16/06/2025
ইরান যে মিড রেঞ্জ ব্যালেস্টিক মিসাইলগুলো ফায়ার করছে তার একটা বড় অংশ ইস"রায়ে"লে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হচ্ছে।
ইরানী মিসাইলগুলো সর্বপ্রথম থামানোর চেষ্টা করে ইরাকে অবস্থানরত আমেরিকান সেনা বাহিনী। ইরাকে বেশ কয়েকটি বড় বড় মার্কীন সামরিক ঘাটি রয়েছে যেখানে থাড সহ বিভিন্ন ধরনের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন আছে। ইরানী মিসাইলগুলো সর্বপ্রথম এদের দ্বারা আক্রান্ত হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও কুয়েতে থাকা মার্কিন ঘাটিগুলোও সবরকম ইনফরমেশন দিয়ে মিসাইল ঠেকাতে সহায়তা করে।
এদিকে পারস্য উপসাগরে টহল দেওয়া ইউএসএস কার্ল ভিনসন নামক বিমানবাহী রণতরী ও অত্যাধুনিক মিসাইল ডেস্ট্রয়ারগুলোও ইরানী মিসাইল ঠেকাতে কাজ করছে।
এরপর আছে জর্ডানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা এবং জর্ডানে অবস্থিত আমেরিকান ঘাঁটি।
এদিকে সাইপ্রাস থেকে ব্রিটিশ এয়ারফোর্স ইসরায়েলকে সহায়তা করছে।
এই সকল প্রতিরক্ষা স্তর পার হবার পর আসে ইসরায়েলের বহুস্তরীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা:
Arrow-3: ২০০০ কিলোমিটার দূরে থেকেই মহাকাশে ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে।
Arrow-2: যদি তা ব্যর্থ হয়, তাহলে এই সিস্টেম ১৫০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে।
David’s Sling: যেটি ৩০০ কিলোমিটার থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জে ক্ষেপণাস্ত্রকে ধাওয়া করে।
সর্বশেষ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে আছে Iron Dome,
যেটি ৭০ কিলোমিটার থেকে ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার চেষ্টা করে।
এখন প্রশ্ন হলো...পৃথিবীর আর কোনো দেশের ক্ষেপণাস্ত্র কি লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে গিয়ে এত বাধার সম্মুখীন হয়?
কিন্তু এত কিছুর পরও ইরানী মিসাইলগুলো ইসরায়েলে এসে ইমপ্যাক্ট করছে। এবং মনে রাখতে হবে, ইরানের এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তারা নিজেরাই তৈরি করেছে। কিন্তু এগুলোকে প্রতিহত করতে যে সব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ করে, সেগুলো বিভিন্ন উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর সর্বোচ্চ প্রযুক্তির ফসল।
হে আল্লাহ, পৃথিবীর বিষফোড়া জা"য়নিস্টদের বিরুদ্ধে ইরানকে গায়েবি সাহায্য দান করুন।
আমিন।