03/12/2025
গত কয়েক দশক ধরেই জামায়াতকে পাকিস্তানপন্থী বলা হতো। কিন্তু জামায়াতের কোন নেতা গত ১৭ বছর ধরে পাকিস্তানে পালিয়ে যায়নি, শত জেল-জুলুম সহ্য করে এদেশের মাটি কামড়ে ছিল। এমনকী অনেক জামায়াত নেতা তাদের নিশ্চিত জেল-ফাঁসি হবে জেনেও বিদেশে কাপুরুষের মতো পালিয়ে না থেকে দেশের মাটিতে চলে এসেছিলেন। একজন জামায়াত নেতারও গত ১৭ বছরে পাকিস্তানে পালিয়ে যাওয়ার রেকর্ড নেই। উল্টো যারা জামায়াতকে পাকিস্তানপন্থী বলে গালি দিতো তারা এখন ভারতের দিল্লিতে পালিয়ে আছে।
এদিকে গত ০৫ই আগস্টের পর থেকে সেই একই সুরে অন্য আরেকটি গোষ্ঠী জামায়াতকে পাকিস্তানপন্থী ট্যাগ দেওয়া শুরু করেছিল। কিন্তু যখন দেখছে ছাত্র-জনতা সেটা খাচ্ছেনা উল্টো সাদিক কায়েমকে "পাকিস্তানপন্থী" ট্যাগ দেওয়ায় তার ভোট দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল তখন তারা এইবার জামায়াতকে "তুর্কিপন্থী" বলা শুরু করেছে। এমনকী সেই গোষ্ঠীর অনেকে অনলাইনে এটাও ছড়াচ্ছে জামায়াতের সাথে নাকি তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থা এমআইটি'র সমন্বয় হয়েছে। অবশ্য এটার তথ্যসূত্র সম্ভবত গোদি মিডিয়া থেকে পেয়েছে তারা। ভারত কোনভাবেই চায়না বাংলাদেশের সাথে তুরস্কের শক্তিশালী সামরিক সম্পর্ক গড়ে উঠুক। এতে করে তারা চতুর্দিক থেকেই গ্যাঁড়াকলে পড়ে যাবে। এমনিতেই এখন চীন আর পাকিস্তানের যন্ত্রণায় বাচে না!
আচ্ছা গোদি মিডিয়ার সূত্রে পাওয়া তাদের এই কল্পনাপ্রসূত দাবি যদি সত্যও ধরে নিই তাহলে ঠিক এইমুহুর্তে এমআইটি'র প্রধান দুইটি প্রতিপক্ষ হলো "মোসাদ" ও "র"। সেই হিসেবে তাহলে জামায়াতের যারা প্রতিপক্ষ তারা কি "মোসাদ" ও "র" এর সাথে খাতির করছে? তাদের টাকায় জামায়াতের বিরুদ্ধে অনলাইনে সারাদিন গুজব ছড়াচ্ছে?
এখন বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। তারা কি তুরস্কের এমআইটি কে বেছে নিবে নাকি "মোসাদ" কিংবা "র" কে বেছে নিবে।