
30/07/2025
অভিশপ্ত দরজা
পর্ব-২
SHARMIN SHORNA
নীলু স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ঠান্ডা বাতাস তার চুল ও গালে ছুঁয়ে যাচ্ছে। চোখের সামনে সেই দরজা, খানিকটা খোলা। তালা নিচে ঝুলছে, যেন কেউ সেটাকে ভেতর থেকে খুলে দিয়েছে।
কিন্তু… এটা তো সম্ভব নয়!
সেই কণ্ঠটা আবার এল—
“আমার সন্তান… আমার সন্তান কোথায়?”
এবার আরও করুণ, আরও গভীর।
হঠাৎ বাতি ঝিমিয়ে উঠল। ঘরের আলো নিভে যেতে যেতে যেন সময়ও থেমে গেল। নীলু নিজের শরীর ঠান্ডা হয়ে যেতে অনুভব করল। হাত-পা অবশ, কণ্ঠ শুকিয়ে গেছে।
হঠাৎ সে টের পেল, কার যেন নিঃশ্বাস পড়ছে তার ঠিক পেছনে। গলা ফিরিয়ে দেখল… কেউ নেই। কিন্তু মেঝেতে দেখা যাচ্ছে ভেজা পায়ের ছাপ—ছোট্ট কোনো বাচ্চার।
হঠাৎ একটি খেলনার শব্দ এল—“চিচিং ফাঁক!”
চোখ তুলে নীলু দেখল, দরজার ফাঁক গলে বাইরে গড়িয়ে এলো একটি পুরনো কাঠের ঘুড়ি। তার গায়ে লেখা, ছোট্ট হাতের লেখায়—
“মা, আমি হারিয়ে গেছি।”
নীলু পেছিয়ে এল। মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে প্রশ্ন—
এই ঘুড়ি কার?
সেই নারী কে?
আর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—এই দরজার ও পাশে আসলে কী আছে?
কিন্তু সে জানে, এখানেই থেমে গেলে চলবে না। তাকে খুঁজে বের করতেই হবে সত্যিটা।
তাকে জানতে হবে—এই ‘অভিশপ্ত দরজা’র ইতিহাস।
(চলবে…)