15/04/2025
#রং
#৬০.৪
Tonni-Tonu
একঝাপটা শুভ হাওয়ায় পুরো অন্দরমহলে প্রাণ ফেরে। আধভাঙা র!ক্তা!ক্ত শরীরে দাঁড়িয়ে সিনথিয়া, আহত!ব্যাথায় কাতর শরীর, এলোমেলো চুল গুলো উড়ছে। ঠোঁটের কোণে একচিলতে হাসি। ভয়গুলো বুক ছেড়ে উড়াল দিয়েছে। ঢুলুঢুলু চোখটা হাসে। মুখে বলে,
-- ওরা বাঁচতে দিচ্ছে না আর। দিচ্ছেই না।
ধারালো মগযাস্ত্রের অধিকারী, তীক্ষ্ণ বুদ্ধির ক্ষ্যাপাটে ইরফাদ চোখ বুলিয়ে নেয় চারপাশ। হাতবাড়িয়ে সিনথিয়ার র!ক্তা!ক্ত কপালের ভেজা চুলগুলো সরিয়ে দেয়।টেনে নেয় বুকের কাছে,একবাহুডোরে আবদ্ধ করে রক্তাক্ত কপালের কোণে সিক্ত চুমু দেয়। বুকে চেপে ধরে কয়েকসেকেন্ড।ইরফাদের গলার স্বর কিছুক্ষণ কোমল। পরেরটুকুতেই প্রলয়,
-- আমি আছি সিনথি!এইতো চলে এসেছি। ভয় পেয়ো না!
একটাকেও বাঁচতে দিবো না। এক...টা....কে....ও না।
একটুকরো উষ্ণ ওমে মাথা ঠেকিয়ে সিনথিয়ার গলা কেঁপে ওঠে,
-- ওরা বাবাকেও ছাড়েনি। র!ক্তা!ক্ত করে দিয়েছে। আমাকে ছুঁয়েছে। টুম্পাকে ওরা ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। কাউকে ছেড়ে দেয়নি। আমি আমার সবটা দিয়ে চেষ্টা করেছি। পারছিনা আর।
তীক্ষ্ম চোখ জোড়ায় জ্বলে ওঠে আগ্নেয়গিরি, যার উত্তাপে ভস্মিভূত হবে পুরো পৃথিবী। পেটানো নিয়মিত চর্চিত ইস্পাতের ন্যায় শরীরে মূহুর্তেই ঝড় বয়ে যায়। র!ক্তা!ক্ত আধভাঙা ব্যথায় জড়ানো সিনথিয়ার শরীর খানা অগ্নিমানবের আয়ত্বে। ঝড়ের গতিতে ভালোবাসার ঐ ছোট্ট অবলম্বনকে একঝাপটায় কাঁধে তুলে নেয়। র!ক্তা!ক্ত সিনথিয়ার কোমল হাতজোড়া ইরফাদের পিঠ ছাড়িয়ে শূন্যে দোলে। এলোমেলো খোলা চুল ইরফাদের পিঠ ছাপিয়ে মাটি ছোঁয়। ব্যথাতুর, র!ক্তভেজা কপাল ছেড়ে একফোটা রক্ত সাদা টাইলসে টুপ করে পড়ে। ইরফাদের চলনে রক্তের ফোটা গুলো একের পর এক সংখ্যা বাড়ায়। বিশ্বস্ত,ভরসার চাদরে নিজেকে ঢেকে সস্তিতে চোখ বন্ধ করে সিনথিয়া। অনেকটা সময় পর নিশ্বাসে স্বস্তি।
উপরতলার মরণ খেলায় মত্ব মাফিয়াদের হৃদয়ে ইরফাদের পদধ্বনির বিধ্বংসী পদধ্বনির সুর পৌঁছে গেছে। কদমে কদমে প্রলয়ের সুর, যেনো অগ্নীমূর্তী ছায়ামানব জলোচ্ছাসে ভাসিয়ে কূল হারা করেই ছাড়বে এইবার। মাফিয়া দলের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পৌঁছে গেছে ধ্বংসের সুর। অকারণেই স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে তারা। মাফিয়াদের মধ্যে একজন ফিসফিসিয়ে বলে,
-- আমি বলেছিলাম দূরে কোথাও হেলিকপ্টারের শব্দ শোনা যাচ্ছে। দরজার ধাক্কার শব্দ শুনেও বলেছিলাম সবাইকে পালাতে।এই ক্ষ্যাপাটে এসপি আমাদের একএক জনকে টুকরো টুকরো করে কুত্তা দিয়ে খাওয়াবে।
মাফিয়া দলের বসের কন্ঠে তখনো তেজ,
-- কেউ কোথাও যাবেনা। এসপির অস্তিত্ব মুছে তবেই এখান থেকে বের হবো।
-- সে গুড়ে বালি। আমি যাচ্ছি। এতোক্ষণ জোর করে আটকে রাখলেও আমি আর থাকবো না। লাগবেনা টাকা পয়সা। যার জানের ভয় নেই সে থাকুক।
--আরে শা!!লা! এসপি কি তোকে চেনেনা। শা@লার পুলিশের লোক হয়ে এসপির ঘরে হানা দিয়েছিস। তোকে ছেড়ে দেবে।
-- গা ঢাকা দিয়ে থাকবো, একটা মা!র্ডা!র তো করিনি। শাস্তি যেমন ই হোক। মৃত্যু রায় হবেনা। এই মূহুর্তে মেরে গুম না করলে পরবর্তীতে এসপি যতোই ক্ষমতাশীল হোক জানে মেরে ফেলার জন্য তাকে জবাবদিহি করতে হবে।
--আরে যাহ যা।
রিদুয়ানুর রহমান এই সুযোগে নিজের কক্ষে প্রবেশ করেন,দরজা বন্ধ করে দেন। ক্লান্ত,ব্যথায় কাতর শরীরটা নিয়ে বসে পড়েন ধবধবে টাইলসে। হাতে মুঠোয় এখনো ধারালো অস্ত্র। তবে ছেলের উপস্থিতিতে তিনি সাময়িক বিশ্রামে। ইরফাদের প্রতিকদম পদচিহ্নের দাপটে যেনো পুড়িয়ে ভস্মিভূত করে দিচ্ছে। কঠিন, কঠোর ইরফাদের বিধ্বংসী গলার স্বর কোমল হয়ে আসে,
-- লাইট অন করোনি কেনো সিনথি?
নিরব, নিস্তব্ধ, নিস্তেজ শরীরে সিনথিয়া চোখদুটোকে টেনে টেনে খোলে। তপ্ত একটা শ্বাস টেনে বলে,
-- বিদ্যুৎ অফ, অলটারনেট দেয়া। তবে লাইটগুলো নষ্ট করে দিয়েছে ওরা। ওদের কাছে যা ছিলো, যতোটুকু ওদের প্রয়োজন ততোটুকুই জ্বেলেছে। বাকিগুলো বাবা অফ করেছে প্রয়োজনে।
-- শ্যুট করেছো কাউকে?
-- হুউউউ।
--কয়টা বু!লে!ট ইউজ করেছো?
--আপনার রিভলভারের একটাও নেই আর। ওরা অনেক অস্ত্র নিয়ে ঢুকেছিলো। পরবর্তীতে ওদের গুলো ইউজ করা হয়েছে।
-- রুমে বসবে কিছুক্ষণ, ওকে?
-- ওরা এখনো অনেকজন। কারো কাছে রিভলভার নেই। সব ধারালো অ!স্ত্র? আপনি....
--ডোন্ট প্যানিক!
টুম্পা ঠিক আছে?
-- হুমম।
মাফিয়াদের মধ্যে একাংশ পালাতে চায়। মাফিয়া বস ছাদের সিড়িতে দাড়ায় ধারালো অস্ত্র হাতে।
-- একটাও বের হবি না। তাহলে পিছ পিছ করে কাটবো। এসপিকে দেখে মা** হয়ে গেছোস? শা!লা!র শাড়ি চুড়ি পইড়া থাকা উচিত তোদের।
অনিচ্ছাকৃত ভাবে মাফিয়া দল ঘুরে দাঁড়ায়। ইরফাদ উপরে উঠে সিনথিয়াকে নিজের রুমের বিছানায় বসিয়ে দেয়। কঠিন, কঠোর, নিষ্ঠুর, নির্মম শয়তানের বিনাশকারী, প্রাণনাশকারী ইরফাদ প্রিয়জনদের বেলায় কোমল। সিনথিয়ার ঘনচুলভর্তী মাথায় আরেকবার ভরসার পরশ,
-- আরেকটু সময় হুমম! আসছি।
ইরফাদের হাতে একটা শক্তপোক্ত হকিস্টিক,নির্মম,নিষ্ঠুর বিনাশের জন্য সে প্রস্তুত। দাপটে দাপটে ঝড়। সিনথিয়া তড়িঘড়ি করে বলে ওঠে,
-- আল্লাহ্! ওদের হাতে ধারালো অস্ত্র। এভাবে যাবেননা।
ভারী রিভলভারটা আঙুলের মধ্যে ধরে ঘুড়াতে থাকে ইরফাদ। ঠোঁটটা হালকা বাকিয়ে বলে,
-- একটা বুলেট ও আর খরচ হবে না।
ওরা আজ আমার কাছে মৃত্যু চাইবে! মৃত্যু!!!
সহসাই ঝড়ের বেগে উড়ে আসে মাফিয়ার দল। আবছা আলোও তাদের হুংকার, তেজ। ধারালো অস্ত্রের মাথার ঝলকানি। একসাথে আঘাত করে মাফিয়া দল। হকিস্টিকে সে আঘাত রুখে ইরফাদ। তেজস্বী চোখ, গলার গর্জন, ভারী শক্ত পায়ের নিষ্ঠুর, নির্মম আঘাতে আস্ত যুবক ছিটকে পড়ে। দেয়ালে বারি খায় তার মাথা। ধারালো চাপাতি ছিটকে পড়ে ধবধবে টাইলসে,ঝনঝন করা ধারালো অস্ত্রের সাথে কেঁপে ওঠে দূর্বল মাফিয়ার হৃদয়। শক্তিধর অশুভ শক্তির পক্ষ থেকে প্রবল আঘাত ধারালো অ!স্ত্রে!র। এক পা পিছিয়ে যায় ইরফাদ। চাপাতির ধারালো অংশ চোখের এক চিমটি দূর দিয়ে ঘুরে যায়। ছুটে যাওয়া ধারালো অ!স্ত্রের সাথে হালকা নুইয়ে পড়ে মাফিয়া। সাথে সাথে ইরফাদর নিষ্ঠুরতম আঘাত। যেনো ফুল টাচ বল" ব্যাটের আঘাতে বাউন্ডারি পার। ছিটকে পড়ে মাফিয়া। আরেকজন হাওয়ার বেগে ছুটে আসছে,হাতে ভারী অস্ত্র, মুখে গর্জন, ইরফাদের গতি মন্থর। দাঁড়িয়ে থাকে ন্যানোসেকেন্ড। পিছিয়ে যায় এক পা। হকিস্টিকের একপ্রান্ত শক্ত করে ধরে দাঁতে দাঁত পিষে হাঁটুর নিচে আঘায় করে, নিজেকে সরিয়ে নেয় পাশে। মুখ থুবরে পড়ে মাফিয়া। সিনথিয়া বিছানার শেষ প্রান্তে বালিস সামনে ধরে বসে থাকে। মুখ থুবরে পড়া মাফিয়ার গলার উপর পা চেপে ধরে ইরফাদ। গুরুগম্ভীর ইরফাদের গলায় চাপা গর্জন,
--কে পাঠিয়েছে?
পায়ের তলায় পৃষ্ঠ মাফিয়ার শ্বাস রোধ হয়ে আসে। আরেকজন তেড়ে আসে। দক্ষ হাতে ইরফাদ তুলে নেয় ধারালো অস্ত্র, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হাত। তবুও লক্ষ ভেদ হয়। মাফিয়ার চাপাতির আঘাত ছুঁয়ে যায় ইরফাদের টি শার্ট, বুকের কাছটায় কালো রঙের শার্টটা ভেদ করে বের হয় সাদা চামড়া,একটা ছোট ক্ষত, এরপর টুপ টুপ করে ঝরে র!ক্ত। সিনথিয়ার চিৎকার, ব্যাথাতুর পায়ে উঠে আসার তীব্র আক্রোশ, থামিয়ে দেয় ইরফাদ। চাপা স্বরে বলে,
--"শশশ"কুল, কুল!
পরবর্তী ইরফাদ আঘাত হানে ভয়ংকর, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ছিটকে পড়ে মাফিয়ার হাত। র!ক্তে!র বৃষ্টি, র!ক্তের ফোয়ারায় ভাসতে থাকে সাদা টাইলস। নিস্তব্ধ, নিরব চোখে নির্মম পরিহাস দেখে মাফিয়া। হাতটা তার আয়ত্বে নেই। ছিটকে লাফাচ্ছে দূরে। চোখ থেকে খসে পড়ে গরম জল। বুকের কাঁপন বাড়ে। নিষ্ঠুর, নির্মম আঘাতকারীর দিকে তাকায় মাফিয়া। থরথর কাঁপতে থাকা পায়ে পিছিয়ে যায় মাফিয়া। ইরফাদের পায়ের দাপট, গলায় ঝংকার,
-- কে পাঠিয়েছে? কে?
পায়ের তলায় পৃষ্ঠ মাফিয়া ফোসফোস করে, সামনের জন অবলিলায় বলে,
-- প্রভাতরঞ্জন।
নামটা শুনেই রাতের দৃশ্যপটে চোখ বুলিয়ে নেয় ইরফাদ। তার পরে নিগূর কন্ঠস্বরে ফুটে ওঠে উপহাস,
-- প্রভাতরঞ্জন?
-- হ্যাঁ তোর র!ক্ত দিয়ে লিখবো আমাদের জীবনের নতুন পথ।
দুলে দুলে দরজা দিয়ে ঢুকছে মাফিয়া বস। যার ঠোঁটের কোণে পৈচাশিক হাসি। কড়া পড়া হাতে চাপাতি। অন্যহাত নিরব। গলায় গর্জন,
-- এই মার ওরে।
গলার স্বরে ঝংকার শেষ না হতেই পেছন থেকে একদম মাফিয়া ধাওয়া করে আসে। ইরফাদের দক্ষ হাত এক এক করে মাটিতে সবগুলোকে শুকনা পাতার মতো বিছিয়ে ফেলে। সবগুলো আধমরা দেহের উপর দিয়ে ঝড়ের দাপটে হাঁটে ইরফাদ। পিছিয়ে যায় মাফিয়া বস। এক দুই তিন এভাবেই পা চালিয়ে দৌড়াতে থাকে। প্রলয়ের সুর তুলে পিছু নেয় ইরফাদ। হকিস্টিকের শক্ত আঘাত প্রথমেই মাথার পেছনে, এরপরে ছিটকে পড়ে মাফিয়া। শক্ত মোটা রশিতে বাঁধে মাফিয়ার পা। তারই পরনের শার্ট ছিড়ে গুজে দেয় তার ই মুখে। একে একে সবগুলো আধমরা প্রাণগুলোকে রশিতে বাঁধে ইরফাদ। নির্মম, নিষ্ঠুর ইরফাদ আধমরা জ্ঞানহীন মাফিয়াগুলোকে রশিতে বেঁধে সারি ধরে বসায়, মুখে গুজে দেয় কাপড়ের টুকরো। অতঃপর মোমবাতিতে আলো জ্বেলে পায়ের তলায় এক এক করে ধরে। দানবীয় শরীরের মাফিয়া গুলো চিৎকার করে ওঠে,সে চিৎকারের আওয়াজ বাঁধা পায় মুখভর্তি কাপড়ে। ইরফাদ ধীর পায়ে ঢুলে ঢুলে হাঁটে। এক এক করে ধারালো ছু!ড়িতে কেটে নেয় একজন একজন করে সবার আঙুল। সবগুলো জড় করে ঝুড়িতে। র!ক্ত চুইয়ে চুইয়ে পড়ে ঝুড়ি থেকে। গগনবিদারী চিৎকারে ফেটে পড়ছে ইরফাদের অন্দরমহল। ইরফাদ চেয়ার টেনে আয়েশী ভঙ্গিতে বসে,
-- তোদের মধ্যে কে সিনথিকে ছুঁয়েছিস? কে?
আতঙ্কে মাফিয়াদল কুকড়ে যায়, ভয়ানক শাস্তির ভয়ে একজোটে তাকায় মাফিয়া বসের দিকে, মাফিয়া বস এলোপাথাড়ি মাথা নাড়ায়। "আমি না। আমি নাহ।"
ইরফাদ আয়েশী ভঙ্গিতে আকাশ পানে মুখ করে থাকে কিছুক্ষণ এরপরে একদলা থু থু ছুড়ে মারে মাফিয়ার দিকে। অতঃপর চোখের পলক ফেলার আগে ধারালো চাপাতি ছুড়ে মারে মাফিয়ার হাতের দিকে। হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় শরীর থেকে রক্ত ছিটকে ওঠে বিচ্ছুরিত পানির মতো। একটা লোহার শেকলে সকল মাফিয়ার পা একজোট করে বাঁধে ইরফাদ। কয়লা একজায়গায় স্তুপ করে আগুন জ্বালিয়ে দেয় তাতে, এর পরেই শক্ত শেকল টেনে ধরে আরেকবার বসে আয়েশ করে। দগ্ধ আগুনে পা পুড়ে পুড়ে গগনবিদারী চিৎকার দেয় মাফিয়াদল। জবাই করা পশুর মতো তীব্র ঝাকি দেয় তারা। ইরফাদ শেকল শক্ত করে ধরে রাখে আর বলে,
-- আরো মেয়ে লাগবে? শুতে চাস আরোও।
হাসফাস গলায় অস্পষ্ট স্বরে সবাই যেনো একযোগে বলে,
--আমাকে মৃ!তু্য দিন।
ইরফাদ ঠোঁট বাকিয়ে হাসে, আর তরপাতে থাকা শেকলের ঝাকুনি আরোও শক্ত হাতে ধরে।
*
*
*
কয়েক মিনিট পর, সকল নেটওয়ার্কের সমস্যা সমাধান করে বাসার ফোন থেকে থানায় ফোন করে ইরফাদ,
-- বাসায় রক্ষকবেশে কিছু ভক্ষক ঢুকেছিলো। কয়েকটা পরপারে চলে গেছে। বাকিগুলোকে নিয়ে যেতে হবে।
এতটুকুর পরেই রুস্থান কবীরের ফোন,
-- তুমি তো তোমার ডিউটিতে ছিলে ইরফাদ! কখন ফিরলে?
-- পুলিশ যদি আমার বাসায় ভক্ষক বেশে আসে আমি না ফিরলে চলে?
--ফেরার পথে ফোন কেনো করোনি?
--ফোন ডেথ।
নিরব কন্ঠে সুধায় রুস্তান কবীর,
-- এনকাউন্টার করেছো?
--নো স্যার!
-- তাহলে, ডেথ বডির কথা বলেছো যে?
-- আমার ওয়াইফ আত্মরক্ষার জন্য করেছে।
-- সত্যিই তুমি করোনি?
-- যদি করার হতো তাহলে বাকিগুলো বেঁচে থাকতো না স্যার! আমার বাবাকে আঘাত করেছে, আমার বাসায় ছোট একটা বাচ্চা আছে তাকে ছুড়ে ফেলেছে, আমার ওয়াইফকে স্পর্শ করার পরেও আমি তাকে বাঁচিয়ে রেখেছি স্যার। যদি আমি এনকাউন্টার করতাম তাহলে ওকে আগে মারতাম। তবে যতোটুকু করেছি এতেই ওরা মৃত্যু চাচ্ছে।
--কি করেছো তুমি?
--হাত কেটে দিয়েছি। পা জ্বালিয়ে দিয়েছি।
-- ইরফাদ!
-- মেয়েটা আমার ভালোবাসার লিখিত দলিল। সেখানে যারা হাত দিয়েছে তাদের জন্য এটা খুব সামান্য শাস্তি স্যার! আমার ফ্যামিলিতে সবাই বিধ্বস্ত। ওদের হসপিটালাইজড করতে হবে। রাখছি।
*
*
*
*
বাকি রাত হাসপাতালেই কাটে ইরফাদের পরিবার। রক্তিম স্বর্ণালী আভা, হাসপাতালের কেবিনের জানালা গলিয়ে রোদ পড়েছে মেঝেতে। কেবিনের দুপাশে দুটো বেড। সিনথিয়া শুয়ে আছে একপাশে,অন্যপাশে টুম্পার পাশে ইভা। বাচ্চা মেয়েটার জ্বরে শরীর পুড়ে যাচ্ছে। আর বাচ্চা কন্ঠে শোনা যাচ্ছে একই কথা,
-- পাপা। পাপা। পাপাল কাছে যাবো।
একপর্যায়ে সহ্য করতে না পেরে ইভা ইরফাদের কাছে যায়,
--ভাইয়া। ওর জ্বর নামছে না।
-- ধৈর্য্য ধর। সব ঠিক হয়ে যাবে।
-- একটা কথা বলতে ভয় লাগছে। কোনো ভাবে ওকে ওর পাপার সাথে....
-- তোকে একটা কথা বলা হয়নি। A major accident happened. যদিও আসামী পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টা মাত্র কয়েকজনের মধ্যে রাখা হয়েছে। তবে ঐরাতে পালিয়ে যাওয়ার সময় প্রভাতরঞ্জনের দলবল রাফসানকে সাথে নিয়ে যেতে চেয়েছিলো। রাফসান যেহেতু অনুতপ্ত ছিল আর হয়তো অন্য কিছু একটা চিন্তা করে সে যেতে চায়নি। উল্টো তারা যেন পালাতে না পারে এজন্য তাদের বাঁধা দিতে থাকে। Suddenly the Pravatranjan's team seriously hit him when they saw such a change in Rafsan. Rafsan's condition is quite serious now.
--মানে? ঠিক আছে ও?Where is Rafsan?
--There has been a lot of bleeding. He is currently kept in life support. Is not going to say anything about Rafsan's physical condition.
বুকের একপাশটা কেমন যেনো ধূ ধূ করে ওঠে ইভার। সবটা শেষ হয়ে যাচ্ছে? শূন্য হয়ে যাচ্ছে সব?
চলবে?
সবাই ফলো দিয়ে রাখুন যাতে খুঁজে পেতে সুবিধা হয়।