17/04/2025
বয়কট নয়, আগে বাস্তবতা বুঝুন – কোকাকোলা বনাম আমাদের দ্বৈত মানসিকতা
আমরা অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন প্রতিবাদী, সচেতন। কেউ বলছি কোকাকোলা বয়কট করতে হবে, কেউ বলছি বিদেশি ব্র্যান্ডে টাকা খরচ করা যাবে না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—আসলে কার ক্ষতি করছি আমরা? আর আমরা নিজেরা কতটা দ্বিমুখী আচরণ করছি সেটা কি কখনো ভেবেছি?
কোকাকোলা শুধু একটি পানীয় নয়, এটি একটি কর্মসংস্থান
কোকাকোলা বাংলাদেশে সরাসরি ও পরোক্ষভাবে ২২,১০০+ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করেছে।
২০১৯ সালে কোকাকোলা দেশের অর্থনীতিতে ১,২২০ কোটি টাকা অবদান রেখেছে, যা জিডিপির ০.১১%।
এক বোতল কোক কেনার সময় আপনি যে টাকা খরচ করেন, তার প্রায় ৮৫% বাংলাদেশেই থেকে যায়—স্থানীয় কৃষক, সাপ্লায়ার, দোকানদার ও অন্যান্যদের মাধ্যমে।
কোকাকোলার ৭৫% কাঁচামাল ও উপকরণ স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা হয়।
এই সংস্থাটি আমাদের দেশের মানুষের জীবিকা এবং অর্থনীতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। বয়কট করলে আপনি কাদের শাস্তি দিচ্ছেন? বিদেশি মালিককে, না আপনার পাশের বাসার সেই কর্মচারীকে?
এদিকে ফেসবুক – প্রতিবাদের পেছনে লুকানো বৈদেশিক অর্থ পাচার
যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বসে কোকাকোলা বয়কটের ডাক দিচ্ছেন, তারা নিজেরা ফেসবুক বা ইউটিউবে কতটা “অর্থনীতিক” অবদান রাখছেন, ভেবে দেখেছেন কখনো?
আপনি ফেসবুক খুললেই হোম পেজে বিভিন্ন Sponsored Ads দেখেন—এই অ্যাডগুলো ফেসবুক নিজে আপনাকে দেখায়।
এই অ্যাডগুলোতে কোনো কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এক টাকাও পান না।
এগুলো মূলত বিভিন্ন পেইজ বা কোম্পানির বুস্টিং—যার পুরো টাকা যায় ফেসবুকের পকেটে।
আপনার এড যদি কোনো কনটেন্ট ক্রিয়েটরের ভিডিও বা Reels-এর মাঝে গিয়ে দেখানো হয়, তখন সেই কনটেন্ট ক্রিয়েটর সীমিত পরিমাণে কিছু টাকা পায়—তাও নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে (যেমন দেশ, যোগ্যতা, ফেসবুকের অনুমোদন)।
অন্যদিকে, ফেসবুক বা ইউটিউব-এ আপনি যতই টাকা ঢালুন, তার ৮০-৯০% বিদেশে চলে যায়। দেশের জন্য সরাসরি কোনো উন্নয়ন হয় না।
Md. Sukur Mahmud