
31/08/2025
হযরত মুসা (আ.)
তিনি হলেন আল্লাহ প্রেরিত একজন নবী ও রাসুল, যিনি বনী-ইসরাঈল সম্প্রদায়ের জন্য প্রেরিত হয়েছিলেন এবং ফেরাউনের দাসত্ব থেকে তাদের মুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি তুর পাহাড়ে আল্লাহর কাছ থেকে নবুয়ত লাভ করেন এবং তাঁর সম্প্রদায়ের জন্য আল্লাহর বাণী ফেরাউনের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ পান। মুসা (আ.)-কে ইসলাম, ইহুদি ও খ্রিস্টধর্ম সহ অন্যান্য আব্রাহামিক ধর্মে একজন গুরুত্বপূর্ণ নবী হিসেবে স্বীকার করা হয় এবং তাঁর ঘটনাগুলো কোরআন ও অন্যান্য ধর্মগ্রন্থে বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে।
জন্ম ও বাল্যকাল:
হযরত মুসা (আ.)-এর জন্ম হয়েছিল এমন এক সময়ে যখন ফেরাউন বনী-ইসরাঈলদের দাসত্বে রেখেছিল।
ফেরাউনের একটি স্বপ্ন ও পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের কারণে বনী-ইসরাঈলদের শিশুদের হত্যা করার নির্দেশ জারি করা হয়েছিল।
আল্লাহর নির্দেশেই মুসা (আ.)-এর মা তাঁকে নীল নদে ভাসিয়ে দেন এবং এক সময় ফেরাউনের পরিবারের কাছে পৌঁছান।
নবুয়ত লাভ ও মিশরে আগমন:
মুসা (আ.) বহু বছর মাদইয়ানে কাটানোর পর তুর পাহাড়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করেন এবং নবুয়ত প্রাপ্ত হন।
আল্লাহ তাঁকে ফেরাউনের কাছে গিয়ে আল্লাহর বাণী পৌঁছে দিতে এবং বনী-ইসরাঈলদের দাসত্ব থেকে মুক্ত করতে আদেশ দেন।
ফেরাউনের পতন ও বনী-ইসরাঈলদের মুক্তি:
মুসা (আ.) ফেরাউনের কাছে আল্লাহর নির্দেশ নিয়ে গেলে, ফেরাউন তা প্রত্যাখ্যান করে।
আল্লাহ মুসা (আ.)-এর মাধ্যমে ফেরাউন ও তার সম্প্রদায়কে বিভিন্ন শাস্তি ও প্লাবনের মাধ্যমে পরাস্ত করেন।
অবশেষে ফেরাউন ও তার বাহিনী নীল নদ পার হওয়ার সময় ডুবে যায় এবং বনী-ইসরাঈলরা মুক্তি লাভ করে।
গুরুত্ব:
পবিত্র কোরআনে মুসা (আ.)-এর নাম অন্য নবীদের তুলনায় অনেক বেশি উল্লেখ করা হয়েছে।
তাঁর মোজেযাসমূহ ছিল সংখ্যায় ও প্রকাশের বলিষ্ঠতায় অন্যান্য নবী-রাসুলদের তুলনায় অধিক।
তিনি ইহুদি ধর্ম ও সামেরিটানিজমে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নবী হিসেবে বিবেচিত হন।