উপমহাদেশের বিজ্ঞাপনের জনক বলা হয়। তাঁর আগে কেউ ভারতে বিজ্ঞাপন চিত্র তৈরি করেনি। ১৯০৩ সালে তিনি বিজ্ঞাপন চিত্র তৈরি করেন। তিনি বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপনের তৈরি করেন, তার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হল – বটফেষ্ট পালের ‘এডওয়ার্স টনিক’, সি কে সেনের মাথার তেল জবাকুসুম ও ডব্লিউ মেজর কোম্পানির ‘ সালমা পিলা’। এ বিজ্ঞাপনগুলো হয়েছিল রয়েল বায়োস্কোপ কোম্পানি থেকে।

উপমহাদেশের প্রথম রাজনৈতিক চলচ্চিত্রের নির্মাণ
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। ১৯০৫ সালের ৭ ই আগষ্ট রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় বিশাল প্রতিবাদ সভার ডাক দেন। হীরালাল সেন এই সভার ভিডিও করেন। এছাড়া রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এর নেতৃত্বে কলকাতায় বিশাল প্রতিবাদ সভা ও মিছিল হয়েছিল তার ছবি ও তুলেছেন তিনি। ১৯০৫ সালে ২৫শে নভেম্বর রাত্র ৯ টায় কলকাতায় থিয়েটার হলে এই চিত্রের প্রদর্শনী করা হয়েছে। এই প্রদর্শনীতে রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন। এছাড়াও তাঁর সাথে এসেছিলেন ময়মনসিংহের মহারাজা ‘ সূর্যকান্ত আচার্য চৌধরী, নাটকের রাজা জগদীন্দ্র নাথ রায়সহ অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ। রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রদর্শনী দেখে খুবই প্রশংসা করেছিলেন।

হীরালাল সেনের চলচ্চিত্র
হীরালাল সেন কতগুলো চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়,তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্র ৪০ টির মত হবে। তবে বিভিন্ন উৎস থেকে বিভিন্ন ধরনের মতবাদ রয়েছে।

মৃত্যু
হীরালাল সেন নানা প্রতিকূলতার মধ্যে ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১৯১৭ সালে তাঁর শরীরে ধরা পড়ে দুরারোগ্য ক্যান্সার। অবশেষে তিনি ক্যান্সারের সাথে লড়ে মৃত্যুবরণ করেন এবং সেই সাথে শেষ হয় চলচ্চিত্র জগতের এক উজ্জল নক্ষত্রের অধ্যায়।..............
তথ্য সংগৃহীত - প্রতাপ সাহা (https://www.facebook.com/pratapcsaha)। ধন্যবাদ।.........

৫ ভাই মিলে গ্রামে দিলেন রাজবাড়ি, বাবা' মা'র স্বপ্ন ছিলো সবাই একসাথে থাকবে, ভালবাসা থাকলে সবাই সম্ভব। 🏡🏠🥰
29/10/2025

৫ ভাই মিলে গ্রামে দিলেন রাজবাড়ি, বাবা' মা'র স্বপ্ন ছিলো সবাই একসাথে থাকবে, ভালবাসা থাকলে সবাই সম্ভব। 🏡🏠🥰

29/10/2025

নজর কি শুধু সৌন্দর্যে লাগে.. ? তুমি ভালো আছো, সুখে আছো, শান্তিতে আছো এইসব দেখেও নজর লাগে❓

অফিস সহকারী সুদ্বীপ ভট্টাচার্য এর বি*রু*দ্ধে শিক্ষকদের স্বাক্ষর জা*ল করার অ*ভি*যো*গ প্রমাণিত। গত ২৫/০৯/২০২৫ইং, মাধ্যমিক ...
29/10/2025

অফিস সহকারী সুদ্বীপ ভট্টাচার্য এর বি*রু*দ্ধে শিক্ষকদের স্বাক্ষর জা*ল করার অ*ভি*যো*গ প্রমাণিত। গত ২৫/০৯/২০২৫ইং, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, মাউশির (মো: নাজিম উদ্দিন) শিক্ষা কর্মকর্তা (মাধ্যমিক-১)-এর স্বাক্ষরিত ( স্মারক নং: ৩৭.০২.০০০০.১০৭.৩১.২৮৮.২০২৫-১৭০২ তারিখ: ২৫/০৯/২০২৫খ্রি, এক আদেশে এ জানানো হয়-মৌলভীবাজার হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদা বেগমের বি*রু*দ্ধে আনিত বিভিন্ন অ*ভি*যো*গে*র তদন্ত প্রতিবেদন এর পর্যালোচনা ও সুপারিশ অনুযায়ী অ*ভি*যো*গ*স*মূহ প্রমাণিত হয় এবং অফিস সহকারী সুদ্বীপ ভট্টাচার্য এর বি*রু*দ্ধে শিক্ষকদের স্বাক্ষর জা*ল করার অ*ভি*যো*গ প্রমাণিত হয়।

এমতাবস্থায়, বর্ণিত বিষয়ে অভিযোগসমূহ প্রমাণিত হওয়ায় জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১-এর ১৮.১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক রাশেদা বেগমের এমপিও Stop Payment করা হবে না এবং শিক্ষকদের স্বাক্ষর জা*ল করার অ*ভি*যো*গ প্রমাণিত হওয়ায় জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১-এর ১৮.১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অফিস সহকারী সুদ্বীপ ভট্টাচার্যের বি*রু*দ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার কারণ দর্শানোর জবাব ০৭ (সাত) কর্মদিবসের মধ্যে প্রেরণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।

আলহামদুলিল্লাহ
29/10/2025

আলহামদুলিল্লাহ

Address

Sylhet

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আ বে গী ম ন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to আ বে গী ম ন:

Share